নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি অসম্পূর্ণ গল্পের গল্প

০৬ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬

(সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ দৈর্ঘে একটু বড়। পড়ার মাঝে ধৈর্যচ্যূতি ঘটতে পারে, পড়া শেষে সময়ের অপচয় হয়েছে বলে আফসোস হতে পারে)

সেদিন সন্ধ্যায় মাগরিবের আযানের ঠিক আগে আগে হক সাহেবের দাফন প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন হলো। তার ছোট ছেলে ক্ববরের উপর শেষ কয়েকটা মাটির ঢেলা ছিটিয়ে দিয়ে মাওলানা সাহেবের সাথে কন্ঠ মেলালো… “মিনহা খালাক নাকুম, ওয়া ফিহা নুয়িদুকুম, ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম, তা’রাতান উখরা” - "মাটি দিয়ে আমি সৃষ্টি করেছি, এই মাটিতেই আবার ফিরিয়ে নেব, এই মাটি থেকেই আবার আমি তুলে আনব“। দাফনে মহিলাদের উপস্থিতির অনুমতি নেই, তাই আকিকুন্নেসা একটু দূরে দাঁড়িয়ে থেকে অন্যান্য কয়েকজন বয়স্কা আত্মীয়া মহিলাদের সাথে সবকিছু দেখছিলেন, আর কেউ কোন সমবেদনার কথা জানাতে এলে দুই এক ফোঁটা করে অশ্রু ঝরাচ্ছিলেন। সবাই যখন মোনাজাতের জন্য হাত তুললো, তিনিও তখন মাথার আঁচলটা আরেকটু টেনে নিয়ে দু’হাত তুলে দোয়ায় সামিল হলেন। একটু দূরে থাকাতে তিনি মাওলানা সাহেবের কোন কথাই শুনতে পারছিলেন না, কিন্তু তবুও স্বামীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার এই শেষ পর্বে এসে তিনি আর অশ্রুর বাঁধ ধরে রাখতে পারলেন না। হক সাহেবের বিরুদ্ধে তার এই চল্লিশ বছরের দাম্পত্য জীবনে অভিযোগের অন্ত ছিলনা, কিন্তু তবুও তাঁর এই শেষকৃ্ত্যে এসে আকিকুন্নেসা হাউমাউ করে কেঁদে আল্লাহ’র দরবারে আরজ করতে থাকলেন, আল্লাহ, তুমি লোকটাকে মা’ফ করে দিও, আমি মা’ফ করে দিয়েছি!

হক সাহেবের পুরো নাম মোহাম্মদ আজিজুল হক। তিনি বগুড়া আজিজুল হক সরকারী কলেজে দর্শনের অধ্যাপক ছিলেন। তাঁর নিজ বাড়ীও বগুড়া জেলায়। এ নিয়ে লোকজনের কৌ্তুহলের অন্ত ছিলনা। তাঁর পূর্বসূরী বংশধরদের মধ্য থেকেই কেউ কি এই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন? এসব প্রশ্নে প্রথম প্রথম খুব বিরক্ত হয়ে নীরব থাকলেও পরে তিনি মাত্র একটি কথায় এর উত্তর দিয়ে চুপ করে থাকতেন, ‘না’। অধ্যাপক হিসেবে শ্রেণীকক্ষে ছাত্রদের কাছে তিনি খুব প্রিয় থাকলেও কাঠখোট্টা স্বভাবের জন্য শ্রেণীকক্ষের বাইরে এবং সতীর্থদের মাঝে মোটেই জনপ্রিয় ছিলেন না। যতদিন অধ্যাপনা করেছেন, খুব নিষ্ঠার সাথে ছাত্রদের পড়িয়েছেন। যেদিন অবসর নিলেন, সেদিন বাড়ী ফিরে এসে আকিকুন্নেসাকে আগ্রহভরে জানালেন, এখন থেকে তিনি সংসারে মনযোগী হবেন, আর নতুন করে কোন চাকুরী বাকুরী করবেন না। প্রথম কথাটাতে আকিকুন্নেসা বিশ্বাস রাখতে না পারলেও এবং দ্বিতীয় কথাটা তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে গেলেও তিনি উপরে উপরে খুশী হবার ভাব দেখালেন। শাড়ীর আঁচল দিয়ে তার কপালের ঘাম মুছে দিয়ে বললেন, ‘অনেক তো কষ্ট করেছো, এবারে কিছুদিন বিশ্রাম নাও’। এতদিন একসাথে সংসার করার পরেও মাঝে মাঝে আকিকুন্নেসার মনে হয়, লোকটাকে তিনি এখনও ঠিকমত চিনতে পারেন নি। কখনো তাকে মনে হয় কঠোর হৃদয়ের, অনুভূতিহীন, আবার কখনো মনে হয় তার মত সহজ সরল লোক আর হয়না। শেষোক্ত অনুভূতিটাই তাকে সে মুহূর্তে আচ্ছন্ন করলো। সাথে সাথে লোকটার উপর খুব মায়া হলো। তিনি রান্নাঘরে গিয়ে চটজলদি তার জন্য কিছু নাস্তা আর দুই কাপ চা বানিয়ে এনে তার সামনে এসে বসলেন। অসময়ের এই চা নাস্তা দেখে হক সাহেবের মুখে এক ঝলক বালকসুলভ সরলতার হাসি খেলে গেল। অন্যান্য দিন এরকম অসময়ে চা চাইলে তাকে ঝাড়ি খেতে হতো।

অবসর গ্রহণের পর থেকেই হক সাহেব আর আকিকুন্নেসার মাঝে প্রায়ই টুকটাক ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো, যা সাধারণতঃ হয়ে থাকে। এসব হলে হক সাহেব প্রায়ই নীরবতার অস্ত্র প্রয়োগ করে থাকতেন। আকিকুন্নেসা রাগে আপন মনে বক বক করে যখন ক্লান্ত হয়ে যেতেন, ততক্ষণে হয় কোন বেলার খাওয়ার সময় হয়ে যেত, নাহয় শোয়ার। দাম্পত্য জীবনে এ দুটো সময়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ। রাগে গড়গড় করতে করতে কখনো কখনো আকিকুন্নেসা মনে মনে ভাবতেন, ‘আজ ব্যাটাকে না খাইয়ে রাখবো, খাবার বেড়ে দেব না’। তিনি জানতেন, খাবার না বেড়ে দিলে হক সাহেব না খেয়েই শুয়ে পড়বেন। রাগে রাগেই তিনি রান্না বান্না করতেন আর ভাবতেন, তরকারিতে ইচ্ছে করে লবণ কম দেবেন, যাতে হক সাহেবের খাওয়াটা তৃপ্তির না হয়। খাবার বাড়ার সময় মনে মনে ভাবতেন, তরকারির পরিমাণ কমিয়ে দেবেন, মাছের সবচে’ ছোট্ট টুকরোটা তাকে বেড়ে দেবেন। কিন্তু এসব শুধু ভাবাই হয়। অবশেষে দেখা যায়, ঐ দিনের তরকারিটাই সবচেয়ে সুস্বাদু হয়েছে, মাছের সবচে’ বড় টুকরোটাই হক সাহেবের পাতে উঠেছে। এর কারণ, আকিকুন্নেসার ভাবনা আর বিশ্বাসে বৈপরীত্ব কাজ করতো। মনে মনে তিনি যাই ভাবুন না কেন, অন্তরের গভীরে তিনি বিশ্বাস করতেন, স্বামী ও ছেলেপুলেকে ভাল ভাবে রেঁধে বেড়ে খাওয়ানোটা তার নৈ্তিক দায়িত্ব। সে কারণেই রাগ হলেও তিনি এ দায়িত্বে অবহেলা করতে পারতেন না। এমনকি অসুস্থতার সময়েও না। এদিকে ঝগড়ার পরেও স্ত্রীর এতটা অপ্রত্যাশিত, অঘোষিত আদর পেয়ে হক সাহেবও একাধারে বিস্মিত ও তৃপ্ত হতেন। কিন্তু মুখে কিছুই প্রকাশ করতে পারতেন না।

স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হলে হক সাহেবও মাঝে মাঝে এমনতরো কিছু কঠিন সিদ্ধান্তের কথা ভাবতেন, যা আর কারো সাথে কখনো শেয়ার করতে পারতেন না। যেমন, কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ী ছেড়ে হঠাৎ নিরুদ্দেশ হবেন, সহায় সম্পত্তি যা কিছু আছে সব বেচে দিয়ে বিদেশে চলে যাবেন, ইত্যাদি। জীবনে আকিকুন্নেসা তাকে যত আঘাত দিয়েছেন, সবগুলোর অনুপুংখ বর্ণনা দিয়ে তিনি উভয়পক্ষের মুরুব্বীদের কাছে নালিশ করবেন, তারা যা সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটাই তিনি মেনে নেবেন, কারণ তিনি নিশ্চিত ছিলেন, সবকিছু শোনার পর তাদের সিদ্ধান্ত তার পক্ষেই আসবে। এরকম সময়গুলোতে হক সাহেবের একটা নিয়মিত অভ্যেস, বিছানায় সটান শুয়ে পড়ে বালিশটাকে দু’ভাঁজ করে চোখ বুঁজে সিনেমা দেখার মত অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করতে করতে ঘুমিয়ে যাওয়া। কিন্তু চোখ বুঁজলেই তিনি দেখতে পেতেন, আকিকুন্নেসা খানমের পিতা আনোয়ার খান তাঁর মেয়েকে তার হাতে তুলে দিয়ে বলছেন, “একে তোমার হাতে তুলে দিলাম বাবা, সুখে দুখে একে দেখে রেখো”। একথা শুনে আশে পাশের সবাই ডুকরে কেঁদে উঠছে। আকিকুন্নেসাও কাঁদতে কাঁদতেই কত না গভীর বিশ্বাসে তার হাত ধরে চলে এসেছেন তার সংসারে! তারপর থেকে তো সংসার বলতেই তিনি অন্তঃপ্রাণ। হক সাহেব বিশ্বাস করতে শুরু করেন, আকিকুন্নেসা তার সাথে যেটুকু অন্যায় করেছেন, তা না বুঝে করেছেন। তার অন্তর আকিকুন্নেসার জন্য গভীর মায়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। তিনি ধুরমুর করে বিছানা ছেড়ে উঠে পড়েন। ইচ্ছে হয়, আকিকুন্নেসার কাছে গিয়ে দুটো ভালোবাসার কথা শোনান, যা আকিকুন্নেসা চিরকাল তার কাছে শুনতে চেয়েছে। এগিয়েও যান তার কাছে, কিন্তু ভালোবাসার কথা আর বলা হয়না। মুখে একটা কপট কাঠিন্য এনে এটা ওটা কিছু দরকারী সংসারী কথাবার্তা সেরে নেন। এতেও আকিকুন্নেসা অখুশী হন না, কারণ তিনিও চান, ভারী গুমোট পরিবেশটা কোনমতে কেটে যাক।

ঝগড়ার সময় রাতে আকিকুন্নেসা তার দিকে পিঠ ফিরে শুতেন। তিনি প্রথমে কিছুক্ষণ চুপচাপ চিৎ হয়ে শুয়ে থাকতেন। তারপর আস্তে করে হাতটা আকিকুন্নেসার মাথায় রাখতেন। মনে মনে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধ করতেন আর তার জন্য দোয়া করতে থাকতেন। মাঝে মাঝে তার একটা হাত আলতো করে নিজের মুঠোয় নিতেন। কোন কোন সময় এভাবেই দোয়া করতে করতে ঘুমিয়ে পড়তেন, আবার কোন কোন সময় তাকে একটু জোর করেই পাশ ফেরাতেন এবং আদর সোহাগে ভরিয়ে দিতেন। আকিকুন্নেসা পাশ ফিরে শুলেও তৃ্তীয় চক্ষু দিয়ে সবকিছু দেখতে পেতেন এবং ঠিক এ মুহূর্তটির জন্যই অপেক্ষা করতেন। এক নিমেষে দুজনের মধ্যে সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়ে যেত। ভালোবাসার বিচিত্র ভাষার তারা নতুন করে পাঠ নিতেন।

হক সাহেব জীবনের শেষদিকে প্রায়ই মৃত্যুর কথা ভাবতেন। এ কথাটা মনে এলেই তিনি চিন্তা করতে শুরু করে দিতেন, জীবনে কার কার কাছে তার দেনা রয়ে গেছে। নিজের পাওনা নিয়ে তিনি ভাবতেন না, কারণ নিজের পাওনাটুকু ভুলে যেতেই তিনি আজীবন পছন্দ করেছেন। আপসে আপ কেউ পাওনা মিটিয়ে দিলে দিলো, নচেৎ নয়, কোন সমস্যা নেই। তিনি মনে মনে ভাবেন, বেশী না হলেও তার যেটুকু সহায় সম্পত্তি রয়েছে, সেগুলোর ব্যাপারে একটা উইল করে যাওয়া সমীচীন। কখন কি হয়, বলা তো যায় না। তার চোখের সামনেই তো কত চেনামুখ প্রায়ই হারিয়ে যাচ্ছে! একটা লিখিত উইল রেখে গেলে স্ত্রী, ছেলেপুলে আর বৌদের মাঝে সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা হবার সময় ঝগড়া ঝাটি হবার সম্ভাবনা কমে যাবে। এসব ভাবতে ভাবতেই অন্যান্য অনেকের মত হক সাহেবও একদিন কোন নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ করে চলে গেলেন। যেদিন গেলেন, তার দুদিন আগেও আকিকুন্নেসার সাথে তার কোন একটা বিষয়ে তুমুল ঝগড়া হয়েছিল। কথা বলাবলি বন্ধ না থাকলেও, পরিবেশ গুমোট ছিল। তিনি মনের দুঃখে একটা গল্প লেখা শুরু করেছিলেন। গল্পটা শেষ করে যেতে পারেন নি, মাঝখানেই বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করে চেয়ারের একপাশে হেলে পড়েছিলেন। ঘরে তখন আকিকুন্নেসা ছাড়া আর কেউ ছিলনা। ছেলেপুলেরা যার যার কাজে বাইরে ছিল। হক সাহেবের গোঙানির একটা মৃদু আওয়াজ শুনতে পেয়ে আকিকুন্নেসা দৌড়ে এলেন তার কাছে। কাজের বুয়াকে ডেকে নিয়ে তাকে ধরে ধরে কোনমতে পাশের সোফাটাতে বসালেন। কি করবেন, না করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না। হক সাহেব একটা নাইট্রোজেন স্প্রে কিনে এনে বেড সাইড টেবিলে রেখে বলেছিলেন, কারো কখনো বুকে তীব্র ব্যথা হলে জিহবার নীচে তিন চারবার স্প্রে করতে। আজ প্রয়োজনের সময় সেই স্প্রেটাকেও তিনি খুঁজে পেলেন না। তাড়াতাড়ি ছেলেদেরকে ফোন করতে শুরু করে দিলেন।

এদিকে হযরত আজরাইল (আঃ) এসে হক সাহেবকে সালাম দিয়ে জানিয়ে দিলেন, তাঁর সময় শেষ। তিনি প্রথমেই তার জবানটা বন্ধ করে দিলেন। দর্শনের অধ্যাপক হক সাহেব বহুদিন জীবনের শেষ সময়ের অবস্থা কেমন হবে, তা নিয়ে ভাবতেন। তিনি প্রত্যক্ষ করতে থাকলেন, তিনি আনমনে মৃত্যুক্ষণ নিয়ে যেমনটি ভাবতেন, ঠিক তেমটিই সব কিছু ঘটে যাচ্ছে। এসব ঘটতে দেখে তিনি আশ্বস্ত হলেন, তার এতদিনের বিশ্বাস ঠিকই ছিল। তিনিও হযরত আজরাইল (আঃ) কে সালামের প্রত্যুত্তর জানালেন। যাঁর হুকুমে তিনি এ ধরায় এসেছিলেন, তিনিই দূত পাঠিয়েছেন তাকে নতুন এক অদেখা জগতে নিয়ে যাবার জন্য। চিরভীতু হক সাহেব যিনি অসুখ বিসুখেও কোনদিন ভয়ে হাসপাতালে যেতেন না, কি এক আশ্চর্য দৈব শক্তির বলে তিনি শান্তভাবে রাব্বুল আলামীনের কথা স্মরণ করে দূতকে জানালেন, তিনি তার রবের প্রতি আশৈশব বিশ্বাসী ও আত্মসমর্পণকারী, তিনি প্রস্তুত তাঁর কাছে যাবার জন্য! তিনি মনে মনে মহানবী (সঃ) এর প্রতি দরুদ ও সালাম পাঠ করলেন। জীবনের ভুলগুলোর জন্য আকুল মনে ক্ষমা প্রার্থনা করতে লাগলেন। অনেকের কথা তার মনে হতে থাকলো। মনে মনে তাদের কাছে ক্ষমা চাইতে থাকলেন। দেহ থেকে আত্মার চিরমুক্তি লাভের দৈহিক কষ্ট তিনি অনুভব করতে শুরু করলেন। কল্পনা করলেন, আত্মাবিয়োগের পর তার অসাড় দেহ পড়ে আছে, এখনই তাকে শেষ গোসলের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। কে বা কারা তা্র দেহকে নাপাকমুক্ত করে এই শেষ বারের মত পবিত্র করবে, তা তিনি জানেন না, কিন্তু তিনি নিশ্চিত বোধ করলেন যে তার পরিবারের কেউ এ কাজ করবেনা, কিছুটা ভয়ে, কিছুটা সংকোচে। তিনিও জীবনে কখনো কোন মৃতদেহকে আখেরী গোসল করান নি। তার জন্য যারা এ কাজটি করবে, তাদের জন্য তিনি গভীর কৃতজ্ঞতা অনুভব করলেন। জীবনের এই প্রান্তিক সময়ে তার রবের কাছে প্রার্থনা জানালেন, তিনি যেন তাদেরকে এ কাজের জন্য উত্তম বিনিময় দান করেন, তাদের দেহ ও অন্তরকে চিরপবিত্র করে দেন। তার জবান বন্ধ হয়ে গেলেও তখনো তিনি তার চর্মচক্ষে সবকিছু দেখতে পাচ্ছিলেন। একে একে ছেলেরা, আত্মীয় স্বজনেরা তার পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে। তাকে কোলাহল করে এম্বুলেন্সে তোলা হচ্ছে। তার দৃষ্টি ক্রমে ক্রমে একটিমাত্র বিন্দুতে স্থির হয়ে আসছে। চারিদিকে আঁধার ঘনিয়ে আসছে। তার প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ব্যথায় টনটন করে উঠছে। তীব্র গরম বোধ হচ্ছে। তিনি শুনতে পেলেন, কে যেন বলে উঠলো, বাইরে বৃষ্টি নেমেছে…

হক সাহেবের দাফন শেষ করে সবাই যার যার বাড়ী ফিরে গেলেন। আকিকুন্নেসাও ফিরে এলেন তার নিজ বাড়ীতে। বিছানার অর্ধেকটাতে যেখানে হক সাহেব শুতেন, প্রথমে তিনি সেখানে শুলেন, পরে নিজের জায়গাটাতে, তারও পরে দুজনেরটাতে মিলেই। মনে মনে ভাবতে থাকলেন, এখন থেকে এ গোটা বিছানাটা তার, গোটা রুমটা তার। দুঃখের মাঝেও এক ধরণের স্বাধীনতাবোধ তাকে পুলকিত করে গেল। ঘর নোংরা করা নিয়ে হক সাহেবের সাথে প্রায়ই তার যে বাদানুবাদ হতো, এখন থেকে তা আর হবেনা। নিজের ইচ্ছেমত ঘরটাকে সাফ সুতরো রেখে তিনি মনের সুখে এখানে ঘুমোবেন। রাতে বিছানায় শুয়ে তিনি মনে মনে হক সাহেবকে অনুভব করতে চাইলেন। তার মৃত্যুর আগে আগে এরকম ঝগড়া ঝাটি হওয়াতে মনে মনে ভীষণ অনুতপ্ত বোধ করতে থাকলেন। চুপ করে চোখ বন্ধ করে থেকে অনুভব করতে চেষ্টা করতে থাকলেন, হক সাহেব তার হাতটাকে আলতো করে মুঠোবন্দী করেন কিনা, কিংবা মাথায় তার হাত রাখেন কিনা। বেশীক্ষণ শুয়ে থাকতে পারলেন না। অস্থির হয়ে তিনি উঠে এলেন হক সাহেবের লেখার টেবিলে। তিনি তার অসম্পূর্ণ গল্পটা পড়া শুরু করলেন। বেশীদূর এগোতে পারলেন না। গল্পের প্রতিটা লাইনে তিনি হক সাহেবের দীর্ঘশ্বাসের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলেন। ক্ষণে ক্ষণে তিনি ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠতে থাকলেন। ততক্ষণে সবাই যার যার ঘরে চলে গিয়েছে। তার এই কান্নার আওয়াজ আর কেউ শুনতে পেল না।


ঢাকা
০৬ মে ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:২৪

সুমন কর বলেছেন: আপনার গল্প প্রথম পড়লাম, ভালো হয়েছে। +।

০৬ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর। এটাই এ পথে প্রথম পদক্ষেপ বটে। একটু বেশী লম্বা হয়ে গেছে, তবুও, আপনার প্রশংসায় প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। প্লাস এর জন্য কৃতজ্ঞতা, প্রথম প্লাসটা এ যাত্রাপথে প্রেরণা হয়ে থাকবে।

২| ০৬ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:১৫

জুন বলেছেন: শেষ প্যরায় এসে আকিকুন্নেছার স্বাধীনতার কথা পড়ে আমার মামীর কথা মনে পড়লো। স্বামী নিয়মিত ঢাকা ক্লাব থেকে রেসের মাঠ কোথাও নিতে বাদ রাখেন নি। এক একটা বেনারসি শাড়ি দেখে তাকিয়ে থাকতাম এত সুন্দর শাড়িও হয়। বিস্মিত হোতাম মামার পছন্দে। মামা মারা গেল মামী নিজের পছন্দ মত সস্তা সুতা শাড়ি কিনে আনে আট দশটা করে। প্রশ্ন করায় তার উত্তর 'তোমার মামা বেচে থাকতে আমিতো কোনদিন আমার পছন্দ মত শাড়ি কিনতে পারি নাই, বুঝেছো, তাই এগুলোই আমার কাছে অনেক ভালোলাগে।
আপনার প্রথম গল্পে অনেক ভালোলাগা।
+

০৬ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: এত বড় এবং 'হাউকাউ' মার্কা গল্পটা শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ, জুন। প্লাস এর জন্য কৃতজ্ঞতা।
স্বাধীনতা সবাই ভালোবাসে। একেক জনের কাছে এর ব্যঞ্জনা একেক রকমের হয়ে থাকে।

৩| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:২৬

জোগ্যান বলেছেন: বেশ ভাল লাগল! আরও লিখুন।

০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ে ভালো লাগার কথা জানাবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনার "ঘর পালানো" কবিতাটা পড়ে এলাম। অনেকদিন ধরেই তো এই ব্লগে আছেন। কিন্তু আপনার লেখার সংখ্যা এত কম কেন?

৪| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৩৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনার প্রথম গল্প পড়লাম।
ভাল লেগেছে।
++

আরো গল্পের আশায় থাকলাম।

ভাল থাকুন। সবসময়।

০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্প লেখা সহজে আসে না। দৈর্ঘ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়।
আমার এ নগন্য প্রয়াসটুকুতে প্লাস দিয়ে অনুপ্রাণিত করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, শামছুল ইসলাম।
শুভকামনা জানবেন।

৫| ০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ২:৩১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মানুষের দ্বিতীয় চরিত্রটি সুন্দর ভাবে প্রকাশ পেয়েছে।। আমরা দেখি শুধু বাহ্যকটাকেই।।

০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম, সচেতনহ্যাপী। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

৬| ০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:০৬

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। মুগ্ধ হলাম।
এরকম দারুন সব গল্পের প্রতীক্ষায় রইলাম।

০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আর গল্প লেখা হবে কিনা জানিনা, কারণ গল্প লেখা আমার কাছে খুব কঠিন মনে হয়। তবে আপনার মন্তব্যটা ভীষণ প্রেরণাদায়ক। এমন চমৎকার অনুপ্রেরণা পেলে চেষ্টা করে যেতে হবে বৈকি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৭| ০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:০৮

নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো ।

০৯ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: কথাটা এখানে জানিয়ে যাবার জন্য অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা, নীলপরি। ভালো থাকুন।

৮| ০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আত্মকথা?

০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: না।

৯| ০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



-নীচের এই কমেন্টা করেছে অন্য একজন লোক, তিনি আমার নিকের মতো নিক ও প্রো-পিক নিয়ে ফ্লাডিং করছেন!

"ছাদগাজী বলেছেন:


হাউকাউ পোস্ট।
আপনার মগজে পচন ধরেছে, ব্লগের শিক্ষত লোকজন আপনার হাউকাউ বুঝবে না। "

০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: বটে, তিনি একজন "পাকা চোর অতিশয়"। কথাগুলোও তো একদম আপনার মত করেই বলেছেন! :)

১০| ০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৩৬

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া গল্পটা পড়ে সাত সকালে মন খারাপ হয়ে গেলো। সবাইকেই এই পৃথিবী ছেড়ে যেতে হবে একদিন।:(

০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: সবাইকেই এই পৃথিবী ছেড়ে যেতে হবে একদিন -- জ্বী, এর চেয়ে বড় সত্য আর কিছু নেই। কিন্তু এ সত্যকে যেকোন সময়ে মেনে নিতে আমরা কতটুকু প্রস্তুত থাকি?
আপনার "অঙ্ক নিয়ে হাসাহাসি" লেখাটা পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম, সময় করে দেখে নেবেন।

১১| ০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন: ভাল লাগল। আরো লেখা পাওয়ার অপেক্ষায় রইলাম।

০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই ব্লগে এবং আমার পাতায় আপনাকে সুস্বাগতম জানাচ্ছি। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম, সেজন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
আপনার প্রথম লেখাটা পড়ে এলাম। ভালো লেগেছে, গোছানো বক্তব্য।

১২| ০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:০০

পবন সরকার বলেছেন: আপনার লেখা প্রথম গল্প পড়লাম, ভালো লাগল। ধন্যবাদ খায়রুল ভাই।

০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্প পড়ে ভালো লাগার কথা এখানে জানিয়ে যাবার জন্য অনেক ধন্যবাদ, পবন সরকার। ভালো থাকুন।

১৩| ০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:০৮

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
etto sundor Likhsen! mugdho hoye porsi.

from dust we come, dust we wiLL be.

০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভীষণ অনুপ্রাণিত বোধ করছি। অশেষ ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা, ইমরাজ কবির মুন।
আপনার প্রথম ও শেষ পোস্ট দুটো পড়ে মন্তব্য রেখে এলাম।
ভালো থাকুন।

১৪| ০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: লিখায় যত্নের ছাপ ! চমৎকার লিখেছেন ভ্রাতা ।
যদিও বলছেন প্রথম গল্প , আমার কাছে সে রকম মনে হয়নি । আসলে ভাল লিখকের প্রথম বা দ্বিতীয় বলে কিছু নেই ।
সব লিখাই সেরা ! গল্পকারকে অভিনন্দন !!!

০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি গিয়াস উদ্দিন লিটন, আপনার কাছ থেকে আমার এই নগন্য প্রয়াসের উচ্চ প্রশংসা পেয়ে যারপরনাই আনন্দিত এবং অনুপ্রাণিত হ'লাম।
আপনার "শুধু নিয়েই গেলাম , দিতে পারিনি কিছুই" লেখাটা পড়ে দুটো মন্তব্য রেখে এসেছিলাম। হয়তো এখনো দেখেন নি। একটু সময় করে দেখে নিলে খুশী হবো।

১৫| ০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯

মুসাফির নামা বলেছেন: ভাল লাগল লেখাটা।

০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্প পড়ে ভালো লাগার কথাটা এখানে জানিয়ে যাবার জন্য অনেক ধন্যবাদ, মুসাফির নামা। ভালো থাকুন।

১৬| ০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:০২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হায়রে দাম্পত্য
লেখা অনেক ভালো হয়েছে ।

০৯ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: হায়রে দাম্পত্য -- কেন এ কথা?
লেখার প্রশংসায় প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। অশেষ ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা, মনিরা সুলতানা।

১৭| ০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: মাত্র দুটো প্রধান চরিত্র এবং অল্প কথায় তাদের চরিত্র চিত্রণ নিঃসন্দেহে গভীর জীবনবোধের পরিচায়ক।
আপনার লেখনি খুব চমৎকার, ভাল লাগা রইল ভাই+++

০৯ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, বিদ্রোহী সিপাহী। বিষয়টি আপনিই প্রথম উল্লেখ করলেন। গল্পটি একটানে লেখা, তাই ঐ দুটি চরিত্রের প্রতিই বেশী ফোকাসড ছিলাম। অন্যান্য চরিত্র চিত্রণের অবকাশ কম ছিল।
আপনার প্রশংসা পেয়ে অনুপ্রাণিত হ'লাম। প্লাসগুলোও যথেষ্ট প্রেরণা দিয়ে গেল।

১৮| ০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মর্মস্পর্শী লিখাটা একটানে পড়লাম । দর্শনের অ্ধ্যাপক জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও একটি সুন্দর অনুকরনীয় জীবন দর্শন রেখে গেলেন আপনার লিখায় । অতি চমৎকার ভাবে তার জীবন দর্শন আকিকুন্নেসার জবানীতে বলে দিয়েছেন অতি নিপুনভাবে । হক গিন্নী আকিকুন্নেসার কান্না আর কেও না শুনলেও হক সাহেবের কাছে তা পোঁছাবে এতে কোন সন্দেহ নেই । অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি গল্প উপহার দেয়ার জন্য । ভাল থাকুন এ শুভকামনা থাকল ।

০৯ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মন্তব্য থেকেই বুঝতে পারছি, আপনি আমার লেখাটা বেশ মনযোগ সহকারেই পড়েছেন। সেজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, ডঃ এম এ আলী। গল্পের প্রশংসায় অনেক অনুপ্রাণিত হয়েছি। শুভেচ্ছা জানবেন।

১৯| ০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

চাদগাজি বলেছেন:






এই ২টা কমেন্টই করেছে অন্য লোক, তারা আমার নিকের মতো নিক ও প্রো-পিক নিয়ে ফ্লাডিং করছেন। উনার নামে সবাই এডমিনকে মেইল করুন, আমিই আসল চাদগাজী।


চাঁদগাজী বলেছেন:



-নীচের এই কমেন্টা করেছে অন্য একজন লোক, তিনি আমার নিকের মতো নিক ও প্রো-পিক নিয়ে ফ্লাডিং করছেন!

"ছাদগাজী বলেছেন:


হাউকাউ পোস্ট।
আপনার মগজে পচন ধরেছে, ব্লগের শিক্ষত লোকজন আপনার হাউকাউ বুঝবে না। "

০৯ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আশাকরি, বিষয়টা ইতোমধ্যে এডমিনদের নজরে এসেছে, এবং তারা প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থাও গ্রহণ করেছেন।

২০| ০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:১১

নীল মনি বলেছেন: জীবনের চরম অভিজ্ঞতা একবার নিয়েই চলে যেতে হয়,কাউকে বলেও যেতে পারেনা কতটা কষ্টের।।ভীষণ সুন্দর করে ছবি একেঁ একেঁ যেন লিখেছেন।শুকরিয়া

০৯ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন দিয়ে লেখাটা পড়েছেন, এজন্য জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ। আর সময় করে সুন্দর একটা মন্তব্য রেখে গেলেন, এতে ভীষণ অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা জানবেন, নীল মনি।

২১| ০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:২২

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:

দারুন লিখেছেন।

ভাল লাগা রইল। :)

০৯ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক খুশী হ'লাম। ভালো থাকবেন, বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায়।

২২| ০৯ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩

জেন রসি বলেছেন: গল্পে একটা শান্ত ভাব ছিল। মনে হচ্ছিল অস্থিরতার জায়গাগুলোও খুব নির্লিপ্ত ভাবে লিখে ফেলেছেন। এই কাজটা সহজনা। কিন্তু আপনি সফল হয়েছেন। ভালো লেগেছে।

০৯ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম আপনার এ চমৎকার পর্যবেক্ষণ দেখে। আসলে আমি অস্থিরতার জায়গাগুলোর প্রতিই বেশী ফোকাসড ছিলাম, সেজন্যই হয়তো বা এটা সম্ভব হয়েছে। প্রশংসা ও সাফল্যের কথায় মন ভরে গেলো। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা আপনাকে, জেন রসি।

২৩| ০৯ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭

আমিই মিসির আলী বলেছেন: কাহিনী ভালো লাগছে।

তার স্ত্রীর নামটা তো জটিল =p~

আপনে এত চমৎকার করে লিখেন কি করে!
মুগ্ধ হয়ে যাই।

০৯ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: তার স্ত্রীর নামটা তো জটিল - জ্বী। খুশী হ'লাম, যে সেটা খেয়াল করেছেন। আমারও খুব ভালো লেগেছে নামটা।
লেখাটার ব্যাপারে আপনার মুগ্ধতার কথা জেনে অনুপ্রাণিত বোধ করছি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা, আমিই মিসির আলী।

২৪| ০৯ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো গল্প পড়ে। শুভকামনা রইল।

০৯ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, রায়হানুল এফ রাজ, গল্পটা পড়ার জন্য। মন্তব্যে প্রীত হয়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.