নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শ্রীমঙ্গলে আড়াই দিন - প্রথম পর্ব (ছবি ব্লগ)

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩০


শ্রীমঙ্গলের পথে... ১০ নভেম্বর ২০২২

এর পরের পর্বটি পড়তে পারবেন এখানেঃ শ্রীমঙ্গলে আড়াই দিন - দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব (ছবি ব্লগ)

“দিলিতান্তি ফটোগ্রাফার্স সোসাইটি" (Dilettante Photographers Society) বা সংক্ষেপে DPS নামে একটি ফেসবুক গ্রুপের সাথে আমি সংযুক্ত আছি প্রায় সাত বছর ধরে। আমি একজন নিতান্তই ‘নবিশ’ ফটোগ্রাফার; নিজেকে ‘সৌখিন ফটোগ্রাফার’ বলে আখ্যায়িত করলেও অনেক বাড়িয়ে বলা হবে। ফটোগ্রাফিতে আমার দৌড় সেলফোন ক্যামেরা পর্যন্ত; ফটোগ্রাফি’র খুঁটিনাটি বিষয়াদি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ। কলেজে আমার তিন বছরের অগ্রজ মাহবুব শহীদ ভাই এই গ্রুপের একজন এ্যাডমিন। তিনি আমাকে একদিন গ্রুপে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানালেন। প্রথমে তো গ্রুপের নাম উচ্চারণ করতেই আমার দাঁত ভাঙ্গার অবস্থা। অভিধান খুলতে বাধ্য হলাম। দেখলাম, গ্রুপের প্রথম শব্দটির উচ্চারণ আমি যেভাবে ভেবেছি, তা ভুল। এ শব্দটির সঠিক উচ্চারণ 'দিলিতান্ত', 'দিলিতান্তে' অথবা ‘দিলিতান্তি’ (সবগুলোই শুদ্ধ উচ্চারণ)। আর শব্দটির অর্থঃ “An admirer or lover of the fine arts; কাব্য বা সঙ্গীত ইত্যাদির অনুরাগী কিন্তু এসব বিষয়ে অগভীর জ্ঞানসম্পন্ন বা এসব বিষয়ে যথেষ্ট অভিনিবেশ নেই, এমন ব্যক্তি”। ভাবলাম, এ সংজ্ঞা তো আমার জন্য খাপে খাপে মিলে যায়। তাই আর দ্বিধা না করে আমন্ত্রণ গ্রহণ করলাম, গ্রুপে যোগদান করলাম। বর্তমানে এ গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ৪১৬১ জন। সদস্যদের বয়সের রেঞ্জ ২৫ থেকে ৭৫, কমবেশি।

গ্রুপে ছবি পোস্ট করার ব্যাপারে আমার অবদান নেই বললেই চলে। কারণ, এত এত সব চমৎকার ফটোগ্রাফারদের পোস্ট করা ছবির মাঝে আমার অদক্ষ হাতে তোলা ছবিগুলো পাতে তোলার মত হয় না। তাই গ্রুপে নিজের তোলা ছবি পোস্ট করার ব্যাপারে বাধ্য হয়ে আমি যথাসম্ভব সংযত থাকি, যদিও নিজের ওয়ালে অহরহ যা কিছু তুলি, তাই পোস্ট করে থাকি। তবে গ্রুপের সুন্দর সুন্দর সব ছবি দেখে অকাতরে ‘রিয়্যাক্ট’ দেখাতে এবং সময় থাকলে মন্তব্যও করতে মোটেই কার্পণ্য করি না, এবং তাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে আমিও কালেভদ্রে দুই একটা নিজের তোলা ছবিও পোস্ট করে থাকি। বলা যায়, নিজে ছবি পোস্ট না করলেও আমি অনেকটা নিয়মিতভাবেই গ্রুপ ভিজিট করি, তাই গ্রুপের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবহিত থাকি। ছবি দেখা ছাড়াও গ্রুপের আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করে আমি মুগ্ধ হই, গ্রুপের সদস্যরা মাঝে মাঝেই ছোট ছোট দল বেঁধে এখানে সেখানে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। বিশেষ করে স্মর্তব্য তাদের ‘বৃহত্তর রাজশাহী এলাকা’ সফরের কথা। সেই সফরে আমি যাইনি, তবে সফরকারী সদস্যরা ফিরে এসে তাদের অভিজ্ঞতা, অন্তরঙ্গতা এবং স্থানীয় দুই একজন সদস্যদের আন্তরিকতা, আতিথেয়তা ও সহযোগিতার যে বিবরণ মৌখিকভাবে এবং পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তা শুনে/দেখে আমি যারপরনাই মুগ্ধ হই।

একবার এদের একটি স্থানীয় সফরে আমি যোগদানের অঙ্গীকার করেছিলাম। কিন্তু নির্দিষ্ট তারিখের আগের রাতে আমার এক নিকটাত্মীয়ের মৃত্যুর কারণে সে সফর থেকে বিরত থাকি। তাই এবারে অক্টোবর মাসের শুরুতে যখন শ্রীমঙ্গল সফরের জন্য রেজিস্ট্রেশনের ডাক এলো, আমি সাথে সাথে রেজিস্ট্রেশন করে ফেললাম। প্রথমে তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২০-২২শে অক্টোবর। কিন্তু হঠাৎ করে একজন সদস্য কভিডাক্রান্ত হওয়ায় তারিখ পরিবর্তন করে ১০-১২ নভেম্বর করা হয়। ঢাকা থেকে আমরা দশজন সদস্য ‘পারাবত এক্সপ্রেস’ ট্রেনযোগে রওনা দিয়েছিলাম, দু’জন শ্রীমঙ্গল এবং মৌলভীবাজার থেকে যোগদান করেছিলেন। মোট ১২ জন সফরসঙ্গীর মধ্যে ৫ জন আমার পূর্ব পরিচিত ছিলেন। বাকি সাতজন নতুন সফরসঙ্গীর সাথে পরিচিত হয়ে সকলের সান্নিধ্যে বেশ আনন্দের সাথে আড়াই দিন শ্রীমঙ্গলে কাটিয়ে এলাম। এই ১২ জনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠের বয়স ২৫, আর সর্বজ্যেষ্ঠর ৭৩। বয়সের এ বিস্তর ব্যবধান যূথবদ্ধ সকলের আনন্দ আহরণে কোন তারতম্য করতে পারেনি, এক অদৃশ্য বিনিসূতোর বাঁধন যেন সবাইকে বেঁধে রেখেছিল। আমরা যারা একটু বয়স্ক ছিলাম, তাদেরকে ট্রেনে ওঠানামা এবং ছোট হলেও লাগেজ ক্যারী করতে কনিষ্ঠরা যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে সহযোগিতা করেছিলেন।

প্রথমদিন গন্তব্যে পৌঁছানোর পর কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে লাঞ্চের পর গিয়েছিলাম কমলগঞ্জে অবস্থিত “লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান” দেখতে। সেখানে আমি আগেও অন্ততঃ তিন/চারবার গিয়েছিলাম, সর্বশেষ গিয়েছিলাম বছর দশেক আগে, ২০১২ সালের দিকে। এবারে রেল লাইনের পার্শ্বস্থিত একটি বিলবোর্ডে চোখ আটকে গেল, যেখানে একটি তিরচিহ্ন দিয়ে লেখা আছেঃ “লাউয়াছড়া বনে ১৯৫৫ সনে শ্যুটিংকৃত অস্কারবিজয়ী হলিউড মুভি ‘Around The World In Eighty Days’ এর শ্যুটিং স্পট (রেল লাইন)”। এই বিজ্ঞাপনটি আগে কখনো দেখেছিলাম বলে মনে করতে পারলাম না। রেললাইন আমার আজন্ম প্রিয় একটি দর্শনীয় বস্তু। সুদূরবিস্তৃত সোজা রেললাইন শেষ পর্যন্ত একটি বিন্দুতে মিলিয়ে যাওয়া দেখতে যেমন ভালো লাগে, বাঁক নেয়া সমান্তরাল দুটো লাইন দেখতেও একইরকম ভালো লাগে। তবে দুটোতে দু’রকমের ভাবনা মনে উদয় হয়। এই ভালো লাগার কারণে লাউয়াছড়ার এই সোজা রেললাইন আমি যতবার এখানে এসেছি, ততবারই বেশ কিছুটা সময় নিয়ে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেছি। লাউয়াছড়া থেকে ফেরার পথে ‘নীলকণ্ঠ’ এর ‘লেয়ার চা’ এর দোকানে কিছু সময়ের জন্য বসেছিলাম। DPS এর স্থানীয় সদস্য অনুতোষ সরকার তথা অন্তু স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ঘোষণা দিলেন যে সবার চায়ের মূল্য তিনি মিটিয়ে দিবেন। দলাধিনায়ক মাহবুব শহীদ ভাই সাথে সাথে যোগ করলেন যে চায়ের সাথে ‘টা’ এর মূল্যটা তিনি পরিশোধ করবেন। চা ও টা খেতে খেতে আমাদের মধ্যকার আলাপ সালাপ কিছুক্ষণের জন্য বেশ জমাট বেঁধেছিল।


ঢাকা
১৬ নভেম্বর ২০২২
শব্দসংখ্যাঃ ৬৯০


চলন্ত ট্রেন থেকে তোলা চা বাগানের ছবি
সকাল ১০ঃ৪১, ১০ নভেম্বর ২০২২


পৌঁছে গেলাম শ্রীমঙ্গল....
সকাল ১১ঃ০২, ১০ নভেম্বর ২০২২


লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার
বিকেল ৩ঃ৩৬, ১০ নভেম্বর ২০২২


লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজারে বিরল প্রজাতির একটি "আফ্রিকান টীক ওক" গাছ। বাংলাদেশে এই প্রজাতির গাছ একটি মাত্রই ছিল বলে জনৈক দর্শনার্থী জানালেন।
বিকেল ৩ঃ৪৩, ১০ নভেম্বর ২০২২


সেই গাছটি বজ্রাঘাতে এখন নিষ্প্রাণ!
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার
বিকেল ৩ঃ৪৩, ১০ নভেম্বর ২০২২


চলে সমান্তরালে....
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার
বিকেল ৪ঃ০৫, ১০ নভেম্বর ২০২২


এক টুকরো ইতিহাস....
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার
বিকেল ৪ঃ০৯, ১০ নভেম্বর ২০২২


লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে তখন যারা যারা উপস্থিত ছিলেন (তিন জন অনুপস্থিত), তারা একটা গ্রুপ ছবি তুললেন। এখানে একজনই আছেন, যাকে যে কোন দিক থেকে দেখলেই, তার স্থানের ক্রম একই থাকবে!
বিকেল ৩ঃ৫৩, ১০ নভেম্বর ২০২২

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


শ্রীমঙ্গল গিয়েছিলাম, অনেক বছর আগে। চা বাগান আমাকে টেনেছে।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: শ্রীমঙ্গলের চা বাগানগুলো সত্যিই খুব সুন্দর। প্রাকৃতিক পরিবেশ মায়াবী।
প্রথম মন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ।

২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কমলগঞ্জ লাউয়াছড়া প্রতি বর্ষায় আমাকে টানে !!!
আপনার ভ্রমণ ছবিগুলো আমাকে শীতে ও টানছে। হুট করে আশা করছি একদিন দেখা হয়ে যাবে এইসব বনের গাছাপালার সাথে লাউয়াছড়ার সেই বিখ্যাত রেললাইনের সাথে।

চমৎকার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা আর ছবি !!!

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, বর্ষাকালে লাউয়াছড়ার সৌন্দর্য এবং আকর্ষণ অনেক বেড়ে যায়। তবে সে সময়ে জোঁকের উপদ্রবও অনেক বেশি থাকে! :)
স্বপ্নবাজ সৌরভও আমার এ কথাটি সমর্থন করেছেন, হয়তো তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই।

চমৎকার মন্তব্য এবং প্রথম প্লাসটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ২:৫৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: শ্রীমঙ্গল আমার যাওয়া হয়েছিল অনেক বছর আগে, ইউনিভারসিটির কয়েকজন সিনিয়র এবং জুনিয়র মিলে গিয়েছিলাম। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল লেয়ার চা খাওয়া, তবে যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন দোকান বন্ধ ছিল। তারপর সিলেটে গিয়েছিলাম সেখান থেকে, উদ্দেশ্য ছিল সিলেট ঘুরব এবং শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ডক্টর জাফর ইকবালের সাথে দেখা করব, তবে গিয়ে তাকেও পাইনি তবে ঘুরেছি অনেক।

পুরোনো স্মৃতি মনে পরল। ভাল লিখেছেন।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: "তবে যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন দোকান বন্ধ ছিল" - ভালোই হয়েছিল। "লেয়ার চা" আমার মোটেই ভালো লাগেনি। মন্তব্যের ঘরে দেখবেন আরও অনেকেই বলে গেছেন একই কথা।
পোস্ট পড়ে নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা বলে গেলেন, অনেক ভালো লাগল। অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।

৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৫২

সোহানী বলেছেন: লাউয়াছড়াতে গেছিলাম অনেক বছর আগে তবে আমিও এমন সাইনবোর্ড দেখিনি।

এভাবে নতুন গ্রুপের সাথে ভ্রমণ শুনেইতো রোমাঞ্চকর মনে হচ্ছে।

পোস্টে+ছবিতে ভালোলাগা।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "তবে আমিও এমন সাইনবোর্ড দেখিনি" - যাক, তবে আমিও আশ্বস্ত হ'লাম, এ বিজ্ঞপ্তিটি আগে ছিল না। অন্ততঃ দশ বছর আগে। পরবর্তীতে কেউ হয়তো এ তথ্যটি উদঘাটন করে তারপর বিলবোর্ডটি বসিয়ে দিয়েছেন।
"এভাবে নতুন গ্রুপের সাথে ভ্রমণ শুনেইতো রোমাঞ্চকর মনে হচ্ছে" - জ্বী, অনেক নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হলো। ওনারা প্রত্যেকেই যার যার কর্মক্ষেত্রে গুণী ব্যক্তি। ভালো লেগেছে, একসাথে দল বেঁধে এভাবে ঘোরাফেরা করতে।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:০৭

করুণাধারা বলেছেন: ছবিগুলো বেশ ভালো হয়েছে, এমনিতে আপনার তোলা ছবির থিম সবসময় ভালোই হয়, তাই ছবি হয় দৃষ্টি নন্দন!

অবসর জীবনে হবি হিসেবে ফটোগ্রাফি চমৎকার, বিশেষ করে যখন তখন পকেট থেকে ক্যামেরা বের করে ক্লিক করার সুবিধা আছে যখন।

বিশেষ ভাবে ভালো লেগেছে রেলগাড়ি থেকে তোলা চা বাগানের ছবি আর 'বহে সমান্তরাল' ছবি দুটি। শেষ ছবিটা দেখে স্মৃতির ঝাঁপি খুলে গেল... "এ পথে আমি যে গেছি বারবার..." ভোরের দিকে মেল ট্রেন ঢুকতো লাউয়াছড়া বনে, মনে হতো এক সবুজ টানেলে বুকে পড়লাম! সাথে ছিল অজস্র পাখির কূজন। সময়টা ছিল সবেতেই মুগ্ধ হবার, সেই মুগ্ধতা আজো মনে অম্লান রয়ে গেছে তা আপনার ছবি দেখে নতুন করে বুঝতে পারলাম।
চমৎকার পোস্ট, লাইক।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবির প্রশংসায় উৎসাহিত বোধ করছি।

"অবসর জীবনে হবি হিসেবে ফটোগ্রাফি চমৎকার" - অবসর জীবনে আমি যা কিছুই করছি, তাই চমৎকার মনে হয়। এই যেমন ধরুন এখানে টুকটাক লিখি, মাঝে মাঝে কোথাও ঘোরাঘুরি করি, অনলাইনে কিংবা কাগজের পৃষ্ঠায় অন্যের লেখা পড়ি, আর বিভিন্ন মিডিয়ায় বন্ধুদের সাথে টুকটাক আলাপ সালাপের মাধ্যমে ভালোমন্দ খোঁজ খবর আদান প্রদান করি, ইন্টারএ্যাক্ট করি।

ছবি দেখে কিছুক্ষণ 'লাউয়াছড়া বন' এর স্মৃতি রোমন্থন করেছেন জেনে ভালো লাগল। পোস্ট 'লাইক' করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:২৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
লাউয়াছড়াতে হাইকিং ভালো লেগেছিল। চা বাগান আমাকে টেনেছে। সবচেয়ে মনমুগ্ধকর ছিল বাইক্কার বিল। পরের পর্বে নিশ্চয়ই আসবে।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: 'হাইকিং ভালো লেগেছিল' এবং চা বাগান আপনাকে টেনেছে জেনে আমারও ভালো লাগল। আমারও এ দুটোই ভালো লাগে।
'বাইক্কার বিল' যাওয়া হয়নি। হাকালুকি হাওড়ে গিয়েছিলাম। তবে এখনকার হাওড়কে আর হাওড় বলা যায় না। হাওড়ের অনেকটা বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এখন গরু চড়ে। এ নিয়ে আগামী পর্বে সামান্য কিছু কথা থাকবে।

৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:২৭

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
অসম্পূর্ণ মন্তব্যের জন্য ফিরে এলাম। ছবি সুন্দর হয়েছে। এইসময় চা বাগানে পাতা কম থাকে। বৃষ্টির সময় পুরো সবুজ। তখন আবার ঘুরতে সমস্যা। কাদা, জোঁক।

আপনি ভালো থাকবে। সবুজে থাকলে মন সবুজ , নির্মল থাকে। আপনি এই ব্লগের সবুজ। এই ব্লগ নির্মল হোক।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: "তখন আবার ঘুরতে সমস্যা। কাদা, জোঁক" - জ্বী, বৃষ্টির সময়েই একবার আমাকে একটা জোঁক ধরেছিল!
"এই ব্লগ নির্মল হোক" - এটাই কাম্য।

৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: লাউয়াছড়াতে আমিও মনে হয় ২০১২ সালে গিয়েছিলাম।
গেটের সামনে ছোট্ট আকৃতির জলডুগী আনারস লাল মরিচ আর বিট লবন দিয়ে খেয়েছিলাম - ১০ টাকা পিস মাত্র। সে স্বাদ মুখে লেগে আছে।
আপনার ভ্রমন গল্প শুনে আমারও যেতে ইচ্ছে হল খুব এমন নতুন ভ্রমনার্থীদের সাথে- তবে আপাতত সম্ভব নয় সম্ভবত!

বাকিটুকু শোনার অপেক্ষায় রইলাম।
( ও নীলকন্ঠী চা আমার পছন্দ হয়নি)

১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: নীলকন্ঠী চা আমারও পছন্দের নয়। যারা একবার সেটা পান করেছে তারা দ্বিতীয়বার আর নেবে না। আমাদের ১২ জনের মধ্যে মাত্র একজন নিয়েছিল সেই চা। আমি নিয়েছিলাম স্রেফ কালো চা; দুধবিহীন, চিনিবিহীন।
এমন নতুন ভ্রমনার্থীদের সাথে ভ্রমণ করে আমারও ভালো লেগেছে। সবার কমন গ্রাউন্ড ছিল একটাই, ফটোগ্রাফী ভালবাসা। বাকি অন্য বিষয়ে সবার পছন্দ এক না হলেও, তাতে ভ্রমণে কোন ব্যত্যয় ঘটেনি।

৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৪

জুল ভার্ন বলেছেন: শ্রীমঙ্গল বিভিন্ন সময় বেড়ানোর অভিজ্ঞতা আছে... আপনার ভ্রমন পরিক্রমা এবং ছবি ভালো লেগেছে। +

১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: সময় করে এসে পোস্ট পড়ে যাবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। প্লাসে প্রাণিত।

১০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৬

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
শেরজা তপন বলেছেন:
( ও নীলকন্ঠী চা আমার পছন্দ হয়নি)


আমার তাই। কেউ গেলে নীলকন্ঠীর কথা বলিনা।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমিও বলি না।
পুনঃমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১০

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট ভালো লেগেছে।
শ্রীমঙ্গল গিয়েছি। খুব সুন্দর জায়গা।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে এবং তা এখানে জানিয়ে গেলেন বলে খুশি হ'লাম।
আসলেই শ্রীমঙ্গল খুবই সুন্দর জায়গা।

১২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
ছবি খুব বেশী ভালো হয়েছে লা যাবে না। তবে পোস্টটি ভালো হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নাই।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবির ব্যাপারে আমার সীমাবদ্ধতার কথা প্রথমেই বলেছি। আপনার ধারে কাছেও তো কোনদিন যেতে পারবো না।
"তবে পোস্টটি ভালো হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নাই" - এটুকুই আমার জন্যে যথেষ্ট!

১৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৪

নীল-দর্পণ বলেছেন: চা বাগানের ভেতরে গিয়ে দেখার চাইতে আমার কাছে বাইরে থেকে গাড়িতে চলার পথে দেখতে বেশি ভালো লাগে! কমলগঞ্জের এত কাছে থেকেও যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল না লাঊয়াছড়া বনে যাওয়ার!

"এখানে একজনই আছেন, যাকে যে কোন দিক থেকে দেখলেই, তার স্থানেরক্রম একই থাকবে!" তিনি কি এমন হিসেব নিকেষ করেই দাঁড়িয়েছিলেন?

২০ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: এটা ঠিক, চা বাগান একটু দূর থেকে দেখতেই ভালো লাগে।
না না, তিনি কোন হিসেব-নিকেশ করে দাঁড়ান নি। এমনি এমনি দাঁড়িয়েই পরে ছবি দেখে হিসেবটা বুঝতে পারেন। :)
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:০৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:



লাউয়াছড়া বনে ডিলিট্যান্টিদের দেখে ভালো লাগলো। ছবিগুলো সুন্দর, অ্যামেচার মনে হয় নি।

আমি বারবার পাশ দিয়ে গিয়েছি - ভেতরে যাওয়া হয়নি।

২০ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: "ছবিগুলো সুন্দর, অ্যামেচার মনে হয় নি" - অনেক ধন্যবাদ এ মূল্যায়নের জন্য।
বোধকরি, অনেকদিন পর ব্লগে লগ-ইন করলেন। অবশ্য ব্লগের বাইরেও আপনি যা কিছু নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন, ফেসবুকের কল্যাণে সেগুলোও কিছু কিছু জানি, এবং সেগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ। চালিয়ে যান!

১৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০২

শায়মা বলেছেন: লাউয়াছড়া শ্রীমঙ্গলে আমিও গিয়েছিলাম দুইবার।

শ্রীমঙ্গল আমারও খুব ভালো লেগেছিলো।

এমনিতেই মন ভালো হয়ে যায় সেখানে গেলে।

২০ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: এমনিতেই মন ভালো হয়ে যায় সেখানে গেলে - আসলেই! প্রকৃতি মানুষের নিবিড়তম বন্ধু।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১১

ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

২০ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। প্লাস অনেক আগেই দিয়ে গিয়েছিলেন, সেটা খেয়াল করেছি। এবারে মন্তব্যটাও পেয়ে খুশি হ'লাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.