নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার কথা -২৮

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৫

"আমার কথা -২৭" পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুনঃ আমার কথা -২৭

‘জীবনের জার্নাল’ এ গত কয়েকটা পর্ব ধরে আমাদের শিক্ষকদের কথা বলে চলেছিলাম। এখনো অনেকের কথা বলার বাকী রয়ে গেছে। কিন্তু আজ আর ওনাদের কথা বলতে চাচ্ছিনা, আজ আমার নিজেরই কিছু কথা বলবো। তখন জীবনের এমন একটা সময় পার করছিলাম, যখন মানুষ কিছু বৈপরীত্যের সম্মুখীন হয়। কিশোর মনে অনেক প্রশ্ন আসে, যেগুলো সবাইকে জিজ্ঞেসও করা যায়না, যেগুলোর উত্তর সবাই দিতেও চায়না। এই বয়সের একটা কালজয়ী বর্ণনা দিয়ে গেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তাঁর “ছুটি” গল্পে, ফটিক চরিত্রটির মাধ্যমেঃ

বিশেষত, তেরো-চৌদ্দ বৎসরের ছেলের মতো পৃথিবীতে এমন বালাই আর নাই। শোভাও নাই, কোনো কাজেও লাগে না। স্নেহও উদ্রেক করে না, তাহার সঙ্গসুখও বিশেষ প্রার্থনীয় নহে। তাহার মুখে আধো-আধো কথাও ন্যাকামি, পাকা কথাও জ্যাঠামি এবং কথামাত্রই প্রগল্ভতা। হঠাৎ কাপড়চোপড়ের পরিমাণ রক্ষা না করিয়া বেমানানরূপে বাড়িয়া উঠে; লোকে সেটা তাহার একটা কুশ্রী স্পর্ধাস্বরূপ জ্ঞান করে। তাহার শৈশবের লালিত্য এবং কণ্ঠস্বরের মিষ্টতা সহসা চলিয়া যায়; লোকে সেজন্য তাহাকে মনে মনে অপরাধ না দিয়া থাকিতে পারে না। শৈশব এবং যৌবনের অনেক দোষ মাপ করা যায়, কিন্তু এই সময়ে কোনো স্বাভাবিক অনিবার্য ত্রুটিও যেন অসহ্য বোধ হয়।

ক্যাডেট কলেজে গিয়েই সপ্তম শ্রেণীতে এই গল্পটা আমাদের পাঠ্যসূচীতে পাই। উপরের কথাগুলোকে অক্ষরে অক্ষরে সত্য মনে হতো। গল্পটা পড়তাম আর অবাক বিস্ময়ে ভাবতাম, কবিগুরু কি করে আমার মনের কথাগুলো এতটা নিখুঁতভাবে বলে গেলেন! আমার বয়সটাও তখন ঠিক ওরকমই ছিলো। মনে অনেক প্রশ্ন থাকতো, কিন্তু সহজে কাউকে জিজ্ঞেস করতে পারতাম না। আমি স্বভাবগতভাবে কথা কম বলতাম, আর যারা মুখে কথা কম বলে থাকে, তারা মনে মনে ভাবে অনেক বেশী। কিছু কিছু ভাবনার ব্যাখ্যা পেতে একাকীত্ব খুঁজে নিতাম, যদিও বন্ধুদের সঙ্গ আমি খুবই উপভোগ করতাম। আমাদের ৮ জনের কক্ষে কোন গসিপ শুরু হলে আমিই প্রথম নিঃশব্দে আমার পড়ার টেবিল বা শয্যা ছেড়ে (যখন যে অবস্থায় গসিপ শুরু হতো) গসিপ সূচনাকারীর পাশে গিয়ে বসতাম। তার সব কথা গিলতাম। তবে কিছু বলতে গিয়ে বুঝতাম, যা বলতে চাই, তা ঠিক গুছিয়ে বলতে পারিনা। তাই শোনা গল্পগুলো পরে আবার নিজের মত করে নিজেকেই বলতাম, এবং তাতে একা একা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতাম। আমার অবস্থাটা বোঝাতে আবার কবিগুরুর আরেক কালজয়ী গল্পের ‘বলাই’ চরিত্রটির উল্লেখ করতে হয়ঃ

ফাল্গুনে পুষ্পিত শালবনের মতোই ওর অন্তর-প্রকৃতিটা চার দিকে বিস্তৃত হয়ে ওঠে, ভরে ওঠে তাতে একটা ঘন রঙ লাগে। তখন ওর একলা বসে বসে আপন মনে কথা কইতে ইচ্ছে করে, যা-কিছু গল্প শুনেছে সব নিয়ে জোড়াতাড়া দিয়ে।

আমি আগেই কোন একটা পর্বে বলেছি, কোন খেলায় আমি ভালো না হলেও সব খেলায় আমার প্রবল আগ্রহ ছিলো। অনেকটা Jack of all trades, master of none এর মত। ক্যাডেট কলেজে গিয়ে আমি প্রাণভরে খেলাধুলার অবারিত সুযোগ পাই। আমি সেটা খুবই উপভোগ করেছি। তবে কোন ইন্টার হাউস প্রতিযোগিতায় মূল দলে আমি সুযোগ পেতাম না। সেজন্য এসব প্রতিযোগিতাকে আমি অপছন্দ করতাম। তবে খেলার মাঠে আমার উৎসাহে কখনো ভাটা পড়েনি। দু’দলে ভাগ হয়ে কোন ফ্রেন্ডলী ম্যাচ খেলার সময় আমি স্বেচ্ছায় অনেকদিন প্রতিযোগী উভয়দলের দ্বাদশ খেলোয়ার হিসেবে (ক্রিকেটে) সারাদিন ধরে ফিল্ডিং করেছি, কোন ব্যাটিং পাইনি। তাতে কিছু মনে করিনি। যে কেউ ডাকলেই তার জায়গায় ফিল্ডিং খেটে তাকে বিশ্রামে যেতে দিতাম। যদি কোন ছুটির দিনে কোন খেলার সুযোগ না পেতাম, তবে আমি অন্যভাবে নিজের সুখ খুঁজে নিতাম। একা একাই চলে যেতাম কলেজ গেটের দিকে হাঁটতে হাঁটতে। পথে ক্যাডেট কিংবা এনসিও স্টাফ ছাড়া আর যাদের সাথে দেখা হতো, তাদের সাথে গল্প জুড়ে দিতাম। যেমন নিরাপত্তা প্রহরী, এম আই রুমের মেডিক্যাল স্টাফ, পিয়ন, প্লাম্বার, মেস ওয়েটার ইত্যাদি। এরাও ওপথে চলাচল করতো কারণ আমাদের ডাকঘরটা ছিল কলেজ গেটে। চিঠিপত্র ডাকবাক্সে ফেলার জন্য সবাইকে ওপথে হাঁটতে হতো, আর তখন চিঠিপত্র ছাড়া নিকটাত্মীয়দের সাথে যোগাযোগের আর কোন মাধ্যম ছিলনা। একটা বিষয় খেয়াল করেছিলাম যে সিনিয়র কিংবা সতীর্থদের সাথে আলাপ জুড়াতে আমি অপারদর্শী হলেও, ওদের সাথে বেশ স্বচ্ছন্দ্যে আর সাবলীলভাবে কথা বলে যেতাম। একা বসে থাকা বা ঘুরে বেড়ানোর জন্য আমার আরেকটা প্রিয় জায়গা ছিলো রসায়ন ল্যাবের সামনের চত্বরটুকু। একেবারে শুনশান নীরবতা বজায় থাকতো। কাঁঠাল গাছগুলোর ফল একেবারে মাটি থেকে ধরা শুরু হতো। টুনটুনি, চড়ুই, দোয়েল, বুলবুলি ইত্যাদি পাখির অভয়ারণ্য ছিলো ওখানকার গাছ-গাছালি। আমি শুধুই বসে বসে তাদের আসা যাওয়া, নাচানাচি দেখতাম। জায়গাটা আমার খুব ভালো লাগতো। একদিন সমমনা কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে এসে গাছের ডাল ভেঙ্গে অনেকক্ষক্ষণ ধরে ডাংগুলি খেলেছিলাম। অপ্রত্যাশিত এ খেলাটা সবাই খুব উপভোগও করেছিলাম।

নির্জন দুপুরে মাঝে মাঝে প্রিন্সিপালের অফিসের পেছনে গিয়ে দূর থেকে আসা মেঠো পথের দিকে তাকিয়ে মোষের গাড়ীর আসা যাওয়া দেখতাম। রাতে ডিনারের পর আমাদের ফ্রী টাইম ছিলো। ক্লাস ৭/৮ এ থাকতে রাত সাড়ে আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত সময়টা নিয়মিত ভাবে কমন রুমে গিয়ে ইনডোর গেমস খেলতাম। সবার আগে দৌড়ে গিয়ে টেবিল টেনিস ব্যাট দখলে নিতাম। তা না পারলে ক্যারম বোর্ড, আর তাও না পারলে দাবা। মাঝে মাঝে রেডিওটা দখলে নিতে পারলে রেডিও সীলন (তখন শ্রীলঙ্কার নাম ছিলো সীলন–Ceylon) কর্তূক প্রচারিত ”বিনাকা গীতমালা” নামের ভারতীয় হিন্দী গানের আসর শুনতাম, কিংবা আকাশবাণী কার্সিয়াং থেকে প্রচারিত হিন্দী ও বাংলা গানের অনুরোধের আসর। নবম শ্রেণীতে উঠার পর ওসব ততটা ভালো লাগতোনা। তখন ঐ সময়টাতে হেঁটে হেঁটে কলেজের গেট পর্যন্ত যেতাম, যাওয়া আসার মাঝামাঝি পথে একটা ছোট কালভার্ট পড়তো। সেই কালভার্টের রেলিঙ এর উপর বসে কিছুক্ষণ গলা ছেড়ে গান গাইতাম। গানের উপর আমার কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিলনা, কিন্তু তখনকার জনপ্রিয় কোলকাতার বাঙলা গানগুলো আমার ঠোঁটে ঠোঁটে থাকতো। আমার এ পায়চারীর নিত্যসঙ্গী থাকতো সোহরাওয়ার্দী হাউসের জয়নুল আবেদীন (অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল) এবং মাঝে মাঝে নজরুল হাউসের হাসান তৌফিক চৌধুরী (প্রাক্তন সেনাপ্রধান হাসান মশহুদ চৌধুরীর ছোটভাই)। জয়নুল এর গানের গলাটা সত্যিই খুব ভালো ছিলো। আমরা যে কালভার্টটির উপর হাসপাতালের দিকে মুখ করে বসে গান গাইতাম, তার ঠিক পেছন দিয়েই চলে গেছে সমান্তরাল মেঠো পথ, তারকাঁটার বেড়ার ওপারে। কদাচিৎ হাটুরে লোকজন হ্যারিকেন হাতে নিয়ে হেঁটে কিংবা গরু/মোষের গাড়ীতে করে তারাও গলা ছেড়ে গান গাইতে গাইতে বাড়ী ফিরতো। ডিনারের পর হাঁটার সময় আরেকজনকে প্রায়ই দেখতাম একা একা আনমনে হাঁটতে। তিনি ছিলেন আমার চেয়ে এক ক্লাস সিনিয়র শাহাদৎ হোসেন সেলিম ভাই। পরে তিনি তাঁর নামটা ঈষৎ পরিবর্তন করে সা’দাত সেলিম রাখেন। তিনি ঢাকা ক্লাবের পরপর তিনবার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি দেশের একজন বিখ্যাত পাখিপ্রেমিক। তাঁর গৃহে অনেক পোষা প্রাণী রয়েছে বলে শুনেছি। আমার অবশ্য পশুপাখি পোষার ব্যাপারে তেমন আগ্রহ নেই।

ডর্মে যখন কেউ থাকতোনা, তখন চিঠি লিখতে বসতাম। আমার চিঠি আব্বা আম্মার জন্য আনন্দের কারণ হবে, শুধু একথা ভেবেই প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত একটা করে চিঠি লিখে যেতাম, সংক্ষেপে হলেও। আব্বাও নিয়মিতভাবে আমার চিঠির জবাব দিয়ে যেতেন। পরে জেনেছি, তিনি আমার চিঠিগুলো সযত্নে গুছিয়ে রাখতেন। আম্মাও মাঝে মাঝে লিখতেন। ভাই বোনেরাও লিখতো। মাঝে মাঝে কিছু কাজিনদের সাথেও পত্র বিনিময় হতো। সপ্তাহে একদিন দুই ঘন্টার জন্য টিভি দেখার অনুমতি ছিল, তবে টিভির পর্দায় মাঝে মাঝেই ঝিরিঝিরি আসতো বলে মজা পেতাম না। সে সময়ের ফিলিপ্স এর একটা বিজ্ঞাপন খুব ভালো লাগতো-“Won’t you come in to my house tonight? No, neighbor no!” ডাইনিং হলের সামনের খোলা জায়গাটাতে মাঝে মাঝে Outdoor screen লাগিয়ে projector এর মাধ্যমে প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হতো। ঐ সমস্ত একঘেঁয়ে প্রামাণ্য চিত্রগুলো আমরা ঘুমে ঢুলুঢুলু হয়ে দেখতাম। একবার এরকম একটা ফিল্ম দেখার সময়ে মাঝখানে হঠাৎ করে “The Beach Wear” নামে একটা ফিল্ম শুরু হয়ে যায় যেখানে বিকিনি পড়া নারী মডেলদের প্যারেড দেখানো হচ্ছিলো। ঘুমাক্রান্ত অনেকেই সাথে সাথে এর ওর কনুই এর গুতো খেয়ে নড়ে চড়ে বসে। কিন্তু তাদের এ জাগরণ বৃথায় পর্যবসিত হয়ে যায়, যখন হঠাৎ পেছন থেকে প্রিন্সিপাল কর্ণেল আনসারীর এক হুংকার শোনা যায়, “Stop it!” তাঁর এক হুংকারে প্রজেক্টর বন্ধ হয়ে যায়। ক্যাডেটরা চোখ কচলাতে কচলাতে পিঁপড়ের মত সারি বেঁধে নিজ নিজ হাউসে ফিরে আসে।


এ কালভার্ট টার রেলিং এর উপর বসেই আমি আর জয়নুল গান গাইতাম। ৪৮ বছর পরে সেদিন ১৫ জানুয়ারী ২০১৬ তারিখে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগদান করতে এমসিসিতে গিয়েছিলাম। ফেরার পথে কালভার্ট টার ছবি তুলে আনলাম। জয়নুল যায় নাই, তার জায়গায় আমেরিকা থেকে আগত মুকুল ছবিতে প্রক্সি দিলো।

চলবে….

ঢাকা
১৮ নভেবর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।

খুব অবাক হয়ে ভাবছি, একটা ভিন্ন পরিবেশে, ভিন্ন সময়ে, দু'জন কিশোরের ভাবনায় এত মিল কি ভাবে সম্ভব?

"ছুটি" গল্প নিয়ে আপনার ভাবনা, যেন আমারই ভাবনা।

"বলাই" চরিত্র নিয়ে কত ভেবেছি, কত পড়েছি, আজ আপনার লেখায় তার অবিকল প্রতিচ্ছবি দেখে চমকে উঠলাম !

তবে খেলাধূলায় বেশ ভালই ছিলাম।

গান নিয়ে সেভাবে কখনো ভাবিনি, কবিতা-গল্প-উপন্যাস - এই বলয়েই ঘুরপাক খেয়েছি, খাচ্ছি।

আপনার স্মৃতির ঢালা, আমাকেও কেমন স্মৃতিকাতর করে তুললো, বকবক করে নিজের অনেক কথা বলে ফেললাম।

ভাল থাকুন। সবসময়।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা 'লাইক' করায় এবং 'প্রিয়'তে রাখায় যারপরনাই কৃতজ্ঞ বোধ করছি, শামছুল ইসলাম। আরও কোন একজন পাঠক এটাকে 'প্রিয়'তে নিয়েছেন, কোন ঘোষণা ছাড়াই। তাকেও জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
কিশোর বয়সে যে 'ছুটি' পড়েছে, তারই মনে একই রকম অনুভূতি জাগার কথা। কবিগুরুর ছোটগল্প গুলো মনের সংবেদনশীলতাকে যথেষ্ট নাড়া দিয়ে যায়, কিশোর পাঠক গল্পের চরিত্রের সাথে একাত্ম বোধ করে।
যারা ভালো খেলোয়ার হয়, সাধারণতঃ তারা ভালো মানুষও হয়। কিছু ব্যতিক্রম তো সবখানেই আছে।
আমার প্রায় সবগুলো লেখায় আপনি ভালো ভালো মন্তব্য করে আমাকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করে যাচ্ছেন, শামছুল ইসলাম।

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তেরো-চৌদ্দ বৎসরের কিশোরদের যন্ত্রণা আমার ছেলে এখন পার করছে। যখন শপিং এ যাই ওর মাপের জুতো, প্যান্ট বা শার্ট খুঁজে পাওয়া যেমন দুষ্কর , ওর চিন্তা ভাবনা পছন্দ পছন্দের সাথে আমি ছাড়া বাকিদের রিলেট হওয়াটা খুব মুশকিল!

ভালো লাগলো আপনার স্মৃতিচারণ। ক্যারাম, দাবা আমার একটা সময় প্রিয় খেলা ছিল।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ওকে বেশী করে উৎকৃষ্ট সময় দিন। খেলাধূলার প্রতি উৎসাহ দিন। সামাজিক সম্পর্কের প্রতি আগ্রহী ও বন্ধুসুলভ মনোভাবাপন্ন করে তুলুন। অবসরে ওর সাথেও আপনি দাবা খেলে অতীতের পারদর্শিতাটাকে একটু ঝালাই করে নিতে পারেন।
স্মৃতিচারণ ভালো লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম। প্রেরণা পেলাম।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অাপনার কৈশোরের স্মৃতিকথা পড়লাম । নিজের সাথে একটু-অাধটু মেলানোর চেষ্টা করলাম । বড় অদ্ভুত একটা সময়, না?

সুস্থ থাকুন ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: এখন পেছনে ফিরে তাকিয়ে মনে হয়, জীবনের ঐ খন্ডচিত্রটি অদ্ভূত ছিলনা, ছিল জীবনের বৈচিত্রময়তার একটি অংশ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, রূপক বিধৌত সাধু।

৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫

কল্লোল পথিক বলেছেন: অাপনার কৈশোরের স্মৃতিকথা পড়লাম ।ভালো লাগলো আপনার স্মৃতিচারণ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: অামার কৈশোরের স্মৃতিকথা পড়ে ভালো লাগার কথা এখানে জানিয়ে যাবার জন্যে ধন্যবাদ, কল্লোল পথিক।
শুভেচ্ছা জানবেন।

৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫

ডি মুন বলেছেন: যারা মুখে কথা কম বলে থাকে, তারা মনে মনে ভাবে অনেক বেশী। ------------ আমারো তাই ধারণা। স্বল্পভাষী মানুষের নিজের অজান্তেই নিজেরই চারপাশে একটা রহস্যময় আবহ তৈরি করে ফেলে। ব্যাপারটা ভালো লাগে।


হঠাৎ করে “The Beach Wear” নামে একটা ফিল্ম শুরু হয়ে যায় যেখানে বিকিনি পড়া নারী মডেলদের প্যারেড দেখানো হচ্ছিলো। ঘুমাক্রান্ত অনেকেই সাথে সাথে এর ওর কনুই এর গুতো খেয়ে নড়ে চড়ে বসে। কিন্তু তাদের এ জাগরণ বৃথায় পর্যবসিত হয়ে যায়, যখন হঠাৎ পেছন থেকে প্রিন্সিপাল কর্ণেল আনসারীর এক হুংকার শোনা যায়, “Stop it!” তাঁর এক হুংকারে প্রজেক্টর বন্ধ হয়ে যায়। -------------------------------- হা হা হা :) :)



সশস্ত্র বাহিনী, ক্যাডেট কলেজ, সার্ভিস কোয়ার্টার, প্যারেড-পিটি, নিয়ম-মানা-জীবন --- এগুলোকে মনে হয়, জীবনের ভেতরে অন্য জীবন। সবকিছু থেকে নিরাপদ। যেন চেনা পৃথিবীর কাদামাখা-পথ এড়িয়ে এরা গড়ে তুলেছে ভিন্ন জগত - অন্য কোথাও যাবে বলে।


বাবার চাকরির সুবাদে এ জীবনটাকে খুব কাছাকাছি দেখেছি, দেখছি। আবার বন্ধুরা কেউ কেউ মানুষ থেকে 'অফিসার' হয়ে গেছে। সেও একরকম দেখা। আমার তবু গোছানো জীবন ভালো লাগে - গোছানো জীবন দেখেছি বলেই হয়তো।

ভালো থাকা হোক :)
শুভেছা।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আবার বন্ধুরা কেউ কেউ মানুষ থেকে 'অফিসার' হয়ে গেছে। সেও একরকম দেখা। -- আবার 'অফিসার' থেকে 'মানুষ' হয়ে যেতে বন্ধুরা বেশী সময় নেবেনা, একসময় দেখবেন।
“The Beach Wear” খুব সম্ভবতঃ সেই আমলেও ভুলক্রমে "কাটপিস" হিসেবেই যুক্ত হয়ে গিয়েছিলো। এখনকার তুলনায় তখনকার এই সামান্য বিচ্যূতিটুকু অপরাধ হিসেবেই গণ্য হয়েছিলো।
বাবার চাকরির সুবাদে এ জীবনটাকে খুব কাছাকাছি দেখেছি, দেখছি -- আপনার বাবা কি সেনাবাহিনীতে ছিলেন/আছেন?
আমার তবু গোছানো জীবন ভালো লাগে -- এই গোছানো জীবনের কারণে ৩১ বছর ধরে লেখার কলমটাকে খাপ মুড়ে রেখেছিলাম। দিন শেষে মনে হয়, জীবনটা একটু অগোছালো থাকাটা মন্দ নয়।
খুব ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে আপনার এই বিশদ আলাপ। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৩৫

রাবার বলেছেন: আপনার এই সিরিজটা খুব ভালো লাগে পড়তে খায়রুল ভাই। চমৎকার লেখনী। ++++্

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়তে আপনার ভালো লাগছে জেনে খুব খুশী ও অনুপ্রাণিত হ'লাম, রাবার।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৪১

ডি মুন বলেছেন:
দিন শেষে মনে হয়, জীবনটা একটু অগোছালো থাকাটা মন্দ নয়। --------- ঠিক বলেছেন। তবে আমি গোছানো নাগরিক জীবন যাপন করতে পারলেই সুখী হব [এখন যেমন আছি আর কী :) ], যেখানে ইচ্ছেমতন অগোছালো হবার স্বাধীনতা থাকবে। সশস্ত্র বাহিনীর ঘড়িতে বাঁধা ফরমাল জীবন আমার ভালো লাগে না।

বাবা বিমান বাহিনীতে কর্মরত আছেন এখনো। চাকুরী জীবনের প্রায় শেষ দিকে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: সশস্ত্র বাহিনীর ঘড়িতে বাঁধা ফরমাল জীবন আমার ভালো লাগে না। -- মুক্ত স্বাধীন মনের তা না হবারই কথা।
ব্যক্তিগত তথ্যটুকু এখানে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, ডি মুন।

৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৪৬

সোহানী বলেছেন: এই জন্যই রবীন্দ্রনাথ বিশ্ব কবি…....হাহাহাহা

আপনার সাথে একটু মিল আছে বৈকি, যেমন আমি খেলাধুলা না পারলেও আগ্রহ আছে। এবং আমি ও Jack of al.......। একা প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে আমারো খুব ভালো লাগে যা আমি এখনো করি।

আপনার হটাৎ ছবির মাঝে বিচ ওয়্যার এর এড শুনে খুব মজা পেলাম….। আহারে তখন আপনাদের মানসিক অবস্থা মনে পড়ে নিজেই হাসছি।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আহারে তখন আপনাদের মানসিক অবস্থা মনে পড়ে নিজেই হাসছি - তখনকার পরিস্থিতিটা ঠিকমত তুলে ধরতে পেরেছি কিনা জানিনা, তবে এখনও আমরা বন্ধুরা কখনো একত্রিত হয়ে কলেজ জীবনের স্মৃতিচারণ শুরু করলে সে ঘটনাটি নিয়ে মাঝে মাঝে কৌতুক হয়। আসলেই, এখনকার তুলনায় তখন কতই না নির্দোষ ছিল আমাদের জীবনাচার!
পুরনো পোস্টে মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.