নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার কথা -২৪

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১০

"আমার কথা -২৩" পড়তে হলে এখানে ক্লিক করুনঃ আমার কথা -২৩

কিংবদন্তী শিক্ষক JRS
এমসিসি তে এসে প্রথম যেদিন থেকে ক্লাসে যোগদান করলাম, সেদিন থেকেই জেনেছিলাম এখানকার শিক্ষকগণ তাদের নামের আদ্যোক্ষর দিয়ে পরিচিত। যেমন নাজমুল আহসান-NA, নূরুল ইসলাম-NI, হায়দার আলী-HA, ইত্যাদি। প্রথম দিনের ইংরেজী ক্লাসের শিক্ষক হিসেবে ক্লাস রুটিনে দেখলাম নাম লেখা আছে JRS। কল্পনা করতে থাকলাম, নামটা কি হতে পারে! জাবেদুর রহমান, জয়নুর রহমান জাতীয় কিছুর সাথে S দিয়ে কোন নাম? কৌ্তুহল নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকলাম। ঘন্টা বাজার পর যিনি ক্লাসে এলেন, তাঁকে দেখে একাধারে বিস্মিত ও চমৎকৃ্ত হয়ে তাকিয়ে রইলাম তাঁর মুখের দিকে, তিনি কী বলেন তা শোনার জন্য। তিনি একজন বিদেশী, হ্যাংলা পাতলা কিন্তু দীর্ঘদেহী সৌম্যকান্তি সুদর্শন পুরুষ, মুখে ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি, কিছুটা কুঁজো হয়ে হাঁটেন। প্যান্টের পেছনের দুই হিপ পকেটে দুই হাত ঢুকিয়ে শরীরটাকে ব্যালেন্স করে হাঁটেন। পরে জানতে পেরেছিলাম, কোন একটা দুর্ঘটনার কারণে তাঁর stiff spine ছিল, অর্থাৎ তাঁর শিরদাঁড়ায় সমস্যা হয়েছিলো। সে কারণে তিনি বেশীক্ষণ মেরুদন্ডটাকে একেবারে সোজা করে দাঁড়িয়ে থাকতে বা হাঁটতে পারতেন না। প্রথম ক্লাসে শিক্ষকগণের নিজেদেরকে পরিচিত করানোর রেওয়াজ ছিল। তিনি বাম হাত হিপ পকেটে রেখে ডান হাতে চক ধরে ব্ল্যাকবোর্ডের দিকে উল্টো ফিরে ক্যাপিটাল লেটার্সে তাঁর নাম বড় বড় করে লিখলেনঃ JAMES ROGER SIMPSON। এতক্ষণে আমার কৌ্তুহল দূর হলো।

তিনি জানতেন, আমাদের ক্লাসে রাজধানীর নামী দামী ইংরেজী মিডিয়াম স্কুলে পড়া কিছু চোস্ত ইংরেজী জানা ছাত্র যেমন ছিল, তেমনি ছিলো মফস্বল জেলাশহর থেকে আগত অখ্যাত বাংলা মিডিয়াম স্কুলের ছাত্রও। শেষোক্ত শ্রেণীর ছাত্রদের বোঝার সুবিধার্থে তিনি তাঁর কথাগুলোকে অত্যন্ত ধীরে এবং পরিস্কার ভাবে উচ্চারণ করছিলেন, যেন সবাই বুঝতে পারে তাঁর কথা। তাদের প্রতি তিনি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল ছিলেন। এর পরেও প্রথম প্রথম তাঁর অনেক কথাই তাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যেত। প্রথম ক্লাস থেকেই তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে আমার খুব ভালো লেগেছিলো তাঁর এই আন্তরিকতার জন্য। তাঁকে ভালো লাগার আরেকটা কারণও ছিলো। আমরা প্রথম কয়েক সপ্তাহেই বুঝে গিয়েছিলাম যে তিনি ৭ম-৮ম শ্রেণীর শিশুতোষ বালকদেরকে শারীরিক শাস্তি দেয়ার ঘোর বিরোধী ছিলেন। ছোট খাটো ব্যত্যয়ের জন্য তিনি এক্সট্রা ড্রিল (ইডি) দিতেন না। বড় জোর এক্সট্রা প্রেপ দিতেন। এক্সট্রা প্রেপ মানে এক্সট্রা প্রিপারেশন, অর্থাৎ একজন শিক্ষকের তুত্বাবধানে অতিরিক্ত এক ঘন্টা সময় পড়ার টেবিলে বসে পড়াশোনা করা। ইডিতে শারীরিক কষ্ট হতো, গরম পীচের রাস্তার উপর ক্রলিং করতে করতে হাতের কনুই এর চামড়া কালো হয়ে যেত, কখনো ফোস্কাও পড়ে যেত। আর এক্সট্রা প্রেপ এর কারণে মানসিক চাপের সৃষ্টি হতো। সতীর্থরা যখন কমন রুমে খেলতে যেত, এক্সট্রা প্রেপ এর শাস্তিপ্রাপ্তরা তখন পড়ার টেবিলে বসে হাঁসফাঁস করতো। JRS ৭ম/৮ম শ্রেণির ক্যাডেটদের প্রতি অতি সদয় থাকলেও বড়দের শৃঙ্খ্লার ব্যাপারে আপোষহীন ছিলেন। আমার আবছা মনে পড়ছে যে ৬৯ সালের শেষের দিকে অথবা ৭০ এর প্রথম দিকে একবার একাদশ শ্রেণীর (২য় ব্যাচ) বড়ভাইদের একসাথে অনেককে তিনি ইডি দিয়েছিলেন। এটা নিয়ে তাদের মধ্যে অনেকটা বিদ্রোহের ভাব দানা বাঁধছিলো। এমন কি কলেজ কর্তৃপক্ষও চাচ্ছিলেন কিছুটা নমনীয় হতে। কিন্তু তিনি শেষ পর্যন্ত নমনীয় হননি।

আমার দেখা সিম্পসন আর আজকের সিম্পসনের মাঝে অতি সামান্যই পার্থক্য। তখন মাথাভর্তি চুল ছিলো, এখন নেই। তখন চুল কালো ছিলো, এখন সাদা। এ ছাড়া আর সবই মিল, শুধুই মিল। খুব পরিপাটি পোষাক পড়তেন। সাদা আর নীল রঙের সার্ট বেশী পড়তেন। টাইটা একটু লম্বা করেই বাঁধতেন, খুব সুন্দর সুন্দর প্রিন্টের টাই পড়তেন, খুব অভিজাত লাগতো দেখতে। নীচে ছবি দিয়েছি, ছবি দেখেই সহজে বোঝা যাবে যে আমার কথাটা কতটা ঠিক! তাঁর হাসিটা মুচকির মতই লাগতো, কিংবা তার চেয়ে একটু বেশী। ভিনদেশী মানুষ, কিন্তু আমরা তাঁকে মোটেই ভয় পেতাম না। তাঁর ক্লাসগুলো খুবই উপভোগ করতাম আমরা, আমি বিশেষ করে। দেবতাতুল্য মনে হতো তাঁকে। পরীক্ষায় নম্বর দেবার ব্যাপারে খুবই ফেয়ার ছিলেন। একবার একটা পরীক্ষায় আমি কাঙ্খিত নম্বরের চেয়ে অনেক কম নম্বর পেয়ে মনোক্ষুন্ন হয়েছিলাম। ওনার কাছে সেটা প্রকাশও করেছিলাম। উনি ধৈর্য্যের সাথে আমাকে বুঝিয়েছিলেন যে উনি ওনার প্রশ্নে আমার থেকে কী জানতে চেয়েছিলেন, আর আমি স্পেসিফিক না হয়ে কিভাবে শুধুই বীটিং এরাউন্ড দ্য বুশ করেছিলাম। সেজন্য তিনি আমাকে মোটেই নম্বর দেন নাই ও প্রশ্নটাতে। খাতা দেখার ব্যাপারে ভীষণ পাংচুয়াল ছিলেন। যেদিন পাক্ষিক পরীক্ষার খাতা দেখাবার কথা থাকতো, ঠিক সেদিনই দেখাতেন। কখনো একদিনের জন্যেও দেরী করেন নাই। খাতায় নম্বর কেটে থাকলে ঠিক কী কারণে কেটেছেন, সে ব্যাপারে প্রতিটি খাতায় একটি নোট লিখে দিতেন। আরও সুন্দর করে কিভাবে লেখা যায়, সে ব্যাপারে উদাহরণ দিয়ে পথ বাৎলে দিতেন।

তিনি একজন অক্সফোর্ড গ্রাজুয়েট ছিলেন, কিন্তু একজন অক্সফোর্ড গ্রাজুয়েট যে কি জিনিস তা বোঝার মত সম্যক ধারণা তখনো আমাদের হয়নি। তবে এখন ভেবে অবাক হই যে সেই তখনকার দিনে, অর্থাৎ ১৯৬৬-৬৯ সালের মত সময়ে একজন ব্রিটিশ অক্সফোর্ড গ্রাজুয়েট কি ভেবে তাঁর নিজ দেশের লোভনীয় কর্পোরেট চাকুরীর মোহ উপেক্ষা করে শিক্ষকতাকে জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গোড়াই (মির্জাপুর) এর মত একটা ঘোর মফস্বলে শিক্ষকতা করতে এসেছিলেন! প্রথম দিকে তিনি আমাদের শুধু গ্রামার পড়াতেন। গ্রামারের খুঁটিনাটি বিষয়গুলোকে তিনি এমনভাবে তুলে ধরতেন যে তাঁর কথা মনযোগ দিয়ে শুনলে গ্রামার পরীক্ষার আগে আর বই ধরতে হতোনা। বোঝার সুবিধার্থে তিনি নানারকমের কেরিকেচার করতেও দ্বিধা করতেন না। যেমনঃ sit up (শোয়া থেকে উঠে বসা) আর sit down (দাঁড়ানো থেকে বসা) এর পার্থক্য বোঝাতে গিয়ে একদিন তিনি আমাদের চঞ্চল বন্ধু ফাহিয়ানকে বল্লেন, ‘Fahian, stand up!’ ফাহিয়ান উঠে দাঁড়ালো। তারপর বললেন, ‘Now sit down!’ ফাহিয়ান চেয়ারে বসে পড়লো। তারপর তিনি বললেন, ‘Now sit up!’ ফাহিয়ান এবারে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো। কী করবে তা বুঝতে না পেরে দুই হাত দিয়ে পশ্চাদ্দেশে চেয়ারটা চেপে ধরে আস্তে আস্তে চেয়ারসহ উঠে দাঁড়াতে থাকলো। তিনি মুচকি হাসতে শুরু করলেন, আর আমরা ক্লাসের বাকী সবাই না বুঝেই তাঁর সাথে হাসতে থাকলাম। তবে আমরা এটুকু বুঝতে পেরেছিলাম যে ফাহিয়ান যা করছিলো sit up বলতে নিশ্চয় তা বুঝায় না। তিনি তখন তাকে টীচার্স প্লাটফর্মে (দুটো চৌকি জোড়া দিয়ে বানানো উঁচু জায়গা যেখানে দাঁড়িয়ে টীচাররা লেকচার দিতেন) ডেকে নিলেন এবং শুয়ে পড়তে বললেন। ফাহিয়ান চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লে তিনি তাকে বললেন, Now you sit up, without standing. এবারে ফাহিয়ান এবং সেই সাথে গোটা ক্লাস বুঝে ফেললো, sit up মানে শোয়া থেকে উঠে বসা।

ঢাকা থেকে আমাদের কলেজে যাওয়া আসার পথে চন্দ্রা বা মৌচাকের কাছাকাছি নূরবাগ নামে একটা জায়গা ছিল। রাস্তা নির্মাণে কোন ত্রুটির কারণে ঐ এলাকাটা দিয়ে যখন গাড়ী চলতো, তখন যাত্রীরা খুব ধাক্কা খেতেন। একদিন ক্লাসে পড়ানোর সময় ইংরেজী শব্দ Jerk বোঝাতে গিয়ে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আমরা যখন ছুটিতে ঢাকা যাই, তখন নূরবাগ অতিক্রম করার সময় আমরা কোন কিছু অনুভব করি কিনা। আমরা সহজেই বুঝে ফেললাম, তিনি কোন জায়গা আর কোন অনুভূতির কথা বলছেন, কেননা জার্কিং এর জন্য জায়গাটা কুখ্যাত ছিল। তিনি বুঝিয়ে বল্লেন, নূরবাগে আমরা যে ধাক্কা খাই, সেটাই হলো Jerk।

JRS এর একটা দুই দরজা বিশিষ্ট মিনি অস্টিন গাড়ী ছিল। প্রতি সপ্তাহান্তে তিনি স্ত্রী আর তখনকার ৩/৪ বছরের পুত্র সন্তানকে নিয়ে ঢাকা চলে আসতেন। তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে ইংরেজী ভাষা প্রসারের এক কর্মসূচীতে ঢাকা এসেছিলেন। একই কর্মসূচীতে মিঃ জনসন নামে আরেকজন ব্রিটিশ শিক্ষকও তাঁর সাথে এসেছিলেন, কিন্তু পরেরজন কখনো আমাদেরকে পড়ান নাই। তিনি পড়ানোর চেয়ে খেলাধূলায় বেশী আগ্রহী ছিলেন এবং ক্যাডেটদের সাথে নিয়মিত ফুটবল খেলতেন। JRS যখন গাড়ী চালিয়ে ঢাকা আসতেন, মাঝে মাঝে মিঃ জনসনও তাদের সাথে চলে আসতেন। JRS পুত্র সেদিনের সেই শিশুটি এখন একজন বিখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ এবং বর্তমানে তিনি ব্রিটিশ মিউজিয়ামে উচ্চপদে কর্মরত। তিনি মধ্যপ্রাচ্যের প্রত্নতত্ত্বের উপর একজন বিশেষজ্ঞ বলে বিবেচিত। উল্লেখ্য, আমাদের কলেজ ছেড়ে আসার পর JRS দীর্ঘদিন বাহরাইনে শিক্ষকতা করেছিলেন। তিনি তাঁর কর্মজীবনের একটু শেষের দিকে এসেই ১৯৮৮ সালে Ph.D ডিগ্রী অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি Norwich, London এ (লন্ডন থেকে ট্রেনে দুই ঘন্টার দূরত্বে) বসবাস করেন এবং ৭৭ বছর বয়সে এখনও University of East Anglia তে অধ্যয়নরত বিদেশী ছাত্রদেরকে ইংরেজী পড়ান। তিনি ও তাঁর স্ত্রী দু’জনেই নরউইচে সক্রিয় অবসরোত্তর জীবন যাপন করে চলেছেন। তাঁরা মূলতঃ শিল্প সাহিত্য বিষয়ে এবং স্থানীয় চার্চের কর্মকান্ডে নিজেদেরকে ব্যস্ত রাখেন।

লেখাটার শুরুতে উপ শিরোনাম দিয়েছিলাম “কিংবদন্তী শিক্ষক JRS”। এরকম একজন কিংবদন্তী শিক্ষকের কথা মাত্র একটি পর্বে বলে শেষ করা সম্ভব নয়। তাই তাঁর সম্বন্ধে বাদবাকী কথাগুলো পরের পর্বে বলে শেষ করবো বলে মনস্থির করলাম। আমার জীবনে তিনি প্রকৃত অর্থেই একজন কিংবদন্তী শিক্ষক। ছাত্রজীবনে আমি ইংরেজী ভাষার যা কিছু শিখেছি, তার জন্য আমি দু’জনের কাছে আজীবন ঋণী। প্রথমজন আমার মরহুম পিতা, অপরজন JRS। তাঁরা উভয়ে আমার ইংরেজী শিক্ষার ভিত গড়ে দিয়েছিলেন, বাকীটা শিখেছি ব্যক্তিগত পড়াশোনার মাধ্যমে, যার বেশীরভাগই ছিলো ট্র্যাশ। কিন্তু ইংরেজীর কারণে জীবনের বহু বৈতরণী পার হওয়া আমার জন্য অনেক সহজ হয়েছে। শারীরিকভাবে দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও ইংরেজীর কারণে আমার বিএমএ’র পাসিং আউট অর্ডার বেশ ভালো ছিলো। পরে সামরিক বাহিনীতে এসে এনডিসি কোর্স করার সময় এসাইনমেন্ট হিসেবে আমার রিসার্চ পেপার এবং পলিসি পেপার, এই দুটো গ্রেডেড পেপারই বেস্ট পেপার এওয়ার্ড পেয়েছিলো। এ দুটো সাফল্য তাই আজ আমি কৃতজ্ঞতাভরে তাঁদের প্রতি উৎসর্গ করলাম। আর এখন পেছনে ফিরে তাকালে মনে হয়, ইংরেজীর কারণেই আমার সেনাবাহিনীতে যোগদানের বন্ধ হওয়া দরজাটা হঠাৎ করে খুলে গিয়েছিলো। কিভাবে, সেটা যথাসময়ে বলবো।


লন্ডনের হাইড পা্র্কে পায়চারীরত JRS। ছবিটি ২০১৪ এর জুলাই এ তোলা হয়।


ক্লান্ত JRS একটু বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন। দুটো ছবিই তুলেছেন তাঁর গুণমুগ্ধ ছাত্র ও আমার ব্যাচমেট প্রফেসর সালেহ আহমেদ তানভীর, যিনি প্রায়ই "একাডেমিক ভিজিটর" হিসেবে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজে আমন্ত্রিত হন। বর্তমানে তিনি আমেরিকার ওহায়ো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে প্রফেসর হিসেবে কর্মরত আছেন। ঐ সময় তিনি লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজে এক গবেষণা কাজের তত্ত্বাবধান করছিলেন। তাঁকে আমরা, তাঁর ব্যাচমেটরা অনুরোধ করেছিলাম, একদিন সময় করে আমাদের সবার পক্ষ থেকে আমাদের প্রণতিটুকু সিম্পসন দম্পতির নিকট পৌঁছে দিয়ে আসতে। তানভীর যখন তাঁর সাথে যোগাযোগ করলেন, তিনি এটা শুনে অবাক হয়ে যান যে তাঁরই একজন ছাত্র লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের মত বিশিষ্ট খ্যাতিমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গবেষণা কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তিনি তখন তানভীর এর কাছে এ্যপয়েন্টমেন্ট চেয়ে নিয়ে তার সাথে দেখা করতে আসেন। যেতে দু'ঘন্টা, ফিরতে দু'ঘন্টা আর তার সাথে সময় কাটিয়েছেন দু'ঘন্টা। এই ছয় ঘন্টা সময় ব্যয় করে এই ৭৭ বছর বয়সী যুবক শিক্ষক তাঁর গুণী ছাত্রের প্রতি সম্মান দেখালেন। একেই বলে গুণীর সমাদর, আর জ্ঞানের প্রতি অকৃ্ত্রিম অনুরাগ!

চলবে...

ঢাকা
০৮ অক্টোবর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪১

আরজু পনি বলেছেন:
তিনি এমনভাবে তুলে ধরতেন যে তাঁর কথা মনযোগ দিয়ে শুনলে গ্রামার পরীক্ষার আগে আর বই ধরতে হতোনা।
এমন শিক্ষকই চাই ।

ফাহিয়ানের ব্যবহারিক শিক্ষার অংশটুকু দারুণ মজার হয়েছে। সিট আপ আমি নিজেও এখন শিখলাম মনে হচ্ছে ।
ঠিকই বলেছেন ইংরেজিতে খুব ভালো দখল আসলেই মানুষের সাফল্যের দরজাকে অনেক প্রসারিত করে দেয়...বরং বলা যায় উন্মুক্ত করে দেয় ।

লেখার মধ্যে ছবি সংযোজনের বিষয়টি আমার কাছে খুবই অভাবনীয় মনে হয় । এতো আগের স্মেৃতিচারণকে কী দারুণ জীবন্ত করে তুলছেন বর্ণনার মাধ্যমে আর ছবি যেনো সেই রেখার মধ্যে কথা বরে উঠছে ।

অনেক শুভকামনা রইল ।

-----------
আপনার কাছ থেকে নোটিফিকেশন পেলাম...আশা করি আপনিও পেয়ে যাবেন ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পর আমার কোন লেখা আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করলো, খুশী হ'লাম।
এমন শিক্ষকই চাই জ্বী, এমন শিক্ষকই আমরা পেয়েছিলাম। ইংরেজী আর বাংলা ১ম পত্রের পরীক্ষার আগে আমার খুব ফূর্তি লাগতো, কারণ ঐ সময়টাতে আমি পরীক্ষার পড়া না পড়ে গল্পের বই পড়তে পারতাম। তবে বাংলা ২য় পত্র ভীতিকর ছিল। কারক ও বিভক্তি, সমাস, ণত্ব ও ষত্ব বিধান ইত্যাদি মুখস্ত করতে একদম ভালো লাগতো না। তবে আবার ভাব সম্প্রসারণ, সারাংশ লিখন, ইত্যদিতে পটু ছিলাম। তরতর করে একটানে লিখে ফেলতে পারতাম।
ছবি সংযোজনের বিষয়টি এপ্রিশিয়েট করাতে প্রীত হ'লাম। এসব বিষয়ে এখনো এক্সপার্ট হয়ে উঠতে পারিনি। যতটুকু পেরেছি, সেটুকুই প্রশংসিত হলো, তাই প্রেরণা দিয়ে গেল।

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো কিংবদন্তী শিক্ষক JRS পড়তে।
ইংরেজি শিক্ষার ভিতটা শক্ত হওয়া আমাদের সবার জন্যই জরুরী; নিজের জন্য এবং কর্মক্ষেত্রের জন্যও।
ভালো থাকুন

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: শুদ্ধ ইংরেজীতে যেমন, শুদ্ধ বাংলায়ও কথা বলা ও লিখতে পারার মত মানুষ খুব বেশী পাওয়া যায় না।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, অপর্ণা মম্ময়।

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২১

কিরমানী লিটন বলেছেন: চমৎকার মুগ্ধতা নিয়ে কিংবদন্তী শিক্ষক JRS পড়লাম। বিনম্র শ্রদ্ধা এই মহান শিক্ষকের প্রতি, আপনার জন্যও শুভকামনা প্রিয় খায়রুল আহসান ভাই ...

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: একজন শ্রদ্ধাষ্পদেষুকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানালেন, কিরমানী লিটন, আমিও তাতে খুব খুশী হলাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ, লেখাটায় এসে মন্তব্য করে যাবার জন্য।
শুভেচ্ছা জানবেন।

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্টে অসাধারণ একজন শিক্ষকের কথা পড়লাম। ধন্যবাদ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: অসাধারণ ভাবে এই নগণ্য লেখাটার প্রশংসা করে গেলেন, অনেক অনেক ধন্যবাদ।
'লাইক' অনুপ্রাণিত গেলো।

৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: প্রাইমারী স্কুল থেকে শরু করে বর্তমানে পিএইচডি ছাত্র জীবনে অনেককে শিক্ষক হিসাবে পেয়েছি। কিন্তু যদি আইডল হিসাবে নিতে বলেন তবে শিক্ষকের সংখ্যাটা ৫ জনের বেশি হবে না। নির্দিষ্ট করে বললে সংখ্যাটা হবে ৭ জন। প্রাইমারীতে অংক শিক্ষক; কলেজে প্রাণীবিদ্যা শিক্ষিকা; শাবিপ্রবিতে ২ জন; ইতালিতে ১ জন; কানাডায় ১ জন। আপনার পোষ্ট পড়ে নিজের প্রিয় শিক্ষক গুলোর কথা আবারও মনে পড়ে গেল। আপনার পোষ্টের বর্ণনা পড়েই বুঝে নেওয়া যায় JAMES ROGER SIMPSON আপনার ভবিষ্যৎ জীবনে কতটুকু প্রভাব বিস্তার করেছিলেন।

JAMES ROGER SIMPSON এর জীবনের শেষ দিন গুলিতে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কতটুকু আনন্দিত করেছে সেটা অনুমানে বুঝে নিতে পারি। অধিকন্তু উনি নিজে ছাত্রের সফলতায় কতটুকু গর্বিত সেটা বুঝা যায় এই বয়সে নিজেই ছাত্রের সাথে দেখা করতে যাওয়ায়।

আপনার লেখা পড়ে আমি খুবই অনুপ্রাণিত। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ নিজেদের অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: অত্যন্ত অনুপ্রাণিত বোধ করছি আপনার এ মন্তব্যটি পড়ে, যা শুধুমাত্র ধন্যবাদ দিয়ে বোঝানো যাবেনা।
আশাকরি, আপনি এই সিরিজের পরের পর্বটাও সময় করে পড়ে নেবেন, সেখানে JAMES ROGER SIMPSON এর শিক্ষকতার পাশাপাশি মানবিকতার প্রতিও আলোকপাত করার আশা রাখি। এ ছাড়া, এর আগের কয়েকটি পর্বে আমার অন্যান্য কিছু গুণী শিক্ষক সম্পর্কেও আলোচনা করেছি।
মন্তব্যের জন্য পুনরায় আপনাকে ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো।

৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৭

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: খুব নিপুণতার সাথেই মূল্যায়ন করেছেন JRS কে।


রেসপেক্ট।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, দিশেহারা রাজপুত্র, মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
বোধকরি আজই প্রথম আমার কোন লেখা পড়লেন। আশাকরি আগামী পর্বটাও পড়বেন।

৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:২৯

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ভালো লাগছিলো পড়তে আপনার প্রিয় শিক্ষককে নিয়ে লেখাটি । ইংরেজদের কাছ থেকে ইংরিজি শিখলে অনেক সহজ হয় শেখাটা । আমাদের যাদের সেকেন্ড লেঙ্গয়েজ ইংলিশ তাঁরা সবসময় এই প্রিপজিশনে ভুল করি । আমি আমার বাচ্চাদের লেখাপড়ার মেথড দেখে অবাক হই , এদের সিস্টেমটা এতো সুন্দর । আমাদের ছোটবেলায় আমরা একেবারে ভিন্ন রকম ভাবে শিখেছি । আর ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটির পড়াশুনা তো নিজেই এক্সপেরিয়েন্স করছি । এদের পড়াশুনার পদ্ধতিটা আমার ভীষণ ভালো লাগে ।

আপনি আপনার লেখায় ইম্পেরিয়াল কলেজের কথা উল্লেখ করেছেন যেখানে আপনার বন্ধু আমন্ত্রিত হন একাডেমিক ভিজিটর হিসেবে । আপনার বন্ধুটি নিশ্চয়ই খুব গুণী ব্যাক্তি , নাহলে ইম্পেরিয়ালের মতো জায়গায় আমন্ত্রিত হতেন না । বিশ্বের ভিতরে একটি নাম করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ওটি ।

আপনার প্রিয় শিক্ষককে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো । আর আপনার বর্ণনাও পাঠক দৃষ্টি ধরে রাখার মত । অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি খুব মন দিয়ে আমার এ লেখাটা পড়েছেন, সেটা আমি বুঝতে পেরেছি, গুলশান কিবরীয়া। সেজন্য ধন্যবাদ, আর লেখাটা 'লাইক' করার জন্যেও। লেখাটা পড়ে নিজের কিছু কথাও শেয়ার করলেন, খুশী হ'লাম।
আমার বন্ধু প্রফেসর সালেহ তানভীর সত্যিই একজন অত্যন্ত গুণী এবং মেধাবী ব্যক্তি। আপনি তাকে না দেখলে বুঝতেই পারবেন না, একজন পন্ডিত ব্যক্তির অবয়বে, আচরণে, কথাবার্তায়, বেশভূষায় কতখানি শিশুর সরলতা থাকতে পারে! আমরা এখনো যখন একসাথে হই, নিমেষে ক্লাস সেভেন এর কিশোর বনে যাই।
সম্প্রতি তিনি এবং তাঁর একজন পোস্ট ডক্টোরাল ছাত্র মিলে পদার্থ ও গণিত শাস্ত্রের যেন কি একটা জটিল সমস্যার সমাধান বের করেছেন বলে জেনেছি, যা বিজ্ঞানীদের গত ২৫০ বছর যাবত clueless করে রেখেছিলো। আমরা আশা করি, উনি হয়তো একদিন নোবেল পুরস্কারও পেয়ে যেতে পারেন।
উনি ইম্পেরিয়াল কলেজে দীর্ঘদিন পড়িয়েছেন। এখনো কয়েক বছর পর পরই পড়াতে বা গবেষণা কাজের তদারকি করতে সেখানে আমন্ত্রিত হন।

৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৪৩

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: অনুসরণে নিলাম। পড়বার চেষ্টা করবো।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা।

৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪২

কাবিল বলেছেন: আমার কথা সিরিজে আমার সবচেয়ে ভাল লাগার বিষয়টি কিছু গুণী শিক্ষকদের সম্পর্কে আলোচনা।
যা এ পর্বেও ছিল। ছিল কিছু শিক্ষণীয় বিষয়ও। মনকে নারা দিয়ে গেল একজন শিক্ষক ছাত্রের প্রতি সম্মান দেখানো।
ভাল সুস্থ থাকুন সব সময়।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথমেই, লেখাটা পড়েছেন, এজন্য অনেক ধন্যবাদ। আমার লেখা আমার দেখা গুণী শিক্ষকদের সম্পর্কে আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ভয় ছিল, এসব কথা একঘেয়েমি আনতে পারে।
এখানে একজন গুণী শিক্ষক আরেকজন গুণী ছাত্রের প্রতি সম্মান দেখিয়েছেন, এটাই গুণী ব্যক্তিদের বড় গুণ। ছাত্রের অর্জনগুলো শিক্ষক সম্যক উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। ইম্পেরিয়াল কলেজের মত বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানে একাডেমিক ভিজিটর হিসেবে আমন্ত্রিত হবার সম্মানটুকু সম্বন্ধে তিনি অবহিত ছিলেন। তাই তিনি গুণী ও জ্ঞানের প্রতি সম্মান দেখিয়েছেন।

১০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: দারুণ লাগলো গুণী শিক্ষক JRS এর গল্প। এবং আপনার ইংরেজিতে দক্ষতা এবং রিসার্চ সাফল্য । আপনি অনেক ভাগ্যবান এমন শিক্ককের সান্নিধ্য পেয়েছেন ।

( আপনার এই সিরিজের অনেকগুলো পর্ব মিস করার আর পড়া হয়ে উঠে নি । এখন দেখি ভাল কিছু মিস করে ফেলেছি । দেখি আস্তে আস্তে পড়বো সবগুলো । )

অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা সুন্দর স্মৃতিচারণ তুলে ধরায় ।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ দেবার পালা বরং আমার আপনাকে, কথাকথিকেথিকথন, আপনি কবিতা ছাড়াও আমার অনুরোধে এ স্মৃতিকথাটা পড়ে গেলেন বলে।
আমি সত্যিই নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি, JRS এর মত একজন মানবিক গুণসম্পন্ন সুমহান শিক্ষকের সান্নিধ্য পাবার জন্য। "আমার কথা-২৫" পড়লে তাঁর সম্বন্ধে আরও কিছু উচ্চ ধারণা পাবেন বলে আশাকরি।
লেখাটা পড়ে এবং মন্তব্য করে আমাকে অনুপ্রাণিত করে গেলেন, কথাকথিকেথিকথন।

১১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: JRS - JAMES ROGER SIMPSON আপনার কিংবদন্তী শিক্ষককে নিয়ে লেখাটা খুব ভাল লেগেছে।

প্রিয়তে নিলাম।

আপনার বর্ণনায় উনার সৌম্য অবয়ব আঁকতে চাইলাম, ছবিতে আপনার বর্ণনারই প্রতিফলন দেখলাম।

JRS - এর ইংরেজী শিক্ষার পদ্ধতিটা খুবই কার্যকরী।

আপনার লেখার মাধ্যমে বেশ কয়েকটা ইংরেজী শিখলাম।

আর এই গুণী শিক্ষককে অনুসরণ করে আপনিও যে নিজেকে অনেক সমৃদ্ধ করেছেন, তা আপনার লেখাতেই পেলাম।

শিশু-কিশোরদের প্রতি উনার মনোভাবে চমৎকৃত হয়েছিঃ

//JRS ৭ম/৮ম শ্রেণির ক্যাডেটদের প্রতি অতি সদয় থাকলেও বড়দের শৃঙ্খ্লার ব্যাপারে আপোষহীন ছিলেন। //


অবশ্য উনার সবকিছুতেই আমি চমৎকৃত হয়েছি।

আপনার বন্ধুর প্রতি তার সম্মান প্রদর্শনের নমুনা স্মরণ করে শেষ করছিঃ

//তিনি তখন তানভীর এর কাছে এ্যপয়েন্টমেন্ট চেয়ে নিয়ে তার সাথে দেখা করতে আসেন। যেতে দু'ঘন্টা, ফিরতে দু'ঘন্টা আর তার সাথে সময় কাটিয়েছেন দু'ঘন্টা। এই ছয় ঘন্টা সময় ব্যয় করে এই ৭৭ বছর বয়সী যুবক শিক্ষক তাঁর গুণী ছাত্রের প্রতি সম্মান দেখালেন। একেই বলে গুণীর সমাদর, আর জ্ঞানের প্রতি অকৃ্ত্রিম অনুরাগ!//

যদিও জানি, এমন একজন মহান শিক্ষক সম্বন্ধে পাতার পর পাতা লেখলেও যথাযোগ্য মর্যাদা দেওয়া সম্ভব না।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার লেখার উপর আপনার মন্তব্য ও বিশ্লেষণ সবসময় আমাকে অনুপ্রাণিত করে যায়। এ লেখাটিকে আপনি 'লাইক করেছেন, 'প্রিয়'তে নিয়েছেন, সর্বোপরি চমৎকারভাবে বিশ্লেষণ করেছেন, এজন্য জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ আর কৃ্তজ্ঞতা।
আমার দেখা সিম্পসন আর ছবির সিম্পসনের মাঝে অতি সামান্যই পার্থক্য। তখন মাথাভর্তি চুল ছিলো, এখন নেই। তখন চুল কালো ছিলো, এখন সাদা। এ ছাড়া আর সবই মিল, শুধুই মিল। খুব পরিপাটি পোষাক পড়তেন। সাদা আর নীল রঙের সার্ট বেশী পড়তেন। টাইটা একটু লম্বা করেই বাঁধতেন, খুব সুন্দর সুন্দর প্রিন্টের টাই পড়তেন, খুব অভিজাত লাগতো দেখতে। ছবি দেখেই বুঝতে পারছেন, আমার কথাটা কতটা ঠিক!
হাসিটা মুচকির মতই লাগতো, কিংবা তার চেয়ে একটু বেশী। ভিনদেশী মানুষ, কিন্তু আমরা তাঁকে মোটেই ভয় পেতাম না। তাঁর ক্লাসগুলো খুবই উপভোগ করতাম আমরা, আমি বিশেষ করে। দেবতাতুল্য মনে হতো তাঁকে। পরীক্ষায় নম্বর দেবার ব্যাপারে খুবই ফেয়ার ছিলেন। একবার একটা পরীক্ষায় আমি কাঙ্খিত নম্বরের চেয়ে অনেক কম নম্বর পেয়ে মনোক্ষুন্ন হয়েছিলাম। ওনার কাছে সেটা প্রকাশও করেছিলেন। উনি ধৈর্য্যের সাথে আমাকে বুঝিয়েছিলেন যে উনি ওনার প্রশ্নে আমার থেকে কী জানতে চেয়েছিলেন, আর আমি স্পেসিফিক না হয়ে কিভাবে শুধুই বীটিং এরাউন্ড দ্য বুশ করেছিলাম। সেজন্য তিনি আমাকে মোটেই নম্বর দেন নাই ও প্রশ্নটাতে। খাতা দেখার ব্যাপারে ভীষণ পাংচুয়াল ছিলেন। যেদিন পাক্ষিক পরীক্ষার খাতা দেখাবার কথা থাকতো, ঠিক সেদিনই দেখাতেন। কখনো একদিনের জন্যেও দেরী করেন নাই। খাতায় নম্বর কেটে থাকলে ঠিক কী কারণে কেটেছেন, সে ব্যাপারে প্রতিটি খাতায় একটি নোট লিখে দিতেন। আরও সুন্দর করে কিভাবে লেখা যায়, সে ব্যাপারে উদাহরণ দিয়ে পথ বাৎলে দিতেন।
আপনার মন্তব্যের উত্তরে এটুকু লিখে মনে হলো, এ কথাগুলো মূল টেক্সটেও উল্লেখ করা উচিত, কারণ সবাই স্ক্রল ডাউন করে সবার মন্তব্য ও তার উত্তর পড়েন না। কথাগুলো আপনার মন্তব্যের উত্তরে বলা হলেও পাঠকেরও তা জানা উচিত। তাই এডিট করে মূল লেখায় সংযোজন করলাম।

১২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫

অগ্নিপাখি বলেছেন: সত্যি বলতে কি লেখাটা অনেক বেশি ভালো লাগলো। আসলে এরকম গুনী শিক্ষকই তো চাই- হোক সেটা স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় এ। "সিট আপ" এর এই ব্যাপারটা সত্যি কথা বলতে আমিও আজ জানলাম। ইংরেজি টা ভালো মতো বলতে পারলে আসলে সবদিক থেকেই দ্বার উন্মুক্ত হয়ে যায়। আমারও প্রায় ইংরেজি বলবার সময় "প্রিপজিশন" টা ভুল হয় কিছু কিছু। ইংরেজি ব্যাকরনের সঠিক প্রয়োগ, লেখার দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রতিদিনই ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকীয় পড়ি এবং অনেক কাজে দিয়েছে এই পড়াটা। প্রিয় শিক্ষক এর কথা বললে প্রথমেই আমার মনে পড়ে আমার ওয়েস্ট এন্ড হাই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক "আশরাফুল হক" স্যার কে। এতো সুন্দর করে ইংরেজি ব্যাকরন পড়াতেন আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো চেয়ে থাকতাম। কখনও রাগতে দেখিনি স্যারকে। স্যার এর একটি মজার ব্যাপার ছিল- প্রতি ক্লাস এর শেষে তিনি আমাদের অনেক মজার মজার ট্রান্সলেশন করতে দিতেন। এই মুহূর্তে শুধুমাত্র দুটি মনে পড়ছে- ১। "ক্ষুধার জ্বালা বড় জ্বালা, হাঁটু করে কটর মটর কানে লাগে তালা।" ২। "বন্ধু, তুমি কি লাল লাল ফুল পছন্দ করো? " / বুঝতেই পারছেন কতটা মজার মানুষ। আমাদের তখনকার গনিত শিক্ষক বি এম জুনায়েদ উল্লাহ্‌ স্যার এর কথাও মনে পড়ে যায়- বীজগণিত আর ত্রিকোণমিতি এর এতো বিদঘুটে আর জটিল সব সমস্যা গুলো এতো দারুনভাবে বুঝিয়ে সমাধান করে দিতেন যে একদম মাথায় গেঁথে যেত । বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ক্লাস গুলো ছিল প্রায় ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট- অনেক সময় খুব বোরিং লাগতো। কিন্তু একজন অধ্যাপকের ক্লাসে মনে হতো উনার ক্লাস কেনও ৪ ঘণ্টা হয় না। শাহিদুজ্জামান স্যার- আমাদের "ফরেইন পলিসি" কোর্স টি নিতেন। বিশ্ব রাজনীতির জটিল মারপ্যাচ এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে এতো দারুন লেকচার দিতেন যেন মনে হতো সারাদিন উনার কথা শুনি। স্যারের দুর্বলতা ছিল হেনরি কিসিঞ্জার, নিক্সন-কিসিঞ্জার প্রশাসন, ইউনিপোলার-মাল্টিপোলার ওয়ার্ল্ড অর্ডার, নিউক্লিয়ার পলিটিক্স এবং নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার নিয়ে। তাই এই বিষয়ের ক্লাস গুলো হয়ে উঠত দারুন। যাক আমি মনে হয় অনেক কথা বলে ফেললাম। আসলে আপনার লেখাটা পড়ে নস্টালজিয়ায় ডুবে গিয়েছিলাম। বরাবরের মতো প্রিয়তে রাখলাম আপনার লেখা। দ্বিতীয় পর্বটিও সময় নিয়ে পড়ে ফেলবো। অনেক ধন্যবাদ- এবং আরও লেখার অপেক্ষায়। ভালো থাকবেন।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখার দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রতিদিনই ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকীয় পড়ি -- এটা একটা কার্যকর পদক্ষেপ বটে। তবে প্রতিদিন বিবিসি নিউজ শোনা, ইংরেজীতে কারো সাক্ষাৎকার মন দিয়ে শোনা, তিনি কোন শব্দটার উপর কেন জোর দিচ্ছেন তা নিয়ে একটু ভাবা, ইত্যাদিও কাজে দেয়।
আমাদের সময় ওয়েস্ট এন্ড হাই স্কুলও খুব নামকরা প্রতিষ্ঠান ছিল। এখন কেমন তা বলতে পারবোনা।
জনাব শাহিদুজ্জামান একজন জ্ঞানী ব্যক্তি। আমি কয়েকটা সেমনারে তার বক্তব্য শুনেছি, সাপ্তাহিক হলিডে তে তার লেখা পড়েছি।
আমার এ লেখাটাকে 'প্রিয়'তে রাখা এবং 'লাইক' করার জন্য ধন্যবাদ, অগ্নিপাখি।
আপনার প্রথম লেখা "রাশেদের স্বপ্ন" পড়ে এলাম। ভালো লেগেছে, সেটা সেখানেও বলে এসেছি।

১৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬

জুন বলেছেন: খায়রুল আহসান আপনার সিরিজটা খুব মনযোগ সহকারেই পড়ছি । আপনার টিচারদের কথা পড়ে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে ।
আপনার শিক্ষকের সাথে পরবর্তীতে দেখা করার কথা শুনে অনেক ভালোলাগলো ।
এ প্রসংগে অনেক আগের কিছু কথা মনে পড়লো । আমার আব্বা ছিল বান্দুরা হলিক্রস স্কুলের ছাত্র । আশা করি আপনি জানেন ওটাই বোধ হয় এদেশের প্রথম মিশনারী স্কুল । সেখানে সব টিচার ছিল ইউরোপিয়ান বিশেষ করে বৃটিশ । আব্বার মুখে গল্প শুনতাম তারা বাংলা ভাষা শিখে কত আন্তরিকতা এবং কত ভালোবাসার সাথে তখন কার সময়ের সেই গহীন গ্রামের ছেলেপুলেদের পড়ানোর জন্য নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন । সেখান থেকে মেট্রিক পাশ করে আমার বাবা চাচারা পরবর্তীতে গ্র্যাজুয়েশন করলেও তাদের ইংরেজীর উপর অসাধারন ব্যুৎপত্তি এবং ফ্লুয়েন্সী কিন্ত গড়ে দিয়েছিল সেই ফাদাররাই । আমরা পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেও আব্বার সাথে ইংলিশে পারতাম না ।
পড়ছি আপনার সিরিজ । অনেক ভালোলাগছে ।
+

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ে যথারীতি মন্তব্য করে যাবার জন্য অনেক ধন্যবাদ, জুন। আপনার বাবার শিক্ষকদের কথা জেনে খুব ভালো লাগলো।
আমি এই লেখাটার প্রথমদিকে একটা পর্বে বোধকরি লিখেছি যে আমার বাবাকে লেখা দাদার (যিনি আমার জন্মের আগেই প্রয়াত হয়েছিলেন, আল্লাহ তাঁকে বেহেস্ত নসীব করুন!) ইংরেজীতে লেখা একটা চিঠি আমার হাতে এসেছিলো। তখনকার দিনের দুই পয়সার পোস্টকার্ডে লেখা সেই চিঠিটা পড়ে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম, ভাষার চমৎকারিত্বে।
আমার শিক্ষক JRS যদিও মিশনারী ছিলেন না, তবে তিনি শিক্ষাদানকে জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। তিনি এখনো সেই ব্রত পালন করে যাচ্ছেন। আসলে এনারা এ কারণেই খুব সম্মানীয় হয়ে থাকেন। একটা ঘটনার কথা বলি, আমি তখন দশ বছরের চেয়েও ছোট বালক। স্কুলের বাৎসরিক পরীক্ষা শেষে দাদাবাড়ী বেড়াতে গিয়েছিলাম। একদিন আব্বা আমাকে আমাদের বাড়ী থেকে ১১ কিমি দূরে "কাকিনার হাট" এ নিয়ে গিয়েছিলেন। সপ্তাহে দুই দিন বৈকালিক হাট বসতো। শীতের বিকেলে হঠাৎ দেখি একজন দীর্ঘদেহী সৌ্ম্যকান্তি বৃদ্ধ ব্যক্তি পেছন থেকে আব্বার পিঠে হাত দিয়ে সস্নেহে জিজ্ঞেস করলেন, মহবুব, তুমি কেমন আছো? আব্বা পেছন ফিরে তাঁকে দেখে প্রথমে তাঁর পা ধরে সালাম করলেন, আমাকেও করতে বললেন, পরে তাঁর কথার জবাব দিলেন। তিনি ছিলেন কাকিনা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক, তখন ঐ অঞ্চলে প্রায় ২৫/৩০ মাইলের মধ্যে একটাই হাই স্কুল ছিল। আমার বাবা ঐ স্কুল থেকেই ম্যাট্রিক পাশ করেছিলেন। তিনি হিন্দু বাহ্মণ ছিলেন, আমার বাবা ছিলেন মাওলানার ছেলে। শ্রদ্ধা ও স্নেহের আদান প্রদানে এসব কিছুই তখন বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।

১৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪১

সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: সশ্রদ্ধ সম্মান এমন শিক্ষককে। অনেক অনেক ভালো লাগলো এই লিখা।

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: পুরনো পোস্ট পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি পরে কোন এক সময় মন্তব্যগুলোও পড়ে দেখবেন। কারণ মন্তব্যে অনেক সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা উঠে আসে, যার আবেদন মূল পোস্টের চেয়ে কম হয় না।
আমি অনুপ্রাণিত, আপনি "আমার কথা" শুনে (পড়ে) যাচ্ছেন বলে।
ভাল থাকুন...

১৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৩১

সোহানী বলেছেন: পুরো লিখাটা মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়লাম। একজন অক্সফোর্ড গ্রাজুয়েটের শিক্ষকের ছাত্র হওয়া সেটা বিশাল ভাগ্যতো বটেই। আপনার বর্ননায় উনার প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে গেল আরো অনেক। উনার মতো অনেকেই এ দেশে এসেছিলেন সাধারন মানুষের জন্য কিছু করতে কিন্তু আমরা ক'জনকেই সন্মান করতে পেরেছি?? সিআরপির ভেলেরির কথা মনে পড়লো হটাৎ করে। কতটা অপমান অপদস্থ আমরা তাঁকে করার চেস্টা করেছিলাম……….

আপনার রিসার্স এবং পলিসি পেপার বেস্ট পেপারের এ্যাওয়ার্ড পেয়েছে জেনে খুব ভালো লাগছে। আপনি বরাবরেই গুনী ছিলেন সেটা স্বীকার করতেই হয়।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: JRS আমার শিক্ষাগুরু। ইংরেজী ভাষায় আমার শিক্ষার ভিত গড়ে দিয়ে গেছেন দু'জন ব্যক্তি- প্রথমে আমার প্রয়াত পিতা এবং তার পরে এই JAMES ROGER SIMPSON বা JRS। যা কিছু ইংরেজী শিখেছি, তার জন্য এই দু'জনের কাছে আমি চিরঋণী। বাকীটা ছিল আমার নিজের আগ্রহ এবং প্রচেষ্টা।
আমার সেই বন্ধু প্রফেসর সালেহ আহমেদ তানভীর এক্ষণে ইংল্যান্ডের ক্যাম্ব্রীজে স্যার আইজ্যাক নিউটন ইন্সটিটিউট ফর ম্যাথেম্যাটিক্যাল সায়েন্সেস এ ভিজিটিং ফেলো হিসেবে কর্মরত আছেন। তাকে দেখার জন্য JRS এই গত সেপ্টেম্বর মাসেও ক্যাম্ব্রীজে এসেছিলেন। তার সাম্প্রতিক তিনটে ছবি দিচ্ছি। এখন তাঁর বয়স ৮০ +, দেখেই বুঝা যায়, আগের চেয়ে অনেকটা দুর্বল হয়ে গেছেন। তথাপি তিনি ৬/৭ ঘন্টা সময় ব্যয় করে তাঁর ছাত্র, আমার বন্ধু ও ক্লাসমেইট প্রফেসর তানভীর এর সাথে মিসেস সিম্পসনসহ গত সেপ্টেম্বর মাসে দেখা করে গেছেন।
যে ছবিতে তিনি ব্ল্যাকবোর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে, সেটা আমার বন্ধুর অফিস এবং বোর্ডের হিজিবিজি (আমাদের কাছে হিজিবিজিই, যারা বোঝে তাদের কাছে অমূল্য ধন) লেখাগুলো তারই, মিঃ সিম্পসনের নয়। মিঃ সিম্পসন ইংরেজী সাহিত্যে পিএইচডি। স্যারের তুলনায় মিসেস সিম্পসনকে অনেক বেশী শক্ত সমর্থ মনে হয়। ওনাদেরকে নিয়ে আমি দুটো পরব লিখেছিলাম, ২৪ এবং ২৫। কিন্তু আপনি কি কারণে যেন ২৫টা স্কিপ করে ২৬ এ চলে গেছেন।
তিনজনকে নিয়ে যে ছবিটি, সেটাতে একদম ডান দিকের জন আমার বন্ধু প্রফেসর ডঃ সালেহ আহমেদ তানভীর।

স্যার আইজ্যাক নিউটন ইন্সটিটিউট ফর ম্যাথেম্যাটিকাল সায়েন্সেস এর সামনে দাঁড়ানো মিঃ সিম্পসন।


ছাত্র প্রফেসর তানভীরের অফিসকক্ষে শিক্ষক প্রফেসর সিম্পসন।


মিঃ ও মিসেস সিম্পসন এর সাথে আমার বন্ধু তানভীর।





আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.