নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
আজ (২৮ এপ্রিল ২০১৬) সন্ধ্যে সোয়া ছয়টায় আমরা সবাই বিমান বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হ'লাম। উদ্দেশ্য, বিদেশগামী বড়ছেলে, বৌমা আর নাতনিকে বিদায় জানানো। আমার ইচ্ছে ছিল মাগরিবের নামাজ বাসায় পড়ে নিয়েই রওনা হবার। কিন্তু ছেলে জানালো, না, তাহলে বেশী দেরী হয়ে যাবে, কারণ সাড়ে ছ'টা থেকেই চেক ইন শুরু হবার কথা। অগত্যা আযানের পনের মিনিট আগেই রওনা হ'লাম এবং পথে গাড়ীতে বসেই নামাজ পড়ে নিলাম।
গাড়ীতে বসে আনায়া তার প্রিয় পুতুলটার খোঁজ করছিলো আর 'বেবী নাই, বেবী নাই' বলে মন খারাপ করছিলো। কোনরকমে এটা সেটা বলে তাকে সামাল দিলাম। বিমান বন্দরে পোঁছে ওর বাবা লাগেজ নিয়ে চেক ইন করতে গেল আর ও সবার কোলে কোলে ঘুরে বেড়ালো। অবশেষে যখন ডাক পড়লো ইমিগ্রেশনের দিকে যাবার, আমরা সবাই দর্শনার্থীদের জন্য শেষ সীমারেখায় পৌঁছে ওকে আদর দিতে থাকলাম। ও তখন ছিলো ওর দীদার কোলে। অন্যান্য সময় মাকে পেলে ওর আর কাঊকে না হলেও চলে। কিন্তু কি আশ্চর্য, শেষ সীমায় পৌঁছানোর পর ওকে কিছুতেই ওর দীদার কোল থেকে নামানো যাচ্ছিল না। এমনকি ওর বাবা মা এর শত প্রলোভন সত্তেও না। শেষ পর্যন্ত ওর কান্নাকে উপেক্ষা করে খানিকটা জোর করেই ওর মায়ের কোলে দেয়া হলো। আমরা কাঁচের এপার থেকে বাই বাই দিতে থাকলাম এবং যতক্ষণ দেখা যায়, তাকিয়ে থাকলাম। ছেলে আমাদেরকে বললো, এখানে থেকে তোমাদের আর কোন লাভ নেই, আর দেখতে পাবেনা, তাই তাড়াতাড়ি বরং বাড়ী ফিরে যাও। আমরা তাই করলাম।
বাসার দরজা খুলেই ওর ছড়ানো ছিটানো খেলনাগুলো দেখে মনটা ভারী হয়ে এলো। আজ দুপুরে ও ওর দাদু আর দীদার মাঝখানে শুয়ে একটানা দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘন্টা ঘুম দিয়েছিলো। এতটা লম্বা ঘুম ও কখনো দেয় না। ও ঘুমিয়ে থাকতে থাকতেই ওর দীদা ওর মাথায় একটা ঝুঁটি বেধে দিয়েছিলো। ও ঘুমের ঘোরে কিছুটা টের পেয়ে বললো, "দীদা, মাথায় মশা কাম্মায়"।
যাবার সময় হয়ে এলে ওর দীদা ওকে ঘুম থেকে তুলে নুডলস খাইয়ে দিলো। তারপর সাজিয়ে দিলো। বাসায় ফিরে এসে দেখি ওর পরনের জামাকাপড়গুলো তখনো বিছানার উপরেই পড়ে আছে, কারণ যাওয়ার সময় তাড়াহুড়োর কারণে সেগুলো গুছিয়ে রাখা হয়নি। ওগুলো থেকে চোখ সরাতে পারছিলাম না। খুব খারাপ লাগছিলো। কিছুক্ষণ ওর হলুদ রঙের জামাটা হাতে নিয়ে বসে থাকলাম। এশার নামাজ পড়ার জন্য অযু করতে যাবো, এমন সময় ছেলে ফোন করে জানালো ওরা প্লেনে বসেছে। আনায়ার কথা জিজ্ঞেস করলাম। ও বললো, প্লেনে ওঠার আগ পর্যন্ত সারাটা লাউঞ্জে সে ছুটাছুটি করে বেড়িয়েছে। শুনে খুব খুশী হ'লাম। কিন্তু পরক্ষণেই ফোনে ওর কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম। ছেলে বললো, প্লেনে ওঠার পর থেকেই সে বেশ অস্বস্তি প্রকাশ করছে। মনটা আবার খারাপ হয়ে গেল। ছেলে কথা সংক্ষিপ্ত করে আমাকে আর ওর মাকে আল্লাহ হাফেজ জানালো।
বিমান বন্দরে যেসব প্লেন ওঠা নামা করে, সেগুলোর প্রায় সবগুলোই আমার বাসার উপর দিয়ে যায়। আমার একটা অন্যতম কাজই ছিল আনায়াকে প্রতিদিন আকাশের প্লেন আর গাছ গাছালির পাখি দেখানো। আমি জানি, ওদের প্লেনটাও আমার বাসার উপর দিয়েই যাবে। তৈরী হলাম আনায়ার প্লেন দেখার জন্য। একটু পরেই শব্দ করে একটা প্লেন উড়ে গেল। ওর দীদা কখনো এসব দেখে না। আজ সে নিঃশব্দে আমার পাশে এসে দাঁড়ালো। আমি ওকে বললাম, এটাই আনায়ার প্লেন। আমি শব্দ করে বললাম, বাই বাই আনায়া! ও শুধু নিঃশব্দে তাকিয়ে থাকলো, যতক্ষণ দেখা যায়। তার দুচোখ ছলছল করে উঠলো। এরপর আমি এশার নামায পড়ে হাল্কা ডিনার সেড়ে নিলাম। তারপর গুগল সার্চ দিয়ে আজকের ফ্লাইট নং ইকে ৫৮৫ এর হিস্ট্রী পড়ে নিলাম। দেখলাম, সেটার একচুয়াল টাইম অব ডিপারচার ছিল রাত ১০ঃ২১। নিশ্চিত হ'লাম, আমাদের টাটা দেয়া প্লেনটাতেই আনায়া ছিলো। ও যেভাবে রোজ আমার কোলে চড়ে প্লেনগুলোকে টাটা দিত, আমিও আজ ওর মত করেই ওর প্লেনকে টাটা দিলাম।
ছেলেকে বারবার করে বলেছি, দুবাই পৌঁছেই ও যেন ভাইবার এর ফ্যামিলি গ্রুপে মেসেজ দেয়। সেখানে ওদের নয় ঘন্টার ট্রানজিট, তাই এয়ারলাইনস থেকে হোটেল পাবে। এরপর শুরু হবে ওদের সাত সমুদ্দুর পাড়ি দিয়ে ১৭/১৮ ঘন্টার লম্বা একটানা ফ্লাইট। তারপরে ইন শা আল্লাহ ওরা পৌঁছে যাবে কাঙ্খিত গন্তব্য টরন্টোতে। এতটা দীর্ঘ আকাশ পথে আনায়ার কিছুটা অস্বস্তি হবে, তা আমি আগেই আন্দাজ করেছিলাম। তাই দোয়া করতে লাগলাম, আল্লাহ ওদেরকে সহি সালামতে গন্তব্যে পৌঁছে দিন! পথের ক্লান্তি মোচন করে দিন। পুরো পথ ও সফরটাকে সবার জন্য নিরাপদ ও আনন্দময় করে দিন! বাচ্চাটাকে আর তার মা বাবাকে সুস্থ রাখুন। আমীন!
ঢাকা
২৮ এপ্রিল ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
যে এসব জামা কাপড় একটু আগেও পড়ে ছি্লো আর এসব পুতুলগুলো নিয়ে খেলা করছিলো, সে আজ কয়েক সপ্তাহের ট্যুরে বেড়াতে গেলো তার বাবা মায়ের সাথে। আমি তাকে সারাক্ষণই মিস করে চলেছি....
১০ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ে এখানে মন্তব্য রেখে যাবার জন্য অনেক ধন্যবাদ, নীল-দর্পণ।
আপনার একেবারে প্রথম লেখাটা (প্রথম বারেই ব্যর্থতা) পড়ে মন্তব্য রেখে এলাম।
১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার দ্বিতীয় পোস্ট "চোখে না দেখলে এমনই হয়" পড়ে সেখানে একটা মন্তব্য রেখে আসলাম।
২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১
মায়াবী রূপকথা বলেছেন: দুবাই থেকে ১৬/১৭ ঘন্টার ফ্লাইট খুব বোরিং। এত লম্বা জার্নিতে বাচ্চা সামলে রাখা কস্টের কাজ। আনায়া দেখতে খুব মিষ্টি। ওর পুতুল দেখছি ওর থেকে বড়
১০ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আনায়া আসলেই ভারী মিষ্টি মেয়ে। খুবই শার্প, মা শা আল্লাহ! দোয়া করবেন, ও যেন ওর বাবা মায়ের মতই মেধাবী হয়।
আপনি এই ব্লগে আর নতুন কোন লেখা দিচ্ছেন না, সেজন্য মনে হয় আমরা পাঠকেরা বঞ্চিত হচ্ছি আপনার নিত্যকার ভাবনাগুলো জানা থেকে। আশাকরি, খুব দ্রুতই আবারো ফিরে আসবেন নতুন কোন লেখা নিয়ে।
৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭
হুকুম আলী বলেছেন: প্রিয়জন দূরে চলে যাওয়ার কষ্টই আলাদা। ধন্যবাদ আপনাকে।
১০ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ, হুকুম আলী। মন্তব্য ভালো লেগেছে।
৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৭
বিজন রয় বলেছেন: কাছের মানুষরা মাঝে মাঝে দুরে গেলে মায়ার বাঁধন সত্যিকারভাবে স্পর্শ করে।
আপনার অনুভূতি বুঝতে পারছি।
আপনার সবার জন্য শুভকামনা রইল।
ভাল থাকুন।
১০ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার অনুভূতি বুঝতে পারছি - এই সহমর্মিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ, বিজন রয়। শুভেচ্ছা জানবেন।
৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার অনুভুতি বুঝতে পারছি। এটাই হয়ত জীবন।
১১ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: এই সহমর্মিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ, কাল্পনিক_ভালোবাসা। জ্বী, এটা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৬
পুলহ বলেছেন: "ও যেভাবে রোজ আমার কোলে চড়ে প্লেনগুলোকে টাটা দিত, আমিও আজ ওর মত করেই ওর প্লেনকে টাটা দিলাম। "
মন ভার হয়ে এলো আপনার লেখা পড়ে। তাছাড়া নিজের প্রিয় মানুষদেরকে নানা সময় বিদায় জানানোর স্মৃতিগুলোও উকি-ঝুকি দিচ্ছে....
ভালো থাকুন আপনি এবং আপনার সকল প্রিয় মানুষ!
১১ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, পুলহ, এতটা সহমর্মী মন নিয়ে লেখাটা পড়ার জন্য। প্লাসটা অনেক প্রেরণা দিয়ে গেল...
অনেক শুভকামনা...
৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩১
শামছুল ইসলাম বলেছেন: ছবি গুলো দেখে বুঝতে পারছি আপনার/আপনাদের কতটা খারাপ লাগছে।
তারপরও কা_ভা ভাইয়ের মত বলতে চাই, এটাই হয়ত জীবন।
আপনার দোয়া আল্লাহ কবুল করুন।
আমীন।
ভাল থাকুন। সবসময়।
১২ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার সহমর্মী মন্তব্যে অভিভূত হ'লাম, শামছুল ইসলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা!
+ টা প্রেরণা দিয়ে গেলো।
৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩৩
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: আনায়া দেখতে খুব মিষ্টি ওদের জন্য শুভ কামনা রইল । ওর নামটাও সুন্দর ,আনায়া অর্থ কি ? শুভ রাত্রি ।
১২ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: মিষ্টি মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, দৃষ্টিসীমানা।
অভিধানে আনায়া নামের মানেটা এভাবে দেয়া আছেঃ
Anaya is an indirect Quranic name for girls that means “care”, “protection”, “diligence”.
শুভেচ্ছা জানবেন।
৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩৭
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ঠিক ভিন্ন দৃশ্য দেখা যায় ফিরে আসার সময়।। আজ ২৪টা এই হাসি-কান্নার মাঝেই আমাকে চলতে হচ্ছে।।
আপনার সুরে সুর মিলিয়ে আমিও বলছি, আল্লাহ ওদেরকে সহি সালামতে গন্তব্যে পৌঁছে দিন! পথের ক্লান্তি মোচন করে দিন। পুরো পথ ও সফরটাকে সবার জন্য নিরাপদ ও আনন্দময় করে দিন! বাচ্চাটাকে আর তার মা বাবাকে সুস্থ রাখুন। আমীন!
১২ ই মে, ২০১৬ রাত ১:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: সহমর্মী মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা, সচেতনহ্যাপী।
১০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০৮
মানবী বলেছেন: আবেগঘন লেখা পড়ার সময় গলার কাছে কেম দলা পাকানো কষ্টরা জমা হয়েছিলো। মনে হচ্ছিলো কতো ভালোবাসা আর যত্নে বড় করা সন্তান মা বাবাকে ছেড়ে সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ি দিয়ে ঘর বাঁধতে চলেছে... শেষে এস সব কষ্ট এক নিমেষেই উবে গেছে :-)
কয়েক সপ্তাহের ভ্রমনে গেছে! আচ্ছা, তাহলে নাতি নাতনীদের প্রতি ভালোবাসা সন্তানের প্রতি ভালোবাসার চেয়েই এতো বেশি প্রবল যে কয়েক সপ্তাহ চোখের আড়াল সহ্য হয়না কারন আনায়ার দাদা সেই কিশোর বেলায় এর চেয়ে ঢের বেশি সময় নিজের মা বাবা ছেড়ে ক্যাডেট কলেজে পড়াশুনা করতেন :-)
নাতনীর প্রতি গভীর মমতা আর ভালোবাসা মাখা লেখাটা ভালো লেগেছে পড়ে।
ধন্যবাদ খায়রুল আহসান।
১৩ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:০৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি একজন পরিবারকেন্দ্রিক মানুষ। সবাইকে বুকে পিঠে ঘাড়ে নিয়ে, হাত ধরে এতটা পথ এগিয়ে এসেছি। সবার জন্যই আমার খুব মায়া। কিন্তু পরিবারে নাতনি যোগ হবার পরে মনে হয়েছে, শী ডিজার্ভস দ্য বেস্ট অব আওয়ার লাভ। সো, আই ট্রাই টু গিভ হার দ্য বেস্ট অব মাই টাইম। ও একাই একশ'। ছেলেরা চোখের সামনেই বড় হয়েছে, কিন্তু তখন আমি কাজ নিয়ে এতটাই ব্যস্ত থাকতাম যে এখন আমার মনে হয়, ওদের প্রতি আমি সুবিচার করতে পারিনি। ওদের যা কিছু সাফল্য, তার কৃতিত্ব ওদের মা এর। কিন্তু এখন আমি অবসরপ্রাপ্ত। তাই নাতনিকে নিয়ে অনায়াসে ব্যস্ত থাকতে পারি। আর কিভাবে কুসুমের মত ধীরে ধীরে একটি শিশু প্রস্ফূটিত হয়, তা স্বচক্ষে অবলোকন করার আনন্দ উপভোগ করতে পারি। বলাবাহুল্য, নাতনিকে বেবীসীটিং করা এখন আমার একটা অন্যতম আনন্দের কাজ।
আপনিও খুব মমতাভরা মন নিয়ে এ লেখাটা পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করে গেলেন, সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, মানবী।
১৩ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার "ঐ নতুনের কেতন উড়ে" লেখাটা পড়ে খুব ভালো লেগেছে। একই সাথে 'প্লাস এবং প্রিয়'তে। এরও দুটো পোস্ট আগের লেখা "ডিস্পোজেবল মানবী..." তে করা আমার দুটো মন্তব্য (প্রতিউত্তর) হয়তো আপনার এখনো দেখা হয়ে উঠেনি, বোধকরি।
১১| ০১ লা মে, ২০১৬ সকাল ৯:০৫
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
এটাই জীবন।
কস্টের সাথেও মানিয়ে চলতে হয়।
১৩ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, আপনি ঠিকই বলেছেন, বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায়। মন্তব্য ভালো লেগেছে।
আপনার লেখা "বাংলাদেশের কিছু দুষ্প্রাপ্য এবং নস্টালজিক ফটোগ্রাফ - ১" পড়ে সেথায় একটা মন্তব্য করে এসেছিলাম। একটু দেখে নেবেন সময় করে।
১২| ০১ লা মে, ২০১৬ সকাল ১০:৫০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
চিরায়ত অনুভব... চিরায়ত শিরোনাম... চিরায়ত উদ্বেগ আর স্মৃতিকাতরতা। আজকাল একই পরিস্থিতিতে আমিও পড়ছি... বাঁধন ছেড়ে বের হতে হয় ৩/৪দিন অথবা সপ্তাহের জন্য।
নিরাপদ প্রত্যাবর্তন কামনা করছি নাতনি আনায়াসহ সকলের...
০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর করে বলে গেলেন এই চিরায়ত অনুভবের কথা। লেখাটা আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে দেখে প্রীত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা, মাঈনউদ্দিন মইনুল।
আপনার একটা চমৎকার পুরনো লেখা পড়ে এলাম, প্রেম বুঝে ভালোবাসুন!
১৩| ০১ লা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩
এম এস আরেফীন ভুঁইয়া বলেছেন: সময়ের প্রয়োজনে যেতে হবে, শুধু দোয়া করেন আল্লাহ্ যেন তাদের সুস্থ্য রাখে এবং আবার যেন আপনার কাছে ফিরে আসে।এইটাই জীবনের মানে। শক্ত হউন।
০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৯:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে এম এস আরেফীন ভুঁইয়া, এই সহমর্মী মন্তব্যের জন্যে। মন্তব্যে প্রীত হয়েছি।
আপনিও দোয়া করবেন আমাদের সবার জন্য। শুভেচ্ছা জানবেন।
আপনার প্রথম দুটো পোস্ট অনূঢ়ার জীবন এবং আর কত কতো দূর পড়ে মন্তব্য রেখে এসেছি। সময় করে দেখে নেবেন।
১৪| ০২ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪
কল্লোল পথিক বলেছেন: এরই নাম জীবন।
ভাল থাকুন। সবসময়।
০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৯:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, কবি! শুভকামনা রইলো আপনার জন্য। মন্তব্যে প্রীত হয়েছি।
আপনার আমি নিজেই নিজেকে শেষ করেছি কবিতাটা পড়ে মন্তব্য রেখে এসেছিলাম। আশাকরি সময় করে দেখে নেবেন।
১৫| ০৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩
জুন বলেছেন: বড্ড কষ্টকর অনুভুতি।
০৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটি পড়ে এখানে মন্তব্য রেখে যাবার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, জুন।
রোজার আগেই মিয়ানমার ভ্রমণে যাবার ইচ্ছে আছে। মিয়ানমার ভ্রমণের উপর আপনার লেখার লিঙ্কগুলো একটু দিতে পারবেন?
১৬| ০৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:২১
জুন বলেছেন: মায়ানমার যাবেন শুনে খুবই খুশী হোলাম । আশাকরি খুবই ভালোলাগবে এই ভ্রমন । প্রচুর ঐতিহাসিক দর্শনীয় জিনিস ছাড়াও এর প্রকৃতিতে মুগ্ধ হবেন । প্রচুর পর্যটক তবে আমাদের এই উপমহাদেশের পর্যটক নেই বললেই চলে ।
অনেক গুলো পর্বে লেখা এই ভ্রমন নিয়ে । লিংক এর পরিমান দেখে আশা করি বিরক্ত হবেন না বা ভয় পাবেন না । তবে প্রতিটি পর্বই আপনার ভালোলাগবে বলে আমার বিশ্বাস । এর দু একটা পোষ্ট পত্রিকায় পাবলিশ হয়েছিল । এখন সময় নিয়ে পড়া শুরু করুন
মায়ানমারের শেষ রাজকীয় রাজধানী মান্দালয়ের পথে পথে (ছবি ব্লগ) ১ম পর্ব
মান্দালয়ের পথে পথে। ২য় পর্ব
মায়ানমারের শেষ উল্লেখযোগ্য রাজা মিনডন ও তার অপরূপ রাজপ্রাসাদ (ছবি আর ইতিহাস) মান্দালয়ের পথে পথে তৃতীয় পর্ব
মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ ( ছবি + ইতিহাস )
বিশ্বের বৃহদাকার বইটি (ইতিহাস +ছবি) ভ্রমন ব্লগ
কিতনা বদনসীব হ্যায় জাফরঃ ভাগ্য বিড়ম্বিত এক সম্রাটের জীবনের করুন আলেখ্য (ছবি আর ইতিহাস)
বাগান --- মায়ানমারের এক অসাধারন দৃষ্টিনন্দন পুরাতাত্বিক শহরে দুটো দিন (১ম পর্ব)
বাগান --- মায়ানমারের এক অসাধারন দৃষ্টিনন্দন পুরাতাত্বিক প্রাচীন নগরীতে দুটো দিন ( শেষ পর্ব)
লেক ইনলে (ছবি আর কথকতা ) বার্মা নিয়ে শেষ পর্ব
১১ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ জুন, আমি আপনার সবগুলো লিঙ্ক পড়া শেষ করেছি। খুবই ভাল লেগেছে আপনার প্রত্যেকটি পোস্ট।
১৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩১
করুণাধারা বলেছেন: আশাকরি নাতনীর অনুপস্থিতির কষ্টের সাথে এতদিনে মানিয়ে নিয়েছেন।
পোস্টটা দেখে অবাক হয়েছিলাম, কারণ নাতনীতো গেল সতেরোর সেপ্টেম্বরে! এখন পড়ে দেখছি কয়েক সপ্তাহের জন্য গেছিল। তাহলে পরেরবার কি পাকাপাকি ভাবে গিয়েছিল। দোয়া করি যেন ভাল থাকে।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এ পুরনো লেখাটা পড়ে মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
মানিয়ে নেয়া ছাড়া করার আর কীই বা আছে! মানিয়ে নিলেও স্মৃতি পীড়া দেয়।
পোস্টটা দেখে অবাক হয়েছিলাম, কারণ নাতনীতো গেল সতেরোর সেপ্টেম্বরে - অবাক হবারই কথা, কারণ এই লেখাটা ছিল ২৮ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে নাতনি ও তার বাবা মায়ের প্রথম কানাডা যাত্রার সময়ের অনুভূতি নিয়ে। সেবার ওরা গিয়েছিল দেশটা কেমন হবে, সেটা বুঝে দেখতে, তাই মাত্র তিন সপ্তাহ ছিল সেবারে। তার প্রায় দেড় বছর পরে ওরা আবার চলে গেছে গত ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে, অনেকটা স্থায়ীভাবে বলতে পারেন।
ওদের জন্য দোয়া এবং শুভকামনায় অভিভূত হ'লাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭
নীল-দর্পণ বলেছেন: নিরাপদেই ট্যুর দিয়ে ফিরে আসুক আনায়া বাবু আর তার মা-বাবা