নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গাছ পাখি আর মানুষ মারা যায়। একই ভাবে নদীও যে মারা যেতে পারে তা প্রথম জেনেছিলাম দাপ্তরিক ভ্রমণে দক্ষিনাঞ্চলে গিয়ে।আমি যে দপ্তরে কাজ করতাম সেখানের একটি কর্মসূচীতে আমার একদিন শুধুই দক্ষিণাঞ্চলের অনেকগুলো নদী দেখবার কথা ছিল। ঠিক করলাম প্রতি নদীর তীরে কিছুক্ষণ করে বসে নদীতীরের দৃশ্য দেখব। তো নদী দেখার যাত্রায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেঠোপথ পেরিয়ে এক জায়গায় জিপ থামল। দেখি আদিগন্ত ধানক্ষেতের মধ্যে এক নালা।
-নদী কই?
-এটাই নদী, এখন মরে গেছে।
নদীর মৃত্যু আর গাছ, পাখি কিংবা মানুষের মৃত্যু এক না। গাছ, পাখি কিংবা মানুষ বংশধর সৃষ্টি করে হাজার বছর ধরে বেঁচে থাকতে পারে কিন্তু একটি নদী, যা সৃষ্টি হতে লাগে কয়েকশ বছর তাকে এক বছরের মধ্যেই মেরে ফেলা যায়- কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও মানুষ একটিও নদী সৃষ্টি করতে পারে না। তবু মানুষ নির্বিচারে নদীকে মেরে ফেলে। সেযাত্রায় আমাকে দশ/ বারোটা নদী দেখানো হয়েছিল যার সবকটাই ছিল মরা নদী। আমার বিস্ময় আর ক্ষোভ দেখে আমার প্রদর্শক খুব বিস্মিত আর বিরক্ত হয়ে বললেন,
-মানুষ বাড়ছে তাই ক্ষেতখামার ঘরবাড়ির জন্য জমি প্রয়োজন । এই নদী গুলো ব্যবহার না করলে কিভাবে সেই প্রয়োজন মিটবে বলেন?
আসল ব্যাপার কোন প্রয়োজন মেটানোর জন্য নয় বরং মানুষ জমির লোভে পড়েই এদেশের অসংখ্য ছোট আর মাঝারি নদীকে মেরে ফেলে। এটা করতে নদীর বুকে দৈর্ঘ্য বরাবর প্রথমে পুঁতে দেয় সারি সারি বাঁশ বা গাছের গুঁড়ি, তাতে স্রোতধারা সংকীর্ণ হতে হতে একসময় পুরোপুরি শুকিয়ে যায়। তখন তাতে মাটি, বালি দিয়ে ভরাট করে ঘরবাড়ি, কলকারখানা গড়ে তোলে, সেইখানে এক নদী ছিল জানবে না আর কেউ! ছোট নদীকে মারতে আরেকটা কাজ করে মানুষ - নদীর বুকে আড়াআড়ি ভাবে বাঁশ পুঁতে দেয়, তাতে নদী কতগুলা স্রোতহীন পুকুরের মত হয়ে যায়। সেগুলো ভরাট করে নিলেই তৈরি হয়ে যায় দামী জমি। বলা ভাল, এভাবে নদীকে মেরে ফেলে যে মানুষগুলো তারা কোন সাধারন মানুষ নয়, তারা ক্ষমতার দাপটে উন্মত্ত মানুষ।
দেশের সকল এলাকাতেই শুকনা মৌসুমে যখন নদীতে খুব অল্প পানি থাকে তখন নদীর পানি পাম্প করে নদী তীরের ফসলী জমিতে সেচ দেয়া হয়। ফলে নদী শুকিয়ে যায়- সেই শুকানো নদীর বুকে তখন ধান ফলান হয়। এভাবে কিছু ধান উৎপন্ন করে লাভ হয় ঠিকই কিন্তু নদীর মাছ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। কারণ নদী শুকনো থাকে এপ্রিল মে মাস পর্যন্ত, এই সময়টা মাছের ডিম ছাড়া আর পোনা উৎপাদনের সময়, তাই পানির অভাবে মাছের উৎপাদন প্রায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। বড় নদীতে পানি বেশি থাকে, নদীতীরের লোকবসতি আর নৌ চলাচলের ফলে মানুষের নজরদারীতে থাকে ফলে সেগুলোকে এতসহজে দখলদাররা মারতে পারে না। মরে কেবল বড়নদী থেকে উৎপন্ন উপনদী, শাখানদী আর প্রশাখানদী। অবশ্য কিছু কিছু বড় নদীও এখন মৃত্যুপথ যাত্রী। মানবসৃষ্ট কিছু স্থাপনা ও পরিকল্পনা এবং জলবায়ু পরিবর্তন এদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। শুরু করি বুড়িগঙ্গাকে দিয়ে। বুড়িগঙ্গা যেন বুক পেতে দিয়েছে ঢাকা নগরের সমস্ত বর্জ্য ধারণ করবার জন্য।
বুড়িগঙ্গাতে প্রতিদিন ঢালা হয় বিভিন্ন শিল্প কারখানার, ট্যানারির, হাসপাতাল ও ইটভাটার বর্জ্য, কয়েকটন পলিথিন, সারা দেশের নানা অঞ্চল থেকে সদরঘাটে যে ফল আসে তার মধ্যেকার পঁচা ফল - যা ফল ব্যবসায়ীরা বুড়িগঙ্গায় ফেলেন। এভাবে বুড়িগঙ্গায় প্রতিদিন সাড়ে চার হাজার টন নানা ধরনের ধরনের আবর্জনা আর ট্যানারির বাইশ হাজার লিটার বিষাক্ত বর্জ্য ফেলা হয়। পলিথিন জমে বুড়িগঙ্গার তলদেশ দশ বারো ফুট ভরাট হয়ে গেছে। এই ঢালা কর্ম ঠেকানোর জন্য আইন আছে কিন্তু তার প্রয়োগ নেই। বুড়িগঙ্গার দূষণ আরো বাড়িয়ে চলেছে ওয়াসা। প্রতিটি বড় শহরেই বৃষ্টিজল বাহী নালা আর পয়ঃনিষ্কাশন নালা আলাদা থাকে কিন্তু আমাদের ঢাকা ওয়াসা এই দুই ধরনের নালাকে একত্রিত করে বুড়িগঙ্গায় ফেলছে। ফলে বুড়িগঙ্গার অবস্থা দাঁড়াল এই- দুপাশ ভূমিদস্যুদের দখলকৃত, নদীতল পলিথিনে ভরাট আর পানি দূষিত! এই দূষিত পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন কমে যায়। জলজ জীবন বিকশিত হবার জন্য পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমান অন্তত চার পিপিএম হতে হবে কিন্তু বুড়িগঙ্গায় তার পরিমান শূন্য পিপিএম।ফলে বুড়িগঙ্গায় কোন মাছ নেই, জীবন নেই। বুড়িগঙ্গা এক মৃত নদী।
এরপর পদ্মানদী- আমাদের এই পদ্মা নদীর ঢেউ নিয়ে কত গান আছে। অথচ শুকনো মৌসুমে আজ পদ্মায় ঢেউ নেই, জল নেই।
এখন পদ্মা মরে যাচ্ছে। পদ্মার প্রবাহ কমার পেছনে জলবায়ুর পরিবর্তন কিছুটা দায়ী হলেও এর মূল দায় নদীর উজানে ভারতে অবস্থিত বিভিন্ন স্থাপনা, যা পদ্মায় পানি আসতে দেয় না। ফারাক্কা বাঁধের মাধ্যমে একতরফা এবং অন্যায় ভাবে ভারত গঙ্গার পানি আটকে রাখছে, এরফলে ভারতের কোন কোন প্রদেশ যখন বন্যায় ভাসছে তখন পদ্মায় ধূ ধূ চর। ফারাক্কা বাঁধ ছাড়াও গঙ্গা নদীর উপর কানপুরে নির্মিত হয়েছে গঙ্গা ব্যারেজ, হরিদ্বারে পানি প্রত্যাহারের জন্য নির্মিত হয়েছে কৃত্রিম খাল, উত্তরপ্রদেশ আর বিহারে গঙ্গানদীর উপর চারশ পয়েন্ট থেকে সেচের জন্য পানি প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এভাবে হাজার হাজার কিউসেক পানি প্রত্যাহারের ফলে ফারাক্কায় পানি কমে গেছে। আবার পদ্মা শুকিয়ে যাবার ফলে এর সাথে সংযুক্ত সমস্ত শাখা নদী আর খাল বিল শুকিয়ে গেছে, সেইসাথে আশংকাজনক ভাবে নেমে গেছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। পদ্মার বুকে চর পড়ছে, ইলিশ দূরে থাক, পদ্মাতে মাছের প্রাপ্তি প্রায় শূন্য। অনেক গভীর নলকূপ অকেজো হয়ে পড়ছে।
একই ভাবে শুকিয়ে মারা যাচ্ছে তিস্তা নদী। খরাপ্রবন রংপুর এলাকায় সেচ সুবিধা দেবার জন্য নীলফামারীতে তিস্তা নদীর উপর তিস্তা ব্যারেজ নির্মিত হবার কিছুদিন পর এর থেকে একশ দশ কিলোমিটার দূরে ভারতের গজালডোবায় নির্মাণ করা হয় ব্যারেজ আর তারপর থেকেই ভারত একতরফা ভাবে তিস্তার পানি প্রত্যাহার করতে থাকে। প্রয়োজনীয় পরিমান পানির অভাবে তিস্তা আর এর সাথে সংযুক্ত সমস্ত শাখানদী, উপনদী আর সেচখাল শুকিয়ে যেতে থাকে। নীলফামারী জেলার কুড়িটি নদীর অধিকাংশই মরে গেছে।
একটা নদী, ছোট বা বড় যাই হোক, তার সাথে অনেক মানুষের জীবন ও জীবিকা জড়িয়ে থাকে। যখন নদী মরে যায় তখন কি হয়? পানির অভাবে মাঝি নদীতে নৌকা চালাতে পারেনা, জেলে মাছ ধরতে পারে না, সেচের অভাবে কৃষকের ফসল শুকিয়ে যায়। নদীকে জমিতে রূপান্তরিত করে সেখানে কলকারখানা স্থাপন করলে যত লোকের কর্মসংস্থান হয় তার তুলনায় এই কর্মহীন জেলে, মাঝি ও কৃষকের সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি। অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। পরিবেশের যে ক্ষতি হয় তা অপূরণীয়।
আমাদের দেশে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে কয়েকটি সংস্থা আছে যেগুলোর কাজ নদী নিয়ে, নদীর তীর ভাঙনের কবল থেকে রক্ষণাবেক্ষণ করা কিন্তু নদী বাঁচানোর জন্য কেউ কাজ করে না। পানি উন্নয়ন বোর্ড দেশের পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ ও সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য কাজ করে থাকে। এই বোর্ড অনেক কাজের মধ্যে নদী নিয়েও কাজ করে থাকে যেমন নদী ও অববাহিকার উন্নয়নকল্পে নদীতীর রক্ষণ, ব্যারেজ, রিজার্ভার, বাঁধ ইত্যাদি নির্মাণ,বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি নিষ্কাশন, নদীর পানি দিয়ে সেচ দেয়া ও খরা নিয়ন্ত্রন। এছাড়াও মৎস্যসম্পদ, বনজসম্পদ, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ,পরিবেশ উন্নয়ন ও নৌপথের নাব্যতা রাখতে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি করতে নদী খনন করে থাকে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নদী গবেষণাগার (River research institute) নদী নিয়ে গবেষণার কাজ করে। পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা (Water resources planning organization) বাংলাদেশের পানি নীতি প্রনয়নের কাজ করে। Institute of water modelling নদীর গাণিতিক মডেল তৈরি করে বন্যার পূর্বাভাস, বন্যা নিয়ন্ত্রন করার জন্য আর আরো নানা ধরনের মডেল তৈরি করে। এই এতগুলো প্রতিষ্ঠান আছে নদী সংক্রান্ত কাজের জন্য অথচ এর কোনটিই একটি মৃতপ্রায় নদীকে বাঁচাবার জন্য কাজ করে না। এছাড়াওআমাদের আছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, আন্তঃ নদী পরিবহন কর্তৃপক্ষ (IWTA) যার কাজ জলপথে যাতায়াত সুগম করা। এজন্যে তারা নিয়মিতভাবে বিভিন্ন নদীতে ড্রেজিং করে তার নাব্যতা বজায় রাখে কিন্তু যে নদী একেবারে শুকিয়ে গেছে তাতে নৌ চলাচলের উপযোগী করার জন্য কিছু করে না।
তাহলে নদীরা কি এভাবে মরতেই থাকবে? না, আমাদের সচেতনতা নদীকে বাঁচাতে পারে। নদী বাঁচানোর জন্য দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক আইন রয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগ করে গঙ্গা ও তিস্তা নদীর মৃত্যু রোধ করা সম্ভব। আমাদের দেশীয় আইন দিয়ে নদীকে দখলদারিদের এবং দূষণকারীদের থেকে বাঁচানো সম্ভব। আমাদের সংবিধানের ১৮( ক) অনুচ্ছেদে বলা আছে, "দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীব-বৈচিত্র, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সুরক্ষা করতে রাষ্ট্র সদা সচেষ্ট থাকবে।" পরিবেশের সুরক্ষার জন্য আমাদের বেশ কিছু আইন আছে যেমন ২০১০ সালে প্রণিত পরিবেশ সংরক্ষণ আইন এবং ২০১৩ সালে প্রণিত পানি আইন ও নদী উরক্ষা কমিশন আইন যাতে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও নিরসন করে পরিবেশ সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পৃথিবীর যে অল্প কয়টি দেশে আলাদা পরিবেশ আদালত আছে বাংলাদেশ তার মধ্যে একটি। সুতরাং কোন নদী যদি দখলদার কবলিত হয় বা দূষিত হয় তবে ভুক্তভোগীরা পরিবেশ আদালতে বিচার চাইতে পারেন। সুবিচার হলে নদী বেঁচে যেতে পারে।
একসময় বলা হত মাছে ভাতে বাংগালী। সেসময় এদেশের নদীগুলো জালের মত ছড়িয়ে ছিল। উইকিপিডিয়া অনুযায়ী এদেশের নদীর সংখ্যা সাতশ। কি সুন্দর সব নাম এই নদীগুলোর- ইছামতী, মধুমতী, ইরাবতী, পায়রা, চন্দনা, সুগন্ধা, দুধকুমার, তরসা। এর মধ্যে কতগুলো হারিয়ে গেছে কে জানে! যদি একটিও নদী বাঁচে তাতে নদীর ভূ- উপরিস্থ পানির সাথে সাথে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তরের উচ্চতাও বেড়ে যায়। ফলে নদীর আশপাশের অঞ্চলে গাছপালা বেশী হয়, পরিবেশ ভাল থাকে। বেঁচে যায় সে নদীর মৎসকূল, ফলে বাঁচে জেলে সম্প্রদায়।যদি আমাদের সমস্ত নদীগুলো কার্যকরী থাকে তবে সারাদেশে নৌপথে যাতায়াত ও পরিবহন করা যাবে- এটা হবে সড়কপথের চেয়ে সহজ, সস্তা এবং অনেক নিরাপদ।ফলে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে বড় জনগোষ্ঠী।
আজ ১৪ই মার্চ, আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস, (International day of action for rivers) এদিন মূলত নদী বাঁচানোর চেষ্টাকরার দিন। এই দিন সম্পর্কে বলা হয়েছে, "এই দিনটিতে আমাদের পরস্পরকে জানাতে হবে আমাদের নদীগুলো কতটা ঝুঁকির মধ্যে আছে, এবং আমাদের জানতে হবে কিভাবে আমরা পানি এবং শক্তির সুষ্ঠু সমাধান পেতে পারি।"
১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০৩
করুণাধারা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য। বাংলাদেশের নদ-নদীর ম্যাপ খুল্লেই দেখতে পাবেন অসংখ্য নদী। আমি কয়েকটা শুকানো নদী দেখার যন্ত্রনা বহুবছর বয়ে বেড়াচ্ছি।
২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ নদী দিবসে নদীকে নিয়ে পোষ্ট দেয়ায়!
পদ্মার প্রবাহ কমার পেছনে জলবায়ুর পরিবর্তন কিছুটা দায়ী হলেও এর মূল দায় নদীর উজানে ভারতে অবস্থিত বিভিন্ন স্থাপনা, যা পদ্মায় পানি আসতে দেয় না। ফারাক্কা বাঁধের মাধ্যমে একতরফা এবং অন্যায় ভাবে ভারত গঙ্গার পানি আটকে রাখছে, এরফলে ভারতের কোন কোন প্রদেশ যখন বন্যায় ভাসছে তখন পদ্মায় ধূ ধূ চর।
কিছূটা না পুরোই দায়ী। আর তারচে বেশী দায় নতজানু দেশপ্রেমহীন সরকারের। ৫৪টা অভিন্ন নদীতে বাঁধ দিয়ে আজ সবগুলো মৃত! অথচ আমাদের বাহারী বিবৃতিবাজি আর তোষামুদি চলছে প্রতিযোগীতার সাথে! শেইম!
নদী বাঁচাও দেশ বাঁচাও একসময় রাজনৈতিক শ্লোগান মনে হত! আজ মনে হচ্ছে এরচে বড় সত্য আর নেই!
১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২০
করুণাধারা বলেছেন:
ধন্যবাদ ভৃগু, আমার ব্লগে স্বাগতম।
পদ্মার প্রবাহ কমার জন্য জলবায়ুর পরিবর্তনকে আমি কিছুটা দায়ী বলেছি কারণ আমার মনে হয়েছে এর ৯৫% দায় ভারতের বদ মতলব। আপনি বলছেন কিছুটা না, পুরোই দায়ী। কে? বুঝলাম না ঠিক।
৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১০
অবনি মণি বলেছেন: আজ ১৪ই মার্চ, আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস, (International day of action for rivers) এদিন মূলত নদী বাঁচানোর চেষ্টাকরার দিন। এই দিন সম্পর্কে বলা হয়েছে, "এই দিনটিতে আমাদের পরস্পরকে জানাতে হবে আমাদের নদীগুলো কতটা ঝুঁকির মধ্যে আছে, এবং আমাদের জানতে হবে কিভাবে আমরা পানি এবং শক্তির সুষ্ঠু সমাধান পেতে পারি।
১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৪
করুণাধারা বলেছেন:
ধন্যবাদ অবনি মনি। আজ থেকেই নাহয় নদী নিয়ে আমরা ভাবতে শুরু করি।
৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন:
খুবই হতাশা জনক খবর!
১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৯
করুণাধারা বলেছেন:
ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা। ঠিক বলেছেন, খুবই হতাশাজনক। আমাদের দেশের সব প্রতিষ্ঠানই অধিকার আদায়ে ব্যর্থ।
৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫৩
ধ্রুবক আলো বলেছেন: নদী মরে গেছে, অনেক নদী ছিলো যার আমরা জানিই না। অদূর ভবিষ্যৎ অন্ধকার। যদি না থাকলে পানি থাকবে না এক সময়!!
১৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:১৫
করুণাধারা বলেছেন: মরুভূমির দেশ ইউ এ ই তে পাঁচ লক্ষ ডলারের একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বৃষ্টিপাত বাড়াবার জন্য, যাতে তাদের।দেশটা কিছুটা সবুজ হয়।
আর আমরা আমাদের সবুজ দেশটাকে মরুভূমি বানিয়ে ফেলছি।
৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:১৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার মনে হয়েছে এর ৯৫% দায় ভারতের বদ মতলব।
আপনার সাথেই সহমত।
কাল মোবাইলে দেখায় হালকার উপর ঝাপসা কিছুটা কনফ্লিক্ট হয়েছিল সরি !
১৫ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২
করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ, ভৃগু।
৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০৪
মানবী বলেছেন: অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ পোস্ট!
"এখন পদ্মা মরে যাচ্ছে। পদ্মার প্রবাহ কমার পেছনে জলবায়ুর পরিবর্তন কিছুটা দায়ী হলেও এর মূল দায় নদীর উজানে ভারতে অবস্থিত বিভিন্ন স্থাপনা, যা পদ্মায় পানি আসতে দেয় না। ফারাক্কা বাঁধের মাধ্যমে একতরফা এবং অন্যায় ভাবে ভারত গঙ্গার পানি আটকে রাখছে, এরফলে ভারতের কোন কোন প্রদেশ যখন বন্যায় ভাসছে তখন পদ্মায় ধূ ধূ চর। ফারাক্কা বাঁধ ছাড়াও গঙ্গা নদীর উপর কানপুরে নির্মিত হয়েছে গঙ্গা ব্যারেজ, হরিদ্বারে পানি প্রত্যাহারের জন্য নির্মিত হয়েছে কৃত্রিম খাল, উত্তরপ্রদেশ আর বিহারে গঙ্গানদীর উপর চারশ পয়েন্ট থেকে সেচের জন্য পানি প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এভাবে হাজার হাজার কিউসেক পানি প্রত্যাহারের ফলে ফারাক্কায় পানি কমে গেছে। আবার পদ্মা শুকিয়ে যাবার ফলে এর সাথে সংযুক্ত সমস্ত শাখা নদী আর খাল বিল শুকিয়ে গেছে, সেইসাথে আশংকাজনক ভাবে নেমে গেছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। পদ্মার বুকে চর পড়ছে, ইলিশ দূরে থাক, পদ্মাতে মাছের প্রাপ্তি প্রায় শূন্য। অনেক গভীর নলকূপ অকেজো হয়ে পড়ছে।
একই ভাবে শুকিয়ে মারা যাচ্ছে তিস্তা নদী। খরাপ্রবন রংপুর এলাকায় সেচ সুবিধা দেবার জন্য নীলফামারীতে তিস্তা নদীর উপর তিস্তা ব্যারেজ নির্মিত হবার কিছুদিন পর এর থেকে একশ দশ কিলোমিটার দূরে ভারতের গজালডোবায় নির্মাণ করা হয় ব্যারেজ আর তারপর থেকেই ভারত একতরফা ভাবে তিস্তার পানি প্রত্যাহার করতে থাকে। প্রয়োজনীয় পরিমান পানির অভাবে তিস্তা আর এর সাথে সংযুক্ত সমস্ত শাখানদী, উপনদী আর সেচখাল শুকিয়ে যেতে থাকে। নীলফামারী জেলার কুড়িটি নদীর অধিকাংশই মরে গেছে। "
- এই প্যারা দুটি চাবুকের মতো মনে হলো।
আজ ১৪ই মার্চ, আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবসে পোস্টটি স্টিকি করা জরুরী ছিলো, এখনও করলে অনেকে সচেতন হতে পারবে।
যে দেশের সরকার বাংলাদেশের নদী হন্তারকদের কাছে নতজানু হয়ে নিজেদের মানুষ আর নদীগুলোকে প্রতিদিন মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়, সেখানে এই সচতেনতা শুধুই আমাদের অসহায়ত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়। দুঃখজনক ভাবে এধরনের তথ্যগুলো এখন সচেতনতার চেয়েও বেশী পীড়াদায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে মনে হয়।
জরুরী পোস্টটির জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা করুণাধারা।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।
১৫ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২
করুণাধারা বলেছেন: সেই গল্পের শ্রোতা হিসাবে আপনাকে পাব।
প্রতিবছর যে পাঁচ লক্ষ মানুষ গ্রাম থেকে ঢাকায় আসে তার বেশিরভাগই নদীভাঙনের শিকার। এছাড়াও নদীর পানি শুকিয়ে যাবার ফলে কর্মহীন হয় অনেক কৃষক, জেলে আর মাঝি। সমস্যা হচ্ছে এই মানুষগুলোর জীবনে নদী জড়িয়ে থাকলেও তারা জানে না কি করে,কোথায় প্রতিকার চাইতে হয়। নদী নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করে, নদীর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে পারি আমরা নগরবাসীরা যাদের জীবনে নদীর কোন ভূমিকা নেই। তাই আমরা নদীর মৃত্যু দেখেও নির্লিপ্ত থাকতে পারি! চেষ্টা করলাম একদিন নদী নিয়ে লেখবার। আপনার ভাল লেগেছে, কৃতজ্ঞতা জানাই।
ভাল থাকবেন, সবসময়।
৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: নদী মেরে ফেলার জন্য প্রকৃতির রুদ্ররোষে যেদিন এদেশ পড়বে, সেদিন আর প্রায়শ্চিত্তের সময় থাকবে না।
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের উপর আলোকপাত করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
১৫ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫
করুণাধারা বলেছেন:
ধন্যবাদ খায়রুল আ্হসান, আপনার মন্তব্য আমার লেখার অনুপ্রেরণা।
মাঝে মাঝে মনে হয় যদি বুড়িগঙ্গাকে সব কলুষতা থেকে বাঁচিয়ে তোলা যেত! আমাদের সদিচ্ছা আর আন্তরিক চেষ্টা থাকলে সেটা করা সম্ভব। প্রকৃতির রুদ্ররোষ পড়তেই পারে, যেভাবে ভূ-পরিস্থ এবং ভূ-গর্ভস্থ পানি কমে যাচ্ছে তাতে দেশের অনেক অঞ্চল মরূভূমি হয়ে উঠছে।
ভাল থাকবেন।
৯| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮
শেয়াল বলেছেন: আমার মতে ৯৬% দায়ী মোগোর সরকার গুলা হক্কলডি
১৫ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬
করুণাধারা বলেছেন:
ঠিক! ঠিক! ঠিক!
একেবারে ৯৭% ঠিক বলেছেন।
১০| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:০৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা ,
তথ্যপূর্ণ আপনার এই লেখাটি পড়ে মনে হলো , আগামী দিনে এই প্রজন্মকে দিগন্ত বিস্তৃত মাটির দিকে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে বলতে হবে , " এখানে এক নদী ছিলো ।"
৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৪৯
করুণাধারা বলেছেন:
প্রতিমন্তব্য করতে ভুল করে সবুজ তীর ক্লিক করিনি। দয়া করে নীচের মন্তব্যটা প্রতিমন্তব্য হিসাবে পড়ুন।
১১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৩৪
করুণাধারা বলেছেন:
এই ব্লগে আমার প্রথম দিনগুলোতে আপনি দীর্ঘ মন্তব্য করার মাধ্যমে পাশে থেকেছিলেন, সেটা আজো আমার জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে আছে।
কাজ করতে গিয়ে আমি নদী ভালবেসেছিলাম। আমি অসংখ্য নদী দেখেছি- তার কোনটি শান্ত,কোনটি প্রমত্তা। কারো দুই তীর বাঁধানো, কারো তীর ভেঙে যাচ্ছিল। তারপর প্রায় তিন দশক কেটে গেছে। আজ সেসব নদীর অনেকগুলোই শুকিয়ে গেছে। আপনি ঠিক বলেছেন, আমাদের একদিন আগামী প্রজন্মকে বলতে হবে, এইখানে এক নদী ছিল।একরকম দুঃখবোধ থেকেই এই লেখাটা শুরু করি।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন সবসময়।
১২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা ,
প্রতি মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ । আমাকে স্মরনে রেখেছেন জেনে ভালো লাগলো ।
কাজ করতে গিয়ে আপনি নদী ভালবেসেছিলেন আর আমি নদী ভালোবাসি মনের গরজে । তাই নদীর ছলাৎ ছলাৎ গান শুনতে কান পেতে থাকি। যখন সে গান রূদ্ধ হয়ে যায় তখন মনের কোথাও যেন টোল খেয়ে যায় । সে টোল খাওয়ার কারনেই আপনার এই পোস্টটি দেখে এখানে ঢুকে পড়া । নদীকে মরতে দেখলে বড় বেশি দুঃখ বাজে ।
আর তাই আপনার মতো দুঃখ বোধ নিয়ে আমিও লিখেছিলুম লিংকের পোস্টটি । দেখলে ভালো লাগবে ।
“এখানে এক নদী ছিলো”
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৩১
করুণাধারা বলেছেন:
ধন্যবাদ আহমেদ জী এস, এই চমৎকার পোস্টটির লিংক দেবার জন্যে। পোস্টটি পড়ে অনেকক্ষণ ভাবলাম। মন্তব্য আমি পোস্টেই করলাম।
আমাদের দেশে খনিজসম্পদ না থাকলেও জালের মত বিছিয়ে থাকা নদীগুলো এদেশের সম্পদ হতে পারত। যখনই কোন নদী ব্যবহার করে দেশের কোন উন্নয়নের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তখনই নীচু মানসিকতাসম্পন্ন শক্তিমান প্রতিবেশী দেশ ভারত সেই নদীর আর তার সমস্ত শাখা নদীর মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। গঙ্গা কপোতাক্ষ প্রকল্প আর তিস্তা প্রকল্প যদি কার্যকরী হত তবে আমাদের দেশটা অন্যরকম হত, এতগুলো নদী মরে যেত না। আমার মনে আছে, আমরা আশির দশকে প্রবল উৎসাহে তিস্তা ব্যারেজের কাজ করছিলাম, তখন ভারত শুরু করল গজালডোবা ব্যারেজ যাতে আমাদের এত পরিশ্রম আর অর্থব্যয় নিষ্ফল হয়ে গেল!
দেশীয় দখলদারদের হাত থেকে নদী বাঁচাতে প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা।
একদিন আমরা সকলেই নদীকে ভালবেসে নিশ্চয় নদী বাঁচানোর আন্দোলন শুরু করব।
ভাল থাকবেন।
১৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬
ধ্রুবক আলো বলেছেন: আমি আপনার লেখাটা আগে একবার পড়েছি। ৫ নং মন্তব্যটা আমার।
এরপরও আপনাকে একটা বিশেষ ধন্যবাদ দিতে হয়, কারণ এই লেখায় কিছু তথ্য আমার খুব প্রয়োজন হতে পারে। আমি একটা লেখা লিখছি, পানি, নদ, নদী, অদূর ভবিষ্যতে কি হতে পারে।
আমার ব্লগে চোখ রাখার জন্য অনুরোধ রইলো, আমি অনেক ঝামেলায় আছি তাই সম্পূর্ণ কোনো লেখা লিখতে সময় নিয়ে শেষ করি।
আর ঝামেলা ব্যস্ততা থাকা সত্বেও ব্লগে সবার লেখা পড়ার চেষ্টা করি।
শুভ কামনা জানবেন।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫১
করুণাধারা বলেছেন: আমি দুঃখিত এবং লজ্জিতও ধ্রুবক আলো, আপনার মন্তব্য করা পোস্ট আবার আপনাকে পড়তে দিয়েছি; আমার খেয়াল করা উচিত ছিল। যদি কোন তথ্য আপনার কাজে আসে তাহলে আমার পোস্ট দেয়া সার্থক। আমার পোস্ট দেবার দুতিন ঘন্টা পরই বিদ্রোহী ভৃগু একই বিষয়ের উপর রি-পোস্ট দিয়েছিলেন, সেটা অনেক তথ্য সমৃদ্ধ এবং অনেক লিংক দেয়া ছিল। আপনি সেটাও দেখতে পারেন।
ভাল থাকুন।
১৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭
ধ্রুবক আলো বলেছেন: সরি, কথা প্রয়োজন হতে পারে হবে না, প্রয়োজন হবে, হবে
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫১
করুণাধারা বলেছেন: আমি বুঝতে পেরেছি।
১৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৯
ধ্রুবক আলো বলেছেন: আমি দুঃখিত এবং লজ্জিতও ধ্রুবক আলো
এর কোনো প্রয়োজন নেই, আমার আরও খুব ভালো লেগেছে লিঙ্ক টা শেয়ার করেছেন। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
বিদ্রোহী ভৃগু ভাইয়ের পোস্টের লিংকটা যদি আপনার কাছে সংরক্ষণ করা থাকে তাহলে আমাকে দিন খুব উপকৃত হতাম।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১
করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ ধ্রুবক আলো, আবার ফিরে আসায়।
বিদ্রোহী ভৃগুর পোস্টের লিংক নেই, কিন্তু আশাকরি খুঁজে বের করতে পারব। তখন দিতে পারব।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫
করুণাধারা বলেছেন: পেয়েছি, এই যে ভৃগুর পোস্ট। Click This Link
শেষে দেখুন কত লিংক- আপনার মত কারো অপেক্ষায়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০২
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ