নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসছে!
সে আসছে।
জানি না সে ঠিক কখন আসবে, তার আগমনের কোন বার্তা সে আমাকে পাঠায়নি তবু জানি নিশ্চিত পদক্ষেপে সে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। জানি না, সে আসবার আগে জানান দিয়ে আসবে নাকি অতর্কিতে কালবোশেখীর ঝড়ের মত আমার উপর আছড়ে পড়বে! জীবন দোলায় দুলে দুলে তাকে ছিলাম ভুলে।তাকে ভুলে যাবার শোধ কি সে নেবে!
আমার জীবন আমার পরম প্রিয়।
আমার ভাল লাগে প্রিয় মুখের হাসি দেখতে, প্রিয় মুখে হাসি ফোটাতে, ভাল লাগে সবকিছু আরেকটু বেশি পাবার চেষ্টা করতে, ভাল লাগে নিশ্চিন্ততা, নিরাপত্তা। তাই আমি অষ্টপ্রহর ব্যস্ত থাকি এই নিশ্চিন্ততা আর সুখকে ধরতে, আর তা কেবলই মরীচিকার মত সরে যেতে থাকে, আর আমি তার পিছনে ছুটতে থাকি। ছুটতে ছুটতে ভুলে যাই জীবনে কত কিছু পেয়েছি,বরং যা পাইনি তার কথা ভেবে দুঃখে বুক ভেংগে যায়। আমার যা ছিল তাও গেলেম ভুলে যা নেই তার শোকে। আমি ভুলেই যাই আমার পরম করুণাময় আমাকে কি বলেছেন-
"এবং আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব ভয়,ক্ষুধা, সম্পদ ও প্রানের ক্ষতি ও ফল ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের।যখন তারা বিপদে পতিত হয় তখন তারা বলে নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয় আমরা তার কাছেই ফিরে যাব।"(সুরা বাকারাহ,১৫৫-১৫৬)
ফিরে যেতে হবে, এই কথাটা কেন যে শুধু ভুলে যাই।
কখনো হঠাৎ মনে পড়ে। কোন কোন রাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে পড়ে এই বিশ্ব কত অসীম, তুলনায় আমি কত তুচ্ছ। আমি চলে গেলে কারো জীবন থেমে যাবে না, কোথাও আমি কোন দাগ দিয়ে যেতে পারব না। তবু কেন আমার আশা,আনন্দ, দুঃখ, বেদনা, প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তি আমায় এমন উদ্বেল করে! এই সমস্ত কিছু রেখে চলে যাব সে এসে পৌঁছান মাত্রই, একপলক আগে যেতে পারব না, যাওয়া পেছাতে পারব না এক পলকের জন্যও। আবার কখনো তার কথা মনে পড়ে,চিৎ হয়ে শুয়ে বই পড়তে পড়তে। বইটা তখন হাত থেকে নামিয়ে রাখি। চোখ যায় উর্ধমুখী হয়ে থাকা পায়ের আঙুলগুলোর দিকে। মনে পড়ে ঠিক এই পজিশনে শুয়ে থাকব, একা। এই আঙুল গুলো হবে পোকার খাবার, আমার এই সযত্ন লালিত শরীর মিশে যাবে মাটিতে- Dust art thou, to dust art thou returnest। হায়, আজ যা নিয়ে দিবস রজনী যাপন করছি তার সবকিছুই তখন হয়ে যাবে মূল্যহীন! কখনো মনে পড়ে তার কথা যখন পেটে কেমন চাকা মত লাগে। ভাবি,নীরবে কি সে কর্কটরূপে তার বাহু বিস্তার করে চলেছে, হঠাৎই এসে বলবে, "চল, যাই।"
কেউ জানে না আগামীকাল সে কি অর্জন করবে, কেউ জানে না সে কোথায় মৃত্যুবরণ করবে।( সুরা লোকমান:৩৪)
আমি জানি না আগামীকাল আমার জন্য কি আছে।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯
করুণাধারা বলেছেন:
আপনার ভাললাগায় আমি অনুপ্রাণিত। অবশ্য পোস্টটি আপনার চেয়ে বেশি বয়স্কদের জন্য। তবু, মৃত্যু ভাবনা সব বয়সেই থাকা উচিত। কুল্লু নাফসীন যাঈকাতুল মাওত।
ভাল থাকুন। শুভকামনা।
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: একটি সেকেন্ড যাচ্ছে আর আমরা মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছি।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২
করুণাধারা বলেছেন:
ঠিক। তবু কতদিন এমনি গেছে, একবারো একসেকেন্ডের জন্যও মৃত্যুর কথা ভাবিনি।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন। শুভকামনা।
৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২
ওমেরা বলেছেন: কেন ৫৫+ হবে কেন মৃত্যু ভাবনা সব সময় করতে হবে এটা যে কোন সময় ই আসতে পারে ।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩
করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য, ওমেরা। ঠিক বলেছেন, মৃত্যু ভাবনা সবসময় করতে হবে তাহলে অনেক ধোঁকা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে সৎ আর সুন্দর জীবন গড়ে তোলা সম্ভব। আর ৫৫+ হলেই কারো মৃত্যুভাবনা হবে তা বলা যায় না।যার হয় না নয় এ, তার হয় না নব্বুই এ।
ভাল থাকুন ওমেরা, শুভকামনা।
৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০
সুমন কর বলেছেন: একদিন সবাইকে চলে যেতে হবে। লেখা ভালো লাগল।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮
করুণাধারা বলেছেন:
আপনার ভাল লাগায় আমি অনুপ্রাণিত সুমন কর। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ, মৃত্যু ভাবনা থাকা ভাল। তাতে চলে যাবার প্রস্তুতি নেয়াটা সহজ হয়।
ভাল থাকুন। সতত।
৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪৭
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
পোষ্টের শিরোনাম দেখে মনে করে ছিলাম, এ পোষ্টে শিশুদের প্রবেশ নিষেধ ;
মরিতে চাহিনা আমি এই সুন্দর ভুবনে ... যত বড় জ্ঞানী, গুনী ও বিজ্ঞানী হোক না কেন, কেউ মরিতে চায় না । তবুও সবার যেতে হবে অজানা ঠিকানায় । দুনিয়াতে কি পেলাম, আর কি পেলাম না। এ হিসাব কষতে কষতে দিন যায় । কিন্তু চলে যাওয়ার পরের সম্বল কতটুকু অর্জন করতে পারলাম, মনে এ ভাবনা আসে না।... এতো জ্ঞান বিজ্ঞান অর্জন করেও যদি স্বর্গে যাওয়ার পথ না চিনে যেতে পারি , এর চেয়ে র্দূভাগ্য আর কি হতে পারে !
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৫৯
করুণাধারা বলেছেন: না না প্রবেশ নিষেধ হবে কেন!! এসব কথা তাদের পছন্দ হবার নয়, তাই আগে থাকতেই সাবধানতা।
এত জ্ঞান বিজ্ঞান কাজে লাগিয়ে কি স্বর্গে যাবার সহজ পথ খুঁজে পাওয়া যাবে? পেয়েছে কি কেউ!
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন, সবসময়।
৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১৮
ঋতো আহমেদ বলেছেন: মৃত্যুকে নিয়ে এত ভাবার কিছু নেই। এটা একটা অবশ্যম্ভাবি মাত্র। বরং জীবনকে নিয়ে ভাবুন। জীবন সৃষ্টিময়, গতিময়তা, আনন্দ/বেদনাময়, প্রাণময়.. সৌন্দর্যময়।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:১১
করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার! ঋতো আহমেদ, দীর্ঘ শীতনিদ্রা শেষ হল তাহলে। এবার নতুন উদ্দীপনা নিয়ে কবিতা লিখতে শুরু করে দিন। আপনার কবিতাগুলো অন্যরকম। অনেকটা আবুল হাসান, সুরাইয়া বেগমের কবিতার মত। পাঠকপ্রিয়তা পেতে সময় লাগলেও তা পাবেই।
জীবনের সবচেয়ে বড় সত্যি মৃত্যু। তা নিয়ে না ভাবলে চলবে কি করে?
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।ভাল থাকুন। শুভকামনা।
৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:১০
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
এত জ্ঞান, বিজ্ঞান কাজে লাগিয়ে কি স্বর্গে যাবার সহজ পথ খুঁজে পাওয়া যাবে? পেয়েছে কি কেউ
প্রশ্ন ঠিক বুঝলাম না ?
ধর্মী বিষয় কি জ্ঞান না ? আর এখনে বিজ্ঞানের বলতে বুঝিয়েছি উড়জাহাজে চড়ে মানুষ হজ্জে যায় না, আরো অনেক অনেক বিষয় আছে না ...............
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪২
করুণাধারা বলেছেন:
এটা কেবল আমার নিজের বিশ্ময়বোধ থেকেই উচ্চারিত, নিজেকে করা প্রশ্ন।
ধর্মীয় জ্ঞান তো নিশ্চয় জ্ঞান। কিন্তু জ্ঞান থাকলেই স্বর্গে যাওয়া নিশ্চিত কিনা তা আমি জানি না। এটা পুরোপুরি আল্লাহর এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে।আল্লাহই ভাল জানেন।
ভাল থাকুন সবসময়।
৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪১
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: সবাই কথাগুলো বুঝবে না। গভীর কথা...!! ভালো লাগলো।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪৬
করুণাধারা বলেছেন:
অতঃপর হৃদয়! আপনি বুঝতে পারছেন এতে আমি চমৎকৃত। এটা অল্প বয়সীদের বোঝার কথা নয়।
ভাল থাকুন। শুভকামনা।
৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫৫
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ধর্মীয় জ্ঞান তো নিশ্চয় জ্ঞান। কিন্তু জ্ঞান থাকলেই স্বর্গে যাওয়া নিশ্চিত কিনা তা আমি জানি না। এটা পুরোপুরি আল্লাহর এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে। আল্লাহই ভাল জানেন।
একমত ।
নিজের জ্ঞান দিয়ে ভালো ও মন্দ সবকিছুর নির্নয় করা যায় । আর জ্ঞানকে ভালো কাজে লাগতে পারলে, নিশ্চয় পুরষ্কার পাওয়া যাবে ।
(উপরের মন্তব্যগুলো আসলে পজেটিভ অর্থে বোঝাতে চেয়েছি )
ধন্যবাদ ভাই।
ভালো থাকুন।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:০০
করুণাধারা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মননশীল মন্তব্যের জন্যে।
শুভেচ্ছা। সুন্দর জীবনের জন্য।
১০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫৬
আহমেদ জী এস বলেছেন:
করুণাধারা ,
যে ফুল ফুঁটেছে একবার
চীরনিদ্রার কোলে সে
ঘুমাবে এবার..... ( খৈয়াম )
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১৭
করুণাধারা বলেছেন:
ধন্যবাদ, আহমেদ জী এস
এমন মণিমুক্তাগুলো আপনি কোথায় পান! কদিন আগেই রুবাইয়াৎ পড়লাম। এই গভীর অর্থবহ ছোট স্তবকটি হয়ত পড়েছি কিন্তু ভুলে গেছি। পড়তে খুব ভাল লাগল- আমার পোস্টের ভাবনার সাথে মিলে গেছে।
ভাল থাকবেন। শুভকামনা।
১১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:৩৩
উম্মে সায়মা বলেছেন: ৫৫+ হবে কেন? কে নিশ্চয়তা দেবে আমি আগামী ১ বছর,২ বছর বা ৫ বছর বেঁচে থাকব? কে জানে আজই আমার পৃথিবীর শেষ দিন কিনা! দুনিয়া কয়দিনের! অথচ প্রতিনিয়ত আমরা কত পার্থিব সুখস্বপ্ন বুনে যাই, কত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করি!
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:০০
করুণাধারা বলেছেন:
নিশ্চয়ই আমাদের সকলেরই সবসময় মৃত্যুকে স্মরন রাখা উচিত এবং পরকালকে কল্যানকর করার জন্য কাজ করা উচিত।
পোস্টটা ৫৫+ বলেছি এজন্য যে এরকম বয়সে হঠাৎ হার্ট এটাকে মৃত্যু আসতে পারে, আসেই অনেকের জন্য। কমবয়সীদের এ কারনে হঠাৎ মৃত্যু হয় না।
আমার এক সুস্থ আত্মীয় হার্ট এটাকে হঠাৎ মারা যাবার পর নিজের জন্য আমি পোস্টটা লিখি।
ভাল থাকুন সবসময়, উম্মে সায়মা।
১২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১১
মানবী বলেছেন: সাম্প্রতিক মন্তব্যের ঘরে এই শিরোনাম দেখেছি আগে, সঙ্গত কারনেই ক্লিক করা হয়নি।
আজ আপনার নতুন পোস্টের খোঁজে এসে এটা দেখে নিশ্চিত হয়েই পড়তে এলাম, এবং যথারীতি মুগ্ধ হলাম!
আসলে ৫৫+ শুধু নয়, ১২+ সকলেরই এটা মনে রাখা জরুরী। নিজের আমলনামাটা তাহলে প্রথম থেকেই শক্তভাবে গড়ে তোলা যায়, জীবনকে, মানুষকে সন্মান করার অভ্যাস গড়ে উঠে!
কি এক ভয়ংকর সত্য! যা আমাদের সব সময় মনে রাখার কথা তাই ভুলে থাকি সব সময়!
চমৎকার ভাবে মনে করিয়ে দেবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ করুণাধারা।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৩৮
করুণাধারা বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ মানবী, সুন্দর মন্তব্যে আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন।
ঠিকই বলেছেন, মৃত্যুর কথা আমাদের সকলেরই মনে রাখা জরুরী, কিন্তু মনে রাখতে কি পারি! "তিনিই সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন তোমাদের পরীক্ষা করবার জন্য, কর্মে কে তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতর।"(সুরা মুলক,০২)। এই পরীক্ষায় যেন সফল হতে পারি তাই সবসময় কামনা করি, আপনার জন্যও এই পরীক্ষায় সফলতা কামনা করি।
ভাল থাকুন, সবসময়।
১৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২৬
মো:হাবিবুর রহমান(হাবিব) বলেছেন: “কেউ জানে না আগামীকাল সে কি অর্জন করবে, কেউ জানে না সে কোথায় মৃত্যুবরণ করবে।”( সুরা লোকমান:৩৪)
২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:০১
করুণাধারা বলেছেন: এই আয়াতটি সবসময় মনে রাখতে চাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, মোঃ হাবিবুর রহমান (হাবিব)।
ভাল থাকুন, সতত।
১৪| ১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৩৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমি জানি না আগামীকাল আমার জন্য কি আছে। সত্য
১৯ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬
করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার, এই কথাটি আমাদের সকলের সবসময় মনে রাখা।দরকার।
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য। ভাল থাকুন।
১৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: জীবন দোলায় দুলে দুলে তাকে ছিলাম ভুলে।তাকে ভুলে যাবার শোধ কি সে নেবে! -- হায়! এ চিন্তা তো আমারও!
তাই আমি অষ্টপ্রহর ব্যস্ত থাকি এই নিশ্চিন্ততা আর সুখকে ধরতে - আর আমি চিন্তা দুশ্চিন্তা থেকে পালিয়ে বেড়াই। শুধুমাত্র ওসব বিষয় নিয়েই চিন্তা করি, যা চিন্তা করতে ভাল লাগে।
কোন কোন রাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে পড়ে এই বিশ্ব কত অসীম, তুলনায় আমি কত তুচ্ছ। আমি চলে গেলে কারো জীবন থেমে যাবে না, কোথাও আমি কোন দাগ দিয়ে যেতে পারব না। তবু কেন আমার আশা,আনন্দ, দুঃখ, বেদনা, প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তি আমায় এমন উদ্বেল করে! এই সমস্ত কিছু রেখে চলে যাব সে এসে পৌঁছান মাত্রই, একপলক আগে যেতে পারব না, যাওয়া পেছাতে পারব না এক পলকের জন্যও -- অমোঘ সত্য বাণী!
ভরসা রাখি এ টুকুতেই, যার কাছে যাব, তাকে প্রভু নয়, বন্ধুরূপেই ভাবি বেশী। এভাবে ভাবতে ভাবতেই একদিন একটা কবিতা লিখে ফেলেছিলামঃ
My Friend
০৯ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪২
করুণাধারা বলেছেন: এই চমৎকার কবিতাটা পড়ার লিংক দেবার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি কয়েকবার পড়ে বুকমার্ক করে রাখলাম পরে পড়বার জন্য। আমিও এমনটাই ভাবি - কেবল এভাবে প্রকাশের ক্ষমতা নেই।
আমি প্রতিমুহূর্ত ভাবি আমার সমস্ত ত্রুটি বিচ্যুতি উপেক্ষা করে আমার রব আমাকে অজস্র করুনাধারায় সিক্ত করে চলেছেন।( এই
ভাবনা আমাকে এমনভাবে ঘিরে ধরে যে আমি সামুতে রেজিস্ট্রেশনের সময় নিজের নামের জায়গায় করুনাধারা লিখে বসি, যা পরে আর বদলাতে পারি নি)তাই জীবনযাত্রার শেষেও আমি তার প্রসন্নতার প্রত্যাশা করি। আমার এ ভাবনা শুরু হয় ক্লাস ফাইভে Uphill কবিতাটা পড়ে। view this link আজ বহুদিন পর আপনার কবিতা পড়ে সেই কবিতার কথা মনে পড়ল।
আমার পোস্টের প্রসংগে আসি- আমার এই পোস্ট লেখার কথা মনে হয়েছিল আপনার এক পোস্ট পড়ে। গত উনত্রিশ ডিসেম্বরে আপনার কোন পরিচিত জনের হঠাৎ বিয়েবাড়িতে মৃত্যু হয়, আপনি সে ঘটনা নিয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন। পড়ে মনে হয়েছিল কত ক্ষণস্থায়ী এ জীবন!!! সেই ভাবনা থেকেই এ পোস্ট।
আপনি এমন চমৎকার কবিতা আরো লিখেছেন? লিংক পেলে ভাল লাগত।
ভাল থাকুন।
১৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি প্রতিমুহূর্ত ভাবি আমার সমস্ত ত্রুটি বিচ্যুতি উপেক্ষা করে আমার রব আমাকে অজস্র করুনাধারায় সিক্ত করে চলেছেন -- চমৎকার আপনার এ ভাবনাটা। তাঁর করুনাধারায় সিক্ত হচ্ছি আমরা প্রতিনিয়ত, এটুকু স্মরণে রাখতে পারলেই আমার মনে হয় আমরা অনেক পবিত্র থাকতে পারি এবং তিনিও আমাদের প্রতি প্রসন্ন থাকবেন।
২৯ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে আমার এক বন্ধু বিয়ের দাওয়াতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অনুষ্ঠানস্থলেই মারা গিয়েছিলেন। গত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে শোকানুভূতি প্রকাশ করে আমি একটা পোস্ট লিখেছিলাম হঠাৎ হাওয়ায় নির্বাপিত, সেটা আপনি স্মরণে রেখেছেন এবং সেই ভাবনা থেকে এই পোস্টটি লিখেছেন, এটা জেনে প্রীত বোধ করছি।
লিংক পেলে ভাল লাগত - উপরের My Friend কবিতার লিঙ্কটাতেই আমার কবিতার লিঙ্ক পাবেন। অর্থাৎ উপরের নীল বর্ডারের অংশটুকুতে সাদা অক্ষরে লেখা "Poet’s Page” এ ক্লিক করলে অথবা তার নীচে লেখা Poems by এর পরে আমার নাম Khairul Ahsan ক্লিক করলেই আমার কবিতার পাতা খুলে যাবে। সেখানে অদ্যাবধি আমার ২০০টি কবিতা প্রকাশিত হয়েছে।
এ ছাড়াও Previous Poem অথবা Next Poem ক্লিক করেও অন্যান্য কবিতাগুলো পড়তে পারবেন।
সেখান থেকেই আরেকটা কবিতাঃ
Much Like The Tears I Saw In Your Eyes
১৩ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৩
করুণাধারা বলেছেন: এত সবিস্তার মন্তব্যে আমাকে কবিতাগুলো খুঁজে পাবার উপায় বলে দেয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ। এটা আমার নিজেরই বোঝা উচিত ছিল।
আপনার ইংরাজি কবিতাগুলোতে অনেক ইংরাজি ভাষাভাষীরা এমন মন্তব্য করেছেন যা।দেখে বোঝা যায় আপনি তাদের কাছে বেশ সমাদৃত। ভাল লাগল দেখে। আপাতত এই কবিতাগুলো পড়ছি আর মুগ্ধ হচ্ছি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:১১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ফিরে যেতে হবে, এই কথাটা কেন যে শুধু ভুলে যাই।
কখনো হঠাৎ মনে পড়ে। কোন কোন রাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে পড়ে এই বিশ্ব কত অসীম, তুলনায় আমি কত তুচ্ছ। আমি চলে গেলে কারো জীবন থেমে যাবে না, কোথাও আমি কোন দাগ দিয়ে যেতে পারব না। তবু কেন আমার আশা,আনন্দ, দুঃখ, বেদনা, প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তি আমায় এমন উদ্বেল করে আমার মনের কথা যে
ভাল লাগল লেখা