![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Life is short but Hope is Long...
আমরা দেখেছি এ দেশে
অপরাজনীতির ডাল বেয়ে কীভাবে
রানারা তড় তড় করে বেয়ে ওঠে। দল,
প্রশাসন ও রাষ্ট্রযন্ত্র কীভাবে
লালন করে রানা নামক এসব
বিষবৃক্ষকে। এক খুন করা ছিঁচকে
গুণ্ডাকে টেম্পোতে করে আদালতে
হাজির করে পুলিশ। পাঁচ খুনের
চরমপন্থিরা আসে পুলিশের ভ্যানে।
৫০ খুনের শীর্ষ সন্ত্রাসী আসে এসি
মাইক্রোবাসে। আর হাজারো খুনের
রানারা আসে হেলিকপ্টারে চড়ে!
খুনের রেকর্ড যত বাড়ে রাষ্ট্রপতির
ক্ষমা পাওয়ার সম্ভাবনাও তাদের
বেশি থাকে। মাস, বছর পেরুলেও
তাদের বিচার হয় না, মামলার তদন্ত
আর আগে বাড়ে না। তাই রিমান্ডে
রানার হুঁশিয়ারিই বলে দেয় এ দেশে
রানারা কখনো রান আউট হয় না।
রানাদের যারা বানায় তারা থাকে
অন্তরালে, ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর
আমরা যত দোষ তার সবটাই খুঁজি
রানাদের মুখে। তাই হত্যাকাণ্ড
পাল্টে যায় দুর্ঘটনায়। ন্যায়বিচার
আইনি ফাঁদে হয়ে যায় বন্দী।
দ্রুতবিচার আইনের মেয়াদ বাড়ালেও
তাতে ভয় থাকে না রানাদের।
চাঞ্চল্যকর মামলার তালিকায় স্থান
পায় না ১১৩৫ প্রাণের হত্যা মামলা।
এ ধরনের গণহত্যার পর্যাপ্ত শাস্তির
জন্য সংসদে পাস হয় না কোনো
'গণহত্যা অপরাধ আইন'। বিশেষ
ট্রাইব্যুনাল করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
করতে সংবিধানের ৪৭(৩) অনুচ্ছেদের
বিধান এদের জন্য প্রযোজ্য হয় না।
তাই রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির
বর্ষপূর্তিতে আমরা রানাদের রান
আউট দেখতে চাই। গোল্ডফিশের
মতো একুইরিয়ামের এক প্রান্ত থেকে
অন্য প্রান্তে যেতে যেতেই যেন
আমরা সব ভুলে না বসি।
ডা: তুহিন মালিক,বা প্র
©somewhere in net ltd.