নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন উন্নয়ন কর্মী। জীবনের খসড়া পৃষ্ঠাগুলি থেকে মূল্যবান বিষয়গুলি আলাদা করে পাকা একটি খাতা তৈরী করার আপ্রাণ চেষ্ঠা থাকবে।

জীবনের খাতা

আমি একজন উন্নয়ন কর্মী। জীবনের খসড়া পৃষ্ঠাগুলি থেকে মূল্যবান বিষয়গুলি আলাদা করে পাকা একটি খাতা তৈরী করার আপ্রাণ চেষ্ঠা থাকবে।

জীবনের খাতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শবে কদর বা লাইলাতুল কদর (ভাগ-১)

২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৩৬

শবে কদর ফারসী শব্দ আরবি পরিভাষা হচ্ছে লাইলাতুল কদর (لیلة القدر‎)। আরবি ভাষায় ‘লাইলাতুন’ অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী এবং ‘কদর’ শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা, মহাসম্মান। দু’শব্দের একত্রে অর্থ হবে অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রজনী। এ রাতে মুসলিদের সন্মান বৃদ্ধি করা হয় এবং মানবজাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়। তাই মুসলমানদের কাছে এই রাত অত্যন্ত পুণ্যময় ও মহাসম্মানিত হিসেবে পরিগণিত। কুরানের বর্ননা অনুসারে, আল্লাহ এই রাত্রিকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন এবং এই একটি মাত্র রজনীর ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও অধিক সওয়াব অর্জিত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। লাইলাতুল কদর সম্পর্কে মহান আল্লাহ তা’য়ালা সূরা ক্বদর নামে একটি পূর্ণ সূরা নাজিল করেছেন। উক্ত সূরাতে মহান আল্লাহ তা’য়ালা এভাবে বলছেন- নিশ্চয়ই আমি এটা (আল কুরআন) অবতীর্ণ করেছি মহিমান্বিত রজনীতে। আর মহিমান্বিত রজনী সম্বন্ধে আপনি কি জানেন? মহিমান্বিত রজনী সহস্র মাস অপেক্ষা উত্তম। ঐ রাত্রিতে ফেরেশতাগণ ও রুহ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিই শান্তি, সেই রজনী ঊষার অভ্যুদয় পর্যন্ত। লাইলাতুল কদর সম্পর্কে বেশকিছু হাদিস আমারা দেখতে পাই। বোখারী শরীফ এর ৩য় খন্ড তারাবীহর সালাত অধ্যায়ে আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে একটি হাদিস বণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে, সাওয়াব লাভের আশায় লাইলাতুল কদরে রাত জেগে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয়। উপরের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে যে, লাইলাতুল কদরে রাত জেগে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করলে আল্লাহ তা’য়ালা পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দিবেন এবং উক্ত ইবাদতের প্রতিদান হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম সাওয়াব দান করবেন। হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম প্রতিদান কত হাজার বছর তা আমার কল্পনায় আসে না। তাই আমার বিশ্বাস লাইলাতুল কদরে রাত জেগে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করলে মহান আল্লাহ আ’য়ালা পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দিবেন পাশাপাশি জান্নাতে যাওয়ার জন্য যত বছরের সাওয়াব প্রয়োজন হবে ঐ রাত্রির ইবাদতের প্রতিদান ততবছর দান করবেন। চলবে----

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.