নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
ফাটা টায়ারের চাকা খোলার কাজ চলছে.....
২০ মে ২০২৩, বিকেল ১৭-৪১
গত চার পাঁচদিন ধরে আনায়াকে স্কুলে পৌঁছে দেয়ার পর বাসার আশে পাশের রাস্তাগুলো দিয়ে হেঁটে বেড়িয়েছি পথ-পরিচিতির জন্য। গতকাল রিজাইনা পাবলিক লাইব্রেরীতে গিয়ে কিছুটা সময় ছিলাম। কিছুটা সময় বলতে কয়েক ঘণ্টা। মুশকিল হলো, লাইব্রেরীতে একবার ঢুকলে সময়ের প্রতি আমার কোন খেয়াল থাকে না। তাই কয়েক ঘণ্টায় মনের আশ মেটেনি। আমাদের বাসা থেকে লাইব্রেরী দশ মিনিটের হাঁটা পথ। লাইব্রেরীতে পাঠকদের জন্য এমন কোন সুবিধার কথা ভাবা যায় না, যা নেই। এখানে আবার আসতে হবে, মনে এই আশা রেখে বাসায় ফিরতে হয়েছিল উইনিপেগ যাবার পূর্বে জরুরী কিছু প্রস্তুতির জন্য। আজ আবার সপ্তাহান্ত; শনি রবির পর সোমবার কানাডার সরকারি ছুটি ভিক্টোরিয়া ডে উপলক্ষে। আদনান আর সবুজ তার সাথে আরও একদিন ব্যক্তিগত ছুটি নিয়ে উইনিপেগ যাওয়ার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি আগে থেকেই নিয়ে রেখেছে।
আমরা দুটো পরিবার দুই গাড়িতে একসাথে রওনা হলাম। আমরা যে প্রভিন্সে আছি, সেই সাচকাচুয়ানের পূর্বদিকের প্রভিন্সটির নাম ম্যানিটোবা, তার রাজধানী উইনিপেগ। রিজাইনা থেকে উইনিপেগ গাড়িতে ছয় ঘণ্টার পথ, ৫৭৫ কিলোমিটার সোজা পূর্বে। আমরা যে হোটেলটিতে উঠবো, সেটা আরও কিছুটা দূরে। রিজাইনা থেকে সেটার দূরত্ব মোট ৫৮৫ কিমি। শহরটিতে ছয় শতাধিক মুরাল এবং অসংখ্য স্ট্রীট আর্ট রয়েছে। এখানকার রয়্যাল উইনিপেগ ব্যালে কানাডার প্রাচীনতম নৃত্যকলা প্রতিষ্ঠান। ইমিগ্র্যান্টদের জন্য সবচেয়ে পছন্দের জায়গা হিসেবে টরন্টো, ক্যালগেরি এবং ভ্যাঙ্ক্যুভার এর পরই উইনিপেগ এর স্থান, কারণ affordablity and a better work-life balance এর কথা বিবেচনা করলে উইনিপেগ অন্যান্য শহরগুলোর চেয়ে অগ্রগণ্য। এটাই বিশ্বের প্রথম শহর, যা জরুরী পুলিশ সাহায্যের জন্য '৯১১ ইমারজেন্সি কল-বার্তা' এর প্রচলন করে। কানাডায় নারীদের ভোটাধিকার প্রয়োগও সর্বপ্রথমে এখান থেকেই শুরু হয়। তাছাড়া আদিবাসীদের প্রতি এবং দরিদ্রদের প্রতি এ প্রভিন্সটি অন্যান্যগুলোর তুলনায় মোটামুটি সংবেদনশীল ছিল বলে ইতিহাসে সুখ্যাত।
রিজাইনা থেকে উইনিপেগ, বলা চলে পূবে-পশ্চিমে সরলরেখার মত একটানা সোজা রাস্তা, কোথাও তেমন কোন বড় বাঁক টাক নেই, কেবলমাত্র এক্সিট ছাড়া। আমরা যাচ্ছিলাম পশ্চিম থেকে পূবে। রাস্তার দু'পাশেও প্রায় একই রকম দৃশ্য- যেন সবুজ গালিচা আচ্ছাদিত বিস্তীর্ণ প্রান্তর; কোন স্ট্রাকচার নেই, মাঝে মাঝে কিছু ছোট ছোট জলাশয় দেখা যায়, আর তার আশে পাশে স্বাধীনভাবে বিচরণরত কিছু দড়ি-খুঁটাবিহীন গবাদি পশু। অনেক দূর পর পর বড় বড় গাছপালা পরিবেষ্টিত কিছু ঘরবাড়ি দেখা যায়, এগুলোকে বলে 'একরেইজ হোম' (acreage home)। শহরে বসবাসরত কিন্তু শহর থেকে দূরে, গ্রামীণ এলাকায় ভূমিসত্ত্বের অধিকারী ভূস্বামীগণ ফসল তোলার সময় মাঝে মাঝে এসব বাড়িতে এসে কিছুকাল অবস্থান করেন। ঝড় বৃষ্টির সময় বায়ুর গতিবেগ কিছুটা হলেও রোধ করার জন্য এসব বাড়িঘর গাছপালা পরিবেষ্টিত রাখা হয়। এই গাছের সারিগুলোকে তাই 'উইন্ডব্রেক' বলা হয়।
একেতো এরকম একটানা, বৈচিত্রহীন রাস্তায় মনোটোনাস ড্রাইভিং এমনিতেই চালকের চোখে ঘুম টেনে আনে, তার উপরে আবার আমাদের অনুরোধে গাড়িতে বাজছিল রবীন্দ্র সঙ্গীত। আমি নিজেও মাঝে মাঝে ঘুমে টুপছিলাম। সম্বিৎ ফিরলেই আদনানের চোখের দিকে তাকিয়ে দেখছিলাম ওর চোখও ঘুমে ঢুলুঢুলু কিনা। ওকে জিজ্ঞেস করলেই বলে, সামনের Tim Hortens এ কফি ব্রেক নেবে। সবুজ ওদের গাড়িটা চালিয়ে ঠিক আমাদের পিছে পিছেই আসছিল। সেখান থেকে তানিয়া মাঝে মাঝে ফোন করে আমাদের খোঁজ খবর নিচ্ছিল এবং এটা ওটা জিজ্ঞেস করছিল। এতেও আমাদের ঘুম ঘুম ভাবটা কেটে যাচ্ছিল। আমরা বাসা থেকে রওনা হয়েছিলাম সকাল ০৮-২৩ এ। Costco মোড়ে হাল্কা স্ন্যাক্সসহ চা পান করে সেখান থেকে পুনরায় রওনা হ'লাম ঠিক নয়টায়। ক্যু'পেল, ওলসলী, গ্রেনফেল, এস্টেভান ইত্যাদি সাইনবোর্ড দেখতে দেখতে হঠাৎ এক জায়গায় খুব বড় বড় কয়েকটি বায়ুকল বা Windmill চোখে পড়লো। Windmill সম্পর্কে আনায়া বই পড়ে বা কার্টুন দেখে কিছুটা ধারণা আগেই পেয়েছিল। এবারে স্বচক্ষে তা দেখে কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করলো। মেলভিল, ব্রডভিউ, হোয়াইটউড, মুজ মাউন্টেইনস, ওয়াপেলা, মুসোমিম, ল্যাঙ্গেনবার্গ ইত্যাদি এলাকার সাইনবোর্ড পার হয়ে আমরা ঠিক এগারটায় স্থানীয় Tim Hortens এ কফি ব্রেক নিলাম। ততক্ষণে আমরা মাত্র ২৩৩ কিমি পথ অতিক্রম করেছি, গন্তব্য থেকে তখনও ৩৫২ কিমি পথ পেছনে।
সকাল ১১-৪৫ এ আমরা ম্যানিটোবা প্রভিন্সের সীমানায় প্রবেশ করলাম। রিজাইনা ও উইনিপেগ এর ঠিক মধ্যবর্তী স্থান ভারডেন অতিক্রম করলাম ০১-০৭ এ। ততক্ষণে আরেকটি ব্রেক নেয়ার সময় হয়ে গেছে। কিন্তু এবারে শুধু রেস্টরুম ভিজিট আর গাড়ির ফুয়েল ট্যাঙ্ক টপ আপ করে দু'জন চালকই সাব্যস্ত করলো যে পরবর্তী বিরতি হবে লাঞ্চ ব্রেক, ব্রান্ডনে। ব্রান্ডন তখনও প্রায় এক-দেড় ঘণ্টার পথ দূরে। যাহোক, ব্রান্ডনে লাঞ্চ শেষে চালক দু'জন বাকি পথের দূরত্ব হিসেব করে জানালো, গন্তব্যে পৌঁছতে সাতটা-সাড়ে সাতটা বেজে যাবে। পুনরায় যাত্রা শুরু করে আদনান ফোন করে হোটেল রিসেপশনে আমাদের পৌঁছাবার পরিবর্তিত সময়টা জানিয়ে দিল। তখনও আমরা ঘূর্ণাক্ষরেও কেউ কল্পনা করতে পারিনি, সামনে আমাদের জন্য কি ভয়ঙ্কর বিপদ অপেক্ষা করছে!
ব্রান্ডন থেকে ৭০-৭৫ কিমি আসার পর পেছনের গাড়ি থেকে তানিয়া ফোনে জানালো যে তাদের গাড়িতে হঠাৎ করে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। একটা বিকট শব্দ করে গাড়িটা কাঁপছিল আর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল। সবুজ কোন রকমে গাড়িটাকে একটু সাইডে নিয়ে থামিয়েছে। ওর কণ্ঠস্বর শুনেই বুঝতে পারলাম, ঘটনার আকস্মিকতায় ওরা উভয়ে কিংকর্তবত্যবিমূঢ়! বিশেষ করে ওদের গাড়িতে দুটো ছোট বাচ্চাও ছিল বিধায় আমরাও খুব চিন্তিত বোধ করতে শুরু করলাম। আদনানকে বললাম গাড়ি ঘুরাতে। এসব হাইওয়েতে গাড়ি ঘুরাতে হলেও অনেক পথ পাড়ি দিয়ে তবেই ঘুরানো সম্ভব হয়। সৌভাগ্যক্রমে তানিয়ার ফোন পাবার পর আমরা যে জায়গাটাতে থেমেছিলাম, সেখান থেকে দুই কিলোমিটারের মধ্যেই ইউ-টার্ন এর সুযোগ পেলাম। সমান্তরাল রাস্তায় ইউ-টার্ন নিয়ে, ওদের গাড়ি অতিক্রম করে আবার পেছন থেকে ইউ-টার্ন নিয়ে আমরা ওদের পেছনে এসে থামলাম। গাড়ি থেকে নেমেই দেখি ওদের গাড়িটার ডান দিকের পেছনের চাকাটা ফেটে একেবারে ফালা ফালা হয়ে গেছে। আপাতঃদৃষ্টিতে যে কেউ মনে করতে পারে, এ আর তেমন কী সমস্যা? এমন সমস্যার সম্মুখীন তো পথ চলতে গিয়ে যে কেউ হতেই পারে! স্পেয়ার হুইল লাগিয়ে নিয়ে সামনের কোন দোকান থেকে নতুন একটা টায়ার কিনে নিলেই তো হয়! কিন্তু আমাদের জন্য সমস্যার সমাধানটা এত সহজ ছিল না। নানারকমের ইফস এ্যাণ্ড বাটস এসে সমাধানের পথটা জটিল করে তুলেছিল। সৌভাগ্যক্রমে, এমন জটিল পরিস্থিতিতেও আমরা মাথা ঠাণ্ডা রেখে সঠিক সিদ্ধান্তটিই নিতে পেরেছিলাম। কিভাবে, সেটা পরবর্তী পর্বে বলছি।
রিজাইনা, কানাডা
২০ মে ২০২৩
শব্দ সংখ্যাঃ ৮৮০
Brandon এর দিকে, Winnipeg এর পথে.....
20 May 2023, 13:51
Brandon থেকে ৭০ কিমি সামনে, Portage la Prairie এর দিকে....
সেলফোনে সমাধান খোঁজার চেষ্টায় দুই চালক
20 May 2023, 16:29
A closer view
20 May 2023, 16:40
২১ শে জুন, ২০২৩ রাত ১১:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক দিন পর এলেন। আশাকরি ভালো আছেন।
শুভকামনা এবং পোস্টের প্রশংসার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
২| ২১ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:২২
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: যাক শেষ পর্যন্ত তাহলে গাড়ি ঠিক হয়েছিল,
কানাডার দিনলিপি পড়ে ভালো লাগলো।
২২ শে জুন, ২০২৩ রাত ১২:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ, শেষ পর্যন্ত গাড়ি ঠিক হয়েছিল, তবে কয়েকটি ঘণ্টা চরম শন্কা এবং উৎকন্ঠার মাঝে কাটাতে হয়েছিল।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
৩| ২১ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম। ভালো লাগলো।
জীবন হোক আনন্দময়।
২২ শে জুন, ২০২৩ রাত ১:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ২১ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৫৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার ভ্রমণ কাহিনী, মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। পয়েন্ট গুলো টুকে রেখেছিলেন নাকি স্মৃতিতে ভর করে লিখেছেন?
১১.৩৩ মিনিট পর্যন্ত ২৩৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন। কত সময় লেগেছে সেটা বুঝতে না পারলেও এটা বুঝেছি এই পথ পেরুতে আমাদের দেশে হলে মোটামুটি একদিন লেগে যেতো।
উইন্ডমিলের কথায় মনে পড়ল,বাংলাদেশের একমাত্র উইন্ডমিল আমাদের এলাকায় স্থাপিত। এটা ছোট ফেনী নদীর উপর মুহুরি সেচ প্রকল্পের পাশে।
কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত এই প্রকল্প চালু হলে দেখা যায়- টারবাইন ঘুরার সাথে সাথে সেচ প্রকল্পের স্লুইসগেট কাপে। ফলে উৎপাদনে যাওয়ার ২ মাসের মাথায় উইন্ডমিল বন্ধ করে দেয়া হয়।
২২ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১১:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: গাড়িতে এক টুকরো কাগজ পেয়েছিলাম, কলম সব সময় পকেটেই থাকে। সেটাতেই কিছু কিছু সময় ও দূরত্ব টুকে রেখেছিলাম।
বাংলাদেশে কোনকিছ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাটা বেশ কঠিন কাজ। আপনার এলাকার উইন্ডমিলের প্রকল্পটিও সে কারণেই ব্যর্থ হয়েছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৫| ২১ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:০৩
মিরোরডডল বলেছেন:
এমন জায়গায় শেষ হলো! এখনতো আবার দীর্ঘ অপেক্ষা।
এখানে দেখেছি এরকম হলে অনেকেই নিজেরা স্পেয়ার টায়ার দিয়ে চেঞ্জ করে ফেলে, কারো হেল্প লাগেনা।
কিন্তু আমার মত যারা নিজে পারিনা, ইন্সুরেন্সকে কল দেই।
রোডসাইড অ্যাসিস্ট্যান্স ইন্সুরেন্স করা থাকলে, যত রিমোট এরিয়ায় থাকুক ওরা এসে ফিক্স করে দিয়ে যায়।
আশা করছি এক্ষেত্রেও তাই হয়েছিলো।
দুপাশের ভিউর আরো ছবি চাই।
এবারের পর্ব ভালো লেগেছে কারণ একটু আধটু বিপদ না থাকলে ভালো লাগেনা
২৩ শে জুন, ২০২৩ রাত ৩:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: "এমন জায়গায় শেষ হলো! এখনতো আবার দীর্ঘ অপেক্ষা" - সাসপেন্সটুকু আরেকটু ধরে রাখার চেষ্টা আর কি!
ঘুরে বেড়াচ্ছি, আবার লিখেও যাচ্ছি; সময় তো একটুখানিক লাগবেই, তাই না? চেষ্টা করছি, যত দ্রুত সম্ভব পরের ঘটনাগুলোকে নিয়ে আসতে।
"রোডসাইড অ্যাসিস্ট্যান্স ইন্সুরেন্স করা থাকলে, যত রিমোট এরিয়ায় থাকুক ওরা এসে ফিক্স করে দিয়ে যায়। আশা করছি এক্ষেত্রেও তাই হয়েছিলো" - ব্যত্যয়টা ঘটেছিল ঠিক সেখানেই! তবে হ্যাঁ, দেরিতে হলেও সেটাই ঘটেছিল। রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অন-লাইনে রেজিস্ট্রেশন ও পেমেন্ট করে ওদের সাহায্য পাওয়া গিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু পরে দেখলাম, সেটা না করলেও চলতো। কেন, তা পরের পর্বে জানাতে চেষ্টা করছি।
"দুপাশের ভিউর আরো ছবি চাই" - আচ্ছা, দিব।
"এবারের পর্ব ভালো লেগেছে কারণ একটু আধটু বিপদ না থাকলে ভালো লাগেনা" - দ্বিমত নেই, তবে সেটা পাঠকের জন্য। লেখকের জন্যেও হয়তো কিছুটা, তবে সেটা ঘটনাত্তোর, ঘটনাকালীন নয়।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
৬| ২১ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:১৬
নতুন নকিব বলেছেন:
এক টানে পড়ে ফেললাম। বরাবরের মতই সূক্ষ্ম বিষয়াদির উল্লেখে সুতীক্ষ্ম দৃষ্টিপাতে চমৎকার তথ্যবহুল ভ্রমন বৃত্তান্ত। একেবারে শেষের দিকে খুবই ভালো লাগলো এটা জেনে যে, বড় কোন দুর্ঘটনা থেকে শেষ পর্যন্ত রক্ষা পেয়েছিল আপনাদের গাড়িটি। চলন্ত অবস্থায় গাড়ির চাকা খুলে যাওয়া যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে, তা কিছুটা হলেও আমি অনুভব করতে পারি, কারণ এমন একটি ঘটনার মুখোমুখি আমাকেও একটা সময়ে হতে হয়েছিল। আর এটা তো বলাই বাহুল্য, আপনাদের ঘটনাটি ঘটেছিল এমন একটি হাইওয়েতে যেখানে গাড়ির গতি স্বাভাবিকভাবেই কম থাকার কথা নয়। যেহেতু আপনারা দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে এক প্রভিন্স থেকে অন্য একটি প্রভিন্সে যাচ্ছিলেন। ধারণা করি, ওখানে আপনাদের গাড়ির গতি নিশ্চয়ই ১০০ কিলোমিটারের উপরে বা এর আশপাশে ছিল। তো, এমন গতিতে চলতে থাকা একটি গাড়ির চাকা যদি হঠাৎ করে ফেটে চৌচির হয়ে যায়- অবস্থা যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারতো, ধারণা করলেও শিহরিত হতে হয়।
যা হোক, আল্লাহ তাআ'লার কাছে অশেষ শুকরিয়া এই জন্য যে, গাড়িটির আরোহীরা কিছুটা ভীত এবং আতঙ্কিত হলেও বড় ধরণের বিপদ থেকে তিনি তাদেরকে রক্ষা করেছেন।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়...।
শুভকামনা জানবেন।
২৩ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে পোস্টে পেয়ে প্রীত হলাম।
সেদিন তাৎক্ষণিকভাবে অকুস্থলে দাঁড়িয়ে ততটা না বুঝলেও, অন্যত্র প্রকাশিত আমার এ পোস্ট পড়ে অনেকে চমৎকারভাবে খুঁটিনাটি উল্লেখপূর্বক আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন এমতাবস্থায় আর কী কী হতে পারতো। সেদিন দয়াময় আল্লাহতা'লার অপার কৃপায় আমরা কত বড় একটা বিপদ থেকে যে বেঁচে এসেছিলাম, এখনও সেটা ভাবলে রীতিমত কাঁপন ধরে!
আমাদের গাড়ির গতিবেগ ঘণ্টায় ১১৫-১১৮ ছিল। সুতরাং, বুঝতেই তো পারছেন!
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
৭| ২১ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ফেসবুকে আপনার ভ্রমণ সিরিজ সময় পেলেই পড়ছি , ভালো লাগছে।
২৪ শে জুন, ২০২৩ রাত ২:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, এখানে এবং ওখানে পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য।
৮| ২১ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬
কামাল১৮ বলেছেন: নতুন জায়গায় হেটে বেড়ালেই চিনতে সুবিধা হয়।গডিতে ঘুরলে চেনা হয় না।জিপিএস হওয়াতে এখন আর চেনার দরকার হয় না।ভ্রমন সুখের ও নিরাপদ হোক।
২৪ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: এসব জায়গায় হাঁটাও অনেক আনন্দদায়ক। প্রতিদিন আমার অনেক হাঁটা হয়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৯| ২১ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: আচ্ছা, আমাদের দেশটা কি করলে কানাডার মতো হবে?
২৪ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: সর্ব প্রথমে যেটা দরকার, সমাজের সকল স্তর থেকে মিথ্যা ও মোনাফেকি বর্জন করতে হবে।
১০| ২২ শে জুন, ২০২৩ সকাল ৯:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: যারা গাড়ি চালায় তারা জানে হাইওয়েতে এটা কি ভয়ঙ্কর ব্যাপার!
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম- আশা করছি ভালয় ভালয় পৌছেছিলেন। এরকম দুরের জার্নিতে গাড়ি আরেকটু ভালভাবে চেক করে নিতে হয়।
২৪ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: এরকম দুরের জার্নিতে গাড়ি আরেকটু ভালভাবে চেক করে নিতে হয় - জার্নির কয়েকদিন আগে ফুল মেইন্টেন্যান্স করা হয়েছিল। হুইল এলাইনমেন্টও চেক করা হয়েছিল, সম্ভতঃ সে কাজটিই অদক্ষ লোকের দ্বারা করানো হয়েছিল, ফলে তা ঠিকভাবে করা হয় নাই।
১১| ২২ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৮
জটিল ভাই বলেছেন:
ভালো লাগা আর সেইসঙ্গে বরাবরের মতোই সুস্থ্য এবং শুভ প্রত্যাবর্তনের প্রতিক্ষা.....
২৫ শে জুন, ২০২৩ রাত ১:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: বরাবরের মতই প্রীত ও আপ্লুত আপনার মন্তব্য, প্লাস এবং শুভকামনা পেয়ে।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
১২| ২৪ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:১৪
শোভন শামস বলেছেন: পড়তে পড়তে আপনার সাথেই মানস ভ্রমন করছিলাম। কানাডাকে আমাদের সামনে তুলে আনুন।
২৬ শে জুন, ২০২৩ রাত ৩:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: কানাডাকে আমাদের সামনে তুলে আনুন - কানাডার খুব ক্ষুদ্র একটা অংশকে দেখেই এবারে আমাদের দেশে ফিরে যেতে হবে। যতটুকু দেখছি, তা থেকেই লিখছি। এটা মূলতঃ দিনলিপি, সত্যিকার অর্থে ভ্রমণকাহিনী ততটা নয়। তাই একটা ভালো ভ্রমণকাহিনী বলতে যা বুঝায়, এ পোস্ট ততটুকু প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে বলে আমি মনে করি না।
১৩| ২৪ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৫২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: দোয়া করি সব সময় সুস্হ ভাল থাকুন।
কানাডার দিন গুলো আপনার ভাল ভাবে কাটুক।
২৭ শে জুন, ২০২৩ রাত ১২:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: দোয়া এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
আপনার জন্যেও শুভকামনা এবং ঈদুল আযহার অগ্রিম শুভেচ্ছা।
১৪| ২৬ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:২৬
একলব্য২১ বলেছেন: বর্তমানে সামুতে আপনার এই কানাডার ভ্রমন কাহিনী পড়াই হচ্ছে আমার কাছে মূল আকর্ষণ।
নতুন করে আর কিছু বলতে চাই না, মিরোরডলের কমেন্টই আমার মনের সব কথা।
কানাডার প্রেইরি অঞ্চলের কথা আরও বিস্তারিত জানতে চাই।
আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
২৮ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১১:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: "বর্তমানে সামুতে আপনার এই কানাডার ভ্রমন কাহিনী পড়াই হচ্ছে আমার কাছে মূল আকর্ষণ" - অত্যন্ত অনুপ্রাণিত হলাম আপনার এ উদার প্রশংসায়। অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।
১৫| ২৭ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:৩১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অম্ল মধুরই বটে স্যার আপনাদের এই ট্যুর। দীর্ঘ ৫৮৫ কিমি দূরত্ব অতিক্রম করতে গেলে সড়ক পথে এরকমই দুর্ঘটনায় ঘটারই কথা। এতোক্ষণ ধরে বৈচিত্র্যহীন তড়িৎ গতিতে ছুটে চলা জার্নিতে রবীন্দ্র সংগীতের তালে তালে ঘুম আসলই কথা। কিন্তু সবকিছুই মাটি করে দিল পিছনের গাড়ির যান্ত্রীক ত্রুটি। এখন অপেক্ষা করে পরের পর্বে দেখি সমস্যাটি কতোটা....
৩০ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: পরের পর্বটি দেয়ার সময়ই করে উঠতে পারছি ন। সেদিন গিয়েছিলাম পুর্বের প্রভিন্স ম্যানিটোবায়, এখন সফর করছি পশ্চিমের প্রভিন্স আলবার্টায়। এটা আরও দূরে, নয় ঘণ্টার ড্রাইভিং পথ। ফিরে গিয়ে বকেয়া পোস্টগুলো দিতে হবে।
মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১৬| ০১ লা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:২৬
করুণাধারা বলেছেন: কানাডা ভ্রমণের মাঝের কিছু পর্ব পড়া বাদ রয়ে গেছে, এই পর্বটি সামনে পেয়ে পড়লাম।
অম্ল অল্প, মধুর ভাগ বেশি। সব ভালো তার শেষ ভালো যার, পথের ঝামেলা ভালোভাবে সমাধান করে যাত্রা সমাপ্ত করেছেন দেখে ভালো লাগলো। ছবিগুলো ভালো এসেছে। সড়কপথে কানাডার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছেন, সেই পথের পাশের ছবি অর্থাৎ ল্যান্ডস্কেপ কেমন?? একটা প্রভিন্সের সাথে আরেক প্রভিন্সের এর পার্থক্য আছে কি?
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: "কানাডা ভ্রমণের মাঝের কিছু পর্ব পড়া বাদ রয়ে গেছে, এই পর্বটি সামনে পেয়ে পড়লাম" - আপনার মত একজন মনযোগী পাঠক যা কিছুই পড়ুন না কেন, খুব মন দিয়ে পড়েন, এটা জানা কথা। সুতরাং, আগে-পিছে-মাঝের লেখা বলে কোন কথা নেই। আপনি যা কিছু পড়বেন এবং যথারীতি মন্তব্য করবেন, তাতেই একজন লেখকের পূর্ণ তৃপ্তি ও সন্তুষ্টি থাকবে এ কথা খুব সহজেই বলা যায়।
সড়কপথে কানাডার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছেন, সেই পথের পাশের ছবি অর্থাৎ ল্যান্ডস্কেপ কেমন?? - বেশ কিছু ল্যান্ডস্কেপ এর ছবি তুলেছি ও ভিডিওচিত্র ধারণ করেছি, কিন্তু সেগুলো পোস্ট দেয়ার সময়ই পাচ্ছিনা। আশাকরি পরের পর্ব থেকে কিছু ল্যান্ডস্কেপের ছবি দেখতে পাবেন। কয়েকটি ভিডিওচিত্র অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে (নিজের কাজের উপর নিজস্ব মতামত, আশাকরি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন), কিন্তু ভিডিওচিত্র কিভাবে আপলোড দিতে হয়, সে কৌশল আমি আজও আয়ত্তে আনতে পারিনি। সাড়ে চুয়াত্তর আমাকে কিছু টিপস দিয়েছিলেন, কিন্তু আমি তার কিংবা আমার, কারও উপর সুবিচার করতে পারিনি।
"একটা প্রভিন্সের সাথে আরেক প্রভিন্সের এর পার্থক্য আছে কি?" - আমার মত একজন ক্ষণিকের মোসাফির এর চোখেও কিছু পার্থক্য ধরা পড়েছে। যথাসময়ে বলবো, যদি সময়মত সেগুলো পুনরায় মনে উদয় হয়।
পোস্টে আগ্রহ প্রকাশকারী চমৎকার মন্তব্য এবং প্লাসেরর জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
আপনি এত তাড়াতাড়ি দেশে ফিরে এলেন? যাহোক, আপনার সফর নিয়েও কিছু লিখে ফেলুন।
১৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৫৩
করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার প্রতিমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!
আসলে আমার সফরটা ঝটিকা সফর ছিল। কোভিডের আগে ভিসার জন্য আবেদন করেছিলাম, ইন্টারভিউর তারিখ পিছাতে পিছাতে তিন বছর পার হয়ে গেল। তারপর যখন ভিসা পেলাম তখন দুটো বিকল্প ছিল, সাতদিনের মধ্যে গিয়ে তাড়াতাড়ি ফিরে আসা যেন আমার স্বামীর ফিজিওথেরাপি বেশিদিন বাদ না পড়ে, অথবা অক্টোবর মাসে গিয়ে বেশিদিন থাকা। আমি ছেলেমেয়েদের দেখার জন্য এতটা আকুল হয়ে ছিলাম যে প্রথমটাই স্থির করি, যদিও এভাবে যেতে অনেক কষ্ট আর ঝামেলা পার হতে হয়েছে। তবু আমি খুব খুশি, ঘুরে আসতে পেরেছি বলে।
সফর নিয়ে একটা পোস্ট লিখে রেখেছি, আশাকরি তাড়াতাড়ি পোস্ট করবো।
০৫ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: যাক, মনের টানে ঝটিকা সফরে বের হয়ে সন্তানদের দেখে এলেন, এটাই বড় কথা। কতদিন থাকতে পারলেন, সেটা বড় কথা নয়।
আপনাদের উভয়ের জন্য শুভকামনা রইলো, সুস্থ থাকুন।
মাঝে মাঝে ভাবি, কতই না মায়ার বাঁধনে আমাদের জীবনটা আবদ্ধ! স্পাউস, সন্তান, নাতি-নাতনি, এদের কাকে ছেড়ে কার কাছে থাকি! সবাইকেই একসাথে কাছে রাখতে মন চায়, কিন্তু সেটা তো এ দুনিয়ায় সম্ভব নয়!
সফর নিয়ে আপনার পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
১৮| ১৫ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৫৬
নীল-দর্পণ বলেছেন: মাঝে ব্লগে আসা হয়নি বিধায় আপনার ই পর্বগুলো মিস হয়ে গেছে। এক সময় আমার খুব ইচ্ছে হতো কানাডার কোন এক প্রোভিন্সে গিয়ে বসবাস করবো, কেন যেন কানাডার প্রতি খুব টান ছিল। আপনার এই সুন্দর সুন্দর লেখা পড়তে গেলে মনে হয় যেন আমিও ঘুরে বেড়াচ্ছি।
নিজে কানাডা যেতে না পারলেও এক বান্ধবী উইনিপেগ, আরেক বান্ধবী রিজাইনাতে থাকায় তাদের ছবির মাধ্যমেও আমি ঘুরতে বেড়াই।
১৫ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া দুটোই বসবাসের জন্য খুব সুন্দর দেশ। আমার খুব ভালো লেগেছে দুটো দেশকেই। প্রাকৃ্তিক সৌন্দর্যে ভরপুর।
রিজাইনাতে আপনার যে বান্ধবী বসবাস করেন, তার বা তার হাজব্যান্ডের নাম বলা যাবে কি? এখানে বেশ কয়েকটি বাঙালি পরিবারের সাথে পরিচিত হয়েছি এবং একসাথে উইকএন্ডে ঘুরতেও বেড়িয়েছি। দেখি কমন পড়ে কি না!
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১৯| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:২৪
নীল-দর্পণ বলেছেন: শিল্পা পোদ্দার আমার বান্ধবীর নাম, ওর হাজবেন্ডের নাম সঞ্জয় দাম। এপ্রিলের দিকে গিয়েছে কেবল ওরা । আপনাদের ঘোরাঘুরি আনন্দময় এবং নিরাপদ হোক।
১৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:২১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আগের পর্বগুলোতে চোখ পড়েনি। তবে এই ঝরঝরে পর্বটি পাঠে অনেক ভালো লেগেছে। কি সুন্দর করে ভ্রমণ বিত্তান্ত তোলে ধরেছেন যেনো পাঠকদের সাথে নিয়ে যাচ্ছেন।
আপনার সু-স্বাস্থ সহ আপনার পরিবারের সবার জন্য শুভ কামনা রইল।