নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন উন্নয়ন কর্মী। জীবনের খসড়া পৃষ্ঠাগুলি থেকে মূল্যবান বিষয়গুলি আলাদা করে পাকা একটি খাতা তৈরী করার আপ্রাণ চেষ্ঠা থাকবে।

জীবনের খাতা

আমি একজন উন্নয়ন কর্মী। জীবনের খসড়া পৃষ্ঠাগুলি থেকে মূল্যবান বিষয়গুলি আলাদা করে পাকা একটি খাতা তৈরী করার আপ্রাণ চেষ্ঠা থাকবে।

জীবনের খাতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা নববর্ষঃ (ভাগ-১)

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫১

পহেলা বৈশাখের তাৎপয জানার জন্য চেষ্টা করে যতটুকু জেনেছি তা হলো, মুঘল সম্রাটগণ হিজরী পঞ্জিকা অনুসারেই সকল কাজকর্ম পরিচালনা করতেন। মূল হিজরী পুঞ্জিকা চন্দ্র মাসের উপর নির্ভরশীল। চন্দ্র বৎসর সৌর বৎসরের চেয়ে ১১/১২ দিন কম হয়। একারণে চন্দ্র বৎসরে ঋতুগুলি ঠিক থাকে না। আর চাষাবাদ ও এজাতীয় অনেক কাজ ঋতুনিভর। এজন্য মোগল সম্রাট আকবর প্রচলিত হিজরী চন্দ্র পঞ্জিকাকে সৌর পঞ্জিকায় রুপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন।

সম্রাট আকবর তার দরবারের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও জ্যোর্তিবিদ আমির ফতুল্লাহ শিরাজীকে হিজরী চন্দ্র বর্ষপঞ্জীকে সৌর বর্ষপঞ্জীতে রূপান্তরিত করার দায়িত্ব প্রদান করেন। ৯৯২ হিজরী মোতাবেক ১৫৮৪ খৃস্টাব্দে সম্রাট আকবর এ হিজরী সৌর বর্ষপঞ্জীর প্রচলন করেন। তবে তিনি উনত্রিশ বছর পূর্বে তার সিংহাসন আরোহনের বছর থেকে এ পঞ্জিকা প্রচলেনের নির্দেশ দেন। এভাবে ৯৬৩ হিজরী সাল থেকে বঙ্গাব্দ গণনা শুরু হয়। উল্লেখ্য, ৯৬৩ হিজরী সালের মহররম মাস মোতাবেক বাংলা সালের মাস ছিল বৈশাখ, বিধায় বৈশাখ মাসকে বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস হিসাবে গণনা শুরু হয়।

প্রজারা চৈত্রমাসের শেষ পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করতেন এবং পহেলা বৈশাখে জমিদারগণ প্রজাদের শিষ্টিমুখ করাতেন। এতে একটি আনন্দঘন পরিবেশ তৈরী হতো। পহেলা বৈশাখ মুলতঃ রাষ্ট্রিয়, সামাজিক, অথনৈতিক বিভিন্ন নিয়ম-কানুনকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে কাজ-কর্ম পরিচালনার জন্য নির্ধারিত ছিল। এ বিষয়গুলি ইসলামে নিষিদ্ধ বলার কোন যৌক্তিক কারণ নেই।

কিন্তু বর্তমানে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে যে কর্মকান্ড করা হচ্ছে তা কখনই পূর্ববর্তী সময়ে বাঙ্গলীরা করেনি। বর্তমানে যুবক-যুবতী, কিশোর-কিশোরীরা অশ্লীলতা ও বেহায়পনার মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ উৎযাপন করছে। কোথাও কোথাও বৈশাখী মেলা উপলক্ষ্যে সারা রাত ধরে অশ্রীল নিত্য হচ্ছে। অশ্রীলতারও একটা সীমা থাকে। যারা এই অশ্রীলতা দেখেছে তাদের ভাষ্য যে, ঐ এলাকার ২/৪ কিলোমিটারের মধ্যে কোন শয়তানও থাকেনা।

মহাগ্রস্থ আল কোরআন এর ২ নম্বর সূরা আল বাকারাহ এর ১৬৭ ও ১৬৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়া’লা এভাবে বলছেন, হে মানবমন্ডলী, পৃথিবীর হালাল বস্তুসমগ্রী ভক্ষণ কর, আর শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না, সে নিঃসন্দেহে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। সে তো এ নির্দেশই তোমাদের দিবে, তোমরা অন্যায় ও অশ্রীল কাজ করতে থাক এবং আল্লাহর প্রতি এমন সব বিষয়ে বলতে থাক যা তোমরা জান না। এভাবে আমরা আজ শয়তানের নির্দেশিত পন্থায় পহেলা বৈশাখ উৎযাপন করছি।

পহেলা বৈশাকের প্রকৃত উৎস হলো, প্রজাগণ চৈত্র মাসের শেষ তারিখ পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করবে জমিদারা পহেলা বৈশাখ প্রজাদের মিষ্টি খাওয়াবে বা আহার করাবে। আজকে যদি সমাজের ধনীগণ দরিদ্রদের আহার করানো, বস্ত্র প্রদান, অর্থ প্রদানের মাধ্যমে আমাদের এই মহৎ সংস্কৃতিকে ধারণ করে পহেলা বৈশাখ উৎযান করতেন তাহলে সমাজে অনেকাংশে অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর হতো এবং পহেলা বৈশাখ উৎযাপন আক্ষরিক অর্থে স্বার্থক হতো। চলবে---





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.