নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মিশুক মুনির, তারেক মাসুদদের মাইক্রোবাসকে ধাক্কামারা বাস চালকের আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেবার পরে বাসট্রাক চালক শ্রমিকরা খুলনা বিভাগের দশ জেলায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘট ডাকে। ভয়াবহ ধর্মঘট। কোন যানবাহনই চলতে দেয়নি তারা। ভয়ানক কথা হলো ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ খুলনা বিভাগের জেলা না হওয়া সত্বেও ধর্মঘটীদের তাণ্ডব সেখানেও চলেছে। সে এলাকার মানুষের জন্য যেটা মহাবিপদ সেটা হলো বিনা ঘোষণায় ধর্মঘটের আক্রমণ। এরপর এক নারীকে একযুগ আগে চাকায় পিষে মারা চালকের মৃত্যুদণ্ডের পর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে ধর্মঘট। ঢাকার মতো শহরে ধর্মঘটীরা যে তাণ্ডব চালালো সেটা তো মহাভয়ঙ্কর। লোকজন অফিসে পর্যন্ত যেতে পারেনি।
এ ধর্মঘটের চেয়েও যেটা ভয়াবহ সেটা হলো আমাদের আত্মঘাতি নীরবতা। সব সংবাদপত্র আর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ধর্মঘটে মানুষের ভোগান্তি আর ধর্মঘটীদের তাণ্ডবের সংবাদ ছাপা হয়েছে। কিন্তৃু কোন তরফে এ ধর্মঘটের প্রতিবাদ করা হয়নি। এটা তো কোন যুক্তিসঙ্গত দাবী সংবলিত ধর্মঘট ছিল না। পরিপূর্ণ আইনি প্রক্রিয়ায় মাননীয় আদালত দণ্ড ঘোষণা করেছেন। আদালতে প্রদত্ত দণ্ড সম্পর্কে কোন পক্ষের আপত্তি বা বক্তব্য থাকলে সেটার আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। আপীলের দরজা সবসময় খোলা আছে। এর জন্য ধর্মঘট ডাকার কোন সুযোগ নেই। কিন্তু ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। ধর্মঘটের দুই দিনই এই অভাজনকে রাস্তায় চলতে হয়েছে। প্রতি মুহূর্তে আক্রান্ত হবার আতঙ্ক নিয়ে পথ চলার এমন ভয়াবহ অভিজ্ঞতা যেন আমার শত্রুরও না হয় সে প্রার্থনা করি।
তবে তার চেয়ে বেশি আতঙ্কে ডুবে আছি এটা দেখে যে চালকরা মানুষকে মেরে ফেলার অধিকারের দাবীতে তাণ্ডবকবলিত ধর্মঘট করছে, আমরা কেউ তার প্রতিবাদ করলাম না ! এমন কি নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলনকারীরাও প্রতিবাদ করলেন না ! প্রতিদিন রাস্তায় মানুষ মারা যাচ্ছে। সে মৃত্যুর মিছিল জারি রাখার দাবীতে এ ধর্মঘট !
তবে কি আমরা সবাই মরে গেছি ?
আমি সেই মৃত মানুষদের একজন হিসাবে আমি প্রতিবাদ করলাম।
০৫ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: প্রতিবাদ করে বাস নামানোর বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এটা সম্ভব কিনা সেটাও লাখ টাকার প্রশ্ন। কিন্তু প্রতিবাদই তো করলাম না।
২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯
শহিদুল ইসলাম মৃধা বলেছেন: মনে হয় আমাদের বোধশক্তি লোপ পেয়েছে!
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০০
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আমারো তাই মনে হয়।
৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯
আনিসা নাসরীন বলেছেন: এ এক আজব খেলা হয়ে গেলো....
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০০
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: সহমত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১
সুমন কর বলেছেন: আদালতে প্রদত্ত দণ্ড সম্পর্কে কোন পক্ষের আপত্তি বা বক্তব্য থাকলে সেটার আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। আপীলের দরজা সবসময় খোলা আছে। -- সেটাই করতে পারত। শুধুশুধু সাধারণ মানুষদের কষ্ট দেবার কোন মানে নেই।
আর প্রতিবাদ করে কি রাস্তায় বাস নামাতে পারত? -- এটা কিন্তু বিরাট এক প্রশ্ন !!