নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
জাকিউল ইসলাম ফারূকী (Zakiul Faruque) ওরফে সাকী আমার দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু; ডাঃ আনিসুর রহমান, এনডক্রিনোলজিস্ট আর ডাঃ শরীফ হাসান, প্লাস্টিক সার্জন এর। ওরা তিনজনই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের একই ব্যাচের ছাত্র (K-32) ছিল। সেই সূত্রে আমি তাকে নামে চিনতাম। তাছাড়া চেনার আরেকটা কারণও ছিল। আমরা একই এলাকার সন্তান। সাকীর বাবা লালমনিরহাট রেলওয়ে হাসপাতালের ডাক্তার ছিলেন। অবসরে প্রাইভেট কলেও আসতেন। শৈশবে আমার নানাবাড়িতে তাকে আসতে দেখেছি, তাদের চিকিৎসার জন্যে। এ ছাড়াও, আত্মীয়তার বন্ধনও ছিল তাদের সাথে।
তবে আমার শৈশব কেটেছে বাবার কর্মস্থল চট্টগ্রাম এবং ঢাকায়। সপ্তম শ্রেণীতে উঠে আমি ক্যাডেট কলেজের নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চলে যাই মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজে (এটা ছিল তখনকার নাম; ১৯৭৮ সাল থেকে ‘মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ’ নামে অভিহিত)। আর সাকী সপ্তম শ্রেণীতে উঠে লালমনিরহাট থেকে চলে যায় রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে। সেজন্য আমাদের কখনো চাক্ষুষ সাক্ষাৎ হয়ে ওঠে নি। তবে বছরে দু’বছরে বার্ষিক পরীক্ষা শেষে যখন গ্রামের বাড়িতে যেতাম, তখন আমার প্রায় সমবয়সী কাজিনরা আমাকে ওর কথা বলতো।
আমি অবসর জীবনে যাবার পর শুনেছি, সাকীও আমার মত কবিতা লিখে। ডাঃ আনিস ওর কিছু কবিতার বই আমাকে দিয়েছিল পড়তে। পড়েছিলাম কবিতাগুলো, ভালোও লেগেছিল। ভালো লাগার অন্যতম একটি কারণ সরল বর্ণনার ভেতর দিয়ে জীবনের আবেগ, অনুভূতি ও অভিজ্ঞতার কথা বলা, কিংবা অভিজ্ঞতার নিরিখে জীবনের কোন দর্শন তুলে ধরা। কালক্রমে একদিন আমরা ফেসবুক ফ্রেন্ডও হয়ে গেলাম। আমি গতমাসে নিউ ইয়র্ক এসেছিলাম, সেটা সে ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছিল। কয়েকদিন মেসেঞ্জারে কথোপকথনের পর সে জানতে পারলো যে আমরা শীঘ্রই কানাডায় আমাদের বড় ছেলের কাছে চলে যাচ্ছি। সে একদিন নিউ জার্সিতে তার বাসায় আসার নেমন্তন্ন জানালো। আমি সানন্দে রাজী হ’লাম এবং কানাডা চলে আসার দু’দিন আগে তার বাসায় উপস্থিত হ’লাম।
সাকী’র স্ত্রী ডাঃ সেলিনাও আমাদের তিন বন্ধুর মত DMC K-32 ব্যাচ এর সহপাঠী ছিল। আমার ছোটভাই একই এলাকার একজন ডাক্তার ছিল বিধায় তারা ওকেও চিনতো, তাই ওকেও সাথে নিয়ে আসতে বললো। আমরা তার বাসায় পৌঁছানোর ঠিক আগে আগে তাকে ফোন দিয়ে জানালাম যে আমরা কাছাকাছি এসে গেছি। একটু এগিয়েই দেখি, সে দুয়ার থেকে নেমে এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালো। আমরা একে একে ভেতরে প্রবেশ করলাম। গৃহপ্রবেশের পর থেকে প্রাকসন্ধ্যায় বিদায় নেয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের আলাপ এক মুহূর্তের জন্যেও থামে নাই। বিশেষ করে ভাবী’র (ডাঃ সেলিনা এর) কথা না বললেই নয়। উনিও মেহমানদারির ফাঁকে ফাঁকে অনেক আলাপ করেছেন আমাদের সাথে। ওরা উভয়েই এতটা অমায়িক ও আন্তরিক ছিল যে মনেই হলো না তাদের সাথে সেদিনই প্রথম চাক্ষুষ সাক্ষাৎ হলো।
লাঞ্চের পরে আমি ওদের বুকশেলফের কাছে গেলাম। সেখানে একটি বই এর প্রচ্ছদের দিকে তাকিয়ে আমার চোখ আটকে গেল। লেখকের নাম দেখে মনে হলো আমি এই লেখককেও নামে চিনি; তিনি আমাদের এই ব্লগেরই একজন পুরনো ব্লগার। আমি সাকীকে জিজ্ঞেস করলাম, সে সেই লেখককে চিনে কি না। সে বললো চিনে মানে, লেখক তার ছোট বোন। লেখকের অন্যান্য লেখা পড়ে আমার ধারণা হয়েছিল যে তিনি উত্তরবঙ্গের মানুষ। কিন্তু সেই ক্ষণে জানলাম তার আরও নিকট পরিচয়। আমার আগ্রহ লক্ষ্য করে সাকী সেই বইটি এবং তার নিজেরও একটি কবিতার বই আমাকে গিফট করলো। আমার ছোটভাইকেও সে তার লেখা কয়েকটি বই গিফট করলো। বই এর কয়েকটি পৃষ্ঠা উল্টিয়ে আমি নিশ্চিত হ’লাম, আমি এ লেখকের লেখাই ব্লগে পড়েছি।
বইটি সম্পর্কে দু’চারটি কথা না বলে আমার এ লেখাটা শেষ করা অনুচিত হবে। বইটি প্রকাশিত হয়েছে ২০১৮ সালে, অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। এর প্রকাশক বাদল সাহা শোভন, পূর্বা প্রকাশনী, ঢাকা। ৬৪ পৃষ্ঠার এই বইটিতে কবিতা রয়েছে মোট ৪৯টি। বইটি সম্পর্কে প্রকাশক লিখেছেনঃ “শিরীন সাজি’র কবিতায় ভালোবাসা ছলকায়, এটা পাঠকদের অনুভূতি। নিজের লেখা নিয়ে তার কথা হলো, জীবনের বেঁচে থাকা ভালোবাসাতেই মূর্ত হয়ে ওঠে। গভীর অন্ধকারে যেমন ছোট জোনাকির দল পথ দেখায় পথিককে, তেমনি ভালোবাসার আলোতেই জীবনের বন্ধুর পথ পাড়ি দেয়া সম্ভব বলে তার বিশ্বাস। আর ভালোবাসার সেই অমল ধবল বোধ, যার অনুরণন চলে সারা জীবন ধরেই"।
আর স্বয়ং লেখক বইটি সম্পর্কে বলেছেনঃ “মায়া মানেই তো টান। অদ্ভূত অপার্থিব এক টান।… জগতের সবচেয়ে পুরাতন বোধ বুঝি প্রেম! ….ভালোবাসা আমার কাছে সেই ম্যাজিক, যা আছে মনে হলেই ফুলকি ছড়ায়। ….. বেঁচে থাকা ভালো হয়ে যায় এই ফুলঝুরি ভালোবাসায়। ….. আমি ভালোবাসার এই ফুলঝুরিতে ভেসে বেড়াই (বইটির শেষ বাক্য)"। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী সাহিত্যে মাস্টার্স করার পর সাজি চলে যান কানাডায়। প্রথমে মন্ট্রিয়লে ছিলেন, এখন থাকেন অটাওয়ায়। তবে এর আগে তার শৈশব, কৈশোর কেটেছে লালমনিরহাট সহ অন্যান্য রেলওয়ে শহরে রেলের কোয়ার্টার্সে, বাবা রেলওয়ের ডাক্তার হওয়ার সুবাদে। সে কারণেই বোধহয় তার কবিতায় রেলের কথা ঘুরে ফিরে আসে। যেমনঃ
“একদিন এক রেলগাড়ির কামরায় কবির সাথে আমার দেখা হয় - (‘কবির জন্য কবিতা’, ব্লগে প্রকাশিত)
"কবিরা সবাই গাছের মতন। ওদের শেকড় বাকড়ে চলতে থাকে স্মৃতির রেলগাড়ি।" (ঐ)
*শেষরাতের ট্রেন চলে গেলে ওদের নিঃশ্বাস আরো ভারী হয়” (‘স্বপ্ন, শিউলিফুল……’)
*ট্রেনটা চলে যাচ্ছিল যখন, সিগন্যালে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম আলোর শেষ রেখাটুকু” (আত্মার টান)
*শেষরাতের ট্রেন চলে গেলে সিগন্যালে জমে থাকে জোনাকি” (‘তুমি’)
*ঝিকঝিক রেলগাড়ি চলে, ইটের ভাটার বুকে ধিকিধিকি আগুন জ্বলে, তোমাকে মনে পড়ে খুব। শুধু তোমাকেই। (‘অভিমান’)
* কোনদিন দেখা হবে না জেনেও মন ঘুরে বেড়ায় কত রেলস্টেশন (‘মায়া’)
*ইচ্ছে ছিল, দূর থেকে আসা ট্রেনের ৩৩৯ নং কামরা থেকে নেমে আসবে কেউ। পিঠে ব্যাকপ্যাক।
*দূর থেকে দূরে বয়ে যাওয়া সেই রেলগাড়ি। কে যেন হাত নেড়ে বিদায় বলে যায় কাকে!
বইটির প্রুফরীডিং সন্তোষজনকভাবে সম্পন্ন হয় নাই। অনেক শব্দের মাথায় অনাবশ্যক ভাবে চন্দ্রবিন্দু বসেছে, আবার যেখানে আবশ্যক ছিল, সেখানে বসে নাই। যেমনঃ
ছাঁয়া (একাধিক কবিতায়), মাঁচা, ছুঁটতে, কুঁড়িয়ে, কুঁড়ানো, কৌঁটা (অনাবশ্যক ভাবে চন্দ্রবিন্দু বসেছে)।
পাজর (চন্দ্রবিন্দু আবশ্যক ছিল, কিন্তু বসে নাই)।
আবার দুটো শব্দের মাঝে যেখানে স্পেস থাকা আবশ্যক ছিল, সেখানে তা নেই; ফলে দুটো শব্দ জোড়া লেগে গেছে। যেমনঃ
বইএর, রেশছিল, ঘুমনা, সকালভাসে।
যাহোক, এ বইয়ের ৪৯টি কবিতাই আমি পড়েছি। কবিতাগুলোতে মনুষ্য প্রেম, প্রাকৃতিক প্রেম, পাখি প্রেম, স্মৃতিকাতরতা, প্রবাসী জীবনের বৈরী শীতার্ততা (“বাইরে রোদের সাঁতার অথচ বাতাসে ভিড় করে আছে বাঘের নখ” – ‘শীত’) ইত্যাদি বিষয়ে কবি সাবলীল ভাষায় তার মনের ভাবাবেগ ও অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। তবে কবি’র ব্লগ পাতায় আরও অনেক ভালো ভালো কবিতা রয়েছে, যেগুলোর সুচয়িত শিরোনামই পাঠককে কবিতায় টেনে নিয়ে আসে। সেগুলো হয়তো ইতোমধ্যে কবি’র অন্যান্য কবিতার বইয়ে ঠাঁই পেয়েছে। না পেয়ে থাকলে আশাকরি, কবি সেগুলোকেও মলাটবদ্ধ করতে প্রয়াসী হবেন।
রিজাইনা, কানাডা
১৪ জুন ২০২৪
শব্দ সংখ্যাঃ ৯৬৫
লাঞ্চের পর টেবিলে বসেই আড্ডা....
অনেক গল্পের পর, বিদায় নেয়ার আগে.....
১৪ ই জুন, ২০২৪ রাত ১০:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্যটির জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
আমি ব্লগে লেখালেখি শুরু করার পর ওনার লেখা খুব একটা পাইনি। দুই হাতে গোণা যাবে, এমন গুটি কয়েক মাত্র। তবে ওনার পোস্ট যে ক'টা পড়েছি, সবক'টাতেই উনি অকাতরে মায়া ছড়িয়ে রেখেছেন।
২| ১৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ১:১২
মিরোরডডল বলেছেন:
সাজিপুকে মনে আছে, ২০২০ মিঠু ভাই ক্যান্সারে চলে গেলো।
আপু কেমন আছে এখন?
১৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ১:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার সাথে ওনার কোন যোগাযোগ নেই, তাই বলতে পারবো না। তবে ওনার বড়ভাই আলাপ প্রসঙ্গে আমাকে জানিয়েছিলেন, ওনার দুই ছেলের মধ্যে বড়টা লেখাপড়া শেষ করেছে, ছোটটা সম্ভবতঃ এখনো পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, আলোচ্য কবিতার বইটি তিনি স্বামীকেই উৎসর্গ করেছেন (২০১৮ সালে প্রকাশিত, স্বামীর মৃত্যুর আগে)।
৩| ১৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ১:১৬
মিরোরডডল বলেছেন:
সেকেন্ড লাস্ট ছবিতে সাদা রসগোল্লার সাথে বাকিগুলো কি ছিলো?
একটা মনে হচ্ছে গুঁড়ের সন্দেশ।
আরেকটা কি পাটিসাপটা পিঠা?
১৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ১:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, আপনার ধারণা সঠিক।
৪| ১৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ২:০৭
কাছের-মানুষ বলেছেন: চমৎকার, আপনাদের ছোট বেলার কথা এবং সাকী সাহেবের সাথে এত বছর পর প্রথম সাক্ষাৎ এর কথা পড়েও অনেক ভাল লাগল, তার উপর বিদেশের মাটিতে দেখা। কিছু কিছু মানুষের সাথে প্রথম দেখাতেও একটা আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে উঠে, আপনাদের
মাঝের সম্পর্কও তেমনই মনে হল। আপনাদের দুজনের ছবিটি ভাল লাগছে।
আপনার বেশ কিছু লেখা এসেছে দেখলাম, কাজের চাপে কয়েকদিন ব্লগে তেমন সময় দেয়া হয়নি, আমি সময় নিয়ে পড়ব। আপনার বিদেশের ঘুরাঘুরি ভাল চলুক, ঘুরাঘুরির আরও অনেক অভিজ্ঞতার পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
১৫ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৮:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, সেটাই আমার কাছেও বিস্ময়কর এক ব্যাপার। দেশে থাকতে এত বছরে কোনদিন দেখা হলো না, আর বিদেশে এত যুগ পরে দেখা হয়ে কি আন্তরিক পরিবেশে একটা সময়ই না কাটিয়ে এলাম। দেশে থাকতে উনি এবং ওনার স্ত্রী উভয়ে মিলে এলাকায় বহু দাতব্য কর্মকাণ্ডে অংশ নিতেন এবং প্রান্তিক জনগণকে চিকিৎসা সেবা দেয়ার ব্যাপারে অকাতরে সাহায্য সহযোগিতা করতেন।
"মানুষের সাথে প্রথম দেখাতেও একটা আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে উঠে, আপনাদের মাঝের সম্পর্কও তেমনই মনে হল" - একেবারে ঠিক বলেছেন। ব্যাপারটা সেরকমেরই।
পোস্ট পাঠ এবং আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
৫| ১৫ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৫:২১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এক একটা কবিতার পিছনে জমা হতে থেকে এক একটা জীবনের পান্ডুলিপি।
কোনটা প্রকাশিত!
কোনটা অপ্রকাশিত!
তবে সুলতানা শিরীন সাজির কবিতা হয়েছে প্রকাশিত সামুর পাতা সহ বই মেলায় প্রকাশিত কবিতার বই এও ।
কতদিন পরে কত হাত ঘুরে নিউজার্সিতে গিয়ে তা নিয়েছেন তুলে আমাদেরই আরেক গুণী কবি । তাঁর এই
পোস্টে আনেক কথার সাথে সাজি আপার কবিতার কথামালা বলা না হলে জানাই হতোনা এককালে ব্লগে বিচরণ
করা এমন একজন গুণী কবির কবিতার কথা । অনেক খুঁজে পেলাম তাঁর কবিতার দেখা ।
কবিতার পিছনে জমা হয়ে থাকা কথা একটা পান্ডুলিপীই বটে । জানা গেল কোন এক কবিতা সন্ধ্যায় আসতে
চাননি একজন জনপ্রিয় লেখক।জানালেন কবিতা বোঝেন না।কারন আজকাল কবিতা মানে কতগুলো কঠিন শব্দ
মনে হয় তার কাছে।তিনি বলেছিলেন আসেন,আমরা জীবনের কথাই বলবো কবিতায় । সত্যিই তাঁর কবিতায়
যে জীবনের কথাই বলে তা ভাল করে বুঝা গেল তাঁর সেই কবিতায় -
যেখানে তিনি বলেছেন -
কবিরা সবাই গাছের মতন।
ওদের শেকড় বাকড়ে চলতে থাকে স্মৃতির রেলগাড়ি।
একদিন এক রেলগাড়ির কামরায় কবির সাথে আমার দেখা হয়।
খুশিতে ময়ূর নাচে মনবনে।
আনন্দে দু'চোখে নদী হয়
কত ভাটফুল
কত নদী
কত কাশবন
কত আকাশ এর পর আকাশ........
আলেকজান্ডার পুশকিনের এর ফেয়ালওয়েল কবিতা নিয়ে কথা হয়।
এমনকি নক্ষত্রের কবির আকাশলীনা।
আরো কত কথা।
মেহেদিপাতার মত রং ছড়ানো সব ।
এভাবেই কতদিন কখনো ঘুমে
কখনো আধেক ঘুমে
কখনো ষ্টেশনে,
কখনোবা রেলগাড়ির কামরায়
.............আমাদের দেখা হয়।
কবি এবং পাঠকের এমন দেখা হওয়াটুকু রং ছড়ায় আজীবন।
এক একটা কবিতার পিছনে জমা হতে থেকে এক একটা জীবনের পান্ডুলিপি।
কোনটা প্রকাশিত!
কোনটা অপ্রকাশিত!
একটি ভ্রমন কাহিনীতে এমন গুরুত্বপুর্ণ তথ্য ও মুল্যবান কবিতা সম্ভারের সন্ধান
দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা রইল
১৫ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: সুলতানা শিরীন সাজি'র কবিতাটি ব্যাখ্যাসহ উদ্ধৃত করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আসলেও, তার প্রত্যেকটি লেখাই অত্যন্ত মায়াময়!
প্লাসে ও মন্তব্যে প্রাণিত হ'লাম।
৬| ১৫ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৮:১১
সোহানী বলেছেন: সাজি আপুকে আপনার এ পোস্টটির লিংক পাঠাচ্ছি। আশা করি উনি আপ্লুত হবেন এ লিখা পড়ে।
অসম্ভব সুন্দর লিখেন আপু। আমি কবিতার মানুষ না হয়েও উনার লিখা পড়ি।
আপনার ঘুরাঘুরি চলছে তাহলে???
১৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ৯:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: "অসম্ভব সুন্দর লিখেন আপু" - জ্বী, একমত।
ঘুরাঘুরি কিছু কিছু হচ্ছে। গত সপ্তাহান্তে গিয়েছিলাম ম্যাপল ক্রীক এ অবস্থিত একটি ইন্টার প্রভিন্সিয়াল পার্কে (সাচকাচুয়ান-আলবার্টা উভয় প্রদেশ জুড়ে বিস্তৃত বলে নাম 'ইন্টার প্রভিন্সিয়াল পার্ক' গিয়েছিলাম এবং রাতে 'সাইপ্রেস হিল রিসোর্ট' এ থেকেছিলাম। খুব সুন্দর জায়গা। আসলে কানাডা পুরো দেশটাই সুন্দর।
৭| ১৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: পোস্টে ++ । আশা করি, সুলতানা শিরীন সাজি আবারো ব্লগে নিয়মিত হবেন।
১৬ ই জুন, ২০২৪ রাত ১২:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আশা করি, সুলতানা শিরীন সাজি আবারো ব্লগে নিয়মিত হবেন" - জ্বী, আমিও তাই আশা করি। উনি একসময় প্রচুর লিখতেন। এখনও হয়তো লিখেন (কারণ লেখা যাদের অভ্যেস তারা না লিখে থাকতে পারেন না), তবে ব্লগে নয়, অন্য কোন মাধ্যমে।
"পোস্টে ++ ।" - কিন্তু পোস্টের প্লাস তালিকায় তো আপনার নাম দেখছি না!
৮| ১৬ ই জুন, ২০২৪ রাত ১২:২৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগার সাজি আপুর লেখা খুব কম পড়লেও ওনার লেখা খুব ভালো লেগেছিল। ওনার হাজবেন্ড যখন ভীষণ অসুস্থ সেই সময়ের কিছু পোস্টও পড়েছিলাম। ওনাকে খুব ভালো মনের মানুষ মনে হয়েছে।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল আপনার ছোটবেলার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বন্ধু হল সাজি আপার ভাই যেটা আপনি সুদূর কানাডা গিয়ে এখন কেবল জানতে পারলেন।
১৬ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমিও তেমন বেসি পড়িনি, কিন্তু যেগুলোই পড়েছি, খুব ভালো লেগেছিল।
"সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল আপনার ছোটবেলার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বন্ধু হল সাজি আপার ভাই যেটা আপনি সুদূর কানাডা গিয়ে এখন কেবল জানতে পারলেন" - জ্বী, সেটা বিস্ময়কর বটে!
মন্তব্য ও 'লাইক' এর জন্য অনেক ধন্যবাদ। পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা!
৯| ২২ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:১৩
শোভন শামস বলেছেন: আপনার এবারকার ভ্রমন কথা ও অভিজ্ঞতা লিখে বই আকারে বের করুন। অনেক পাঠক এখনও আছে এই নেটের যুগে। বই পড়ার মজাই আলাদা, আর বই পরতেই হবে। ধন্যবাদ
২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১২:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: লিখতে ইচ্ছে তো অনেক কিছুই হয়, কিন্তু ঝামেলার কথা ভেবে আর এগোতে ইচ্ছে করে না।
অনেক লেখা জমা হয়ে আছে। শুধু একটু গোছগাছ করে পান্ডুলিপিটা তৈরি করতে পারলেই হয়ে যাবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১০| ২২ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: শোভন শামস বলেছেন: আপনার এবারকার ভ্রমন কথা ও অভিজ্ঞতা লিখে বই আকারে বের করুন।
খুবই ভাল হয় যদি এমন একটা উদ্যোগ নেন। শুভকামনা।
২৩ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৮:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ইচ্ছে আছে। দেখা যাক, সে ইচ্ছে আর উদ্যোগটা কতটা সফলকাম হয়।
মন্তব্য এবং 'লাইক' এর জন্য ধন্যবাদ।
১১| ২২ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ ! কী চমৎকার যোগাযোগ।
একটা ব্যাপার ভালো লাগলো, আমাদের ব্লগারদের হৃদ্যতা। কেমন একটু পরিচিত লেখা দেখেই চিনে ফেলা আগ্রহ নিয়ে সেই লেখা সংগ্রহ করা। অথচ একে ওপরের সাথে যোগাযোগ নেই।
ভালো লাগছিলো পড়তে।
২৩ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, কোন যোগাযোগ নেই, পরিচয় নেই, তবে ওনার কয়েকটি লেখা আমি আগে পড়েছিলাম, সেই হেতু নামটা পরিচিত ছিল।
চমৎকার মন্তব্য এবং 'লাইক' এর জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১২| ২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:১৮
করুণাধারা বলেছেন: দারুন গল্প। অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তি সবসময় আনন্দদায়ক হয়। নেমন্তন্নে গিয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে একজন ব্লগারের বই পেয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে আনন্দের। আমরাও আপনার অভিজ্ঞতায় শরিক হতে পারলাম।
২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: "অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তি সবসময় আনন্দদায়ক হয়। নেমন্তন্নে গিয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে একজন ব্লগারের বই পেয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে আনন্দের" - জ্বী, ঠিক বলেছেন। আর সে আনন্দটা আপনাদের সাথে শেয়ার করার লক্ষ্যেই এ পোস্ট।
মন্তব্য এবং 'লাইক' এর জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জুন, ২০২৪ রাত ১০:৩০
শায়মা বলেছেন: সাজি আপুনি যেমন কবিতা লেখে তার মতনই মনটাও মায়াময়......