নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
দিনে কিংবা রাতে, ঘুমোবার আগে
সবুজ দেখে তার পাশে একটি শান্ত নদী শুয়ে আছে।
এভাবে অনেক বছর ধরে বয়ে যাওয়া এই স্বচ্ছতোয়া
নদীটির নাম সবুজ দিয়েছে ‘করতোয়া’!
সবুজের সে নদীরও দুটো হাত আছে।
সে ঘুমুতে এলেই করতোয়ার একটি করতল প্রবাহিত হয়
তার মাথা থেকে মুখে, মুখ থেকে গাল বেয়ে থিতু হয় বুকে।
করতোয়ার করস্পর্শে নিমেষে তার চোখে ঘুম নেমে আসে।
ঘুমের ঘোরে সবুজ করতোয়ার একটি করকমল খুঁজে নিয়ে
ঢেকে রাখে নিজ করতলে। যদি না পায় খুঁজে সে কোন হাত,
তবে অন্ধকারে সে খুঁজে নেয় শিথানে রাখা করতোয়ার মাথা।
আলতো করে ঢেকে রাখে তার সিঁথি, ভালবাসার আচ্ছাদনে।
ঢাকা
১৫ অক্টোবর ২০১৮
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্য, অনেক প্রীত হ'লাম কবিতা পড়ে আপনার উচ্ছ্বাসপূর্ণ মন্তব্য পেয়ে।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা----
২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহা! " করতোয়ার করস্পর্শে নিমেষে তার চোখে ঘুম চলে আসে। "
আলতো করে ঢেকে রাখে তার সিঁথি , ভালোবাসার আচ্ছাদনে। "
অপূর্ব লাগলো সবুজের করতোয়া । করতোয়ারা এভাবেই বাঁচুক সবুজদের গহীনে।
বিনম্র শ্রদ্ধা আপনাকে ।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা থেকে উদ্ধৃতির জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ভাল থাকুন, শুভকামনা...
৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫৫
টুটুল বলেছেন: জ্বি না, ভাইয়া। আমি আপনার ব্লগ বাড়িতে প্রায়ই বেড়াতে আসি। এর আগেও মন্তব্য করেছি, আপনি প্রত্যুত্তর দিয়ে অনুগ্রিহীতও করেছেন। এছাড়া আমি দুটো অনুকাব্য পোস্ট করেছিলাম। দুটি অনুকাব্যআপনি পরামর্শ দিয়েছিলেন যে ও দুটোকে বাড়িয়ে দুটো কবিতাই লেখা যেতো। আপনার সম্মানার্থে আমি একটি অনুকাব্যকে দীর্ঘায়িত করে একটি কবিতা লিখেছিলাম পোস্ট করেছি- বিষয়টা উল্লেখ করে। হয়তো আপনার নজরে পড়ে নি। কথা ছিলো
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: "প্রথম মন্তব্য" বলতে আমি বুঝিয়েছি, আমার এই কবিতায় প্রথম মন্তব্যটি আপনার। আমার ব্লগে আপনি এই প্রথম এসেছেন, তা বলিনি।
অবশ্যই আপনার কবিতাটা পড়ে দেখবো।
৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৬:২৯
সোহানী বলেছেন: ভালোবাসার করোতোয়ার খোঁজে............. ভালোলাগা।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতায় ভাললাগা রেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা রইলো---
৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: শুভ সকাল।
সকালবেলা সুন্দর একটি কবিতা পাঠ করলাম।
করতোয়া নদীতে গোছল করেছি।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পাঠ করার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:০০
বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন?
করতোয়া
করতল
করকমল
ভাল সব শব্দেরা।
আমি কবিতা নিয়ে সংকলন পোস্ট দেওয়ার চেষ্টা করছি, কিন্তু ওখানে আপনাকে পাচ্ছি না, যদি একটু কষ্ট করে মতামত দিতেন।
অনেক ভাল থাকুন।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি ভাল আছি। আশাকরি আপনিও।
এই মাত্র ঘুরে এলাম আপনার এই বিশাল কর্মযজ্ঞ থেকে। অন্তরের ভালবাসা ছাড়া কবিতার জন্য এতটা কেউ করতে পারেনা। আপনাকে এবং স্রাঞ্জি সে কে অনেক ধন্যবাদ, কবিতার জন্য এতটা শ্রম, সময় এবং মেধা ব্যয় করার জন্য।
৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৫৪
করুণাধারা বলেছেন: প্রত্যেকের বুকের মাঝে এক নদী বয়ে চলে। যখনই শীতলতার প্রয়োজন হয়,তখনই সে হাত বাড়িয়ে বুকের মাঝে নদীকে আঁকড়ে ধরে.....
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর বলেছেন। কাব্যিক মন্তব্যটা খুব ভাল লাগলো। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০৫
জুন বলেছেন: আমার মত আপনিও একজন প্রকৃতি প্রেমী তা আপনার প্রতিটি লেখার ছত্রে ছত্রে ফুটে ওঠে খায়রুল আহসান । অনেক অনেক ভালোলাগলো করতোয়াকে নিয়ে লেখা কবিতা ।
+
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ভাল লাগছে আমার এ স্বল্পপঠিত কবিতাটিতে আপনার সুন্দর একটা মন্তব্য পেয়ে। আশাকরি, আপনি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ভাল থাকুন, আনন্দে থাকুন সপরিবারে।
আপনার শিল্পী থাওয়ান দাচেনের এক ব্যতিক্রমী সৃষ্টি "বানদাম মিউজিয়াম"-- বাংলায় কালো যাদুঘর - পোস্টটা পড়ে দুটো মন্তব্য রেখে এসেছিলাম। আশাকরি, একবার সময় করে দেখে নেবেন।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৫:০৪
জাহিদ অনিক বলেছেন: আহা ! দারুণ। কবির মানসপটে আকা জলদ করোতোয়া'র নামকরণের দৃশ্যপট দেখতে পেয়ে ভালো লাগছে।
কবিতায় ভালো লাগা জানবেন।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: 'করোতোয়া' নামটা আমার খুব ভাল লাগে। কর মানে হাত, এটা সবাই জানে; 'তোয়া' মানে 'হাত দিয়ে অনুভব করা', 'হাত বুলানো', 'খোঁজা'। এই হাত বুলানোর কাজটা স্নেহ, ভালবাসা, মমতা ছাড়া করা যায় না।
হিন্দু পুরাণে আছে, শিবের সাথে পার্বতীর বিয়ের পর পার্বতী জল ঢেলে শিবের হাত ধুইয়ে দিয়েছিলেন। সেই পতিত জলধারা থেকেই কালক্রমে একটি নদীর সৃষ্টি হয় এবং শিবের হাত বুলিয়ে এসেছে- এ কারণেই সে নদীটির নাম হয় 'করতোয়া'।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক, অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা!!!
১০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আপনার কবিতা পড়ে আমার বাড়ির পাশে বানার নদীর কথা মনে পড়লো। বাড়িতে যাওয়া হয়না কম। আর এখন সেই শাখা নদী দখলদার দের দখলে শেষ। সেটা এখন মরা খাল।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
বানার নদীটা টাংগাইল জেলায় না? নাকি ময়মনসিংহে পড়েছে? একসময় ভীষণ খরস্রোতা ছিল। জলদস্যুদের খপ্পরে পড়ে দেশের আজ সব নদীর অবস্থাই সংকটাপন্ন। প্রকৃতি ঠিকই একদিন এর প্রতিশোধ নেবে, সেদিন খুব বেশী দূরে নয় বলে মনে হয়।
০৩ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট "একটি সাহসী কবিতা" পড়ে সেখানে একটা মন্তব্য রেখে এসেছি। আশাকরি, একবার সময় করে দেখে নেবেন। আপনার প্রথম পোস্ট "আমি কবি হতে আসিনি" পড়েও একটা মন্তব্য করে এসেছিলাম, যা হয়তো নোটিফিকেশন বিভ্রাটের কারণে আজও দেখেন নি, তাই পুনরায় জানিয়ে গেলাম।
১১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: জি। মনমসিংহ তেও আছে। আমাদের গ্রামে শেষ সীমা।। তারপর এইটা এসে ব্রহ্মপুত্র তে মিশেছে। মাঝখানে আছে কিছু বিল, গাঙ, ছোট ছোট অংশ।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনাদের গ্রাম এবং উপজেলার নাম কী? বানার নদী খুব সম্ভবতঃ মুক্তাগাছা যেতেও পার হতে হয় (সেতু ক্রস করতে হয়)।
১২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:২৭
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ওইটা ওইদিকে জামালপুর এর কাছে শেষ হয়েছে। বানার। আর এই দিকে ময়মনসিংহ তে মধুপুর এর এদিকে এসে শেষ সীমানা। অনেক বড়ই বলা যায়। আমি দুই দিক ই দেখেছি। ওইদিকে ম্রহ্মপুত্র নামে একটা নদীর পয়েন্ট আছে। আর এইদিকে ময়মনসিংহের কিছু অংশ আছে। আমার গ্রাম ময়মনসিংহ ত্রিশাল তবে ভালুকার পশ্চিম উত্তর কোণে। শেষ দিকে। আর এই দিক হতে আপনি যেতে পারবেন ফুলবাড়ি হয়ে সুজা সাগর দিঘি হয়ে মধুপুর। ১ঘন্টার পথ। আমাদে গ্রামের শেষের দিকে গড় আছে। মধুপুর যাওয়া সহজ।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: পুনঃমন্তব্যে ধন্যবাদ। আমার জানার আগ্রহ প্রশমিত হলো।
১৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আমাদের গ্রামেও একটা জমিদার বাড়ি আছে। কেউ জানে কিনা জানিনা। এটা সেই রাজাদে জাগির ছিল। তার কাজ ছিলো কর তোলা আর জমা দেয়া। বাড়িটা এখন নাই। মানে মাটির সাথে মিশে গেছে। কোন বইয়ে পাইনি তার কথা। এইখানে এমন জিনিস আছে যা কোথাও নাই। পুকুরের নিচে ভিতরে পর্যন্ত ছিল পাকা করা। কঠিন পাথরে গড়া। ঘাট আছে। আর দালানের কিছু অংশ।
এর ইট এতো বড় যে মানুষ এইটা দিয়ে মশলা পিশার পাটা বানাতে পারে।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রীত হ'লাম।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৩
টুটুল বলেছেন: সে ঘুমুতে এলেই করতোয়ার একটি করতল প্রবাহিত হয়
তার মাথা থেকে মুখে, মুখ থেকে গাল বেয়ে থিতু হয় বুকে।
আহ ভাই, প্রেমে পড়ে গেলাম। অসাধারণ সৃষ্টিশীল কথা।