নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামুতে কখনো কখনো কোন ব্লগার অপ্রাসঙ্গিক, উলটাপালটা এবং হাবিজাবি মন্তব্য করেন। তাদের দুজন হলেন চাঁদগাজী এবং উলটা নারি। উলটা নারির জীবনের দুঃখজনক অভিজ্ঞতা তাকে এমন উল্টাপাল্টা মন্তব্যকারী বানিয়েছে, কিন্তু চাঁদগাজী? কোন দ্রব্যের প্রভাব ছাড়া এমন মন্তব্য কি করে করা যায়?
যে ঘটনা নিয়ে গাজীর বিচারক সুলভ মন্তব্য তা এই-
বুয়েটে খাসির বিরানি বলে গরুর বিরানি দেয়া হয়েছে - ঘটনা ঘটে গত ২৬.১১.২০১৬ এর রাতে। সিভিল সামিট নামক পাঁচ দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান কেবল ছাত্রদের দেয়া জনপ্রতি তিনশো টাকায় করা সম্ভব হয় না। তাই আয়োজক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন (সেসা) বিভিন্ন স্পন্সর জোগার করে। সেসার সদস্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর হিন্দু এবং মুসলমান ছাত্ররা। এই স্পন্সরদের অর্থসাহায্য নিয়ে তারা টি- সার্ট, খাবার, কন্সার্ট ও সেমিনারের আয়োজন করে। ছাব্বিশ তারিখের স্পন্সর ছিল আনোয়ার গ্রুপ, সেদিনের অনুষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য ছিল প্রথমবারের মত আইকন অফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সম্মাননা প্রদান, ডাঃ জামিলুর রেজা চৌধুরী এবং ডাঃ এফ আর খানকে (প্রয়াত) । এমন একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব স্পন্সর আনোয়ার গ্রুপ ছাত্রদের উপর ছেড়ে না দিয়ে করতে দেয় লেভেল ক্রসিং নামক একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে, লেভেল ক্রসিং অনুষ্ঠানের খাবার, খাসির বিরানি সাপ্লাই এর দায়িত্ব দেয় এক ক্যাটারার কোম্পানিকে। সেই ক্যাটারার খাসির বিরানি বলে গরুর বিরানি বিলি করে এবং কিছু ছাত্র তা খেতে শুরু করে। গরু এবং খাসি দুইই যে খেয়েছে সে গরু এবং খাসির স্বাদের তফাৎ বোঝে। সুতরাং এমন কিছু ছাত্র সন্দেহ করে যে খাসির বদলে গরুর বিরানি দেয়া হয়েছে বলে। সন্দেহের কথা জানানোর সাথে সাথেই খাওয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। অবশ্য ততক্ষণে কয়েকজন হিন্দু ছাত্র বিরানি খেয়ে ফেলেছে। হই চই শুরু হয়, সেদিনের অনুষ্ঠান এবং পরদিনের কন্সার্ট বাতিল হয়, দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবী জানানো হয়। কিন্তু দায়ী কে? বুয়েট? খাবার অর্ডার দেয়া, রান্না করা এবং প্যাকেট করা- এর কোন পর্যায়েই বুয়েটের কোন ছাত্র, শিক্ষক বা কর্মচারীর সংশ্লিষ্টতা ছিল না।তাহলে কেন বুয়েটকে নরপিশাচ বলে গালাগালি?
এবার দেখি এই ঘটনায় দুটি পোস্টে চাঁদগাজীর মন্তব্য:
-আগামী দিনের ঘুষখোর ও চোরদের এত ভাল খাবার কি কারণে দেয়া হচ্ছে?
-আমেরিকা এসে গেলে নাইজেরিয়ান গুলোও মানুষের মত চলে, বুয়েটকে মাপতে হবে বাংলাদেশে, এরা ইতর
-বুয়েটে নতুন প্রশাসন ও নতুন শিক্ষক দেয়ার দরকার, ওখানে যেগুলো আছে সেগুলো ক্রিমিনাল ।
আমেরিকা এসে গেলে নাইজেরিয়ান গুলোও মানুষের মত চলে, কিন্তু কিছু বাংগালী কেন মানুষের মত চলতে পারে না তাই বুঝতে পারলাম না, চাঁদগাজী।
২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
নাইজেরিয়ান প্রসংগ এসেছিল এক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে; সেখানে বলা হয়েছিল যে, বুট্য়েটের গ্রাজিয়েটেরা আমেরিকায় "ভালো' করছেন; তার উত্তরে আমি বলতে চেয়েছিলাম যে, আমেরিকা এলে, নাইজেরিয়ানরাও ভালো হয়ে যায়; সুতরাং বুয়েটের গ্রাজুয়েটদের মেপে দেখতে হবে যখন উনারা বাংলাদেশে কাজ করেন; পরিস্কার?
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১১
করুণাধারা বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ চাঁদগাজী, ব্যাখ্যা দেবার জন্য। ব্যাপারটা হচ্ছে হঠাত ঘুম ভেংগে দেখলেন ডাকাত ডাকাত বলে ৬/৭ জনকে পেটান হচ্ছে, আপনিও তড়িঘড়ি করে উঠে পেটাতে লাগলেন, ডাকাতগুলোকে মেরে ফেললেন আর তারপরে জানলেন এরা নিরীহ মানুষ ছিল। আপনি বিচক্ষণ মানুষ, এটা আপনাকে মানায় না। আপনি এবং আপনার মত অনেকেই গালিগালাজ করছেন বুয়েটকে, ফলে যে ছেলেগুলো এই অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটিতে ছিল তাদের আজ বুয়েটের সমস্ত শিক্ষক ও ছাত্ররা দোষারোপ করছে। এর ফল হবে এই যে, বুয়েটের ছাত্রদের আর এ ধরনের অনুষ্ঠান করতে দেয়া হবে না । বাজেট স্বল্পতার জন্য বুয়েটে অতি অল্প গবেষণার কাজ হয়, কেবল এরকম অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই ছাত্রদের সুযোগ হয় নিজেদের গবেষণা পত্র উপস্থাপনের। এখন সেটাও বন্ধ হয়ে যাবে।
আয়োজক ছেলেদের উচিৎ ছিল প্যাকেট খুলে দেখা অর্ডার অনুযায়ী খাসি দেয়া হয়েছে কিনা। তা তারা করেনি প্রথমত অল্পবয়সের কারনে অভিজ্ঞতার স্বল্পতা আর দ্বিতীয়ত তারা আনোয়ার গ্রুপের মত নামী প্রতিষ্ঠানকে ভরসা করেছিল। যে নিগ্রহের শিকার তারা হল তাতে বাকি জীবনে এরা আর কাউকে বিশ্বাস করবে না।
মড়া প্রাণী খাওয়া মুসলমানদের জন্য হারাম। তবু প্রতিদিন ভোরে কাওরানবাজার থেকে যে কয়েকশ মড়া মুরগী বিভিন্ন হোটেলে সাপ্লাই যায়, যার সাথে জড়িত সাপ্লাইয়ার, ভ্যানচালক, পুলিশ ও হোটেলওয়ালা - এরা কেউ কিন্তু হারাম খাওয়াবার জন্য এটা করেনা, তারা করে শুধু পয়সার জন্য । ফলে ফরমালিন মানুষ মারার উদ্দেশ্যে মেশায় না, আর কুত্তা পোলাও পরিবেশিত হয় অর্থ এর কারনেই। বুয়েটের খাসির বদলে গরু পরিবেশন কেবল এই কারনেই হয়েছে।
আশাকরি শিগগীরই ভুল বোঝা বুঝির অবসান হবে।
৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৫
কানিজ রিনা বলেছেন: কেউ যদি উলটাইয়া যায় তয় আমনে
পাল্টাইয়া গ্যালেই হয়।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৬
করুণাধারা বলেছেন: বাহ, কানিজ রিনা আপনিতো চমৎকার মন্তব্য করলেন! আন্তরিক শুভকামনা আপনার জন্য। ব্লগে লেখার সাথে সাথে আপনি অর্কিড এ ফুল ফোটাবার কাজ করে দেখতে পারেন। এই সুন্দর ফুলগুলো যে কোন মানুষের মন ভাল করে দিতে পারে।
৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৩০
গড়াই নদীর তীরে বলেছেন: চাঁদগাজীর মত ব্লগারদের জন্যই ব্লগে ফ্লাডিং শুরু হয়। কয়েকদিন আগেও ব্লগের বারোটা বেজে গিয়েছিল। মাগার মগজহীনদের উদ্দেশ্যে চাঁদগাজীর সালসা মার্কা জ্ঞান বিতরণ কমিল না।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৯
করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ এবং স্বাগতম ব্লগে।
৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্লগে মন্তব্য করার সময় প্রত্যেকেরই উচিত অন্যের মতামত ও মান সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা। সমালোচনা করা যেতে পারে, তবে তা করতে হবে শালীনতার মধ্যে থেকেই।
১৫ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২
করুণাধারা বলেছেন:
ধন্যবাদ। সত্যিই তো, ব্লগে মতামত।দেবার এবং সমালোচনা করার অধিকার সকলেরই আছে। দেরিতে হলেও বুঝতে পেরেছি।আসলে খুব প্রিয় কিছুকে আক্রান্ত হতে দেখে বিবেচনাবোধ হারিয়ে ফেলেছিলাম
৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৩৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
নতুন বছরে নতুন কিছু নিয়ে ভাবার সময় হয়েছে, লেখার সময় হয়েছে, লিখুন
১৫ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩
করুণাধারা বলেছেন:
ধন্যবাদ। ভাবলাম, এবং লিখেও ফেললাম এই নতুন বছরে।
৭| ০১ লা মে, ২০১৯ দুপুর ১২:১৪
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চন্দ্রগাজীর উপর গবেষণায় কত কি পেয়েছি !
এটাও দেখে গেলাম
০৫ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:১৬
করুণাধারা বলেছেন: গবেষণার ফল প্রকাশে আর কত দেরি হবে? অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
এটা ব্লগ, এখানে মিলাদ হয় না, হয় মত-বিনিময়।
প্রত্যেক ব্লগার অন্যদের মতামত চায় 'কমেন্ট' আকারে; আমি আমার মতামত জানাই; "সুন্দর", "ভালো", "প্লাস প্লাস", "চা দেন, আমি প্রথম করেছি", ইত্যাদি লেখার জন্য আমি ব্লগে সময় ব্যয় করি না।