নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন নিয়মিত ব্লগার। মুক্তচিন্তার প্রকাশ ও চর্চা করি, গান শুনি, মুভি দেখি, আড্ডা মারি, ঘুরে বেড়াই আর জীবনকে উপভোগ করি। কারন জীবন তো একটাই। facebook.com/kamikaze.agnostic.blogger ব্লগ সাইটঃ thekamikazeblog.wordpress.com

কামিকাজি

চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা ধর্মের প্রাচীর

কামিকাজি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকার সন্ত্রাসী হামলা এবং মডারেট মুসলিমদের হিপোক্রেসি

০২ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:২১

আমি বেশ কিছুদিন ধরেই ধর্ম নিয়ে লেখালেখি করায় অনেকেই আমাকে ইসলাম বিদ্বেষী বলেছেন, আমি নাকি শুধু ইসলাম ধর্ম নিয়েই লেখালেখি করি, আমি পদে পদে ইসলামের ভুল ধরি, আমি নাকি ইসলামের অপব্যাখ্যা দেই।

ইসলাম নাকি আসলে শান্তির ধর্ম, কিছু বিপথগামী লোক ইসলামকে ব্যবহার করছে।

আমি তাদেরকে বলব, আপনারা ইসলামের কিছুই জানেন না। এক পাতাও কোরান হাদিস পড়েন নাই। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, যদি কোন মুসলিম কোরান হাদিস অক্ষরে অক্ষরে পালন করে সে আজকের সমাজের চোখে ইসলামী জঙ্গি হিসেবে প্রমানিত হবে। যারা ইসলামের নামে বোমা হামলা করে তারা আপনাদের মত মোডারেট না, তারা ইসলামকে ভালবাসে। তারা কোরান হাদিস অনুসরন করে। তারাই ইসলামের শত্রুদের এই দুনিয়া থেকে মুছে দিতে চায়, তারা সমাজে শরিয়া আইন প্রয়োগ করতে চায়।

আমি সেই জন্যই ইসলাম নিয়ে লেখি, ইসলামের ভুল ত্রুটি তুলে ধরি। ধর্মকে আমিও সম্মান করি, যতক্ষন না পর্যন্ত কোন ধর্ম মানুষের প্রান নিচ্ছে। যদি কালকে খ্রিস্টান ধর্মের কেউ ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করে আমাকে সরব পাবেন, প্রতিবাদ করতে দেখবেন।

আমি কি করব বলুন? অন্যন্য ধর্ম তো নারায়ে তাকবীর বলে বোমা ফাটায়না। নিরীহ মানুষ হত্যা করেনা। অন্য ধর্ম তো নাস্তিক হওয়ার কারনে মানুষ খুন করেনা, সমকামী হওয়ার কারনে ফাঁসি দিয়ে মানুষের প্রান নেয় না।

আজকে যারা আমাকে ইসলাম বিদ্বেষী বলছেন তাদের বাবা, মা, ভাই, বোন যদি ঢাকায় ইসলামী জঙ্গিদের হাতে মারা যেত, তখনও তারা '' ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলাম এইসব সমর্থন করেনা '' এইসব বলতেন কিনা খুব জানতে ইচ্ছা করে।

মানবতার উপর কোন ধর্ম নাই। যে ধর্ম মানুষকে অন্ধ করে তোলে, যেই ধর্ম তথাকথিত ঈশ্বরের তৈরি মানুষকে ভালবাসতে নয়, হত্যা করতে আদেশ দেয়, আমি সেই ধর্মের বিরুদ্ধে লিখে গিয়েছি, লিখে যাব।

মানবতা মুক্তি পাক।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:২২

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: মানবতার উপরে কোন ধর্ম নাই।
মানবতা মুক্তি পাক।
সহমত রইল

২| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

সেলিম৮৩ বলেছেন: মূর্খ, নাদান।
যার ধর্ম নাই তার জন্মের ইতিহাস নাই ।
ধর্মই মানবতা শেখায়। ধর্মের অপব্যাখ্যাকারীরাই বিপথগামী হয়।
কোরঅান-হাদিসের একটি শব্দ কেউ দেখাতে পারবে না- যেখানে নিরীহ/সাধারন মানুষ হত্যা করতে বলা হয়েছে।
সুতরাং এসব লিখে পরিবেশ নষ্ট করে লাভ নাই।

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৫৪

কামিকাজি বলেছেন:
"যখন নির্দেশ দান করেন ফেরেশতাদিগকে তোমাদের পরওয়ারদেগার যে, আমি সাথে রয়েছি তোমাদের, সুতরাং তোমরা মুসলমানদের চিত্তসমূহকে ধীরস্থির করে রাখ। আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়।"
( সূরা ৮- আয়াত ১২)

"অত:পর যখন তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন তাদের গর্দানে মার, অবশেষে যখন তাদেরকে পূর্ণরূপে পরাভূত কর তখন তাদেরকে শক্ত করে বেধে ফেল। অত:পর হয় তাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, না হয় তাদের নিকট হতে মুক্তিপণ লও। তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে যে পর্যন্ত না শত্রুপক্ষ অস্ত্র সমর্পণ করবে! একথা শুনলে। আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তোমাদের কতককে কতকের দ্বারা পরীক্ষা করতে চান। যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়, আল্লাহ্ কখনই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না।"
( সূরা ৪৭- আয়াত ৪ )

"আর তাদেরকে হত্যাকর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে। বস্তুত: ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ। আর তাদের সাথে লড়াই করো না মসজিদুল হারামের নিকটে যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে। অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই কর। তাহলে তাদেরকে হত্যা কর। এই হল কাফেরদের শাস্তি।
( সূরা২- আয়াত ১৯১ )

"অত:পর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর । আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ্ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।"
( সূরা ৯- আয়াত ৫ )

"তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। অত:পর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর।
( সূরা ৪- আয়াত ৮৯ )

"হে ঈমানদারগণ, তোমাদের নিকটবর্তী কাফেরদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাও এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা অনুভব করুক্ আর জেনে রাখ, আল্লাহ্ মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন।"
( সূরা ৯- আয়াত ১২৩)

"আল্লাহ্ তাদেরকে ভালবাসেন, যারা তাঁর পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাগালানো প্রাচীর।"
( সূরা ৬১- আয়াত ৪ )

"তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণক। বস্তুত: আল্লাহ্ই জানেন, তোমরা জান না।"
( সূরা ২- আয়াত ২১৬ )

"যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।"
( সূরা ৫- আয়াত ৩৩ )

"সুতরাং যদি কখনো তুমি তাদেরকে যুদ্ধে পেয়ে যাও, তবে তাদের এমন শাস্তি দাও, যেন তাদের উত্তরসূরিরা তাই দেখে পালিয়ে যায়; তাদেরও যেন শিক্ষা হয়।
( সূরা ৮- আয়াত ৫৭)

"তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ্ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ্ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।
( সূরা ৯- আয়াত ২৯)

৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: সেলিম,
"যার ধর্ম নাই তার জন্মের ইতিহাস নাই"
বাহ! কি সুন্দর বাক্য! এরকমটা ভাবতেই শেখায় ধর্ম !!

৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯

মহা সমন্বয় বলেছেন: ইসলামে জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই, ইসলাম হচ্ছে পবিত্র শ্বান্তির ধর্ম।
সারা বিশ্বে যে জঙ্গি কার্যক্রম হচ্ছে এর সবই হচ্ছে নাস্তিকদের কাজ। ;)



......শুক্রবার রাতে অভিযান শুরু কিছু ক্ষণ পরেই এলাকা থেকে সংবাদ মাধ্যমকে সরিয়ে দেওয়া হয়............ ঘটনার দায় স্বীকার করে আইএস জানিয়েছিল, পণবন্দিদের হত্যা করা হয়েছে। রাতেই জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছিল যৌথ বাহিনী। জবাবে জঙ্গিরা আত্মসমর্পণের তিনটি শর্ত দিয়েছিল। শর্তগুলো হলো-
১. একদিন আগে ডেমরা থেকে আটক জেএমবি নেতা খালেদ সাইফুল্লাহকে মুক্তি দিতে হবে।
২. তাদেরকে নিরাপদে বের হয়ে যেতে দিতে হবে।
৩. ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তাদের এই অভিযান। এই অভিযানকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
যৌথ বাহিনী হ্যান্ড মাইকে আত্মসমর্পনের আহ্বানের পরপরই জঙ্গিরা রেস্তোরাঁর মধ্যে থেকে চিৎকার করে তাদের এসব শর্তের কথা জানায়।
আলহামদুল্লীলায় দেশে ধীরে ধীরে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে আর সত্য উদ্ভাসীত হচ্ছে

৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯

সেলিম৮৩ বলেছেন: হাতুড়ে লেখক, যার ধর্ম নাই তার জন্মের ইতিহাস নাই"
একদম সত্য কথা। কেননা, এরা বানর থেকে বিবর্তিত। অার বানর কোথা থেকে অাসলো তার উত্তর নেই।
সুতরাং ভেবে দেখা দরকার এদের জন্ম ইতিহাস অাছে কিনা।

৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৩২

বিবেক ও সত্য বলেছেন: হুজুরদের থেকে শেখা ধর্ম ও কুরআন এক নয়। যদি কেউ কুরআন হাদিস নিরপেক্ষভাবে ভাল করে পড়ে তারা কেউ ধর্মের পক্ষে কথা বলবে না। যারা ধর্ম মানবতা শেখায় বলে চিৎকার করছে তারা নিজেরাও ধর্মের মুল কিতাব ভাল করে পড়েনি, সেটা আমি চ্যলেঞ্জ করে বলতে পারি।

৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩

বিবেক ও সত্য বলেছেন: ’ইসলাম’ নামক ধর্মের সন্ধানে (সমালোচনা উদ্দেশ্য নয়, আন্তরিকভাবে অনুসন্ধানে যা পেলাম)

৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:০৪

বাংলার জামিনদার বলেছেন: ইহা সহি ইসলাম নয়, ইসলাম ইহা সমর্থন করেনা। যেই সব মোনাফেক এইসব কথা বলে জংগীদের কুকাম যায়েজ করার চেষ্টা করে, সবার আগে তাদের পিঠের চামড়া তোলা উচিৎ

৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:১২

জ্ঞানহীন মহাপুরুষ বলেছেন: মুর্খ। নিজেকে শোধরান মিয়া

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৫৫

কামিকাজি বলেছেন: আপনি নিজেই জ্ঞানহীন, আগে নিজেকে শোধরান।

১০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯

নীলাকাশ ২০১৬ বলেছেন: মুর্খ যখন অন্যকে জ্ঞান দিতে আসে, তখন তার ভাগ্যে গালাগালিই জোটে। সেদিক থেকে এই কামিকাজি খুব ভাগ্যবান!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.