নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রিয় বাংলাদেশ

আমি একজন অতি সাধারন বাংলাদেশের নাগরিক যে সপ্ন দেখে একটি সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের ।

সচেতন প্রহরী

আমি একজন অতি সাধারন বাংলাদেশের নাগরিক যে সপ্ন দেখে একটি সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের ।

সচেতন প্রহরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

***কোটা প্রথা, শিক্ষিত মেধাবী যুবশক্তির জন্য অভিশাপ***

১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

সময় এসেছে চাকরি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি নিয়ে নতুন করে ভাববার দেশের বৃহত্তর মেধাবী শিক্ষিত যুব সমাজ আর বৃহত পরিসরে কোটা পদ্ধতি নামক শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে এই বৈষম্য এ দেশে দেখতে চায়না । মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশ স্বাধীন করেছেন ,তাই উনাদের দেখাশুনার নিমিত্তে বড়জোড় বেশি হলে উনাদের ছেলে মেয়েরা বিশেষ বিবেচনায় চাকরি পেতে পারে, কিন্তু কোন বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে শুরু করে শিক্ষাজীবন সমাপ্তির পরে চাকরি ক্ষেত্রেও মুক্তিযুদ্ধার নাতি পুতিদের জন্য কোটা বরাদ্দ হয় তা আজ সারা বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষিত মেধাবী তরুণ জানতে চায় । বাংলাদেশে সরকারী চাকরি ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত পদ বাদ দিলে শতকরা মাত্র ৪৫ ভাগ পদ বাকি থাকে আমাদের মত কোন প্রকার কোটা বঞ্চিত ছাত্রদের জন্য । এই ৪৫ ভাগ পদেই চলে দেশের বেশিরভাগ মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের তাদের মেধার পরীক্ষা দিয়ে চাকরি ছিনিয়ে নেবার এক দুঃষহ যুদ্ধ । যেই যুদ্ধে বারবার ব্যার্থ হয়ে অনেক মেধাবী মুখ জীবনের প্রতি অতিষ্ট হয়ে শুধু জীবিকা অর্জনের জন্য খুজে নিচ্ছে বিভিন্ন অন্যায় পন্থা । আবার কেউ কেউ চরম হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে স্বেচ্ছায় নিজের প্রাণ বিসর্জন দিচ্ছেন । অপরদিকে বিভিন্ন কোটায় আবেদন করার সুবর্ন সুযোগ বেশিরভাগ মেধাবী ছাত্র/ছাত্রিদেরই হয়না বলে কোটার সুযোগ নিয়ে তুলনামুলক কম যোগ্যতাসম্পন্ন চাকরি প্রার্থিরা অতি সহজেই চাকরি পেয়ে যায় আর এর ফলে আমাদের প্রশাসন বিভাগে কম যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থিরা সুযোগ পাওয়ায় প্রশাসন পরিচালনার কাঠামো হয়ে পড়ছে দিনকে দিন দুর্বল । তাই এ নিয়ে সৃষ্টি হচ্ছে নানাবিধ জটিলতা । তাই সরকারের কাছে আমাদের করজোড় নিবেদন দয়া করে কোটা প্রথা বিলুপ্তি করুন অথবা তা যদি সম্ভব না হয় তাহলে কোটার পরিধি কমিয়ে এনে মেধাবীদের সরকারী চাকরি ক্ষেত্রে ঢুকার সুযোগ দিন । দেশের মেধাবী শিক্ষিত যুব সমাজ আজ এই কোটা প্রথা নামক এক অভিশাপ থেকে মুক্তি দিন ।

NB:- আমার অনেক বন্ধু যাদের কোটা আছে তারা হয়তো আমার কথায় দুঃখ পাবেন কিন্তু যেটা সত্য সেটা কি বলা উচিত নয় ? প্রশ্ন রইলো ।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মুক্তিযোদ্ধারা ঘরবাড়ী ফেলে বিনা বেতনে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ না করলে আমাদের জন্য চাকরীর কোটা থাকত মাত্র ১০%
বাকী ৯০% থাকত উর্দূভাষীদের জন্য।

কোটা সিষ্টেম বাংলাদেশের শুরু থেকেই চলছে ৪২ বছর ধরে কোন বিতর্ক ছাড়াই।
কোটা ব্যাবস্থা পৃথিবীর অনেক দেশেই চালু আছে, আছে ধনাঢ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অষ্ট্রেলিয়াতেও আছে, পাসের দেশ ভারতেও ...
আমেরিকায় ২য় মহাযুদ্ধ ফেরত সৈনিক, ভিয়েতনাম ফেরত যোদ্ধাদের ও তাদের পোষ্যদের উচ্চহারে কোটা চালু আছে।

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২২

সচেতন প্রহরী বলেছেন: তাদের দেশে কোটা কত ভাগ সেটা জানালে ভাল হত । কোন ভাবেই সেই সব দেশে ৩০% কোটা বরাদ্দ রাখা হয়নি । তাছাড়া জাতির বীর সন্তান মুক্তিযুদ্ধাদের সাহয্য করার আরো অনেক উপায় আছে সেটা হতে পারে নগদ অর্থ দিয়ে সহায়তা । যেটা এখন দেয়া হচ্ছে তার পরিমান বারিয়ে । একটিবার কি আপনি ভবে দেখেছেন শুধু কোটা ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে আমাদের প্রশাসনে অধিকতর কম যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থিরা চাকরি পেয়ে আমাদের প্রশাসনিক কাঠামোকে কতটা দুর্বল করে দিচ্ছে ? মুক্তিযুদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিল দেশকে সমুহ ক্ষতির হাত থেকে বাচিয়ে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনের উদ্দেশ্যে কিন্তু একটি বার ভেবে দেখেছেন আজ তাদের সন্তানরাই কোটা প্রথায় চাকরি পেয়ে দেশের ক্ষতিতো করছেই পাশাপাশি সৃষ্টি করছে এক দারুন বৈষম্য তারপরেও না হয় মেনে নিতাম কিন্তু মোট পদের ৫৫ ভাগই যখন চলে যায় গুটি কয়েক কোটা প্রাপ্ত ওয়ালা কমযুগ্যতা সম্পন্ন মানুষের হাতে তখন এই কোটা প্রথার বিরুদ্ধে বলা ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা । যখন দেখবেন আপনি ৮০/৮৫ পেয়েও চাকরি পাচ্ছেন্না কিন্তু আপনার বন্ধুটি শুধু মাত্র কোটার সুবিধা নিয়ে ৫০/৬০ নম্বর পেয়ে চাকরি পেয়ে যাচ্ছে তখন আপনার কাছে কেমন লাগবে ? নিশ্চই এত কষ্ট করে পড়ালেখার মানেটাই আপনার কাছে অনর্থক লাগবে তাই নয় কি?

৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

নর্থপোল বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মুক্তিযোদ্ধারা ঘরবাড়ী ফেলে বিনা বেতনে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ না করলে আমাদের জন্য চাকরীর কোটা থাকত মাত্র ১০%
বাকী ৯০% থাকত উর্দূভাষীদের জন্য

তাইলে পাকি জারজ আর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে পার্থক্য কি? দুই দলই তো সুবিধা নেয়ায় ব্যাস্ত, ৯০% আর ৪৫% এর পার্থক্য তো খুব বেশি না।

৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯

সোহেল সি এস ই বলেছেন: এই লোটা ভর্তি কোটা নিয়ে যারা মোটা কথা বলে তাদের বোটাসহ মূলৎপাটন করলে গোটা দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটা এখন সময়ের দাবি।

৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

সচেতন প্রহরী বলেছেন: সোহেল সি এস ই বলেছেন: এই লোটা ভর্তি কোটা নিয়ে যারা মোটা কথা বলে তাদের বোটাসহ মূলৎপাটন করলে গোটা দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটা এখন সময়ের দাবি।

হা হা হা ।

৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

অপরাজিতা হিমু বলেছেন:
তোরা সারা বাংলায় খবর দিয়ে দে
তোরা দেয়ালে দেয়ালে চিকা মেরে দে
মোদের আবারো যুদ্ধে যেতে হবে............


এই যুদ্ধ অধিকার আদায়ের
কোটা প্রথার অভিশাপ থেকে মুক্তির যুদ্ধ

কোটা প্রথা নিপাত যাক................
নিপাত যাক...................
নিপাত যাক...................
নিপাত যাক...................
নিপাত যাক...................
নিপাত যাক...................

৭| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২০

সচেতন প্রহরী বলেছেন: কোটা প্রথা নিপাত যাক । বৈষম্য থকে মেধাবীরা মুক্তি পাক ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.