নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসার ভাষা

২১ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:২৭


@Riverside Memorial Park Cemetery
06 August 2023, 18:12

মানুষ তার প্রিয়জনকে তাদের জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী ইত্যাদি বিশেষ দিনগুলোতে ভালবাসার কথা শোনায়, ভালোবাসার কথা লিখে কার্ড দেয় এবং ভালো কিছু খাবার দাবারের ব্যবস্থা করে থাকে। প্রাপক এসব ভালোবাসার বাণী, অভিব্যক্তি এবং ছোঁয়া পেয়ে উৎফুল্ল হয়, আপ্লুত হয়। কিন্তু প্রিয়জনদের চিরপ্রস্থানে মানুষ তাদের ভালোবাসার কথা মৃতব্যক্তিকে শোনাতে পারে না, তাই তারা খুবই সংক্ষেপে তাদের গভীর আবেগ অনুভূতির কথা মৃত ব্যক্তির সমাধি ফলকে লিখে রাখে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব কথায় মৃত ব্যক্তিদের জীবন সম্পর্কে একটি যথার্থ, সূক্ষ্ম ও সত্য প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠে। আমি এসব আবেগ অনুভূতির কথা পড়ে অভিভূত হই।

আমি বেশিরভাগ সময় কোন পরিচিত ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পেলে তার দাফন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চেষ্টা করি। আবার অনেক সময় কোন উপলক্ষ ছাড়াই ক্ববরস্থানে যাই। আমার বাসার অনতিদূরে একটি ক্ববরস্থান আছে, সেখানে যাই। আমার মত নগণ্য একজন মানুষের দোয়া কারও উপকারে লাগবে, এমন কখনো ভাবি না, তবে ক্ববরস্থানে গেলে আমি সবসময় সেখানে শায়িত সকল মৃত ব্যক্তিদের জন্য দোয়া করে থাকি। এতে আমি নিজেই প্রশান্তি লাভ করি। ফেরার সময় থেমে থেমে ক্ববরের গায়ে লেখা সমাধিলিপি (এপিটাফ) গুলো পড়ি। বেশিরভাগ এপিটাফের কথা গতানুগতিক; নাম-ধাম, জন্ম-মৃত্যু তারিখ উল্লেখপূর্বক মৃত ব্যক্তির সংক্ষিপ্ত পরিচয় ছাড়া সেখানে আর কিছু থাকে না। তবে কিছু কিছু এপিটাফে ভাস্বর হয়ে থাকে ভালবাসার অনুভূতি এবং ছোঁয়া। সে সব ক্ববর দেখেই বোঝা যায়, ক্ববরগুলোর নিয়মিত পরিচর্যা করা হয়। শুধু ক্ববরস্থানের মালি বা কর্মচারীদের দ্বারাই নয়, মৃতের ভালোবাসার অন্য কোন মানুষও হয়তো মাঝে মাঝে সেখানে নিয়মিত এসে ছোঁয়া দিয়ে যান। সম্প্রতি কানাডা অবস্থান কালে একদিন আমাদের নাতনি আনায়াকে তার তায়েকান্দো ক্লাসে প্রবেশ করিয়ে দিয়ে আমি নিছক হাঁটাহাটির উদ্দেশ্যেই চারপাশের এলাকায় হেঁটে বেড়াচ্ছিলাম। হঠাৎ একটি বেষ্টনি দেয়া এলাকার দিকে চোখ পড়তেই বুঝতে পারলাম, সেটা একটি বিশাল সমাধিক্ষেত্র। সেখানে প্রবেশ করে দেখলাম, শতশত সমাধিফলক সারি সারিতে বিন্যাসকৃত। কয়েকটি সমাধিফলকের লেখা পাঠ করে বুঝতে পারলাম, সেটা মূলতঃ একটি সামরিক সমাধিক্ষেত্র।


বছর দুয়েক আগে একদিন আমাদের ছেলে আর বৌমা কানাডা থেকে ভারাক্রান্ত কণ্ঠে ফোনে জানিয়েছিল যে ক্যান্সারে আক্রান্ত (টার্মিনালী ইল) তাদের এক প্রতিবেশীর স্ত্রী খুব অল্প সময়ের মধ্যে মারা গেছেন। কথাটা আমার মনে ছিল। সেদিন শহরের অনতিদূরে এক ক্ববরস্থান অতিক্রমকালে আমার ছেলে আমাকে জানিয়েছিল যে তাদের সেই প্রতিবেশী সেখানেই সমাধিস্থ হয়েছিলেন। কয়েকদিন পরে আমি ছেলেকে বলেছিলাম আমাকে সেই ক্ববরস্থানে ড্রপ করে আসতে, আর ঘণ্টা দেড়েক পরে এসে ফিরিয়ে নিতে। কিন্তু যাই যাচ্ছি করে আর যাওয়া হচ্ছিল না। অবশেষে কানাডা ত্যাগ করার ৫/৬ দিন আগে তাকে পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিলে সে আমাকে এক অপরাহ্নে সেখানে নিয়ে যায়- Riverside Memorial Park Cemetery তে। সেখানে আমি অনেকক্ষণ ধরে হেঁটে হেঁটে ক্ববরগুলো দেখেছি, কিন্তু সেই মহিলার ক্ববরটিকে শনাক্ত করতে পারিনি, তবে অন্য কয়েকজন মুসলমান নারী পুরুষের ক্ববর দেখেছি। আমি আমেরিকাতে দেখেছি, আজ এখানেও দেখলাম যে ক্ববরস্থানগুলোতে সব ধর্মবিশ্বাসীদের, যারা মৃতদেহকে ক্ববরস্থ করে, একই ক্ববরস্থানে সমাহিত করে। শুনেছি আমেরিকার কোন কোন এলাকায় মুসলমানদের জন্য পৃথক ক্ববরস্থানও রয়েছে, তবে সে সংখ্যাটা অনেক কম। একই ক্ববরস্থানে সব ধর্মবিশ্বাসীদের সমাহিত করার ব্যাপারটি আমার কাছে ভালো লাগে। পৃথিবীতে জীবিত অবস্থায় আমরা শান্তির সাথে সহাবস্থান করতে না পারলেও, মৃত্যুর পরে আর কোন বিভেদ থাকে না। সত্যিই, “Death is the greatest leveler”!

এইসব ক্ববরস্থানের সমাধিলিপিতে উৎকীর্ণ আপনজনদের বিষাদমাখা ভালোবাসার বাণীগুলো পড়ে ভালোবাসার এমন নিবিড় অনুভূতি মনকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। সবগুলো পড়তে ইচ্ছে হচ্ছিল, কিন্তু তা পড়তে গেলে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়ে যেত। তবুও ঘুরে ঘুরে বেশ কয়েকটা বাণী পড়লাম, কিছু ছবিও তুললাম। গত বছর প্রায় একই সময়ে অর্থাৎ ০৩ জুলাই ২০২২ এ গিয়েছিলাম মেলবোর্ন এর ‘Bunorong Memorial Park’ যাদের আদর্শবাণী (motto) - 'Honouring and Celebrating Life' আমার খুব ভালো লেগেছিল। সেখানে দেখা কিছু সমাধিফলকের বাণী দিয়ে আজকের এ বাণী সংকলনের কাজটি শুরু করলাম। সবগুলো সমাধিক্ষেত্র থেকে দৈবচয়ন ভিত্তিতে নির্বাচিত কয়েকটি ভালোলাগার বাণীঃ

*একজন প্রয়াত বাবার প্রতি তার সন্তানদের শ্রদ্ধাঞ্জলিঃ
"We miss you in so many ways
We miss the things you used to say
And When old times
We do recall
it’s then we miss
You most of all".

*'To know her was to love her' - ২০০৫ সালে ৬৮ বছর বয়সে প্রয়াত Pamela Rose de Little এর ফলকে উৎকীর্ণ বাণী।

*"Always in our thoughts, forever in our hearts".... যথাক্রমে ২০২১ এবং ২০২০ সালে ৯১ এবং ৮৭ বছরের পরিণত বয়সে প্রয়াত Keith Mervyn Henshall এবং Thelma Frances Henshall এর ফলকে উৎকীর্ণ বাণী। তাদের দু'জনার মৃত্যুর মাঝে মাত্র ৮ মাস ২০ দিনের ব্যবধান ছিল। সফল, পরিপূর্ণ এবং পরিপূরক জীবন বলা যায়!

*"Weep not she has gone,
But smile that
She has been.
Close to our hearts she
Will always stay,
Loved and remembered
Everyday."
পরিণত বয়সে প্রয়াত এক বয়স্ক দম্পতির ফলকে উৎকীর্ণ বাণী, যারা ৮৮ (স্বামী) এবং ৯০ (স্ত্রী) বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছিলেন।

একটা বিষয় এখানে লক্ষ্য করেছি যে অনেক মানুষ তার পোষা প্রাণীটিকে এতই ভালোবাসেন যে তারা চান, তাদের মৃত্যুর পর তাদের পোষা প্রাণীটিকেও (বিশেষ করে বিশ্বস্ত কুকুরটিকে) যেন তাদের পাশে সমাহিত করা হয়। এখানে আমি অনেক কুকুরের স্মৃতিফলক দেখেছি, যেখানে তাদের প্রতি হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার কথা উৎকীর্ণ হয়ে আছে। যেমনঃ
*"Loving and faithful to the end, family pet and constant companion in life", (pet dog) KARA is "now resting at peace with June (KARA’র মনিব)"।

*এক ব্যক্তির ক্ববরের পাশে তার পোষা কুকুরের একটি মূর্তি স্থাপন করে তাতে লেখা হয়েছেঃ ‘Companion for Eternity’। দেখে মনে হয়, মূর্তির কুকুরটি আজও যেন তার মনিবকে পাহাড়া দিচ্ছে!

*"No night can darken the sunlight of her memory" – ২৬ এপ্রিল ২০১১ তারিখে ৮৫ বছর বয়সে প্রয়াত Ruth Jane এর ফলকে উৎকীর্ণ বাণী।

*"She is a sparrow when she is broken but she is an eagle when she flies" – ০৫ মে ২০১১ তারিখে ৪৯ বছর বয়সে প্রয়াত Edwina Denise এর ফলকে উৎকীর্ণ বাণী।

*"Miss me but let me go" – ২০ ফেব্রুয়ারী ২০০৮ তারিখে ৯১ বছর বয়সে প্রয়াত Leona Maanum এর ফলকে উৎকীর্ণ বাণী।

*"Her joy was in kindness" – ৬৮ বছর বয়সে প্রয়াত Drina E. এর ফলকে উৎকীর্ণ বাণী।

*"She was the sunshine of our home" – ৫৮ বছর বয়সে প্রয়াত Fay Mary এর ফলকে উৎকীর্ণ বাণী।

*"We worked together in happiness, now we rest together in peace" - George এবং Irene নামের এক দম্পতির ফলকে উৎকীর্ণ বাণী।

এ পোস্ট যখন লিখছি, তখন একটা ভাবনা মনে উদয় হলো, আচ্ছা আমার জন্য কোন এপিটাফ লেখা হবে কি? কে জানে! ভাবতে ভাবতে নিজেই নিজের জন্য কবিতা আকারে একটা এপিটাফ লিখে ফেললামঃ


Thoughts of an Epitaph

A chapter has just closed,
Another one will soon begin.
Oh Lord, keep my soul in peace
In between!

Shed not a drop of tear,
Oh you who stand here!
Life was good being amid you
Pray, sigh whispers of love, a few!


Dhaka
20 August 2023


ঢাকা
২০ অগাস্ট ২০২৩
শব্দ সংখ্যাঃ ১০৩৩


06 August 2023, 17:43, @Riverside Memorial Park Cemetery,


06 August 2023, 17:50, @Riverside Memorial Park Cemetery


06 August 2023, 17:54, @Riverside Memorial Park Cemetery


06 August 2023, 18:14, @Riverside Memorial Park Cemetery


06 August 2023, 18:28, @Riverside Memorial Park Cemetery


06 August 2023, 18:45, @Riverside Memorial Park Cemetery


06 August 2023, 18:55, @Riverside Memorial Park

Cemetery
06 August 2023, 18:57, @Riverside Memorial Park Cemetery


06 August 2023, 18:58, @Riverside Memorial Park Cemetery


06 August 2023, 19:09, @Riverside Memorial Park Cemetery


30 May 2023, 19:41, @At a Military Cemetery


30 May 2023, 19:4০, @At a Military Cemetery


30 May 2023, 19:4০, @At a Military Cemetery


30 May 2023, 19:36, @At a Military Cemetery


30 May 2023, 19:34, @At a Military Cemetery


সূর্য বিদায় নেয়ার আগে যেন ক্ববরগুলোকে আলোচুম্বন করে যাচ্ছে!
30 May 2023, 19:03, @At a Military Cemetery


03 July 2022, 14:29 @Bunorong Memorial Park, Melbourne, Australia.


03 July 2022, 14:12 @Bunorong Memorial Park, Melbourne, Australia.


03 July 2022, 15:21 @Bunorong Memorial Park, Melbourne, Australia.

পোস্ট-পরবর্তী সংযোজনঃ

তেমন কিছুই লিখা নেই, কিন্তু তবুও, একটা অক্ষরের একটা শব্দই যথেষ্ট আবেদনময়।
বনানী সামরিক কবরস্থান, ২৮ অগাস্ট ২০২৩, সকাল ১১-০০

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:২৮

শাওন আহমাদ বলেছেন: বেশ গুছিয়ে লিখেছেন, এবং বাণী গুলোও পড়লাম ভালো লাগলো। কবরস্থান সত্যিই শান্তির জায়গা, নিজেকে তুচ্ছ হিসেবে ভাবার জায়গা। আমরাও মন খারাপ হলে আমি কবরস্থানে যাই হাঁটাহাঁটি করি মন শান্ত হয়ে যায়।

২১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: তুচ্ছ হিসেবে ভাবার জায়গা - সেখানে গেলে এ ভাবনাটা এমনি এমনিতেই চলে আসে!
পোস্ট পাঠ এবং প্রথম মন্তব্যটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

২| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯

মিরোরডডল বলেছেন:




পৃথিবীতে জীবিত অবস্থায় আমরা শান্তির সাথে সহাবস্থান করতে না পারলেও, মৃত্যুর পরে আর কোন বিভেদ থাকে না।

এ চিন্তা মাথায় রেখে বেঁচে থাকতেই কেনো মানুষ একটু মিলেমিশে শান্তিপূর্ণভাবে থাকে না!!!

বাহ্! অনেকগুলো ভালো লেগেছে, কোনটা রেখে কোনটা বলি।

"Always in our thoughts, forever in our hearts".

...................

*"Weep not she has gone,
But smile that
She has been.
Close to our hearts she
Will always stay,
Loved and remembered
Everyday."

very good one.

.....................

দেখে মনে হয়, মূর্তির কুকুরটি আজও যেন তার মনিবকে পাহাড়া দিচ্ছে!

Lucky chap!

বিশ্বস্ত পোষা প্রাণী বিশেষ করে কুকুর পাওয়া যায় কিন্তু বিশ্বস্ত মানুষ পাওয়া অনেক কঠিন!!!!!!

........................

*"We worked together in happiness, now we rest together in peace" -

এমন সৌভাগ্য খুব কম মানুষেরই হয়!!!

...........

I might like this one for myself :)

*"Miss me but let me go"

২১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্ট পাঠ, মন্তব্যে পোস্ট থেকে উদ্ধৃতি এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
I might like this one for myself - মাত্র ৬টি শব্দের ছোট ঐ বাক্যটি আসলেই খুব টাচি! আমারও খুব ভালো লেগেছে।

৩| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:১৪

মিরোরডডল বলেছেন:




বাই দ্যা ওয়ে, নিজের জন্য লেখা এপিটাফ ভালো হয়েছে, বিশেষ করে প্রথম চার লাইন।

২২ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৭:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: থ্যাঙ্ক ইউ। মীনস আ লট!

৪| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৪১

করুণাধারা বলেছেন: সমাধি ফলকগুলো বেশ সুন্দর, এবং ছোট। অধিকাংশ কবরই দেখা যাচ্ছে দীর্ঘজীবী মানুষের। শেষ কবরবাসী পৃথিবীতে ছিলেন ৯৬ বছর।

আপনার লেখা এপিটাফ এর শেষ চার লাইন ভালো লেগেছে।

২২ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: ওদের মৃত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বেশ পরিণত বয়সে (রাইপ এইজে) মৃত্যুবরণ করেছে এ বিষয়টা আমারও নজরে এসেছিল।
এপিটাফের শেষ চার লাইন আপনার ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলাম।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৫| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৩৫

কামাল১৮ বলেছেন: মৃত মানুষের কোন গুন থাকলে আমি সেটা মনে রাখতে চেষ্টা করি।নয়তো অতিদ্রুত তাকে ভুলে যাই সে যেই হোক।

২২ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভুলে যাওয়াটা স্নায়ুবিক ব্যাপার। কেউ কাউকে ইচ্ছে করলেও ভুলে যেতে পারে না, যতক্ষণ না তার মস্তিষ্ক সেটাকে ডিলিট করে দেয়।

৬| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৬:১১

সোহানী বলেছেন: কানাডায় মুসলিমদের মাঝে বেশ কিছু অর্গানাইজেশান আছে। তাদের মেম্বার হলে তারাই সব ব্যবস্থা করে মৃত্যুর পর।

তবে আমি কখনই কবরস্থানে যাই না। প্রথমত: এটা আমার মায়ের কবরের কথা মনে করিয়ে দেয়। দ্বিতীয়ত: নিজের মৃত্যুর কথা মনে করিয়ে দেয়। মরে যখন যাবো তখন দেখা যাবে, তার আগে মৃত্যু চিন্তা করতে ইচ্ছে করে না। যদিও এখন আমি মাঝে মাঝে ভাবি মৃত্যুর কথা, কিভাবে আমাকে কবর দিবে, কোথায় তার ব্যবস্থা হবে। হয়তো বয়স বাড়ছে তাই।

২২ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, রিজাইনাতেও এরকমের অর্গানাইজেশান আছে, মেলবোর্নেও আছে বলে শুনেছিলাম।
মৃত্যুকে ভয় পাবার কিছু নেই, কারণ এটা সকল জীবনের অমোঘ পরিণতি, অনিবার্য।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৭| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৭:৫৯

নজসু বলেছেন:



মৃত্যু এমন এক বাস্তবতা যার থেকে কেউ পালাতে পারবেনা! এটা নিয়ে নিয়ে অনেকে হয়তো ভাবতেও পছন্দ করেন না। পৃথিবীতে, এই এটাই একটা চিরসত্যি জিনিস যেটা সবার হবেই হবে । এর হাত থেকে পলায়ন করার সাধ্য কারো নেই।

ছোট্ট একটি ঘর আমার জন্য বরাদ্দ করা আছে। হয়তো আমার কবরে কোন এপিটাফ লেখা হবেনা। আমার কবরের পাশ দিয়ে যারা যাতায়াত করবেন তাদের ভিতর হয়তো কেউ একজন আরেকজনকে বলবেন, অমুকের কবর এটা। আমার আত্মীয় স্বজনরা প্রথম প্রথম আমার কবরে নিয়ম করে আসবেন। তারপর অনেক বছর কেটে যাবে। যারা আমার কবরের পাশ দিয়ে যাবেন তারা হয়তো আমাকে আর চিনবেন না। জিজ্ঞাসু মনে বলতে পারেন, কার কবর এটা? আমার কাছের জনরাও হয়তো দুনিয়াতে আর থাকবেন না। পরের প্রজন্ম আমার কবরে আসার প্রয়োজন মনে করবে না।

একদিন আমার কবর মাটির সাথে একাকার হয়ে যাবে। পৃথিবীতে আসলে কিছু একটা করে যাওয়া দরকার। হয় ভালো, নয়তো মন্দ। তাহলে আরও কিছুদিন মানুষের মনে জায়গা করে থাকা যাবে। ভালো মানুষের পাশাপাশি লোকজন এরশাদ শিকদারকেও মনে রেখেছেন।

ধন্যবাদ প্রিয় ভাই। বরাবার আপনার পরিবেশনা অন্য সবার মতো আমারও ভালো লাগে। ছবিগুলো হৃদয় কাঁদায়।
দোয়া রইলো, আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য।

২২ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবিগুলো হৃদয় কাঁদায় - আপনার সংবেদনশীল মনে এই পোস্টটা কতটা প্রভাব ফেলেছে, তা এই ছোট্ট মন্তব্যটা থেকে স্পষ্ট।
আপনার দোয়া আমাকে স্পর্শ করে গেল! মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা!

৮| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৩৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: চমৎকার একটি লেখা তবে কেন যেন মনে হচ্ছে এই লেখাটি আমি আগেও পড়েছি হয়তো ভুলও হতে পারে আমার ধারণা। আপনি কি এই লেখাটি আগে প্রকাশ করেছিলেন ব্লগে?

২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার প্রতিটি পোস্টের নীচে পোস্ট লিখার তারিখ উল্লেখ করা থাকে। সেটা দেখে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে এটা মাত্র তিন দিন আগে লিখা একটি তরতাজা পোস্ট, কোন বাসী বা রিপিট পোস্ট নয়। আমি গত বছরেও মেলবোর্নের একটি ক্ববরস্থা্নে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ঘুরে এসেও আমি সেই ক্ববরস্থা্ন নিয়ে একটি পোস্ট লিখেছিলাম। আপনি যদি আমার এ পোস্টটা মনযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন, তাহলে দেখতে পাবেন যে এই পোস্টের শেষ অনুচ্ছেদে আমি সে কথাটি উল্লেখ করেছি এভাবেঃ
"গত বছর প্রায় একই সময়ে অর্থাৎ ০৩ জুলাই ২০২২ এ গিয়েছিলাম মেলবোর্ন এর ‘Bunorong Memorial Park’ এ .... সেখানে দেখা কিছু সমাধিফলকের বাণী দিয়ে আজকের এ বাণী সংকলনের কাজটি শুরু করলাম"।

সেই পোস্ট থেকে তিনটি ছবি এবং কয়েকটি বাণী প্রাসঙ্গিকতার কারণে এ পোস্টেও সংযোজিত হয়েছে। এ কারণে আপনার মনে হয়ে থাকতে পারে যে এ পোস্টটি আপনি আগেও পড়েছেন। মূল পোস্ট দুটি অবশ্যই ভিন্ন।

৯| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৩২

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার লিখা বরাবরের মতোই গুছানো আর পড়তেও বেশ ভালো লাগে। ব্যক্তিগতভাবে আমি এপিটাফ লিখার পক্ষে নই। বিষয়গুলো আবেগ তাড়িত সেটা বুঝতে পারি, তাদের অনুভূতিকে মোটেই অশ্রদ্ধা করছি না, শুধু মনে করি এগুলো না লিখাই ভালো। মানুষ অনেক কিছুই করে যার কোন মানে নেই তবুও করে, কেন করে? খুব সম্ভবত এরও কোন সঠিক উত্তর নেই। আমি মারা যাওয়ার পর যেন এপিটাফ বা ঐ জাতীয় কিছু না করা হয় সেটাই বলে যাবো।

কবরস্থানে যাওয়াটা-কে আমি ভীষণ পজিটিভলি দেখি। সম্ভব হলে প্রতি সপ্তাহে কিছুটা সময় ওখানে কাটানো উচিত সবার। আপনার সুস্থতা আর মঙ্গল কামনা করছি। ধন্যবাদ।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনার লিখা বরাবরের মতোই গুছানো আর পড়তেও বেশ ভালো লাগে" - অনেক ধন্যবাদ, আপনার এই প্রশংসা এবং ভালোলাগার কথাটুকু এখানে জানিয়ে যাবার জন্য।
"শুধু মনে করি এগুলো না লিখাই ভালো" - আপনার ভাবনাটা ঠিক আছে। যেখানে হাড়গোর সব মাটির সাথে মিশে যাবে, সেখানে এসব কথা আর কতদিন টিকে থাকবে কিংবা মানুষের মনে থাকবে!
"আমি মারা যাওয়ার পর যেন এপিটাফ বা ঐ জাতীয় কিছু না করা হয় সেটাই বলে যাবো" - সঠিক সিদ্ধান্ত।
"সম্ভব হলে প্রতি সপ্তাহে কিছুটা সময় ওখানে কাটানো উচিত সবার" - একমত।

১০| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর সব ছবি।

কোথায় যেন পড়েছিলাম- ইহুদিদের সাথে সব সময় হিসেব করে কথা বলতে হয়।ওরা কোনো প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেয় না।এমনকি, তুমি যদি অতি সাধারণ ভাবে জিজ্ঞেস করো, আজকের আবহাওয়াটা খুব সুন্দর না?তার উত্তরে একজন ইহুদি বলবে, কেন, তোমার মতে কি গতকালের আকাশ কম নীল ছিল?

২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবির প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ।
তবে, পোস্টের সাথে মন্তব্যের পরের অংশটুকুর কতটুকু প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে, তা ধরতে পারলাম না।

১১| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার এই চমৎকার ভিন্নধর্মী লেখাটা খুবই ভালো লাগলো খায়রুল ভাই। এপিটাফগুলো মৃতের স্বজনদের শেষ ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ। এরপরে হয়তো আর সেভাবে এর প্রকাশ হবে না, তাই এগুলোর একটা আলাদা মুল্য আছে। আবেগ প্রকাশের এই ধরনটা একেবারেই পার্থিব আশা-আকাঙ্খা বহির্ভূত, এবং অবশ্যই নিঃস্বার্থ!!

আমাদের শহরেও একটা কবরস্থান আছে। ওটার পাশ দিয়ে লক্ষবার যাতায়াত করেছি, কিন্তু কখনও ঢোকা হয় নাই। আপনার লেখা পড়ে মনে হলো, একদিন ঢোকা উচিত। আমাদের এখানে যতোদূর জানি, মুসলমানদের কবর একই কবরস্থানে হলেও যায়গা আলাদা। অবশ্য গোটা বৃটেনের সব কবরস্থানের পদ্ধতি জানা নাই।

আপনার দেখা কবরস্থানটা বিশাল আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে দারুন। আমাদের শহরের বা যে কয়টা শহরের কবরস্থান আমার নজরে এসেছে এখন পর্যন্ত তার কোনটাই এতো বিশাল না। অবশ্যই বৃটেন কানাডা-আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়ার মতো বিশাল আয়তনের দেশ না। সেটা একটা বড় কারন নিঃসন্দেহে।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: "এপিটাফগুলো মৃতের স্বজনদের শেষ ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ" - জ্বী, ঠিক সে কারণেই এপিটাফগুলো পড়তে আমার ভালো লাগে। কথার সাথে ভালোবাসা আর মায়া মিশ্রিত থাকে।
চমৎকার মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা!

১২| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৩০

অপু তানভীর বলেছেন: বাইরের দেশে সমাধিস্থলে এই রকম এফিটাফ লেখা থাকে । আমাদের কবরই ঠিকঠাক মত থাকে না । ঢাকা শহরে গড়ে এক বছরের মাথায় নতুন কবর গড়ে ওঠ । আর কবর যদি বাঁধাই করতে হয় তাহলে এক কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ হয় ২৫ বছর রাখতে । অবশ্য গ্রামের কবর গুলোও থাকে অনেক দিন । তবে সেখানে কেবল নাম লেখা থাকে । এমন এফিটাফ লেখা থাকে না ।

আমি আবার আপনার ঠিক উল্টো । আপনি যেমন পরিচিত মানুষের জানাজা কিংবা কবর স্থানে যান আমি একদম ধারে কাছে যাই না । মানুষের মৃত্যু সংবাদ আমাকে কেবল যেন অদ্ভুত একটা অনুভূতি দেয় । বিশেষ করে পরিচিত মানুষের মৃত্যু । এতো দিনের পরিচিত মানুষ আর কথা বলবে না আর কোন ভাবের আদান প্রদান হবে না এটা ভাবতেই পারি না । সর্বশেষ আমি গিয়েছিলাম আমার এক নানীর জানাজায় । সেটা ২০০১ সালের ঘটনা । এরপর আবার হুমায়ূন আহমেদের জানায় শরীক হয়েছিলো । এরপর আর কারো মৃত্যুর ধারে কাছে যায় নি । সব সময় দুরে দুরে থেকেছি ।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: বয়সের সাথে সাথে আপনারও অনুভূতি এবং মনোভাবের পরিবর্তন হতে পারে।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৩০

নীল-দর্পণ বলেছেন: মৃত্যু অবশ্যই ঘটবে, তবে ভয় হয় এটা ভেবেই যে পরকালের জন্যে পাথেয় জোগাড় করছি না এখনো! কী করে পাড় পাবো!

বিদেশের মত আমাদের দেশে এপিটাফে লেখার বিষয়গুলো দেখা যায় না তেমন, তবে আপনজনেরা নিজ হাতে, নিজ ভালোবাসায় সুই-সুতোয় লিখে রাখেন । আমার আম্মাকে দেখেছিলাম বড় মামার জন্ম-মৃত্যু আর কিছু কথা দিয়ে লিখেছিলেন একটা কাপড়ে তবে কাপড়টা অস্পূর্ণ ছিল, কিছু কাজ বাকী ছিল।

আমি নিজের সুই-সুতোয় নকশা পারিনা করতে তাই আমার ছেলে-মেয়েদের জন্ম-মৃত্যু দিন নিয়ে করিয়েছি একজনকে দিয়ে। সাহস ,সুযোগ হয়না সেটা দেয়ালে টানানোর তাই আলমারীতে রেখে দিয়েছি! তিন বছর হয়ে যাচ্ছে একবার ই গিয়েছিলাম তাদের কবর দেখতে, খুব ব্যস্ত এক মসজিদ মাদ্রাসার প্রাঙ্গনে বিধায় সেখানে প্রবেশে সংকোচ হয় কে কী ভাববে!

২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: "তবে ভয় হয় এটা ভেবেই যে পরকালের জন্যে পাথেয় জোগাড় করছি না এখনো! কী করে পাড় পাবো!" - এই ভয় থাকাটাও কম কিছু নয়, এটাও কিয়দংশে হলেও তাকওয়ার পরিচায়ক। এই ভয়ই ক্রমে ক্রমে সৎ কর্ম করার এবং অসৎ কর্ম থেকে দূরে থাকার ও তা প্রতিহত করার, নিদেনপক্ষে প্রতিবাদ করার প্রেরণা যোগাবে।

জীবিত কিংবা মৃত, সন্তানদের জন্য মায়ের দোয়ার ঊর্ধ্বে আর কিছুই নেই। সেটা ঘরে বসেও করা যায়। তবে ইচ্ছে হলে তো সেখানে যেতেও পারেন, কোন সমস্যা নেই।

মন্তব্যটা হৃদয়স্পর্শী!

১৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৪

নীল-দর্পণ বলেছেন: কেন যেন মনে হল আপনাকে দেখাই ছবিটা, এটা কোন এপিটাফ না, পোস্ট সম্পর্কিত না হয়ত, তাও
কেন যেন মনে হল আপনাকে দেখাই ছবিটা, এটা কোন এপিটাফ না, পোস্ট সম্পর্কিত না হয়ত, তাও

২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: এক টুকরো স্মৃতি, বিষাদমাখা, কিন্তু উজ্জ্বল।
পোস্ট সম্পর্কিত না হয়ত, তাও - এটা অবশ্যই পোস্ট সম্পর্কিত, ভালোবাসার ভাষা এখানে মূর্ত।
পোস্টে শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




মৃত্যুকে নিয়ে আপনার একটা আলাদা ভাবাবেগ আছে , অবশ্য কার-ই বা থাকেনা! তবুও সবারটা দেখা না গেলেও আপনার এই ভাবাবেগ অনেক পোস্টেই সচকিত দেখতে পাই। আপনার এই পোস্ট যেন তারই একটা স্মারকচিহ্ন।

মৃত্যুর পরে আর কিছু থাকেনা বলেই মানুষ সব ভুলে এমন ভালোবাসা উজার করে দিতে পারে এপিটাফে।

সবচেয়ে অর্থবোধক এবং টাচি এপিটাফটা এটাই ----*"Miss me but let me go"
আর আপনার রচিত এপিটাফটির ভাবটি যথার্থ এবং একই সাথে সুন্দরও বটে।

শুভেচ্ছান্তে।

২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনার এই পোস্ট যেন তারই একটা স্মারকচিহ্ন" - ধন্যবাদ, আপনার এ পর্যবেক্ষণের জন্য।

"মৃত্যুর পরে আর কিছু থাকেনা বলেই মানুষ সব ভুলে এমন ভালোবাসা উজার করে দিতে পারে এপিটাফে" - এটাও একটি তীক্ষ্ণ এবং উত্তম পর্যবেক্ষণ। সেই সাথে বাকি দুটোও।

মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৮:০৬

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: কোন সময় সৌদি আরব গেলে জান্নাতুল বাকির একটা ছবিব্লগ কইরেন।

২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আইচ্ছা!

১৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:২২

জাহিদ অনিক বলেছেন: খুবই সুন্দর ও মনের মত একটা পোষ্ট।

প্রতেকটা এপিটাফের মধ্যেই কাব্যিক ব্যঞ্জনা, ভালোবাসা ও ভাবের গভীর আবেগ চোখে জল আনার মতন। শ্রদ্ধেয় জী এস সাহেব যেটাকে কোট করেছেন, Miss me but let me go আমার কাছেও মনে হয়েছে এটা সবচেয়ে বেশি তীব্রতর। মন হুহু করে ওঠার মতন।

এপিটাফ গুলোর এসব লেখা পড়লে বোঝা যায়, মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসার নানা স্তর থাকে, জীবিত অথবা মৃত সব মানুষকেই ভালোবাসা যায়।


কানাডার এই মেমোরিয়াল পার্ক সিমেট্রি ঘুরে, ছবি তুলে, আর প্রত্যেকটা এপিতাফের কথা আমাদের পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা শ্রদ্ধেয় কবি। এটা নিশ্চয়ই একটা দুরহ কাজ।

সবশেষে, সিমেট্রি ঘুরতে ঘুরতে আপনি নিজের জন্য যে এপিটাফটি লিখেছেন, সেটা সত্যিই সুন্দর। একজন কবি বলেই হয়ত শেষ লাইনগুলো এত সুন্দর করে লিখতে পেরেছে --

Life was good being amid you
Pray, sigh whispers of love, a few!


কখনো খুব বেশি মন ভার হয়ে এলে আবার যেন এই এপিটাফের লেখাগুলো পড়তে পারি, কিছুটা সময়ের জন্য জীবনের ঐহিক এসব সমস্যা থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে পারি; সেজন্য পোষ্ট টা লাইক সহ প্রিয়তে রেখে দিলাম।

২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এবং নীচে আসা ডঃ এম এ আলী ভাই এর মন্তব্যের মত মন্তব্য পেলে একজন লেখকের লেখা মর্যাদাপ্রাপ্ত হয় এবং তার শ্রম সার্থক হয়। অনেক, অনেক ধন্যবাদ আপনার এই নিবিষ্ট মনযোগের জন্য এবং সেই সাথে আপনার এই উদার মন্তব্যটির জন্য। প্রিয়তে নেয়ার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।

Miss me but let me go - এই ছোট্ট বাণীটি আমাকেও গভীরে স্পর্শ করেছে। অন্যান্য ফলকগুলো যেমন ভূমি থেকে একটু উচ্চ অবস্থা্নে আছে, এটি তেমন নয়। এটি ঠিক ভূমিপৃষ্ঠে প্রোথিত, ঘাস এবং আগাছাবৃত হয়ে প্রায় ঢেকে গেছে। একটু খেয়াল করে দেখলে দেখতে পাবেন যে একটি সেলফোন দিয়ে কিছু আগাছাকে চেপে রেখে অন্য একটি ফোন দিয়ে আমি ছবিটি তুলেছি, যেন এই সুন্দর বাণিীটি আমার পাঠকেরা পরিপূর্ণভাবে পড়তে পারেন। এই সমাধিতে যিনি শায়িত আছেন, তার জন্ম প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালে, এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে তিনি পূর্ণবয়স্কা যুবতী ছিলেন। অর্থাৎ এক জীবনে তিনি দুই দুইটি বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোল প্রত্যক্ষ করেছেন এবং নিশ্চয়ই চরম দুঃসময়ের ভেতর দিয়ে জীবন অতিবাহিত করেছেন। আমার কল্পনায় তাই তিনি আবির্ভূত হয়েছেন জীবনযুদ্ধ পাড়ি দেয়া এক ক্লান্ত সৈনিকের ন্যায় এবং তার এই বাণীটি আমার কাছে প্রতিভাত হয়েছে ক্লান্তি অবসানের লক্ষ্যে তার একটি দীর্ঘশ্বাস হিসেবে। আমি অত্যন্ত প্রীত হয়েছি এটা দেখে যে মিরোরডডল, আহমেদ জী এস এবং আপনাকে এই ছোট্ট বাণীটি আকৃষ্ট করেছে।

আমার লেখা এপিটাফটির (আসলে সত্যিকার অর্থে আমি চাই না আমার ক্ববরে কোন এপিটাফ লেখা থাক) যে দূটো লাইন আপনি উদ্ধৃত করেছেন, সে দুটো লাইনই আমার মনের একেবারে খাঁটি কথা। জীবনের চলার পথে যাদের সাথে আমার সাক্ষাৎ পরিচয় হয়েছে, তাদের সকলের প্রতিই (আপনিসহ) আমার এ আবেদনটি রইলো।

১৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মিরোরডডল বলেছেন:




কমেন্ট ৬৬ ফর ইউ

২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: সীন, এ্যান্ড রিপ্লায়েড ঠু।

১৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৬:০৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




রিভারসাইড মেমোরিয়াল পার্ক সিমেট্রিতে থাকা
ভালবাসার বানী নিয়ে লেখা সমাধিলিপির ছবিগুলিতে
থাকা কথামালা সত্যিই আমাদেরকে ভালবাসার আবেগে
ভাসিয়ে নিয়ে যায় । মরনের পরে প্রিয়জনেরা সমাধিতে
সমাধিলিপিতে ভালবাসার কথার প্রকাশ ছাড়াও সুন্দর ফুল
দিয়ে করে ভালবাসার অর্ঘ্য নিবেদন । যারা এগুলি পায়
তারা সত্যিই খুবই ভাগ্যবান ।

এই পোষ্টে আপনার রিভারসাইড মেমোরিয়াল পার্ক সিমেট্রির
কাহিনী পাঠে আর ছবি দেখে আমার স্মৃতিতে ভাস্কর হয়ে থাকা
একটি রিভারসাইড মেমোরিয়াল পার্ক সিমেট্রির কথা মনে
পড়ে যায় ।

গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলাধীন কাওরাইদ এ অবস্থিত ব্রাহ্ম মন্দিরের পাশে সুতিয়া নদীর তীরে
আঠার শতকে গড়ে উঠা একটি বিখ্যাত সমাধিস্থল রয়েছে । সেই সমাধিস্থলে ব্রিটিশ ভারতবর্ষে ঊনবিংশ
শতাব্দির বিশিষ্ট বাঙালি গীতিকার, সুরকার ও গায়ক অতুলপ্রসাদ সেনের (২০ অক্টোবর ১৮৭১ - ২৬ আগস্ট
১৯৩৪) চিতাভস্ম সমাহিত করা হয়। তাঁর রচিত গানগুলির মূল উপজীব্য বিষয় ছিল দেশপ্রেম, ভক্তি ও প্রেম
ভালবাসার কথামালা।

এই ব্রাহ্মমন্দির লাগোয়া সমাধিতে শুধু অতুল প্রসাদেরই নয়, দেশ বরেন্য অনেক মনিষীর চিতাভস্ম সমাহিত আছে ।
সমাধিতে কারোরই মৃতদেহ নেই, চিতাভস্ম রয়েছে। তাদের কেউ লখনৌ, কেউ আবার লন্ডনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ
করেছেন। যে যেখানে মারা গেছেন, সেখানেই তাদের চিতা হয়েছে। পরে চিতাভস্ম এনে এই নদী তীরে এনে
সমাহিত করা হয়েছে। ধারণা করা হয়, ব্রাহ্ম ও হিন্দু রীতি অনুযায়ী সবারই পিণ্ডদান করা হয়েছে পাশের সুতিয়া
নদীতেই। মুক্তিযুদ্ধের সময় অতুল প্রসাদ সেনের স্মৃতিফলকটি পাকিস্তানি সৈন্যরা গুলি করে ভেঙে ফেলেছিল।
তখন স্মৃতিফলকে তার 'মোদের গরব, মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা' গানের চরণটি লেখা ছিল। দেশ স্বাধীন
হওয়ার পরে অতুল প্রসাদের সমাধিতে মার্বেল পাথরে নতুন একটি স্মৃতি ফলক পুণস্থাপন করা হয় ।

‘মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা!
তোমার কোলে, তোমার বোলে, কতই শান্তি ভালবাসা!
কি যাদু বাংলা গানে!- গান গেয়ে দাঁড় মাঝি টানে
এমন কোথা আর আছে গো!
গেয়ে গান নাচে বাউল, গান গেয়ে ধান কাটে চাষা।।’


অতুল প্রসাদের লেখা মাতৃভাষার প্রতি প্রেমপূর্ণ সঙ্গীতটি বাঙালির প্রাণে আজও ভাষা প্রেমে গভীর উদ্দীপনা
সঞ্চার করে। রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কার পাওয়া উপলক্ষে এই গানটিতে বাঙালি এবং বাংলা ভাষার প্রতি
গভীর প্রেম ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অতুলপ্রসাদ সেন। গানটি আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন এবং স্বাধীনতা
আন্দোলনে অসীম প্রেরণা যুগিয়েছে।

বিভিন্ন তথ্যসুত্রে জানা যায় যে ঢাকা হতে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে এই ব্রাম্ম মন্দিরে ও তার পাশে সুতিয়া
নদীতীরে থাকা সিমেট্রিতে কিছু সময়ের জন্য এসেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্র্রনাথ ঠাকুরও।

স্মৃতি জাগানিয়া সুন্দর মুল্যবান পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ ।

পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।

শুভেচ্ছা রইল

৩০ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: সুতিয়া নদীতীরে থাকা সিমেট্রি'র ছবিসহ বর্ণনা পড়ে মুগ্ধ হ'লাম। ওদিকে যদি কখনো যাওয়া হয়, তবে অবশ্যই এ সিমেট্রিটা ঘুরে দেখার ইচ্ছে রইলো। বিশ্বকবি রবীন্দ্র্রনাথ ঠাকুর এর সেখানে আসার কথা আগেও আপনার কোন একটা মন্তব্য থেকে জেনেছিলাম।
প্লাস এবং পোস্ট প্রিয়তে নেয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

২০| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৪০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



বাংলাদেশে ওয়ার সিমেট্রি নিয়ে আমার কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আছে। একদিকে খুবই দুঃখজনক। আরেক দিকে আজীবন মনে রাখার মতো। আমি সময় করে লিখেবো। আপনার লেখা পড়ে মন বিষন্ন হয়ে গিয়েছে। ভালো লিখেছেন।

৩০ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: ওয়ার সিমেট্রি নিয়ে আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
প্লাস এবং মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

২১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ভালোবাসার কোন ভাষা নেই, এ শুধু অনুভুতির বিষয় :`>

দারুণ একটি পোস্ট, অথচ পোস্ট'টি আমার চোখ এড়িয়ে গিয়েছিলো।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টে আপনার আগমনে প্রীত হলাম, প্রশংসায় প্রাণিত।
"ভালোবাসার কোন ভাষা নেই, এ শুধু অনুভুতির বিষয়" - চমৎকার বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.