![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
আমার স্ত্রী গত বছর থেকে বেশ কিছুদিন ধরে পবিত্র হজ্জ্ব অথবা উমরাহ পালনের ইচ্ছে প্রকাশ করে আসছিলেন। জানুয়ারি’২৫ এর শেষ সপ্তাহে এক রাতে আমাদের ছোট ছেলে তার অফিসের কলীগদের সাথে এক সমাবেশ শেষে বাড়ি ফিরে ওর মাকে জানালো যে তাদের একজন কলীগ সম্প্রতি উমরাহ পালন করে এসেছেন। তিনি যে এজেন্সি’র মাধ্যমে গিয়েছিলেন, তাদের কথা খুব ভালো বলেছেন। সে জানালো যে সেও তার মায়ের সাথে উমরাহ পালন করতে যেতে ইচ্ছুক। এই বলে সে সেই এজেন্সী’র কন্ট্যাক্ট নম্বরটা তার মাকে দেয়। আমার স্ত্রী পরেরদিন সেই এজেন্সীর সাথে কন্ট্যাক্ট করেন। এজেন্সীর নাম ছিল “স্কাই গেস্ট ট্রাভেলস” এবং কন্ট্যাক্ট পার্সন এর নাম আবদুল্লাহ আল মাহবুব শাহিন।
জনাব শাহিন জানালেন যে আর কিছুদিন পরে রামাদান শুরু হবে, সে কারণে খরচ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি পড়বে। তাই আমরা ঈদের পরে উমরাহ পালনের কথা চিন্তা করে দেখতে পারি। তাতে আর্থিক কিছু সাশ্রয় হবে। সেন্সিবল প্রস্তাব, তাই আমরা ‘তথাস্তু’ বলে তাতেই রাজী হয়ে গেলাম। তার কিছুদিন পরে হঠাৎ করেই জনাব শাহিন একদিন ফোন করে জানতে চাইলেন যে আমরা কয়জন যাবো। আমরা জানালাম তিনজন (আমি সহ)। তিনি জানালেন যে পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫ পালনের জন্য তার কাছে ঠিক তিন জনের একটি স্লট খালি আছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে তিনজনের একটি দল কোন কারণে আসতে পারছে না। আমরা উমরাহ এর পরিবর্তে হজ্জ্ব পালনের জন্য প্রস্তুত কিনা। মনের মাঝে একটি ঐশ্বরিক আশ্বস্ততা অনুভব করতে শুরু করলাম, “বান্দা চাইলে আমি তার কাজ অনেক সহজ করে দেই!” এই বাণীর অনুরণনে আমরা মুহূর্তমাত্র দেরি না করে, দ্বিতীয়বার চিন্তা না করেই ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। আমরা প্রস্তুত বলে পরেরদিন তাকে জানালাম। নিয়্যত ও কথাবার্তা পাকাপাকি করে আমরা আল্লাহ রাব্বুল ‘আ-লামীন এর ইচ্ছের কাছে নিজেদেরকে সোপর্দ করলাম। মনে স্থির বিশ্বাস জন্মালো, এর পরে আর কোথাও ঠেকতে হবে না।
হলোও ঠিক তাই। ত্বরিত গতিতে হজ্জ্ব সংক্রান্ত সব কাজ বিনা বাধায় সম্পন্ন হতে থাকলো। ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে সন্ধ্যার পর আমরা মিরপুরস্থ এজেন্সী অফিসে উপস্থিত হয়ে জনাব শাহিন এর সাথে দেখা করলাম। প্রথম সাক্ষাতেই তাকে ভালো লাগল এবং খুব সহায়ক মনে হলো। উনি আমাদেরকে ২৪ মে ২০২৫ থেকে ২৩ জুন ২০২৫ পর্যন্ত ৩০ দিনের একটি প্যাকেজ প্রোগ্রাম সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারণা দিলেন। আমাদের ছেলে একসাথে এতদিন ছুটি পাবে না, তবে ঈদের ছুটি মিলিয়ে ১৪ জুন পর্যন্ত ছুটি পাবে। তাই তাকে আমাদের চেয়ে ৯ দিন আগে ফিরে আসতে হবে। ফলে তার জন্য রিটার্ন টিকেটটা প্যাকেজের বাইরে আলাদা করে করতে হবে। হাতে সময় কম ছিল বলে ঐ রাতেই জনাব শাহিন এর অফিসে বসে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে তার রিটার্ন টিকেট ক্রয় করা হলো। তিনি “Hajj-2025 WhatsApp Group” এ আমাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করে নিলেন। এতে কানেক্টিভিটি বেড়ে গেল, ইন্সট্রাকশনস অনুসরণ করা সহজ হয়ে গেল এবং সেই সাথে পারস্পরিক আস্থাও বাড়তে থাকলো।
০৬ মার্চ ২০২৫ তারিখে আমরা জনাব শাহিন এর নিকট আমাদের পাসপোর্টগুলো হস্তান্তর করলাম। টাকা পয়সার লেনদেনও অনতিবিলম্বে পরিশোধ করলাম। বায়োমেট্রিক্স আপলোড করা হলো। অন্যান্য ডকুমেন্টস গোছানো শুরু করলাম। সবকিছু সুষ্ঠুভাবে এগোতে থাকলো। আল্লাহ রাব্বুল ‘আ-লামীন এর দয়া ও রহমত কামনার্থে আমি রমজানের শেষ দশদিন আমাদের এলাকার মাসজিদে ই’তিক্বাফ এ বসে গেলাম। ঈদুল ফিতর এর পর থেকে বাকি প্রস্তুতিগুলো দ্রুত সম্পন্ন করতে থাকলাম। আমরা দু’জন এপ্রিলের মাঝামাঝি এবং আমাদের ছেলে এপ্রিলের ২৭ তারিখে হজ্জ্ব ভ্যাক্সিনেশন সম্পন্ন করার পর আমরা সনদপত্র আপলোড করে ফেললাম। নানাদিক থেকে বিভিন্ন সমাজসেবী ও ধর্মীয় সংগঠন সুষ্ঠুভাবে হজ্জ্ব সম্পন্ন করার নিমিত্ত ব্রীফিং অনুষ্ঠানে আমাদেরকে আমন্ত্রণ জানাতে থাকলো। সেখানে বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় কিছু বুকলেট এবং নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রী দেয়া হলো। আমাদের এজেন্সীও বারিধারা ডিওএইচএস এর কনভেনশন হলে “360 Degree Support” নামের একটি সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত দিনব্যাপী সেমিনারে (অন পেমেন্ট লাঞ্চ এর ব্যবস্থাসহ) আমাদেরকে WhatsApp মেসেজ এর মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানালো। আমরা তিনজনই সেদিন সেখানে উপস্থিত থেকে মূল্যবান আলোচনা থেকে উপকৃ্ত হয়েছিলাম।
০৯ মে ২০২৫ তারিখ অপরাহ্নে মিরপুর ডিওএইচএস এ আমাদের একজন সহযাত্রীর বাসার বেজমেন্টে জনাব শাহিন কর্তৃক তার মাধ্যমে হজ্জ্ব গমনেচ্ছু সহযাত্রীদের জন্য একটি মিলনমেলা-কাম- আনুষ্ঠানিক ব্রীফিং অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে সকল হজ্জ্বযাত্রীকে একটি করে স্যুটকেস (লাগেজ) এবং কিছু প্রয়োজনীয় গিফট আইটেম প্রদান করা হয় (যেমন হাল্কা ব্যাকপ্যাক, ছাতা, বুকলেটস ইত্যাদি)। সেদিন যাদের সাথে পরিচিত হয়েছিলাম বলে মনে পড়ে, তাদের মধ্যে রয়েছে জনাব ফুয়াদ তানভির, জনাব তাজ, জনাব সরোয়ার (খুব সম্ভবতঃ) এবং দূর থেকে দেখা জনাব মাহবুব ও মিসেস মাহবুব। সেদিন আমাদের হাতে টিকেট ও ভিসাসহ পাসপোর্টও দিয়ে দেয়া হয়।
অবশেষে দেখতে দেখতে চলে এলো সেই কাঙ্খিত মুহূর্তটি। ২৪ মে ২০২৫ তারিখে বাসায় আউয়াল ওয়াক্তে ফজরের নামায পড়েই আমরা হজ্জ্ব ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে রওনা হ’লাম। সেখানে পৌঁছেই আমি জনাব শাহিনকে ফোন দিলাম। উনি সাথে সাথেই ছুটে এলেন। তাকে দেখে মনে হলো যে তিনি খুবই পেরেশানিতে আছেন। কন্টিনুয়াস ফোন এ্যাটেন্ড করছেন। এমতাবস্থায় আমাদেরকে মৌখিকভাবে কিছু করণীয় সম্পর্কে বলে তিনি আমাদেরকে বললেন তাকে অনুসরণ করতে। আমরা ট্রলীতে মালপত্র তুলে তার পিছে পিছে গেলাম। প্রবেশ পথে কিছু তরুণ ছাত্র ছাত্রী হজ্জ্ব ভলান্টিয়ার আমাদের ফোন নিয়ে তাতে একটি অতি প্রয়োজনীয় এ্যাপ আপলোড করে দিল। অ্যাপটির নাম "লাব্বাইক"। তারা অত্যন্ত আন্তরিক ছিল এবং তাদের কাজ সম্বন্ধে ভালো জানতো। আমি তাদের কাজ দেখে ইমপ্রেসড হ’লাম। এ্যাপটি খুবই দরকারি ও উপকারী ছিল। হজ্জ্বের যাত্রা শুরুর পর থেকে বাংলাদেশের হাজ্জ্বীগণ এই অ্যাপে ক্লিক করেই বাংলাদেশ হজ্জ্ব মিশনের স্টাফ এবং সৌদি পুলিশকে তাদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন।
এর পর হজ্জ্ব ক্যাম্পেই শুরু হলো চেক-ইন এবং ইমিগ্রেশন এর কাজ। সব ব্যবস্থাবলী হাজ্জ্বীবান্ধব ছিল, ফলে কোথাও কোন অসুবিধে হয় নাই। এজন্য আমাদের হজ্জ্ব মন্ত্রণালয় অবশ্যই সাধুবাদ প্রাপ্য। চেক ইন এর সময় লাইনে দাঁড়ানো থাকা কালে জনাব ফুয়াদ তানভির, জনাব সরোয়ার, জনাব নুরুজ্জামান প্রমুখের সাথে টুকটাক আলাপচারিতা হয়। চেক ইন এর পর বাসে করে আমাদেরকে বিমানবন্দর লাউঞ্জে নেয়া হলো। সেখানেই সম্পন্ন করা হলো মদীনা বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন এর কাজ। বাসে ওঠার সময় লাইনে আমার সামনে ছিলেন জনাব সরোয়ার এবং তার স্ত্রী জেনি। বাসে প্রবেশের সময় জেনি’র হাত থেকে তার সেলফোনটি নিচে পড়ে যায়। আমি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফোনটি তুলে তার হাতে দিলাম। তার স্বামী তার দিকে তাকিয়ে একটি মুচকি হাসি দিলেন।
মদীনা বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন এর কাজটি ঢাকা বিমান বন্দরে করে ফেলার কারণে হাজ্জ্বীদের অনেক কষ্টের লাঘব হয়ে যায়। এটাও বাংলাদেশ এবং সৌদি সরকারের একটি প্রশংসনীয় কাজ। প্রায় সময়মতই সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের বিমানটি আকাশে পাখা মেলে ওড়ার পর আমি গভীর প্রশান্তির একটি শ্বাস নিয়ে আল্লাহতা’লার শুকর গুজার করতে করতে চোখ বুঁজলাম। কিছুক্ষণ পরেই একজন কেবিন ক্রু'র ডাকাডাকিতে ঘুম ভাঙলো।
উৎসর্গঃ
আমার আগের একটা পোস্টে ব্লগার নীলদর্পন আশা প্রকাশ করেছিলেন, আমি যেন আমার পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫ এর অভিজ্ঞতার আলোকে নিজস্ব স্মৃতিকথা লিখি। তার অনুরোধের কথা মনে রেখে এই সিরিজটা লেখা শুরু করলাম। সিরিজের প্রথম পোস্টটি তাই তার প্রতিই উৎসর্গিত হলো।
ঢাকা
২৫ অগাস্ট ২০২৫
শব্দ সংখ্যাঃ ১০৩৭
পরের পর্বের লিঙ্কঃ স্মৃতিময় পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫ (২)
২৬ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আল্লাহতা'লাই ভালো জানেন।
২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার ভ্রমন কাহিনী ( যদিও এটা হজ্বের উদ্দেশ্যে গমন) পড়ে বড় আরাম পাওয়া যায়- পুঙ্খানুপুঙ্খ উল্লেখ থাকে।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম
২৬ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: একেকজন লেখকের লেখার স্টাইল একেক রকমের। আমি ছোটখাট ডিটেইলসও হাইলাইট করতে ভালোবাসি।
আন্তরিক এ্যাপ্রিসিয়েশনে প্রীত হ'লাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম। ভালো লেগেছে।
২৬ শে আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার ট্রাভেল এজেন্ট/হজ এজেন্ট শেষ পর্যন্ত ভালো থেকেছিল কিনা জানিনা তবে মফস্বলের অধিকাংশ হজ এজেন্ট হয় বাটপার। আমাদের এলাকায় একজন আছে সোনা চোরা চালানি। প্রত্যেক হাজিকে দুটি করে সোনার বার দিয়ে দেয় ঢাকা এয়ারপোর্ট পেরুলে আবার নিয়ে নেয়।
যাক সুস্থতার সহিত বায়তুল্লাহ জিয়ারত করে ফিরে এসেছেন,আল্লাহ আপনার হজ কবুল করুন।
২৬ শে আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: উনি শেষ পর্যন্তই ভালো থেকেছিলেন বলা যায়, তাই এখন পর্যন্ত সুসম্পর্ক আছে। কিছু কিছু বিষয় ওনার আয়ত্বের বাইরে ছিল, যেগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা যায়। হজ্জ্বের পাঁচটা দিন কোন কিছুই আর বহির্দেশীয় এজেন্ট বা মু'য়াল্লিমের নিয়ন্ত্রণে থাকে না; সব কিছুই চলে যায় সৌদি মু'য়াল্লিম ও হজ্জ্ব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অধীনে। তখন ওনাদের নিজস্ব ইচ্ছানুযায়ী আর হাজ্জ্বীদের কোন সেবাদান করার উপায় থাকে না।
আপনার দোয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৩৯
কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা পড়ে অনেক কিছুই জানা গেল। বিস্তারিত অভিজ্ঞতা পড়ে অনেক ভাল লাগল।
২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। লেখাটির আরও কয়েকটা পর্ব সামনে আসবে ইন শা আল্লাহ।
৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১:৫৬
লোকমানুষ বলেছেন: দারুণ সুন্দর ও প্রাণবন্ত স্মৃতিচারণ! পুরো লেখাটিতে প্রস্তুতি থেকে শুরু করে হজ্জ্ব যাত্রার প্রথম ধাপ পর্যন্ত সবকিছু খুব সাবলীলভাবে ফুটে উঠেছে। বিশেষ করে এজেন্সির আন্তরিকতা, সহযাত্রীদের সাথে পরিচয় আর হজ্জ্ব ক্যাম্পের অভিজ্ঞতা লেখাটিকে অনেক জীবন্ত করে তুলেছে। আর বিশেষভাবে বলতে হয় ভাগ্যের ব্যাপারটি- ওমরা থেকে হজ্জ্ব; ব্যাপারটি অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করেছে।
২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি বোধকরি লেখাটি খুবই মনযোগ সহকারে পড়েছেন, তাই লেখার খুঁটিনাটি আপনার চোখে ধরা পড়েছে।
"ওমরা থেকে হজ্জ্ব" - সবই আল্লাহতায়ালার দয়া ও ইচ্ছা!
সযত্ন পাঠের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: ওকে।
৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৮
বিজন রয় বলেছেন: হ্জ্ব এবং ভ্রমণ, দুটো স্বাদ পেলাম।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: ঠিকমত বোঝার উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় পর্ব পড়ার আগে পেছনে এসে প্রথম পর্বটি পড়ে গেলেন, এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এতটা আগ্রহ খুব কম পাঠকের থাকে। কিংবা আগ্রহ থাকলেও, এ সৌজন্যটুকু অনেকেই দেখান না। আপনার দেয়া সময়ের কাছে এ পোস্ট ঋণী রয়ে গেল।
৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
অসাধারণ হৃদয়গ্রাহী ও স্মৃতিময় একটি লেখা। পুরো লেখাটি ভ্রমণকাহিনীর মতো জীবন্ত অনুভূতির স্পর্শে অনন্য—আমরা পাঠকরাও যেন আপনার সঙ্গেই হজ্জ্বযাত্রার প্রতিটি ধাপ অতিক্রম করছি। বর্ণনায় ব্যক্তিগত আবেগ, পারিবারিক অনুপ্রেরণা, প্রস্তুতির বিস্তারিত ধাপ এবং হজ্জ্বের প্রশাসনিক দিকগুলো সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। বিশেষ করে “বান্দা চাইলে আমি তার কাজ অনেক সহজ করে দেই” অংশটি লেখায় এক আধ্যাত্মিক আবহ তৈরি করেছে। দ্বিতীয় পর্বটি হঠাৎ সামনে চলে আসায় আপনার হজ্জ্ব সফরের বিষয়টি জানতে পারলাম এবং প্রথমে সূচনা পর্বেই চলে এলাম। পরবর্তী পর্বগুলোর অপেক্ষায়...।
আপনার দীর্ঘ নেক হায়াত কামনা করছি। শুভকামনা জানবেন।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, এতটা প্রশংসা করে মন্তব্য রাখার জন্য।
"প্রথমে সূচনা পর্বেই চলে এলাম" - সেটাই ঠিক কাজটি করেছেন। পরে সময় হলে দ্বিতীয় পর্বটিও পড়ে নেবেন বলে আশা করি।
১০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১২
করুণাধারা বলেছেন: এই পর্ব আগেই পড়েছি, আগ্রহ এবং কিছুটা মন খারাপ সহকারে। মন খারাপ, কারণ আমি হজ্ব পালনের সুযোগ পাইনি। দীর্ঘদিন ধরে হজ্ব করার তীব্র ইচ্ছা মনে লালন করার পর যখন হজ্ব করার সুযোগ এলো, টাকাও জমা দেয়া হয়েছে, তখন আর হজ্ব করতে পারলাম না! আপনি যে অস্ট্রেলিয়াবাসীদের উল্লেখ করেছেন যারা শেষ পর্যন্ত হজ্বে যেতে পারেননি, তাদের মনের অবস্থা তাই আমি আন্দাজ করতে পারি! আমার নানী বলতেন, আল্লাহ দাওয়াত না দিলে আল্লাহর ঘরে যাবার সৌভাগ্য হয় না। আমার নানীর ও অনেক ইচ্ছা ছিল হজ্ব করার, কিন্তু তিনিও শেষ পর্যন্ত শুধু ওমরাহ করতে পেরেছেন। আপনাদের আল্লাহ যেভাবে হজ্বে যাবার ব্যবস্থা করে দিলেন, দেখে মনে হয় আপনাদের উপর আল্লাহর বিশেষ রহমত আছে।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: দোয়া করবেন, আমরা যেন আল্লাহতা'লার দেয়া এই বিরল সুযোগ ও সৌভাগ্যের প্রতি সুবিচার করতে পারি। আমাদের কোন আচরণে, বিশ্বাস-অবিশ্বাসে কিংবা কথাবার্তায় তিনি যেন আমাদের উপর নারাজ না হন, আমাদেরকে তার রহমতে, বরকতে, হেদায়েতে, হেফাজতে, মাগফিরাতে ও ক্বুবলিয়াতে রাখেন। আমি নিশ্চয়ই বিশ্বাস করি ও স্বীকার করি যে আল্লাহতা'লার বিশেষ দয়া ও অনুগ্রহ ব্যতীত আমাদের পক্ষে এভাবে এবারের হজ্জ্বব্রত পালন সম্ভব হতো না। অনেকগুলো বিপদের ও দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলাম, প্রতিটি থেকে আল্লাহতা'লা আমাদেরকে বাঁচিয়ে এনেছেন। সময়মত সেগুলোর কথা বলার আশা রাখি, ইন শা আল্লাহ।
আমি দোয়া করছি, আল্লাহতা'লা যেন আপনাকে তার বিশেষ মেহমান হিসেবে ক্ববুল করে হজ্জ্ব পালনের সুযোগ দান করেন। আপনি বুঝে শুনে ধর্মবিশ্বাস মনে ধারণ করেন এবং যাপিত জীবনে ধর্মীয় অনুশাসন পালন করেন। আপনি ক্বোরআন পাঠ করে তা বোঝার চেষ্টা করেন। আল্লাহতা'লার নিকট আপনার মত বিশ্বাসীদের ইবাদত অতি প্রিয়। যাদের ইবাদত আল্লাহ'র নিকট প্রিয়, তাদেরকে আল্লাহতা'লা বেশি পরীক্ষা করেন। সুতরাং, আপনি নিরাশ হবেন না। আপনি steadfastly তাঁর অনুগ্রহ কামনা করে যান, নিশ্চয়ই তিনি তার নেয়ামতের দ্বার আপনার জন্য শীঘ্রই অবারিত করে দেবেন, ইন শা আল্লাহ।
১১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫০
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার বিস্তারিত ও সুন্দর বর্ণনা মন কেড়ে নিলো। খুব ভালো লাগলো। আমার আব্বা আম্মা হজ্ব করার সুযোগ পান নাই, এর আগেই আল্লাহর কাছে চলে গেছেন। আমার শ্বশুড় শাশুড়ি ২০০০ সালে হ্জ্ব করছেন। আমরা ছয় ভাইবোনের মধ্যে আমি আর আমার দুইবোন স্পাউসসহ হজ্ব করার সৌভাগ্য লাভ করেছি। বাকি তিন ভাইয়ের ভাগ্য এখনো খোলে নাই। আমি হজ্ব করেছি সস্ত্রীক ২০১৭ সালে। তখন আমাদের ইমিগ্রেশন জেদ্দায় হয়েছিলো। যাবার সময় লাইনে সেভাবে দাঁড়াতেই হয় নাই। দুই জনের ২/৩ মিনিট লেগেছিলো। কিন্তু আসার সময় জান বের হবার দশা হয়েছিলো। ৩ ঘণ্টার বেশি গেছে।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমাদের প্রথম দিনের যাওয়ার ফ্লাইটটি ছিল সরাসরি ঢাকা-মদীনা। আমি সম্ভবতঃ ভুলক্রমে ঢাকা-জেদ্দা উল্লেখ করেছি। ফেরারটি ছিল জেদ্দা-ঢাকা। আমাদেরকেও ফেরার দিন সময়ের অনেক আগে জেদ্দা বিমান বন্দরে পৌঁছাতে হয়েছিল এবং প্রায় সাত ঘণ্টা অপেক্ষার পর ফ্লাইটে উঠতে পেরেছিলাম।
১২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবারও এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভালোকথা।
১৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৭
নীল-দর্পণ বলেছেন: আল্লাহর অশেষ রহমত আপনাদের প্রতি , আমি পড়ছিলাম আর অবিশ্বাস্য লাগছিল এই ভেবে যে এক বছর, দুই বছর ও অপেক্ষা করতে হয় হজ্জের বিন্ধনের জন্যে আর সেখানে আল্লাহ কত সহজেই ডেকে নিলেন আপনাদের।
পড়তে পড়তে 'উৎসর্গ'টুকু দেখে সত্যিই বাকরুদ্ধ হয়ে গেছিলাম। আমি ভাবতেও পারিনি এত সুন্দর একটা লেখা আমারি জন্যে উৎসর্গ করা হয়েছে।
আমি দুঃখিত ব্লগে কম আসা হয় বিধায় এই লেখা চোখে পড়তে দেরি হল আমার।
আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমি ভাবতেও পারিনি এত সুন্দর একটা লেখা আমারি জন্যে উৎসর্গ করা হয়েছে" - আপনিই একমাত্র পাঠক, যিনি আমার আগের একটি পোস্ট পড়ে অনুরোধ করেছিলেন আমাদের এবারের হজ্জ্ব নিয়ে স্মৃতিকথা লিখতে। সুতরাং, ল্রেখকের এ সামান্য কম্প্লিমেন্টটুকু আপনি অবশ্যই ডিজার্ভ করেন।
"আমি পড়ছিলাম আর অবিশ্বাস্য লাগছিল এই ভেবে যে এক বছর, দুই বছর ও অপেক্ষা করতে হয় হজ্জের বিন্ধনের জন্যে আর সেখানে আল্লাহ কত সহজেই ডেকে নিলেন আপনাদের" ... আলহামদুলিল্লাহ!
১৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৪
মোঃ হোযাইফা বলেছেন: ভালো লেগেছে।view this link
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: কোন পোস্ট পড়ে মন্তব্যের ঘরে কোন লিঙ্ক দিতে চাইলে সে লিঙ্কটি কী বিষয় সম্পর্কিত এবং আপনি সে লিঙ্কটিকে পোস্টের সাথে কেন প্রাসঙ্গিক বলে মনে করছেন, তার একটি সংক্ষিপ্ত উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। সেটা না থাকায় আপনার দেয়া লিঙ্কটি আমি খুললাম না।
পোস্ট সম্পর্কিত আর অন্য কিছু ভালোমন্দ না বলে শুধু দুটো শব্দে "ভালো লেগেছ" বললেই বোঝা যায় না যে আপনি পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৮:৫৫
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
করতে চেয়েছিলেন ওমরাহ; কিন্তু আপনাদের জন্য আল্লাহের প্ল্যান ছিলো হজ্জ্ব। আল্লাহ উনার ভালো বান্দাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্হা নেন।