নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
দু’সপ্তাহ আমাদের সাথে কাটিয়ে আজ সন্ধ্যায় আমার বড় ছেলে কানাডা ফিরে গেল। ও একাই এসেছিল। আসার দিনে আমি এয়ারপোর্ট থেকে ওকে রিসিভ করে নিয়ে এসেছিলাম। আজও আমিই ওকে এয়ারপোর্টে দিয়ে আসি এবং ইমিগ্রেশন পার হওয়া পর্যন্ত ওর সাথে থাকি। ও যাচ্ছিল এমিরেটস এর ফ্লাইটে, যা দুবাই হয়ে টরন্টো যাবে। ও যখন ইমিগ্রেশন গেইটটা কেবল অতিক্রম করেছে, তখন কর্তব্য পালনরত ইমিগ্রেশন পুলিশের একটু বেখেয়ালের সুযোগ নিয়ে দুবাই প্রবাসী এক মধ্যবয়স্ক বাংলাদেশী নাগরিক গেইটে তার কাগজপত্র না দেখিয়ে ওর পিছু পিছু ভেতরে প্রবেশ করে ওকে অনুরোধ করলো যেন ও তার এম্বার্কেশন কার্ডটি পূরণ করে দেয়। ও সাধারণতঃ এসব কাজ খুশী মনেই করে দেয়, কিন্তু ও যখন বুঝতে পারলো যে লোকটি এম্বার্কেশন কার্ড না দেখিয়েই গেইট অতিক্রম করেছে, তখন সে যাতে আরো বেশী বিপদে না পড়ে, সেজন্য তাকে গেইটে কর্তব্য পালনরত ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে রিপোর্ট করার পরামর্শ দিয়ে ইমিগ্রেশন লাইনে দাঁড়ালো। লোকটি যখন সেই পুলিশের কাছে সাহায্য চাইলো, পুলিশটি তাকে জিজ্ঞেস করলো, পাসপোর্ট, বোর্ডিং পাস, এম্বার্কেশন কার্ড ইত্যাদি না দেখিয়ে সে কেন গেইটের ভেতরে প্রবেশ করেছে। লোকটি কাচুমাচু করতে থাকায় পুলিশটি ধমক দিয়ে তাকে দূরে সরে যেতে বললো। এদিকে তখন মাগরিবের আযান পড়ছিল। আমার ছেলে গেইট অতিক্রম করার সময় আমি তাকে বলেছিলাম যে আমি বিমান বন্দরেই মাগরিবের নামায পড়বো, তারপর চলে যাবো। এর মধ্যে তার কোন প্রয়োজন হলে সে যেন আমাকে কল করে, আর বোর্ডিং এর পর আমাকে একটা কল বা এসএমএস দেয়।
পুলিশের ধমক খেয়ে লোকটির চোখেমুখে যে অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছিল, তা দেখে আমি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি, আমি প্রথমে লোকটির এম্বার্কেশন কার্ডটি পূরণ করে দিয়ে তারপরে নামায পড়বো। আল্লাহ রাব্বুল ‘আ-লামীন অন্তর্যামী, তিনি নিশ্চয়ই আমার মনের খবর রাখেন এবং পরম দয়ালু ও ক্ষমাশীল তিনি নামাযের ব্যাপারে আমার এ গাফিলতিটুকু ক্ষমা করে দিবেন, এ ভরসা আমার আছে। লোকটি যদি এম্বার্কেশন কার্ড পূরণ করতে বেশী দেরী করে ফেলে, তবে তার যাত্রা চরম বিড়ম্বনামূলক এবং কষ্টদায়ক হতে পারে, এমনকি বিফলও হতে পারে। আমি একটু দূর থেকেই লোকটিকে উচ্চঃস্বরে ডাকলাম এবং তাকে বললাম, তার কার্ডটি আমি পূরণ করে দেব। সে খুশী হয়ে কাছে এসে সাথে সাথে তার পাসপোর্টটি আমার সামনে মেলে ধরলো। আমি তার কাছে একটি কলম চাইলাম। সে কাচুমাচু করে তাকাতে থাকলো। নীচুস্বরে বললো, স্যার, লেখাপড়া জানিনা, তাই কলমও রাখিনা। আমি তাকে লেখাপড়া না জানলেও বিদেশ যাত্রার সময় সাথে কিছু কাগজ কলম রাখার পরামর্শ দিলাম।
তার পাসপোর্টটি পরীক্ষা করে দেখলাম, সেখানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুটো আকামাহ (ভিসা) লাগানো আছে। অর্থাৎ সে প্রায় চার বছর ধরে সেখানে কর্মরত। পেশা হিসেবে দেখলাম লেখা আছে “ফিটার”। বুঝলাম, জীবনে সে কলম ধরার সুযোগ না পেলেও যন্ত্র ধরেছে এবং করায়ত্ব করেছে, আর যন্ত্রও তাকে ধরেছে। কলমের পরিবর্তে যন্ত্র এবং দৈহিক শ্রমের বিনিময়ে সে দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। একসময়ে কার্ডের একটি ঘর পূরনের জন্য আমি তার মোবাইল ফোন নম্বরটি চাইলাম। সে বলতে পারলো না, তবে পকেট থেকে বহু পুরনো আমলের একটা ছোট্ট সেলফোন সেট বের করে দিয়ে বললো, শেষ দুটো সংখ্যে ৮২, বাকী গুলো আমি যেন খুঁজে নেই। আমি ভাবলাম, তার সেই ফোনসেট থেকে তার নিজের নম্বরটি খুঁজে বের করতে আমার যে সময় লাগবে, তার চেয়ে বরং আমিই তার হয়ে অন্য কারো সাহায্য নেই। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তার মত আরেকজন প্রবাসীকে আমি অনুরোধ করাতে সে ঝটপট নম্বরটা বের করে দিল। দেখলাম, শেষ দুটো সংখ্যা ঠিকই ৮২। আমি নিশ্চিত হয়ে সংখ্যাটি কার্ডে পূরণ করে দিয়ে তাকে জায়গামত স্বাক্ষর করতে বললাম। সে বহু সময় ধরে তিন অক্ষরের একটি নাম স্বাক্ষর করলো- “শহিদ”। জাস্ট কোনমতে সে তিনটে অক্ষর বসানো শিখেছে, আর কোন অক্ষরের আগে হ্রস্ব ‘ই’ কারটা বসাতে হবে তা মনে রেখেছে। পাসপোর্টের সাথে মিলিয়ে দেখলাম, স্বাক্ষর ঠিক আছে। তাকে বললাম, এবারে তাড়াতাড়ি করে গেইট অতিক্রম করতে। সে কিছুটা ইতস্ততঃ করতে করতে চোখে মুখে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পকেট থেকে একটি পাঁচশত টাকার নোট বের করে আমার হাতে দিতে চাইলো। আমি শুধু একটু হেসে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আমাকে দেখে কি তার মনে হয়েছে যে আমি টাকার বিনিময়ে তার এ কাজটুকু করে দিতে চেয়েছি? সে লজ্জা পেয়ে দ্রুত প্রস্থান করলো। সে ইমিগ্রেশন গেইট পার না হওয়া পর্যন্ত আমি তাকিয়ে থাকলাম। সে ভেতরে চলে যাবার পর আমি একটু নিরিবিলি জায়গায় গিয়ে মাগরিবের নামায পড়ে এয়ারপোর্ট ত্যাগ করলাম।
সামান্য একটু লেখাপড়া না শেখার কারণে এভাবেই এদের পকেট থেকে ঘাটে ঘাটে না জানি কত পাঁচশত টাকার নোট বের হয়ে যায়! আর সবখানে অপমান, লাঞ্ছনা, গঞ্জনার সম্ভাবনা তো থাকেই। শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে Bureau of Manpower Employment & Training (BMET) নামে একটি সরকারী দপ্তর অয়েছে, যারা বিদেশে জনশক্তি রপ্তানীর ব্যাপারগুলো দেখে থাকে এবং এ বাবদ প্রতিটি ব্যক্তির কাছ থেকে বেশ উচ্চহারেই ফী নিয়ে থাকে। তাদের উচিত, কর্মোপলক্ষে বিদেশ গমনেচ্ছু প্রত্যেক ব্যক্তিকে একটি ক্র্যাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নেহায়েৎ জরুরী কাজগুলো শেখানো, যেমনঃ চেক-ইন, ইমিগ্রেশন নিজে নিজে কিভাবে করতে হয়, এম্বারকেশন কার্ড কিভাবে পূরণ করতে হয়, লাগেজ হারিয়ে গেলে কী করতে হয়, কেবিনের অভ্যন্তরীণ শিষ্টাচার ইত্যাদি।
ঢাকা
০৪ অক্টোবর ২০১৯
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্য এবং প্রথম প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে Bureau of Manpower Employment & Training (BMET) নামে একটি সরকারী দপ্তর অয়েছে, যারা বিদেশে জনশক্তি রপ্তানীর ব্যাপারগুলো দেখে থাকে এবং এ বাবদ প্রতিটি ব্যক্তির কাছ থেকে বেশ উচ্চহারেই ফী নিয়ে থাকে। তাদের উচিত, কর্মোপলক্ষে বিদেশ গমনেচ্ছু প্রত্যেক ব্যক্তিকে একটি ক্র্যাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নেহায়েৎ জরুরী কাজগুলো শেখানো, যেমনঃ চেক-ইন, ইমিগ্রেশন নিজে নিজে কিভাবে করতে হয়, এম্বারকেশন কার্ড কিভাবে পূরণ করতে হয়, লাগেজ হারিয়ে গেলে কী করতে হয়, কেবিনের অভ্যন্তরীণ শিষ্টাচার ইত্যাদি। (প্রতিমন্তব্যের এ অংশটুকু প্রাসঙ্গিক হবে বিধায় মূল পোস্টের সাথে যোগ করে দিলাম।)
২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:১৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষা ই সম্পদ।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: অত্যন্ত ঠিক কথা বলেছেন। তাদের জন্য শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।
৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:২৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
খুব সুন্দর একটি ঘটনা তুলে ধরলেন।
আমিও অনেকের ফর্ম পুরন করে দিয়েছিলাম। যদিও তারা শিক্ষিত ছিল, প্রথমবার ট্রাভেল করছে।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ, প্রথমবার ট্রাভেল করার সময় এসব আনুষ্ঠানিকতা পূরণ করতে করতে অনেক শিক্ষিত লোকেরাও হিমসিম খেয়ে যায়।
মন্তব্যে প্রীত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: এয়ারপোর্টে গেলেই এরকম বহু ঘটনা দেখা যায়। তবে কেউ আপনার মতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় না।
আপনি একজন মানবিক লোক বলেই তাকে সাহায্য করেছেন। গ্রেট।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: এয়ারপোর্টে গেলেই এরকম বহু ঘটনা দেখা যায়। তবে কেউ আপনার মতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় না - আবার অনেকেই দেয়ও। আমার এক বন্ধু ও বন্ধু পত্নীর সাথে আমি ও আমার স্ত্রী ছয়বার বিদেশ ভ্রমণে গিয়েছিলাম। প্রতিবারই দেখেছি, চেক-ইন সম্পন্ন হয়ে যাবার পর বন্ধু এ ধরণের বহু সাহায্যপ্রার্থীদের সাহায্যার্থে এগিয়ে যেতেন। অন্ততঃ দুই তিন জনের ফরম পূরণ করা শেষ হলে তবেই আমরা ইমিগ্রেশন গেইটের দিকে এগিয়ে যেতাম। ও যখন এসব কাজে ব্যস্ত থাকতো, আমরা তখন আলাপচারিতায় ব্যস্ত থাকতাম। আমি ওর মত এতটা আন্তরিকতার সাথে এ কাজে এগিয়ে যেতাম না। তবে যে কেউ সাহায্য চাইলে যতদূর সম্ভব, না করতাম না।
আলোচ্য ক্ষেত্রে লোকটি আমার ছেলের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছিল। কিন্তু সে ততক্ষণে ইমিগ্রেশন সীমানার ভেতরে চলে গিয়েছিল বলে সাহায্য করতে অপারগ ছিল, তবে সে লোকটিকে একটি সুপরামর্শ দিয়েছিল। মানুষকে সুপরামর্শ দেয়াটাও একটা ভাল কাজ। ছেলে সাহায্য করতে অপারগ হওয়াতে, এবং সেটা যখন আমার চোখ কানের সামনেই ঘটেছিল, আমি লোকটির সাহায্যার্থে এগিয়ে আসি।
আমার এ কাজটুকু যদি আপনাকে কিংবা অন্য কোন পাঠক কে অনুপ্রাণিত করে থাকে, তবে আমার এ পোস্ট দেয়াটা সার্থক হয়েছে বলে গণ্য করবো।
৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:০১
ইসিয়াক বলেছেন: সত্যি আপনি খুব মহান হৃদয়ের মানুষ ।
শুভকামনা রইলো।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।
৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: এই দেশের সাধারন মানুষদের সারাটা জীবন শুধু ঠকেই যেতে হয়। এদের হক মেরে পকেট ভারী করে রাজনীতিবিদেরা
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: বড়ই দুঃখজনক ব্যাপারটা। কেবলমাত্র শিক্ষাই এদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,
ব্লগে আপনার এরকম মহানুভবতার পোস্ট আগেও পড়েছি যেখানে আপনার চরিত্রের একটা মহৎ গুন ফুটে উঠেছে বারে বারে। ছোট মুখে আপনাকে এই বিশেষণে বিশেষিত করা যতটা অস্বস্তির ঠিক ততটাই অস্বস্তির আপনার চরিত্রের মহত্ত্বকে নিয়ে লেখা কমেন্টগুলো আপনার পক্ষে পাঠ করাও। আমরা দোষে গুণে মানুষ। আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই উপরওয়ালা কিছু সৎগুন দিয়েছেন। পোস্টের মানবিক দিক লক্ষ্য রেখে আমরা যদি অধিক সংখ্যায় আমাদের চরিত্রের সেই দিকগুলোকে প্রয়োজনে ফুটিয়ে তুলতে পারি তবেই এই পোস্ট পড়ার সার্থকতা।
শ্রদ্ধা ও শুভকামনা স্যার আপনাকে।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্লগের মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যে আপনার বিনয় এবং ভব্যতা আমাকে সব সময় অভিভূত করে। আপনি শিক্ষকের সন্তান এবং নিজেও বোধকরি একজন শিক্ষক, তাই আপনি যে সুশিক্ষায় মানুষ হয়েছেন এটা আপনার আচরণই বলে দেয়।
ভাল থাকুন। দোয়া করি, আপনার সন্তানেরাও যেন আপনার চরিত্রের এসব মহৎ গুণ গুলো আত্মস্থ করতে পারে।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫১
মা.হাসান বলেছেন: ঢাকা এয়ারপোর্টের নিচতলায়, যেখানে লস্ট এন্ড ফাউন্ড এর মালামাল গুলো জমা করে রাখা আছে তার পাশে , পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য আলাদা সুন্দর নামাজের ব্যবস্থা (ওযুর জায়গাসহ) আছে।
এই যন্ত্রণাদায়ক ফ্র্ম আগে আসার সময়েও পুরন করতে হতো, বেশ কয়েক বছর হলো আসার সময়ের ফর্ম তুলে দেওয়া হয়েছে (বাংলাদেশি পাসপোর্ট ধারীদের জন্য)। যাত্রীদের বহির্গমনের সমস্ত তথ্য কম্পিউটারে রেকর্ড করা থাকে এরপরেও এই ফর্ম পূরণ করতে বলার যন্ত্রণা কেন দেওয়া হয় তা বলা মুশকিল। ঢাকা এয়ারপোর্ট দিয়ে প্রতিদিন এত বেশি সংখ্যক লোক অবৈধভাবে দেশের বাহিরে যাওয়ার চেষ্টা করে যে স্বাভাবিকভাবেই ইমিগ্রেশনের লোকেরা সবাইকে সন্দেহের চোখে দেখে, ওনাদেরকে আমি দোষ দিতে চাইনা। বরং বলব স্থলপথে বা রেলপথে যারা দেশের বাইরে যান তারা এর চেয়ে অনেক বেশি ভোগান্তি পোয়ান। ওই ভদ্রলোক আপনাকে পয়সা সেধেছেন তার কারণ খুব স্বাভাবিক। জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই এমনকি সেবা না পেলেও তাকে পয়সা দিয়ে আসতে হয়েছে। খুব বেশি সম্ভাবনা যে এয়ারপোর্ট রেলওয়ে স্টেশনের কাছের গেট দিয়ে ঢোকার সময় ওই লোকের কাছে পুলিশ পয়সা নিয়েছে ( দু বছর পরপর এনারা একবার দেশে আসার ছুটি পান। রিসিভ করার সময় এবং ফেরত যাওয়ার সময় এক গাড়ি লোক তাদের সাথে আসে। বেশি লোক দেখলেই পুলিশে সেখান থেকে কিছু সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে), এবং সম্ভবত তৃতীয় তলায় পার্কিং এরিয়াতে ঢোকার সময়ও তাদেরকে কিছু পয়সা দিতে হয়েছে। যদিও পুরো পয়সা নগদ দিয়েই এই শ্রেণীর লোকের ফ্লাইট টিকেট কেনে, ট্রাভেল এজেন্ট রা এর পরেও এদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। নিজে দেখেছি এক ট্রাভেল এজেন্টের অফিসে একজনকে বের করে দিল পাসপোর্টের ফটোকপি নিয়ে আসার জন্য, যদিও আমি ভালো করে জানি আশেপাশে আধা কিলোকিটারের মধ্যে কোন ফটোকপির দোকান নাই, ওই লোককে অনেক দূর থেকে ফটোকপি করে আনতে হবে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশের যে ফ্লাইট গুলো আসে বা যায় সবগুলোই প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি ভর্তি থাকে। প্রতিদিন অনেকগুলো ফ্লাইট আসে বা যায় মধ্য প্রাচ্যের রুট গুলো থেকে। এই সব রুটে এয়ারলাইন্সগুলো অনেক লাভ করে। কিন্তু যদি দূরত্ব বিচার করেন, দেখবেন সমদূরত্বের অন্য রুটে এয়ারলাইন্সগুলোর টিকিটের দাম অনেক কম। মানিক মিয়া এভিনিউ এর বিশাল বিল্ডিং এ বসে যে সমস্ত লোকদের এদের দুঃখ-দুর্দশার কথা ভাবার কথা ছিল, তারা আরো বড় উন্নতির চিন্তায় ব্যস্ত, এদের দুঃখ দেখার কেউ নেই।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: ঢাকা এয়ারপোর্টের নিচতলায়....সুন্দর নামাজের ব্যবস্থা (ওযুর জায়গাসহ) থাকার কথাটি এখানে জানিয়ে দেবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
অভিজ্ঞতা থেকে আপনি যেসব কথা বলেছেন, তা সবই সত্য।
ওই ভদ্রলোক আপনাকে পয়সা সেধেছেন তার কারণ খুব স্বাভাবিক। জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই এমনকি সেবা না পেলেও তাকে পয়সা দিয়ে আসতে হয়েছে - আসলেও তাই। অবশ্য পয়সার মাধ্যমে সেবাদানকারী কিছু লোকও সেখানে বসা ছিল। লোকটি বোধহয় আমাকে তাদেরই একজন ভেবেছিল। কিন্তু ইমিগ্রেশনে ঢোকার আগে সে কেন তাদের সেবাটুকু গ্রহণ করলো না, সেটাও একটা অমীমাংসিত প্রশ্ন। যাহোক, আমার সামান্য একটু সাহায্য থেকে সে নিরাপদে এবং অতিরিক্ত আর কোন হেনস্থা ছাড়াই তার কর্মস্থলে যোগদান করতে পেরেছে, এটাই বড় প্রাপ্তি ও সান্ত্বনা।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ এবং শুভকামনা....
৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করেছেন; তাজুদ্দিন সাহেব, জিয়া, এরশাদ, বেগম জিয়া, শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কথা কোনদিনও ভাবেনি, ওরা নিজের জন্য সব করেছে।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: দেশের মানুষের কথা ভাবার মানুষ জনসংখ্যার তুলনায় এ দেশে খুব কমই আছে। যা ভাবে, মধ্যবিত্তরা ভাবে। তারা উচ্চবিত্ত হয়ে গেলে আর ভাবে না। কবি সাহিত্যিক, তথাকথিত সুশীল ব্যক্তিদেরও তাদের প্রতি নজর কম। আজকের সাহিত্যে, নাটকে তাদের কথা খুব কমই উঠে আসে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমাকেও অনেক বার লিখে দিতে হয়েছে। এমন কী নিজের সিরিয়ালেও পেছনে পড়ে যাচ্ছিলাম একের পর এক অনুরোধ রাখতে গিয়ে। তবে এই ফালতু নিয়ম বন্ধ করা উচিত। কারণ, সব কিছু পাসপোর্টে লেখাই থাকে। ভিসা ও টিকেট ঠিক থাকার পরও দেশের ইমিগ্রেশন এসব ফাতরামি না করলেই পারে। কিছুদিন আগে আমি অবাক হয়ে গেলাম একই রুমের বাইরে চেক করানোর পর ভেতরে গিয়ে আরেকজন সব কিছু মেলালো। কমন সেন্সের কত অভাব। এত অল্প দূরত্বে ২ টা চেকপোস্ট বসানোর কোন মানে হয় না...
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার মনে হয়, আমাদের সবার মাঝে মনের অবচেতনে ক্ষমতা বা দাপট দেখানোর একটা প্রবণতা কাজ করে। সে কারণেই, যাদের সেবা প্রদানের কথা, তারা হুমকি ধমকি দিতেই বেশী অভ্যস্ত থাকে। সে জন্যেই, দু'বার কেন, তার চেয়েও বেশী অনেকবার কাগজপত্র পরীক্ষার নামে দাপট দেখাতে পারে।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
১১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:২১
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
মানবিক।
আর অমানবিক হলো, বিদেশে নিজের ঘাম ঝরিয়ে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আনলেও সবখানেই এই সব নিরক্ষর মানুষগুলোর নিগৃহিত হওয়া।
সহব্লগার মা.হাসান এর মন্তব্য থেকে এটুকু তুলে দেয়ার লোভ সামলাতে পারলুমনা --
"ওই ভদ্রলোক আপনাকে পয়সা সেধেছেন তার কারণ খুব স্বাভাবিক। জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই এমনকি সেবা না পেলেও তাকে পয়সা দিয়ে আসতে হয়েছে। খুব বেশি সম্ভাবনা যে এয়ারপোর্ট রেলওয়ে স্টেশনের কাছের গেট দিয়ে ঢোকার সময় ওই লোকের কাছে পুলিশ পয়সা নিয়েছে ( দু বছর পরপর এনারা একবার দেশে আসার ছুটি পান। রিসিভ করার সময় এবং ফেরত যাওয়ার সময় এক গাড়ি লোক তাদের সাথে আসে। বেশি লোক দেখলেই পুলিশে সেখান থেকে কিছু সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে), এবং সম্ভবত তৃতীয় তলায় পার্কিং এরিয়াতে ঢোকার সময়ও তাদেরকে কিছু পয়সা দিতে হয়েছে।
...................মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশের যে ফ্লাইট গুলো আসে বা যায় সবগুলোই প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি ভর্তি থাকে। প্রতিদিন অনেকগুলো ফ্লাইট আসে বা যায় মধ্য প্রাচ্যের রুট গুলো থেকে। এই সব রুটে এয়ারলাইন্সগুলো অনেক লাভ করে। কিন্তু যদি দূরত্ব বিচার করেন, দেখবেন সমদূরত্বের অন্য রুটে এয়ারলাইন্সগুলোর টিকিটের দাম অনেক কম। মানিক মিয়া এভিনিউ এর বিশাল বিল্ডিং এ বসে যে সমস্ত লোকদের এদের দুঃখ-দুর্দশার কথা ভাবার কথা ছিল, তারা আরো বড় উন্নতির চিন্তায় ব্যস্ত, এদের দুঃখ দেখার কেউ নেই।"
তারপরেও ঐসব নিগৃহিত মানুষগুলোর পরিবারই মানিক মিয়া এভিনিউ এর বিশাল বিল্ডিং এ বসার লোকগুলোকে ভোট দেয়। আশ্চর্য্য একটি দেশ !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: বিদেশে নিজের ঘাম ঝরিয়ে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আনলেও সবখানেই এই সব নিরক্ষর মানুষগুলোর নিগৃহিত হওয়া আমরা যারা অপেক্ষাকৃত ভাল অবস্থায় আছি, তাদের জন্য লজ্জাজনক। এখন পোষাক শিল্পের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ খুলে গেছে বলে হয়তো আমরা প্রায়শঃই ভুলে যাই, এক সময়ে এদের পাঠানো অর্থের উপর ভিত্তি করেই আমাদের জাতীয় বাজেটের অনেকাংশ প্রণয়ন করা হতো।
মা.হাসান এর মন্তব্যটি হৃদয়মথিত অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা দিয়ে লেখা। সেটা পুনর্বার উল্লেখ করার জন্য এবং আপনার প্রাজ্ঞ মতামতের জন্যেও অনেক ধন্যবাদ।
তারপরেও ঐসব নিগৃহিত মানুষগুলোর পরিবারই মানিক মিয়া এভিনিউ এর বিশাল বিল্ডিং এ বসার লোকগুলোকে ভোট দেয়। আশ্চর্য্য একটি দেশ !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! - জ্বী, এ নিয়ে আপনার আক্ষেপ দীর্ঘদিনের, তা জানি, এবং মানিও।
১২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:০২
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: অন্তত এয়ারপোর্টের ভেতরে, থানায়, হাসপাতালে... সেবাদানের জন্য ভালো, সৎ মানুষদের থাকা দরকার।
আপনি সাহায্য করেছেন জেনে ভালো লাগছে।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: অন্তত এয়ারপোর্টের ভেতরে, থানায়, হাসপাতালে... সেবাদানের জন্য ভালো, সৎ মানুষদের থাকা দরকার - ঠিক বলেছেন। যারা এসব জায়গায় দুর্ব্যবহার এবং অবহেলা পাওয়ায় ভুক্তভোগী, কেবলমাত্র তারাই ভাল করে বুঝবেন এ কথাটার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা।
মন্তব্যে প্রীত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা....
১৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:৫৮
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ ঐ মুহুর্তে (নামাজের সময়) দুষ্হ্য মানুষটিকে সাহায্য করার জন্য। আমাদের দেশের সেবা সংস্হার বেশিভাগ কর্মকর্তারা নিজেদের চাকুরিটি করে শুধুমাত্র মাস শেষে একটা বেতন পাবে এই জন্য; তাদের মাঝে সেবার মানসিকতা খুজে পাওয়া কঠিন। সেই ট্রেইনিংও তাদের দেওয়া হয় না; সঠিক সেবার না দেওয়ার জন্য তাদের কারো কাছে জবাবদিহিতাও করতে হয় না। ফলে দিনে-দিনে সেবা সংস্হায় কর্মরত মানুষদের ঔদত্যতার সীমা ছাড়িয়ে যায় যার প্রভাব পরে আমাদের সকলের উপর।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: সঠিক সেবার না দেওয়ার জন্য তাদের কারো কাছে জবাবদিহিতাও করতে হয় না - এটাই সমস্যার মূল, জবাবদিহিতার অভাব। আগে প্রতিটি সরকারী দপ্তরে পরিদর্শন এবং কাজের মূল্যায়ন করা হতো। কখনো কখনো তা আকস্মিকভাবে করা হতো। এখনো তা হয়তো কাগজে কলমে করা হয় ঠিকই, তবে ঊর্ধ্বতন-অধঃস্তন সব কর্মকর্তা কর্মচারীরাই নিজ নিজ স্বার্থ হাসিলের কাজে সর্বদা মশগুল থাকেন। টেবিল চেয়ার ছেড়ে মাঠ পর্যায়ে যেতে কেহই আগ্রহী নন। আকস্মিক পরিদর্শন এর তো প্রশ্নই উঠে না!
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
১৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:০৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপনি সুন্দর একটি মাসনিব উদ্যেগে লোকটিকে প্রবাস যাত্রায় সাহায্য করেছেন তা না হলে তার বিপদ হতে পারতো।
বর্তমান সময়ে এমন উপকারের মানসিকতাটাই পাওয়া যাচ্ছে না।
ধন্যবাদ।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: তা না হলে তার বিপদ হতে পারতো - জ্বী, এ বিবেচনা থেকেই আমি নামায পড়ার আগেই তার কাজটি করে দিয়েছিলাম।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
১৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:১২
কর্ণফুলী এক্সপ্রেস বলেছেন: শিক্ষার অভাবে মানুষ অসহায় ।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: শিক্ষার অভাবে মানুষ অসহায় - ঠিক বলেছেন।
ব্লগে সুস্বাগতম! শুভ হোক আপনার ব্লগযাত্রা।
১৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: গতকাল পড়েছি এবং মন্তব্য করেছি। এখন আবার আসলাম মন্তব্যের উত্তর দিতে এসে দেখি, কোনো মন্তব্যের'ই উত্তর নেই। মনে হয় আপনি ব্যস্ত।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: মনে হয় আপনি ব্যস্ত - হ্যাঁ, একটা বইমেলা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তাই একটু দেরী হয়ে গেল।
এখন অবশ্য আপনার দুটো মন্তব্যেরই জবাব পেয়ে গেলেন।
১৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৮
জুন বলেছেন: আমাদের দেশের এই সব অসহায় মানুষদের প্রতি আপনার মমতা ও মহানুভব এই আচরণ দেখে মুগ্ধ হোলাম। আমিও প্লেনে বহুবার বহু মানুষের এম্বার্কেশন ফর্ম ফিলাপ করেছি। আমার খালাতো ভাই (আমেরিকা থাকে) এমিরেটস এ প্রবাসীদের নানা রকম আচরনে বিরক্ত হয়ে সেই এয়ারলাইনসে যেতে চায়নি। আমার খালা বলেছিল "তাদের আচরণ যাই হোক, তাদের গায়ে ঘামের গন্ধই থাকুক মনে রেখো তারা তাদের রক্ত ঘাম ফেলে দেশের জন্য আয় করে, তুমি কি করো দেশের জন্য"! আমি আমার খালার এই কথাটি ব্লগে এর আগেও বলেছি, আপনার লেখা পড়ে আমার মৃত খালার কথা মনে পরলো।
এরা বড় হতভাগা যখন দেখি এয়ারপোর্টে পদে পদে তাদের হয়রানি করে কর্মকর্তারা।
আপনার লেখায় প্লাস খায়রুলআহসান।
+
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পরে ব্লগে এলেন জুন, আশাকরি ভাল আছেন।
আপনার খালা ঠিক কথাটিই বলেছিলেন খালাতো ভাই কে। এইসব নিগৃহীত ব্যক্তিদের হয়তো কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বা ভাষা জ্ঞান নেই, কিন্তু তাদের তো নিজ নিজ পেশাগত জ্ঞান রয়েছে। শহিদ একজন ভাল 'ফিটার' না হলে দুবাই এর মত প্রতিযোগিতামূলক জায়গায় চাকুরী করতে পারতো না। সুতরাং তাদের অবজ্ঞা করা উচিত নয়। আমরা তাদের ফরম পূরণে একটু সাহায্য করেই তাদের অবদানকে সম্মান জানাতে পারি।
অনেক ধন্যবাদ, মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য।
শুভকামনা রইলো।
১৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৮
করুণাধারা বলেছেন: আপনি একেবারে ঠিক কাজ করেছেন; মাগরিবের নামাজের সময় খুব স্বল্পস্থায়ী, কিন্তু সেই সময় আপনি আগে লোকটিকে সাহায্য করে তারপর নামাজ পড়তে গেছেন। এটা যদি না করতেন, লোকটি কোন বাটপারের পাল্লায় পড়তো এবং ওইটুকু লিখতে না জানি লোকটির কাছ থেকে কত টাকা আদায় করত!! যেকোনো সুন্দর দৃশ্য মন ভালো করে দেয়, পোস্টে বর্ণিত ঘটনাটা একটা সুন্দর ঘটনা, মন ভাল হয়ে গেল।
প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে আমি একটা পোস্ট লিখেছিলাম, সেখান থেকে কিছুটা তুলে দিচ্ছি:
"মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাস জীবন শুরুর প্রথম বিমানযাত্রা। বিমানবালা হাতে কি একটা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে গেলেন, আমি নিজের ভাবনায় মগ্ন হয়ে সেটা হাতেই ধরে রাখলাম। হঠাৎ শুনি পাশ থেকে কেউ খুব কুণ্ঠিত স্বরে বলছে, "আপা, আমার এই ফরোমটা একটু লিখে দেন।" তার হাত থেকে কাগজখানা হাতে নিয়ে দেখলাম ডিসএম্বারকেশন কার্ড। ফ্লাইট নং কি, কোথায় থাকবে, এদেশে আগমনের কারণ এধরনের কিছু সাধারণ প্রশ্নের জবাব চাওয়া হয়েছে। বিরক্ত হয়ে বললাম, "আপনারটা আপনি লিখে ন্যান।" একটু পর উত্তর এল, প্রায় হাহাকারের মত করে, "আমি ইংরাজি পড়তে পারি না আপা।"
--------------
--------------
সেই আমার প্রথম প্রবাসী শ্রমিক দেখা, সেটা ত্রিশ বছর আগের কথা। সেসময় মধ্যপ্রাচ্যে এদেশের শ্রমিকেরা মাত্রই যেতে শুরু করেছে।"
আমার খুবই অবাক লাগে, ৩০ বছরে দেশে এত উন্নয়ন হলো, অথচ এই প্রবাসী শ্রমিকরা আজও কোনমতে নাম স্বাক্ষর ছাড়া লেখাপড়ার কিছুই জানেনা! বিদেশে এজন্য এরা পদে পদে হেনস্থা এবং হাসিঠাট্টার পাত্র হয়।
সাধারণ একটি বিষয়কে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন,+++
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টে বর্ণিত ঘটনাটা একটা সুন্দর ঘটনা, মন ভাল হয়ে গেল - আমিও এ কথাটা জেনে খুব প্রীত হ'লাম।
প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আমরা বোধহয় প্রায় কাছাকাছি সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে ছিলাম।
১৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:০৩
শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: অন্য মানুষকে সাহায্য করার মনমানসিকতা সবার থাকে না। সত্যিই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য একটি ঘটনা।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: অতি ক্ষুদ্র একটু সহযোগিতা করেছিলাম, তবে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। উল্লেখ করার মত কিছু নয়, তবুও পোস্ট লিখেছি, সবাই যেন এই "বিরক্তের উদ্রেককারী" (কারো কারো কাছে) অসহায় প্রবাসী যাত্রীদের প্রতি একটু সহযোগিতার হাত বাড়ায়, এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন এ সমস্যাটি সমাধানে উদ্যোগী হয়।
আপনার মন্তব্যে এবং প্লাসে অতিশয় প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ....
২০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:২৯
কাতিআশা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার মহানুভবতার কথা পড়ে! ..ভালো থাকবেন আর শুভেচ্ছা রইল!
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, অনেকদিন পরে আমার ব্লগে এসে এ পোস্টটি পড়ে যাবার জন্য। মন্তব্যে প্রীত হয়েছি।
২১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দলিয়করণের কারণে দিন দিন আস্তাকুড়ে পরিনত হচ্ছে, প্রবাসে শ্রমজীবি বাংলাদেশীদের পাইলট প্রোগ্রাম করে ট্রেনিং দেওয়ার জন্য বাংলাদেশে BMET নানান টেকনিক্যাল ইনষ্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। সমস্যা হচ্ছে প্রবাসে যাওয়ার আগে সবার মাথা থাকে ফুল লোড এলোমেলো তারা সেই ট্রেনিংয়ে কিছুই শিখতে পারেন না। তাছাড়া ট্রেনিংয়ে যারা ট্রেইনার তারা খুবই বোরিং টিচার।
আপনি যেই কাজটি করেছেন তা সরকার করতে পারেনি এটি সরকারের ব্যার্থতা। সরকার বিমানবন্দরের বাহিরে একটি “ওয়ানষ্টপ সাার্ভিস” চালু করে রাখলে এই সমস্যা থেকে বেঁচে যেতো দেশের নিরক্ষর, অল্প শিক্ষিত টেকনিক্যাল হ্যান্ডেড পারসন।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: তাছাড়া ট্রেনিংয়ে যারা ট্রেইনার তারা খুবই বোরিং টিচার - কথা সত্য। সরকারী প্রশাসনে জবাবদিহিতা বলতে এখন আর কিছু নেই। অথচ আশি-নব্বই এর দশকেও আমি মোটামুটি গ্রহণযোগ্য পরিবেশ দেখেছি। এখন সবাই সব কিছু পায় আনুগত্যের পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে। সুতরাং পেশাগত দক্ষতা অর্জন এবং প্রদর্শনের এখন আর কোন প্রয়োজনই নেই।
সরকার বিমানবন্দরের বাহিরে একটি “ওয়ানষ্টপ সাার্ভিস” চালু করে রাখলে এই সমস্যা থেকে বেঁচে যেতো দেশের নিরক্ষর, অল্প শিক্ষিত টেকনিক্যাল হ্যান্ডেড পারসন - অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সুপারিশ করেছেন। আশাকরি, সরকারী ঊর্ধ্বতন আমলাদের মধ্যে হৃদয়বান কেউ এ পোস্টটি পাঠ করে থাকলে আপনার এ সুপারিশটি আমলে নিতে চেষ্টা করবেন।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ....
২২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩৭
সোহানী বলেছেন: মনটা একসাথে খারাপ ও ভালো হলো কারন এ ধরনের মানুষ যে দেশের সম্পদ তা আমরা কোনভাবেই স্বীকার করি না। আর মনটা ভালো হলো খায়রুল ভাই এর মতো হাজারো মানুষ দেশে আছে যারা এভাবে প্রয়োজনে এগিয়ে আসে। আর সে কারনেই এখনো দেশে মানুষ বাস করতে পারছে। দেশ জংলী দেশ হয়ে যায়নি পুরোপুরি।
সরকারী সংস্থার কথা বলছেন? এদেরকে সরকারী সংস্থা না বলে রক্তচোষা বলা উচিত।
অনেক ভালো থাকেন.............
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি ভেবেই পাই না, কেন আমাদের দেশের সরকারী সংস্থার কর্মচারীরা দরিদ্র জনগণের সহায়ক শক্তি না হয়ে রক্তচোষা হয়ে থাকে। আমি বাংলাদেশের বিদেশস্থ একটি দূতাবাসে পাঁচ বছরের বেশী কাজ করেছি। সেখানেও দেখেছি, দূতাবাস কর্মচারীরা দূর দূরান্ত থেকে আগত প্রবাসী বাংলাদেশীদের কে কনস্যুলার সহায়তা দেয়ার ব্যাপারে নানাভাবে হেনস্থা করতো, যদিও শ্রেণীগতভাবে ওরা একই শ্রেণীর। এ ব্যাপারে আমি যথাসম্ভব প্রখর দৃষ্টি রাখতাম। তার পরেও ওরা সুযোগ পেলেই সাহায্যপ্রার্থীদেরকে ফিরিয়ে দিত।
সুন্দর, প্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। +
ভাল থাকুন, শুভকামনা....
২৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:২৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দরকারি পোস্ট ।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
২৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:১৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় ভাই ,
অসম্ভব ভালো একটি লেখা পড়লাম যা আমার মনে গেঁথে রইলো আপনি মানবিকতায় আমি আপ্লুত ।
আপনার এই ধরনের জীবনমুখী লেখাগুলো আমার পড়তে ভীষণ ভালো লাগে । ভালো থাকবেন।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এই ধরনের জীবনমুখী লেখাগুলো আমার পড়তে ভীষণ ভালো লাগে - জীবন থেকে নেয়া এসব ছোট ছোট ঘটনাগুলো নিয়ে লিখতে আমারও ভাল লাগে। আর পাঠকরা তার সমাদর করলে আরো ভাল লাগে, যেমনটি আপনি করলেন।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ....
২৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আগেই বলে রাখি, ওপর তলায় আসীন কবি বিদ্রোহী ভৃগু, মহামান্য চাঁদগাজী ভাই, আহমেদ জীএস ভাই, ইবনেবতুতা-খ্যাত জুন আপা, প্রিয় ব্লগার সোহানী ও কবি সেলিম আনোয়ারের উপস্থিতি দেখে আনন্দিত হয়েছি। আপনার পোস্টে প্রায় সকল ঘরানার লেখককে দেখতে পাওয়া যায়। এটি আনন্দের।
বিমানবন্দরে গিয়ে যাত্রী না হয়েও একজন যাত্রীকে মহাপ্রয়োজনীয় সহযোগিতাটি না দেওয়া পর্যন্ত আপনি নামাজে যান নি। আপনি আপনার নামাজকে আরও মর্যাদাপূর্ণ করে দিয়েছেন। নিশ্চয়ই অন্তর্যামী সৃষ্টিকর্তা এর মূল্যায়ন করেন।
ইমিগ্রেশন কার্ডটি পূরণ করার মতো শিক্ষাটুকু কেন দেওয়া গেলো না, তাতে দেশের নেতানেত্রী এবং দেশের পারস্পরিক সরকারগুলো অবশ্যই দায়ী। এমনকি যিনি শহিদ লিখতে গিয়ে শহিদ হয়ে যান, এটি তারও দায়িত্ব নয়। আর দায়িত্ব দিতে হয় দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে, যার কোন সংশোধন হলো না আজও।
শেষমুহূর্তে এসেও দেশের প্রবাসগামী শ্রমজীবীদের জন্য সরকার কিছু করতে পারে। এটি লেখার শেষে আপনি বলে দিয়েছেন। সংক্ষেপে দৈনন্দিন জীবনের ঘটনাকে উপজীব্য করে ভালো একটি বিষয়ের অবতারণা করেছেন।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের প্রথম অংশের কথাগুলো আমার জন্যেও বিশেষ আনন্দদায়ক। যাদের নামোল্লেখ করেছেন, ওনারা নিয়মিতভাবেই আমার পোস্টে এসে মন্তব্য করে যান, এ জন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
আপনি আপনার নামাজকে আরও মর্যাদাপূর্ণ করে দিয়েছেন। নিশ্চয়ই অন্তর্যামী সৃষ্টিকর্তা এর মূল্যায়ন করেন জ্বী, নিশ্চয়ই তিনি তা করেন, এবং বিপদাপন্নকে সাহায্য করা তাঁরই নির্দেশ। আমি লোকটার ফর্ম পূরণ করার সময় স্রষ্টাকে স্মরণ করছিলাম।
সংক্ষেপে দৈনন্দিন জীবনের ঘটনাকে উপজীব্য করে ভালো একটি বিষয়ের অবতারণা করেছেন - অনেক ধন্যবাদ, এ উদার পর্যবেক্ষণ এবং মূল্যায়নের জন্য।
অনেকদিন পরে আপনি আবার ব্লগে লেখালেখি শুরু করেছেন দেখে প্রীত হ'লাম। শুভকামনা---
২৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৯
মিরোরডডল বলেছেন: You did a wonderful job!
Keep it up
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা ....
২৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার চমৎকার অভিজ্ঞতা বর্ণনায় আমার নিজের ও প্রায় একই ধরনের অভিজ্ঞতার কথা মনে এলো।
ঠিক একই ধরনের অসহায় মুখ, কাঁচুমাচু স্বরে অনুনয়। শুরুতে যখন যেতাম তখন ও করতে হত ১৪/১৫ বছর পর এখন ও ভ্রমণের সময় উনাদের ভ্রমণ বৃত্তান্ত লিখে দেয়ার চেষ্টা করি, যদি হাতে সময় থাকে।
তবে আপনার মত এগিয়ে যেয়ে করা হয়ে উঠে না। এয়ারপোর্টে কর্মরত সবার ই ব্যবহার ভীষণ খারাপ এই শ্রমিকদের সাথে। কিছু কারন হয়ত রয়েছে, তারপর ও দৃষ্টিকটু ।
ঝরঝরে বর্ণনায় ভালোলাগা।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: পনের বিশ বছর আগের তুলনায় এখনকার অবস্থার তেমন কোন তারতম্য ঘটে নাই। এখনো প্রতিটি ফ্লাইটে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের ফ্লাইটগুলোর সময় বহু স্বদেশীকে দেখা যায় তাদের এম্বার্কেশন কার্ড পূরণের জন্য অসহায় চেহারায় অন্যের সাহায্যের মুখাপেক্ষী হতে। এর মূল কারণ শিক্ষার অভাব, যে কারণে আমার এ লেখাটির শিরোনাম - শিক্ষাহীনতার কারণে অসহায়ত্ব।
লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।
২৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার পোষ্টে আপনার দেয়া লিঙ্ক থেকে মোবাইলে আগেই পড়েছিলাম। আমার ব্যক্তিগত ব্যবহারের ল্যাপটপ নাগালে না থাকায় মন্তব্য করতে পারছিলাম না; মোবাইলে আমি বাংলা লিখতে পারি না। সেজন্যে প্রথমেই ক্ষমাপ্রার্থী খায়রুল ভাই। বুঝেনই তো, রুটিরুজির ধান্ধায় থাকা লাগে। বেশকিছুদিন বাসায় ছিলাম না, ওয়েলস এর একেবারে শেষমাথায় যেতে হয়েছিল।
আপনার পোষ্টে যে মানবিকতার কথা তুলে ধরেছেন, এমনটা আমাদের সমাজে কম মানুষই করে। তারচেয়েও বড় কথা, এ'ধরনের সাহায্যের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব সরকারের, এদের শিক্ষার দায়িত্বও সরকারের। তারা যদি এই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতো, তাহলে এই ধরনের মানুষদেরকে বিড়ম্বনায় পড়তে হতো না।
দেশে যখনই আসি, মধ্যপ্রাচ্য থেকে যাত্রা শুরু করার পর দেশে ল্যান্ড করার ঘন্টাখানেক আগে থেকে আমার এ'ধরনের কাজ শুরু হয়। প্রথমে পাশের যাত্রী, এরপর একে একে আশেপাশের সবাই তাদের ফর্ম এগিয়ে দেয়। একবার এমনই ফর্ম পূরণ করতে করতে মজা করে বলেছিলাম, ফর্ম প্রতি টাকা নিলে তো বড়লোক হয়ে যেতাম। আমার এই মজা বুঝতে না পেরে একজন ফর্মের নীচে ঘুষ দেয়ার মতো করে ২০ রিয়ালের একটা নোট ধরিয়ে দিয়েছিল........বুঝেন অবস্থা! আমি তো পুরাই অপ্রস্তুত!!!
আবার দেশ থেকে ফেরার সময়ও আপনার মতো একই কাজ করি ঘন্টা ধরে। আমাকে যেহেতু ইমিগ্রেশানের লম্বা লাইনে দাড়াতে হয় না, তাই অনেক সময় ধরেই এই কাজ করি। মাঝে মধ্যে দু'একজনকে না যে করি নাই, তা না। কিন্তু এদের চোখের আকুতি দেখলে সাহায্য না করে পারি না।
কবে যে আমাদের সরকার এদের দুঃখ বুঝবে, আল্লাহই জানে।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: মোবাইলে আমি বাংলা লিখতে পারি না - একই সমস্যা আমারও। এজন্য অনেক সময় পোস্ট পড়ার পরেও অনেকের মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হয়ে যায়।
"তারচেয়েও বড় কথা, এ'ধরনের সাহায্যের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব সরকারের, এদের শিক্ষার দায়িত্বও সরকারের" - জ্বী, আপনি ঠিকই বলেছেন। আমিও আমার পোস্টের শেষের দিকে শ্রম ও জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিএমইটি এর প্রাসঙ্গিক দায়িত্বের কথা বলেছি।
পোস্ট পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:০৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম।
আপনার দারুন পরোপকারী মানসিকতা এবং উদারতা শিক্ষনীয় উপমা হয়ে রইলো!
অনেকেই আছে দেখেও না দেখার মতো ইগনোর করে চলে যায়!
যাদের রক্ত,শ্রম, ঘামে রেমিটেন্সের ফুলে ফেপে ওঠা, তাদেরই অবহেলা করে সরকার!
তাদের সেবার জন্য একটা বুথ থাকতেই পারে। যারা শুধু ইউনিফর্ম পড়ে বসে থাকবে না
বরং অনুসন্ধানী চোখে খূঁজে আপনার মতো দরদী মানসিকতায় সাহায্য করবে।
স্যালুট প্রিয় সিনিয়র।
+++