নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রিজাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (@University Of Regina) কিছুক্ষণঃ কানাডা জার্নাল-৮

২৩ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:০১


১৭ জুলাই ২০২৩, বিকেল ১৮-৪৪

গত সোমাবার, ১৭ জুলাই ২০২৩ তারিখ বিকেলে রিজাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুক্ষণ সুন্দর সময় কাটিয়ে এলাম। এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমার বড় বৌমা পাবলিক পলিসির উপর তার দ্বিতীয় মাস্টার'স ডিগ্রী অর্জন করেছেন করোনার আগের ও পরের বছরগুলো জুড়ে। করোনার কারণে তাকে রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাদি সামলে অধ্যয়ন এবং সেই সাথে পরিবার লালন করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। বৌমার অধ্যয়নের কারণে রিজাইনা বিশ্ববিদ্যালয়টি ঘুরে দেখার প্রতি আমার বিশেষ আগ্রহ নিবদ্ধ ছিল। কিন্তু অপরাহ্নে গিয়েছিলাম বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক ভবন সমূহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করিনি, তবে তার চারপাশের ফেসিলিটিজ, পরিবেশ ও প্রাকৃতিক ভূমিবিন্যাসের কিছুটা ঘুরে ফিরে দেখেছি এবং মুগ্ধ হয়েছি।

রিজাইনা'র ৩৭৩৭, ওয়াসকানা পার্কওয়েতে অবস্থিত এ বিশ্ববিদ্যালয়টি বিরাট এলাকা জুড়ে, ৯৩০ একর ভূমির উপর স্থাপিত। ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ফুলটাইম ও পার্টটাইম মিলে ১৫৬৩৯ জন শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়ন করে। এটি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯১১ সালে এটি রিজাইনা কলেজ নামে স্থাপিত হয়েছিল। পরবর্তীতে 'সাইজ এ্যান্ড সিগনিফিকেন্স' এর পরিসর বৃদ্ধি পায় এবং ১৯৭৪ সালে এটা 'রিজাইনা বিশ্ববিদ্যালয়' নাম পরিগ্রহ করে একটি স্বাধীনভাবে ডিগ্রী প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। বর্তমানে এখানে ১০টি ফ্যাকাল্টি, ২৫টি একাডেমিক ডিপার্টমেন্ট ও স্কুল, ১৮টি রিসার্চ সেন্টার ও ইন্সটিটিউট এবং তিনটি ফেডারেটেড কলেজ রয়েছে, যথাঃ Campion College, First Nations University of Canada এবং Luther College। অত্যন্ত সুখ্যাতির সাথে বিশ্ববিদ্যালয়টি ব্যাচেলর্স, মাস্টার্স এবং ডক্টোরাল প্রোগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।

মেলবোর্নে যেমনটি দেখেছিলাম, রিজাইনার পার্কগুলোতেও তেমনটি দেখছি, কিছুদূর পর পর ক্লান্ত পথচারীদের বসে দু'দণ্ড বিশ্রাম নেয়ার জন্য কিছু দয়ালু ও দানশীল ব্যক্তি একটি বা একজোড়া (জায়গা অনুযায়ী) বেঞ্চ গড়ে দেন। শক্ত কাঠের সরু সরু তক্তা দিয়ে যুৎসইভাবে গড়া এসব বেঞ্চ তারা তাদের কোন ভালবাসার ব্যক্তির নামে উৎসর্গ করে থাকেন। রিজাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার আগে আমরা সেদিন ভিক্টোরিয়া পার্কেও অনেকক্ষণ ধরে হাঁটাহাটি করেছিলাম, ফলে বাচ্চারা বাদে সবাই স্বভাবতঃ ক্লান্ত ছিলাম। বাচ্চারা (নাতনিরা) তখনও সোৎসাহে এদিক সেদিক ছুটোছুটি করে চলছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ ঘেঁষে বহু শাখাবিশিষ্ট ওয়াসকানা লেকের একটি শাখা প্রবাহিত হয়েছে। কিন্তু মূল ওয়াসকানা লেকের জল যেমন টলমলে পরিষ্কার, এ শাখাটির জল তেমন নয়। কোথা থেকে যেন গাছের ছোট ছোট পাতা পড়ে জলের উপরাংশ ভরে দিয়ে যায়। পাতাগুলোর রঙ সবুজ নয়, কেমন যেন ধূসর প্রকৃতির। ফলে পুরো লেকটি পাতা দিয়ে ভরা থাকলে লেকের জল দেখা যায় না। তখন এটাকে একটি ধূসর সমতলভূমি বলে ভ্রম হতে পারে। যাহোক, হাঁটতে হাঁটতে তেমন একটি উৎসর্গিত বেঞ্চ দেখতে পেয়ে আমরা চারজন কিছুটা ক্লান্তি অবসানের লক্ষ্যে সেখানে বসে পড়লাম।

আমরা যে বেঞ্চটিতে বসেছিলাম, সেটা ক্রিস্টিন মন্টগোমারি (Christine Montgomery) নামের এক মহিয়সী মহিলার নামে তার কৃতজ্ঞ পরিবারের সদস্যগণ কর্তৃক একটি স্মারক হিসেবে নির্মিত এবং তার স্মৃতির প্রতি উৎসর্গকৃত। বেঞ্চের গায়ে একটি ছোট্ট কালো প্লেট সেঁটে সেখানে লেখা আছেঃ Christine Montgomery (Mum/ granny) 1953 to 2019. Mum was dearly loved by her family and her sisters. She had an infectious laugh and fits of giggles. A lover of nature mum loved this view. (কোন যতিচিহ্ন ছিল না, চিহ্নগুলো আমি বসিয়েছি)।
অর্থাৎ "ক্রিস্টিন মন্টগোমারি (মাতা/ মাতামহী) ১৯৫৩ থেকে ২০১৯। মা এর অনুপস্থিতি তার পরিবারের সদস্যরা এবং তার বোনেরা অত্যন্ত হৃদয়াবেগ দিয়ে অনুভব করে। তার হাসি ছিল সংক্রামক এবং তিনি কথায় কথায় হেসে ফেলতেন। প্রকৃতিপ্রেমিক মা এই জায়গাটিতে বসে লেকের দৃশ্যটি দেখতে ভালোবাসতেন" (ভাবানুবাদ)।
উৎসর্গবাণীটি পড়ে কল্পনায় যেন হাস্যম্যয়ী প্রকৃতিপ্রেমিকা ক্রিস্টিন মন্টগোমারিকে দেখতে পেলাম। উনি আমারই সমবয়সী ছিলেন, চার বছর আগে গতায়ু হয়েছেন। তার পারলৌকিক শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি।

সব মানুষের মনেই স্নেহ-ভালোবাসা, শ্রদ্ধা-সমীহের কিছু না কিছু অনুভূতি সুপ্তাবাস্থায় নিহিত থাকে। কিন্তু সবাই সেটা স্পষ্ট করে প্রকাশ করতে পারে না। মাত্র অল্প কয়েকটি কথায় ক্রিস্টিন মন্টগোমারি'র পরিবারের সদস্যরা কত সুন্দর করেই না তার প্রতি তাদের শ্রদ্ধা-ভালোবাসার নিবিড় অনুভূতিটুকু প্রকাশ করে গিয়েছেন, যা ক্ষণিকের তরে হলেও আমাকে স্পর্শ করেছে, অভিভূত করেছে, ভাবমগ্ন করেছে। নিশ্চয়ই আমার মত আরও অনেক পথচারীকেও কথাগুলো অতীতেও ভাবিয়েছে, ভবিষ্যতেও ভাবাবে। এখানেই জীবনের সার্থকতা; নিকটজন, আত্মীয় পরিজন এবং সাধারণ মানুষের মনে দৈনন্দিন আচরণের মাধ্যমে শ্রদ্ধার আসন গড়ে নিতে পারা। কাছাকাছি আরেকটা জায়গায় দেখলাম, একটা সাদা শিলাখণ্ডের উপর কালো প্লেট সেঁটে সেখানে "যাও, পাথরে গিয়ে বসো" শিরোনামে কিছু কথা লেখা আছে, যার ভাবার্থ নিম্নরূপঃ
"ডক্টর গার্থ পিকার্ডের স্মরণে-যাও, পাথরে গিয়ে বসো! রিজাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গার্থ ৩৩ বছর কর্মরত ছিলেন, সেখানে তিনি শারীরিক শিক্ষা, বহিরাঙ্গণ পরিবেশ শিক্ষা এবং নেতৃত্বের উপর শিক্ষাদান করেছেন। পরিবেশের ধারণ ও লালন এবং বহিরাঙ্গণ সংরক্ষণ ছিল তার শিক্ষার মূল দর্শন। গার্থ 'সকলের প্রতি কৃতজ্ঞানুভূতি প্রসূত বিনয় প্রকাশ' - এই মনোভাবের পৃষ্ঠপোষক ও প্রবর্তক ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, প্রত্যেকেরই উচিত, প্রকৃতি ও পরিবেশের সাথে তাদের নিজেদেরকে পুনসংযোগ করা এবং একটি অর্থবহ জীবন যাপন করার লক্ষ্যে 'পাথরে গিয়ে বসা'।"

সেখান থেকে উঠে আমরা একই ক্যাম্পাসে অবস্থিত First Nations University of Canada এর প্রাঙ্গণে উপস্থিত হ'লাম। এখানে অধ্যয়নের জন্য আদিবাসিরা প্রাধিকার পায় এবং অন্যান্য বিষয়াবলীর সাথে সাথে তাদের ইতিহাস, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির বিষয়সমূহ সবিস্তারে পড়ানো হয়। সেখানকার ভবনগুলোর চমৎকার স্থাপত্য এবং দীর্ঘ বিস্তৃত উন্মুক্ত লন এবং অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর পরিবেশ আমার ভালো লেগেছে। সেখানে কিছুক্ষণ হাঁটাহাটি করে ফেরার পথে 'ক্যান্ডি কেন' এর হিলসাইডে কিছু ছবি তুললাম। আমাদের ভাগ্নি তানিয়া, ভাগ্নি-জামাই সবুজ এবং তাদের দু'টি মেয়ে আমাদের সাথে সার্বক্ষণিকভাবে থেকে আমাদেরকে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে। সবার প্রাণবন্ত সাহচর্য খুব ভালো লেগেছে। হঠাৎ করেই সকালে তানিয়া আর ওর খালা মিলে আজকের দিনের এ কর্মসূচীটি নির্ধারণ করে। বাসা থেকে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে শহরের কিয়দংশ ঘুরে বেড়িয়েছি। তানিয়ার কারণেই ঘুরে বেড়ানোর এ আকস্মিক কর্মসূচীটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। পরে সবুজ আর আদনান গাড়ি নিয়ে আমাদের সাথে যোগ দেয়। আর্শী আর আয়রা, তানিয়ার এই দুই মেয়েরই খুব ইচ্ছে আমরা তাদের স্কুলটা একটু ঘুরে দেখি। তাই ফেরার আগে আমরা সেখানেও গেলাম, যদিও স্কুলে এখন দীর্ঘ বার্ষিক ছুটি চলছে। ওদের স্কুলটাও খুব সুন্দর, নিরিবিলি ও ছিমছাম পরিবেশে অবস্থিত। স্কুলটা আমার ভালো লেগেছে। সেখান থেকে তানিয়া আর সবুজ আমাদেরকে ওদের বাসায় নিয়ে উপস্থিত ডালে-চালে খিচুড়ি রেঁধে ডিনার করায়। দিনশেষে গরম গরম খিচুড়ি খেয়ে একটি সুন্দর, আনন্দঘন দিনের স্মৃতি নিয়ে আমরা বাড়ি ফিরে এলাম।



রিজাইনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিরে
১৭ জুলাই ২০২৩
শব্দ সংখ্যাঃ ৯১২


ওয়াসকানা লেকের পাশ ধরে সরু ওয়াকওয়ে, পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে প্রকৃতির সাথে মানবমনের মেলবন্ধনের সুযোগ করে দেয়।
১৭ জুলাই ২০২৩, বিকেল ১৭-২৮


পাতাভরা লেকটিকে একটি ধূসর সমতলভূমি বলে ভ্রম হতে পারে।
১৭ জুলাই ২০২৩, বিকেল ১৭-৩১


Joseph Farard এর ভাস্কর্য- Mind's Garden
১৭ জুলাই ২০২৩


ক্রিস্টিন মন্টগোমারি (Christine Montgomery) এর নামে উৎসর্গকৃত বেঞ্চ
১৭ জুলাই ২০২৩, বিকেল ১৭-৪৩


ক্রিস্টিন মন্টগোমারি (Christine Montgomery) এর নামে উৎসর্গকৃত বেঞ্চ
১৭ জুলাই ২০২৩, বিকেল ১৭-৪৩


"যাও, পাথরে গিয়ে বসো" - ডক্টর গার্থ পিকার্ডের স্মরণে স্মারক শিলাখণ্ড
১৭ জুলাই ২০২৩, বিকেল ১৮-০৭


ক্রিস্টিন মন্টগোমারি (Christine Montgomery) তার নামে উৎসর্গকৃত বেঞ্চটিতে বসে যে দৃশ্যটি দেখতে ভালোবাসতেন....
১৭ জুলাই ২০২৩, বিকেল ১৮-১৩


সবুজ ঘাসে থাকা বিস্তীর্ণ প্রান্তর, মনকে উদার হতে সাহায্য করে।
১৭ জুলাই ২০২৩, বিকেল ১৮-২৯


সবুজ ঘাসে থাকা বিস্তীর্ণ প্রান্তর, মনকে উদার হতে সাহায্য করে।
১৭ জুলাই ২০২৩, বিকেল ১৮-৩০


ফার্স্ট নেশন্স ইউনিভার্সিটি অফ কানাডার প্রাঙ্গণে আদিবাসীদের প্রতীকি আবাস। পশুর চামড়া দিয়ে তৈরি এই বহনযোগ্য কোণাকৃতির আবাসগুলিকে 'টিপি' (Tipi) বলা হয়।
১৭ জুলাই ২০২৩, বিকেল ১৮-৩১


ফার্স্ট নেশনস ইউনিভার্সিটি অভ কানাডা ভবন
১৭ জুলাই ২০২৩, বিকেল ১৮-৩৬


মেরিয়ন ম্যাগভিটি স্কুল প্রাঙ্গণ
১৭ জুলাই ২০২৩, বিকেল ১৯-২২


মেরিয়ন ম্যাগভিটি স্কুল
১৭ জুলাই ২০২৩, বিকেল ১৯-২২


মেরিয়ন ম্যাগভিটি স্কুল
১৭ জুলাই ২০২৩, বিকেল ১৯-২৩


মেরিয়ন ম্যাগভিটি স্কুল প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে সুন্দর আকাশটার ছবি তুললাম।
১৭ জুলাই ২০২৩, বিকেল ১৯-২৭


মাত্র ১২ বৎসর বয়সে প্রয়াত মেরিয়ন ম্যাগভিটি স্কুল এর ছাত্র ইথান জন্য ওয়েন্ডেলের পারলৌকিক শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি।
১৭ জুলাই ২০২৩, বিকেল ১৯-৩৫

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:১৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ছবি কয়েকটায় বাংলাদেশের ভাইভ আছে মনে হলো।

২৪ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: সেটা আছে।
রিজাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশি ছাত্র ছাত্রী অধ্যয়ন করে। পুলিশ প্রশাসনের অনেকে এখানে আসেন চার বছরব্যপী Bachelor of Arts in Police Studies (BAPS) কোর্স করতে।

২| ২৪ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৭:৫০

সোহানী বলেছেন: কানাডার এ রকম উৎসর্গ আমার অসম্ভব ভালো লাগে।

আপনি পার্ক, বীচ, বিশ্ববিদ্যালয় সবখানেই এরকম গাছ, বেঞ্চ দেখতে পাবেন। সেগুলো কারো না কারো নামে উৎসর্গকৃত। আমিও আমার বাচ্চাদেরকে বলে রেখেছি, আমার মৃত্যুর পর আমার নামে যেন এরকম কিছু ওরা করে।

আমি যেবার জার্মানে গেলাম, আমা ভাইয়ের বাচ্চাও আমাকে তা স্কুল দেখানোর জন্য অস্থির হয়ে পড়েছিল। একটা লিখায় মনে হয় ছবিসহ লিখেছিলাম।

আমাদের ব্লগার পলাশ কিন্তু রেজিনাতে পিএইচডি করছে। আরেকটা লিখায় বলেছিলাম।

চমৎকার ছবিসমৃদ্ধ তথ্যবহুল লিখায় ভালোলাগা।

২৪ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনি পার্ক, বীচ, বিশ্ববিদ্যালয় সবখানেই এরকম গাছ, বেঞ্চ দেখতে পাবেন। সেগুলো কারো না কারো নামে উৎসর্গকৃত" - জ্বী, দেখেছি এবং দেখছি।
নিজেদের স্কুল দেখানোর জন্য বাচ্চা দুটোর আগ্রহ ও অস্থি্রতা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। তাই আমিও অনেক আগ্রহ নিয়ে ওদের স্কুলটা ঘুরে দেখেছি।
ব্লগার পলাশ খুব সম্ভবতঃ রিজাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, ইউনিভার্সিটি অভ সাসকাতুন এ পিএইচডি করছেন। তবে যেখানেই হোক, উনি যদি আপনার মন্তব্যদুটোর যে কোন একটা দেখে থাকেন, তবেই হয়তো উনি নক দিতে পারেন, নতুবা যোগাযোগের কোন উপায় নেই।
চমৎকার মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৩| ২৪ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: বরাবরের মত ভাললাগা।
পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে এখনো বেশ ঠান্ডা- কি?
কানাডার এই অঞ্চলগুলোতে তেমন নিবিড় গাছপালা নেই!!

২৫ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে এখনো বেশ ঠান্ডা- কি?" - না, তেমন ঠাণ্ডা ছিল না। তবে মাঝে মাঝে হাল্কা হাল্কা হিমেল বাতাস বইছিল। আজকে অবশ্য মোটামুটি গরমই বলা যায়। আজকের তাপমাত্রা ৩২/১৭। সেদিন আজকের থেকে ৪/৫ ডিগ্রী কম ছিল সম্ভবতঃ।
"কানাডার এই অঞ্চলগুলোতে তেমন নিবিড় গাছপালা নেই!!" - কানাডার এই অঞ্চলগুলো প্রেইরী অঞ্চল। এখানে একটানা সমতল তৃণভূ্মি বিস্তীর্ণ। মাঝে মাঝে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলাশয় কিংবা হ্রদ দেখা যায়, যার আশে পাশে গবাদি পশু বিচরণ করে। এ অঞ্চলগুলো কানাডার শস্যভাণ্ডার।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৪| ২৪ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৪০

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ছবি ও লেখা ভালো লেগেছে। মাঠের ঘাস দেখে বাংলাদেশের কথা মনে হয়। ফাঁকে ফাঁকে ঘাস কম।

২৫ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: "মাঠের ঘাস দেখে বাংলাদেশের কথা মনে হয়" - এখানে অনেক কিছুই দেখে আমার বাংলাদেশের কথা মনে হয়। এখানে এমনকি ঘুঘুর ডাকও শুনেছি।

৫| ২৪ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: শুনেছি রিজাইনা ইউনিভার্সিটি ৯৩০ একর জায়গা জুড়ে। ১৬ হাজার ছাত্রছাত্রী এখানে লেখা পড়া করে।

কানাডার রিজাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানে ব্যাচেলর্স ডিগ্রি শেষ হওয়ার পর চাকরির সুযোগ কতখানি?

২৫ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: "শুনেছি রিজাইনা ইউনিভার্সিটি ৯৩০ একর জায়গা জুড়ে। ১৬ হাজার ছাত্রছাত্রী এখানে লেখা পড়া করে" - জ্বী, পোস্টের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের শুরুতেই আমি সেকথা বলেছি।

"কানাডার রিজাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানে ব্যাচেলর্স ডিগ্রি শেষ হওয়ার পর চাকরির সুযোগ কতখানি?" - কম্পিউটার বিজ্ঞানে ডিগ্রীধারীদের এখানকার জব মার্কেটে বেশ চাহিদা রয়েছে। সুতরাং ভালো ফলাফল করলে প্রস্পেক্ট ভালো। আজ পর্যন্ত শুনিনি, কেউ কাজ না পেয়ে দেশে ফেরত গেছে। তবে আমি এখানে একজন পর্যটক মাত্র। আমার চেয়ে ভালো বলতে পারবেন যারা এখানে কম্পিউটার বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা উপশাখায় পড়াশুনা করে এখন এখানে জব করছেন। বিভিন্ন দাওয়াতে যেসব তরুণ/যুবকদের সাথে কথা হয়, তাদের বেশিরভাগই হয় কম্পিউটার বিজ্ঞানে নয় বিজনেস এ্যাডমিনিস্ট্রেশনে অথবা দুটোতেই পড়াশুনা করেছেন।

৬| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:১৫

জুন বলেছেন: খুব সুন্দর প্রাঞ্জল বর্ননা আর ছবিতে রিজাইনাকে দেখে নিলাম খায়রুল আহসান। ঘুরে বেড়ানো থেকে প্রকৃতির বর্ননা সাথে গরমাগরম খিচুড়ি দিয়ে ইতি টানা সবই আকর্ষণীয়। আমার ছেলেও শুধু বলে "একবার আসো নিজের চোখেই দেখো কত সুন্দর আর ছিমছাম পরিবেশ "।
অনেক ভালো লাগা রইলো পোস্টে।

২৭ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মত একজন প্রথিতযশা ভ্রমণ বিশেষজ্ঞকে আমার কোন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টে পেলে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ, এমন একটি সাদামাটা পোস্টও মন দিয়ে পড়ে একটি প্রেরণাদায়ক মন্তব্য এবং প্লাস রেখে যাবার জন্য।
আপনার ছেলে ঠিকই বলে। যথাশীঘ্র সম্ভব একবার যান এবং ঘুরে আসুন। আমরাও কানাডা সম্পর্কে নতুন কিছু জানি, ঐতিহাসিক কিছু টিডবিটস সহ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.