নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করুণাধারা

করুণাধারা

জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো

করুণাধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

টলস্টয়ের গল্প: তিনটি প্রশ্ন, এবং পাঠ প্রতিক্রিয়া

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৯



স্কুলে আমাদের ইংরেজি বইয়ের পাঠ্যসূচিতে ছিল টলস্টয়ের তিনটি প্রশ্ন নামের গল্প।গল্পটি এরকম।
এক রাজার মনে তিনটি প্রশ্ন জাগলো। প্রথম প্রশ্ন- কোন কাজ করার সঠিক সময় কোনটি?  দ্বিতীয় প্রশ্ন- কোন মানুষকে সবচাইতে প্রাধান্য  দেয়া দরকার? তৃতীয় প্রশ্ন - কোন কাজের প্রতি সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেয়া দরকার।

রাজা তার প্রশ্নগুলির উত্তর পেতে খুব ব্যগ্র হলেন। তিনি রাজ্যময় ঘোষণা করে দিলেন, যে তার এই তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে তাকে তিনি অনেক পুরষ্কার দেবেন। পুরষ্কারের কথা শুনে দলে দলে পন্ডিতেরা এলেন তাদের জবাব নিয়ে, কিন্তু তাদের একেকজনের জবাব একেক রকম হল। প্রথম প্রশ্নের জবাবে একদল পণ্ডিত  বললেন, দিন-মাস-বছরের একটা তালিকা করে নিতে হবে, তারপর সেটা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। একমাত্র এই পদ্ধতি অনুসরণ করেই কোন কাজ করার ঠিক সময় জানা যাবে। আরেক দল পন্ডিত বললেন, এভাবে ঠিক সময়ের অপেক্ষা করতে গিয়ে অনেক সময় নষ্ট হবে, তাই যতরকম কাজ সামনে আসে সব করতে হবে, করতে করতেই ঠিক করতে হবে কোন কাজ কখন করতে হবে। আরেক দল বললেন যে একজন মানুষ একা কখনওই প্রতিটা কাজ করার ঠিক সময় নির্ধারণ করতে পারবে না, যতই চেষ্টা করুক। তাই জ্ঞানী ব্যক্তিদের নিয়ে একটা পরিষদ করা হোক, তারা প্রতিটা কাজ যাচাই করে ঠিক করবেন কোন কাজ কখন করতে হবে। আরেক দল বললেন, এমন অনেক কাজ আছে যা করার ব্যাপারে  তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেবার প্রয়োজন হয়, সেখানে পরিষদ যাচাই বাছাই করার কোন অবকাশ পাবেন না। কিন্তু এমন তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত  নিতে গেলে আগে থেকে জানা দরকার সামনে কি কাজ আসছে। তাই দরকার একদল ভবিষ্যৎ বক্তা, যারা আগে থেকেই ভবিষ্যৎবানী করে জানাবেন সামনে কি কাজ আসছে।

দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরও একেক দল একেকরকম দিল। কেউ বললেন রাজার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হওয়া উচিত তার পারিষদরা, কেউ বললেন, যাজকেরা। কেউ বললেন, ডাক্তাররা আবার কেউ বললেন যোদ্ধারা। তৃতীয় প্রশ্নের জবাবে কেউ বললেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল বিজ্ঞানচর্চা, কেউ বললেন যুদ্ধবিদ্যায় নৈপুণ্য অর্জন করা আবার কেউ বললেন ধর্মকর্ম করা।

এই রকমারি উত্তরের কোনটাই রাজার মনঃপূত হল না, তাই কাউকেই পুরষ্কার দিলেন না। রাজার রাজ্যে জংগলে থাকতেন এক সন্ন্যাসী। জ্ঞানী বলে সন্ন্যাসীর খ্যাতি ছিল। রাজা ঠিক করলেন তার তিনটি প্রশ্ন নিয়ে সন্ন্যাসীর কাছে যাবেন। এই সন্ন্যাসী কেবল সাধারণ মানুষের সাথে দেখা করতেন। তাই রাজা সাধারণ মানুষের  পোষাক পরলেন, নিজের ঘোড়া আর দেহরক্ষীকেও সন্ন্যাসীর বাড়ীর কিছুদূরে ছেড়ে দিয়ে একা সন্ন্যাসীর বাড়ীতে গেলেন। রাজা দেখলেন সন্ন্যাসী একটা কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ছেন। রাজাকে দেখতে পেয়ে সন্ন্যাসী সম্ভাষণ জানালেন, তারপর তার কাজ চালিয়ে যেতে লাগলেন। রাজা দেখলেন সন্ন্যাসী রুগ্ন ও দুর্বল, খুব অল্প করে কোপাচ্ছেন আর হাঁপাচ্ছেন। রাজা সন্ন্যাসীকে বললেন, "হে জ্ঞানী সন্ন্যাসী, আমার তিনটি প্রশ্নের উত্তর পাবার আশায় আমি আপনার কাছে এসেছি। আমার প্রথম প্রশ্ন, কোন কাজ করার ঠিক সময় কী? দ্বিতীয় প্রশ্ন, কোন মানুষ আমার জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ,অর্থাৎ কার প্রতি আমার সবচাইতে মনোযোগ বেশি দেয়া দরকার? তৃতীয় প্রশ্ন, সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে আমার কোন কাজ করা উচিত?" সন্ন্যাসী মনোযোগ দিয়ে রাজার প্রশ্ন শুনলেন, কিন্তু কোন উত্তর না দিয়ে মাটি খোঁড়ার কাজ করতে লাগলেন। রাজা বললেন, "আপনি ক্লান্ত, আপনি বিশ্রাম নিন ততক্ষন আমি কাজ করি।" সন্ন্যাসী রাজার হাতে কোদাল দিয়ে ওই জমিতেই বসে পড়লেন। একটানা কাজ করে রাজা দুইখন্ড জমি খুঁড়ে ফেললেন, তারপর আবার সন্ন্যাসীর কাছে তার প্রশ্ন জানালেন। এবারো সন্ন্যাসী উত্তর দিলেন না, বরং উঠে দাঁড়িয়ে কোদালের জন্য হাত বাড়ালেন। বললেন, "এবার আপনি বিশ্রাম নিন, আমি জমি তৈরি করছি।" কিন্তু রাজা তাকে কোদাল দিলেন না, বরং আবার মাটি কোপাতে লাগলেন। আরো দুই ঘন্টা পার হল, বনের গাছের আড়ালে সূর্য অস্ত যেতে লাগল। অবশেষে রাজা কোদাল মাটিতে গেঁথে দিয়ে সন্ন্যাসীকে বললেন, "হে জ্ঞানী মানুষ, আমি আপনার কাছে এসেছিলাম আমার প্রশ্নের উত্তর জানতে, যদি আপনি উত্তর না দিতে চান তবে বলে দিন, আমি চলে যাই।" সন্ন্যাসী বললেন, "কে যেন এদিকে আসছে।" রাজা ঘুরে দাঁড়িয়ে দেখলেন বনের ভিতর থেকে একজন দাড়িওয়ালা লোক তাদের দিকে ছুটে আসছে। লোকটা দুহাত দিয়ে তার পেট চেপে রেখেছে, হাতের আংগুলের ফাঁক দিয়ে রক্তস্রোত বইছে। রাজার কাছাকাছি এসেই লোকটা অস্ফুট আর্তনাদ করে অজ্ঞান হয়ে গেল। রাজা আর সন্ন্যাসী লোকটাকে পরীক্ষা করে দেখলেন তার পেটে একটা গভীর ক্ষত, সেটা থেকে ক্রমাগত রক্ত বের হচ্ছে। রাজার একটানা শুশ্রূষা করলেন তাকে, ফলে অবশেষে রক্তপাত বন্ধ হল, লোকটার জ্ঞান ফিরে এল। পানি খেতে চাইলে রাজা গিয়ে তার জন্য শীতল পানি নিয়ে এলেন। ততক্ষণে সন্ধ্যা নেমেছে, তাই রাজা সন্ন্যাসীর সাহায্যে আহত লোকটিকে সন্ন্যাসীর কুটিরে বয়ে এনে বিছানায় শুইয়ে দিলেন। সারাদিনের ধকলে রাজা পরিশ্রান্ত ছিলেন, তাই তিনি ঘরের মেঝেতে গুটিসুটি হয়ে যেই শুলেন অমনি এমন গভীর ঘুমে ঘুমিয়ে গেলেন যে সারা রাত কেটে গেল।

ঘুম ভেংগে রাজা প্রথমে মনেই করতে পারলেন না তিনি কোথায় আছেন, আর তার দিকে জুলজুল করে তাকিয়ে থাকা এই লোকটিই বা কে। রাজাকে চোখ মেলে তাকাতে দেখে লোকটি দুর্বল গলায় বল্ল, "আমাকে ক্ষমা করুন।" রাজা বললেন, "আমি তো আপনাকে চিনিই না, ক্ষমা করার কথা আসছে কেন?" লোকটি বল্ল, "আপনি আমাকে চেনেন না, কিন্তু আমি আপনাকে চিনি। আমি আপনার সেই শত্রু যার ভাইকে আপনি ফাঁসি দিয়েছিলেন আর যার সম্পত্তি আপনি কেড়ে নিয়েছিলেন। তাই আমি প্রতিশোধ নেবার প্রতিজ্ঞা করি। আমি জানতাম আজ আপনি সন্ন্যাসীর কাছে যাবেন, তাই আপনাকে হত্যা করার জন্য আমি লুকিয়ে অপেক্ষা করতে থাকি। কিন্তু দিন শেষ হয়ে এলেও আপনি ফিরে এলেন না দেখে আমি যেখানে ওৎ পেতে ছিলাম সেখান থেকে বের হই, আর তখনি আপনার দেহরক্ষীরা আমাকে দেখে ফেলে। তারা আমাকে চিনত, তাই আমাকে আক্রমণ করে। তাদের হাত থেকে  পালালাম আহত অবস্থায়, কিন্তু প্রচণ্ড রক্তপাতে আমার মৃত্যুই হত যদি না আপনি শুশ্রূষা করতেন। আমি চেয়েছিলাম আপনার জীবন শেষ করে দিতে, অথচ আপনি আমার জীবন রক্ষা করলেন। এখন আপনি যদি চান তবে যতদিন আমি বেঁচে থাকব ততদিন আপনার বিশ্বস্ত ভৃত্য হিসাবে থাকতে চাই, আর আমার ছেলেদেরও বলে যাব এই একই উকাজ করতে। আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।"

এভাবে একজন শত্রু বন্ধুতে পরিণত হওয়ায় রাজা খুব খুশি হলেন। তিনি লোকটিকে ক্ষমা  করলেন আর বললেন তিনি তার চিকিৎসক আর সেবকদের পাঠিয়ে দেবেন লোকটির সেবার জন্যে। লোকটির থেকে বিদায় নিয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে রাজা সন্ন্যাসীর সন্ধানে চারপাশে দেখলেন, শেষবারের মত তিনি সন্ন্যাসীকে প্রশ্ন করতে চাইলেন। সন্ন্যাসী তখন রাজার খুঁড়ে রাখা জমিতে বীজ বুনছিলেন। রাজা বললেন, "শেষবার অনুরোধ করছি, দয়া করে আমার প্রশ্নের উত্তর দিন।"
সন্ন্যাসী বললেন, "আপনি তো উত্তর পেয়ে গেছেন।"
" উত্তর পেয়ে গেছি, কিভাবে?" রাজা জানতে চাইলেন।
সন্ন্যাসী বললেন, "আপনি যদি গতকাল আমার প্রতি দয়াপরবশ হয়ে জমি কোপানোর জন্য থেকে না গিয়ে ফিরে যেতেন তাহলে লোকটি আপনাকে আক্রমণ করত, সেক্ষেত্রে থেকে যাওয়া আপনার জন্য ভাল হয়েছে। তাই তখন আপনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় ছিল যখন আপনি মাটি কোপাচ্ছিলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ ছিলাম আপনার সাথে থাকা আমি আর আমার উপকার করা ছিল আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এরপর যখন লোকটি এল তখন আপনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় ছিল যখন আপনি লোকটির পরিচর্যা করছিলেন, কারণ আপনি যদি তার রক্তপাত বন্ধ করতে না পারতেন তবে সে মারা যেত, আপনার সাথে তার শত্রুতার অবসান না করেই। আপনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ ছিল লোকটি আর তার জন্য আপনি যা করছিলেন তা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তাই মনে রাখবেন, একটিমাত্র সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ - তা হচ্ছে এখনই বা বর্তমান কাল। কারণ এই একটিমাত্র সময়ে আমাদের ক্ষমতা থাকে সবচেয়ে বেশি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ হচ্ছে যে সেই সময়ে কাছে থাকে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে তাকে সাহায্য করা কারণ পরষ্পরকে সাহায্য করার জন্যই মানুষকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে।"

পাঠ্যবইয়ের এই গল্প আমার খুব ভাল লাগত। কিছুদিন আগে আমার ইচ্ছা হল গল্পটা আরেকবার পড়ার। গুগলসার্চ দিয়ে পেয়েও গেলাম। http://www.online-literature.com/tolstoy/2736/
গল্পের সাথে বাড়তি পেলাম গল্পের পাঠকদের কিছু মন্তব্য। বেশিরভাগই মন্তব্য করেছেন অন্যকে সাহায্য করাটা মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য হতে পারে না, বরং মানুষের উচিত নিজের জীবনকে হাসি, আনন্দ আর ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়ে পুরোপুরিভাবে উপভোগ করা আর সেইসাথে অন্য মানুষের প্রতি সুন্দর ও ন্যায্য আচরণ করা। এই মন্তব্যগুলো পড়ে মনে হল এই গল্পের উপযোগীতা এই যুগে ফুরিয়ে গেছে। এই সময়টা সেল্ফির সময়- সবাই কেবল নিজেকে গুরুত্ব দেবার সময়। সেল্ফি তোলাটা একটা আত্মপ্রেমের একটা প্রতীকমাত্র, তাই দেখা যায় মৃত প্রিয়জনকে কবর দিতে এসেও আমরা তার বিয়োগব্যথায় কাতর না হয়ে নিজের কথাই ভাবি, ছবি তুলি। কদিন আগেই পত্রিকায় দেখেছিলাম একদল ছাত্র পিকনিকে গিয়ে পুকুরে গোছল শেষে সেল্ফি তুলেছে, ছবির একপাশে দেখা যাচ্ছে তাদের এক বন্ধু ডুবে যাচ্ছে। ডুবন্ত বন্ধুকে (যে মারা যায়) উদ্ধার না করে ছবি তোলাটাই তখন তাদের কাছে ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।জানি না একে অস্থির সময় বলা যায় কিনা। তবে এই অস্থির সময়ে আমার বারে বারে এই গল্প মনে পড়ে, বিশেষত যখনই অনেক দিন অদেখা কোন প্রিয়জনের মৃত্যু সংবাদ পাই তখনই আফসোস হয়- কেন তাকে কিছু সময় দেই নি, কেন তাকে আরেকটু গুরুত্ব দেই নি!

টলস্টয়ের ছবি: গুগল থেকে নেয়া

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩

রাতুল_শাহ বলেছেন: গল্পটা বেশ ভালো। বর্তমান খুব গুরত্বপূর্ণ।
আজকাল ছবি তোলা, ফেসবুকে আপডেট, ইন্সটাগ্রামে আপলোড সবই সমান তালে চলে।

এগুলো প্রযুক্তির কুফল।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৬

করুণাধারা বলেছেন: ঠিক বলেছেন রাতুল শাহ, আমরা এত নিজের ছবি তুলি, কারণ নিজের চাইতে গুরুত্বপূর্ণ আর কোন কিছুকে মনে করি না। তাই বলে বন্ধুকে পানিতে ডুবে যেতে দেখেও তাকে বাঁচানোর চাইতে ছবি তোলার কাজ গুরুত্বপূর্ণ হবে- এটা ঠিক মানতে পারি না।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।

২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪

ফ্রিটক বলেছেন: গল্পটা শিক্ষনীয় কিছু দিক আছে। ভাল লেগেছে

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ ফ্রিটক, টলস্টয়ের সব গল্পই শিক্ষণীয়। এই গল্প আপনার ভাল লেগেছে শুনে আমার ভাল লাগল।

৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯

কবি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেছেন: তুন কিছু জানলাম!

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৮

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ কবি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, আজ টলস্টয়ের ১০৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। তাই এ পোস্ট।

৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৯

রাতুল_শাহ বলেছেন: হয়তো তার বন্ধুরা তার মতই সাঁতার জানতো না। তাই ছবি তোলাকে শ্রেয় মনে করেছে।

আমরা প্রকৃতির সাথে মিশতে পারছি কখন?

সকাল আট থেকে রাত আট পর্যন্ত ব্যস্ততা।

গাছে উঠতে পারি না, সাঁতার জানি না, হাডুডু খেলতে জানিনা, দীর্ঘ সময় হাটতে দৌঁড়াতে পারি না। আরও কত কি পারি না।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯

করুণাধারা বলেছেন: হয়ত আপনার অনুমান সঠিক।

পুনর্বার ফিরে আসায় ধন্যবাদ রাতুল শাহ। ভাল থাকুন।

৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: টলস্টয়ের সব গল্পই উচ্চমানের ও শিক্ষণীয়।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৪

করুণাধারা বলেছেন: টলস্টয়ের সব গল্পই উচ্চমানের ও শিক্ষণীয়। সেইসাথে এই গল্পগুলোর একটা চিরকালীন আবেদন আছে- অন্তত আমার কাছে। তাই পড়া গল্পও আবার পড়ি।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা রইল।

৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা ,




ছোটবেলার পড়া যদিও তবুও এতোদিন পরে প্রশ্ন তিনটির উত্তর দিচ্ছি ----
১ ) বর্তমানের সঠিক কাজটি হলো ব্লগে যখন ঢুকেই পড়েছি তখন ব্লগের লেখা পড়া ! ;)
২ ) আর এমন প্রশ্ন নিয়ে যিনি পোস্টটি লিখেছেন , সেই করুণাধারা কে প্রাধান্য দেয়া ! :P
৩ ) আর তিন নম্বর প্রশ্নের উত্তরটি ........... তিন নম্বরের উত্তর .............. এখানে মন্তব্য করাতে মনযোগ দেয়া ........। :-* :|

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৭

করুণাধারা বলেছেন:
ছোটবেলার পড়া যদিও তবুও এতোদিন পরে প্রশ্ন তিনটির উত্তর মোটামুটি ঠিকঠাক দিয়েছেন।

তাই আপনাকে এখনকার নাম্বার দেবার পদ্ধতি অনুসারে ১০০ নাম্বার দিলাম। ছোটবেলায় এ গল্পের প্রশ্নোত্তরে কখনো ৭০ এর বেশি নিশ্চয় পান নি। সেইসাথে পারলে একটা "সুখী সুখী" ইমোটিকন যোগ করে দিতাম, কিন্তু এটা করতে পারি না তাই দুঃখিত।

ভাল থাকুন।

৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৩

প্রামানিক বলেছেন: আমার উত্তরটা আহমেদ জী এস ভাই দিয়ে দিয়েছে। আমার নম্বার কত হবে?

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০১

করুণাধারা বলেছেন: ভাই, এখন খাতায় কিছু লেখা থাকলেই নাম্বার ঢেলে দিতে হবে, যদি লিখেন আমার উত্তর আহমেদ জী এস ভাইয়ের খাতায় আছে- তবুও। তাই আপনাকেও দিলাম পুরো ১০০ নম্বর, সাথে ফাও হিসাবে বড় ধন্যবাদ।

৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৮

শিখণ্ডী বলেছেন: গল্পের সঙ্গে আপনার শেষের কথাগুলো মনকে দারুণভাবে স্পর্শ করল। তলস্তোয় আমার ভীষণ প্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৭

করুণাধারা বলেছেন: আমার কথা আপনার মনকে স্পর্শ করেছে জেনে খুব ভাল লাগল শিখণ্ডী। আপনার মত আমারও তলস্তোয় প্রিয় ব্যক্তিত্ব। ধন্যবাদ নামের সঠিক উচ্চারণ উল্লেখ করায়। আমি ইংরেজি থেকে অনুবাদ করতে গিয়ে নামের উচ্চারণ ভুল করেছি।

৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২১

স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: সময় অস্থির হয় কি না কে জানে,তবে বেশিরভাগ মানুষই এখন অস্থির।শুধু অস্থিরই নয়, অস্থি-র ও।মানে মনে হয় তারা শুধু অস্থি দিয়ে তৈরি।দিল-কলিজা কিছুই নেই!

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

করুণাধারা বলেছেন: দিল-কলিজা কিছু নেই, এখন মানুষের আছে শুধু অস্থি। আপনি এটা জানেন, জেনে আমি পেলাম মহা স্বস্তি।

১০| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

আখেনাটেন বলেছেন: সেলফি থেকে এখন সেলফিশ জেনারেশন তৈরি হচ্ছে যারা শুধু নিজেকে নিয়েই ভাববে। ধ্বংসাত্মক ব্যাপার।


পোস্ট ভালোলেগেছে।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৩

করুণাধারা বলেছেন: সেলফি থেকে সেলফিশ জেনারেশন- ভাল বলেছেন। কিন্তু এর দায় কি আমাদের কিছুই নেই! ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাকে শিখাচ্ছি কিভাবে অন্যকে সরিয়ে নিজের জায়গা করে নিতে হবে। ফলে সে বড় হতে হতে হয়ে যাচ্ছে সেলফিস। "মোরগলড়াই" নামের একটা পোস্ট দেখে এই ভাবনাটা মাথায় এল।

পোস্ট আপনার ভাল লেগেছে জেনে অনুপ্রাণিত হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ।

১১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৪

আখেনাটেন বলেছেন: কিন্তু এর দায় কি আমাদের কিছুই নেই! ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাকে শিখাচ্ছি কিভাবে অন্যকে সরিয়ে নিজের জায়গা করে নিতে হবে। ফলে সে বড় হতে হতে হয়ে যাচ্ছে সেলফিস। -- বেশ বলেছেন।

অামি কোন একটা লেখায় কালকেই মন্তব্য করেছিলাম যে আমাদের নানারকম প্রতিযোগিতার ভিতর দিয়ে যেতে হচ্ছে এই জেনারেশনকে। এই প্রতিযোগিতা এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করছে। এখানে কে কাকে মাড়িয়ে উপরে উঠবে এই ধান্ধায় ব্যস্ত। এতেই সমাজের মধ্যে ভ্যালু বা মূল্যবোধ বলে যে একটা জায়গা বিরাজমান তা ক্ষয়ে যেতে যেতে মনে হয় তলানিতে এসে থেমেছে।

এর ফলাফল হিসেবেই পাচ্ছি এই সেলফিশ জেনারেশন।

ভালো থাকুন।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৬

করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্য ভাল লাগল। সত্যি বলেছেন, এখন আমাদের সেলফিস জেনারেশন, চোখের সামনে দেখছি সব মূল্যবোধ ধংস হয়ে যাচ্ছে অথচ নীরব দর্শক হয়ে দেখেই যেতে হবে। এক সর্বগ্রাসী হতাশা ক্রমেই আমাদের ঢেকে ফেলছে।

ভাল থাকুন।

১২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৮

সুমন কর বলেছেন: টলস্টয়ের ১০৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দারুণ শেয়ার। +।

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: টলস্টয়ের সব গল্পই উচ্চমানের ও শিক্ষণীয়। -- সহমত।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩

করুণাধারা বলেছেন: আমি আপনার মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য করলাম, এখন দেখি সেটা গায়েব!!! কি করে হল বুঝতে পারছি না। তবে খুব দুঃখিত।

আপনার মন্তব্য আর প্লাসে দারুন অনুপ্রাণিত। অসংখ্য ধন্যবাদ।

সত্যিই টলস্টয়ের গল্প খুব উচ্চমানের আর শিক্ষণীয়। আমরা ক্লাসে।শিখেছিলাম, 'Now', is the best time to do something. আজ এতদিন পরও কোন কাজ ফেলে রাখলে এই কথাটা খুব মনে হয়। শুভকামনা রইল।

১৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: টলস্টয়ের "Three Questions" গল্পটা আমাদের এসএসসি পাঠ্যসূচিতে ছিল । আমার খুব পছন্দের একটা গল্প । আজ আবার সবকিছু মনে পড়ে গেল আপনার চমৎকার বর্ণনায় ।
গল্পটার উপযোগীতা যা আজ আর নেই, সেটাই আপনার পোস্টের মূলকথা বলে আমার মনে হয়েছে ।
সত্যটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে কিন্তু বাস্তব উদাহরণ গুলো সেই সত্যকে আরো জোরালো করেছে ।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৩

করুণাধারা বলেছেন: শামছুল ইসলাম, এই গল্পটা আগেই বলেছি নাইনে পাঠ্য ছিল। আজকাল প্রায়ই মনে পড়ে- একই পরিবারের মানুষদের মধ্যে কিংবা একই পাড়ার মানুষেরা কেউ কারো কথা ভাবে না। সামনে থাকা মা বাবার সাথে কথা না বলে দূরে থাকা বন্ধুর সাথে ফেসবুকে কথা বলতেই ছেলেমেয়েরা বেশি স্বাচ্ছন্দ্য।

প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম। ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
টলস্টয়ের চিরায়ত শান্তির অন্বেষাই তাঁর গল্পকে অমরত্ব দান করেছে।
যদিও চেখভকে সমকালের সবচেয়ে নিপুন ছোট গল্পকার বলা হয়ে থাকে
তথাপিও বাকভঙ্গি, পরিসর এবং শিল্পের বিচারে টলস্টয়ের রচনা সম্পূর্ণ অভিনব।
নির্মাণ শৈলী এবং কাঠামোতেও টলস্টয়ের গল্প সবার থেকে আলাদা।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৭

করুণাধারা বলেছেন: নূর মোহাম্মদ নূরু, আপনার পোস্ট পড়েই আমি এ পোস্ট দিতে উৎসাহ পাই। সেইজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

চেখভের চাইতে আমার টলস্টয়কে বেশি পছন্দ, কারণ তার লেখা খুব ভাবায়।

১৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: দারুন শিক্ষামূলক গল্প আপা। শুভকামনা।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৪

করুণাধারা বলেছেন: হ্যা, গল্পটা দারুন শিক্ষামূলক, যদি কেউ বোঝে। ধন্যবাদ প্লাস দিয়ে অনুপ্রেরণা দেবার জন্য।

রাজকন্যার জন্যও শুভকামনা।

১৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
টলস্টয়ের এক লোভী চাষার গল্প;
এক লোভী চাষা যে সারাক্ষন স্বপ্ন দেখতো প্রচুর জমির মালিক হবে।
একবার কে যেন তাকে একটা বলল , "সকাল থেকে সন্ধে অব্ধি যতটা দৌড়ে তুমি আসতে পারবে ততটা জমি তোমার হবে।"
ব্যস শালা, চাষাকে আর পায় কে? দৌড়, দৌড়, দৌড় --ছুটেই চলেছে।
ব্যাটা ফিরতেই ভুলে গেছে।
তারপর, যখন ফেরার কথা মনে হলো এবং ফিরলো, তখন দমও শেষ, ভবলীলাও শেষ !
প্রশ্নঃ কতটা জমি বরাদ্দ হয়েছিল চাষাটার জন্যে?
উঃ ৬ ফুট, সাড়ে তিন হাত মাটি। তাকে কবর দিতে যতটা লাগে!

২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১

করুণাধারা বলেছেন: নূর মোহাম্মদ নূরু, এই গল্পটাও খুব শিক্ষণীয়। আমরা অর্থ-বিত্ত, জমি- বাড়ির পিছনে দৌড়াই, কিন্তু শেষপর্যন্ত দরকার হয় শুধু সাড়ে তিন হাত জমি, যেতে হবে খালি হাতে।

এই বিশাল গল্পটাকে এত অল্পকথায় প্রকাশ করলেন কি করে! খুব ভাল হয়েছে। পড়তে পেরে ভাল লাগল।

১৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: টলস্টয়ের এ গল্প টা এর আগেও পড়েছিলাম ভুলেও গিয়েছিলাম। আপনার এ লেখাটা পড়ে সেটা আবার স্মরণ করতে পারলাম।
গল্পের শেষে দেয়া আপনার নিজস্ব ভাবনাগুলো আমাকেও ভাবিয়ে গেল!
ফেইসবুকের কল্যাণে আমাদের অনেকেই এখন আত্মপ্রচার নেশায় আক্রান্ত, যেখানে সেখানে সেল্ফির যথেচ্ছাচার তার প্রমাণ। ছেলেবুড়ো সবাই এ রোগে আক্রান্ত।
প্রিয় মানুষকে কিছু কোয়ালিটি টাইম দেয়া তার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের নামান্তর। কিন্তু সময় যে আপন গতিতে ছুটে চলেছে... আমরা তার পিঠে নিজ নিজ ভার নিয়ে সওয়ার। প্রিয়জনকে সময় দেয়ার আমাদের সে সময়টা কোথায়?
"একটিমাত্র সময়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তা হচ্ছে 'এখনই; বা বর্তমানকাল" - মাত্র আজ সকালেই আমি "সময়" নিয়ে একটা কবিতা লিখলাম, আর এখন সন্ধ্যায় সময় নিয়ে লেখা টলস্টয়ের এ গল্প টা আপনার ব্লগে এসে পড়ে গেলাম। আশ্চর্যজনক, কাকতালীয় এ মিল দেখে অবাকও হ'লাম।
আমার "সময়" কবিতাটি বৃহত্তর পাঠকের পাঠার্থে আমি এ ব্লগেও পোস্ট করবো। তবে প্রাসঙ্গিক বিধায় এখানেও উল্লেখ করে গেলামঃ

সময়
খায়রুল আহসান

সময় একটি সতত বহমান নদী।
যে নদীতে আমরা কিছুকাল ভেসে চলি মাত্র।
কখনো চোখ বুঁজে উজানে সাঁতরে,
কখনো নির্লিপ্ততায় ভাটায় ভেসে!

সময় বয়ে চলে জন্ম জন্মান্তর ধরে,
কালের সাক্ষী হয়ে রয় কিছু মানব কীর্তি।
নশ্বর মানুষ মিশে যায় ধরিত্রীর মৃত্তিকার সাথে,
কিছু কিছু মানুষের কর্মকে সময়ও সমীহ করে।

এক জলে মানুষ দু’বার নামতে পারেনা
একটি মুহূর্তকে কেবল একবারই আঁকড়ানো যায়।
সুকর্মের শুভক্ষণ বিচারে পন্ডশ্রম মাত্র।
চরিত্রের কাঠামো তৈরী হয় প্রতি ক্ষণে ক্ষণে।

ঢাকা
২২ নভেম্বর ২০১৭
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ চমৎকার কবিতাটি সহ মন্তব্যের জন্য। আমি কবিতা লিখতে পারিনা, তাই আমার সময় নিয়ে যে পঙক্তিগুলো মাথায় প্রায়ই আসে সেগুলোই জানাই:
Time, you old gypsy man, will you not stay
keep up your caravan just for a day.

কালের যাত্রার ধবনি শুনিতে কি পাও?
তারি রথ নিত্য উধাও!

কিন্তু সময় তো এক পলকের জন্যও থামবেনা।

এই চমৎকার কবিতাটি প্রকাশ করে ফেলুন। না হলে এখান থেকেই কেউ চুরি করতে পারে।

১৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: কিছু ভাল লাগা মন্তব্য এবং প্রতিমন্তব্যঃ
শামছুল ইসলাম (১৩), এবং নূর মোহাম্মদ নূরু (১৪ এবং ১৬) এর মন্তব্য ভাল লেগেছে, সেই সাথে আপনার উত্তরও।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

করুণাধারা বলেছেন: আবারো ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ। এই মন্তব্য আমার জন্য বড় অনুপ্রেরণা।

১৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৪

শায়মা বলেছেন: গল্পের রহস্য আছে, মজা আছে শিক্ষাও আছে।


আপু একটা কথা-
এই নিক নেবার সময় কি তুমি গান গাচ্ছিলে?


জীবন যখন ফুরায়ে যায়
করুনাধারায় এসো .....

তুমি না গাইলেও তোমাকে দেখলেই আমি এই গান গাই। :)

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭

করুণাধারা বলেছেন: ঠিক! ঠিক! এই নিক নেবার সময় আমি এই গানটা গুনগুন করতে করতে আনমনে কোথায় লিখলাম করুণাধারা, তারপর দেখছি সেটাই আমার নিক হয়ে গেল! নিকটা আমার পছন্দ নয়, কিন্তু বদলাতেও তো পারিনা। আবার অন্য নিকও নিতে পারলাম না টেকনিকাল কারণে। গাইতে থাক, আমিও নিজের নিক দেখলেই এই গান গাই।

২০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৫

শামচুল হক বলেছেন: এই গল্পটি আমিও পড়েছিলাম। আবার মনে করিয়ে দেয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮

করুণাধারা বলেছেন: ভাল গল্প, তাইনা? মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: গল্পটা খুব ভালো লাগলো ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

করুণাধারা বলেছেন: গল্প পড়ার জন্য অজস্র ধন্যবাদ নূর-ই-হাফসা। টলস্টয়ের অন্য গল্পগুলো পড়ে দেখাবেন - জীবনবোধের দারুণ ছোঁয়া থাকে।

ভাল থাকুন।

২২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: মলা... এলাম আপনার ব্লগে (বিদঘুটে পুরো নিক মনে না থাকলে কোনো সমস্যা নেই) | ভুলেই গিয়েছিলাম টলস্টয়ের এই গল্পটা | অনেক অনেক আগে পড়া | ফিলোসফিক্যালি টলস্টয়ের সাথে আমি একটু দ্বিমত করি ঠিকই কিন্তু সাধারণ ভাবে গল্পের মোরেলটা ঠিক আছে | অনেক ভালো লাগলো এতদিন পর আবার গল্পটা মনে করে দেবার জন্য | আমি অবশ্য আন্তন চেখভের লেখার বেশি ভক্ত ছিলাম স্কুল কলেজেরপড়ার সময় | একটা ধন্যবাদ বলবো আপনাকে | না থাক, ব্লগে আমাদের জন্য করুনাধারা বইয়ে দেওয়া কাউকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করার কোনো মানে হয়না |অনেক ভালো থাকবেন |

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৯

করুণাধারা বলেছেন: ব্লগে আসবার জন্য ধন্যবাদ মলাসইলমুইনা। এবার কপি করতে পারলাম, তাই নিকটাকে আর বিদঘুটে বলছি না।

এই গল্প আমার প্রিয়, কারণ কাজ ফেলে না রেখে তখন তখন করে ফেললে তাতে জীবনের অনেক জটিলতা কমে যায়। এটা আমার জীবনের উপলব্ধি। চেকভ আমারও প্রিয়, কিন্তু টলস্টয় বেশি।

ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা রইল।

২৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৪

জেন রসি বলেছেন: একমাত্র বর্তমানের উপরই আমাদের কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আছে। বর্তমানে আমরা কি করছি তা ভবিষ্যত বিনির্মাণের সাথে সম্পর্কিত। টলস্টয়ের গল্পটা শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৫

করুণাধারা বলেছেন: বাহ! জেন রসি, আপনি তো প্রথম প্রশ্নের উত্তর এককথায় দারুনভাবে প্রকাশ করলেন!

আপনাকেও ধন্যবাদ গল্পটা পড়ার ও প্লাসে অনুপ্রেরণা দেবার জন্য।

ভাল থাকুন।

২৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালোলাগা আপু ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১

করুণাধারা বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা, আপনার ভাললাগায় আমি আপ্লুত হলাম। যদিও বহুল পঠিত পুরানো, তবু আমার প্রিয় গল্পটা সবার সাথে শেয়ার করতে চাইছিলাম। আপনি সাথে ছিলেন, খুব ভাল লাগল। ভাল থাকুন সবসময়।

২৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপা আপনার জন্য অপেক্ষায় আছি।

২৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৮

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ রাজকন্যা। ভাল নেই বলে ফিরতে দেরী হল।

২৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর+

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৪

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার, প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম।

সালমানের জন্য শুভকামনা।

২৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪০

আটলান্টিক বলেছেন: আপনি তো অসাধারণ লেখেন।আজ থেকে আপনার লেখা পড়তে শুরু করবো।ইশশ আগে যে কেন দেখলাম না।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

করুণাধারা বলেছেন: ওরে বাবারে! টলস্টয়ের লেখাকে কি আমি নিজের বলে চালিয়ে দিলাম নাকি! আসলে আমি কেবল অনুবাদ করেছি, লিংকও দিয়ে দিয়েছি।

ধন্যবাদ একটি আটলান্টিক, আমার ব্লগে স্বাগতম। ভাল থাকুন, নতুন বছরের জন্য শুভকামনা।

২৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

মরুচারী বেদুঈন বলেছেন: করুণাধারা! B:-) B:-)
আপনার কথাইতো মনে হয় বলেছিল শায়মা আফা,আর একটি আটলান্টিক ভাইয়ূ..

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫১

করুণাধারা বলেছেন: বলছিল নাকি? শুনতে পাইনি তো! যাহোক খবরটা দিলেন সেজন্য অনেক ধন্যবাদ, আর স্বাগত আমার ব্লগে।

ভাল থাকুন, মরুচারী বেদুঈন।

৩০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: আধুনিকতার ব্যক্তিস্বাতন্ত্রবাদের ফাঁদে পড়ে আমাদের অধিকাংশ নিজের ব্যক্তিত্ব, মানবিকতা বিনষ্ট করছে। আত্মকেন্দ্রীক হতে গিয়ে সবাইকে সাথে নিয়ে বাঁচার তাগিদ আর নির্মল সুন্দর প্রবণতাটা থাকছে না।

গল্পটা আগে পড়িনি। এখন পড়লাম। খুব ভালো লাগল। ছোটবেলায় নীতিকথামূলক গল্প অনেক পড়তাম!

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬

করুণাধারা বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুব ভাল লাগল, আর ভাল লাগল আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যটিও।

রাশান সাহিত্য খুবই সমৃদ্ধ, যদিও অল্পই পড়তে পেরেছি অনুবাদের মাধ্যমে। টলস্টয়ের আরো কিছু গল্প আছে যেগুলো গভীরভাবে ভাবায়।

ভাল থাকুন।

৩১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: গল্পটা শিক্ষনীয় বটে। বর্তমানটাই সবচে গুরুত্বপূর্ণ! তবে, আমার মনে হয় মানুষের জীবনের ডেফিনিশন একেকসময় একেকরকম হয়ে থাকে। শৈশবে একরকম, যৌবনে একরকম আর বার্ধক্যে আরেকরকম।

পোস্টটা প্রিয়তে রাখলাম।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ রূপক বিধৌত সাধু। এই গল্পের শিক্ষা আমি গ্রহণ করতে চেষ্টা করি- অনেক সময় কোন কাজ করতে ইচ্ছা না হলে নিজেকে বোঝাই যে পরে হয়ত কোন অসুবিধা আসতে পারে; মানুষের সাথে সবসময় ভাল ব্যবহার করার চেষ্টা করি কারণ জানি না তার সাথে আর কখনো দেখা হবে কিনা!

আপনার ভালোলাগায় আমি অনুপ্রাণিত। ভাল থাকুন সতত।

৩২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: এই গল্পটা একটা নষ্টালজিয়া ক্রিয়েট করে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

করুণাধারা বলেছেন: এই গল্পটা একটা নষ্টালজিয়া ক্রিয়েট করে। ঠিক বলেছেন- এই গল্পটা আমাদের অনেক কিছু মনে করিয়ে দেয়।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নয়ন বিন বাহার।

৩৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: মানুষের সাথে সবসময় ভাল ব্যবহার করার চেষ্টা করি কারণ জানি না তার সাথে আর কখনো দেখা হবে কিনা! (৩১ নং প্রতিমন্তব্য) - চমৎকার আত্মোপলব্ধি! ভাল লাগলো ভাবনাটা, আমিও চেষ্টা করবো তাই করতে!

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৭

করুণাধারা বলেছেন: আবার ফিরে এসে এমন অনুপ্রেরণাদায়ক মন্তব্য করায় অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমার ধারনা আপনি মানুষের সাথে সবসময় ভাল ব্যবহারই করেন, কারণ আপনি আল্লাহকে ভয় করেন; সুতরাং তার রসূল (স)কে আপনি অবশ্যই অনুসরণ করেন। আর সততায়, মানুষের সাথে সর্বাবস্থায় ভাল ব্যবহার করার সবচেয়ে ভাল দৃষ্টান্ত তো আমাদের রসূল (স)।

ভাল থাকুন।

৩৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:২৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: গল্পটা জানি। তবুও থ্যাংস B-))

০৫ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:২০

করুণাধারা বলেছেন: এটা তো জানা গল্পই! কিন্তু গল্পের শিক্ষাটা সব সময় মনে রাখা দরকার, তাই আরেকবার বলা......

পুরনো পোস্টে ঘুরে যাওয়ায় অসংখ্য ধন্যবাদ, আর্কিওপটেরিক্স।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.