| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সে কোনো স্লোগানে ছিল না,
কোনো মিছিলে হাঁটেনি,
তার মাথায় ছিল না পতাকা—
ছিল শুধু কাজ শেষে নিঃস্ব, ক্লান্ত শরীর।
শহর তখন আলোয় ভরা,
ঠোঁটে তার এক কাপ চায়ের তৃষ্ণা,
ফ্লাইওভারের নিচে জীবন নামে নাটক—
গন্তব্য একটি ক্ষুদ্র টঙ, এই ব্যস্ত নগরীর।
গন্তব্যের পথে আজরাইল ছিল সাথে,
ফ্লাইওভারে ওত পেতে—জীবন কেড়ে নিতে।
বিকট শব্দ, সরব দোকানি,
ছুড়ে ফেলে চা–পানি,
মানুষ জড়ো হলো হাজার-শখানি;
নীরবে তাকিয়ে, ভুলে গেল জবানী।
কেটলিতে মগজ, রাস্তায় দেহ।
স্বার্থ না থাকিলে, মনে রাখে না কেহ।
তোমায় বেচিলে যদি না পায় বিপ্লব–বিদ্রোহ,
তবে তোমার জন্য নয়, বন্ধু, রাষ্ট্র-প্রদত্ত স্নেহ।
এই কবিতা শোকের না,
এই কবিতা অভিযোগের।
এই কবিতা সেই সব মানুষের জন্য
যারা মরেও বিচার পায় না।
এই কবিতা সেই সব বাবাদের জন্য,
যাদের পুত্রশোকে কান্না ছাড়া
আর কোনো উপায় থাকে না।
যেদিন এই শহর
সিলেক্টিভ নীরবতাকে ভয় পাবে,
সেদিনই বিপ্লব শুরু হবে।
©somewhere in net ltd.