নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন উন্নয়ন কর্মী। জীবনের খসড়া পৃষ্ঠাগুলি থেকে মূল্যবান বিষয়গুলি আলাদা করে পাকা একটি খাতা তৈরী করার আপ্রাণ চেষ্ঠা থাকবে।

জীবনের খাতা

আমি একজন উন্নয়ন কর্মী। জীবনের খসড়া পৃষ্ঠাগুলি থেকে মূল্যবান বিষয়গুলি আলাদা করে পাকা একটি খাতা তৈরী করার আপ্রাণ চেষ্ঠা থাকবে।

জীবনের খাতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাপ থেকে বেঁচে থাকার আল্লাহ প্রদত্ত ১০০ দিনের কর্মসূচী (ভাগঃ ২)

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:১৭

ভাগঃ ১ এ পাপ থেকে বেঁচে থাকার ১০০ দিন কর্মসূচীর মেয়াদের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। অদ্যকার আলোচনা বিষয় কিভাবে এই কর্মসূচী আমাদের জীবনে প্রভাব ফেলবে।

এই ১০০ দিনের কর্মসূচীর সর্বশেষ দিন অর্থাৎ ১০ই জিলহজ্ব হলো প্রশিক্ষণ এবং অনুশিলনের চুড়ান্ত বহিঃপ্রকাশের দিন। কারণ এই ১০ই জিলহজ্ব আমরা কুরবানী করি। ১০ই জিলহজ্ব আমরা শুধু পশুর গলায় চাকু চালাবো না, ১০০দিন বিশেষ প্রশিক্ষণ এবং অনুশিলন করার পরও আমাদের মধ্যে যে পশু স্বভাব থাকবে তার গলাতেও আমরা একই সঙ্গে চাকু চালাব। এভাবে নিজের পশু প্রবৃত্তির গলায় চাকু চালানোর মাধ্যমে নিজেকে মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করবো।

সম্মানিত পাঠক, উপরোল্লিখিত সিস্টেম যদি একজন মুমিন নিজের মধ্যে সেটাপ করে নেয় তাহলে এই প্রশিক্ষণ ও অনুশিক্ষণের ফলাফল ঐ মুমিনকে আরও ১০০ দিন কোন বাধা ছাড়াই পাপ থেকে মুক্ত রাখতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি। অর্থাৎ রমজান থেকে জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ প্রর্যন্ত প্রশিক্ষণ ও অনুলিশলনের স্প্রিড জিলহজ্ব মাসের ১১ তারিখ থেকে সফর মাস পর্যন্ত স্থায়ী হবে।
অতপর আসবে রবিউল আউয়াল মাস, যা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্ম ও ওফাতের মাস। এ মসে একজন মুমিন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবন, কর্ম এবং শিক্ষার চর্চা করবে। বিধায় পাপের সংস্পর্শে যাওয়ার সুযোগই নাই। অর্থাৎ এ মাসেও একজন মুমিনকে পূর্বে বর্ণিত ১০০দিনের কর্মসূচীর চর্চার মাধ্যমে পাপ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। যা ঐ ১০০ দিনের কর্মসূচীরই মহরা। এভাবে আমরা রমজান থেকে রবিউল আউয়াল পর্যন্ত সাত মাস (রমজান, শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ্ব, মহরম, সফর ও রবিউল আউয়াল) পাপ থেকে বেঁচে থাকার একটি কৌশল পেলাম।

পূর্ণ রবিউল আউয়াল মাস পূর্বে বর্ণিত ১০০ দিনের কর্মসূচীরই মহরা। এক মাসের মহরার রেশ অবশ্যই রবিউল সনি, জমাদিউল আউয়াল ও জমাদিউস সানি এই তিন মাস স্থায়ী হওয়ার কথা। এভাবে আমারা পূর্বে সাত মাস এবং এই তিন মাস, সর্বমোট দশ মাস পাপ থেকে বেঁচে থাকার কৌশল পেলাম।

অতপর আসবে রজম মাস। যে মাসের শুরুতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি দোয়া করতেন, তা হলো- আল্লাহম্মা বারিকলানা ফি রজবা ওয়া শাবানা ওয়া বাল্লিহনা রামদান। অর্থ হে আল্লাহ আমাকে রজব ও শাবানে বরকত দিন এবং রমদান পর্যন্ত পৌঁছে দিন। এই মাসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমদানের পর সবচেয়ে বেশী রোজা থেকেছেন। রাসূল সাললাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিক্ষা হলো রমদানের প্রস্তুতি হিসাবে রজব ও শাবান মাসে পাপ থেকে বেঁচে থাকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা। এভাবে আমারা পূর্বে দশ মাস এবং এই দুই মাস, সর্বমোট বার মাস অর্থাৎ এক বৎসর পাপ থেকে বেঁচে থাকার কৌশল পেলাম।

সম্মাণিত পাঠক এভাবে আমরা ১০০ দিনের কর্মসূচীর প্রশিক্ষণ ও অনুশিলনের মাধ্যমে সরাটা বৎসর অন্যায় ও পাপ থেকে দূরে থাকতে পারবো ইসশাআল্লাহ।

পাপ থেকে বেঁচে থাকার আল্লাহ প্রদত্ত ১০০ দিনের কর্মসূচী (ভাগঃ ১)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: চারপাশে পাপ ছড়ানো।
তবে ইচ্ছা করলে পাপ থেকে দূরে থাকা যায়।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে পাপ থেকে দূরে রাখুক।

২১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

জীবনের খাতা বলেছেন: আমিন

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

কাইকর বলেছেন: সবাই পাপ মুক্ত থাক এই দোয়া করি ।++

২১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

জীবনের খাতা বলেছেন: আমিন

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৪

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: কর্মসূচী চলুক । সাথে আছি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.