নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
ছোটবেলায় আমি মায়ের ফুট ফরমাশ খাটতাম। এটা আমি স্বেচ্ছায় করতাম, করতে খুব ভাল লাগতো, আর তা করে খুব সহজে মায়ের নৈকট্য অর্জন করতাম। সাত ভাইবোনের পরিবারে মায়ের নৈকট্য অর্জন করতে পারাটাও একটা প্রতিযোগিতার মত ছিল। সংসারের এটা ওটা কিনে আনার জন্য মা আমাকে প্রায়ই দোকানে পাঠাতেন। এ ছাড়া পরিবারের জন্য কাঁচা বাজার করার দায়িত্বটা খুব কম বয়স থেকেই আমার ঘাড়ে পড়েছিল। এতে আমি মোটেই অখুশী ছিলাম না, এর প্রধান কারণ এর ওসিলায় সকালের পড়া থেকে একটু আগে ভাগেই অব্যাহতি পাওয়া যেত। বাজার এনে দিয়ে গোসল করে গরম ভাত খেয়ে স্কুলে যেতাম। বিকেলে আবার স্কুল থেকে ফিরেও ভাতই খেতাম। ভাত খেয়ে উঠেই খেলতে যেতাম। তখন কোন ফাস্ট ফুডের বালাই ছিল না, তাই ভেতো বাঙালী হয়েই তৃপ্ত ছিলাম। কখনো কখনো যদি একটু জ্বর হতো, ব্যস, সাথে সাথে ভাত বন্ধ; শুরু হয়ে যেত রবিনসন বার্লি খাওয়া, খেতে না চাইলে কিছুটা লেবুর রস মিশিয়ে তাকে সুঘ্রাণযুক্ত করা হতো। আর সেই সাথে চলতো একটু ভারী খাবার হিসেবে সাগু দানা। জ্বর ছেড়ে না যাওয়া পর্যন্ত এ পথ্যই চলতে থাকতো। খুব আপত্তি করলে মাঝে মাঝে কপালে জুটতো পাউরুটি টোস্ট।
দোকানে বা বাজারে যাওয়ার পথে আমাকে ভীষণভাবে আকৃ্ষ্ট করতো পথপার্শ্বে ক্যানভাসারদের চমকপ্রদ বিপণন কৌশলে নিবেদিত লেকচার এবং গান বাজনা, কখনো কখনো কিছুটা মূকাভিনয়ও। তখন আমরা থাকতাম কমলাপুরে। এখনকার রেল স্টেশন তখনো হয়নি। এখন যেখানে স্টেশন প্লাটফর্ম, তার একটু ওপাশেই বড় বড় নৌকা এসে ভীড়তো। তাতে বোঝাই থাকতো ‘সুন্দরী গাছ’ এর কাঠ। তখনো দেশে গ্যাস পাওয়া যায়নি। ঢাকাবাসীরা রান্নার জন্য জ্বালানী হিসেবে লাকড়ির চুলা ব্যবহার করতেন, কেউ কেউ করতেন ‘ভূষি’র চুলা’। সেই জ্বালানী কাঠ হিসেবে ‘সুন্দরী’ কাঠের খুব চাহিদা ছিল। ব্যাপারীরা সকালে নৌকা বোঝাই কাঠ এনে সারাদিনব্যাপী ঘরে ঘরে হাঁকডাক করে কাঠ বিক্রী করে বিকেলে আবার তাদের নৌকা করে দূর গ্রামে ফিরে যেতেন। তাদের সাথে আসতো কিছু বেদেনীর নৌকাও। বেদেনীরা নানা রঙ ঢঙ করে গান গেয়ে সাপের খেলা দেখাতো আর বাচ্চা বুড়ো নির্বিশেষে দাঁতের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের দাঁত থেকে সাদা সাদা ‘পোকা’ বের করতো। পরে বড় হয়ে জেনেছি, ওদের ঐ পোকাগুলো ছিল সব ভূয়া। ওরা আলাদাভাবে একটা গোপন শিশির ভেতরে করে ঐসব পোকা নিয়ে আসতো। তবে খালি গলায় গাওয়া ওদের গানগুলো ছিল জনপ্রিয়, সুরও ছিল অনবদ্য। মাঝে মাঝে ওরা সাপ ছেড়ে দিয়ে দর্শকদেরকে ভয়ও দেখাতো।
আমি অবলীলায় পথের পাশে থমকে দাঁড়িয়ে এদের নিজস্ব কায়দায় সঙ্গীত নিবেদন উপভোগ করতাম। এর পরে যখন আরেকটু বড় হয়ে ট্রেনে বাসে একা একাই যাতায়াত শুরু করলাম, তখন ট্রেনের মধ্যে কিংবা ফেরী ঘাটে বাসের ভেতর ফকির ফকিরনীদের দ্বৈত সঙ্গীতের আমি থাকতাম গুণমুগ্ধ শ্রোতা। বোনারপাড়া রেলওয়ে জংশন থেকে একজন দোতারা বাদক বাউল সাধক উঠতেন, বোনারপাড়া থেকে গাইবান্ধা পর্যন্ত সাড়াটা রাস্তা তিনি দোতারার সাথে তার নিজের লেখা গান শোনাতে শোনাতে যেতেন। অবশেষে গাইবান্ধায় ট্রেন থামলে তিনি নেমে যেতেন। প্লাটফর্মে বসে এক কাপ গরম চা পান করে গাঁয়ের মেঠো পথ ধরে তিনি নিজ গৃহ অভিমূখে ধীর লয়ে হেঁটে যেতেন। অপূর্ব ছিল তার কন্ঠ এবং তার বাজনা। উপস্থাপনাও ছিল চমকপ্রদ।
আমার ছোটবেলার সেই অভ্যেসটা চিরদিনই রয়ে গেছে। বিদেশ ভ্রমণের সময়েও আমি যখনই কোন পথ-শিল্পী পেয়েছি, একটু থেমে তার গান শুনেছি। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ইউএসএ’র নিউ ইয়র্ক, প্রভৃতি জায়গায় আমি এসব পথশিল্পীদের গান শুনে মোহিত হয়েছি। ইংরেজীতে এদেরকে ‘busker’ বলে, যারা পথের পার্শ্বে বা পথের কোন এক কোণের খোলা জায়গায় গান বাজনা করে পথচারীদের চিত্তবিনোদন করে এবং বিনিময়ে সামান্য কিছু আর্থিক সৌজন্য কামনা করে, তবে কখনোই কোন জোরাজুরি করেনা। কেউ সামান্য কিছু সহায়তা দিলেও হাসিমুখে তা একনলেজ করে।
আজ সকালে অস্ট্রেলীয় কবি Tania Montgomery এর “Ode To The Busker” নামের এই কবিতাটি পড়তে পড়তেই আমার এত কিছু মনে পড়ে গেলঃ
Ode To The Busker
I heard him at the sidewalk of the famous 'Times Square'
As he strummed his tunes on his guitar, with soulful words to bare
I watched the people just pass by, no-one had cared to see
His voice just telling stories of how old times used to be
I glanced upon his guitar case, there were no coins thrown in
His clothes of dustbin throw aways, all tattered, torn and thin
So I stopped and emptied all my coins and placed them in the case
He winked and smiled sincerely as he danced around the place
He stopped and asked me to request whatever came to mind
I said 'Mr Bojangles' is my favorite song, you're just too kind
And he played it well as people filled the case so easily
He smiled a smile I've never seen done so unpretentiously
If ever you walk by a place where a busker may just be
Please stop for a little moment and give him your charity
It isn't much to hand a coin or stop and clap with glee
Cause a busker just sings his heart out for all of us to see
-- By Tania Montgomery
ঢাকা
০৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২০
প্রিন্স হ্যামলেট বলেছেন: স্মৃতিকথা ভাল লাগলো । তারিখ ঠিক করুন
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, এ অনভিপ্রেত ভুলটুকু ধরিয়ে দেয়ার জন্য।
স্মৃতিকথা ভাল লাগলো - জেনে খুব খুশী হ'লাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।
৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৮
মা.হাসান বলেছেন: Khub valo laglo.
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম প্লাসটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম।
৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩১
মাহের ইসলাম বলেছেন: ভালো লেগেছে।
শুভ কামনা রইল।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম। আপনার জন্যেও রইলো অনেক, অনেক শুভেচ্ছা....
৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫১
ঋতো আহমেদ বলেছেন: ভালো একটি পোস্ট উপহার দিলেন আমাদের। busker দের প্রতি আমারও খুব আগ্রহ আছে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সময় একবার এমন একজনকে পেয়েছিলাম ট্রেনে। তারপর তাকে sust-এ দাওয়াত দিয়ে শেষে ধরে নিয়ে গেছিলাম গান শোনানোর জন্য।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাহ, খুবই চমৎকার তো আপনার এ অভিজ্ঞতাটা! শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৫৩
সোহানী বলেছেন: আপনার সাথে মনের কোন কোনায় যেন মিল আছে। আপনি বিশ্বাস করবেন এ কাজটা আমি প্রতিদিন করি। আপনি দেখেছেন শুধু পথে নয় এরা প্রায় স্টেশনে ও বাজয়। আর কানাডার বড় বড় স্টপেজ বা সাবওয়েতে এদের দেখা পাওয়া যায়। আমি যখনই সময় পাই দাড়িঁয়ে যাই, গান শুনে সামান্য কিছু খুচঁরা দেই। তবে আমার খুব মায়া হয় এদের জন্য সারাদিনে খুব একটা আয় করতে দেখি না। বার্লিনে গেলে বেশী দেখবেন জীবন্ত স্টাচু। খুব খারাপ লাগে এ ঠান্ডায় ওরা কিভাবে দাড়িঁয়ে থাকে। ওকে নেক্স ওদের ছবি নিয়ে একটা পোস্ট দিবো আশা করি।
অনেক কিছু একসাথে মনে করিয়ে দিলেন প্রিয় খায়রুল ভাই। অনেক অনেক ভালো থাকেন। আপনার বই পড়ার আগ্রহ নিয়ে আছি। কবে কালেকশান করতে পারবো জানি না।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: তবে আমার খুব মায়া হয় এদের জন্য সারাদিনে খুব একটা আয় করতে দেখি না - ঠিকই বলেছেন। এরা কন্ঠ বেচে দিন আনে দিন খায়। তবে এরা ধন্যবাদ পাবার যোগ্য, কেননা এরা কোন অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে সঙ্গীতের মূর্ছনা ছড়িয়ে মানুষের সাহায্য কামনা করে দিন গুজরান করে।
কবে কালেকশান করতে পারবো জানি না - কোন তাড়াহুড়ো নেই। ্মেলা শেষ হয়ে যাবার পরেও কিছু বই আমার হাতে থাকবে। কেউ সংগ্রহ করতে পারলে জানাবেন। গুলশান-বারিধারা এলাকায় হলে হোম ডেলিভারীও দেয়া যাবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:২৬
হাবিব বলেছেন: আমিও মায়ের ফুট ফরমাশ খাটতাম, এখনো বাড়িতে গেলে খাটি। আপনার স্মৃতিকথা শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ খায়রুল ভাই
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমিও মায়ের ফুট ফরমাশ খাটতাম, এখনো বাড়িতে গেলে খাটি - খুব ভাল কথা। জেনে প্রীত হ'লাম।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর পোষ্ট।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২৪
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: ভাল লাগল ।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। প্রীত হ'লাম।
১০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০২
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: স্মৃতির নদীতে নৌকা চালাতে কে না ভালোবাসে?
মন আকাশে ভেসে ওঠে পুরান কথা.....
যা লেখা ছিলো মানসপটে......
লিখেছেন তা এই ব্লগ পোস্টে.....
অসাধারণ একটা পোস্টে ভালোলাগা......
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক, অনেক ধন্যবাদ, এমন সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
১১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪৮
নীল-দর্পণ বলেছেন: সেই সময়ের ঢাকা আর এখনের ঢাকা কেমন লাগে না? আপনার লেখা পড়তে পড়তে আমি মনে হচ্ছিল চোখের সামনে দেখতে পারছিলাম কমলাপুর রেল স্টেশনের পাশে খালে সারি বেঁধে নৌকা!
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ, আপনি চোখের সামনে যেটা দেখতে পারছিলেন, সেটাই আগে কমলাপুর রেল স্টেশনের পাশে বাস্তবে দেখা যেত।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা----
আপনার প্রথম পোস্ট - prothom barei bartho এ একটি আনুষঙ্গিক মন্তব্য রেখে এসেছি। একবার সময় করে দেখে নেবেন।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: এ ছাড়া আপনার ২৩-০১-২০০৯ এর পোস্ট ইনশাআল্লাহ রবিবার মেলায় যাব পড়েও একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম।
আর আজ করলাম বিভার সিঙ্গাপুর যাওয়া পোস্টের উপর।
১২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:১২
নীল-দর্পণ বলেছেন: সামুর সমস্যা নাকি আমার বুঝতে পারছিনা। কোন নোটিফিকেশন দেয় না আমাকে নতুন কমেন্টের, আর পোস্টেও দেখায় না রিসেন্ট পোস্টের কমেন্ট । তাই কমেন্ট আসলে অনেক সময় সময় মত দেখতে পারিনা। আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন। পুরনো পোস্টে মন্তব্যের জন্যে অনেক পুরনো স্মৃতি মনে করে খুব মজা পেয়েছি।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: নোটিফিকেশন বিভ্রাট সামু'র পুরনো রোগ। এ রোগ বুঝি আর সারবে না।
আপনার বিভার সিঙ্গাপুর যাওয়া পোস্টে আরেকটা আনুষঙ্গিক মন্তব্য রেখে এসেছি।
১৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। আমারও পথগায়কদের ভাল লাগে। বেড়াতে গিয়ে মাঝে মাঝে এদের দেখা পেয়ে মুগ্ধতা গ্রাস করে। নীলাচলে সন্ধের আলো আধাঁরিতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মধ্য বয়স্ক লোকের গাওয়া "ক্যানে পিরিতি বারাইলি রে বন্ধু..." এখনো কানে বাজে। গত বছর ভারতের ধর্মশালায় পাহাড়ের উপর এক টুরিস্ট স্পটে রাজস্থানি দম্পতিকে পেয়েছিলাম Busker হিসেবে।
আপনার স্মৃতিচারণমূলক অংশটুকু অনেক বেশী হৃদয়গ্রাহী ছিল। ++++
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ সুন্দর মন্তব্যটা পড়ে আমার স্মৃতির পাখিরা আবারও ডানা মেলতে শুরু করলো। আরো কিছু সুন্দর সুন্দর স্মৃতির কথা মনে পড়লো এসব পথপাশের বাস্কারদের নিয়ে। আপনার স্মৃতিদুটো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ভাল থাকুন, শুভকামনা----
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রায় সাত বছর আগে পোস্ট করা আপনার কবিতা "ছেঁড়া স্বপ্নেই্ স্বপ্ন বুনি" পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এলাম। আশাকরি, আপনি এখন ব্লগে অনিয়মিত হলেও, একবার সময় করে দেখে নেবেন।
১৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:০৪
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: স্মৃতিচারনমূলক লিখা আমার বরাবরই ভালো লাগে। আপনারটাও ভালো লেগেছে স্যার। অতীতের দৃশ্যগুলো কেমন যেন ছবির মত কল্পনায় ফুঁটে উঠে। তবে সত্যি বলতে কি, আমি ছোটবেলা থেকেই অনেক ইন্ট্রোভার্ট। বাজারে যাওয়া আমার কাছে সবচেয়ে অপছন্দের কাজগুলোর একটা। তাই, মা বরাবরই বড় ভাইয়াকে আর বাবাকে পাঠাতো। মাঝে মাঝে জোর করে হলেও আমাকে পাঠানো হতো। বাবার সাথে বাজারে যাওয়া বরাবরই ভয়ের ব্যাপার ছিলো, যদিও বাবা হয়তো কিছুই বলতোনা তবুও অজানা ভয় কাজ করতো। মুরগি আর মাছের বাজারের কাঁদা আর গন্ধ আমার এখনো সহ্য হয়না। এবার অবশ্য দেশে গিয়ে, শাক-শবজি, মা'র জন্য পান-জর্দা, টুকিটাকি বাজার করেছি। কাঁদা আর গন্ধ পেলেই আমি ছুঁটে পালাই।
বিয়ের দাওয়াতে যাওয়াও আমার অপছন্দ ছিলো, তবে এখন হয়তো কিছুটা যাই। হ্ট্টগোল, চিৎকার-চেচামেচি আমি ভীষণ অপছন্দ করি। সমস্যার কথা বৈ কি!
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এ লেখাটা পড়ে আপনারও কিছু স্মৃতিচারণ করে গেলেন, সেটা পড়ে ভাল লাগলো।
আমাকেও মোটামুটি ইন্ট্রোভার্ট বলা যায়, তবে বাজার করাটা আমি তখনও উপভোগ করতাম (গত্যন্তর ছিল না), এখনও করি। বিক্রেতাদের সাথে মাঝে মাঝে টুকটাক আলাপ সালাপও করি, যদি ক্রেতাদের তেমন ভিড় না থাকে বা একটু কম থাকে। একবার এক ধুন্দুল (এক ধরনের সব্জী) বিক্রেতা বয়স্কা নারী দাঁতের অসহ্য ব্যথায় কাতর হয়ে তার ঝুড়ির সব ধুন্দুল আমাকে অনেক কম দামে দিয়েছিল। বুড়ীর কষ্টের এবং ক্ষতির কথা বিবেচনা করে পরের দিন কিছুটা ক্ষতিপূরণ দিয়ে এসেছিলাম।
হ্ট্টগোল, চিৎকার-চেচামেচি ইত্যাদি আমারও পছন্দ নয়।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। প্রীত হ'লাম।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Excellent