নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করুণাধারা

করুণাধারা

জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো

করুণাধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘাপটি মারা বিপদ-১, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬



১৯৫৪ সালে রাশিয়া প্রথম পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে। আর এখন প্রায় তিরিশটা দেশে পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে। কেন বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য  সবচাইতে লাভজনক হিসাবে পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে পছন্দ করা হয়?কারন একই পরিমাণ  জ্বালানি ব্যবহার করে  পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ  উৎপাদন অন্যান্য জ্বালানী ব্যবহার করা বিদ্যুতকেন্দ্রের চাইতে প্রায় বিশ থেকে ত্রিশ লক্ষ গুণ বেশি। এক কেজি কয়লা থেকে পাওয়া যায় ৮ কিলোওয়াট ঘন্টা বিদ্যুৎ, এক কেজি তেল থেকে পাওয়া যায় ১২ কিলোওয়াট ঘন্টা বিদ্যুৎ  আর এক কেজি  ইউরেনিয়াম -২৩৫ থেকে পাওয়া যায় ২৪,০০০,০০০ কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ। অর্থাৎ কয়লা বা তেলের থেকে ইউরেনিয়ামের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা যথাক্রমে ত্রিশ বা বিশ লক্ষ গুন বেশি। view this linkএছাড়াও এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনেরআরেকটা সুবিধা হচ্ছে এটা বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত করে না, ফলে পরিবেশ থাকে পরিচ্ছন্ন।

লাভজনক, কিন্তু পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপদও অনেক। কয়লা বা তেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তার ক্ষতি হয় নির্দিষ্ট এলাকায়, নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর । কিন্তু পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রর দুর্ঘটনা বিস্তৃত এলাকার জল, মাটি, বায়ু এমনভাবে দূষিত করে যে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এলাকায় বসবাসকারী মানুষ আর প্রাণী ক্যান্সার আরো নানা রোগে আক্রান্ত হতে থাকে, তাৎক্ষনিক ভাবে মারা যায় অনেক মানুষ। নানারকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া সত্বেও  কোন অচিন্তনীয় কারণে বিপর্যয় ঘটতে পারে, উদাহরণ  ফুকুসিমাতে ২০১১ সালে সুনামির ফলে ঘটা বিপর্যয় । ফুকুসিমার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ছিল সুদক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী, নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। তা সত্বেও  বিপর্যয় ঠেকানো গেল না। ফুকুসিমার দুর্ঘটনার পর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উচ্চমাত্রার ঝুঁকির বিষয়টা নতুন করে সামনে আসে। ফলে জার্মানি, ইটালি আর সুইজারল্যান্ড তাদের দেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেবার সিদ্ধান্ত নেয়। তাই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনেক সুবিধা থাকা সত্বেও তা স্থাপনের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত জ্ঞান, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, উচ্চস্তরের দক্ষতাসম্পন্ন প্রশিক্ষিত  কর্মীবাহিনী।  আমাদের দেশে খনিজ তেল নেই, গ্যাসের পরিমানও সীমিত, তাই বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রই সবচেয়ে লাভজনক। সেই ভাবনা থেকেই রাশিয়ার সহযোগীতায় পাবনার রূপপুরে ২৪০০মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন  পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে। এর আনুমানিক ব্যয় টাকায় এক লক্ষ কোটী টাকার বেশি। বাংলাদেশের সাথে রাশিয়ার করা চুক্তি অনুসারে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, বিদ্যুৎকেন্দ্র চালনার জন্য বাংলাদেশী জনবল প্রশিক্ষণ ও উৎপন্ন তেজস্ক্রিয় বর্জ রাশিয়ায় নিয়ে যাবার দায়িত্ব রাশিয়ার। [অবশ্য গতকাল(২২-৯-২০১৭) জানা গেল(সুত্র) এই প্রকল্প সম্পাদনে রাশিয়াকে সহযোগীতা করবে ভারত, এটা হবে বিদেশের মাটিতে প্রথম কোন ইন্দো -রাশিয়ান পারমাণবিক  প্রকল্প।]http://www.dhakatribune.com/bangladesh/power-energy/2017/09/22/india-russian-undertake-rooppur-power-plant-project/ পারমানবিক চুল্লীর দায়িত্ব রাশিয়ার  Rosatom কোম্পানির। যে দুটি চুল্লী (Reactor) স্থাপিত হবে তা  তৃতীয় প্রজন্মের সবচেয়ে নিরাপদ চুল্লী, এটা ভূমিকম্প, হারিকেন বা উপর থেকে পড়ে যাওয়া বিমানের ধাক্কা পর্যন্ত মোকাবিলা করতে সক্ষম। তাই বলা হচ্ছে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পূর্ণ নিরাপদ, কোন ভয় নেই। কিন্তু এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে কিছু ভয় থেকেই যায়। প্রথম ভয় পানি নিয়ে। যে প্রচুর পানির প্রয়োজন হবে তা সবসময় পাওয়া যাবে তো? ইউরেনিয়াম-২৩৫ পরমাণু ভাংগার ফলে প্রচণ্ড উত্তাপ সৃষ্টি হয়। তাতে রিয়্যাক্টর শীতলীকরণের জন্য অবিরাম প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। পর্যাপ্ত পানির অভাবে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে। এই প্রচণ্ড তাপের বড় অংশ ব্যয়িত হয় পানিকে বাষ্প করতে, যে বাষ্প স্টিম টারবাইন ঘোরায় আর বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে। কিছু তাপ বিকিরিত হয় বায়ুতে। বাষ্পীভূত পানিকে  ঠাণ্ডা করে পানি করা হয়, সেটাকে আবার প্রবাহিত করে বাষ্প করা হয়। কুলিং টাওয়ারের কন্ডেন্সারে ৩০ ডিগ্রী ফারেনহাইটে ঠাণ্ডা করতে লাগবে প্রতি মিনিটে ৪৫৫,০০০ গ্যালন পানি। আবার প্রবাহিত পানির অনেকখানি বাষ্পীভূত হয়ে যাবে, তাই দরকার প্রতিমিনিটে আরো ৫০,৬০০ গ্যালন পানি। এছাড়াও যন্ত্র শীতল রাখতে দরকার মিনিটে ১০৪০০০ গ্যালন পানি, যা আবার নদীতেই ফিরে যাবে। সুত্র ইউরেনিয়াম ভাংগার পর উপজাত প্লুটোনিয়াম থাকে প্রচণ্ড উৎতপ্ত, তা ঠাণ্ডা করা হয় একটা ট্যাংকে। এখানেও পানির দরকার, কিন্তু কতটা পানির প্রয়োজন সেই তথ্য অবশ্য পাইনি।

রক্ষণাবেক্ষণ বা কোন জরুরি অবস্থায় যদি প্ল্যান্ট বন্ধ রাখতে হয় তখনো তেজস্ক্রিয় নিঃসরণ  (Radioactive  decay)  তাপ উৎপাদন করে চলে- যা ঠাণ্ডা করতে প্রয়োজন ইমারজেন্সি কুলিং সিস্টেম। চুল্লী (Reactor) প্রতি এজন্য মিনিটে ৬৩,০০০ গ্যালন পানি দরকার। যদি ইমারজেন্সি কুলিং সিস্টেমে পর্যাপ্ত পানি না পাওয়া যায় তবে চুল্লী গলে যাবে আর চেরনবিলের মত অবস্থা হবে। ১৯৮৬ সালে চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দুর্ঘটনার ফলে  ইউরোপ জুড়ে যে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে যায় তার ফলে আজো সেই এলাকার মানুষ ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। চেরনোবিলে দুর্ঘটনায় যে অগ্নি উৎক্ষিপ্ত হয় তা সাতদিন পর্যন্ত জ্বলতে থাকে, পারমাণবিক মহাশক্তিধর রাশিয়ার বাঘা বাঘা পারমানবিক বিজ্ঞানীরাও তা নেভাতে হিমশিম খেয়ে যান।  বাতাসে মাটিতে প্রচুর তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে আগুন যখন নিভল তখন দেখা গেল  ইউরোপের বড় একটি অংশের মাটিতে এমনই তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়েছে যে,সেই মাটিতে জন্মানো ঘাস পর্যন্ত তেজস্ক্রিয় হয়ে গেছে। সেই দুর্ঘটনার তেজস্ক্রিয়তা  পরোক্ষভাবে আমাদের দেশে পর্যন্ত এসে পড়ে। সেসময় এদেশে গুঁড়োদুধ বেশিরভাগ আসত ইউরোপ থেকে। সেই দুধে তেজস্ক্রিয়তা পাওয়া যাওয়ায় আমদানি বন্ধ করে নিউজিল্যান্ডীয় রেডকাও আর এংকোর দুধ আনা হতে লাগল। পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপর্যয়ের সুদূরপ্রসারী ভয়াবহতা এটা থেকেই বোঝা,যায়।

প্রচুর পানি প্রয়োজন, তাই পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয় কোন বড় জলাধার যেমন লেক বা সাগরের পাড়ে, অল্প কিছু ক্ষেত্রে কোন নদীর কাছে। ১৯৬১ সালে  এদেশে পারমানবিক বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনের স্থান হিসাবে রূপপুর কে নির্বাচন করার কারন ছিল এর পাশ দিয়েই বয়ে চলত প্রমত্তা পদ্মা নদী।১৯৭৫ সালে উজানে নির্মিত হল ফারাক্কা বাঁধ, ফলে পদ্মার প্রবাহ কমতে কমতে আজ পদ্মা এক শীর্ণকায়া, প্রায় মৃত নদী, সবসময় যাতে পর্যাপ্ত পানি না থাকতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ড -এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী গত বারো বছরে রূপপুরে পদ্মার পানির যে প্রবাহ এবং গভীরতা তা বিদ্যুৎকেন্দ্রের চাহিদা পূরণ করার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু হঠাৎই পানির প্রবাহ কমে যেতে পারে, যেমন ২০১১র মে মাসে হয়েছিল। এমন হলে বিদ্যুৎকেন্দ্র জরুরীভিত্তিতে বন্ধ করে দিতে হবে। তাতে কি বিপদ পুরোপুরিভাবে এড়ানো যাবে? যে নদীর উজানে আছে ফারাক্কার মত বাঁধ, আরো বাঁধ নির্মানের প্রক্রিয়া চলছে- সে নদীর পানিপ্রবাহ নিয়ে কি নির্ভয় থাকা যায়?
দুই নম্বর ভয়,রাশিয়ানদের তৈরি করাএই পারমানবিক সরঞ্জামাদি  পরিচালনা করবেন কারা? যদি বাংলাদেশিরা তা পরিচালনা করেন, তবে এমন সুক্ষ্ম এবং বিপজ্জনক যন্ত্র চালনার সক্ষমতা তারা অর্জন করতে পারলেও  যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে তবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সঠিক পদক্ষেপ নেবার সক্ষমতা কি তাদের থাকবে? নাকি তারা অপেক্ষা করে থাকবেন রাশিয়া থেকে বিশেষজ্ঞ এসে পরামর্শ দিয়ে বিপদ থেকে উদ্ধার  করবেন বলে? চুক্তি অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দিয়ে জনবল সৃষ্টি করে দেবার দায়িত্ব রাশিয়ার। জানা গেছে বর্তমানে রাশিয়াতে নিউক্লিয়ার পাওয়ার বিষয়ে পাঠরত  বাংলাদেশী ছাত্রদের পড়াশোনা শেষে এখানে নিয়োগ দেয়া হবে। এছাড়াও জনবল নিয়োগ করবে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ (NPCBL) নামে একটা নতুন সরকারি  প্রতিষ্ঠান। এই কোম্পানি জুন মাসে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে প্রকৌশলে স্নাতক ও অন্যান্য বিষয়ে  স্নাতকোত্তরদের রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১২৭টি শুন্যপদে কাজ করার জন্য। এদের বিদ্যুৎকেন্দ্র দূরে থাক, কোথাও কোন কাজের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়নি। সম্ভবত এদেরকেই রাশিয়া প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করবে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ প্ল্যান্ট চালাবার জন্য। একটা বিমানের কথাই ধরি। অত্যাধুনিক বিমানগুলোর কন্ট্রোল প্যানেল এমনভাবে তৈরি করা যে একজন কো পাইলটই তা অনুকুল পরিস্থিতিতে চালিয়ে নিতে পারেন। তবু বহু ঘন্টার উড্ডয়ন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পাইলটকে বিমান চালনার দায়িত্ব দেয়া হয় একারণে যেন প্রতিকুল পরিস্থিতিতে তিনি তার অভিজ্ঞতা প্রয়োগ করে যাত্রীদের রক্ষা করতে পারেন। অভিজ্ঞতাহীন মানুষের দ্বারা পারমানবিক সরঞ্জামাদি চালিয়ে নেয়া যেতে পারে, কিন্তু বিপদ ঘটলে উদ্ধার  হবে তো?

অবশ্য এই দুটো কেবলই বিপদের আশংকার কথা-  আশাবাদী হয়ে ভেবে নিতেই পারি যে এসব বিপদ মোকাবিলার ব্যবস্থা করেই এই কেন্দ্র নির্মান করা হয়েছে। কিন্তু এছাড়াও মস্ত বড় এক বিপদ যে ঘাপটি মেরে চোখের আড়ালে লুকিয়ে আছে তা বুঝতে পারলাম ইউটিউবে
Nuclear Waste : Last Week Tonight With John Oliver অনুষ্ঠানটা দেখার পর।  যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশ, উন্নত পারমাণবিক প্রযুক্তি,প্রযুক্তিবিদ আর জনহীন অঢেল ভূমি যাদের রয়েছে তারা পর্যন্ত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় বর্জ ব্যবস্থাপনা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। তাদের বেশিরভাগ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় বর্জ নিউ মেক্সিকো স্টেটের এক জনহীন এলাকায় মাটির নীচে তেজস্ক্রিয়তা নিরোধক আবরণ দিয়ে ট্যাংক বানিয়ে তার ভিতরে রাখছে।  কিন্তু নিউ মেক্সিকো থেকে অনেকদূরের স্টেটগুলোর বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় বর্জ নিউ মেক্সিকোতে আনা বিপজ্জনক - সেগুলোর জন্য অন্য ব্যবস্থা করতে হয়। নিউজার্সিতে তেজস্ক্রিয়তা রোধক ব্যারেলে এই  বর্জ ঢুকিয়ে সিল করে সমুদ্রে ডুবিয়ে দেবারচেষ্টা করা হল। দেখা গেল কয়েকটা ব্যারেল ডুবছে না। যখন কোনভাবেই ডুবল না তখন প্লেন থেকে মেশিনগান দিয়ে ব্যারেলে গুলি করে ডোবাবার ব্যবস্থা করা হল!! এবার বিজ্ঞানীরা মত দিলেন, ব্যারেলগুলো মহাকাশযানে করে মহাশুন্যে পাঠিয়ে দেয়া হোক। কিন্তু মহাকাশযানে যদি দুর্ঘটনা ঘটে তবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে যাবে। এটাও বিপজ্জনক। এই তেজস্ক্রিয় বর্জ ব্যবস্থাপনা এখন তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর পারমানবিক বিজ্ঞানীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।

আমাদের রূপপুরের তেজস্ক্রিয় বর্জ কি করা হবে? রাশিয়া এগুলো নিয়ে যাবে, চুক্তি অনুযায়ী। কিভাবে নেবে? হেলিকপ্টার বা ট্রাকে বহন করে  কি কাছাকাছি এয়ারপোর্ট পর্যন্ত নিয়ে তারপর প্লেনে রাশিয়া?  যদি এয়ারপোর্ট পর্যন্ত যেতে যেতে দুর্ঘটনা ঘটে তবে? ঠিক আছে, কোন দুর্ঘটনাই ঘটবে না। কিন্তু আগামী ষাট বছর (এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জীবনকাল) ধরে রাশিয়া এই চুক্তি মেনে চলবে তো? প্রতিবেশি বন্ধু দেশই তো কত চুক্তি করে তা লংঘন করে। যদি রাশিয়া চুক্তি না মানে,এই তেজস্ক্রিয় বর্জ নেয়া কখনো বন্ধ করে দেয় তাহলে কি হবে? যেমনভাবে আমরা বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যায় কলকারখানার বর্জ ঢেলে চলেছি, সেভাবেই কি এই তেজস্ক্রিয় বর্জ নিয়ে পদ্মায় ঢালতে থাকব?




মন্তব্য ৫৯ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৫৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


অদক্ষ বাংগালীরা ১০ বছরের ভেতরেই বিস্ফোরণ ঘটাবে। এটা বাতিল করার দরকার।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আমার মনে হয় না দশ বছর ভালভাবে এটা চলবে। এর মধ্যে কেউ ইউরেনিয়াম চুরি করে পাচার করার চেষ্টা করলেও আবাক হব না।

কিন্তু আপনি এই সুপার স্পিডে পড়লেন কি করে? এটা পোস্ট হয়েছে ৬-৪৬ এ। জানি না কি কারণে আমার পোস্ট একঘন্টা পিছিয়ে যায়।

২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ না করাই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। কিন্তু দেশ স্বাধীন হবার পর থেকে আমরা কী কোন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ পর্যন্ত?

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আপনি ঠিক বলেছেন, এটা নির্মান না করাই সঠিক হত। ঝুঁকির ব্যাপারটা ছাড়াও বিনিয়োগের পরিমান লক্ষ করুন- এক লক্ষ কোটি টাকার বেশি। এই টাকার একটা ছোট অংশ খরচ করেই নবায়নযোগ্য শক্তি নিয়ে গবেষণা করা যেত। সৌরশক্তি, আবর্জনা থেকে শহরে আর গোবর, ধানের তুষ থেকে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেত। তা না করে আমরা পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করছি, বেশ একটা ভাব দেখানোর মত ব্যাপার।

৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: বাংলাদেশের জন্য হয়তো খুব বেশি বিকল্প নেই এটমিক পাওয়ার প্ল্যান্টের | কিন্তু রূপপুরে এখন ইটা করা হবে খুবই আত্মঘাতী (চেরোনোবিলের উপর একটা আওয়ার লং ডকুমেন্টারি আমি দেখেছিলাম | ওখানে যা হয়েছিল আসে পাশে তা অবিশ্বাস্য | লংরেঞ্জ ক্ষতির কথাতো বাদই দিলাম | ফুকুশিমা নয় রূপপুরের লোকেশন চেরনোবিল সাথেই বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ | এর ক্ষতিও হবে চেরোনোবিলের মতো আমাদের ছোট জায়গা আর ঘন বসতির জন্য)| আমাদের মতো ঘন বসতিপূর্ণ দেশে এটার থেকে একটু সমস্যা যে কি পরিমান বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পাড়ে সেটা যে কেন আমাদের কর্তারা ভাবছেন না আল্লাহই জানেন | আমি বাংলাদেশে এরকম পাওয়ার প্ল্যান্ট হলে স্যাবোটাজেরও আশংকাও করি আমাদের চরম হিতৈষী কিছু বিদেশী বন্ধুদের থেকে রূপপুরের লোকেশনে |

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ মলাসইলমুইনা মন্তব্যের জন্য। হ্যা, আমাদের দেশের জন্য অপশন খুব সীমিত কিন্তু সারা পৃথিবীতে এখন নবায়নযোগ্য শক্তিকে কাজে লাগাবার চেষ্টা চলছে। আর আমাদের দেশে একটা প্ল্যান্ট অপারেশনে যাবার আগেই আরেকটা তৈরির আয়োজন চলছে। গতকালের প্রথম আলোর তৃতীয় পৃষ্ঠায় খবর দেখুন।

৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



যারা এসব করছেন তারা কখনো ক্লাশেও যায়নি, ফিজিক্স বুঝার কথা নয়; জন গণকে ইহা দখল করে টাকাগুলো বাঁচানোর দরকার; সেই টাকায় সোলার প্যানেল বসানোর ঋণ দেয়ার দরকার।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭

করুণাধারা বলেছেন: ভাল আইডিয়া। জনগনের উচিত এটা দখল করে টাকাটা ভাগ করে নেয়া। একলক্ষ টাকা দামের সোলার প্যানেল এককোটি পরিবার কিনতে পারবে।

ঠিক বলছেন, আমাদের দেশে স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান এসব প্রকল্পে সিদ্ধান্ত দেন যে মন্ত্রী আমলারা তারা ফিজিক্স কেন কিছুই পড়েন নি।

৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: তথ্য বহুল পোস্ট ।

সরকারের ভেবে দেখা উচিত ।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ শামছুল ইসলাম। সরকার এটার বিপদ নিয়ে ভাববে না কারন দেশের বিপদের সময় তাদের পালানোরর জায়গা রেডি আছে। তারা আশু প্রাপ্তির স্বপ্নে মশগুল। না জানি পরেরটা কোথায় বানাবে! যদি শীতলক্ষ্যার তীরে নারায়ণগঞ্জকে নির্বাচিত করে তবে অবাক হব না।

৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাবনার বিষয় বটে!!!

++++

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ ভৃগু। ভাবনার বিষয় যে এটা আরো ভাল করে বুঝতে পারতেন যদি জন অলিভারের ভিডিও লিংক দিতে পারতাম। অনেক চেষ্টা করেও সফল হলাম না।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

করুণাধারা বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ, প্লাসে অনুপ্রেরণা দেবার জন্যে।

৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৪

শ্রমিক আওয়াজ বলেছেন: আপনার কথার মধ্যে সব সমাধান আছে। সমস্যা শুধু ‌'যদি'র। এই যদি আপনি বা আমি আজই মারা যায়।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

করুণাধারা বলেছেন: আমি আপনার কথা ঠিক বুঝতে পারিনি। তবু,ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট পড়ার জন্য।

৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের আনবিক কমিশনের ম্যাঁও প্যাঁওরা কোথায় গেলেন? উনারা কোনদিন বিপদ নিয়ে কিছু বলেননি

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৬

করুণাধারা বলেছেন: আনবিক কমিশনে চাকুরে আমার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে আমি প্রথম শুনেছিলাম যে পানির অভাব হলেই প্রজেক্ট ফেইল করবে।তবে এই ফেইল এদেশের অন্যান্য ফেইলের মত হবে না। এটা হবে মহাবিপর্যয় সৃষ্টিকারী এক ফেইল, যার ভয়াবহতা কেউ ধারণাও কতে পারে না। এরপর আরেকজন বললেন, সবাই রামপালের ক্ষতির হিসাব করছে আর রুপপুরের মহাক্ষতির কথা কেউ জানেই না। আসলে আনবিক কমিশনের সবাই জানে, কিন্তু মুখ খুলে কেউ চাকরী খোয়াতে রাজী না।

৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: কতগুলা ছাগল একটা ছাগলামি মার্কা প্রজেক্ট হাতে নিছে। X(( নিজেরা তো কিছু হলে ফুড়ুৎ করে বিদেশ চলে যাবে। আমরাই মারা খাব।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২২

করুণাধারা বলেছেন: গতকালকের প্রথম আলোর ৩য় পৃষ্ঠায় দেখুন, আরো এমন বিদ্যুৎকেন্দ্রর জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। এমন লক্ষাধিক কোটি টাকার প্রজেক্টে কমিশন তো কয়েক হাজার কোটি টাকা হবেই- তা দিয়ে অন্যদেশে সুন্দর বন্দবস্ত করে নেয়া যায়।

১০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫০

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: সরকারে কি শিক্ষিত, ডেডিকেটেড লোক নাই? এরা তো যা ইচ্ছা তাই করতাছে!!!

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৩

করুণাধারা বলেছেন: শিক্ষিত, ডেডিকেটেড...

আছেন নিশ্চয়ই, কিন্তু আমি তেমন কাউকে চিনি না। ডেডিকেটেড লোক থাকলে কি করে নদী, খালবিল আর জলাভূমি ভরাট হয়ে যাচ্ছে, যখন দেখা যাচ্ছে যে এর ফলে বিপদ ঘনিয়ে আসছে!!

ভাল থাকুন।

১১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২১

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: লোভ ওদের অন্ধ করে দিছে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০১

করুণাধারা বলেছেন: লোভ ওদের অন্ধ করে দিছে। ঠিক।

লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু- ওরা ভুলেই গেছে!!

১২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:২৫

জগতারন বলেছেন:
ঘাপটি মারা (মহা)! বিপদ-১, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র!
সচেতন ও তথ্যবহুল পোষ্ট।
পাঠক-পাঠীকা ও দেশবাসীদের জানিয়ে দেয়ার জন্য লেখক করুণাধারা-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ জগতারন পোস্ট পড়ার জন্য। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।
আপনি ঠিকই বলেছেন, এটা শুধু বিপদ না, মহাবিপদ। যখন ২নং ঘাপটি মারা বিপদের কথা লিখব তখন সেটাকে নাহয় মহাবিপদই লিখব।

১৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকরা সারাক্ষন ইয়াবা সেবন করে দিবাস্বপ্ন দেখে থাকেন | এদের নিজেদের স্বার্থ ষোলো আনা বুঝেন ঠিকই, তবে দেশ ও জাতির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে গেলেই তালগোল পাকিয়ে ফেলেন | যে দেশের সরকার নদীপথের লঞ্চডুবি থেকে কয়েকশত যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে পারে না, সেই দেশে পারমাণবিক চুল্লির দূর্ঘটনার হাত থেকে লক্ষ লক্ষ নিরীহ দেশবাসীকে কিভাবে রক্ষা করতে পারবে তা এই আহাম্মকগু নীতিনির্ধারকগুলোর গোবর ভরা মগজে কোনোদিনই ঢুকবে না |

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪

করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ স্বামী বিশুদ্ধানন্দ, কিন্তু আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না। এদেশের নীতিনির্ধারকরা এর বিপদ সম্বন্ধে জানান ভালমত। কিন্তু তারপর তারা জেনেশুনে কেন এমন ব্যয়বহুল প্রকল্পে আগ্রহী হন তা আমরা কেউ কিছু বুঝি না। শুধু বুঝি, দুর্ঘটনা ঘটলে তার প্রভাব ঢাকা পর্যন্ত আসতে কয়েকদিন লাগবে, ততদিনে তারা সপরিবারে সেকেন্ড হোমে চলে যেতে পারবেন।

১৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৯

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ না করাই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। কিন্তু দেশ স্বাধীন হবার পর থেকে আমরা কী কোন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ পর্যন্ত?

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৫

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ।
না,দেশ স্বাধীন হবার পর থেকে আমরা কোন সঠিক সিদ্ধান্ত নেই নি। যদি নিতাম তাহলে কি আজ আর দেশে এত কোটিপতি পেতাম!!! এই বড় বড় প্রকল্প করেই তো এত কোটিপতি হচ্ছে।

১৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ লেখা।
শুভেচ্ছা রইল।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩২

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ বিএম বরকতউল্লাহ, অনেককিছু পড়ে পোস্ট দিয়েছিলাম। জানি কেন পোস্টের সাথে ঠিকমতো লিংকগুলো দিতে পারি না!

১৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২০

অহন_৮০ বলেছেন: চমৎকার লিখা হইছে....

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৩

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ অনুপ্রেরণা দেবার জন্য।

আশাকরি ঘাপটি মারা বিপদ-২ এও সাথে থাকবেন।

১৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ লেখাটা পড়ে ভয়ে গা টা শিউরে উঠলো। আমি মনে করি অবিলম্বে এ প্রকল্প বাতিল করা উচিত। পারমানবিক দুর্ঘটনা সামলাবার মত কারিগরি জ্ঞান এবং সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশের প্রকৌশলী ও নীতিনির্ধারকদের আছে বলে মনে হয় না। একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেলে লাভের গুড় পিঁপড়েয় খাবে।
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ এর পর্যবেক্ষণটা (১৩ নং মন্তব্য) প্রণিধানযোগ্য।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:১০

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল আহসান মন্তব্যের জন্য। আসলেই এটা খুবই চিন্তার বিষয়।অন্য যে কোন প্রজেক্ট ফেল করলে তাতে কেবল আর্থিক ক্ষতি হতে পারে কিন্তু এই প্রজেক্ট ফেল করলে এই ছোট দেশের প্রত্যেকেই ভুগবে। কোন কারণে যদি রাশিয়া তেজষ্ক্রিয় বর্জ নিতে অস্বীকার করে বা রাজনৈতিক কারণে সম্পর্ক খারাপ হয় তখন কি হবে? আর দেখুন কারা প্ল্যান্ট চালাবে! http://en.bd-chakri.com/npcbl-job-circular/ এই অভিজ্ঞতাহীনদের জন্য দুবছর ট্রেনিং কি যথেষ্ট!!

উত্তর দিতে দেরি হল।দুঃখিত।

১৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিদ্যুতও থাকবে না, মানুষও থাকবে না

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী, আবার ফিরে আসায়।

বিকল্প আরো অনেক উপায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়- নিরাপদ বিদ্যুৎ। কিন্তু এটা বিপজ্জনক উপায়ে বিদ্যুৎ তৈরি, এতে ছোট একটা ভুলের জন্য মানুষ মরতে থাকবে,প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে!

১৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭

প্রামানিক বলেছেন: তথ্য সমৃদ্ধ চমৎকার পোষ্ট। ধন্যবাদ

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩১

করুণাধারা বলেছেন: এই বিষয়ে কিছুটা পড়াশোনা করে যা জানলাম তা লেখার চেষ্টা করেছি। পঠন ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

২০| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গুরুত্বপুর্ন পোস্ট, মন্তব্যগুলিও পড়লাম।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৪

করুণাধারা বলেছেন: এত বড় পোস্ট পড়েছেন, অনেক ধন্যবাদ।

ভাল থাকুন, সবসময়।

২১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঘাপটি মারা বিপদ-১, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এর পরের পর্বটি আর দিলেন না কেন?
শায়মা'র দ্যা আর্ট অব স্টোরি টেলিং - শিশুর শিক্ষনে গল্প বলা বা শোনার প্রয়োজনীয়তা - পোস্টটিতে আপনার ১৩৯ ও ১৪০ নম্বর মন্তব্যদুটো ভাল লেগেছে।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ, আবার ফিরে এসে মন্তব্য করার জন্য।
আমার লিখার চেয়ে পড়তে বেশি ভাল লাগে ব্লগে। তাই আর দুই নম্বর বিপদ নিয়ে লেখা হয়ে উঠছে না। সেটা অবশ্য রূপপুর নিয়ে নয়, আমাদের ঢাকার ভূস্তরের পানি ক্রমে নীচে নেমে যাবার ফলে ভূস্তরের মধ্যে যে শূন্যতা সৃষ্টি হচ্ছে তার বিপদ নিয়ে। আপনি মনে করিয়ে দিলেন, তাই এখন মনে হচ্ছে লিখে ফেলা যাক।

ধন্যবাদ, শায়মার পোস্টে আমার মন্তব্য পড়ে যে মন্তব্য করেছেন সেজন্য। আমার মনে হয়েছিল গল্প বলিয়েকে জানাই যারা ছোটবেলায় ছবি দেখে গল্প শোনে তা তাদের উপর কি প্রভাব ফেলে। তাই জানালাম।

আপনিও অনেকদিন কোন পোস্ট দেন না!

২২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭

উদ্বাস্তু মানুষ আমি বলেছেন: সত্যি বলতে রুপপুর আর রামপাল দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের জন্য আত্নঘাতি। অনেকে অনেক যুক্তি দিয়ে ইতিবাচক দিক বার বার তুলে ধরছে। নেতিবাচক দিকের ভয়াবহতা কেউ তুলে ধরে নি। রুপপুরের পানির ব্যাপারটা আমাকে প্রশ্ন করে। প্রত্যেক পাওয়ার প্লান্টে বিশুদ্ধ পানি দরকার। আমরা সাধারণ ৯০, ৭৫ মেগাওয়াটের গ্যাস টারবাইন স্টিম টারবাইন প্ল্যান্টগুলোতে বিশুদ্ধ পানি দিতে পারছি না ফলে, অনেক প্লান্টের কার্যকারিতা কমে যাচ্ছে। সেখানে রুপপুরের মত বড় প্ল্যান্টে পানির অবাধ সাপ্লাই কিভাবে পাবো, সেটা প্রশ্ন। সরকার নদী বিষয়ক চুক্তির ব্যাপারে প্রচন্ড রকমের ব্যর্থ। সরকার প্রশাসনিকে বিজ্ঞান পড়ুয়া মানুষ কম। ফলে তারা বুঝে না, খাল কেটে কুমির আনছে, না, মাছ আনছে।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ উদ্বাস্তু মানুষ আমি, মন্তব্যের জন্য। স্বাগতম আমার ব্লগে- আশাকরি এরপর থেকে ব্লগে নিয়মিত থাকবেন।

পানির অভাবে পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে মহাবিপদ ঘটবে। ঠিক একই ভাবে পারমাণবিক বর্জ আমাদের জন্য মহাবিপদ ঘটাতে পারে। এটা যাদের দেখার কথা তারা দেখছেন না।

২৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০

উদ্বাস্তু মানুষ আমি বলেছেন: পারসাণবিক বর্জ্যের ব্যাপারে রাশিয়ার অাগ্রহ কম। প্রথমে বর্জ্য অপসারনে রাশিয়ার সহযোগিতার কথা ক্লজে উল্লেখ থাকলেও, পরে সেটা নিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্যেরর সিনেমা হয়েছে।

আমাদের নীতিনির্ধারকরা আমাদের কাছে বাঘ, অন্যদের কাছে বিড়াল।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার মন্তব্যের জন্য। এই নীতিনির্ধারকদের জন্যই আমাদের যত বিপদ।

ভাল থাকুন।

২৪| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৮:৪২

শাহ আজিজ বলেছেন: সুন্দরবন নিয়ে আনু মুহাম্মদের সেকি লাফালাফি কিন্তু রুপপুর হচ্ছে কল্কির গাজা- টান দিয়ে ঘুমিয়ে থাকে , গাজিপুরের শালবন হচ্ছে 'ডাইল' - যা খেলে চোখে রঙ্গিন স্বপ্ন দেখে আনুরা । সোলার প্যানেল সরকারের লস প্রজেক্ট। এটার জন্য লীগ সূর্যকে পর্যন্ত ঢেকে দিতে পারে।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৪

করুণাধারা বলেছেন: "সোলার প্যানেলের জন্য লীগ সূর্যকে পর্যন্ত ঢেকে দিতে পারে"- দারুন বাক্য! এই মন্তব্যের জন্য একটা লাইক।

রূপপুরের সর্বনাশা প্রকল্পে কি হচ্ছে তা জনগণ খুব অল্পই জানে। আমাদের দুর্ভাগ্য।

২৫| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:৪১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লিখেছে। দেরিতে নজরে এসেছে। এই নিয়ে প্রথম আলো দেশীয় এক্সপার্টদের নিয়ে একটা রাউন্ড টেবিল করেছিল। তার কিছু চুম্বক অংশ আমি এক্সার্প্ট করছি-

পারমাণবিক দুর্ঘটনার দায় নেওয়া সম্পর্কে আবদুল মতিন বলেন, রূপপুরে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আশপাশের ৩০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের বৃত্তাকার এলাকা থেকে সব মানুষকে সরিয়ে নিতে হবে। তাঁদের দীর্ঘ সময়ের জন্য অন্যত্র পুনর্বাসন করতে হবে। কোনো বিবেচনায়ই বলা যায় না যে বাংলাদেশের এই সামর্থ্য আছে। তিনি বলেন, পারমাণবিক দুর্ঘটনার জন্য নির্মাণকারীদেরও দায়িত্ব নিতে হবে—এমন একটি আইন ভারত করেছে। এ রকম একটি সুরক্ষা আইন বাংলাদেশেরও করা উচিত।
প্রকল্পের ব্যয় সম্পর্কে আবদুল মতিন বলেন, ভারতের তামিলনাড়ুর কুদনকুলম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে নতুন দুটি ইউনিট (তৃতীয় ও চতুর্থ) স্থাপনের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে, তাতে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ পড়বে তিন হাজার মার্কিন ডলার। রূপপুর প্রকল্পে এই খরচ পড়ছে সাড়ে পাঁচ হাজার ডলার। যদিও কুদনকুলম কেন্দ্রটিতে ‘ভিভিইআর-১০০০’ রিঅ্যাক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে, আর রূপপুরে করা হচ্ছে ‘ভিভিইআর-১২০০’, তবু রূপপুরের ব্যয় অপেক্ষাকৃত বেশি।
গোলটেবিল আলোচনায় বিএইসির সাবেক চেয়ারম্যান এম এ কাইউম বলেন, দেশের সবাই একটি নিরাপদ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চায়। এ জন্য তেজস্ক্রিয় বর্জ্য রাশিয়ার ফেরত নেওয়ার বিষয়টির সুরাহা হওয়া দরকার। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে সই হওয়া চুক্তিতে এ বিষয়ে প্রকৃতপক্ষে কী আছে, তা দেশের মানুষ এখন পর্যন্ত জানে না। তিনি বলেন, কোনো দেশে পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু করার জন্য যে রকম জনবল থাকা প্রয়োজন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের তা নেই। রূপপুর প্রকল্পকে সামনে রেখে জনবল তৈরির যে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে, তা-ও সন্তোষজনক নয়। এসব বিষয় গুরুত্ব দিয়ে ভাবা দরকার। কিন্তু আদৌ তা করা হবে কি না, কেউ জানে না। তাই রূপপুর প্রকল্প নিয়ে শেষ পর্যন্ত কী হবে, তা-ও কেউ বলতে পারে না।
যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রায় ৩০ বছর কাজ করে অবসর নেওয়া বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম আলোচনায় অংশ নেন। তিনি বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্য-ব্যবস্থাপনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ হিমশিম খাচ্ছে। তাই বর্জ্য ফিরিয়ে নিতে রাজি না হলে কোনো দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি করা উচিত নয়।
পারমাণবিক দুর্ঘটনার দায় নেওয়ার বিষয়ে সাধারণ চুক্তির শর্ত প্রসঙ্গে নূরুল ইসলাম বলেন, রূপপুর প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী, যন্ত্রপাতি নির্মাণ ও সরবরাহকারী হচ্ছে রাশিয়া। প্রকল্পের সমীক্ষা থেকে শুরু করে সবকিছুই (এ টু জেড) করবে তারা। অথচ দুর্ঘটনার কোনো দায় তারা নেবে না। প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পরিচালনার যেকোনো পর্যায়ে, যেকোনো কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় প্রকল্পের স্বত্বাধিকারী হিসেবে বাংলাদেশের ওপর বর্তাবে। এটা কোনো গ্রহণযোগ্য চুক্তি হতে পারে না।
রূপপুরে পানিস্বল্পতার কথা উল্লেখ করে নূরুল ইসলাম বলেন, সেখানে ‘ওয়াটার টাওয়ার’ করা হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনায় পানির অভাব পূরণের জন্য। কিন্তু যদি কোনো রকম অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তখন যে বিপুল পরিমাণ পানি দরকার হবে, তার উৎস কী হবে।
বিএইসির সাবেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রেজাউর রহমান গোলটেবিল আলোচনায় বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দীর্ঘদিনের স্বপ্ন থেকে এখন বাস্তবের একটি বিষয়। এই বাস্তবের কতগুলো অত্যন্ত কঠিন দিক আছে। তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নিজস্ব সামর্থ্য, জনবল, পারমাণবিক দুর্ঘটনার দায় নেওয়া প্রভৃতি সে রকমই কঠিন কিছু বিষয়। এগুলোর সুরাহা না হলে নিরাপদ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের স্বপ্ন সফল হবে না।

http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1074603/রূপপুর-পারমাণবিক-বিদ্যুৎ-প্রকল্প-স্বপ্ন-ও

০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ২:০৪

করুণাধারা বলেছেন: আমার সাধারণ একটা পোস্টে আপনার এমন সুচিন্তিত মন্তব্য পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ। রূপপুর প্রকল্প নিয়ে অনেকের ভাবনা জানতে পারলাম জানতে পারলাম।

বলা হচ্ছে, এই প্রকল্পের রিয়‍্যাকটার সর্বাধুনিক প্রযুক্তির- এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা খুবই কম। কিন্তু যদি দুর্ঘটনা ঘটে যায়, তাহলে কি ঘন বসতিপূর্ণ ত্রিশ km ব্যাসার্ধ এলাকার সমস্ত মানুষকে সরিয়ে নেয়া হবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে? খোদ রাজধানীতে রানা প্লাজার দুর্ঘটনার পর যে উদ্ধার তৎপরতার নমুনা দেখেছি তাতে মনে হয় এটা একটা আকাশকুসুম কল্পনা!!

প্রকল্পের ব্যয় কেবলই বেড়ে চলেছে, কেন তার কোনো সুনির্দিষ্ট উত্তর নেই। কিন্তু আমার দুশ্চিন্তা পারমাণবিক বর্জ্য নিয়ে। রাশিয়ায় যে-কোনো ছুতায় এটা নিতে অস্বীকার করতে পারে সেক্ষেত্রে কি করার পরিকল্পনা আছে? আমার এক সহপাঠী বন্ধু, যিনি বিএসইসির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা তাকে আমি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পানি স্বল্পতা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম, তিনি গভীর ভাবনায় ডুবে গিয়েছিলেন কিন্তু কোন উত্তর দেননি!!

এই প্রকল্প নিয়ে কেউ কেন তেমন উদ্বিগ্ন নন জানিনা।

সবসময় ভালো থাকুন, এক নিরুদ্দেশ পথিক।

২৬| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: রুপপুর নিয়ে মূলত চারটি ঘোর আপত্তির যায়গা-
১। রিয়েক্টর শীতলীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় পানি শুষ্ক মৌসূমে নেই। সরকার যে লেইক করার কথা বলছে সেটা স্রেফ মিথ্যা আর টেকনিক্যালিও প্রায় অসম্ভব। পদ্মা বছরে ১ থেকে ১,৫ লাখ মেট্রিকটন বালি পরিবহণ করে আনে, ফলে মূল রিভার বেডে বা তার পাশে রিয়েক্টর শীতলীকরণের মত লেইক করা প্রায় অসম্ভব। অনে রাখতে হবে শুষ্ক মৌসুমে পদ্মায় সর্বচ্চ ৫৫০০ কিউসেক পানি থেকেছে বিগত ২ বছর!



(নোট, সাধারণ সময় এবং ইমার্জেন্সিতে কি পরিমাণ পানি দরকার তার সঠিক পরিমাণ গুলো কাইন্ডলি একটু যাচাই করে নিবেন প্লিজ। রেফারেন্স হিসেবে কাজে আসবে। )

২। ভিভিয়ার-১২০০ রিয়েক্টর রাশিয়ার হিসেবে লেটেস্ট, কিন্তু আন্তর্জাতিক হিসেবে এটা তৃতীয় প্রজন্মের, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র ৫ম প্রজন্মের রিয়েক্টর নিয়ে হাজির। রাশার টেকনোলজির অবস্থা নাজুক, সেখানে রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট কার্ভ খুবই স্লো, বর্তমানে গ্যাস উত্তোলন ছাড়া তাদের কাছে খুব ভালো কোন প্রযুক্তি নেই। ভারতে এই রিয়েক্টর নিয়ে সমালোচনা হয়েছে এবং পরিবর্তে নতুন রিয়েক্টর বসানো হয়েছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তারা এরকম কিছু করবে কিনা, জানি না।

৩। আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থা বর্জ্য নিয়ে কাজ করে না। বর্জ্য ম্যানেজমেন্ট তাদের সদস্য দেশের রিস্পন্সিবিলিটি। রাশিয়া পরিষ্কার বলেছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা তাদের দায়িত্ব নয়, যদিও সরকার এটা নিয়ে মিথ্যা বলেছিল প্রথম দিকে। বাংলাদেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোন যায়গা নেই, ফলে বর্জ্য ফিরিয়ে নিতে রাজি না হলে কোনো দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি করা উচিত নয়, এটা বিষেশজ্ঞ মতামত।

৪। কষ্ট মডেল ভারতের তুলনায় দ্বিগুণ খরুচে, এটা আরেকটা খুললাম খুল্লা দুর্ণিতীর যোগ করছে দেশের লুটেরা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন মডেলে। খেয়াল করেছেন নিশ্চয়, রুপপরের প্রোজেক্ট অফিসের নিন্ম মান স্টীল স্ট্রাকচার ঝড়ে উপড়ে গেছে!!

০৪ ঠা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

করুণাধারা বলেছেন: আবার ফিরে আসে ধন্যবাদ, এক নিরুদ্দেশ পথিক।

বিশেষজ্ঞ মতামতের তোয়াক্কা করলে এই বিপদজনক প্রকল্প শুরু করা হতো না। এটা করা হচ্ছে ক্ষমতাধর কিছু লোকের অর্থলোভ এবং আত্মতুষ্টির কারণে। ঘনবসতিপূর্ণ, ছোট একটি দেশে জনগণ জানতে পারছে না, তাদের কত বড় বিপদের মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।

অফিসের steel structure উড়ে গেলে তেমন ক্ষতি নেই। কিন্তু চুল্লির ভিত্তি ভেঙে গেলে ক্ষতি আছে, ভেঙ্গে যাবার সম্ভাবনাও আছে!!

২৭| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন:
নির্মানাধীন ওয়াচ টাওয়ার সহ প্রোজেক্ট অফিসের স্টীল স্ট্রাকচার উপড়ে পড়েছে। যারা একটা ভবন করার হেডোম দেখাতে পারে নাই চুরি ছাড়া, তারা দুর্ঘটনা ছাড়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করবে এবং সেটা নিরাপদে মেইন্টেইন করবে, এইটা বড়ই ভারী আশা!!

০৪ ঠা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

করুণাধারা বলেছেন: এই ব্যাপারটা আমি জানতাম না, খুব অবাক হলাম। এই সক্ষমতা নিয়ে এরা বানাবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র!!

২৮| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ভয়েই আছি ! রূপপুরের ঐপাড়ে থাকি তো !
এই পাড়ে আমি , ঐ পাড়ে রূপপুর , মাঝখানে পদ্মা !

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৯

করুণাধারা বলেছেন: আপনার জন্য আলাদাভাবে ভয়ের কিছু নেই, স্বপ্নবাজ সৌরভ। কোন দুর্ঘটনা ঘটলে এক মাইল দূরে যা এফেক্ট হবে, একশ মাইল দূরেও তাই হবে, কিছু সময় পরে। দুর্ঘটনা ঘটলে আমরা কেউই নিরাপদ নই। দোয়া করি, যেন তেমন কিছু না ঘটে।

ভালো থাকুন, সবসময়।

২৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৫:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বিষয়টির উপর বেশ বড় সর একটি মন্তব্য লিখতে ইচ্ছে করছে ।
কিন্তু এখন এটার বাস্তবায়ন এমন একটি পর্যায়ে চলে গেছে যে সরকার কোনমতেই এর থেকে পিছিয়ে আসবেনা
যত কথাই বলা হোক না কেন ।
তবে এটা চালু হওয়ার অনেক পুর্বেই তার তেজস্ক্রীয়তা বিকিরন করতে শুরু করেছে ।
এর পারমানবিক তেজস্ক্রীয়তার প্রভাবে ১০০ টাকার বালিশ ৬০০০ হাজার টাকা
মাহাকাশ তো দুরে থাক তিনতলা পর্যন্ত বালিশ উঠানোতে আরো প্রায় সমপরিমান
তেজস্ক্রীয়তা ধরা পরেছে । তেজস্ক্রীয়তার এ ট্রেন্ড বজায় থাকলে এর বর্জের তেজসক্রীয়তা
কয়েক লক্ষগুণ ছাড়িয়ে যেতে পারে ।
যাহোক, করার যখন কিছুই আর নাই তখন যে কোন ধরনের বিপদ মোকাবেলার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা যেন নেয়া হয়
সেটাই এখন মনে হয় সময়ের দাবী ।
সতর্কতামুলক পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ । প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।
শুভেচ্ছা রইল

২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৫২

করুণাধারা বলেছেন: ডঃ এম এ আলী, অনুপ্রেরণামূলক আপনার এই চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। নোটিফিকেশন আসে নাই বলে আগে মন্তব্যটা দেখতে পাই নাই, তাই প্রতিমন্তব্য করতে এত দেরি হয়ে গেল। এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

সাবধানতা অবলম্বন করলে হয়তো বড় ধরনের বিপদ থেকে বাঁচা যাবে। এখন আশাবাদী হওয়া ছাড়া আর কিছু করার নেই, আমরা আশা করে থাকলাম।

আজকে আপনার মন্তব্য থেকে জানতে পারলাম, আপনি অসুস্থ। দোয়া করি শীগ্রই সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসুন, নতুন চমৎকার কোন পোস্ট নিয়ে। শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.