নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"যাবা নাকি- মেয়ে দেখতে যাচ্ছি।"
খুব মন দিয়ে কাজ করছিলাম; কখন বস ফাহিমা ম্যাডাম সামনে এসে দাড়িয়েছেন খেয়ালই করি নি। কথা শুনে মুখ তুলে তাকিয়েই উনাকে দেখে দাঁড়িয়ে গেলাম।
"কোন মেয়েকে দেখতে যাচ্ছেন?"
"ওই যে, বাতেন একটা মেয়ে দেখতে গেল না, মেয়েটাকে দেখে ওর খুব পছন্দ হয়েছে, কিন্তু মেয়েটা নাকি চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াবার সময় বাঁ হাত দিয়ে চেয়ার টেনেছে- তাই বাতেন ভাবছে মেয়েটার ডানহাতে কোন সমস্যা থাকতে পারে; আমাকে বলেছে যাচাই করতে। যাবে তো চল।"
আমি খুব উৎসাহের সাথে স্কেল,পেন্সিল গুছিয়ে বললাম,
"চলেন যাই।"
ফাহিমা ম্যাডাম আমার বস। সরকারি চাকরি বলে আমাদের সবারই আমরা সবাই রাজা অবস্থা, অফিসে শুধু জানিয়ে দিয়ে যখন খুশি বেড়িয়ে যাওয়া যায়, বসের সাথে তো বেরোতেই পারি। ফাহিমা ম্যাডাম অফিস আওয়ারে বের হন শুধু অফিসিয়াল কাজেই, এখন অবশ্য বেরোচ্ছেন ঘটকালি করতে। উনি দাপ্তরিক কাজে যতটা চৌকশ ততটাই চৌকশ ঘটকালিসহ আরো নানারকম কাজে। কি করে এতরকম কাজ সামলে সারাক্ষণ এমন সেজেগুজে ঝলমল করেন আমি ভেবেই পাই না। যারই পরিচিত বিবাহযোগ্য পাত্রপাত্রী আছে সেই ফাহিমা ম্যাডামের কাছে বায়োডাটা দিয়ে রাখে। আত্মীয়স্বজন, বন্ধু, কলিগদের মধ্যে কতজনের যে জোড়া মিলিয়ে দিয়েছেন! এখন বাতেনভাইয়ের ঘটকালি করছেন, পাত্রী আমাদের অফিসের শফি ভাইয়ের ভাগ্নি- দিলখুশার একটা ব্যাংকে ভাল পদে সম্প্রতি জয়েন করেছে। বাতেনভাই আমাদের সংস্থাতেই অন্য অফিসে কাজ করেন; বুয়েটের গ্রাজুয়েট আর এআইটির মাস্টার্স করা বলে উনার বেশ অহংকার আছে। আড়ালে সবাই উনাকে মাংকি বলে ডাকেন- প্রাণীটির সাথে উনার অনেক মিল আছে সেজন্য। বাতেন ভাই এই মেয়েকে দেখেছেন ব্যাংকে গিয়ে, একাউন্ট খোলার উছিলায়। আমাদের অফিস থেকে ব্যাংকটা কাছেই- যেতে যেতে ম্যাডামকে জিজ্ঞেস করলাম,
"মেয়েটার ডানহাত যদি অকেজো হয় তাহলে ও চাকরি করছে কি করে?"
"আমিও তো তাই ভাবছি, কিন্তু খটকা মনে নিয়ে তো বাতেন বিয়ে করতে পারে না- দেখেই আসি কি ব্যাপার।"
ব্যাংকে পৌঁছে মেয়েটাকে খুঁজে বের করলাম। ম্যাডাম পরিচিতি দিলেন আমরা শফিভাইয়ের কলিগ বলে। মেয়েটা দেখতে খুব মিষ্টি, আমাদের সাথে কিছুক্ষণ হাসিমুখে কথা বল্ল, আপ্যায়ন করে ডানহাতে চায়ের কাপ এগিয়ে দিল। ম্যাডাম নিশ্চিন্ত হলেন, এর হাতে কোন সমস্যা নেই। অফিসে গিয়ে বাতেনভাইকেও ফোন করে নিশ্চিন্ত করলেন। পরদিনই শফিভাইকে দিয়ে প্রস্তাব পাঠানো হল। ভাগ্নির মাবাবা প্রস্তাব পেয়ে খুশি মনে রাজি হলেন কিন্তু ভাগ্নি নাকি সরাসরি প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে, বলেছে বাতেনভাইকে তার পছন্দ হয়নি! যখন শফিভাই ম্যাডামকে এসব বলছিলেন আমি সামনেই ছিলাম। দেখলাম ম্যাডামের মুখ মূহুর্তের জন্য ম্লান হয়েই ঠিক হয়ে গেল।
"বেশ বলেছে! রিজেক্ট করার অধিকার কি শুধু ছেলেদেরই একচেটিয়া নাকি!"
ম্যাডামের মুখ দেখে আমি অবশ্য বুঝতে পারলাম না উনি কি সত্যিই খুশি হয়েছেন নাকি ঘটকালির ব্যর্থতায় দুঃখ পেয়েছেন! এরপর আরো কয়েকবার ম্যাডামের ঘটকালি দেখলাম, আমারও খুব ইচ্ছা করত একটা ঘটকালি করতে। কিন্তু তখন আমার বয়স মাত্র বিশের কোঠায়, আবার বিয়েও হয়েছে বেশিদিন হয়নি- হয়ত এসব কারণে ঘটকালি করার সুযোগ পাচ্ছিলাম না। অবশেষে সুযোগ এল অভাবিতভাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী সাইফ কোন কাজে মতিঝিলে এসে কাজ শেষে আমার সাথে দেখা করতে এসেছিল। কথায় কথায় বল্ল ওর বড়ভাইয়ের জন্য পাত্রী দেখতে। ভাই ছয় ফিট লম্বা, তাই পাত্রী হতে হবে অন্তত সাড়ে পাঁচ ফিট; ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট, কমনওয়েলথ স্কলারশিপ পেয়েছে,তিনমাস পর ইংল্যান্ড যাবে পি এইচ ডি করতে। এই স্কলারশিপে বউয়ের খরচাও দেয় তাই সে চাচ্ছে বিয়ে করে বউ নিয়ে যেতে। বউটির শিক্ষাজীবন সমাপ্ত হলে ভাল, আর যদি মেরিট লিস্টে নামওয়ালা ভালছাত্রী হয় তবে খুবই ভাল। আমার মনে পড়ে গেল কদিন আগে কলিগ আকরাম ভাই দুঃখ করছিলেন ছোট বোন মিলির জন্য পাত্র পাচ্ছেন না বলে। মিলিকে আমিও দেখেছি, খুবই ভাল মেয়ে। ঢাবির বিজ্ঞান অনুষদের এক বিভাগে থেকে ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট হয়ে সদ্য পাশ করেছে কিন্তু উচ্চতা পাঁচ ফিট সাত ইঞ্চি বলে সবদিকে মানানসই পাত্র পাওয়া যাচ্ছে না। সাইফকে মিলির কথা বল্লাম- শুনে ও খুব উৎসাহ দেখালাম । বল্ল আকরামভাইয়ের থেকে মিলির বায়োডাটা আর ছবি নিয়ে রাখতে- ও পরদিন এসে নিয়ে যাবে। আরো বল্ল ওর একমাত্র ভগ্নিপতিও আমাদের সংস্থাতেই কাজ করেন, বেশ উচ্চপদে। নাম বল্ল কিন্তু আমি চিনতে পারলাম না। সাইফ চলে যাবার পর আমি গেলাম আকরামভাইর কাছে। সব শুনে উনি মহাখুশি। কারণ সবদিক মিলিয়ে এমন যোগ্য পাত্র তো সহজে পাওয়া যায় না। আমি নিজের সাফল্যে নিজেই মুগ্ধ হয়ে গেছি- এবার চললাম ম্যাডামকে নিজের কৃতিত্ব জানান দিতে। সব বললাম, সাইফের দুলাভাইয়ের নামও বললাম। ম্যাডাম হাসি হাসি মুখে সব শুনলেন, বললেন দুলাভাইকে উনি চেনেন, এছাড়া আর তেমন কিছু বললেন না। পরদিনই আকরামভাই ছবি আর বায়োডাটা এনে দিলেন কিন্তু সেদিন সাইফ এল না, তারপর দিনও এলো না- এলো সাতদিন পর ভাইয়ের বিয়ের কার্ড হাতে আমাকে দাওয়াত দিতে। পরদিন আসবে বলে আর কেন সাইফ এল না তা ভেবে আমি আকুল হয়েছি এই কয়দিন। যোগাযোগ করতে পারছিলাম না কারণ ওর বাড়ির ফোন নাম্বার জানতাম না, তখন তো আর মোবাইল ফোন ছিল না।
আকরাম ভাই এরমধ্যে দুদিন জিজ্ঞেস করেছেন ওরা কিছু বলেছে কিনা- আমি শুকনা মুখে বলেছি, "সাইফ তো আর আসল না।"
ভেবেছিলাম ম্যাডাম কিছু জিজ্ঞেস করবেন, কিন্তু উনি মনে হয় ভুলেই গেছিলেন আমি যে উনাকে বলেছি আমি একটা ঘটকালি করছি। এখন সাইফের থেকে কার্ড নিয়ে বললাম,
" আমাকে একবার জানিয়ে দিলেই পারতে যে তোমরা অন্য মেয়ে দেখছ- তাহলে আমি আকরামভাইকে আগেই বলে দিতে পারতাম।"
সাইফ খুব অবাক হল, "কেন তুমি জান না এই বিয়ে ঠিক হয়েছে? তোমার ম্যাডামইতো ঘটকালি করেছেন, তাই আমি ভেবেছি তুমি জান।"
এবার আমি অবাক হলাম, "ম্যাডামতো তোমাকে চেনেনই না, উনি কিভাবে বিয়ে ঠিক করলেন?"
"আমাকে চেনেন না, কিন্তু আমার দুলাভাইকে তো চেনেন- উনি দুলাভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করে বিয়ে ঠিক করেছেন, পাত্রী সম্পর্কে উনার বোনঝি হয়।"
"আমি কিন্তু ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট পাত্রী ঠিক করেছিলাম!"
"তোমার ম্যাডামও ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট মেয়েই ঠিক করেছেন। মেয়ে দেখে সবার খুব পছন্দ হয়েছে। তুমি কিন্তু অবশ্যই বরকে নিয়ে যেও।" আন্তরিকভাবে বল্ল সাইফ।
আর যাওয়া! আমার তখন মাথা ঝিমঝিম করছে, পিঠ টনটন করছে পিছন থেকে মারা অদৃশ্য ছুরির যাতনায়। আকরামভাইকে সব বললাম, উনি শুনে খুব হাসলেন, তারপর উলটা আমাকেই সান্ত্বনা দিলেন।
"এই নিয়ে মন খারাপ কোর না, যার যেখানে জোড়া বাঁধা আছে তার সেখানেই বিয়ে হবে, মিলির জোড়া নিশ্চয় অন্য কোথাও আছে।"
বৌভাতে অবশ্য গেলাম, ম্যাডাম তো গেলেনই। দুই পক্ষই ম্যাডামকে খুব খাতির করছিল আর ধন্যবাদ জানাচ্ছিল- দেখে আমার গা জ্বলে গেলেও জ্বলুনি লুকিয়ে রাখলাম, বসকে তো আর কিছু বলা যায় না! এরপর কদিন অফিসে কাজের কথা ছাড়া ম্যাডামের সাথে তেমন কথা বলিনা, এই বিয়ে নিয়ে তো একটা কথাও না। দশ পনের দিন পর একদিন যখন কাজ দেখাতে গেছি, দেখি ম্যাডামের খুব মনখারাপ। আমাকে বললেন,
" খুব চিন্তায় আছি।বিয়েটা মনে হয় ভেংগেই যাবে, ছেলের বাড়ি খুবই বিরক্ত হয়ে আছে মেয়ের উপর।"
" কেন ম্যাডাম, কি হয়েছে?"
"মেয়েটা সারাদিন শুয়ে শুয়ে বই পড়ে, ঘরের কোন কাজে হাত দেয় না, স্বামীর একটু যত্ন আত্তি করবে তাও করে না। ওরা ভাবছে এই মেয়েকে ইংল্যান্ড নিয়ে গেলে ছেলের যদি কোন কষ্ট হয়- তাই ডিভোর্স দেবার কথা উঠেছে।"
আমার খুব আনন্দ হল শুনে- হয়ত একেই বলে পৈশাচিক আনন্দ; ভাবলাম হোক ডিভোর্স, ম্যাডামের একটা শিক্ষা হবে। তারপর প্রতিদিন কাজ না থাকলেও ম্যাডামের রুমে যাই, ডিভোর্সের কি হল সেই খবর নেই। শুনলাম মেয়ের বাড়ি থেকে কয়েকটা দিন সময় চাইছে; মেয়েটার বই পড়ার নেশা কমিয়ে আনবার জন্য। ছেলের বাড়িও রাজি, কারণ বইপড়ার নেশা ছাড়া মেয়ের বাকি সবই ভাল- মেয়েটা খুব মিষ্টি স্বভাবের। একদিন দেখি ম্যাডাম খুব হাস্যময়ী, বললেন ব্যাপারটা মিটে গেছে। মেয়েটা বই পড়া কমিয়েছে, আর ছেলেপক্ষের এক মুরুব্বি মত দিয়েছেন কিছুটা সময় দিলেই মেয়েটা ঠিক "সংসারী" হয়ে উঠবে।
ডিভোর্স হল না, কিছুদিন পর সাইফের ভাই বউ নিয়ে ইংল্যান্ড চলে গেল। ইতিমধ্যে অবশ্য আমার সুবুদ্ধি ফিরে এসেছিল, বুঝতে পারছিলাম যে ডিভোর্স হলে মেয়েটার সাথে একটা বড় অন্যায় হত। বইপড়া কি বউ পেটানোর মত কোন দোষ যে একেবারে ডিভোর্সই দিতে হবে? যদি নতুন জামাই শ্বশুরবাড়ি গিয়ে সারাদিন শুয়ে শুয়ে বই পড়ত তাহলে কি মেয়ের বাড়ি থেকে ডিভোর্স চাইত? চাইত না। কেন তবে বিয়ের পর একটা মেয়েকে বাধ্য করা হয় তার ছোটখাট অনেক সখ বিসর্জন দিতে?
ছবি: গুগল
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৪
করুণাধারা বলেছেন: প্রথম মন্তব্য করে অনুপ্রেরণা দেবার জন্য ধন্যবাদ শামচুল হক, কিন্তু আমি তো আমার বাস্তব অভিজ্ঞতাই লিখেছি। শুধু মানুষের নামগুলো বদলে দিয়েছি।
২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৮
ওমেরা বলেছেন: বই পড়া একটা বড় গুন । যে কোন ধরনের নেশাই খারাপ তবে বই পড়া নেশা হলে ভাল। বাস্তব অভিজ্ঞতার গল্প খুব ভাল লাগল । ধন্যবাদ আপু ।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১৫
করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ ওমেরা। হ্যাঁ, বই পড়া খুব ভাল গুন, কিন্তু বাড়ির বউ যদি বেশি বই পড়ে সেটা তার দোষ। এই ঘটনা দেখার পর ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছিলাম।
৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪১
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা ,
এরকমটাই হয় কখনো কখনো বাস্তবে।
বেশ ঝরঝরে একটা লেখা হয়েছে ।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৭
করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আহমেদ জী এস, সত্যিই এরকম হয় কখনো কখনো। এমন অকারণে যেন ডিভোর্সের মত ঘটনা না ঘটে সেটাই কাম্য।
৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪২
শায়মা বলেছেন: বই পড়ার জন্য ডিভোর্স দেবে!!!!!!!
শ্বশুরবাড়িতে আগুন লাগায় দিলো না কেনো মেয়েটা!!!!!!!!
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫২
করুণাধারা বলেছেন: যখন প্রথম শুনেছিলাম বই পড়ার জন্য ডিভোর্স দেবে তখন আমার মনেও এতগুলা!!!!!!!!!! চলে এসেছিল। কিন্তু পরে মনে হল বিয়ের পর বউদের বইয়ের সাথে কোন সম্পর্ক না থাকাই ভাল। আমি পড়তে পছন্দ করি বলে আমার বিয়েতে অনেক বউ উপহার পেয়েছিলাম। শ্বশুরবাড়িতে যখন সব উপহার খুলে দেখা হচ্ছিল তখন দেখি যার যে বই পছন্দ সে সেটা নিয়ে নিচ্ছে। আমি সবাই শুনতে পায় এমন জোরে চেঁচিয়ে বলেছিলাম, " আমার পড়ার আগে আমার একটা বইতেও কেউ হাত দেবে না।" সাথে সাথে কত যে ধিক্কার শুনতে হল, আমার নামের আগে অভব্য, স্বার্থপর, কৃপণ, বেয়াদব কত যে বিশেষণ জুটল। অবশ্য আমি সবার কাছ থেকে বই ফেরত নিয়ে ছেড়েছিলাম- একবার যখন বিশেষণ জুড়েই গেছে তখন আমি নাহয় তাই হলাম!
আগুন লাগাবে!!! মেয়েদের হাতেপায়ে কত যে বেড়ি বাঁধা তাতো জানো না।
৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১০
আখেনাটেন বলেছেন: শায়মা বলেছেন: বই পড়ার জন্য ডিভোর্স দেবে!!!!!!! (
শ্বশুরবাড়িতে আগুন লাগায় দিলো না কেনো মেয়েটা!!!!!!!! ----- হককথা।
চমৎকার লেখা ব্লগার করুণাধারাপা।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩
করুণাধারা বলেছেন: প্রশংসায় অনুপ্রাণিত হলাম আখেনাটেন। অজস্র ধন্যবাদ।
শ্বশুরবাড়িতে মেয়েটা আগুন কি করে লাগাবে আখেনাটেন- আমরা আপোষকামী জনগণ, মেয়েদের উচ্চশিক্ষিত করলেও সাথে সাথে শিক্ষা দেই আপোষ করতে করতে নিজেকে পাপোষ বানিয়ে ফেলতে। কেন এমন হল ইদানীং তাই ভাবি।
ভাল থাকুন।
৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২৮
মাআইপা বলেছেন: ভাল হয়েছে। পড়ে গেলাম
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫
করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ মাআইপা, আমার ব্লগে স্বাগত। শুভেচ্ছা রইল।
৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৫২
সোহানী বলেছেন: এরকম কুটনী বস!!!!!!!!! কিছু মানুষ আছে নিজের ক্রেডিট নিতে চায় সব জায়গায়। ডোন্ট ওরি এসব আজাইরা কাজে ক্রেডিটের দরকার নেই।
আর বিয়ের পর শিক্ষিত বা অশিক্ষিত সব শশুড় বাড়ির আচরনই এক রকম.........কম বা বেশী!
ভালো লাগলো চমৎকার লিখায়।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২২
করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ সোহানী, মন্তব্য করে অনুপ্রেরণা দেবার জন্য।
অনেক পুরানো ঘটনা মনে পড়ে গেল- আসলে মেয়েদের শত্রু মেয়েরাই। কেবল শাশুড়ি নয়, মায়েরাও মেয়েদের অনেক ইচ্ছার বিনাশ ঘটান। আমি একজন আলোকপ্রাপ্তা মা, ছেলেমেয়ের মধ্যে কোন তফাৎ করি না, আমার পিঠাপিঠি ছেলে মেয়ে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগে পড়েছে কিন্তু ছেলে যখন ছুটিছাটায় বান্দরবন সুন্দরবন ঘুরে বেড়াচ্ছে আমি তখন মেয়েটিকে শেখাচ্ছি পেঁয়াজ কি করে পাতলা করে কাটা যায় সেই তরিকা !
৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: হি হি হি---
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮
করুণাধারা বলেছেন: কেন হি হি হি রাজীব নুর? যদি আমার নাজেহাল হওয়া দেখে হয় তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু মেয়েটার অপদস্থ হওয়া দেখে হাসবেন না। দুর্বল পেয়ে কাউকে আঘাত করায় কোন বাহাদুরি নেই।
ভাল থাকুন সুরভী আর মেয়েকে নিয়ে।
৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮
মিরোরডডল বলেছেন: I like comment 4
Book is the best friend ever
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০
করুণাধারা বলেছেন: জানি বই খুব ভাল বন্ধু। কিন্তু সব বিপদ থেকে বই বাঁচাতে পারে না।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ MirroredDoll.
১০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অর্ধাঙ্গিনীদের এমনই হয়।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১০
করুণাধারা বলেছেন: হ্যাঁ রাজকন্যা, অর্ধাঙ্গিনীদের মুখ বুজে সব মেনে নিতে হয়।
১১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১৮
এম. হাবীব বলেছেন: বই পড়া অবশ্যই ভালো গুণ, কিন্তু পতির সাথে ভালবাসা এবং যত্ন খাতির করার সময় যদি তা না করে শুুধু বই পড়া হ্য় তাহলে হীতে বিপরীত হতে পারে।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১৩
করুণাধারা বলেছেন: একেবারে সঠিক কথা, এম. হাবীব। মেয়েদের প্রধান কর্তব্য স্বামী সেবা- অনেক মেয়েই এটা মনে রাখে না।
১২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমাদের ভাবনা, চিন্তা আর চেতনা কিছু আর বদলানো না ! মুগ্ধ জননী শুধু বাঙালিই করে রাখলো মানুষ আর করতে পারলো না !! কঠিন সমাজ, কঠিন অবস্থা (দেশের), কঠিন আপনার অভিজ্ঞতা |কঠিন কিউবের ম্যান যে ভালো হয় জানাছিল না ! তিন কঠিন একসাথে হয়ে যাবার গল্প ভালো লাগলো | আপনার বাক্সবন্দী শৈশববের গল্প কি এক পর্বেই শেষ ? আমিতো ভেবেছিলাম শৈশব নিয়ে আরো কিছু লিখেবেন |
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৩২
করুণাধারা বলেছেন: মলাসইলমুইনা, মেয়েদের আমার মনে হয় খুঁটিতে বাঁধা গরুর মত। গরুকে যেমন খুঁটিতে বেঁধে দড়ি লম্বা করে দিলে সে নতুন অনেক কিছু দেখতে, জানতে পারে ঠিকই কিন্তু তার গন্ডির বাইরে যেতে পারে না তেমনি সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে মেয়েদের কর্মক্ষেত্র মাঠঘাট, আকাশ, সাগরে বিস্তৃত হলেও ঘরকে সুন্দর আর আরামদায়ক করার দায়িত্ব শুধুই মেয়েদের। তাই হয়ত কোন মেয়েকে এই গন্ডির বাইরে দেখলেই আমরা অস্থির হয়ে উঠি।
আমার স্বল্পস্থায়ী শৈশবের গল্প তো একপর্বের বেশি আগানো যায় না। তাছাড়া খেয়াল করলাম আজকাল কিছু লিখতে গেলেই নিজের গল্পও ঢুকে যাচ্ছে। তাই আপাতত এটুকুই থাক।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মলাসইলমুইনা, ভাল থাকুন।
১৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩২
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: জীবন চলার পথে অনেক কিছু ঘটে।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: জীবন চলার পথে অনেক কিছু ঘটে। হ্যাঁ, ঠিক তাই। মনের কোন কোনায় এগুলোর স্মৃতি লুকানো থাকে, হঠাৎ কখনো বেড়িয়ে আসে। এমন কিছুই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য, ভাল থাকুন শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)।
১৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১২
ফিনিক্স! বলেছেন: আত্মীয়স্বজনের ভিতর দেখেছি অনেক প্রতিভাবান মেয়েকে বিয়ের পর সব বাদ দিতে হয়েছে সংসারের চাপে। যাইহোক, পড়ুয়া মেয়ের প্রত্যাশায় আছি কারন যারা বেশি বই পরে তারা পড়ার সাথেও সব কিছু মেনেজ করতে পারে।আশার কথা, বাংলাদেশের সামাজিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের চিন্তাধারারও পরিবর্তন হচ্ছে।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৫০
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে দীর্ঘ একটি নিশ্বাস ফেললাম, ফিনিক্স!। আত্মীয়স্বজনের ভিতর দেখেছি অনেক প্রতিভাবান মেয়েকে বিয়ের পর সব বাদ দিতে হয়েছে সংসারের চাপে। এটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা, আমরা ভুলেই যাই যে মেয়েদের কোন স্বপ্ন থাকতে পারে।
আপনি পড়ুয়া মেয়ের প্রত্যাশায় আছেন জেনে খুব ভাল লাগল। যারা বেশি বই পড়ে তাদের মনের দিগন্ত অনেক বিস্তৃত হয় এতে কোন সন্দেহ নেই। দোয়া করি আপনার প্রত্যাশা পূরণ হোক- শুভকামনা।
১৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২৭
এম এম করিম বলেছেন: মজা লাগলো পড়ে। ধন্যবাদ।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬
করুণাধারা বলেছেন: আপনার পড়ে মজা লাগল- আর আমার অত্যন্ত আনন্দ হল আমার ব্লগে আপনি এসেছেন বলে। আপনার ছয়শ একর নিয়ে পোস্টে আমি আপনার ধারনার বিপরীতে মন্তব্য করেছিলাম- আপনি যে তা মনে না রেখে মন্তব্য করেছেন এজন্য ধন্যবাদ। এটা অনেকেই করে না।
১৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭
জাহিদ অনিক বলেছেন:
লেখাটা ভাল লেগেছে---
বই পড়ার কারনে ডিভোর্স দেয়াটা বেশ হাস্যকর আমাদের কাছে, কিন্তু তাদের কাছে যৌক্তিক যারা বই পড়তে জানে না।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১০
করুণাধারা বলেছেন: বই পড়ার কারণে ডিভোর্স হতে পারে একথা হাস্যকর আর অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে কিন্তু সত্যিই এমন হয়েছিল। আসলে বই পড়া নিয়ে সমস্যা না, তাদের ধারণা হয়েছিল এই মেয়ে সাংসারিক কাজেকর্মে একেবারেই দক্ষ হবে না। মেয়েদের কাজকর্ম কি? ঘর গুছানো, রান্না করা, বিল দেয়া, স্বামী রাত জেগে পড়লে তাকেও জেগে থেকে চা বানিয়ে দেয়া, কাপড় ধোয়া, সীমিত অর্থে সংসার সুন্দর ভাবে চালানো আর এরকম অনেক কাজ। জানি না কবে মেয়েরা মুক্তশ্বাস নিতে পারবে- অবশ্য এই মুক্তি মানে কোনমতেই উশৃঙখল জীবনযাপন নয়।
আপনার মন্তব্য এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম জাহিদ অনিক, শুভকামনা।
১৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বই পড়া !! বই ই পড়া !!!
লেখায় ভালোলাগা আপু ।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩০
করুণাধারা বলেছেন: হ্যাঁহ, বই পড়া! বই পড়ার অভ্যাস একজনের জন্য দুর্ভোগের কারণ হতে পারে- যদি সে হয় মেয়ে!
মন্তব্য আর প্লাস পেয়ে ভাল লাগল মনিরা সুলতানা, বাসন্তী শুভেচ্ছা রইল।
১৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: এ গল্পটা পড়ে অনেক ভাবনাই মনে উঁকি ঝুকি দিচ্ছে। ঘটকালি করতে করতে আজকাল অনেককেই দেখি, নীতিমালা বিসর্জন দেয়।
অনেকটা যেন কথার ফেরীওয়ালা, কথা গছাতে গিয়ে কখনো একটু আধটু, কখনো বা বেশ বেশী করে কথার এধার ওধার করে ফেলেন।
আমি পড়ুয়া মেয়ে চাই। আমার বড়ছেলেটা খুব পড়ুয়া ছিল আশৈশব, এখনো তাই। ওর পড়ার টেবিলে, বিছানার পাশে, গাড়ীর সীটে- সবখানেই ওর পছন্দের বই থাকে। যখনই সময় পায়, বই পড়ে। আমি চাই, আমার নাতনিটাও ওর বাবার মতই পড়ুয়া হোক। আর পড়ুয়া হবার কারণে যদি কেউ ওকে কোন কিছু থেকে বঞ্চিত করতে চায়, আমি তাকে দেখে নেব। তবে ছেলে কিংবা মেয়ে, উভয়েই সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় হাতের কাজে পটু হোক, আমি এটাও চাই। যে বাবা মা তাদের সন্তানদেরকে এসব হাতের কাজগুলো শেখাতে পারেন, তারা তাদের জীবনকে অনেকটা নির্ভার করে দেন, তাদেরকে স্বাবলম্বী হতে সহায়ক হন।
পোস্টে ভাল লাগা + +
০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩৯
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভাল লাগল, বিশেষ করে আপনি পড়ুয়া মেয়ে পছন্দ করেন বলে। প্রার্থনা করি, আপনার নাতনিও যেন তার বাবার মতোই পড়ুয়া হয়। কারন আমি সব সময় মনে করি, বই মানুষের শ্রেষ্ঠ সংগী। নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস মানুষের মনকে যেভাবে সমৃদ্ধ করে, অন্য আর কোনকিছুই সেভাবে করতে পারে না।
আপনি আমার গল্পের মূল সূত্র ধরতে পেরেছেন। আমি বলতে চেয়েছিলাম ছেলেমেয়ে সকলেই নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু কাজ করা উচিত- কিন্তু যে কাজ না করলে একজন ছেলেকে কোন দোষ দেয়া হয়না সেই একই কাজ সময় যোগ্যতাসম্পন্ন একজন মেয়ে না করলে তাকে দোষ দেয়া উচিত নয়। নতুন বউ সারাক্ষন বই পড়ে, এই কারণে শিক্ষিত পরিবার তাকে ডিভোর্স দেয়ার কথা ভাবল-এই জিনিসটা আমাকে এখনো খুব ভাবায়।
আপনার প্লাস আমার অনুপ্রেরণা, অজস্র ধন্যবাদ।
১৯| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৫৩
এম এল গনি বলেছেন: সুন্দর।
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্য আমার জন্য অনুপ্রেরণা। অজস্র ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
২০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আমিও একবার ঘটকালি র চেষ্টা করেছিলাম । আমি আপু আর আব্বু মিলে ,আমার এক কাজিনের আমার এক রিলেটিভ কে পছন্দ হয় খুব , আমরা ওনাকে বাসায় আসতে বলছিলাম ,ডেট ঠিক হলো কবে আসবেন ,পরে জানতে পারলাম ওনি আট বছর ধরে প্রেম করছেন তাও জেনেছি ভাগ্যিস অন্য আত্মীয় এর কাছ থেকে ।
সেদিন মন খারাপ হয়েছিল প্রথম ঘটকালি তে এভাবে ধরা খাবো বুঝতে পারিনি ।
এতো ব ই পাগল মেয়ে কিংবা ছেলে আসলে ভালো লাগে না।
আমার মতে ব ই পাগল মানুষ এর বিয়ে করা উচিত না ।
আমার বর যদি এমন ব ই পাগল হয় তার মাথার একটা চুল ও থাকবে না,
২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯
করুণাধারা বলেছেন: নূর-ই-হাফসা, সুন্দর মন্তব্য পেয়ে মন ভালো হয়ে গেলো! প্রতিমন্তব্য করতে দেরি হল, কারণ আমার লগইন করতে খুব অসুবিধা হয়।কিছুতেই পাসওয়ার্ড নিতে চায়না!
ঘটকালির ফল খুব কমই ভাল হয়। বিয়ে মনমতো হলে কেউ ঘটককে মনে রাখেনা, আর মনমতো না হলে ঘটকের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত থাকেনা!
বই পড়া খারাপ না, কিন্তু বই পড়তে বসে দুনিয়াদারি ভুলে যাওয়া খারাপ।
বই পাগল বর কিন্তু খারাপ না, একটা বই হাতে বসিয়ে দিয়ে বরের পকেট খালি করে শপিং করে এলেও বর টের পাবে না।
দোয়া করি, হাফসার বর হোক একেবারে মনের মতো।
২১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪১
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আমি শপিং বিলাসী না আপু ।
একটা নাটক দেখেছিলাম অনেক আগে ,বর টা খুব খারাপ সারাদিন ব ই নিয়ে থাকতো ঐদিকে বউ অভিমানে শেষের দিকে সমুদ্রে পা বাড়ায় ,মৃত্যু দিয়ে ই সমাপ্তি ঘটে ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭
করুণাধারা বলেছেন: খুবই ভালো কথা, আমিও শপিং বিলাসী না। আমাদের স্কুলের পাঠ্য বই একটি গল্প ছিল- সক্রেটিস এথেন্সের রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে দু'পাশের দোকানে সাজানো জিনিসের দিকে তাকাতেন আর বলতেন how many things I can live without! কথাটা মাথায় গেঁথে আছে ছোটবেলা থেকেই।
অবশ্য এখন মনে পড়ে গেল সামুর শপিং বিলাসিনী কে! নামের প্রথম অক্ষর শ, তাই হয়তো শপিং বিলাসিনী!
হ্যাঁ বই পড়া খুব ভালো কিন্তু বই পড়া নিয়ে বাড়াবাড়ি করা ভাল না।
শুভকামনা হাফসা।
২২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: কেন হি হি হি রাজীব নুর? যদি আমার নাজেহাল হওয়া দেখে হয় তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু মেয়েটার অপদস্থ হওয়া দেখে হাসবেন না। দুর্বল পেয়ে কাউকে আঘাত করায় কোন বাহাদুরি নেই।
ভাল থাকুন সুরভী আর মেয়েকে নিয়ে।
আমি সব শ্রেনীর নারীকে সম্মান করি ছোটবেলা থেকেই।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৫
করুণাধারা বলেছেন: সেটা আপনার পোস্ট পড়েই বোঝা যায়।
ধন্যবাদ, রাজীব নূর।
২৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১২
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বেশ
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৬
করুণাধারা বলেছেন:
২৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:০২
নীল আকাশ বলেছেন: ৭ নাম্বারের সোহানী আপু আর আপনার প্রতি মন্তব্য পড়ে দারুন মজা পেলাম।
ঘটকালী খুব কঠিন কাজ। নিজের চোখে না দেখে শুধুই কাগজ পড়ে কোন ঘটকালী করতে যাবেন না।
জীবন থেকে নেয়া অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। অল্পের জন্য...
সেই থেকে নিজেই নিজের ২ কান ধরে ওয়াদা করেছি আর কোনদিন ঐ রাস্তায় হাটবো না।
যাক, মোটামুটি রেগুলার হলেন তাহলে লেখায়। ব্যস্ততা কমেছে কিছুটা মনে হয় আপুর!
আদর্শ স্বামীর সেই দিন একটা ডেফিনেশন পেলাম। দেখুন তো কেমন লাগে- ৭ নাম্বারের সোহানী আপু আর আপনার প্রতি মন্তব্য পড়ে দারুন মজা পেলাম।
ঘটকালী খুব কঠিন কাজ। নিজের চোখে না দেখে শুধুই কাগজ পড়ে কোন ঘটকালী করতে যাবেন না।
জীবন থেকে নেয়া অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। অল্পের জন্য...
সেই থেকে নিজেই নিজের ২ কান ধরে ওয়াদা করেছি আর কোনদিন ঐ রাস্তায় হাটবো না।
যাক, মোটামুটি রেগুলার হলেন তাহলে লেখায়। ব্যস্ততা কমেছে কিছুটা মনে হয় আপুর!
আদর্শ স্বামীর সেই দিন একটা ডেফিনেশন পেলাম। দেখুন তো কেমন লাগে-
ধন্যবাদ।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:০৯
করুণাধারা বলেছেন: দারুন মজার একটা পোস্টার দিয়েছেন, দেখে আমি হাসতে হাসতে শেষ!
আসলে ঘটকালি খুব কঠিন কাজ, কার ভিতরে কি আছে বোঝা যায় না আগে থেকে। যদি বিয়ের পর সব ঠিকঠাক থাকে, তাহলে আর ঘটকের খবর কেউ রাখে না। আর যদি একটু গোলমাল হয়, তাহলেই একেবারে ঘটকের চোদ্দগুষ্ঠী উদ্ধার করে ছাড়ে.......
হ্যাঁ, ব্লগে নিয়মিত হবার চেষ্টা করছি। দেখছেন তো অবস্থা, একটা পোস্ট আসে দু' তিন ঘন্টা পর পর, মন্তব্যের খরা, অনলাইনে ব্লগারদের করা, সব মিলে মনে হয় আমাদের সবাই মিলে চেষ্টা করা উচিত ব্লকটাকে বাঁচানোর।
এত পুরানো পোস্টে এসে মন্তব্য করে এবং প্লাস দিয়ে আমাকে দারুণ অনুপ্রেরণা দিয়েছেন, অনেক ধন্যবাদ নীল আকাশ।
২৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১৭
নীল আকাশ বলেছেন: ভাগ্য ভাল নূর-ই-হাফসা আপুর মতো কোন মেয়ের সাথে আমার বিয়ে হয়নি। আমি প্রায় সারাদিনই পড়ার উপর থাকি। আমার মোবাইল হলো একটা চলন্ত লাইব্রেরি।
আমার মাথায় যত চুল, সব টেনে ফেলতে হলে যে কোন মেয়েকে...
মানুষের জীবন খুব ছোট আর জানার কোনই শেষ নেই।
আমার গল্প গুলি পড়ার সময় নিশ্চয় বুঝতে পারেন ঠিক কি পরিমান স্ট্যাডি করি আমি!!
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:১২
করুণাধারা বলেছেন: আপনার গল্পগুলো করে আমি সব সময় ভাবি এগুলো লিখতে কত দূর পড়াশোনা করতে হয়েছে।
নিঃসন্দেহে আপনার স্ত্রী ভাগ্য খুবই ভালো, সারাক্ষণ পড়া নিয়ে পড়ে থাকে এমন স্বামীদের বেশিরভাগ মেয়েই পছন্দ করবে না; নুর-ই- হাফসার মত।
সপরিবারে সুখে- শান্তিতে থাকুন, শুভকামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১২
শামচুল হক বলেছেন: বাস্তব জীবনেও এমনটাই ঘটে থাকে। ধন্যবাদ