![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষ, আমি বাঙালি। আমার মানবিকতা, আমার সংস্কৃতির উপর আঘাত হানতে চাওয়া, ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাওয়া প্রাণী মাত্রই আমার কাছে পিশাচ। আমার দেশের উপর আঘাত হানতে চাওয়া প্রাণীদের পালনকারী, প্রশ্রয়দানকারী মাত্রই আমার কাছে পিশাচ, রাক্ষস। হোক সে যে কোনো সাম্প্রদায়িক কিংবা ঢেঁড়স চাষ পরামর্শক।
মাহদী, এই নামটি মুসলিম সমাজে এক রহস্যময় আলোচনার বিষয়। কেউ বলেন তিনি বাস্তব, আবার কেউ বলেন প্রতীকী চরিত্র। কেউ মনে করেন, এই ধারণা রাজনীতির জন্ম দেওয়া; আবার কারও কাছে তিনি এক আধ্যাত্মিক আশার আলো। তাহলে আসল ঘটনা কী? চলুন আলোচনা করি।
কোরআনে কি ইমাম মাহদীর নাম আছে?
না, কোরআনে সরাসরি ইমাম মাহদী নামটি নেই। তবে কিছু আয়াতকে অনেক আলেম তাঁর আগমনের ইঙ্গিত হিসেবে দেখেছেন। যেমন: সূরা আন নূর (২৪:৫৫): আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তোমাদের মধ্য থেকে যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, তাদেরকে পৃথিবীতে খলিফা করবেন। সূরা আল আনবিয়া (২১:১০৫): আমরা লিখে দিয়েছি যে, পৃথিবীর উত্তরাধিকারী হবে সৎকর্মশীলরা।অর্থাৎ কি দাড়ালো কোরআনে মাহদীর নাম নেই, তবে কিছু কিছু আলেমরা ন্যায়পরায়ণ নেতার প্রতিশ্রুতিকে মাহদীর ইঙ্গিত হিসেবে দাবী করেন।
হাদিসে ইমাম মাহদীর উল্লেখ আছে কি?
হ্যাঁ, বেশ কিছু সহিহ হাদিসে ইমাম মাহদীর কথা এসেছে।সহিহ হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি যে,নবী মুহাম্মদ বলেছেন,মাহদী আমার বংশধর, ফাতিমার সন্তানদের মধ্য থেকে হবেন। সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ৪২৮২। এছাড়াও অন্য এক হাদিসে জানতে পারি যে,তিনি পৃথিবীকে ন্যায়বিচারে পূর্ণ করবেন, যেমনটা আগে জুলুমে ভরে গিয়েছিল। মুসনাদ আহমদ, হাদিস: ১১৩১৩।
এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু দুর্বল হাদিসও আছে, সব হাদিস সমান শক্তিশালী নয়। কিছু জাল বা দুর্বল আছে। তবে শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া, ইবনে কাসীর ও শাওকানির মতো বড় আলেমরা একমত যে মাহদীর আগমন সম্পর্কিত হাদিসগুলো মোটাদাগে সহিহ ও গ্রহণযোগ্য।
সুন্নি ও শিয়া মুসলমানদের বিশ্বাসের পার্থক্য কী? সুন্নি মুসলমানদের বিশ্বাস মাহদী এখনো জন্ম নেননি। কিয়ামতের কাছাকাছি সময়ে মক্কায় জন্ম নেবেন। তিনি মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ করবেন। তাঁর যুগে দাজ্জাল প্রকাশ পাবে এবং ঈসা (আঃ) নাজিল হয়ে দাজ্জালকে হত্যা করবেন।
শিয়া মুসলমানদের বিশ্বাস, মাহদী ইতিমধ্যেই জন্ম নিয়েছেন। তিনি দ্বাদশ ইমাম, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান আল মাহদী। ৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে জন্ম নিয়ে বর্তমানে গায়ব আছেন। নির্দিষ্ট সময়ে তিনি প্রকাশিত হয়ে বিশ্বে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন।
ইতিহাসে কি মাহদী দাবি করা মানুষ ছিল? হ্যাঁ, ইতিহাসে অনেকেই নিজেদের মাহদী দাবি করেছেন। ১৯শ শতকে সুদানে মাহদী আন্দোলন, উত্তর আফ্রিকার ফাতিমিদ খেলাফতও নিজেদের মাহদীর অনুসারী দাবি করেছিল। বোঝা যায়, মাহদীর নাম শুধু আধ্যাত্মিক নয়, রাজনৈতিক আন্দোলনেও ব্যবহৃত হয়েছে।
সমালোচকদের মতে মাহদী কে?
আধুনিক গবেষকরা মনে করেন, মাহদী এক ধরনের আশার প্রতীক। কোরআনে সরাসরি উল্লেখ না থাকায় তাঁরা বলেন, এই কাহিনি সম্ভবত রাজনৈতিক ও ধর্মীয় চাহিদা থেকে জনপ্রিয় হয়। কারও মতে, মাহদী একজন প্রতীকী ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাকারী নেতা, যিনি যেকোনো সময় ইতিহাসে আসতে পারেন।
কোরআনে ইমাম মাহদীর নাম নেই। তবে সহিহ হাদিসে তাঁর আগমনের বর্ণনা পাওয়া যায়। সুন্নি ও শিয়া উভয়েই তাঁর আগমন মানেন, তবে জন্ম হয়েছে কি না সে বিষয়ে মতভেদ আছে। ইতিহাসে মাহদীর ধারণা রাজনীতি ও আধ্যাত্মিকতার মিশ্রণ ঘটিয়েছে।তিনি বাস্তব ব্যক্তি হবেন নাকি প্রতীক,এটা বিশ্বাস ও ব্যাখ্যার ওপর নির্ভর করে।
সূত্র
1. সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ৪২৮২
2. মুসনাদ আহমদ, হাদিস: ১১৩১৩
3. ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪০৮৫
4. শাওকানি, আল-তাওদীহ ফি তাওতর আহাদিস আল-মাহদী
5. ইবনে তাইমিয়া, মাজমু আল-ফাতাওয়া
6. ইবনে কাসীর, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া
এ ছাড়াও একটা ভিডিও লিংক দিলাম যেখানে বক্তা স্পষ্ট করে এই বিষয়ে তার যৌক্তিক ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন। ইমাম মেহেদী
২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:১৭
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
ইসলাম ধর্মে অনেকে অনেককিছু যোগ করেছে আপনিও চাইলে যোগ করতে পারেন; উহা এক সময় হাদিসে পরিণত হবে। যারা হাদিস রচনা করেছে, তারা যেই সময়ের ধার্মিক, যাদের প্রেডিকশান/ চিন্তাভাবনা সঠিক ছিলো না।
৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৪
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
সবগুলো ধর্ম মিথ্যা ও রুপকথার উপর ভিত্তি করে রচনা করা হয়েছিলো।
৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪৭
কামাল১৮ বলেছেন: কোরান নিজেই একটা মিথ।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এদিকে নুরাল পাগলা নিজেকে মাহদি দাবি করে বসে ছিলো।