![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষ, আমি বাঙালি। আমার মানবিকতা, আমার সংস্কৃতির উপর আঘাত হানতে চাওয়া, ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাওয়া প্রাণী মাত্রই আমার কাছে পিশাচ। আমার দেশের উপর আঘাত হানতে চাওয়া প্রাণীদের পালনকারী, প্রশ্রয়দানকারী মাত্রই আমার কাছে পিশাচ, রাক্ষস। হোক সে যে কোনো সাম্প্রদায়িক কিংবা ঢেঁড়স চাষ পরামর্শক।
উত্তরার মাইলস্টোন কলেজের সামনে ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনা আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল— এ দেশে জীবন কতটা সস্তা, আর অব্যবস্থা কতটা ভয়ংকর।
একজন শিক্ষক, মাহরীন চৌধুরী, নিজের জীবন দিয়ে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থীকে বাঁচালেন। ৮০% শরীর পুড়ে গেলেও শেষ কথা বলেছিলেন— “আমি ওদের বের করে আনছিলাম।” তারপর নিঃশব্দ মৃত্যু।
কিন্তু প্রশ্ন হলো— কেন এই মৃত্যু?
কেন রাজধানীর অভ্যন্তরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এত কাছে বিমানঘাঁটি ও নিয়মহীন বিমান চলাচল? এত বছর ধরে কেউ ভাবল না, এখানে বিমান দুর্ঘটনা ঘটলে স্কুল-কলেজ-জনপদের কী হবে?
প্রশাসন, কর্তৃপক্ষ, এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান— কারো কি আগে কখনোই এই ঝুঁকি মাথায় আসে নি?
উদ্ধার ব্যবস্থা কোথায়?
ঘটনার পর উদ্ধার কাজে প্রথম ১৫-২০ মিনিট প্রশাসনের কেউ নেই।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্থানীয় মানুষ নিজেরাই ঝাঁপিয়ে পড়ল। রাষ্ট্রের সেই বাহিনী, সেই উদ্ধারকারী দল কই, যারা বাজেটের কোটি কোটি টাকা খরচ করে?
সত্যি বলতে— দেরিতে এসে উপস্থিতি জানান দিলেও, তখন আর ততটা প্রয়োজন ছিল না। এ যেন “শেষ মেশ পত্রিকার ছবি তোলার প্রস্তুতি।”
কলেজ প্রশাসনের দায়?
মাইলস্টোন কলেজেরও দায়িত্ব ছিল শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নেওয়া।
বিমানঘাঁটির লাগোয়া প্রতিষ্ঠান হওয়ায় নিয়মিত মহড়া, নিরাপত্তা drill, জরুরি বহির্গমন পরিকল্পনা— কিছুই ছিল না।
আজ একজন শিক্ষক নিজের জীবন দিয়ে সেই ব্যর্থতার শূন্যস্থান পূরণ করেছেন। অথচ প্রশাসন আর কলেজ কর্তৃপক্ষ ব্যস্ত— প্রেস বিজ্ঞপ্তি আর সহানুভূতির কথা বলে নিজেদের দায়মুক্ত করতে।
দায় কোথায়?
বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ কি দায় এড়াতে পারে?
ফায়ার সার্ভিসের দ্রুততা কোথায় ছিল?
কলেজ প্রশাসন কি সত্যিই প্রস্তুত ছিল?
উত্তর নেই। থাকবে না। কারণ, এ দেশে মৃত্যু নিয়ে দায়ী থাকার কেউ নেই।
পরবর্তী করণীয় কী?
১. রাজধানী এলাকায়, বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি, বিমানঘাঁটির কার্যক্রম পুনর্মূল্যায়ন জরুরি। ২. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরাপত্তা মহড়া, জরুরি বহির্গমন প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। ৩. দুর্ঘটনার সময় উদ্ধারকারীদের দ্রুততার জন্য স্বয়ংক্রিয় কমান্ড সিস্টেম গড়ে তুলতে হবে। 4. নিহতদের পরিবার ও সাহসিকতা দেখানো ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
শেষ কথা:
মাহরীন চৌধুরীর মৃত্যু কেবল একজন শিক্ষকের মৃত্যু নয়—
এটা একটা ব্যবস্থা, রাষ্ট্র ও বিবেকের মৃত্যুও।
দায়ী কে? এই প্রশ্নের উত্তর আজকের না হয়, একদিন ঠিকই চাইবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
২| ২২ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:১৬
কাঁউটাল বলেছেন:
২২ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:৪৯
কিরকুট বলেছেন: ভাগ বাটয়ারা করে যা থাকে তাই দিয়েই তো কেনে। এতে অত্যাধুনিক প্লেন হবে না।
৩| ২২ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:৪২
কাঁউটাল বলেছেন:
২২ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:৫২
কিরকুট বলেছেন: তৃতীয় বিশ্বের স্বাভাবিক চিত্র। আপনি উলটা প্রশ্ন করতে পারেন, কেন প্রশিক্ষণ বিমান জনবহুল এলাকায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালাবে। কেন বিমান চলাচলের অবস্থানে স্কুল তৈরী করারা অনুমতি দেয়া হলো।
৪| ২২ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:৩৩
কাঁউটাল বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:১০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জিয়াউর রহমানের ভাতিজি বলে মেডাম ।