নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুই শতাব্দী, এক সহস্রাব্দ

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

এখন যাদের বয়স ৫০ বছরের কাছাকাছি বা তার চেয়ে বেশি তারা দুইটি শতাব্দী আর একটি সহস্রাব্দের সূচনাকাল দেখার সৌভাগ্য লাভ করেছেন। এগুলো হচ্ছে ১৪০০ হিজরী, ১৪০০ বাংলা সাল আর ২০০০ খ্রিস্টাব্দ।

এই মহাসুযোগ শুরু হয় ১৪০০ হিজরী সাল দিয়ে। ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দের ২১ নভেম্বর বুধবার ছিল ১৪০০ হিজরীর ১ মুহররম। তখন মানুষের মধ্যে, বিশেষ করে হুজুরসমাজে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল। হুজুররা তখন দুটি বিষয় নিয়ে শোরগোল ফেলেছিলেন। একটি হচ্ছে আখেরী জামানার সূচনা আরেকটি ইমাম মেহেদী (আঃ) এর আগমন। তাঁরা আখেরী জামানার নানা লক্ষণ তুলে ধরে কিয়ামাত খুব দূরে নেই বলে ওয়াজ শুরু করলেন। আর ইমাম মেহেদী (আঃ) এর আগমনের নানা লক্ষণ বর্ণনা করলেন। এসব হয়েছে প্রায় ৪০ বছর আগে।

এরপর এলো ১৪০০ বাংলা সন। ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দের ১৪ এপ্রিল বুধবার ছিল ১৪০০ বাংলা সনের ১ বৈশাখ। তখন বেশি শোরগোল পড়েছিল সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৪০০ সাল কবিতাটি। তখন সেটা আবার স্কুলপাঠ্য ছিল। কেউকেউ নজরুলকেও স্মরণ করলেন। কারণ রবীন্দ্রনাথের ১৪০০ সাল কবিতা পড়ে এর জবাবে নজরুল ১৪০০ সাল নামে আরেকটি কবিতা লিখেছিলেন। এ উপলক্ষে কবিতা দুটির স্মরণ নিলাম-

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা '১৪০০ সাল'

আজি হতে শতবর্ষ পরে
কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি
কৌতূহলভরে--
আজি হতে শতবর্ষ পরে।
আজি নববসন্তের প্রভাতের আনন্দের
লেশমাত্র ভাগ--
আজিকার কোনো ফুল, বিহঙ্গের কোনো গান,
আজিকার কোনো রক্তরাগ
অনুরাগে সিক্ত করি পারিব না পাঠাইতে
তোমাদের করে
আজি হতে শতবর্ষ পরে।
তবু তুমি একবার খুলিয়া দক্ষিণদ্বার
বসি বাতায়নে
সুদূর দিগন্তে চাহি কল্পনায় অবগাহি
ভেবে দেখো মনে--
একদিন শতবর্ষ আগে
চঞ্চল পুলকরাশি কোন্‌ স্বর্গ হতে ভাসি
নিখিলের মর্মে আসি লাগে--
নবীন ফাল্গুনদিন সকল বন্ধনহীন
উন্মত্ত অধীর--
উড়ায়ে চঞ্চল পাখা পুষ্পরেণুগন্ধমাখা
দক্ষিণসমীর--
সহসা আসিয়া ত্বরা রাঙায়ে দিয়েছে ধরা
যৌবনের রাগে
তোমাদের শতবর্ষ আগে।
সেদিন উতলা প্রাণে, হৃদয় মগন গানে,
কবি এক জাগে--
কত কথা পুষ্পপ্রায় বিকশি তুলিতে চায়
কত অনুরাগে
একদিন শতবর্ষ আগে।
আজি হতে শতবর্ষ পরে
এখন করিছে গান সে কোন্‌ নূতন কবি
তোমাদের ঘরে?
আজিকার বসন্তের আনন্দ-অভিবাদন
পাঠায়ে দিলাম তাঁর করে।
আমার বসন্তগান তোমার বসন্তদিনে
ধ্বনিত হউক ক্ষণতরে
হৃদয়স্পন্দনে তব ভ্রমরগুঞ্জনে নব
পল্লবমর্মরে
আজি হতে শতবর্ষ পরে।

উত্তরে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখলেন '১৪০০ সাল'
(কবি-সম্রাট রবীন্দ্রনাথের 'আজি হতে শতবর্ষ পরে' পড়িয়া)

আজি হতে শত বর্ষ আগে
কে কবি, স্মরণ তুমি করেছিলে আমাদেরে
শত অনুরাগে,
আজি হতে শত বর্ষ আগে!
ধেয়ানি গো, রহস্য-দুলাল!
উতারি ঘোমটাখানি তোমার আঁখির আগে
কবে এল সুদূর আড়াল?
অনাগত আমাদের দখিন-দুয়ারি
বাতায়ন খুলি তুমি, হে গোপন হে স্বপনচারী,
এসেছিলে বসন্তের গন্ধবহ-সাথে,
শত বর্ষ পরে যথা তোমার কবিতাখানি
নেহারিলে বেদনা-উজ্জ্বল আঁখি নীরে,
আনমনা প্রজাপতি নীরব পাখায়
উদাসীন, গেলে ধীরে ফিরে!
আজি মোরা শত বর্ষ পরে
যৌবন-বেদনা-রাঙা তোমার কবিতাখানি
পড়িতেছি অনুরাগ-ভরে।
জড়িত জাগর ঘুমে শিথিল শয়নে
শুনিতেছে প্রিয়া মোর তোমার ইঙ্গিতে-গান
সজল নয়নে!
আজও হায়
বারে বারে খুলে যায়
দক্ষিণের রুদ্ধ বাতায়ন,
গুমরি গুমরি কাঁদে উচাটন বসন্ত-পবন
মনে মনে বনে বনে পল্লব-মর্মরে,
কবরীর অশ্রুজল বেণী-খসা ফুল-দল
পড়ে ঝরে ঝরে!
ঝিরিঝিরি কাঁপে কালো নয়ন-পল্লব,
মধুপের মুখ হতে কাড়িয়া মধুপী পিয়ে পরাগ-আসব!
কপোতের চঞ্চুপুটে কপোতীর হারায় কূজন,
পরিয়াছে বনবধূ যৌবন-আরক্তিম কিংশুক-বসন!
রহিয়া রহিয়া আজও ধরণির হিয়া
সমীর-উচ্ছ্বাসে যেন ওঠে নিশ্বসিয়া!
তোমা হতে শত বর্ষ পরে –
তোমার কবিতাখানি পড়িতেছি, হে কবীন্দ্র,
অনুরাগ-ভরে!
আজি এই মদালসা ফাগুন-নিশীথে
তোমার ইঙ্গিতে জাগে তোমার সংগীতে!
চতুরালি, ধরিয়াছি তোমার চাতুরি!
করি চুরি
আসিয়াছ আমাদের দুরন্ত যৌবনে,
কাব্য হয়ে, গান হয়ে, সিক্তকণ্ঠে রঙিলা স্বপনে।
আজিকার যত ফুল – বিহঙ্গের যত গান
যত রক্ত-রাগ
তব অনুরাগ হতে, হে চির-কিশোর কবি,
আনিয়াছে ভাগ!
আজি নব-বসন্তের প্রভাত বেলায়
গান হয়ে মাতিয়াছ আমাদের যৌবন-মেলায়!
আনন্দ-দুলাল ওগো হে চির অমর!
তরুণ তরুণী মোরা জাগিতেছি আজি তব
মাধবী বাসর!
যত গান গাহিয়াছ ফুল-ফোটা রাতে –
সব গুলি তার
একবার – তা-পর আবার
প্রিয়া গাহে, আমি গাহি, আমি গাহি প্রিয়া গাহে সাথে!
গান-শেষে অর্ধরাতে স্বপনেতে শুনি
কাঁদে প্রিয়া, “ওগো কবি ওগো বন্ধু ওগো মোর গুণী –”
স্বপ্ন যায় থামি,
দেখি, বন্ধু আসিয়াছ প্রিয়ার নয়ন-পাতে
অশ্রু হয়ে নামি!
মনে লাগে, শত বর্ষ আগে
তুমি জাগো – তব সাথে আরো কেহ জাগে
দূরে কোন ঝিলিমিলি-তলে
লুলিত অঞ্চলে।
তোমার ইঙ্গিতখানি সংগীতের করুণ পাখায়
উড়ে যেতে যেতে সেই বাতায়নে ক্ষণিক তাকায়,
ছুঁয়ে যায় আঁখি-জল-রেখা,
নুয়ে যায় অলক-কুসুম,
তারপর যায় হারাইয়া, –তুমি একা বসিয়া নিঝ‍্‍ঝুম!
সে কাহার আঁখি-নীর-শিশির লাগিয়া
মুকুলিকা বাণী তব কোনোটি বা ওঠে মুঞ্জরিয়া,
কোনোটি বা তখনও গুঞ্জরি ফেরে মনে
গোপনে স্বপনে!
সহসা খুলিয়া গেল দ্বার,
আজিকার বসন্ত-প্রভাতখানি দাঁড়াল করিয়া নমস্কার!
শতবর্ষ আগেকার তোমারই সে বাসন্তিকা দূতি
আজি নব নবীনেরে জানায় আকুতি!...
হে কবি-শাহান-শাহ্ ! তোমারে দেখিনি মোরা,
সৃজিয়াছ যে তাজমহল –
শ্বেতচন্দনের ফোঁটা কালের কপালে ঝলমল –
বিস্ময়ে-বিমুগ্ধ মোরা তাই শুধু হেরি,
যৌবনেরে অভিশাপি –“কেন তুই শতবর্ষ করিলি রে দেরি?
হায়, মোরা আজ
মোমতাজে দেখিনি, শুধু দেখিতেছি তাজ!”
শত বর্ষ পরে আজি, হে-কবি-সম্রাট!
এসেছে নূতন কবি – করিতেছে তব নান্দীপাঠ!
উদয়াস্ত জুড়ি আজও তব
কত না বন্দনা-ঋক ধ্বনিয়া উঠিছে নব নব।
তোমারই সে হারা-সুরখানি
নববেণু-কুঞ্জ-ছায়ে বিকশিয়া তোলে নব বাণী।
আজি তব বরে
শত বেণু-বীনা বাজে আমাদের ঘরে।
তবুও পুরে না হিয়া ভরে নাকো প্রাণ,
শতবর্ষ সাঁতরিয়া ভেসে আসে স্বপ্নে তব গান।
মনে হয়, কবি,
আজও আছ অস্তপাট আলো করি
আমাদেরই রবি!
আজি হতে শত বর্ষ আগে
যে-অভিবাদন তুমি করেছিলে নবীনেরে
রাঙা অনুরাগে,
সে-অভিবাদনখানি আজি ফিরে চলে
প্রণামি-কমল হয়ে তব পদতলে!
মনে হয়, আসিয়াছ অপূর্বের রূপে
ওগো পূর্ণ, আমাদেরই মাঝে চুপে চুপে!
আজি এই অপূর্ণের কম্প্র কণ্ঠস্বরে
তোমারই বসন্তগান গাহি তব বসন্ত-বাসরে –
তোমা হতে শত বর্ষ পরে!

এরপর আসে বহুল আলোচিত সহস্রাব্দ ২০০০ খ্রিস্টাব্দ। তখন শোরগোল পড়েছিল তরুণসমাজ আজ আইটি জগতে। কারণ Y2K বা ইয়ার২০০০ ছিল কম্পিউটার জগতের ত্রাস। কারণ কম্পিউটারে যেভাবে তারিখ সংক্রান্ত প্রোগ্রাম করা ছিল সেটা ২০০০ সালের ধাক্কা সামলাতে পারবে কিনা সেটা নিয়ে সবাই শঙ্কিত ছিলেন। কারো কারো আশঙ্কা ছিল কম্পিউটার ২০০০ খ্রিস্টাব্দরে বদলে ০০০ দেখায় কিনা। তখন কম্পিউটার জগতে রাজত্ব করতো পেন্টিয়াম ২। আমার পিসিতে ছিল এএমডি কে৬-২ প্রসেসর। আসুসের তৈরি। সেটা পেন্টিয়াম ২ মানের সমতূল্য ছিল। প্রসেসর স্পীড ছিল ২৫০ মেগাহার্জ। RAM ৫৬ মেগাবাইট। আর হার্ড ড্রাইভ ছিল ৮.৪ জিবি। আমিও আমার শখের কম্পিউটার নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লাম। দেখতে দেখতে 'সে দিন ভয়ঙ্কর' এসে হাজির হলেন। কম্পিউটার বুদ্ধিজীবীদের পরামর্শ মতে কম্পিউটার বন্ধ রাখলাম। রাত ১২টা পার হবার পর ভয়ে ভয়ে কম্পিউটার চালু করে দেখলাম সহি সালামতে Y2K নামক মসিবত পাড়ি দিয়ে ফেলেছি।

আমি তখন থাকতাম উত্তর বাংলার একটি ছোট উপজেলা সদরে। সারা দুনিয়ায় নানা উৎসব হয়েছে। দেখেছিলাম টিটিভর বদৌলতে। আমরা কম্পিউটার নষ্ট হবার ভীতি আর টিভির অনুষ্ঠান দেখে সময় কাটালাম।

২১০০ খ্রিস্টাব্দ আসতে বাকি আছে ৮২ বছর। ১৫০০ হিজরী শুরু হবে ২০৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৮ নভেম্বর আর ১৫০০ বাংলা সাল শুরু হবে ২০৯৩ খ্রিস্টাব্দের ১৪ এপ্রিল। যারা ১৪০০ হিজরী, ১৪০০ সাল আর ২০০০ খ্রিস্টাব্দ দেখেছেন তাঁদের নাতিপুতিরা হয়তো সেগুলো দেখার সুযোগ পাবেন। সে ৩টাই কিন্তু শতাব্দী। সহস্রাব্দ আসতে লাগবে কমসে কম ৬০০ বছর। পরমানু অস্ত্রের ঝনঝনানি সামলে দুনিয়ায় তখন মানুষ থাকবে কিনা ওপরওয়ালাই জানেন।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৩

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ২০০০ সালে ক্লাস সিক্সে উঠছিলাম । তখন সবার মাঝে কি উত্তেজনা । বছরের প্রথম দিনকে স্মরনীয় রাখতে অনেকে নানান কাজে ব্যস্থ ছিল ।
মনে হয় না পৃথিবী আর ১০০ বছর আয়ু পাবে

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আমারো তাই মনে হয়। ট্রাম্প বাহাদুর, পুতিন বাহাদুর আর কিম বাহাদুর যে গ্রহের ভাগ্যবিধাতা সেখানে গজব ছাড়া আর কি নাজিল হতে পারে?

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩

সাাজ্জাাদ বলেছেন: চমৎকার বিষয়ের অবতারনা করেছেন।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: পাঠের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ব্যতিক্রমী একটা বিষয় নিয়ে অত্যন্ত চমৎকারভাবে লিখেছেন। ২০০০ সালে কম্পিউটার নিয়ে আমিও খুব টেনশানে ছিলাম; এখন মনে পড়লো। যেভাবে সেই কম্পিউটারের কনফিগারেশান বললেন, তাতে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছা করছে, আপনার ব্রেইনের RAM কতো? ;)
আমার সেই কম্পিউটারের কিছুই তো আর মনে নাই! :(

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ব্রেইনের RAM ! হা হা হা ।
ভালো থাকবেন।

৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর চিন্তা থেকে সুন্দর পোষ্ট।
আলাদা স্বাদের পোষ্ট।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

সুখী মানুষ বলেছেন: ১৪০০ হিজরী দেখি নাই। ১৪০০ বঙ্গাব্দর কথা মনে আছে, তখন কুমিল্লায় থাকতাম। রেডিওতে একটু পরপর আজি হতে শতবর্ষ পরে কবিতাটি হচ্ছিলো। নজরুলের কবিতাটা সম্পর্কে জানতাম না, আজ পড়লাম। আপনার কাছে আসা মানেই নতুন কিছু না কিছু শেখা। Y2K সমস্যা মনে হচ্ছে সেদিনের! অথচ ১৮ বছর পার হয়ে গেছে! দিনে দিনে বয়সতো কম হলো না, কিছুইতো জানা হলো না!

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: সত্যি, সময় খুব দ্রুত পার হয়ে যায়।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.