নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেট্রোরেল আমার অতি প্রিয় এবং গর্বের বস্তু। যখন মেট্রোরেলে ভিড় হতো না, তখন কোথাও যাবার দরকার না থাকলেও, শুধু মেট্রোরেলে চলা উপভোগ করার জন্য আমি মেট্রোরেলে ঘোরাঘুরি করেছি! মেট্রোরেল স্টেশন দেখে মুগ্ধ হয়েছি, স্টেশনের প্রতিটি জিনিস লক্ষ্য করে দেখেছি যে সবকিছু খুবই নিখুঁত, খুবই সুসামঞ্জস্যপূর্ণ, এবং খুবই সুশৃঙ্খল।
মেট্রো রেলের স্টেশনে অনেক সিসিটিভি/ক্যামেরা আছে, সে সম্পর্কে পরে বলছি।
মেট্রোরেল স্টেশন চলে অতি আধুনিক, মূল্যবান এবং সংবেদনশীল কিছু বৈদ্যুতিক যন্ত্রের সাহায্যে। খুব ভালো লেগেছে দেখে যে এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে এবং নিরাপত্তায় খুবই ভালো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মেট্রোরেলের মূল প্রবেশদ্বার, যেখান দিয়ে ঢুকলে একপাশে সিঁড়ি একপাশে এস্কেলেটর আছে, সেটাতে খুবই মজবুত কলাপসিবল গেটের ব্যবস্থা আছে। (সম্ভবত এটা জাপানিদের তৈরি বলে তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে লক্ষ্য রেখেই এটা বানিয়েছে) যে সময়গুলোতে মেট্রোরেল চলাচল করে সেই সময়ে এই প্রবেশ দ্বারের কলাপসিবল গেট খোলা থাকে, এখানে বন্দুক হাতে আনসার বাহিনীর সদস্যরা পাহারায় থাকেন। দোতলায় কনকর্স হল এবং তিনতলায় স্টেশনেও বন্দুকধারী আনসার বাহিনীর অনেক সদস্য থাকেন, এদের সাথে সাথে পুলিশের নারী এবং পুরুষ সদস্যরাও থাকেন, অর্থাৎ পুরো স্টেশন জুড়ে নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকে।
মেট্রোরেল চলাচল যখন বন্ধ থাকে সেসময় গেট পাহারার দায়িত্বে থাকে বন্দুকধারী পুলিশ।
এখানে একটা কথা বলি, উত্তরার তিন স্টেশন বাদে বাকি সব এলাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ কালে এলাকাবাসীর কমবেশি দুর্ভোগ হয়েছে, কিন্তু মিরপুর এলাকার অধিবাসীদের দুর্ভোগ হয়েছিল সবচেয়ে বেশি। সেই মেট্রোরেল ভাঙচুর হয়ে বন্ধ হয়ে যাবে, এই সম্ভাবনার কথা জানলে মিরপুরবাসী নিজেরাই মেট্রো রেল স্টেশন পাহারা দিতে বসতেন।
যখন ঢাকায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভেঙে দেয়া হচ্ছিল, তখনো কিন্তু মেট্রোরেল স্টেশনে কিছু হয়নি!!১৬ জুলাই মঙ্গলবার ঢাকা বিভিন্ন জায়গার মতো মিরপুর ১০ নাম্বারেও সংঘর্ষ হয়েছে। দৈনিক প্রথম আলোর ১৭ জুলাই ২০২৪ প্রথম পৃষ্ঠায় "ঢাকায় পথে পথে সংঘর্ষ- গুলি, নিহত ২" এই খবরে বলা হয়েছে, "বেলা ১১ টার দিকে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস টেকনোলজি, মিরপুর কমার্স কলেজ, মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজ, ঢাকা স্টেট কলেজ, ভাষানটেক সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বেলা ১টার দিকে সরকারি দলের কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের উপর হামলা চালান। এতে আন্দোলনকারীরা ওই এলাকা ছেড়ে যান।"
এত জায়গার সংঘর্ষের ছবি ছাপানো সম্ভব হয় না। ১৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে পত্রিকায় আগের দিন ঢাকায় হওয়া সংঘর্ষের একটা ছবি ছেপেছে, আমি সেটাই নিচে তুলে দিলাম কিভাবে। তখনো শুধু ছাত্রলীগকে দিয়ে রাস্তায় আন্দোলনকারীদের পিটানো হচ্ছে, গুলি করে মারা শুরু হয় নাই।
সেই ১৬ তারিখ মঙ্গলবার আমার এক আপনজন বেলা একটার দিকে মিরপুর ১০ নাম্বার ক্রস করার সময় এই ভাঙচুরের কবলে পড়েন। তিনি জানান, লাঠি হাতে কয়েকজন হামলাকারী সামনে যাকে পাচ্ছিল তাকেই মারছিল, গাড়িও ভাঙতে চাচ্ছিল কিন্তু তিনি কোনোমতে পালিয়ে এসেছেন! এই গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা শুনে আমার মনে হচ্ছিল, মেট্রো স্টেশন নিরাপদ আছে তো!!
১৬ তারিখের পরে ১৭ তারিখ ছিল আশুরা। ১৮ জুলাই ছিল কমপ্লিট শাটডাউন। এদিন দুপুরে মিরপুর ১০ নাম্বারে আবার সংঘর্ষ হয়। সেদিন ১০ নাম্বারের গোল চত্বরে পুলিশ বক্সে আগুন দেয়া হয়, যার ঠিক উপর দিয়েই মেট্রোরেল গেছে। জননিরাপত্তার স্বার্থে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ ১৮ তারিখ বৃহস্পতিবার দুপুর ২:১৫ থেকে শেওড়াপাড়া কাজীপাড়া মিরপুর ১০ এবং মিরপুর ১১ এই চারটি স্টেশন বন্ধ করে দেয়। (১০ নাম্বারের গোলচত্বরে পুলিশ বক্সে আগুন দেয়ায় শুধু নিরাপত্তার কারণে ১০ নাম্বার স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া যেত, বাকি তিনটি স্টেশন বন্ধ করার কারণ কী!!!) এই খবরের স্ক্রিনশট নিচে দেয়া হল।
এর কিছুক্ষণ পর জানানো হয়, বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শেষ ট্রেনটি মতিঝিল ছেড়ে যাবে উত্তরার দিকে। তারপর থেকে আর কোন ট্রেন চলবে না, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত। ধরেই নিতে পারি, স্টেশনের নিরাপত্তার স্বার্থে এই পদক্ষেপ, এভাবে রেল চলা বন্ধ করা হয়। এই খবরের স্ক্রিনশট নিচে রইল।
সেদিনই , অর্থাৎ ১৮ জুলাই ঢাকা জুড়ে তীব্র সংঘর্ষ হয়, অনেক মানুষ মারা যায়, এক্সপ্রেস ওয়েসহ ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা হয়, সেগুলো একেবারে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। কিন্তু অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা মেট্রো রেলের কোনো স্টেশনে সেদিন কোনো আক্রমণ হয়নি। সবাই ধারণা করেছিল মেট্রো রেলের নিরাপত্তা ব্যবসা এত ভালো যে এখানে কেউ ঢুকতে পারেনি।
পরদিন শুক্রবার ছিল মেট্রোরেল বন্ধের দিন। সেদিনই দুর্বৃত্তরা মিরপুর ১০ এবং কাজীপাড়া মেট্রো রেলস্টেশন ভেঙেচুরে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করল। এটা ঠিক করতে প্রাথমিকভাবে পাঁচশ পঞ্চাশ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে, ঠিক করতে অন্তত এক বছর সময় লাগবে!!
রহস্য এটাই, মানুষ জনের নিরাপত্তার জন্য বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে এই চারটি স্টেশন বন্ধ করে দেয়া হলো। শুক্রবার ছিল ছুটির দিন, এদিন মেট্রো স্টেশন বন্ধ থাকে এবং বরাবরের মতো সে সময় প্রবেশ পথগুলোতে পর্যাপ্ত পুলিশ পাহারা থাকার কথা। আগের দিন ১৮ জুলাই যখন এতগুলো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়েছে, তখন মেট্রোরেল ভাঙচুর হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি এটা বিবেচনা করে মেট্রোরেল রক্ষার জন্য এদিন তো বিশেষ ব্যবস্থাও নেবার কথা। তাহলে দুর্বৃত্তরা কনকোর্স হলে পৌঁছালো কি করে?
যারা মেট্রোরেলে চলাচল করেন তারা নিশ্চয়ই শুনেছেন, মেট্রো রেলস্টেশনগুলোতে কিছুক্ষণ পরপর ঘোষণা করা হয়, পুরো এলাকা সিসিটিভির অধীনে আছে। গত রমজানের সময় মেট্রোরেলের দরজা আটকাতে পানির বোতল আটকানো যাত্রীকে পরে এই সিসিটিভির ফুটেজের সাহায্যে ধরা হয়, তাই বলা যায় এই ক্যামেরা গুলো খুবই কার্যকর। স্টেশনের প্রবেশ পথের বাইরেও এই ক্যামেরা আছে। ধরে নিলাম, ১৯ তারিখ দুর্বৃত্তদের দেখে সব গেটের সব পুলিশ পালিয়ে গেছে। কিন্তু কলাপসিবল গেট ভাঙতে সময় লাগার কথা, সেই সময়ের মধ্যে দুর্বৃত্তদের কর্মকান্ড গেটের ক্যামেরায় দেখে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ আইন রক্ষাকারীদের জানাতে পারতেন, ফলে রাস্তায় রাস্তায় টহলরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসময়মতো এসে ভাঙচুর ঠেকাতে পারতেন।
রহস্য গল্পে অনেক সময় দেখা যায়, খুনি ঘরে ঢুকে খুন করে গেল অথচ ঘরের দরজা ভাঙার কোন আলামত নেই!!! গল্পে গোয়েন্দা এমন রহস্যের সমাধান করেন। মেট্রোরেল রহস্যের সমাধান কে করবে!!
২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৬
করুণাধারা বলেছেন:
আমাদের জন্য এতো বড়ো একটা উপহার দেয়া হয়েছে, এই মেট্রো রেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আরো কতকিছু। অথচ আমরা এইসব ভুলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সমর্থন করি... মেট্রোরেল বন্ধ করে আমাদের শিক্ষা দেয়া হলো কিনা কে জানে।
২| ২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:১৮
রাসেল বলেছেন: আমরা আর কত নিজের সাথে প্রতারণা করব।
২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭
করুণাধারা বলেছেন: আমরা মনে করি আমাদের প্রতারণা কেউ বুঝতে পারে না!!
৩| ২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:২৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপু দুরাত্মার ছলের অভাব হয় না।
২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:১৩
করুণাধারা বলেছেন: দুরাত্মার ছলের অভাব হয় না। ঠিক!
আমরা তাদের সব ছলনায় বুঝতে পারি, কিন্তু ভান করি কিছু বুঝতে পারছি না। সেজন্যই হয়তো বারে বারে তারা মিথ্যা বলে পার পেয়ে যায়।
৪| ২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৩৫
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: একদিন সব সত্য জনগন জানতে পারবে তখন না হয় ঘৃনার বুলিতে আহত করা যাবে তার আগে যা হবার হয়েতো গেল। কত মায়ের বুক খালি হলো!
২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:১৫
করুণাধারা বলেছেন: একদিন সব সত্য জনগণ জানতে পারবে সন্দেহ নেই, কিন্তু জেনেও চুপ করে থাকতে হয়। যেমন ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ঘটনা। আমরা সবাই সত্যিটা জানি তবু বলার সাহস করে উঠতে পারি না।
৫| ২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কাজের ফাকে ফাকে শুধুমাত্র আমার আর মডুর পোষ্টের দিকেই নজর ছিল। আপনি কোন চিপা দিয়ে এই পোষ্ট দিলেন, দেখলামই না এতোক্ষণে। ছবি দেন না কেন? তাহলে পোষ্ট ভালোভাবে ভিজিবল হয়!!!!
যেখানে গুলি আর লাঠি-রামদা ব্যবহারের ফলে ছাত্রদের রাস্তায় থাকাই দায়, সেখানে সরকারী KPI (Key Point Installation) গুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেন ছিল না এটা বোঝার জন্য কুয়াশা'র শহীদ খান হওয়ার দরকার নাই। এই সরকারের লোকজন ক্ষমতা আর অন্ধ সমর্থনের জন্য দরকার হলে নিজের মা-বাবা অথবা স্ত্রী-সন্তানও বিক্রি করে দিতে পারে, সেখানে মেট্রোরেলের একটা স্টেশান, বিটিভি ভবন ইত্যাদি তো ডালভাত।
আগুন নিয়ে খেলা করার জন্য চট্টগ্রামে না কে যেন ধরা পড়লো?
২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:২৪
করুণাধারা বলেছেন: আসলে পোস্ট করেছি আটটা বিশ মিনিটে, কিন্তু আগে ড্রাফটে রাখার জন্য সেই সময়টা দেখাচ্ছে।
পোষ্টের শুরুতে আমার তোলা মেট্রোরেলের একটা ছবি দিয়েছিলাম, সেটা উল্টে গিয়েছে দেখে বাদ দিয়ে দিলাম। সাধারণত আমি পোষ্টের সাথে ছবি দিই।
আজকে হঠাৎ একটা কথা মনে পড়ল, একবার মনে হয় বিদ্যুতের উচ্চমূল্য, বসিয়ে রাখা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য প্রতি মাসে হাজার কোটি টাকা ভাড়া দেওয়া এইসব নিয়ে পাবলিক একটু কথা বলেছিল। এই সময় জনৈকা বলেছিলেন, এত বেশি বিদ্যুৎ পেয়ে ভুলে গেছে লোডশেডিং এর কষ্টের কথা... এখন কয়দিন বিদ্যুৎ বন্ধ করে লোডশেডিং এর কষ্টের কথা মনে করিয়ে দেবো!!
এমন তো হতে পারে, কেউ হয়তো ভেবেছে এইসব এক্সপ্রেসওয়ে মেট্রোরেল ব্যবহার করে জনগণের বড় বাড় বেড়েছে, এগুলি চলে গিয়ে গেলে এরা বুঝতে পারবে আমরা ওদেরকে কত কিছু দিয়েছি...
এতে দুটো লাভ, এক হচ্ছে শিক্ষা দেওয়া গেল আর দুই হচ্ছে আবার নতুন করে পয়সা কামানোর পথ করা গেল...
৬| ২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৪
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: সিসিটিভি ফুটেজ যেহেতু প্রকাশিত হচ্ছে না , তাহলে বোঝাই যায় এগুলো কাদের কাজ।
২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:২৮
করুণাধারা বলেছেন: কনকর্স হলে যেতে গেলে লিফট ভেঙ্গে যাওয়া যায় না, ভাঙতে হবে ওই কোলাপক্সিবল গেটটা। উঁচু গেটের অনেক উপরে সিসিটিভির ক্যামেরা থাকে, যার নাগাল দুর্বৃত্তরা পায় নাই। সেটা দেখে সহজেই এদের ধরা যায়।
অবশ্য শুনেছি, ভাঙচুর যারা করেছে তাদের ধরা হয়েছে...
৭| ২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:২৭
সোনাগাজী বলেছেন:
এই গরূর রচনাটি গোয়েন্দা প্রধানের চোখে পড়লে আপনি বড় ধরণের চাকুরীর অফার পেতে পারেন।
২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৩০
করুণাধারা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
তবে এই মন্তব্য পেয়ে যেমন আমার কোন লাভ হলো না, তেমনি আমার পোস্টকে গরুর রচনা বলে আপনারও তেমন কোন লাভ হলো না।
৮| ২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৩৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
গার্বেজ পোস্ট।
২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:১০
করুণাধারা বলেছেন: কেন এমন মন্তব্য? কারণ আপনার দলের পক্ষে কোনো ভালো কথা লিখিনি বলে।
৯| ২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৫০
শায়মা বলেছেন: মেট্রোরেলের টোলপ্লাজা সেতুভবন বিটিভি ভবনের ঐ ভাঙচুর জ্বালাও পোড়াও কোনো সুস্থ্য মানুষ করতে পারে আমি ভাবতেই পারিনা! নিজের দেশের সম্পদের এত বড় ক্ষতি করে যারা তারা কি ধরনের মানুষ তাদের সত্যিই বের করে জনতার আদালতে ছেড়ে দেওয়া হোক।
২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:১৭
করুণাধারা বলেছেন: বিটিভি আর অন্য ভবন গুলো যখন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভেঙে দেয়া হলো, তখন তো বোঝা উচিত ছিল মেট্রোরেলও আক্রান্ত হতে পারে। এটাকে অরক্ষিত করে কেন রাখা হলো!!
ঠিকই বলেছ, কোন সুস্থ মানুষ এভাবে জ্বালাও পোড়াও ভাঙচুর করতে পারেনা!!
১০| ২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:০৫
রিদওয়ান খান বলেছেন:
তারপরেও কিছু লোক বলবে এরা না থাকলে ব্লগ মাটি হয়ে যায়!
দুষ্ট গরুর চাইতে শূন্য গোয়ালও যে ভালো এটাই প্রমাণ।
২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:১৯
করুণাধারা বলেছেন: এরা মানসিক বিকারগ্রস্ত। নাহলে এমন মন্তব্য করা সম্ভব না।
আপনি এই মন্তব্য করতে অনেক সময় ব্যয় করেছেন, অনেক ধন্যবাদ রিদওয়ান খান।
১১| ২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:২২
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: বেশ কয়েক্বটি টিভি চ্যানেলের ক্লীপে দেখলাম যে, বিদেশী রাস্ট্রদুতদের এইসকল ধংশযজ্ঞ ঘুরিয়ে দেখানো হয়েছে !!!
সিসিটিভি ফুটেজ নাই , গুরুত্বপুর্ন স্থাপনাতে কোণ এক্সট্রা সিকিউরিটি নাই । মনে হচ্ছে যেন বিদেশীদের দেখানোর জন্যই ----------
২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: বলেছেন: বেশ কয়েক্বটি টিভি চ্যানেলের ক্লীপে দেখলাম যে, বিদেশী রাস্ট্রদুতদের এইসকল ধংশযজ্ঞ ঘুরিয়ে দেখানো হয়েছে !!!
এরপর বলা হয়েছে, বিএনপি জামাতের ধ্বংসযজ্ঞ দেখে এই রাষ্ট্রদূতেরা স্তম্ভিত হয়ে গেছেন!!
ছোট বাচ্চারা যেমন নালিশ করে, এটা হুবহু তাই।
১২| ২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:২৫
সামরিন হক বলেছেন: আমার মনে হয় বেশি সময় লাগবে না মেট্টোরেল আবার সচল হতে।এখন উল্টোপাল্টা বলে ভয় দেখানো হচ্ছে জনতাকে।
২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৩৫
করুণাধারা বলেছেন: আমি খুব করে চাই যেন মেট্রোরেল আবার শিগগিরই সচল হয়। এই চারটা স্টেশন বন্ধ রেখেও মেট্রো রেল সচল করা যায়। তাতে ঢাকায় অধিবাসীদের এক বিরাট অংশ স্বস্তিতে চলাফেরা করতে পারবেন।
১৩| ২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৫৯
বিষাদ সময় বলেছেন: আমাদের কারও ডান চোখ কানা, কারও বাম চোখ কানা, কেউবা অন্ধ। কিন্তু আমরা সবাই মনে করি আমরা দুচোখ দিয়েই দেখি এবং খুব ভাল বুঝি।
ধন্যবাদ।
২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:২৮
করুণাধারা বলেছেন: ঠিকই বলেছেন।
সুবিজ্ঞ মতামত দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৪| ২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:১৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই পোস্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
যারা নির্বিচারে নিজের দেশের ছাত্রদের মেরে ফেলতে পারে, তাদের পক্ষে এ জাতীয় অপকর্ম করা অবশ্যই সম্ভব বলে মনে করি।
২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ শ্রাবণধারা, এমন মন্তব্যর জন্য।
প্রতিদিন আমি ২/৩ ঘন্টা পরপর অনলাইন পত্রিকা পড়তে যাই আর প্রতিবারই কোন নতুন মৃত্যুর খবর দেখি, আর প্রতিবারই মন ক্ষত বিক্ষত হয়ে উঠে। ঢাকায় ডাক্তার দেখাতে আসা অসুস্থ যুবক, ওষুধ কিনতে বের হয়ে গুলির আঘাতে মৃত্যু, উত্তরায় গাড়ির দোকানে কাজ করা দুই সন্তানের পিতা দোকানের কাজে বাইরে বেরিয়ে গুলিতে নিহত, এছাড়া ঘরের ভেতর থাকা আর ছাদে থাকা অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর কাহিনী তো আছেই!! গতকাল দেখলাম, এক পুলিশ কর্মকর্তা তাঁর নিখোঁজ থাকা সতের বছরের ছেলের লাশ দেখে বলেছেন, একটা গুলি করলেই হতো, এতো গুলি করে ঝাঁঝরা করলো কেন...
এত মৃতের কাহিনী, কিন্তু এদের প্রত্যেকেই নিতান্ত সাধারণ মানুষ, তরুণ এবং শিশু। ছবিতে দেখি, এদের মুখে প্রশান্তির ছাপ, এদের দেখে মনে হয় না এরা কোন খারাপ কাজের সাথে জড়িত! এদের একজনেরও কোন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে বলে জানা যায়নি। তাহলে যে সন্ত্রাসী আর দুর্বৃত্তরা এত ধ্বংসযজ্ঞ চালালো, কিংবা যারা কারাগার ভেঙে অস্ত্র লুট করল আর কয়েদিদের বের করে দিল তাঁরা কারা? তাদের একজনও নিহত দূরের কথা আহতও হলো না কেন?? মনে হচ্ছে এসব জায়গায় কোনো পুলিশ ছিল না, পুলিশ কেবল নিরস্ত্র মানুষদের মারার কাজে ব্যস্ত ছিল।
মনের মধ্যে অনেক প্রশ্ন, কিন্তু জবাব পাবার কোন উপায় নেই।
১৫| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:৫৫
ডার্ক ম্যান বলেছেন: সরকার এখন অর্থনৈতিকভাবে অনেক চাপে আছে। মেট্রোরেলে নিজে নাশকতা করবে বলে মনে হয় না।
মির্জা ফখরুল আজ সরকার পতনের একদফা ঘোষণা করেছেন।
২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৪০
করুণাধারা বলেছেন: হয়তো আপনি ঠিক বলেছেন! কিন্তু সত্যিটা জানার কোন উপায় নেই...
ফখরুল সাহেব ফাঁকতালে মসনদে আবার স্বপ্ন দেখছেন! কিন্তু উনি তো মসনদের উপযুক্ত নন। জানিনা একজন যোগ্য দেশপ্রেমিক নেতা পেতে আমাদের কতকাল অপেক্ষা করতে হবে।
১৬| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১:১৬
মুক্তা নীল বলেছেন:
একটা বিষয় খেয়াল করলাম আপা এই মেট্রোরেল সেতু ভবন বিটিভি এ সমস্ত কিছু ভাঙচুরের বিষয়টি যেভাবে প্রতিদিন ফোকাস করা হচ্ছে অথচ এতগুলো মানুষ যে মারা গেলো এবং প্রতি নিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে এসবের প্রচার এখন কমে গেছে ।
২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৪৬
করুণাধারা বলেছেন: শুধু এই ভাঙচুরের ক্ষতিকে ফোকাস করা না, বিদেশি কূটনীতিকদের নিয়ে এই ভাঙচুর দেখানো হয়েছে! এটা কি ধরনের বালখিল্য আচরণ!! আমি নিজের ঘরের দরজা খুলে রেখে বাইরে যাব, আর অন্য কেউ এসে আমার ঘরের জিনিস চুরি করে নিয়ে যাবে, তারপর আমি পাড়ার সব লোককে দেখে ডেকে এসব দেখাবো!! এটা খুবই হাস্যকর, আমাদের নেতারা এটাও বোঝেন না!
এতগুলো মানুষ মরে গেল! যতবার অনলাইন পত্রিকাগুলো খুলি, ততবার মৃত তরুন কিংবা শিশুদের প্রশান্ত মুখের ছবি দেখে ক্ষতবিক্ষত হই। তাদের স্বজনদের জন্য প্রার্থনা করা ছাড়া আর কি করতে পারি। ভাবতে খুবই অবাক লাগে, এভাবে পাখির মত মানুষ মানুষকে মারতে পারে!!
১৭| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৫০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
লেখক বলেছেন: কেন এমন মন্তব্য? কারণ আপনার দলের পক্ষে কোনো ভালো কথা লিখিনি বলে।
আপনি স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-শিবিরের পক্ষে পোস্ট দিয়েছেন।
২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৪৯
করুণাধারা বলেছেন: আপনি স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-শিবিরের পক্ষে পোস্ট দিয়েছেন।
যেমন আবরার পোস্ট দিয়েছিল, আমার পোস্টও তেমনি জ জামাত-শিবিরের পক্ষের পোস্ট। তাই না!
১৮| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৫৮
ধুলো মেঘ বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-শিবিরের পক্ষে পোস্ট দিয়েছেন।
আপনি যদি সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ হয়ে থাকেন, তাহলে দেখান তিনি তার পোস্টের কোন লাইনে জামাত-শিবিরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন? আর যদি না পারেন, তাহলে নিজের বাবা মায়ের উজ্জত রক্ষার্থে এই ব্লগ ত্যাগ করুন। ভবিষ্যতে এরকম উজবুকের মত ল্যাদাতে দেখতে আপনার বাবা মায়ের ইজ্জতের উপর আঘাত হানা হবে - তখন আবার মায়াকান্না করবেন না যেন!
২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৫২
করুণাধারা বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেনের মন্তব্য এত সিরিয়াসলি নেবার দরকার নেই। উনি হয়তো সব সময় জামাত-শিবিরের ভয়ে থাকেন তাই সবকিছুতেই জামাত-শিবিরের ছায়া দেখতে পান। ছোট বাচ্চারা যেমন ভূত ভয় পায়, উনিও তেমনি জামাত শিবির কে ভয় পান!!
১৯| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৫৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
লেখক বলেছেন: কেন এমন মন্তব্য? কারণ আপনার দলের পক্ষে কোনো ভালো কথা লিখিনি বলে।
আপনি স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-শিবিরের পক্ষে পোস্ট দিয়েছেন।
আমিও জানতে চাই এই পোষ্টের কোথায় স্বাধীনতা বিরোধী জামাত শিবিরের পক্ষে বলা হয়েছে ? এমন অহেতুক ট্যাগিং এর হেতু কি ?
২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৫৮
করুণাধারা বলেছেন: আমি মেট্রোরেলের ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে লিখলাম, অথচ এই ধ্বংসযজ্ঞ দেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে কেন্দে ফেলেছেন, সেই কথাটা লিখি নাই!! তাই মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন, আমি স্বাধীনতা বিরোধী জামাত শিবিরের পক্ষে পোস্ট দিয়েছি!!
কুল মনিরা! আমি মন্তব্য পড়ে সত্যিই আমোদিত হয়েছি।
২০| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:২৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সর্প হইয়া দংশন করো ওঝা হইয়া ঝারো
শাক দিয়ে ঢাকো মাছ তোমাদের প্রচেষটা
এইবার নস্যাৎ, যা করবা ত-ই ভুল
ছাড় দেবো না একচুল, ক্ষমতা ছাড়তে হবে
পাপ গেছে বেড়ে আকাশের সীমানা ছেড়ে
এইবার তুমি পড়বা ধরা যমদূতের কাছে
না পড়লেও মানুষের ভালোবাসা পাইবা না
পাইবা শুধু ঘৃণা বাকী জীবন বাঁচতে হবে
শত ধিক্কার নিয়া, সাধারণ ছাত্রদের এ কটা
অস্ত্র আছে সেটা হলো কলম তারা সফলতা্ খুজে
কলমের আচড়ে, তারা করে লেখা পড়া
হেলমেট তারা পড়ে না ভাংচুর করে না
তোমাদের ভাঙচুর খুন খারাপি আছে সবার জানা
তোমাদের এখন আর কেউ বিশ্বাস করে না ।
ছাত্র জনতার জয় হোক রইলো এই শুভকামনা ।
২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০২
করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার কবিতা লিখেছেন। অনেক ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার! ছাত্র জনতার জয় হোক রইলো এই শুভকামনা । ধন্যবাদ, আমাদের সকলের শুভকামনা।
একটা কথা, আপনি নিজের নামে ব্লগিং করেন। প্রতিহিংসাপরায়ণ কেউ চাকরি ক্ষেত্রে আপনার ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে। আইমান সাদিকের ঘটনা নিশ্চয়ই জানেন।
২১| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৩০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: দেশে অরাজকাতার জন্য ১০০% আওয়ামীলীগ দায়ী। কাদের লেলিয়ে দেওয়ার পরপরই দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েগেলো এরজন্য কাদেরের বিচার হওয়া দরকার।
২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৬
করুণাধারা বলেছেন: কাদের লেলিয়ে দেওয়ার পরপরই দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হয়ে গেলো
এই লেলিয়ে দেওয়ার পরিনাম যা হলো সেটা দেখে সকলেই স্তম্ভিত হয়ে গেছে। দেশে যেন নরক যন্ত্রণা নেমে এসেছে। এজন্য প্রথমেই কাদেরকে বরখাস্ত করে দিলে পরিস্থিতি হয়তো শান্ত হয়ে যেত।
২২| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: নরসিংদীতে কারাগারে হামলার মতো ঘটনা ঘটতে পারলে মেট্রোরেলের স্টেশনে হামলা অসম্ভব কিছু না। মেট্রোরেল ঢাকাবাসীর জন্য একটা আশীর্বাদ ছিল। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাস মালিকরা ছাড়া আর কেউ লাভবান হয়নি।
২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:১১
করুণাধারা বলেছেন: ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাস মালিকরা ছাড়া আর কেউ লাভবান হয়নি।
এই কথাটা আমিও মনে মনে ভাবছিলাম। মেট্রোরেল এভাবে কেন অরক্ষিত রেখে দেওয়া হলো!! আগের দিন যখন দেখা গেছে, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সব ভাঙচুর করা হলো।
আপনাকে দেখে মনে পড়লো, শেষ পোস্টটা পড়েছি কিন্তু লগইন করা না থাকায় মন্তব্য করা হয়নি। শেষ অধ্যায় হিসেবে এখানে একটু বিস্তারিতভাবে মন্তব্য করার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু অন্য পোস্ট পড়তে পড়তে সেটা ভুলে গেছি। আশাকরি পরে যাবো।
২৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:১১
জটিল ভাই বলেছেন:
আপা, সবেতো মেট্রোরেল। পদ্মাসেতু বা কর্ণফুলী টানেলতো এখনো বাকি আছে। সুতরাং কি বলা যায় না যে উন্নয়ন বৃদ্ধির সাথে সাথে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতেই পারে যদি.................
২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:১৭
করুণাধারা বলেছেন: খুবই রহস্যময় ব্যাপার!
যখন ঢাকা শহর জুড়ে গোলযোগ শুরু হলো, তখন গোয়েন্দা বাহিনীর কেউ কেন আন্দাজ করতে পারল না যে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ভবনে আক্রমণ হতে পারে, সেগুলো ধ্বংস হতে পারে। সেগুলো ধ্বংস হয়ে গেল অথচ আক্রমণকারীদের একজনও একটা গুলি খেয়ে নিহত হওয়া দূরের কথা আহতও হলো না। এদিকে যারা কিছু ভাঙচুর করেনি সেরকম কিছু ছেলে, খেটে খাওয়া মানুষকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেয়া হলো।
নিরাপত্তার অজুহাতে মেট্রোরেল বন্ধ করে দেয়া হলো, অথচ কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হলো না! এমনভাবে মেট্রোরেল ভাঙ্গা হলো যে সেটা দেখে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হৃদয় ভেঙে খান খান হয়ে গেল...
২৪| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৫৮
আরোগ্য বলেছেন: আপা সবই তো জামাত শিবির করেন, এতো ক্ষমতাশালী দল এটি যে, গায়েবীভাবে সকল ধরণের ধ্বংসাযজ্ঞ চালায় কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আর তার দলবল ছাড়া অন্য কেউ দেখেনা, ক্যামেরাতেও আসে না।
আবু সাঈদকে নাকী আন্দোলনকারীরা শহীদ করেছেন। মনে হয় শিবিরের লোকজন পুলিশ সেনাবাহিনীর পোশাক পড়ে এই কাজটা করেছে।
যারা মাঠে নামতে পারছি না তারা যেন সর্বদা সর্বশক্তিমানের নিকট দোআ করতে থাকি।
رَبَّنَا اغۡفِرۡ لَنَا ذُنُوۡبَنَا وَاِسۡرَافَنَا فِیۡۤ اَمۡرِنَا وَاَفۡرِغۡ عَلَیۡنَا صَبۡرًا وَّثَبِّتۡ اَقۡدَامَنَا وَانۡصُرۡنَا عَلَی الۡقَوۡمِ الظّٰلِمِیۡنَ ؕ
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের গুনাহসমূহ এবং আমাদের দ্বারা আমাদের কার্যাবলীতে যে সীমালংঘন ঘটে গেছে তা ক্ষমা করে দিন। আমাদের উপর সবরের গুণ ঢেলে দাও এবং আমাদেরকে অবিচল-পদ রাখ, আর জালেম সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে সাহায্য ও বিজয় দান কর।
২৯ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৫৫
করুণাধারা বলেছেন: এতো ক্ষমতাশালী দল এটি যে, গায়েবীভাবে সকল ধরণের ধ্বংসাযজ্ঞ চালায় কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আর তার দলবল ছাড়া অন্য কেউ দেখেনা, ক্যামেরাতেও আসে না।
এই বাক্যটি খুবই পছন্দ হয়েছে!! সাথে সাথে আরেকটু যোগ করি, জামাত শিবির এত শক্তিশালী যে আমাদের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভেঙে চুরমার করে দেয়, অথচ তাদের ধরা যায় না। ধরবে কিভাবে, ধরতে গেলেই তারা বায়বীয় দেহ ধারণ করে উড়ে যায়।
সেজন্য আমাদের মাননীয়রা সমস্ত বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে যান ধ্বংস হয়ে যাওয়া স্থাপনা দেখাতে, তারপর তাদের জানান যে জামাত শিবির এগুলো ধ্বংস করেছে। এমন নালিশ কতদূর হাস্যকর, সেটা বোঝার মতো বোধ বুদ্ধি এই মাননীয়দের নেই।
যারা মাঠে নামতে পারছি না তারা যেন সর্বদা সর্বশক্তিমানের নিকট দোআ করতে থাকি।
২৫| ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৫৯
আরোগ্য বলেছেন: আপা সবই তো জামাত শিবির করেন, এতো ক্ষমতাশালী দল এটি যে, গায়েবীভাবে সকল ধরণের ধ্বংসাযজ্ঞ চালায় কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আর তার দলবল ছাড়া অন্য কেউ দেখেনা, ক্যামেরাতেও আসে না।
আবু সাঈদকে নাকী আন্দোলনকারীরা শহীদ করেছেন। মনে হয় শিবিরের লোকজন পুলিশ সেনাবাহিনীর পোশাক পড়ে এই কাজটা করেছে।
যারা মাঠে নামতে পারছি না তারা যেন সর্বদা সর্বশক্তিমানের নিকট দোআ করতে থাকি।
رَبَّنَا اغۡفِرۡ لَنَا ذُنُوۡبَنَا وَاِسۡرَافَنَا فِیۡۤ اَمۡرِنَا وَاَفۡرِغۡ عَلَیۡنَا صَبۡرًا وَّثَبِّتۡ اَقۡدَامَنَا وَانۡصُرۡنَا عَلَی الۡقَوۡمِ الظّٰلِمِیۡنَ ؕ
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের গুনাহসমূহ এবং আমাদের দ্বারা আমাদের কার্যাবলীতে যে সীমালংঘন ঘটে গেছে তা ক্ষমা করে দিন। আমাদের উপর সবরের গুণ ঢেলে দাও এবং আমাদেরকে অবিচল-পদ রাখ, আর জালেম সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে সাহায্য ও বিজয় দান কর।
২৯ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:০১
করুণাধারা বলেছেন: এই আয়াতটি কোন সূরার, কত নম্বর আয়াত? সূরা আলে ইমরানের ১৪৭ নাম্বার আয়াত অনেকটাই এরকম জানি, কিন্তু এটা বুঝতে পারছি না।
২৬| ২৯ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভাঙে নি শাহবাগে ভাঙেনি প্রেসক্লাবে ভেঙেছে দশ নম্বর
ক্যাম্পাস থেকে দূরে, নাহিদরা কিভাবে যাবে কেন যাবে
কেন ভাঙবে টিভি ভবন এসবই যে ভিত্তিহীন অবান্তর
ওরা কেন খাবে মার পুলিশের হাতে ডিবির কাছে
ওরা চেয়েছে সাম্য মানুষে মানুষে ওরা চেয়েছে অধিকার
ওরা তো নয় পা চাটা কুত্তা যাদের করে ব্যবহার
আজেবাজে কাজে ওরা জানে পড়ালেখা ওদের নেই অস্ত্র
ওদের নেই হেলমেট ওরা এদেশের জাগ্রত কন্ঠস্বর
ওরা জানে ওদেরও আছে নাগরিক অধিকার
দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যপীঠে ওদের বিচরণ
ওরাই এলিট শ্রেণী এদেশে
ওরা নয় চাদাবাজ দাঙ্গাবাজ
কিংবা ভাড়া করা পিটুয়াবাহিনী
ওদের গায়ে কেন তুলবে হাত
রাতের আধারে হাসপাতাল থেকে ধরে
ওদের কেন বেধরক মার খেতে হবে
ওরা তো নয় দেশদ্রোহী ওরাই আগামী দিনের নেতৃত্ব
ওদের কেন খেতে হবে মার, স্বাধীন দেশে হে বিবেক
শুধাই তোমারে ভাঙচুরে ওদের কি ভূমিকা?
এ দেশে তবে কি নেই কোন বিচার ?
২৯ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:০৪
করুণাধারা বলেছেন: কলমকে হাতিয়ার করে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লিখে যাচ্ছেন! কবিতা খুব ভালো হয়েছে। এটা মন্তব্য না হয়ে প্রথম পাতায় থাকলে অনেকেই পড়ার সুযোগ পেতেন।
২৭| ২৯ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৫৬
আরোগ্য বলেছেন:
গতকালের আপনার এই পোস্টে লিখা প্রহসন যে আজকে বাস্তবায়িত হবে তা তো দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি।
আপা এই দোয়াটা সুরা বাকারার ২৫০ ও সুরা আলে ইমরানের ১৪৭ নং এর সমন্বয়ে। যেহেতু দুটি আয়াতেই শেষে কাফের কথাটি আছে কিন্তু আমাদের লড়াই জালেমের বিরুদ্ধে তাই আমি শুধু একটা শব্দ পরিবর্তন করেছি তাই কোরআনের রেফারেন্স দেইনি,। এতে কোন সমস্যা নাই ইনশাআল্লাহ।
১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮
করুণাধারা বলেছেন: কমেন্টটা আগে খেয়াল করিনি।
অনেক ধন্যবাদ আরোগ্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:১২
নয়া পাঠক বলেছেন: আপু নতুন কোন মাসুদ রানা বা কিরীটি রায় এর জন্ম হয়ে যাবে এ রহস্য সমাধান করতে পারলে। তবে, আসল ঘটনা কখনই সামনে আসবে না। কারণটা আশা করি বুঝতে পারছেন।