নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মায়া .... (১)

০২ রা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:২৭

রেজা আর রানা দুই সহোদর। রেজার বয়স দশ বছর, রানার ছয়। রেজা পড়ে পঞ্চম শ্রেণীতে, গভঃ ল্যাবরেটরি হাই স্কুলে, আর রানা ওদের মিরপুরের বাসার কাছাকাছি একটি প্রাইমারী স্কুলে। রেজার বাবা সাত্তার সাহেব ব্যাংকে চাকুরী করেন। সকালে বাসা থেকে বের হবার আগে টিফিন বক্সে দুপুরের জন্য হাল্কা লাঞ্চ নিজের হাতব্যাগে ক্যারী করেন। ওদের মা রাহেলা এতদিন গৃহবধুই ছিলেন, কিন্তু একজনের বেতনে সংসার চলে না বিধায় তিনিও একটা অফিসে চাকুরী নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। উভয়ের কর্মস্থল ছিল কর্মব্যস্ত মতিঝিল এলাকায়। ওনারা বাসে করেই যাতায়াত করতেন।

একদিন সকালে রাহেলা ঘুম থেকে উঠে রানার কপালে হাত দিয়ে দেখলেন, তার জ্বর। তাড়াহুড়ো করে নিজের এবং স্বামীর নাস্তা ও লাঞ্চ বানিয়ে তিনি অফিস যাবার জন্য তৈরী হচ্ছিলেন বটে, কিন্তু অসুস্থ ছেলেটাকে বাসায় রেখে যেতে তার মায়া হচ্ছিল। তিনি রেজাকে বললেন, ‘আজ তোমার স্কুলে যাওয়া লাগবে না। ছোট্টভাইটাকে তুমি একটু দেখে রেখো, আমি আজ অন্য দিনের চেয়ে এক ঘন্টা আগেই চলে আসবো। ওর জ্বর এসেছে, ওর সাথে একটুও ঝগড়া করবে না কিন্তু’! এ কথা শুনে রেজা প্রথমে একটু আপত্তি করলো, কারণ ভাল স্কুল, একদিন স্কুল মিস যাওয়া মানে অনেক কিছুই মিস করা। পরক্ষণেই ঘুমন্ত ছোটভাইটার দিকে তাকিয়ে তারও মায়া হলো, তাই সে রাজী হয়ে গেল।

বাবা মা অফিসে রওনা হবার পর রেজা অপেক্ষা করতে লাগলো, রানা কখন ঘুম থেকে উঠবে। ওর উঠতে দেরী হচ্ছে দেখে সে একটা গল্পের বই নিয়ে পড়া শুরু করে দিল। রানা জেগে ওঠার পর সে ওকে আদর করে নাশতা খাওয়ালো, তারপর দুই ভাই মিলে মনোপলী খেলতে বসলো। কিন্তু রানার শরীর ভাল নেই বলে কিছুক্ষণ খেলেই সে আবার বিছানায় গড়িয়ে পড়লো। ওদের দুপুরের খাবার মা টেবিলে বেড়ে রেখে গিয়েছিলেন। দুপুরে রানা ঘুম থেকে ওঠার পর রেজা ওর হাতমুখ ধুইয়ে দিল। তারপর নিজেও গোসল করে এসে দুই ভাই একত্রে খেতে বসলো।

বিকেলের দিকে রানার জ্বর একটু বেড়ে গেল। মা মা বলে ও মাকে ডাকতে থাকলো। রেজা এটা ওটা বলে ওকে শান্ত করার চেষ্টা করে, কিন্তু জ্বরের প্রকোপে রানা এক সময় কান্না শুরু করলো। রেজা রানাকে বলতে থাকলো, ‘তুমি কান্না থামাও, মা এক্ষুনি এসে পড়বে’। কিন্তু রানা তো জানে মা প্রতিদিন কখন বাসায় আসে, তাই সে রেজার কথায় আশ্বস্ত হয় না। সে ভাবতে থাকলো, সে কাঁদতে থাকলে বোধহয় মা এক্ষুনি এসে পড়বে। ওর কান্না দেখে রেজা অস্থির হতে শুরু করলো। একসময় সে তাকে বললো, মা আমাকে বলে গেছে, আজ আগে আগে চলে আসবে। চলো আমরা বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে অপেক্ষা করি। এ কথা শুনে রানা কান্না থামালো।

ওদের বাসা থেকে বাস স্ট্যান্ড আধা কিলোমিটারের মত দূরে। রানা রেজার হাত ধরে হাঁটা শুরু করলো, কিন্তু পঞ্চাশ গজের মত হেঁটে সে আর হাঁটতে পারছিল না। রেজার কাছে কোন টাকাও ছিল না যে সে রিক্সা নেবে। অগত্যা সে ভাইকে বললো তার পিঠে চড়তে। পিঠে বহন করেই সে বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছলো, এতে সে একটুও ক্লান্তি বোধ করে নাই। কিন্তু সমস্যা শুরু হল বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছার পর থেকে। ভাইকে পিঠে নিয়ে রেজার হাঁটতে কোন অসুবিধা হয় নাই, কিন্তু তাকে পিঠে রেখে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল। অন্যরা এভাবে তাদেরকে দেখে কী ভাববে, সেটা ভেবেও তার খারাপ লাগছিল। এদিকে রানাকে পিঠ থেকে নামতে বললেই সে কান্না শুরু করছিলো, অন্যথায় চুপ!

একেকটি বাস আসে, আর রেজা ও রানা অধীর আগ্রহে তাকিয়ে থাকে সেটির দিকে। মাকে বাস থেকে নামতে না দেখে বারে বারেই ওরা হতাশ হয়। রেজা অনেক বুঝিয়ে রানাকে পিঠ থেকে নামতে রাজী করায়। বলে, তোমার পা ব্যথা করলে আমাকে বলো, আবার পিঠে নেব। এভাবে পিঠে ওঠানো নামানো করতে করতে রেজার ধৈর্যের বাধ ভেঙে যাচ্ছিল, তবুও মা আসছিল না। এক সময় হাতঘড়ি পড়া একটা লোকের কাছ থেকে সময় জেনে নিয়ে রেজা বুঝতে পারলো, মা তার কথা রাখেনি। সে মনে মনে ঠিক করলো, সে আর মাত্র তিনটা বাস দেখবে। এর মধ্যে মা না আসলে সে বাড়ী ফিরে যাবে। একথা রানাকে বলতেই ও ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কান্না শুরু করলো। রেজা ওকে থামানোর জন্য বললো, ঠিক আছে, যাব না। কিন্তু মনে মনে সে তার সিদ্ধান্তে অটল রইলো।

ঠিকই তৃতীয় বাসটি থেকে রাহেলাকে নামতে দেখে ওরা নিমেষেই সব দুঃখ কষ্টের কথা ভুলে গেল। রানাকে পিঠে নিয়ে রেজা দৌড়ে গেল বাসটির দিকে। মাকে দেখে এক গাল হেসে বললো, ‘মা তুমি এসেছো’? ওদেরকে এভাবে দেখে রাহেলা নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। তিনি তাড়াতাড়ি সামনে যে রিক্সাটা ছিল, কোন দর দাম না করে ওদেরকে নিয়ে সেটাতেই উঠে রিক্সাওয়ালাকে বললেন, ‘বড় মাসজিদের কাছে চলুন’। তারপর দু’জনকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়ে রানার কপালে হাত দিয়ে দেখলেন, জ্বর তখন খুব বেশী নেই। রেজার মাথায় হাত বুলিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, 'খুব কষ্ট হয়েছে, বাবা সোনা'? তার এই আদর পেয়ে রেজা হাউমাউ করে কেঁদে উঠে বললো, ‘মা তুমি তোমার কথা রাখো নাই। তোমার না আজ এক ঘন্টা আগে ফেরার কথা ছিল’? রাহেলা নিজেই ছিল আজন্ম ছিঁচকাদুনী। ছেলের কাছ থেকে এ অভিযোগ পেয়ে তিনি ছেলের চেয়েও জোরে হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, 'কি করবো বাবা সোনা, বাসটা সেই মতিঝিল থেকে সারা রাস্তা প্যাসেঞ্জার তুলতে তুলতে এসেছে। আমার একার কথা কি শয়তান ড্রাইভারটা শুনে? আমি অনেক বলেছি, কিন্তু ড্রাইভার আমার কথা শোনে নাই’। তাদের এই কান্নার রোল শুনে বুড়ো রিক্সাওয়ালা সামনে না তাকিয়ে বারবার পেছন ফিরে ওদের দিকে তাকাচ্ছিল আর আহ, উহ করছিল। মাসজিদের কাছে আসার পর রাহেলা রিক্সাওয়ালাকে পরবর্তী নির্দেশ দিয়ে একেবারে ওদের বাসার সামনে নিয়ে আসলেন।

এটা সেই আমলের কথা, যখন মাত্র দু’টাকা দিয়ে রিক্সায় এক কিলোমিটার পথ যাওয়া যেত। দেশে মোবাইল ফোন এসেছে তারও বহু বছর পর। রাহেলা তার ব্যাগ থেকে একটা দশ টাকার নোট বের করে রিক্সাওয়ালাকে দিয়ে বললেন, ‘বাকীটা আপনি রাখুন’। তার ছেলে দুটোকে আল্লাহ সহি সালামতে রেখেছে, এই ভেবে আল্লাহ তা’লার প্রতি রাহেলার মনটা কৃতজ্ঞতায় ভরে উঠেছিল। এই বুড়ো রিক্সাওয়ালার আহ উহ শুনে রাহেলার তাকে একজন ভাল মানুষ মনে হয়েছিল। ছেলেপেলেদের অসুখ বিসুখে মায়েদের মন খুব দুর্বল হয়ে যায়। এই গরীব রিক্সাওয়ালাকে কিছুটা বেশী পারিশ্রমিক দিলে আল্লাহ তা’লা তার উপর খুশী হয়ে তার অসুস্থ সন্তানকে দ্রুত সুস্থ করে দেবেন, অনেকটা এই বিশ্বাসে রাহেলা পুরো দশটি টাকাই রিক্সাওয়ালাকে দিয়েছিলেন, যা ছিল তার প্রাপ্যের চেয়ে অনেক বেশী। কিন্তু রিক্সাওয়ালার কথা শুনে রাহেলা একেবারে স্তম্ভিত হয়ে গেলেন! বুড়ো চাচা রাহেলাকে বললো, আফা, আফনের বড় ব্যাডা বহুত কষ্ট করছুইন। আমি হেই তখন থাইক্যা দেখতে আছি, হ্যায় একবার ছুডোডারে পিডোত ন্যায়, একবার নামায়, আবার কান্দোত ন্যায়, আবার নামায়। হ্যায় বহুত মেহনত করছুইন। আইজ আমার ভাড়া লাগতো না। আপনি এই ট্যাকাটা দিয়া বাবাজানরে একটা কিছু কিনা দিতুইন’! এই বলে টাকাটা রেজার পকেটে গুঁজে দিয়ে বুড়ো চাচা রিক্সা ঘুরিয়ে দ্রুত প্রস্থান করলেন।

ঢাকা
০২ আগস্ট ২০১৯

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: রানার জ্বর, একবার মনে হলো ডেংগু না তো!!!!
বুঝাই যাচ্ছে বাস্তব গল্প।
সেই আমল মানে সালটা কত??
দুই টাকা দিয়ে এক কিলোমিটার যাওয়া যেত? ৮২ সাল??

০২ রা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: তখনো এদেশে ডেংগু আসে নাই। আর সময়টা ওরকমই হবে। কাছাকাছি হয়তো বা।
প্রথম পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:১৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: একটা চমৎকার ভালোবাসার গল্প।

ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের ভালোবাসা, সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা; আর সর্বোপরি, একটা অচেনা পরিবারের প্রতি একজন দরিদ্র বৃদ্ধ রিকসাচালকের ভালোবাসা।

০২ রা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভুয়া ভাই, সত্যি, কি যে মায়ার বাঁধনে বাঁধা এ পৃথিবী! এ বাঁধন কখনো কখনো, কোথাও কোথাও ভুয়া বলে মনে হলেও, অকৃত্রিম স্নেহ মায়া ভালবাসা আমাদের আশে পাশেই এখনো অনেক দেখা যায়। আমাদের উচিত, এ অমূল্য মায়ার মানুষগুলোকে ভক্তি করা, মহিমান্বিত করা।

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:০১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: তখনো এদেশে ডেংগু আসে নাই। আর সময়টা ওরকমই হবে। কাছাকাছি হয়তো বা।
প্রথম পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

০২ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ - পাঠক আমার লেখা কষ্ট করে পড়ে যাবেন, কিছু কথা লিখে মন্তব্যও করে যাবেন, আর আমি তার উত্তর দিব না? এটা হতেই পারে না। পাঠকের মন্তব্যের উত্তর দিতে আমার বেশ ভাল লাগে। সুতরাং, কেউ বলতেই পারবে না, আমি তার কোন মন্তব্যের উত্তর দেই নাই- শুধু এই পোস্টে আপনার এই মন্তব্যের পরের মন্তব্যকারীগণ ছাড়া! :)

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:০১

মা.হাসান বলেছেন: আপনার লেখায় প্রায় সব সময়েই লক্ষ করি মানবিকতাকে মূল বিষয় করে তোলেন যা আমার কাছে অন্য রকমের ভালো লাগে।

অনেকদিন আগে পড়েছিলাম, ৯০এর দশকের কথা, একজন মৎস্যভবনের ওখান থেকে মিরপুরে যাবে, রিকশাচালক ৩০/৩৫ টাকার মতো চাওয়ায় উনি পাঁচ টাকা কমানোর জন্য দর করছিলেন, রিক্সাচালক রাজি না হওয়ায় উনি ভাবছিলেন এর এতো লোভ কেন বা এরকম কিছু। এসময় বাচ্চা সহ একজন লোক ঐ রিক্সাচালকে দূরের কোন গন্তব্যে যাবার কথা বলে জানায় তার কাছে টাকা নেই, রিক্সা চালক হতবাক ঐ ভদ্রলোকের সামনেদিয়ে বাচ্চা সহ ঐ লোক কে নিয়ে প্যাডেল মেরে যাত্রা শুরু করে দেয়।

অপত্য স্নেহের মতো কিছু কিছু বিষয় শ্রষ্টা জীব-জন্তু সহ আমাদের জিনের মধ্যে কোডিং করে দিয়েছেন, এর বাইরে যাওয়া সম্ভব না (তবে কিছু মানুষের মাঝে কম দিয়েছেন, কেন তার রহস্য আমাদের জানান নি)।
কাহিনীতে অনেক ভালো লাগা।

০২ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: মায়া মমতা, স্নেহ ভালবাসা মানুষের সকল মানবিক গুণাবলীর প্রসূতি। মানুষ মনুষ্যত্ব হারায়, যখন এগুলোর অভাব ঘটে। আর এগুলো থাকলে, অন্যান্য মানবিক গুণাবলী যেমন ক্ষমা, সহনশীলতা ইত্যাদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসে।
আপনার মূল্যায়ন আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করে গেল।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। থাইল্যান্ড সফরে সতর্ক থাকবেন

৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৯

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: মায়া নামক অনুভূতিটার জন্যই পৃথিবীটা এতো সুন্দরভাবে চলছে। গল্প, এবং উপস্থাপন ভালো লেগেছে।

০২ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: মায়া নামক অনুভূতিটার জন্যই পৃথিবীটা এতো সুন্দরভাবে চলছে - অবশ্যই, এবং এসব অনুভূতির কোন ভৌগলিক কিংবা কৃষ্টি কালচারের সীমারেখা নেই। উঁচু নীচুতে কোন ভেদাভেদ নেই।
গল্প, এবং উপস্থাপন ভালো লেগেছে। - মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


মাতৃত্ব, ভ্রাতৃত্ব ও সাধরণ মানুষের মনের বিশালতাকে নিয়ে সুন্দর এক ছবি এঁকেছেন।

০২ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: মাতৃত্ব, ভ্রাতৃত্ব ও সাধরণ মানুষের মনের বিশালতাকে নিয়ে সুন্দর এক ছবি এঁকেছেন - অনেক ধন্যবাদ, এমন সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য। +
এই তিনটে গুণাবলীরই মূল উপজীব্যঃ মায়া।

৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর, অসাধারণ।

০২ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এতটা প্রশংসার জন্য। প্রীত হ'লাম।
ভাল থাকুন, শুভকামনা...

৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫

আনমোনা বলেছেন: মায়ায় ভরা গল্প। রেজা রানা এখন কোথায় জানেন?

০২ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: জানি। পরে বলবো।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: রেজা আমেরিকায় দুটো বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করে সম্প্রতি একটা বহুজাতিক কোম্পানীতে যোগ দিয়েছে। রানা দেশেই থাকে, একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। ওদের অভাগা মা যখন অনেক কষ্ট করে সংসারটাকে প্রায় গুছিয়ে এনে অনাবিল শান্তির দিন দেখার প্রত্যাশায় ছিলেন, বিধাতা তখনই এ ধরা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যান। যৌবনের প্রারম্ভে এসে মাতৃস্নেহ বঞ্চিত এ যুবকদ্বয় তৎপরবর্তী জীবন যুদ্ধে জয়ী হয়ে পৃথিবীর বুকে তাদের নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করে নিয়েছে আপন প্রচেষ্টায় আর মেধার শক্তিতে।
গল্পকে বাস্তব জ্ঞান করে মূল চরিত্র দুটোর প্রতি আপনার এ আগ্রহ প্রকাশ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। অনেক ধন্যবাদ।

৯| ০২ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৩১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ছোট্ট গল্পটা হৃদয় ছুঁয়ে গেল।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, গিয়াস উদ্দিন লিটন। আপনার এ ছোট্ট সুন্দর মন্তব্যটাও আমার মন ছুঁয়ে গেল।
শুভকামনা...

১০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:৩২

বলেছেন: জীবন মায়াময়....

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঠিক তাই। আর জীবনের সেই মায়াময়তাই আমাকে বেশী আকৃষ্ট করে। সেজন্যেই এ নিয়ে আপাততঃ চার পর্বের একটা সিরিজ লিখছি।

১১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:৫০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: এই মায়ার কারনেই নিষ্ঠুর পৃথিবীর বুকে ভালোবাসা বয়ে চলে.....

পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমাদের এক প্রকার টান থাকেই। তবে রিকশাওয়ালার দৃষ্টান্ত সাদা মনের প্রতি নির্দেশ করে।যা সবার মনে বিরাজ করে না।

চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন মায়াকে। পোস্টে ভালোলাগা ....

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই মায়ার কারনেই নিষ্ঠুর পৃথিবীর বুকে ভালোবাসা বয়ে চলে - সুন্দর একটি কথা বলেছেন, ধন্যবাদ।
ছোটভাই এর জন্য রেজার কষ্ট করা দেখে রিক্সাওয়ালা অভিভূত হয়েছিলেন এবং তার শুভ্র হৃদয় মায়ায় বিগলিত হয়েছিল। এ দিক দিয়ে অবশ্যই তিনি অনন্য ছিলেন।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত।
শুভকামনা....

১২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:২৯

মুক্তা নীল বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় ,
ভ্রাতৃত্বের পরস্পরের প্রতি স্নেহ , মায়ের নিখাদ ভালোবাসা এবং রিকশাচালকের উদারতা --- মায়া নামকরণের পুরোপুরি সার্থকতা খুঁজে পেলাম। একজন চাকরিজীবী মা খুব কষ্ট করে সন্তানদের মানুষ করেন। অসাধারণ লেখা +++
শুভকামনা জানবেন ।

অ ট : আমার পোস্টে আপনার দেয়া সিঙ্গেল মাদার এর প্রতিমন্তব্য দিয়েছি আপনাকে। এটার নোটিফিকেশনে সমস্যা
আমি পাইনি তাই আপনাকে জানালাম দেখে নিয়েন।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: মায়া নামকরণের পুরোপুরি সার্থকতা খুঁজে পেলাম - অনেক ধন্যবাদ। একই শিরোনামে আরেকটা পোস্ট দিয়েছি। একটু বড়, তা হলেও পড়ে দেখলে খুশী হবো।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
আপনার সিঙ্গেল মাদার এ দেয়া প্রতিমন্তব্য পড়ে এলাম। ধন্যবাদ ও শুভকামনা---

১৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:০৯

মুক্তা নীল বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় ভাই ,
মায়া- ২ পোস্টটি পড়ে ৪ নং কমেন্ট আমি করেছি
এবং আপনি খুব সুন্দর প্রতিমন্তব্য দিয়েছিলেন ,
মায়া- ২ পোস্টটি বড় হলেও অনেক ভালো লেগেছে
পড়তে। জীবনমুখী লেখা আরো পড়তে চাই আপনার
কাছে।
ধন্যবাদ জানবেন।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি খুবই দুঃখিত যে আমি খেয়ালই করিনি আপনি মায়া-১ এর আগেই মায়া-২ পড়ে মন্তব্য করে এসেছিলেন। উভয় মন্তব্যের জন্য আবারো আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভাল থাকবেন। শুভকামনা....

১৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাস্তবের অলিন্দে লেখা গল্পটি অত্যন্ত মর্মস্পর্শীভাবে অংকন করেছেন। শুধু মাতৃত্ব বা ভ্রাতৃত্ব নয় সমাজবন্ধুদেরও যে মানবিক হৃদয় আছে তা অত্যন্ত মর্মস্পর্শীভাবে তুলে ধরেছেন। প্রতিমন্তব্যে এসে বিষয়টি পরিষ্কার হল যে এটা শুধু গল্প নয়, একটা বাস্তব ঘটনাও। রেজা ও রানা আজ প্রতিষ্ঠিত মায়ের স্বপ্ন সার্থক। কিন্তু তাদের মায়ের শূন্যতা অপূরণীয়।

গল্পের সপ্তম লাইক।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: শুধু মাতৃত্ব বা ভ্রাতৃত্ব নয় সমাজবন্ধুদেরও যে মানবিক হৃদয় আছে তা অত্যন্ত মর্মস্পর্শীভাবে তুলে ধরেছেন - অনেক ধন্যবাদ, আপনার এ নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য।
সপ্তম লাইক অনেক প্রেরণা দিয়ে গেল। পবিত্র ঈদুল আজহা এর শুভেচ্ছা জানবেন।

১৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৪০

মাহের ইসলাম বলেছেন: হৃদয়স্পর্শী লেখা।

সবচেয়ে ভালো লেগেছে, শেষে খারাপ কিছু ঘটেনি দেখে।
টেনশনে ছিলাম, কখন না খারাপ কিছু ঘটে যায়।

শুভ কামনা রইল। ভালো থাকবেন।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: সময় করে আমার এই বেশী কথার গল্পটা পড়ে যাবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। আজ একটা অল্প কথার অনুকাহিনী পোস্ট করেছি। আশাকরি, সেটাও একবার পড়ে দেখবেন।
পোস্টের প্রশংসায় প্রাণিত হ'লাম। পবিত্র ঈদুল আজহা এর শুভেচ্ছা জানবেন।

১৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:০২

সোহানী বলেছেন: সকাল সকাল মনটাই খারাপ হয়ে গেল। গল্পের শুরু থেকেই খারাপ কিছুর ইঙ্গিতে ভয়ে ভয়ে এগুচ্ছিলাম।

১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্প পাঠের জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।
পবিত্র ঈদুল আযহা'র শুভেচ্ছা....

১৭| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১৭

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: পৃথিবীর পুরোটাই বোধহয় মায়া। গল্পে ভালোলাগা। +++
গল্পে বৃদ্ধ রিকশা চালকের কথা পড়ে আমার একটা স্মৃতি মনে পরে গেল। একবার কলেজ থেকে ফেরার পথে রিকশা মৌচাক পেরোতেই এমন ঝুম বৃষ্টি নামলো, সামনে কিচ্ছু দেখা যায় না। বাসায় পৌঁছাতে রিকশাচালক ভিজে পুরা জবুথবু হয়ে গিয়েছিল। নরমালি ভাড়া ৪৫-৫০ টাকা হলেও উনি ৭০ টাকা চেয়েছিল আমি দিয়েছি। কিন্তু আমার খুব ইচ্ছে করেছিল ওনাকে বাসায় নিয়ে একটা শুকনো কাপড় দেই আর এই দুপুরে এক প্লেট গরম ভাত খেতে বলি। কিন্তু অন্যের বাসা হওয়ায় আমি কিছু বলতে পারিনি।
এখনো দুপুরে বৃষ্টি দেখলে আমার মন খারাপ হয়ে যায় এবং বৃদ্ধ লোকটির কথা মনে পড়ে।

মায়া আছে বলেই বোধহয় সম্পর্কগুলো টিকে আছে।
এত সুন্দর গল্পের জন্য ধন্যবাদ।

১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: পৃথিবীর পুরোটাই বোধহয় মায়া - আমারও মাঝে মাঝে সেরকমই মনে হয়!
বৃদ্ধ লোকটির কথা পড়ে তার জন্য মায়া অনুভব করলাম। আপনার তাৎক্ষণিক ইচ্ছের কথাটা জেনে ভাল লাগলো এবং সেটা পূরণ করতে পারেন নি জেনে খারাপও লাগলো।
গল্পে ভালোলাগা। +++ - কিন্তু প্লাসের তালিকায় আপনার নামটি দেখতে পাচ্ছি না!
গল্পটি পড়ে একটি সুন্দর মন্তব্য এখানে রেখে যাবার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.