| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খায়রুল আহসান
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
তৃতীয় পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-(৩)
মদিনা শরীফ থেকে বিদায়ের দিনক্ষণ এগিয়ে আসার সাথে সাথে মনের বিক্ষিপ্ততা ও বিষণ্ণতা বৃ্দ্ধিঃ
মদিনা শরীফ থেকে বিদায় নেয়ার দিন ক্ষণ যতই অগ্রসর হচ্ছিল, আমার মনের বিক্ষিপ্ততা ও বিষণ্ণতাও ততই বাড়ছিল। শেষের দিন ফজরের নামাযের পর মাসজিদে আরও কিছুক্ষণ অবস্থান করে আমি একা একাই গিয়েছিলাম ‘জান্নাতুল বাকি’ জিয়ারাতে। নানারকমের পুলিশি নির্দেশ মেনে চলতে হচ্ছিল বলে সেখানেও বেশিক্ষণ অবস্থানের অবকাশ ছিল না। এলাকাটি বেশ বড়, তাই বিভিন্ন জায়গায় স্বল্পক্ষণ অবস্থান করে দেখতে দেখতেও প্রায় ঘণ্টা খানিক সময় লেগে যায়। হোটেলে ফিরে শুনি যে আমাদের মদিনা ত্যাগের সময়সূচী কিছুটা এগিয়ে এসেছে, ফলে মাসজিদে নবুবীতে আসরের জামাতের ওয়াক্ত হবার আগেই হয়তো মদীনা ত্যাগ করতে হবে। হলোও তাই। যেমন আদেশ, তেমন কাজ। লাগেজ গুছিয়ে নিতে নিতেই রওনা হবার সময় হয়ে এলো। মদীনা শরীফে থাকাকালীন যে সকল জায়গায় দলবদ্ধ হয়ে ঘুরে বেড়িয়েছি, সেগুলোর সামষ্টিক খরচের আনুপাতিক অংশ এজেন্সীর হিসেব অনুযায়ী মদীনায় থাকতে থাকতেই পরিশোধ করে দায়মুক্ত হ’লাম।
মদীনায় গ্রুপ সফরে ভ্রমণকৃত কিছু এলাকা ও ঐতিহাসিক স্থানের অতি সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
জিয়ারার প্রস্তুতি হিসেবে নিম্নলিখিত সামগ্রী সাথে রাখতে পারলে খুবই উপকার হবেঃ
১. সানগ্লাস
২. ১/২ বোতল পানি।
৩. কিছু অতিরিক্ত রিয়াল অবশ্যই (কোন কারণে দলছুট হয়ে গেলে Taxi ভাড়া করে ফিরার জন্য)।
৪. হোটেলের কার্ড।
৫. ছাতা
৬. সান-স্ক্রিন লোশন /ক্রিম।
৭। সাথে একটা ছোট নোটবই ও কলম।
মদীনা শরীফে মাসজিদে নবুবী, রিয়াজুল জান্নাত এবং জান্নাত আল-বাকী কবরস্থান ছাড়াও আমরা নিকটস্থ নিম্নলিখিত স্থান/স্থাপনাগুলো দেখতে গিয়েছিলামঃ
১। মাসজিদে কুবা। মাসজিদে নবুবী থেকে অনতিদূরে অবস্থিত। মাসজিদে নবুবীতে ফজর ও চাশত এর সালাত আদায় করে অনেকেই এখানে পদব্রজে এসেও নফল সালাত আদায় করে আবার হোটেলে ফিরে যান। আমরা এক রাতে শুধুমাত্র পরিবারের তিনজন মিলেই ট্যাক্সি ভাড়া করে সেখানে গিয়ে নফল সালাত পড়ে ফিরে এসেছিলাম। ব্যবস্থাপনা উত্তম মানের ছিল। সেবাদানকারী স্টাফের আচরণ সৌহার্দ্যমূলক ছিল।
২। ওহুদ পাহাড়। ওহুদ পাহাড় সংলগ্ন হামজা (রদ্বিয়াল্ল-হু আনহু) সহ ৭০ জন বীর সাহাবীর কবর যিয়ারত করার সময় ছোটবেলায় পড়া মুসলমানদের ঐতিহাসিক ভুলত্রুটিগুলোর কথা এবং হামজা (রাঃ) উপর করা ভয়াবহ নৃশংসতার কথা বারবার মনে পড়ছিল।
৩। মাসজিদে কিবলাতাইন। এই মাসজিদে রাসুল (সাঃ) সালাতরত অবস্থায় অহী মারফত নির্দেশ পান ক্বিবলা পরিবর্তনের; আল আকসা থেকে ক্বাবা শরীফের দিকে। কি অটল প্রশ্নহীন আনুগত্য, কি অপূর্ব শৃঙ্খ্লা! ইমামের সাথে সাথে পেছনে দাঁড়ানো মুসল্লীগণও বিনা সন্দেহে, বিনা বাক্যব্যয়ে ক্বিবলা বদলে নিলেন নীরবে, নিঃশব্দে! ‘মসজিদ আল কিবলাতাইন কথাটার মানে “দুই ক্বিবলার মাসজিদ”। আজও মাসজিদটি দুটি ক্বিবলাই ধারণ করে দন্ডায়মান।
৪। মাসজিদ আল ফাতাহ্ (মাসজিদ আল সাবাহ্)। খন্দকের যুদ্ধের স্থান।
৫। বদরের যুদ্ধক্ষেত্র
৬। ফেরেশতাগণের অবতরণস্থল।
৮.হজরত সালমান ফারসী (রাঃ) এর খেজুর বাগান।
৯.হজরত আবু বকর (রাঃ)বাড়ি।
১০.মসজিদে গামামা (যেখানে রাসূল (সাঃ) সাহাবাদের কে নিয়ে বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করেছিলেন।
অবশেষে ০১ জুন ২০২৫ তারিখ অপরাহ্নে আমরা প্রদত্ত সময়ানুযায়ী নির্ধারিত বাসে আসন গ্রহণ করলাম। অগত্যা বাসে বসেই আসরের সালাত পড়ে নিয়েছিলাম। বাস রওনা দিল, আমরা চললাম আজিজিয়ার উদ্দেশ্যে। আমাদের দলে নারী পুরুষ মিলিয়ে আমাকে সহ প্রায় দশজনের মত বয়স্ক (গালভরা নাম ‘সিনিয়র সিটিজেন’) ছিলাম। দু’চারজন প্রৌঢ় ব্যক্তিও ছিলেন। বাকিরা সবাই ছিলেন মধ্যবয়স্ক নারী পুরুষ। কিন্তু সব মিলিয়ে বিভিন্ন বয়সীদের এক অপূর্ব মেলবন্ধন ছিল আমাদের দলটি। কম বয়সীরা সবাই সদা তৎপর থাকতেন তাদের নিজেদের মুরুব্বীদের দেখভাল করা ছাড়াও অপরাপর বয়স্কদেরকে কিভাবে সাহায্য করা যায় তা নিশ্চিত করতে। অনেক সময়েই আমি মুখ ফুটে কিছু চাওয়ার আগেই আমার কাছে সাহায্যের অফার চলে এসেছে। অবশ্য এর পেছনে আমাদের এজেন্সী তথা দেশি দলনেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন শাহীন সাহেবের অমূল্য অবদান রয়েছে। যার ফলে, নানারকমের শারীরিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও আমরা সবাই, বিশেষ করে বয়স্করা নির্বিঘ্নে হজ্জ্বব্রত পালন করতে সক্ষম হয়েছিলাম। অচিরেই আমরা অলিখিত এক আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেলাম। এ বন্ধন এখনও অটুট রয়েছে; আরও বহুদিন থাকবে ইন শা আল্লাহ।
অন্যান্য সফরের তুলনায় হজ্জ্ব সফরের উদ্দেশ্য, প্রস্তুতি, প্রণালী এবং অভিজ্ঞতা অনেক ভিন্ন প্রকৃ্তির। অন্যান্য সফরের মত এ সফরে আমি কোন ট্যুর নোটস রাখিনি। তাই এখানে যা কিছু লিখলাম, তা স্মৃতি খুঁড়ে খুঁড়ে বের করে এনে প্রকাশ করলাম, যদিও মাস পাঁচেকের মত আগের কথা মাত্র। আর কে না জানে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের স্মৃতিসম্ভার সাম্প্রতিক কালেরটা দিয়েই দ্রুত ঝাপসা হওয়া শুরু করে, যদিও সুদূর অতীতেরটা প্রায় আমৃত্যু অক্ষত, অটুট থাকে। এটা যেন মানব মনের এক খেয়ালি আচরণ! উপরে উল্লেখিত দর্শনীয় স্থানগুলোর বিশদ বিবরণ জানতে কেউ যদি আগ্রহী হয়ে থাকেন, দয়া করে গুগল করে দেখে নেবেন বিস্তারিত তথ্যের জন্য।
ঢাকা
১০ অক্টোবর ২০২৫
শব্দ সংখ্যাঃ ৬৭৩
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৮:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
হবে হয়তো কোন একদিন।
২|
১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১২
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
আপনার লেখা দেখে মনে হয় যে, আপনিই ১ম বাংগালী, যিনি হজ্ব করেছেন। অভিনন্দন।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি লক্ষ্য করেছি যে, ইসলাম ধর্ম সংক্রান্ত কোন বিষয় বা মন্তব্য দেখলেই আপনার মস্তিষ্কের কোষগুলোতে এক অস্বাভাবিক চূর্ণন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। এটা আপনাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়। এর ফলে আপনি একটি অস্বাভাবিক প্রতিশোধস্পৃহায় উন্মত্ত হয়ে ওঠেন। সব উদ্ভট চিন্তার সন্নিবেশ ঘটে আপনার মাথায়, আপনাকে এসব চিন্তাধারা নিমেষেই একটি হিংস্র পশুতে পরিণত করে ফেলে। আপনি লেখককে গালাগালি এবং হেনস্থা করতে শুরু করেন।
আপনি এ ব্যাপারে নিজেকে সংশোধনে মনযোগী হোন। এসব আপনার মত একজন বৃদ্ধ মানুষের বয়সের সাথে যায় না। আপনি শান্ত হউন, মানুষকে লিখিতভাবে গালাগালি করা থেকে বিরত থাকুন। Behave yourself!
Humour, sarcasm এবং defamation/derogatory remarks এর মাঝে সূক্ষ্ম সীমাভেদ আছে। সেগুলো উপলব্ধিতে আনার চেষ্টা করুন।
৩|
১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯
কোমলমতিরপ্যাদানি বলেছেন: আর জেন-একা'কে দেখে মনে হয়, সে-ই হচ্ছে বাংলা ব্লগের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বেয়াদব ; যার পরে উহা হইতে অধিকতর কোনো বেয়াদব আসিবে না। অভিনন্দন!
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: The unrestrained ‘Bully Boy of the Blog”!
৪|
১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭
করুণাধারা বলেছেন: @ জেনারেশন ৭১,
না, লেখক হজ্ব করা প্রথম বাঙালি নন, এমনকি হজ্ব করা প্রথম ব্লগারও নন। এমনকি তিনি এই এই হজ্ব তার নিজের জীবনের প্রথম হজ্ব নয়। কিন্তু এই ব্লগে সম্ভবত তিনিই প্রথম ব্লগার যিনি চমৎকারভাবে হজ্বের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করছেন, যা পড়ে যারা ভবিষ্যতে যে যাবার আকাঙ্ক্ষা রাখেন তারা অনেক কিছু জানতে পারছেন।
তবে নিঃসন্দেহে, অমার্জিত বাক্য ব্যবহারকারী হিসেবে এবং ব্যান খাবার দিক থেকে আপনি ব্লগে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, পোস্টের letter and spirit এর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করার জন্য এবং একটি উদ্ভট অভিযোগের সদুত্তর দেয়ার জন্য।
৫|
১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৬
গন্ধহীন বেলী ফুল বলেছেন:
আপনার স্মৃতি পড়ে মনে পড়ে গেলো আমরা এই জানুয়ারিতে ওমরাতে গিয়েছিলাম। এখনো মন সেখানে পড়ে রয়েছে। সব কিছু সেখানে খুব সাজানো -গুছানো।
তবে, টয়লেটগুলোর অবস্থা বাজে। টয়লেট পেপার নেই। দরকারি জিনিসগুলোর মাঝে এটা রাখা জরুরী।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ২০২৫ সালের মে/জুন মাসে হজ্জ্বের সময় আমি দুই হারাম শরীফের প্রতিটি টয়লেট শতভাগ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পেয়েছি। প্রতিটি দিন, দিনে রাতে ঘণ্টায় ঘণ্টায় কিংবা তার চেয়েও কম সময়ের ব্যবধানে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা এসে খুব ভালো করে পরিষ্কার করে যেত।
পোস্ট পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৬|
১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬
নতুন নকিব বলেছেন:
জেনারেশন একাত্তর -এর এই মন্তব্যটি শুধু অশোভনই নয়, ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত করে। একজন মুসলমানের পবিত্র হজের স্মৃতিচারণ নিয়ে এমন ব্যঙ্গ করা চরম বেআদবি এবং নৈতিকভাবে ঘৃণ্য কাজ।
বাকস্বাধীনতার নামে কাউকে উপহাস করা বা ধর্মীয় অনুভূতিকে বিদ্রূপ করার অধিকার কারও নেই।
তাই জেনারেশন একাত্তরকে প্ল্যাটফর্মের নীতিমালার আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে মনে করছি। সম্মানজনক আলোচনার পরিবেশ বজায় রাখতে এ ধরনের আচরণ কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে শতভাগ একমত। অনেক ধন্যবাদ।
৭|
১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:২৯
নীল-দর্পণ বলেছেন: সব টপিক সবার পছন্দ হবে এমন কথা নেই। কিন্তু নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তির আক্রমনাত্বন, অস্মানজনক মন্তব্যবানণ এত বেশি সচল যে উনাকে থামানোই স্বস্তিদায়ক মনে হয় । কিছুদিন পর পর উনাকে মন্তব্যে ব্যান, আইপিসহ ব্যান এসব হাস্যকর নাটক ব্লগ কর্তৃপক্ষ না করলেও পারে!
এত সুন্দর একটা পোস্টে এসে মন্তব্য দেখে মনটাই খারাপ হয়ে গেল।
মদিনায় আমরা খুবই অল্প সময় ছিলাম তার মাঝে জিন পাহাড়, মসজিদে কুবা, মসজিদে কিবলাতাইন, উহুদ পাহাড় এসব দেখা হয়েছে। এই মুহুর্তে আমি ভুলে গেছি মসজিদে কুবা অথবা মসজিদে কিবলাতাইন এর বাইরে আসপাশে খুবই সুন্দর পরিবেশ। রাস্তার মাঝে সারিসারি খেজুর গাছ, গাছ তলায় একটু পর পর সুন্দর বেঞ্চ দেওয়া বসার জন্যে।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: "কিছুদিন পর পর উনাকে মন্তব্যে ব্যান, আইপিসহ ব্যান এসব হাস্যকর নাটক ব্লগ কর্তৃপক্ষ না করলেও পারে!" - একমত।
"এত সুন্দর একটা পোস্টে এসে মন্তব্য দেখে মনটাই খারাপ হয়ে গেল" - একজন সচেতন, সভ্য, সংবেদনশীল পাঠক হিসেবে এসব উদ্ভট মন্তব্য দেখে আপনার মন খারাপ হয়েছে/হবে, এটাই প্রত্যাশিত। স্বয়ং লেখক হিসেবে আমার অনুভূতিটার কথা এখানে আর নাই বা বললাম।
৮|
১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৪৬
করুণাধারা বলেছেন: যেভাবে অনেক খুঁটিনাটি বর্ণনা করেছেন, আমি ভেবেছিলাম আপনি কিছু নোটস লিখে রেখেছেন। পোস্টের শেষে এসে জানলাম পুরোটাই স্মৃতি নির্ভর করে লিখেছেন। বলতেই হয়, ভালোই বর্ণনা করেছেন। স্মৃতি হাতড়ালে নাকি স্মৃতি শক্তি বাড়ে।
আপনি এই চারটি পর্বের কোনটিতে কোনো ছবি দেননি। কোনো কারণে কি ছবি দেয়া এড়িয়ে যাচ্ছেন নাকি ছবি তোলেন নি?
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: "স্মৃতি হাতড়ালে নাকি স্মৃতি শক্তি বাড়ে" - জ্বী, এ রকম কথা আমিও শুনেছি।
"যেভাবে অনেক খুঁটিনাটি বর্ণনা করেছেন, আমি ভেবেছিলাম আপনি কিছু নোটস লিখে রেখেছেন। পোস্টের শেষে এসে জানলাম পুরোটাই স্মৃতি নির্ভর করে লিখেছেন" - না, কোন নোটস রাখিনি। নিজের আধ্যাত্মিক বিশ্বাস ও উপলব্ধির প্রতি পুরোপুরি ফোকাসড থাকতে চেষ্টা করেছি, তবে সেসব আমার এ সিরিজ লেখার বিষয়বস্তু নয়। এ সিরিজটা লিখছি শুধু একটা স্মৃতিকথা হিসেবে, চারিদিকে যা কিছু দেখেছি, বুঝেছি, এবং মনে রাখার মত বলে মনে করেছি, সেগুলোই আপাততঃ সংক্ষেপে লিখে চলেছি। এর থেকে ভবিষ্যতের তীর্থযাত্রীগণ যদি কিছুটা তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য বা ধারণা খুঁজে পান, তবে সেটা হবে আমার জন্য একটু বাড়তি পাওনা। সিরিজের প্রথম পর্বটির শেষেও কিছু কথা বলেছি, এটা কেন লেখা শুরু করলাম সে বিষয়ে।
একই কারণে ছবি তেমন তুলিনি, যেগুলো তুলেছি সেগুলো তেমন মানসম্মত হয়নি, তাই দেইওনি।
পোস্টে এটি আপনার দ্বিতীয় মন্তব্য। আপনার আগ্রহ আমাকে উৎসাহিত করেছে। অনেক ধন্যবাদ।
৯|
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভালো।
১০|
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৫
মায়াস্পর্শ বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ,
এতসুন্দর করে বর্ণনা করেছেন। মাশআল্লাহ।
এপর্যন্ত তিনবার ওমরা পালন করেছি। আপনার লেখা পড়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথাগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠছিলো।
ধন্যবাদ।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনার লেখা পড়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথাগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠছিলো" - এটাই একজন লেখকের জন্য সন্তুষ্টির বিষয়। ধন্যবাদ, পোস্ট পাঠ এবং ইতিবাচক মন্তব্যের জন্য।
১১|
১৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৫
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: হজ্বের স্মৃতিগুলো যেভাবে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পর্ব আকারে বিশ্লেষণ করে যাচ্ছেন, মহান আল্লাহর প্রতি আপনার আনুগত্য, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাথে আদব, হজ্বের ভক্তি আর মক্কা-মদিনার শহর নিজ চোঁখে দেখার পর উত্তেজনা আর প্রেম আপনার লিখার ধারাবাহিকতায় দৃশ্যমান।
এই লেখাটির সাথে গান যায় কিনা জানিনা; তবু ও এই গানটি আপনার জন্যে ছেড়ে দে নৌকা মাঝি
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে শুধু অনুপ্রাণিতই হ'লাম না, অভিভূতও! অনেক ধন্যবাদ, এতটা মনযোগ এবং সংবেদনশীল দৃষ্টি নিয়ে পোস্টটি পাঠ ও মূল্যায়নের জন্য।
১২|
১৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
দূরের কথা মনে থাকে, কাছের কথা ভুলে যাই - আপনি বলেছেন খেয়ালি আচরণ।
সাথে নোটবই আর কলম থাকলে জরুরি তথ্য মনে থাকার কথা, যা আপনি তুলে ধরেছেন।
পাঠকের উপকারে আসবে। স্মৃুতি তো থেকেই গেলো।
ব্লগে আসলে মন ভালো হয়ে যায় যখন পরিচিতদের দেখি।
নতুনেরা তাতে মনক্ষুণ্ন হবেন, কিন্তু সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে ক্ষমার যোগ্য! ![]()
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি একজন মহাব্যস্ত মানুষ; কতটা ব্যস্ত, তা আমি উপলব্ধি করতে পারি। তা সত্ত্বেও আপনি সময় সুযোগ পেলেই, এই মহাখরার দিনেও এই ব্লগটিতে ঢুঁ মেরে যান, আমাদের লেখা পড়েন, মন্তব্যও করেন আবার নিজেও মাঝে মাঝে দুই একটা পোস্ট লিখে যান। ব্লগের প্রতি আপনার এই ডেডিকেশন প্রশংসার্হ।
"ব্লগে আসলে মন ভালো হয়ে যায় যখন পরিচিতদের দেখি" - সত্যি, খুবই সত্য কথা! এ জন্যেই তো এখনও যথাসাধ্য চেষ্টা করি এখানে আসতে, কিছুটা সময় নিয়ে নতুন পুরাতন, জীবিত প্রয়াত সকল লেখকদের কিছু লেখা পড়তে, এবং সম্ভব হলে নিজেও কিছুটা অবদান রেখে যেতে।
১৩|
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:০১
মেহবুবা বলেছেন: ২০২৪ সনের হজ্জব্রত পালন করবার তৌফিক আল্লাহ দিয়েছিল, আলহামদুলিল্লাহ। মনে হয় যে এই তো সেদিন এসব দেখেছি। যতদিন বেঁচে থাকবো এমনটি মনে হবে। বেশ গুছিয়ে লিখেছেন।
অ:ট: জেনারেশন একাত্তর বা যে যেমন কথা লিখুক, সেটা তার অভিরুচি ; এমন মানুষদের জন্য কষ্ট করে সময় নষ্ট করে দুই / চার শব্দ লেখবার শ্রম নাই বা দিলেন।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: "বেশ গুছিয়ে লিখেছেন" অনেক ধন্যবাদ জানবেন।
অঃটঃ পরামর্শের জন্যেও ধন্যবাদ। ঠিকই বলেছেন।
১৪|
২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:২৯
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: এ্ই পর্বও খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা দিয়েছেন। কোথায় কোথায় যাওয়া যায় তা সুন্দর করে বলেছেন। অনেক ধণ্যবাদ। আমি এর সবগুলো দেখার সুযোগ পাইনি।
জ্বিনের পাহাড় দেখতে গেছেন কি ?
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার অনুরোধে দুটো মন্তব্যই মুছে দিয়েছি।
জ্বী, আমাদের দলের সাথে জ্বিনের পাহাড়ও দেখতে গিয়েছিলাম বটে, কিন্তু সেটা দেখে অভিভূত হবার মত কিছু পাইনি।
প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর ঝরঝরে লেখা।
আমি সৌদিতে গিয়েছি। কিন্তু আমার হজ্ব করা হয়নি।