নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনিশ্চিত তীর্থযাত্রা-১০ (শেষ পর্ব)

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৩০

অনিশ্চিত তীর্থযাত্রা-৯ পড়ুন এখানেঃ

এতদিন মাসব্যাপী এই যে এক অনিশ্চিত তীর্থযাত্রায় পদযাত্রী হয়েছিলাম, সব কোলাহল থেমে যাবার পর নিজের বই দুটো একটু হাতে নিয়ে পুনরায় চোখ বুলোবার অবকাশ পেলাম। ভাসা ভাসা চোখ বুলিয়ে নেবার পর আমার হৃদকম্পন বেড়ে গেলো। শুদ্ধ বানানের ব্যাপারে আমি সবসময় একটু খুঁতখুঁতে। আমার কবিতার বই "গোধূলীর স্বপ্নছায়া" হাতে নিয়ে দেখি বেশ কিছু বানান ভুল। এমনিতেই আমার লেখালেখির সময় অনলাইন অভিধানটা খোলাই থাকে। বিন্দুমাত্র সন্দেহ হলেই বানান মিলিয়ে নেই। তদুপরি, পান্ডুলিপিটা আমি মনযোগ দিয়েই দেখে দিয়েছিলাম। তবুও মানুষ তো, কিছু ভুলচুক তো হতেই পারে। ছোটখাট কিছু মুদ্রণ প্রমাদ থাকবে, এটা ধরেই নিয়েছিলাম। কিন্তু প্রথমেই যে ভুলটা চোখে পড়লো, তা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। আমার এই বইটা পড়ে যে কয়টা কবিতার ব্যাপারে পাঠকেরা ফোন করে প্রশংসা করেছেন, তার মধ্যে ১৬ নং পৃষ্ঠার “গরমিল” কবিতাটি অন্যতম। এই কবিতার দ্বিতীয় স্তবকে ব্যাধের তিরের আঘাতে নিহত সঙ্গিনীর মৃত্যুতে শোকবিহ্বল এক বিরহী ঘুঘুর বিলাপের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু প্রকাশকের প্রুফরীডার মনে হয় “ব্যাধ” (শিকারি, পশুপাখি বধকারী তিরন্দাজ) শব্দটির সাথে পরিচিত ছিলেন না। তাই তিনি অবলীলায় আমাকে কিছু না বলেই “ব্যাধ”কে “ব্যাধি”তে পরিণত করে দিলেন। তিনি হয়তো ভেবেছিলেন, ঘুঘুটি রোগে শোকে ভুগেই মারা গিয়েছিলো। যদিও সব মৃত্যুই বেদনাদায়ক, তবুও ঘাতকের হাতে অপমৃত্যুর বেদনা আর ব্যাধিতে ভুগে মৃত্যুর বেদনা শোকার্ত পাঠক কিংবা পরিজনদের নিকট সমান বেদনাদায়ক নয়। কাজেই এখানে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে প্রুফরীডার শব্দটির সাথে একটা ‘ই’ কার যোগ করে চরণটির মূল আবেদনের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন। আরো বড় একটি সাংঘাতিক ভুল চোখে পড়ায় নিজেই নিজের কাছে লজ্জা পেয়ে গেলাম। কারণ পাঠকেরা বইটি অর্থব্যয়ে ক্রয় করেছেন। তাদের পক্ষে এমন একটা ভুল মেনে নেয়াটা সহজ হবে না, সেটা বেশ বুঝি। ভুলটা হলো, বইটির ৬৫ নং থেকে ৮০ নং পৃষ্ঠা গায়েব, তদস্থলে ১৭ নং থেকে ৩২ নং পৃষ্ঠার পুনরাবৃত্তি। অর্থাৎ পাঠকগণ ১৬টি পৃষ্ঠার কবিতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এই ১৬টি পৃষ্ঠার মধ্যে অন্ততঃ দুটো কবিতা ছিলো, যেগুলো পড়ে পাঠকেরা প্রশংসা করেছেন ফোন কিংবা ইমেল/টেক্সট এর মাধ্যমে। এই ভুলটা সব বই এ হয় নাই, তবে কয়টাতে হয়েছে তা আমার পক্ষে বলা অসম্ভব। ক্ষতি যেটা হয়েছে, সেটা পূরণ করাও অসম্ভব। কাজেই নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা ছাড়া গত্যন্তর নেই।

এবারে আসি আমার “জীবনের জার্নাল” এর কথায়। অনেক কষ্ট করে সুদূর বাঙলা বাজার গিয়ে প্রকাশক আর প্রুফরীডারের মাঝখানে বসে তাদের কম্পিউটারে পান্ডুলিপিটা পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় সংশোধন করে প্রকাশকের পেন ড্রাইভে তুলে দিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু বই হাতে পেয়ে দেখি, বই থেকে দুটো চ্যাপ্টারই গায়েব! এছাড়া কিছু ইংরেজী শব্দ অদ্ভুতুরে বানানে বাংলা হয়ে গেছে। মনটা খারাপ হয়ে গেলো। ফোন করলে প্রকাশক কিংবা প্রুফরীডার কেউই ফোন ধরছিলেন না। এ ছাড়াও বইটির প্রতিটি চ্যাপ্টারের প্রারম্ভে প্রচ্ছদের একটা রেপ্লিকা দেয়ার কথা ছিলো। সেজন্য স্পেস রাখতে গিয়ে বই এর পৃষ্ঠা সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছে, অথচ সে স্পেসটুকু এখন সাদা। পরে একদিন সাক্ষাতে হাতেনাতে যখন প্রকাশককে পেয়ে এর ব্যাখ্যা চাইলাম, তিনি কাঁচুমাচু স্বরে প্রুফরীডারের ঘাড়ে দায়িত্ব চাপিয়ে লজ্জাকাতর মুখে বললেন, ভুল বশতঃ আগের অপরীক্ষিত পান্ডুলিপিটাই ছাপাখানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিলো। আর প্রুফরীডার সেই থেকে কোনদিন আর আমার ফোন ধরেন নি।

আমি একজন আনকোরা লেখক, মাত্র এ বছরেই লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। আমার মত নবীন লেখকদের হয়তো প্রকাশকদের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশী খেয়াল পাবার কথা নয়, বিশেষ করে একুশের ডামাডোলের পটভূমে। মাঠে নেমে দেখতে পেয়েছি, একটা বই পাঠকের হাতে পৌঁছতে কতটা ঘাট বেঘাট পার হতে হয়। অনেক সময় প্রকাশকরাও ছাপাখানার কাছে (নিজস্ব ছাপাখানা না থাকলে), বাঁধাইকারকের কাছে, প্রুফরীডারের কাছে অসহায় থাকেন। যে কারণে তাদের কথা রাখতে অসুবিধা হয়। যারা এসবের সবকিছু দক্ষ হাতে সামাল দিতে পারেন, তাদের সুনামই অক্ষুন্ন থাকে। ভুল যারই হোক, পাঠকের কাছে লেখকের একটা দায়বদ্ধতা থাকে। সেই বোধ থেকেই আমার সকল পাঠকের কাছে এসব ভুলের জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। আশাকরি তারা সকলে এসব ভুলগুলোকে ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখবেন।

পরিশেষে, আমি যে আজ নিজেকে একজন লেখক হিসেবে দাবী করতে পারছি আমার দুটো বই প্রকাশ হবার কারণে, এর পেছনে বড় কৃতিত্বের দাবীদার একজনের নামোল্লেখ না করে আমার এ সিরিজের লেখাটার সমাপ্তি টানলে নিজেকে বড় অপরাধী বলে মনে হবে। তার সাথে আমার পরিচয় বাংলা কবিতা ডট কম নামের এক আন্তর্জালিক কবিতা আসরে, যেখানে আমি গত দু’বছর ধরে কবিতা লিখে চলেছি। তিনি একজন সব্যসাচী লেখক এবং বাঙলা সংস্কৃতির এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে তিনি বিচরণ করেন না। তার সাথে একত্রে নিজেদের কবিতার বই প্রকাশের ব্যাপারে ২০১৪ সালের শেষের দিকে অনলাইনে আলাপ হয়েছিল। ২০১৫ এর বইমেলা চলাকালীন তিনি প্রবাস থেকে ঢাকায়ও এসেছিলেন এবং তার নিজের একাধিক বই প্রকাশের ব্যাপারে অত্যন্ত ব্যস্ত থাকায় তিনি আমার সাথে আর যোগাযোগের সুযোগ পান নাই। আমিও কিছু মনে করি নাই, কারণ তার সাথে আমার আলাপটা এমন পাকাপোক্ত কিছু ছিলনা, জাস্ট হালকা একটু আলাপ। ২০১৫ এর শেষের দিকে হঠাৎ একদিন তার কাছ থেকে একটা মেসেজ পেলাম, যেখানে তিনি আমাদের আগের আলাপটার কথা উল্লেখ করে জানতে চাইলেন যে আমি বই প্রকাশের ব্যাপারে এখনো আগ্রহী কিনা। যেহেতু আমার পান্ডুলিপি তৈরীই ছিল, সেহেতু আমি ইতিবাচক সাড়া দিলাম। ব্যস, তারপর থেকেই বই প্রকাশের আগের দিন পর্যন্ত তিনি রেগুলার খবর নিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় মতামত দিয়েছেন। তার সম্বন্ধে বাংলা কবিতা ডট কম থেকেই তার পরিচিতি উদ্ধৃত করছিঃ

“কেতন শেখের জন্ম বাংলাদেশের ঢাকায়। স্কুলজীবন থেকেই তাঁর লেখালেখির শুরু। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ সাউদাম্পটন থেকে তিনি অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন, এবং বর্তমানে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টমিনস্টারে অর্থনীতির সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত। শিক্ষা ও অর্থনীতির গবেষনায় শ্রেষ্ঠত্বের জন্য তিনি ভূষিত হয়েছেন মর্যাদাপূর্ণ কমনওয়েলথ স্কলারশীপ ও ওয়ার্ল্ড বিজনেস ইন্সটিটিউট ফেলোশীপে। কর-নীতি এবং কৃষি ও উন্নয়ন অর্থনীতির উপর লেখা তাঁর বেশ কিছু গবেষনাধর্মী প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বমানের একাডেমিক জার্নালে। এছাড়াও জাগৃতি প্রকাশনী থেকে তার তিনটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে ২০১৩ ও ২০১৪ সালের অমর একুশে বইমেলায়। যুক্তরাজ্যের প্রবাস জীবনে তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠক, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে সমাদৃত হয়েছেন। স্ত্রী ও দুই পুত্রকে নিয়ে তিনি বর্তমানে ইংল্যান্ডের এইলসবারীতে বসবাস করছেন"।

আমার বই দুটো এ বারের বইমেলায় বের না হলেও হয়তো আগামীতে কোন এক বইমেলায় হতো। আবার নাও হতে পারতো, এর একটা কারণ আমার ব্যক্তিগত আলসেমি আর প্রকাশকদের পেছনে ছুটতে অনীহা। ভাগ্য ভাল, আমার দুজন প্রকাশকই আমার প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এবং তাদের সৌজন্য ও নম্রতা ভব্যতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। তাদের দ্বারস্থ হতে যেটুকু উদ্যোগের প্রয়োজন ছিল, সেটুকু যুগিয়েছিলেন এই অধ্যাপক কেতন শেখ। সেই “মাচ নীডেড পুশ” টুকু দিয়ে ব্যক্তিজীবনে সদালাপী এবং আড্ডাপরায়ন এই গুণী ব্যক্তি আমাকে আজীবন ঋণী করে গেছেন।

ঢাকা
০২ এপ্রিল ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।



মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৫৭

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: নিজের বইয়ের টুকটাক বানান ভুল কেউ খুব একটা বলেনা। কিন্তু আপনি খুটে খুটে সবই বের করে ফেলেছেন।

যার অনুপ্রেরণায় আপনার দুইটি বই বের হয়েছে উনি অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার। আর আপনি তা তুলেও ধরেছেন চমৎকারভাবে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনিই প্রথম মন্তব্য করলেন আমার আজকের এ লেখাটাতে, সেজন্য বিশেষ ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, ফেরদৌসা রুহী।
আমি লেখক না হয়ে যদি পাঠক হতাম আর আমার কেনা কোন বই এ যদি ১৬ টি পৃষ্ঠার এরকম উল্টাপাল্টি কাজ কারবার দেখতে পেতাম, তখন আমিও নিশ্চয়ই খুব ভালো ফীল করতাম না। আর আমি তো এমন কোন ভালো লেখক নই, যে ক্রেতাগণ আমার বই এর গুণে বইটি কিনে থাকবেন। আমার মত এমন একজন নতুন লেখকের বই যারা কিনেছেন, তারা প্রায় সবাই লেখককে ভালোবেসে কিনেছেন, নয়তো তার অনুরোধে, নয়তো তারা এমন বড় হৃদয়ের অধিকারী, যে হৃদয় স্বতঃস্ফূর্তভাবে নতন লেখকদের প্রেরণা দিয়ে যায়। এঁদের মত কেউ আমার বই কিনে অসন্তুষ্ট বোধ করুক, এমনটি আমি কখনোই চাইবোনা।
নিজের বইয়ের টুকটাক বানান ভুল কেউ খুব একটা বলেনা। কিন্তু আপনি খুটে খুটে সবই বের করে ফেলেছেন - :) :)
আপনার শেষ দু'টি বাক্যে ভীষণ প্রীত হ'লাম। উনি অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার, কারণ উনি ওনার ভুলে যাওয়া প্রতিশ্রুতিতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ফিরে এসেছিলেন এবং আমাকে সাহায্য করেছিলেন, যেটুকু সময়মত না পেলে হয়তো বই দুটো আজও আলোর মুখ দেখতে পেত না। এ ছাড়া উনি একজন করিৎকর্মা ব্যক্তি, যার কথায় ও কাজে মার্জিত রুচিবোধের পরিচয় পাওয়া যায়।

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:০৭

জুন বলেছেন: আপনার বই এর প্রচ্ছদ দুটোই অপুর্ব হয়েছে । নিজের এমন একটা বই এর স্বপনই শুধু দেখি , বাস্তবে ভাবতে ভয় হয় খায়রুল আহসান । নিজের বই নিয়ে এমন কাটাছেঁড়া করার মত ঔদার্য্য খুব কম মানুষেরই থাকে । ভালো লিখেছেন ।
আর বানান ভুল অনেক সময় মুদ্রন প্রমাদ ও হতে পারে । আপনি তো অভিধান নিয়ে বসেন আর আমার বিগত দিনের পড়ালেখাই সম্বল । তাই লাইনে লাইনে ভুল । আপনার ভুল ধরাও আমার জন্য ধৃষ্টতা । তির লিখেছেন , এটা কি তীর হবে ? ছোটবেলা থেকে তীরই শুনেছি :(

আমার একটি পোষ্টে আপনি আমার সন্তানের কথা জানতে চেয়েছিলেন । এই লেখাটি সময় থাকলে চোখ বুলাবেন । কিছুটা হলেও আন্দাজ পাবেন মনে হয় ।
এক মা এর স্মৃতিচারণ

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ মন্তব্যের উত্তরটা কিছুতেই সঠিকভাবে এখানে, অর্থাৎ জায়গামত বসাতে পারছিনা। পুরো উত্তরটা আসেনা, ৭৫% আসে। অনুগ্রহ করে ৪ নং মন্তব্যটা পড়ে নেবেন।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার দেয়া লিঙ্ক ধরে "এক মা এর স্মৃতিচারণ" পড়ে এলাম। খুবই হৃদয়স্পর্শী লেখা। সবাই ভালো থাকুন।
লাইক এবং প্রিয়তে নিলাম।

৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২৯

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: আপনার বাস্তব অভিজ্ঞতার গল্প আপনার সাবলীল উপস্থাপনায় খুবই সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। পুরো সিরিজ পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। আমার জন্য দোয়া করবেন, আগামী বইমেলায় নিজের প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে ইনশাআল্লাহ। তখন অবশ্যই আপনার কাছে কিছু পরামর্শ চাইবো। আশাকরি সাথে থেকে আমাকে উপকৃত করবেন। আপনার জন্য শুভকামনা।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আগামী বইমেলায় আপনার নিজের প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করার ইচ্ছার কথা জানতে পেরে খুবই খুশী হ'লাম, মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম। এ ব্যাপারে যেকোন সাহায্য সহযোগিতার জন্য আমি প্রস্তুত থাকবো। 'অনিশ্চিত তীর্থযাত্রা' সিরিজটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ জুন, লেখাটা এতটা মনযোগ সহকারে পড়েছেন বলে। আপনি আগামী বইমেলাতেই আপনার বই প্রকাশের উদ্যোগ এখন থেকেই নিন। আপনার ট্রাভেলগ গুলো বেশ ভালো চলবে, এতে আমার কোনই সন্দেহ নেই। কোন সাহায্য পরামর্শের জন্য যদি স্মরণ করেন, খুশী হয়েই এগিয়ে যাবো। এবারের বই মেলাতে বিভিন্ন স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে আর ঘোরাঘুরি করে জানতে পেরেছি, মানুষ ভ্রমণ কাহিনী আর আত্মজীবনী পড়তে ভালোবাসে। মানুষ অন্যের জীবনে নিজের কিছু প্রতিফলন দেখতে পেলে খুশী হয়, অন্যের চোখ দিয়ে অজানা অচেনা জিনিস দেখতে পছন্দ করে, বিশেষ করে যেগুলো নিজে গিয়ে দেখতে পারেনা। এ ছাড়া স্থান কাল পাত্রের সাথে লেখক নিজেকে কিভাবে রিলেট করেন, সেটা জানতেও মানুষ পছন্দ করে।
নিজের বই নিয়ে এমন কাটাছেঁড়া করার মত ঔদার্য্য খুব কম মানুষেরই থাকে । ভালো লিখেছেন - এ কথাগুলোও খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
আমার বই এর প্রচ্ছদ দুটোর প্রশংসা করেছেন বলে খুব খুশী হ'লাম। 'অনিশ্চিত তীর্থযাত্রা'র কোন একটা পর্বে বই দুটোর প্রচ্ছদ নির্বাচন নিয়ে কিছুটা আলোচনা করেছিলাম বলে মনে পড়ছে।
তির আর তীরের প্রসংগটা আনলেন বলে খুশীই হলাম এ কারণে যে আমার মত আপনারও একটা ভুল ধারণা ভাংতে পারবো। আমার অবস্থাও একদিন আপনার মতই হয়েছিল, কারণ আমারও মনে হয়েছিলো, ছোটবেলা থেকে তীরই শুনেছি - ! আমি কোন এক কবিতার ওয়েবসাইটে আমার প্রিয় এক কবির কবিতায় এ শব্দটা পেয়ে এমন ভ্রান্ত ধারণা থেকেই তার ভুল শুধরাতে গিয়েছিলাম। একদা কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির মেধাবী ছাত্রী এই কবির কবিতা আমার কাছে বেশ উঁচু মানের মনে হতো, যদিও তার কবিতায় অনেক বানান ভুল থাকতো। একদিন আমিও নিজেকে খুব নিশ্চিত ভেবেই কবিকে হাল্কা ভাবেই শুধিয়েছিলাম, তির বানানটা বোধ হয় তীর হবে। তার উত্তর পেয়ে অভিধান ঘেটে দেখলাম, কবি অন্য জায়গায় বানান ভুল লেখলে কি হবে, এটা তিনি যথার্থই ঠিক লিখেছেন।
তীর<সমুদ্র, নদী প্রভৃতির পাড়, কূল।
তির<বাণ, শর। তিরন্দাজ<তির নিক্ষেপে পটু এমন ব্যক্তি; তির নিক্ষেপকারী; ধানুকি।
যাহোক, মনে আছে, আমার "আমার কথা-১৬" তে বর্ণিত সেই বন্ধুটির বিখ্যাত উক্তির কথা, ম্যান ইজ মরটাল স্যার! ?? :) :)
লিঙ্কটা দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, জুন। অবশ্যই পড়বো।

৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই সুন্দর পোস্টের জন্য।

লেখক তো আপনি স্কুল জীবন থেকেই। বই প্রকাশের মাধ্যমে আপামর জনসাধারণ আপনার সেই পরিচয়টা এবারের একুশের বই মেলায় পেল। এবং এই প্রকাশনার পিছনে যার অবদান, তাকে কি সুন্দর ভাবেই না মূল্যায়ন করলেন।

সক্রেটিসের একটা বাণী মনে পড়ছে, আমাদের সময়ে এস এস সি র ইংরেজী পাঠ্য সূচীতে ছিলঃ Know Thyself.
আপনার বইয়ের আত্মসমালোচনা পড়ে সেই কথাটাই মনে পড়ল।

লেখক খায়রুল আহসান আমার কাছে কখনো ভাল, কখনো মোটামুটি, কখনো খারাপ ( লেখার গুণে); কিন্তু মানুষ খায়রুল আহসান সব সময়ই আমার কাছে অতি প্রিয়।

ভাল থাকুন। সবসময়।

নোটঃ সহব্লগার জুনের স্মৃতিময় লেখাটা আপনার কারণেই পেলাম, তাই আরো একটা ধন্যবাদ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটার প্রশংসায় অনুপ্রাণিত হ'লাম, শামছুল ইসলাম। বরাবরের মতই আপনি আমার লেখাটা মনযোগ দিয়ে পড়ে এপ্রিশিয়েটিভ মন্তব্য করে গেলেন, এজন্য জানাচ্ছি কৃতজ্ঞতা। এ ধরণের উৎসাহ আর প্রেরণা যে কোন লেখকেরই পরম কাম্য, যা আপনি আমাকে অকাতরে দান করে কৃ্তার্থ করেছেন। লেখাটাকে একই সাথে লাইক দিয়ে এবং প্রিয়তে নিয়ে আমাকে সম্মানিত করেছেন দেখে অভিভূত হ'লাম।
অশেষ ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা আর কৃতজ্ঞতা।

৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেকদিন পর বোধ হয় ব্লগে কোন লেখা পড়ার সুযোগ পেলাম। আমার সারাদিনের অবস্থা দেখে নিজেকে এখন জোম্বি মনে হয়।
আপনি গদ্যের দিকেও সাথে সাথে মনযোগী হন। আমার মনে হয় আপনি ভালো গল্প করতে পারেন/ লেখাতেও পারবেন।

অনেক শুভকামনা রইল

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পরে ব্লগে ফিরে আমার এ লেখটাতে মন্তব্য করলেন, সেজন্যে জানাচ্ছি অনেক ধন্যবাদ।
গদ্যের দিকেও মনযোগী হবার ব্যাপারে এর আগেও একবার বলেছিলেন, সে কথাটা এখনো মাথায় আছে। আজ আবারো বললেন, আপনার আস্থার প্রতি সমীহ জানাচ্ছি।
এই ব্লগে আপনিসহ অনেক ভাল ভাল গল্পকার আছেন। তাদের গল্পগুলো যখন পড়ি, তখন ভাবি, এত ভাল ভাল গল্প আপনারা লেখেন কি করে?
আমি গল্প শুনতে ভালোবাসি। টুকটাক মন্তব্য করতেও বেশ স্বচ্ছন্দ বোধ করি। কিন্তু গল্প বলতে বা লিখতে আড়ষ্ট বোধ করি। তবুও দেখা যাক, কথাটা মনে থাকলো।

৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫২

এম এস আরেফীন ভুঁইয়া বলেছেন: প্রিয় খায়রুন আহসান ভাই, আপনি লিখেছেন আপনি আবার সেই ভুল গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন, ভাবতে খুব অবাক লাগছে, মুগ্ধ হলাম আপনার আচরনে | আর আমি বই মেলায় গিয়ে লেখককে ফোন করে তার হাত থেকে বইটি নিতে পারিনি
আপনি আমাদের মাঝে অনেক দিন বেচে থাকুন, আমরা যেন শিক্ষা নিতে পারি,, অনেক অনেক শুভ কামনা ,,,,,,,

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ সহৃদয় মন্তব্যে অভিভূত হ'লাম, এম এস আরেফীন ভুঁইয়া। অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা!

৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫৭

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: স্যার আপনার গ্রন্থসমূহের প্রমাদসমূহ চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আপনার লেখনি আমার বেশ ভালো লেগেছে। আমি এখনো ব্লগে নিয়মিত নই তাই সবার লেখা দেখার বা পড়ার ফুরসত ও মিলেনি। আপনার কয়েকটি লেখা পড়লাম।অসাধারণ! এখন থেকে সময় পেলেই পড়তে থাকবো। ধন্যবাদ ভালো থাকুন।।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রশংসাসূচক মন্তব্যে প্রেরণা পেলাম এবং উৎসাহিত হ'লাম, মোঃ মঈনুদ্দিন। অনেক ধন্যবাদ এ উদার মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.