নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
আমি তো তোমার নই, হারাইনি তোমাতে,
হারিয়ে যাইনি, যদিও চাই নিঃশেষ হতে
দ্বিপ্রহরে জ্বালিয়ে রাখা মোমের মত,
সাগরে বিলীন হওয়া স্নোফ্লেক উদ্ভিদের মত।
তুমি আমায় ভালোবাসো, তাই আমি এখনো
তোমাতে দেখি এক উজ্জ্বল উচ্ছ্বাস অনুপম।
তথাপি আমিতো আমিই, হারাতে যে চায়,
আলোর মাঝে আলো যেভাবে হারিয়ে যায়।
আহ, আমাকে ডুবিয়ে দাও প্রেমের গভীরে,
আমার চেতনাগুলো নিভিয়ে দাও তিমিরে,
তব প্রেমঝড়ে আমায় অন্ধ বধির করে দাও,
ঝঞ্ঝায় দোলা সরু সলতের মত রেখে যাও!
মূলঃ Sara Teasdale
অনুবাদঃ খায়রুল আহসান
কবি পরিচিতিঃ
মার্কিণ কবি Sara Teasdale একজন গীতিকাব্য রচয়িতা ছিলেন। তিনি ০৮ আগস্ট ১৮৮৪ তারিখে আমেরিকার St. Louis, Missouri তে জন্মগ্রহণ করেন। তার আদি নাম ছিল Sara Trevor Teasdale। আজীবন ভগ্ন স্বাস্থের অধিকারী Sara শিশুকালে এতটা দুর্বল ছিলেন যে ১৪ বছর বয়সের পূর্বে তার পক্ষে লেখাপড়া শুরু করা সম্ভব হয় নাই। ১৯০৭ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ Sonnets to Duse প্রকাশিত হয়, আর দ্বিতীয়টি হয় Helen of Troy নামে, ১৯১১ সালে। দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থটি একটি রোমান্টিক গীতিকাব্য হিসেবে সমাদৃত হয়।
১৯১১ থেকে ১৯১৪ পর্যন্ত তার জীবনে কয়েকজন প্রথিতযশা পুরুষ প্রেমের বারতা নিয়ে এসেছিলেন, যার মধ্যে ছিলেন কবি Vachel Lindsay, যিনি ঐ সময়ে তার প্রতি অন্ধ প্রেমে হাবুডুবু খেলেও মনে করতেন যে তাকে সন্তষ্ট রাখার মত তার যথেষ্ট টাকা কড়ি ও স্থিতিশীলতা ছিলনা। Sara অবশেষে তার কবিতার অপর এক গুনমুগ্ধ ভক্ত Ernst Filsinger কে ১৯ ডিসেম্বর ১৯১৪ তারিখে বিয়ে করেন এবং Sara Teasdale Filsinger নাম গ্রহণ করে তার সাথে ১৯১৬ সালে New York City তে পাড়ি জমান। সেখানে তারা Central Park West এলাকায় একটি apartment এ বসবাস শুরূ করেন।
Sara Teasdale Filsinger এর তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ Rivers to the Sea ১৯১৫ সালে প্রকাশিত হয় এবং প্রায় সাথে সাথে best seller এ পরিণত হওয়ায় বেশ কয়েকবার পুনর্মুদ্রিত হয়। ১৯১৮ সালে তার কাব্যগ্রন্থ Love Songs তিনটি মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কার অর্জন করে, যথাঃ Columbia University Poetry Society prize, The 1918 Pulitzer Prize for poetry এবং The annual prize of the Poetry Society of America.
তার স্বামী Filsinger কে ব্যবসায়িক কারণে প্রায়শঃই ভ্রমণে থাকতে হতো। যে কারণে একাকীত্বে অতীষ্ঠ হয়ে তিনি গোপনে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আইনজীবিদের শরণাপন্ন হন। আইনজ়ীবিদের পরামর্শে তিনি অবশেষে Filsinger কে বিষয়টি অবহিত করেন, যা শুনে Filsinger হতভম্ব হয়ে যান। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় জয়ী হয়ে তিনি Central Park West এ তাদের পুরনো বাসস্থানের মাত্র দুই ব্লক দূরে একটি বাসা নিয়ে একাকী বসবাস শুরু করেন। এ সময় তিনি তার পুরনো প্রেমিক কবি Vachel Lindsay এর সাথে তার নির্বাপিত সম্পর্ক পুনরুদ্দীপ্ত করেন। ততদিনে Vachel Lindsay স্ত্রী ও বাচ্চাকাচ্চাসহ সংসার পেতেছিলেন। ১৯৩৩ সালে Sara Teasdale অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করেন। এর ঠিক দুই বছর পূর্বে তার বন্ধু ও প্রেমিক কবি Vachel Lindsayও দুঃখজনকভাবে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন।
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট
(ইতোপূর্বে প্রকাশিত)
মূল ইংরেজী কবিতাটি নীচে উদ্ধৃত হলোঃ
I Am Not Yours
I am not yours, not lost in you,
Not lost, although I long to be
Lost as a candle lit at noon,
Lost as a snowflake in the sea.
You love me, and I find you still
A spirit beautiful and bright,
Yet I am I, who long to be
Lost as a light is lost in light.
Oh plunge me deep in love--put out
My senses, leave me deaf and blind,
Swept by the tempest of your love,
A taper in a rushing wind.
Sara Teasdale
ঢাকা
২৯ মে ২০১৫
স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনুবাদ ভাল লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম, কথাকথিকেথিকথন। কবির জীবনটা আসলেই খুব বিষাদময় ছিল।
মন্তব্যে প্রীত হয়েছি। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৬
তার আর পর নেই… বলেছেন: অনুবাদ এত ভাল লেগেছে! আমার মনের কথাই।+
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনুবাদের প্রশংসায় অনুপ্রাণিত হ'লাম। প্রণোদনামূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা, তার আর পর নেই…।
৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৬
প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাল লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম, প্রামানিক। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৮
শামছুল ইসলাম বলেছেন: খুব চমৎকার একটা কাজ করেছেন, অনুবাদ এবং কবি পরিচিতি।
কবিতা অনুবাদের মত একটা কঠিন কাজ আপনার অনুভূতির ছোঁয়ায় কত সহজ, সুন্দর হয়ে উঠেছে !!!
সেই সাথে, কবি পরিচিতির সুবাদে পাঠক কবিকে চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছে, কবিতার অবয়বটা আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
ভিন্নদেশী এক কবির উন্মাতাল ভালবাসার আবেগ ছুঁয়ে যায় বাঙালি এক পাঠককে।
ভাল থাকুন। সবসময়।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: এটা ঠিক যে অন্যের লেখা কবিতা অনুবাদের চেয়ে নিজে একটা কবিতা লিখে ফেলা অনেক সহজ কাজ। তাই, শ্রমসাধ্য এ কাজটুকুর জন্য প্রশংসা পেয়ে যারপরনাই আনন্দিত বোধ করছি।
মনযোগী পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ, শামছুল ইসলাম।
৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৪
আজাদ মোল্লা বলেছেন: আমি তো তোমার নই, হারাইনি তোমাতে,
হারিয়ে যাইনি, যদিও চাই নিঃশেষ হতে
দ্বিপ্রহরে জ্বালিয়ে রাখা মোমের মত,
সাগরে বিলীন হওয়া স্নোফ্লেক উদ্ভিদের মত ।
এই লাইন কটি চমৎকার লেগেছে ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ, আজাদ মোল্লা । মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি।
৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৭
রেজওয়ানুল ইসলাম পাপ্পু বলেছেন: ভাল লাগল।
চমৎকার লেগেছে ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, রেজওয়ানুল ইসলাম পাপ্পু। কবিতা ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৫
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: অনুবাদ ভাল লেগেছে ।
কবির ইতিহাস বেশ দুঃখজনক ।