নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার জিভটা এখনো আমারইজিভ আমরা গলাটা এখনো আমরাইগলা।কেটে উপহার দেই নি কাউকেআমি অভ্যাস আজও সময়ের কথা বলা।

আতাউর রহমান কাওছার

Life is short but Hope is Long...

আতাউর রহমান কাওছার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্রান্তিলগ্নে কওমী মাদ্রাসা, ময়দানে নতুন চ্যালেঞ্জ, সামনে অভিনব লড়াই

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২২


স্বীকৃতি দিয়ে শুরু করি। প্রচণ্ড ভিন্নমত ছিলো আলেমদের মধ্যে। যথেষ্ট দ্বিধা,শংকা ও দোদুল্যমানতা সত্তেও শেষ অবধি উলামার ঐক্য হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার মধ্য দিয়ে সম্মানজনকভাবে একটি প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। যৌক্তিক কিছু প্রশ্নে অনেকেই বিদ্যমান বাস্তবতায় স্বীকৃতি কী পরিণতি ডেকে আনে, তা নিয়ে ভীত ছিলেন, আছেন। সেই ভীতি নিজেও অনুভব করছি। আর অনুভব করছি বলেই কিছু কথা নিবেদন করছি।

এক. জমহুর উলামার ঐক্য নিশ্চিত হবার পরে এ বিষয়ে ভিন্নমতের ময়দানী প্রচার থেকে বিরত থাকাতেই কল্যাণ। সকলেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে যেন ভাবি।

দুই. স্বীকৃতির ঘোষণা মানেই স্বীকৃতি হয়ে যাওয়া নয়। অতীতে প্রজ্ঞাপন জারির পরেও তা আটকে গেছে। এ নিয়ে অতীশয় আহ্লাদ করার সুযোগ নেই। অনেক পথ বাকি রয়ে গেছে। সে পথ পাড়ি দিতে হবে মিলিত প্রচেষ্টায়।

তিন. স্বীকৃতি আমাদের কোনো সাফল্য নয়,লক্ষ্যও নয়। সাফল্য হচ্ছে, এর সুফলকে ইতিবাচকভাবে দ্বীনের কাজে লাগাতে পারা। লক্ষ্য হচ্ছে, এলায়ে কালিমাতুল্লাহ।

চার. এ পথে স্বীকৃতির অভিঘাত সমূহ হয়ে উঠতে পারে প্রবল প্রতিবন্ধক। এর মোকাবেলা করতে হবে প্রতি দিন,প্রতি রাত। স্বীকৃতি আসা মানেই এ লড়াই শুরু করতেই হবে। এতে হারলে সব কিছু হারাবো।

পাঁচ. তায়াল্লুক মায়াল হুকামা প্রবলভাবে সামনে হাজির হবে। স্বভাবগতভাবে সে চাইবে আধিপত্য। সেখানে তায়াল্লুক মায়াল্লাহকে প্রাধান্য দিয়ে হুকামার চাহিদাকে তার অধিনে আনতে হবে।বজায় রাখতে হবে তাকওয়াভিত্তিক ভারসাম্য।

ছয়. ছাত্রদের মধ্যে আধুনিক সাজার প্রবণতা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে চাইবে। কিন্তু আমাদের আধুনিকতা হচ্ছে সুন্নাতে রাসূল (সা,) সেই আধুনিকতাকে আরো প্রবলভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

সাত. এক শ্রেনীর তরুণ আলেমের মধ্যে অতিমাত্রায় ছাড় দেয়ার প্রবণতা বাড়বে। জাহিলিয়াতের চৈন্তিক ও সাংস্কৃতিক উপাদানগুলোকে সহনীয়ভাবে দেখা ও দেখানো চলবে। একে মোকাবেলা করতে হবে শক্ত হাতে।

আট. আমাদের মধ্যে বিরোধ আছে, থাকবেই।সেই বিরোধের কোনো পর্যায়ে আমাদের কেউ সরকারের দ্বারস্থ হবে এবং তার মাত্রা বাড়তে থাকবে। ফলে তাদের কর্তৃত্বের হাতে আপনা আপনি আবদ্ধ হবো। সে পরিস্থিতি যেন ডেকে না আনে আমাদের কেউ।

নয়. সিলেবাসের প্রশ্নটি খুবই জরুরী। সিলেবাসকে সত্যি সত্যিই নবরুপায়ন করতে হবে। মৌলিক বিষয়সমূহ অক্ষুন্ন রেখে জীবন ও জগতের অপরাপর জ্ঞানকে যথাস্থান দিতে হবে।আজ যদি তা না করা হয়,কাল সেটা জোর করে চাপিয়ে দেয়া হবে। নিশ্চয় এ বিষয়ে সচেতন রয়েছেন দায়িত্বশীলগণ।

দশ. কারিকুলামে আধুনিকায়ন ও অান্তর্জাতিক মান এবং পরিচালনা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতেই হবে। ঘরওয়ালা জানে,ঘরের কোন অংশ ভাঙ্গা। সময় নেই,মেরামত অপরিহার্য। ঝুঁকি বেড়েছে,দায়িত্ব না বাড়িয়ে উপায় নেই।

এগারো. সরকার স্বীকৃতি দিচ্ছে, তার স্বার্থের দিক পরিষ্কার।আমরা নিচ্ছি,আমাদের অধিকারের দিক পরিষ্কার। সরকার সে অধিকার প্রদান করে রাষ্ট্রিয় দায়িত্ব আদায় করবেন মাত্র। সে জন্য কৃতজ্ঞ আমরা।
সে কৃতজ্ঞতার হক আমরা আদায় করবো, আমর বিল মারুফ নাহি আনিল মুনকারের মাধ্যমে। অন্য যে কোন স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বা বেসরকারি ইউনিভার্সিটির চেয়ে কওমি মাদ্রাসার দায়িত্ব বহুগুণ বেশি। কওমি মাদ্রাসা জাতিয় জীবনে যেখানে দ্বীনি স্থলন দেখবে, চুপ থাকবে না। সে বলবে, রোগ দেখা দিয়েছে এখানে। এখানে চিকিৎসা করুন। এটা বিরোধিতা নয়, এ হচ্ছে ভালোবাসা ও দায়িত্বশীলতা। সরকারকে মনে রাখতে হবে, এটাই কওমি মাদ্রাসার চরিত্র। এটাই তার প্রাণশক্তি।

বারো. নতুন এ প্রেক্ষাপটে কওমি মাদ্রাসা তার দায়িত্ব পালন করবে নতুবা নিজের বিপন্নদশা নিজেই রচনা করবে।সন্দেহ নেই,দায়িত্বগুলো খুবই চ্যালেঞ্জিং। এ জন্য উলামার ঐক্য অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে বহুগুণ বেশি দরকার। হিকমাহ ও তাকওয়ার প্রয়োজন খুবই বেশি। খুবই প্রয়োজন আবেগের চেয়ে বুদ্ধিবৃত্তি, উত্তেজনার চেয়ে স্থিরতা। সংলাপ ও কৌশলী প্রক্রিয়া এখন যে কোন দাবি আদায়ের সবচে কার্যকর মাধ্যম। সেখানে আমাদের পারদর্শিতা বাড়াতে হবে। আবেগকে শাসন করতে হবে জাগ্রত প্রজ্ঞার মাধ্যমে। আকাশ সেলাইয়ের দাবির জামানা শেষ। বাস্তব ও যথাযত দাবি এবং পরিকল্পনা নিয়েই এগুতে হবে।

মুসা আল হাফিজ
কবি, দার্শনিক ও গবেষক

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৩৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কওমি আলেমদের জন্য শুভকামনা রইল।

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


"পাঁচ. তায়াল্লুক মায়াল হুকামা প্রবলভাবে সামনে হাজির হবে। স্বভাবগতভাবে সে চাইবে আধিপত্য। সেখানে তায়াল্লুক মায়াল্লাহকে প্রাধান্য দিয়ে হুকামার চাহিদাকে তার অধিনে আনতে হবে।বজায় রাখতে হবে তাকওয়াভিত্তিক ভারসাম্য। "

-এসব কি সাংকেতিক ভাষা টাষা? ভয়ংকর কিছু করার ষড়যন্ত্র করছেন নাকি?

৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে, মাদ্রাসার ছাত্ররা উপকৃত হবে, আশার কথা; কিন্তু আপনারা কি জাতিকে কিছু দিতে পারবেন? কিছু আছে?

৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


"ক্রান্তিলগ্নে কওমী মাদ্রাসা, ময়দানে নতুন চ্যালেঞ্জ, সামনে অভিনব লড়াই "

-শিরোনামে " অভিনব লড়াই" ইত্যাদি তো মানুষকে ভীত করতে পারে।

৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:

"সাত. এক শ্রেনীর তরুণ আলেমের মধ্যে অতিমাত্রায় ছাড় দেয়ার প্রবণতা বাড়বে। জাহিলিয়াতের চৈন্তিক ও সাংস্কৃতিক উপাদানগুলোকে সহনীয়ভাবে দেখা ও দেখানো চলবে। একে মোকাবেলা করতে হবে শক্ত হাতে। "

-এটা তো ভয়ংকর খারাপ উদ্দেশ্য; সরকার তো মনে হয় আবার ভাবতে হবে!

তরুণ প্রজন্ম সব সময় বেশী উদার হবে; তাদেরকে উদ্দেশ্য করে এই রকম কথা কে বলছে?

৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৫৫

রানার ব্লগ বলেছেন: কওমী মাদ্রাসা , এমন প্রতিষ্টান যারা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে না, বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতকে তারা প্রচার করে না। তাদের সিলেবাসে বাংলাদেশের ইতিহাস থাকে না। এরা একাত্তরকেই মানে না, এদের সিলেবাসে বাংলা বলে কোন বই নাই। এরা এদের আয় ব্যায়এর হিসেব দেয় না, কওমী মাদ্রাসা যারা চালান তাদের আয়ের উৎস কখনই প্রকাশ করে না।

৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:১৬

তার ছিড়া আমি বলেছেন: কবি মুসা আল হাফিজ-এর চিন্তাগুলো সত্য।
তবে সরকার যদি হস্তক্ষেপ না করে, তাহলে ক্বওমীর ছাত্ররা সমাজের বোঝা হয়ে আর থাকবে না। অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে তাদেরকে পাওয়া যাবে, ইনশাআল্লাহ।

৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩০

TaবিZ FaরুK বলেছেন: মহা কবি মুসা আল হাফিজ কি পর্ণ দেখছেন কখনও?

৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৪৭

বিলুনী বলেছেন: ভালইতো লিখতেছিলেন বিষয়টা প্রাঞ্জল বাংলাতে ।প্রতিটা ভাষাই পরম করুনাময় আল্লার সৃস্টি বাংলায় মোনাজাত যা করি নিশ্চয়ই আল্লাহ তা শুনেন ও বুঝেন ভাল করে এ বিশ্বাস আছে ।আরবীতে লিখা সমস্ত কোরানকে বাংলায় অনুবাদ করে প্রকাশ করা যায় প্রাঞ্জলভাবে ।
একটি লিখায় সাধু ও চলতি ভাষার মিশ্রন যেমন দুষনীয়, তেমনি একটি লিখায় বাংলা ও অন্যভাষা লিখা সমান দুষনীয় , প্রয়োজনে লিখা যায় ( তবে বাংলাটা দিতে হবে সাথে সাথে) আরব দেশে বসে বাংলার কোন কাহিনী আরবীয়রা লিখলে
তাতে তারা কোন মতেই বাংলা শব্দ করবেনা ব্যাবহার,তেমনি ভাবে ইংরেজী বা অন্য কোনভাষাতেও বাংলা মুলুকের
কোন কিছু আলোচনা কালে সে ভাষার সাথে বাংলা কোন বাক্য তারা দিবেনা জোরে । তাই এই পোষ্টের লিখাটিতে হঠাৎ করে
তায়াল্লুক মায়াল হুকামা জাতীয় আরবী শব্দ কেন জুরে দেয়া হয়েছে । আলোচনা কালে এর বাংলা শব্দটি করা যেতোনা কি প্রয়োগ লেখাটিতে!!!

যাহোক, কওমী মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থাটিকে স্বিকৃতি দিয়ে একে নিয়মের ভিতরে পরিচালনা করা একটি গুরুত্বপুর্ণ
সিদ্ধান্ত সরকারের । এটাকে দেশের প্রচলিত শিক্ষা স্ট্যাসডার্ড ও মানের সাথে করতে হবে সমন্বয় যথাযথভাবে ।

পরিশেষে বলতে চাই লিখাটির সাথে কথা নাই বার্তা নাই এমনকি লেখাটির শিরোনামের সাথে সম্পর্ক নাই, তার পরেও একজন
কবির নাম ও ছবি দেয়া হয়েছে জুরে । যতই থাক না তার পরিচয় দেশজোরে ,তারপরেও শিরোনামের সাথে যুক্ত নেই এমন বিষয় বা কোন ছবি যুক্ত করতে হলে তার একটু ভুমিকাতো থাকতেই হয় লিখাটির কোন এক অংশ জুরে । তাই বিষয়টিকে অপ্রাসঙ্গীক ও অসংগতি পুর্ণ বলেই মনে ধরে নেয়া যায়।

যাহোক, পোষ্টে যখন দিয়েছেন কবির ছবিটা তুলে, তখন তার কবিতা নিয়ে তো দুএকটি কথা বলাই যায় প্রসঙ্গক্রমে ।
তার লিখা বেশ কিছু কবিতা আছে এর মধ্য যে কোন একটি নিয়ে একটু আলোচনা করা যেতে পারে
রামাজানে শীর্ষক তার লিখা একটি কবিতাকে নিয়ে যাকনা দুটো কথা বলা এখানে :

রামাজানে
রামাজানে কবিতার প্রথম স্তবকে তিনি লিখেছেন

হে চন্দ্র, যাকে আকাশ স্বপ্নেও দেখেনি, এসো!
হে আগুন, যাকে পানি নেভাতে পারে না, জ্বলো!
হে রক্ত, পরিণত হও মদে!
হে হৃদয় কাবাব হয়ে যাও!


কথার পরে কথা সাজালেই কোন লিখা যদি কবিতা হয়ে যায় তাহলে কোন কথা নাই । কিন্ত একটি লিখা কবিতা হতে হলে কথাগুলি স্বাভাবিকভাবে হতে হবে বাস্তবমুখী অর্থ বোধক , তারপরে তাল লয় ও মাত্রাতো আছেই !!!
প্রথম লাইনটিতে দেখা যায় লেখা আছে
হে চন্দ্র, যাকে আকাশ স্বপ্নেও দেখেনি, এসো!
রমজান মাসের চাঁদ প্রতিবছর একবার করে আসে আর রাতের আকাশে এক পক্ষকাল থাকে , তাই রমজানের চাঁদকে আকাশ স্বপ্নেও দেখেনা একথাটি কি খাটে!!
পরের লাইনে আছে
হে আগুন, যাকে পানি নেভাতে পারে না, জ্বলো!
পানিতেও নেভাতে পারবেনা এমন আগুনকে জ্বালানোর জন্য এ কিসের কামনা কবি কণ্ঠে !!! এটা কি এ পোষ্টের শিরোনামে বলা অভিনব লড়াই এর কোন ঈঙ্গীতবাহী কথা মালারই প্রতিধ্বনী !!!
কবিতাটির তৃতীয় লাইনে আছে
হে রক্ত পরিনত হও মদে!
রমজান মাসে মদের জন্য এ কেমন কামনা , রমজান মাসে এমন কামনার কথা শুনা যায়নিত কথনো আগে !!!
কবিতাটির চতুর্থ লাইনে আছে
হে হৃদয় কাবাব হয়ে যাও
কবি তার হৃদয়কে কাবাব বানাতেই পারেন ,সে স্বাধিনতা তার আছে
তবে রমজানে আমরা কামনা করি সংযমের মাধ্যমে এটা কাবাব না হয়ে কস্তুরীতে পরিনত হবে, আর ভাল বাসার সুবাশ ছড়াবে চতুর্দিকে ।

এবংবিদ কারনেই হয়তবা একজন পাঠক প্রশ্ন রেখে গেছেন উপরের ৮ নং মন্তব্যের ঘরে !!!

যাহোক কামনা করি কওমী মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম বিকশিত হোক যথাযথভাবে , যেন তা জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে, নীজ গুণে সমালোচনার উর্ধে থেকে ।

১০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:১২

রওশন জমির বলেছেন: যোগ্যতার বিকল্প নেই।
http://www.somewhereinblog.net/blog/rouzameer007/30165782

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.