নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করুণাধারা

করুণাধারা

জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো

করুণাধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতকে শায়েস্তা করতে বাঁধ নির্মাণ কোন যৌক্তিক সমাধান নয়।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৪২


তিস্তা ব্যারেজ।

দেশে প্রতিবছর বন্যা হয়, বন্যায় প্রতি বছর অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়, তবে এবারের ক্ষতি সব ছাড়িয়ে গেছে! নদীমাতৃক আমাদের দেশে এত নদী, এখানে বন্যা আটকানো সম্ভব নয় কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব যদি ঠিক সময় বন্যার পূর্বাভাস দেওয়া হয়। বন্যার পূর্বাভাস কে দেবে? বৃষ্টিপাতের ডাটা বিশ্লেষণ করে বন্যার পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব।‌ এ কাজের জন্য অনেকগুলো সরকারি সংস্থা আছে।‌ যেমন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে বন্যা পূর্বাভাস ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র আছে, Institute of water modelling নামের সংস্থা বিভিন্ন নদীর গাণিতিক মডেল তৈরি করে বন্যার পূর্বাভাস দেয়, এছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রন করার জন্য আরো নানা ধরনের মডেল তৈরি করে। আছে আবহাওয়া অধিদপ্তর, আবহাওয়ার খবর দেয়ার পাশাপাশি বন্যার পূর্বাভাস দেওয়াও তাদের কাজ। ‌বুয়েটে আছে ইনস্টিটিউট অফ ফ্লাড কন্ট্রোল এন্ড ড্রেইনেজ রিসার্চ, এদের কাজও বন্যা নিয়ে। এছাড়া আছে ওয়ার্পো, পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা। এদের কাজ সরাসরি বন্যা বিষয়ক না হলেও বন্যা নিয়ন্ত্রণও তাদের কাজের অন্তর্ভুক্ত। বন্যা নিয়ে কাজ করার জন্য আরো আছে নদী গবেষনাগার বা River research institute. বুয়েট বাদে উপরের সবকটি সংস্থা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে।‌ এতগুলো সংস্থা মিলেও কিন্তু কোন উপায় বের করতে পারেনি কিভাবে বন্যা জনিত ক্ষতি প্রশমন করা যায়, বন্যা আটকানো দূরে থাক!!

এখানেই শেষ নয়, নদী নিয়ে কাজ করার জন্য আরো মন্ত্রণালয়, আরও সংস্থা আছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে আছে IWTA বা আন্তঃ নদী পরিবহন কর্তৃপক্ষ, এবং নদী রক্ষা কমিশন। ‌ ২০১৩ সালে নদী রক্ষা কমিশন গঠিত হয়। এগারো বছরেও এই কমিশনের করা কোনো কাজের উল্লেখ কোথাও দেখিনি। তাই এর কর্ম পরিধি সম্পর্কে জানার জন্য গুগল করলাম আর এটা পেলাম।



নদী রক্ষা কমিশন নামের সংস্থার কাজ হচ্ছে নানা ধরনের জিনিস কেনাকাটা করা এবং কর্মশালায় মানুষ পাঠানো! নদীতে বন্যা হলে তা রক্ষার দায়িত্ব নদী রক্ষা কমিশনের নয়!!

এছাড়া আমাদের আছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। বন্যার মত জাতীয় দুর্যোগে এই মন্ত্রণালয়ের তেমন কোনো কর্মকান্ড দেখা যায়নি। আরো আছে যৌথ নদী কমিশন, যার কাজ ভারত এবং বাংলাদেশের অভিন্ন নদীর পানির হিস্যা যেন দু'দেশে সমবন্টিত হয় তা নিশ্চিত করা।

সাম্প্রতিক বন্যার কোন পূর্বাভাস বা সতর্কতা সংকেত আমাদের এই এতগুলো সংস্থার কোনোটাই দিতে পারে নি কেন তা বোঝা যায়, হঠাৎ এভাবে বাঁধ খুলে দেবে প্রতিবেশী দেশ এটা কেউ ভাবতে পারেনি। কিন্তু এত ডিজিটাল ডিজিটাল ডিজিটাল হয়েও কেন একটি সংস্থাও বুঝতে পারল না যে অতি বৃষ্টির ফলে উজানে বান দেখা গিয়েছে, এরা বাঁধ খুলে দিলে আমাদের দেশ ভেসে যাবে !!

এই সংস্থাগুলো কি করে তা দেখতে গিয়ে দেখলাম, এরা কিছুই করেনি স্বাধীনতার পরের এই ৫৩ বছরেও!! বাংলাদেশের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে অনেকগুলো সংস্থা থাকলেও নদী নিয়ে তেমন বড় কোন প্রকল্প কোন সংস্থাই করে নাই। একমাত্র বড় প্রকল্প করে ছিল তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প, কিন্তু সেটা ব্যর্থ হয়েছে ভারতের জন্য। বৃহত্তর রংপুর এলাকায় সেচ কাজের সুবিধার জন্য তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প হাতে নেয়া হয় ১৯৭৯ সনে। বাংলাদেশের এ ধরনের প্রকল্প এটাই প্রথম যা সম্পূর্ণ নিজেদের প্রকৌশলীদের দিয়ে তৈরি হচ্ছিল, সফলভাবে শেষও হয়েছিল। কিন্তু তিস্তা ব্যারেজের নির্মাণ শুরু হতেই ভারত উজানে গজলডোবা ব্যারেজ নির্মাণ করে ফেলে। ফলে তিস্তা ব্যারেজ যে পরিমাণ পানি আসবে বলে ডিজাইন করা হয়েছিল সেটা আসলো না, পানিতে পলি মাটির পরিমাণ বেড়ে গেল, ফলে গেটের কার্যকারিতা কমে গেল। ফলে একসময় তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প ব্যর্থ হয়ে গেল।

অথচ বাংলাদেশ হবার আগে, পাকিস্তানকালীন দুঃসময়ে এই পানি উন্নয়ন বোর্ড বা তৎকালীন ওয়াপদা কিন্তু বড় বড় প্রকল্প সম্পন্ন করেছিল। সেসময় কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দিয়ে জল বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করা হয়েছিল, কুষ্টিয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে গঙ্গা কপোতাক্ষ বা জিকে প্রকল্প নামক সেচ প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছিল।

এখানে আবার কেউ বলবেন না যে, অনেক বড় প্রকল্প হয়েছে গত পনের বছরে, যেমন এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে মেট্রোরেল পদ্মা সেতু... আমি নদীমাতৃক দেশের নদীকে নিরাপদ করা এবং কাজে লাগাবে এমন প্রকল্পের কথা বলছি। ‌অবশ্য উনারা আরেকটা প্রকল্পের কথাও বলতে পারেন, যা ২৭৬৫ কোটি টাকা খরচ করে আকাশে ওড়ানো হয়েছিল, গালভরা নাম বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইট। view this link

উপরের লিংক থেকে উদ্ধৃতি দিলাম:

"এখন থেকে তিন দিনের স্থলে ১০ দিনের পূর্বাভাস দেয়ার পাশাপাশি, দুর্যোগের দিনক্ষণ ও স্থায়িত্বকাল উল্লেখসহ আবহাওয়ার প্রতিঘন্টার অগ্রগতি তুলে ধরার কথা জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক।

কোথায় কখন বৃষ্টি হবে, সেই বৃষ্টি ভারী নাকি মাঝারি হবে, আদ্রতা কেমন থাকবে তার সবই উল্লেখ থাকবে আবহাওয়া পূর্বাভাসে।"

এটা ২০১৮র খবর, বঙ্গবন্ধু১ দিয়ে কোনোরকম কোনো কাজ হয়েছে বলে কোনদিন শুনিনি!!

ভারত যেন ভবিষ্যতে আর এমন পানি সন্ত্রাস না করতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা হিসেবে অনেকে বলছেন ভারত যে ৫৪টি নদীতে বাঁধ দিয়েছে, বাংলাদেশেও সেই নদীগুলোর উপর বাঁধ নির্মাণ করা হোক, উচ্চতা ভারতের বাঁধের দ্বিগুন করে! তাদের মতে, এর ফলে ভারত ভবিষ্যতে কখনো এভাবে তাঁদের বাঁধ খুলে দিলে সেই পানি আমাদের বাঁধে বাধাগ্রস্ত হয়ে উজানে ভারতের দিকে যাবে, তারপর ভারতের নীচু বাঁধের উপর দিয়ে গিয়ে ভারতের এলাকায় বান আনবে। কিন্তু এমন হওয়া কখনোই সম্ভব না। কেন সম্ভব না, সেটা চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন বলে ব্যাখ্যায় যাচ্ছি না।‌ তাছাড়া আরো কতগুলো কারণে এভাবে বাঁধ বানানো যাবেনা।

১) সেতু, বাঁধ এইসব নদীতে ইচ্ছা মতো জায়গায় নির্মাণ করা যায়না। অনেক কিছু বিবেচনা করে জায়গা নির্বাচন করতে হয়। তাই নদী যেখানে বাংলাদেশে ঢুকছে ঠিক সেখানে বাঁধ নির্মাণ করা সম্ভব নাও হতে পারে।

২) এতগুলো বাঁধ বানাতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন।

৩) দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। বাঁধ নির্মাণের আগে hydrological এবং hydraulic সমীক্ষা করতে হবে। hydrological সমীক্ষার জন্য প্রয়োজন অন্তত ৫০ বছরের বৃষ্টিপাতের ডাটা, যে এলাকা থেকে রিজার্ভারে পানি আসবে তার বিশদ তথ্য, সেই স্থানে অনেক বছরের বন্যার তথ্য, পানিতে বাহিত পলির পরিমাণ এবং এরকম আরো নানা তথ্য। ‌ এই সব তথ্য বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ বন্যার মাত্রা নির্ণয় করতে হবে। এটা নির্ণয় করা হয়ে গেলে বাঁধের hydraulic ডিজাইন করতে হবে, অর্থাৎ নদীর কোথায় বাঁধ বানানো হবে, সেখানে বাঁধের উচ্চতা কত হবে, কতগুলো গেট হবে, কি ধরণের গেট হবে যাতে পানির নিয়ন্ত্রিত রিলিজ করা যায়, এইসব ডিজাইন করা হবে।

এরপর বাঁধের স্ট্রাকচারাল ডিজাইন করতে হবে, এরজন্য বিবেচনা করতে হবে পানির স্রোতের গতি, প্রতি মিনিটে কত পানি যাবে (design flow), পানির চাপ, পানিতে পলির পরিমাণ ইত্যাদি। স্ট্রাকচারাল ডিজাইন করা শেষ হলে বাঁধ নির্মাণ শুরু করতে হবে। এখন বাঁধ নির্মাণ শুরু করার পর যদি দেখা যায় ডিজাইন ফ্লো পাওয়া যাচ্ছে না, অর্থাৎ ভারত আগে যে পরিমাণ পানি ছাড়তো সেই পরিমাণ পানি ছাড়ছে না, তাহলে বাঁধের কার্যকারিতা ঠিক থাকবে না, যা ঘটেছে তিস্তা বাঁধের বেলায়।

অতএব এক বছরের মধ্যে আমরা ভারতের দ্বিগুণ উচ্চতার বাঁধ বানিয়ে তাদের শিক্ষা দিতে পারব এমনটা ভাবা মোটেও ঠিক নয়। আর দ্বিগুন উচ্চতা, এটাও একটা হাস্যকর কথা। অনেকগুলো প্যারামিটার আছে যেগুলা বাঁধের উচ্চতা ঠিক করে দেয়। নিজের ইচ্ছে মতো উচ্চতার বাঁধ বানানো যায় না।

তাই সঠিক কাজ হচ্ছে, ভারতের কাছ থেকে আমাদের ন্যায়সঙ্গত প্রাপ্য আদায় করা আইনগত ব্যবস্থার মাধ্যমে। কেবল স্বৈরাচারী সরকার নয়, তার আগের সরকারগুলো কখনো ভারতের কাছ থেকে অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে পারেনি। অবশ্য স্বৈরাচারী সরকার দাসত্বের নিম্নতম সীমায় পৌঁছে ভারতকে পানি সেবা দিয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে আবরার ফাহাদকে, এবং সকলকে বার্তা দেয়া হয়েছে যেন ভারতের এই একতরফা পানির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কেউ কিছু না বলে।

তবে এখন আর সেই দাসত্ব মনোবৃত্তির সরকার নেই। তাই এখন এই সমস্যা সমাধান করতে হবে ভারতের সাথে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা করে, অভিন্ন নদী নিয়ে যে আইন আছে সেটার ভিত্তিতে। সমস্যা সমাধানে ভারত সহযোগিতা না করলে আন্তর্জাতিক আদালতে আমাদের নিজেদের ন্যায্য দাবি তুলে ধরতে হবে। এর ফলেই সহজে সমস্যার সমাধান হবে। এটা বাঁধ নির্মাণ করার মত ব্যয়বহুল হবে না এবং দীর্ঘ সময় লাগবে না।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:১২

শায়মা বলেছেন: আমার তো মনে হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষেরা একাই একশো। সবাই এইভাবে ঐক্যে থাকলে কাউকেই লাগবেনা আমাদের। ভারতকে শায়েস্তা করাও মনে হয় বেশি কঠিন হবে না।


তবে আবরারের মৃত্যু, আবু সায়ীদের মৃত্যু সারাজীবন কাঁদাবে আমাদেরকে।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৩১

করুণাধারা বলেছেন: মনে হচ্ছে ঘুম থেকে জেগে উঠেছে এদেশের সব মানুষ, জেগে উঠেছে মানবতা। ‌ এই সম্মিলিত শক্তি সব অশুভ শক্তিকে হটিয়ে দিবে।

এইসব দেখে ভালো লাগে, কিন্তু যখন মনে পড়ে পুলিশের গাড়ি থেকে সদ্য তরুণ ছেলেটিকে ফেলে দিচ্ছে, ছেলেটি মাথা তুলে দেখার চেষ্টা করছে, তখন তাকে পুলিশ হিড় হিড় করে টেনে নিয়ে ডিভাইডারের উপর দিয়ে রাস্তায় ফেলে দিচ্ছে, তখন মাথাটা কেমন ফাঁকা হয়ে যায়। এই পুলিশেরা কেমন করে এত নির্মম হলো!!

২| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,





জোশের বসে আমরা তো কতো কিছুই চাই, পারলে এখনি চাই। কিন্তু বাস্তব ভেবে দেখিনে । আগে-পিছের হিসেব করিনে।
সেই সব চাওয়ার একটি চাওয়া নিয়ে চমৎকার ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ। শেষের প্যারাতে যা বলেছেন সেটা ছাড়া আর কোনও সমাধান নেই।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৩৭

করুণাধারা বলেছেন: জোশের বসে আমরা তো কতো কিছুই চাই, পারলে এখনি চাই

ইদানিং এই জিনিসটা খুব দেখা যাচ্ছে। কিছু মনে হলেই চাই চাই চাই দাবি উঠছে। এমন এক জোশের বসে বলা হচ্ছে, ভারতীয় বাঁধের দ্বিগুন উচ্চতার বাঁধ নির্মাণ করে ভারতকে শায়েস্তা করতে হবে। এটা কতটা অবাস্তব দাবি সেটা ভেবে দেখার সময় নেই কারো!

মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আহমেদ জী এস।

৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:৩৯

কামাল১৮ বলেছেন: এসব করার জন্য গনতান্ত্রিক সরকার লাগবে।এই সরকারের সাথে কেউ কোন বড়রকমের চুক্তি করবে না।

২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৩

করুণাধারা বলেছেন: এই সরকারের সাথে কেউ কোন বড়রকমের চুক্তি করবে না।

আপনি ভবিষ্যৎবাণী কি কাঁচের গোলকের সাহায্যে করেন, নাকি টিয়াপাখি দিয়ে?

৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:২৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপু ব্যাপার টাকে অনেকেই একটা প্রতীকী হিসেবে বলেছে, আর কিছু জোশিলা তো সব সময় থাকে। আপনার ব্যখ্যা বিশ্লেষণ পড়লাম। তবে এইবার ভারত কে আমাদের পানির সমাধান করতেই হবে।

২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩২

করুণাধারা বলেছেন: বেশিরভাগই আবেগের ঠেলায় বলছেন।‌ কেউ বলছেন, বাঁধ বানাতে যত টাকা লাগে দেবেন। কেউ বলছেন গায়ে খেটে নিজেরা বাঁধ বানিয়ে নেবেন। কিন্তু বাঁধ বানাতেও ভারতের সহযোগিতা দরকার।‌ এরা ইচ্ছে করলেই পানির পরিমাণ কমিয়ে বাড়িয়ে বাঁধকে অকেজো করে দিতে পারে।

সবচেয়ে ভালো হয় নিজেদের প্রাপ্যটা বুঝে নেয়া, আলোচনার মাধ্যমে না দিলে আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে হবে। ভারত কিন্তু পাকিস্তানের সাথে অভিন্ন নদীর পানি ঠিকমত শেয়ার করছে, শুধু বাংলাদেশের বানাতেই এমন। কারণ অন্যায়ের প্রতিবাদ করার মত সরকারই ছিল না!

৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৩৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই লেখাটি খুব মনযোগ দিয়ে পড়লাম এবং অনেক নতুন কিছু জানতে পারলাম।

বিষয়টি সম্পর্কে যদিও নিতান্তই অজ্ঞ, তবু সাধারণ ভাবে বলা যায় ভারতকে শায়েস্তা করার চিন্তাটাই আজগুবি ধরনের। আগে তো নিজে বাঁচি, নিজের সক্ষমতা বাড়াই! অন্যকে শায়েস্তা করতে গেলে নিজেরই শায়েস্তা হতে হয়, এই বোধ যাদের নেই তাদের সাথে কথা বলার প্রয়োজন দেখি না।

২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:১১

করুণাধারা বলেছেন: প্রযুক্তি এবং কূটনীতির দিক দিয়ে ভারত আমাদের দেশের চাইতে অনেক এগিয়ে। শক্তিতে অন্তত কাছাকাছি না হলে লড়াই করা যায় না। তাই ভারতের বাঁধের চাইতে বড় বাঁধ বানিয়ে তাদের শিক্ষা দেব, এটা একটা হাস্যকর ভাবনা বলে মনে হয়। ভেবেছিলাম এমন ভাবনা যারা ভাবছেন তাদের কাউকে এই পোস্টে পাবো, তাহলে বুঝতে পারতাম তারা কিসের ভিত্তিতে এমন ভাবছেন।

এই পোস্ট লিখতে গিয়ে আমি দেখলাম অনেকগুলো সরকারি সংস্থা আছে যারা আবহাওয়া, নদী, পানি বন্টন এসব নিয়ে কাজ করে। অথচ তাদের কাজের কোন দৃশ্যমান সুফল নেই। ঘূর্ণিঝড়ের সময় বার বার সতর্কতা জারি হয়, সতর্কতার নাম্বারও থাকে! অথচ বন্যার সময় এরকম কোন সতর্কতা দেওয়া হয় না! আকস্মিক বন্যার পূর্বাভাস দেয়া না গেলেও, বন্যা যে আসছে সেটার পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব ছিল।

৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ভারতের সাথে আমাদের অভিন্ন সবগুলো নদ-নদীর পানি সমস্যার স্থায়ী একটি সমাধান হওয়া দরকার। বছর বছর তারা ইচ্ছেমত উল্টোপাল্টা কাজ করে যখন তখন বাংলাদেশকে খরা বন্যার কবলে ফেলতেই থাকবে- এটা হতে দেওয়া যায় না।

২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:১৪

করুণাধারা বলেছেন: ভারতের সাথে আমাদের অভিন্ন সবগুলো নদ-নদীর পানি সমস্যার স্থায়ী একটি সমাধান হওয়া দরকার

দরকার, কিন্তু এতদিন করার মত কেউ ছিল না। বরং স্বৈরাচারী সরকার নদীর গতিপথ বন্ধ করে রাস্তা বানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় যান চলাচলের জন্য! অভিন্ন নদীর পানি বন্টনের জন্য আন্তর্জাতিক আইন আছে, সব দেশই সেগুলো মেনে চলে। এই ভারত কিন্তু পাকিস্তানকে অভিন্ন নদীর পানি হিস্যা ঠিকমতো দিচ্ছে!!

আশা করি এইবার আমার মাথা উঁচু করে ভারতের কাছ থেকে নিজেদের প্রাপ্য বুঝে নিতে যাব।

৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:০১

জুল ভার্ন বলেছেন: চিনের প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প হবে- আর এক শ্বেতহস্তী। ফলাফল- টাকার শ্রাদ্ধ।

২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:১৮

করুণাধারা বলেছেন: চীনের এই প্রকল্পে পুরোপুরি তাদের প্রযুক্তি, তাদের লোকজন, তাদের যন্ত্রপাতি ব্যবহার হবে। ফলাফল হবে, যা খরচ তার অর্ধেক তারা নিজেরাই নিয়ে যাবে। ঠিকই বলেছেন, টাকার শ্রাদ্ধ হবে। এটা এমন কোন রকেট সাইন্স না, আমাদের প্রকৌশলীদের ট্রেনিং দিয়ে এই কাজ করার উপযুক্ত করে ফেলা যায়। এই লেখাটা লিখতে গিয়ে দেখলাম, আমাদের দেশে এতগুলো সংস্থা আছে এইসব নদী সংক্রান্ত কাজ করার জন্য। কিন্তু তারা কেবল আসি যাই বেতন পাই ধরনের।

৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫

নতুন বলেছেন: বাধের এপাড়ে আবার বাধ দেওয়া কোন সমাধান না। এটা অতি আবেগী ভাবনা।

ভারতের সাথে সকল নদী নিয়ে বৈঠক করতে হবে, ন্যায্য হিস্যা দাবী করতে হবে, দরকার হলে এটা আন্তজাতিক পর্যায়ে নিতে হবে।

২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:২৪

করুণাধারা বলেছেন: ভারতের সাথে সকল নদী নিয়ে বৈঠক করতে হবে, ন্যায্য হিস্যা দাবী করতে হবে, দরকার হলে এটা আন্তজাতিক পর্যায়ে নিতে হবে।

এটাই মূল কথা। অভিন্ন নদীর পানি বন্টন বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইন আছে, সেই আইন অনুযায়ী আমাদের প্রাপ্য আদায় করতে হবে। সেজন্য দরকার এমন কিছু মানুষ যারা এই কাজটি করতে পারবেন। ভারত অনেক বাঁধ নির্মাণ করেছে যেগুলো আইন অনুযায়ী বৈধ নয়, আলোচনা করে সেগুলোও ভাঙার ব্যবস্থা করা সম্ভব।

এই সহজ পথে না গিয়ে কেন তারা বাঁধ নির্মাণের চিন্তা করছেন সেটা আমি বুঝতে পারছি না।

৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: এবিষয়ে আমার কিছু কথা বলার আছে - সময় সুযোগ পেলে বলব। দারুন তথ্য সমৃদ্ধ লেখা নিঃসন্দেহে।
আমি পানি ধরে রাখার জন্য জলাধার বা ড্যাম তৈরি করার পক্ষে- যা শুষ্ক মৌসুমে এসব নদীর নাব্যতা অল্প স্বল্প হলেও ধরে রাখবে। জানিনা বিশাল প্রকল্প করার মত সামর্থ্য আমাদের আছে কিনা আর এটা আসলেই কতটুক কার্যকরী এ বিষয়ে আমার ধারণা নেই।
তবে তাদের থেকে উঁচু বাদ দিয়ে তাদেরকে চুবিয়ে মারার প্লান এটা একেবারে হাস্যকর ব্যাপার- শুধু শুধু অর্থের অপচয় হবে। তবে একটা হলেও বাঁধ দিয়ে তাদের মনে ভয় ধরিয়ে দিতে হবে- আর আমাদের মনের শান্তি! আমাদের দেশের মানুষ এই নিয়ে অর্ধশত বছর ধরে বকবক করে আসছে এদের আসলে বোঝানো উচিত এটা কোন কার্যকরী উপায় নয়।

২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৩০

করুণাধারা বলেছেন: আমি এই লেখাটা লিখেছিলাম এই আশা করে, যারা বাঁধ বানানোর পক্ষে তাদের কেউ কেউ এই পোস্টে আসবেন। কিন্তু কাউকে পাইনি এখন আপনাকে পাওয়া গেল! অবশ্যই আপনি লিখবেন সময় সুযোগ করে, আমি অপেক্ষায় থাকলাম।

আপনার ভাবনাটা জানা গেলে আমি আমার ভাবনা শেয়ার করতে পারতাম।

একটা জিনিস কি, ভারত প্রযুক্তি এবং কূটনীতিতে আমাদের চাইতে অনেক এগিয়ে। আমাদের তিস্তা ব্যারেজের নির্মাণের সময় তাদের প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে সাহায্য করতে পারত, তা না করে তারা অপেক্ষা করছে নির্মাণ কিছু দূর এগিয়ে যাবার যখন নির্মাণ এগিয়ে গেল তখন তারা নিজেরা উজানে একটা বাঁধ বানিয়ে ফেললো। ‌এর ফলে তিস্তা ব্যারেজে পানি কমিয়ে দিল ব্যারেজ অকার্যকর হয়ে গেল। এই জিনিসটা ভাবলে ভারতের সম্পর্কে "শয়তানি" ছাড়া আর কোন শব্দ মাথায় আসে না।

১০| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৪৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: ভাইরাল হবার ধান্দায় এখন অনেকেই আবোল তাবোল বক্তব্য দিচ্ছে। কোন এক হাবিব-নাতালিয়া দম্পতি ভ্লগার দেখলাম একেবারে ইউরোপ থেকে প্রকৌশলী নিয়ে আসার ঘোষনা দিয়েছে!! আর পাবলিক না বুঝেই ইচ্ছেমত শেয়ার দিচ্ছে। একজন প্রকৌলী হিসেবে আপনি খুব ভাল করে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

উজানের দেশের মানুষেরা নদীতে বাধ দিয়েছে ভাটির দেশের মানুষদের হয় শুকিয়ে মারতে নাহয় চুবিয়ে মারতে। ভাটির দেশের মানুষ কোথায় বাধ দিবে এই বিষয়টাই মাথায় আসছিল না এই জাতীয় হাস্যকর স্ট্যটাস পড়ে। ভারতের সাথে আমাদের এই সমস্যার মুল সমাধান হচ্ছে সঠিক পররাস্ট্রনীতি। বাধ দিয়ে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে তারা নদিগুলোকে হত্যা করেছে , যা দুই দেশের কারো জন্যই মঙ্গলজনক হয়নি।

২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৩৮

করুণাধারা বলেছেন: উজানের দেশের মানুষেরা নদীতে বাধ দিয়েছে ভাটির দেশের মানুষদের হয় শুকিয়ে মারতে নাহয় চুবিয়ে মারতে।

আমাদের দাদা প্রতিবেশীর আমাদের দেশের প্রতি এটাই মনোভাব। বাঁধ নির্মাণ কখনোই ভালো কিছু না এর ফলে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ রুদ্ধ হয়, প্রভাব পড়ে ভূমি, মৎস্য সম্পদ, এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্যের উপর। তারপরেও বাঁধ বানানো হয়, কখনো সেচ কাজের জন্য কখনো বা জলবিদ্যুৎ তৈরির জন্য। অথচ ভারত তিস্তার উজানে বাঁধ বানিয়েছিল, সেটা কেবলই এদেশের মানুষকে শুকিয়ে মারতে অথবা ডুবিয়ে মারতে।

তাই আমাদের সবগুলো নদীর প্রাপ্য পানির ভাগ আদায় করতে হবে আইনিভাবে। এখনই।

১১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৩১

নতুন বলেছেন: এই সহজ পথে না গিয়ে কেন তারা বাঁধ নির্মাণের চিন্তা করছেন সেটা আমি বুঝতে পারছি না।


বাঙ্গালী আবেগী জাতী। সহজেই চেতনা বিক্রি করা যায়।

বাংলাদেশীদের অনেকেই্ ইমু আর ফেসবুক ব্যবহার করতে পারে।

২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৪৪

করুণাধারা বলেছেন: এই আকস্মিক বন্যার আগে সৈয়দা রেজওনা হাসান বলছিলেন, তিস্তার পানির হিস্যা নিয়ে ভারতের সাথে আলোচনায় বসবেন। এরপর বন্যা শুরু হয়ে গেল, তাছাড়া প্রতিদিন সচিবালয় ঘেরাও করছে বিভিন্ন পেশার মানুষেরা। হয়তো এজন্য আলোচনা শুরু করতে পারেননি। তবে আমি আশাবাদী, আলোচনা শুরু হবে এবং ভারতকে আমাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দিতেই হবে।

১২| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো লিখেছেন। আপনি সম্ভবত এই সব বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। আমার মতে ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফোরামে এবং সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়া উচিত। সময় লাগলেও এক সময় রায় আমাদের পক্ষে আসবে। হাসিনা ভেবেছিল তার সাথে কেউ পারবে না। কিন্তু ১৬ বছর পরে রায় জনতার পক্ষে। একইভাবে প্রথম প্রথম ভারত আমাদের নালিশকে গুরুত্ব না দিলেও ধৈর্য ধরে লেগে থাকলে আমাদের জয় হবে আশা করি। আর ভারতকে চাপে রাখলে ভারত নমনীয় হতে বাধ্য হবে। কারণ বিশাল দেশ ভারত বহুমুখী সমসায় আছে। ওদের রাজনীতি আরও জটিল। ভু-রাজনীতিতে বাংলাদেশ ওদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। চীন, অ্যামেরিকার কাছেও বাংলাদেশের গুরুতু আছে। এই গুরুত্বকে বুদ্ধি খাটিয়ে কাজে লাগাতে হবে আমাদের।

২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৫৯

করুণাধারা বলেছেন: চীন, অ্যামেরিকার কাছেও বাংলাদেশের গুরুতু আছে। এই গুরুত্বকে বুদ্ধি খাটিয়ে কাজে লাগাতে হবে আমাদের।

কয়েকদিন আগে হলেও হয়তো ভাবতাম এমন বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করা লোক আমাদের নেই। কিন্তু এখন আশা জাগছে, শেখ হাসিনার এমন সাম্রাজ্য যদি গুড়িয়ে দেয়া সম্ভব হয় তবে ভারতের সাথে আলোচনা করে পানির হিস্যা আদায় করাও সম্ভব হবে।

তবে নদী সংক্রান্ত এতগুলো সরকারি সংস্থা কেন রাখা হয়েছে, যারা এদেশের নদীকে কোন কাজে লাগাতে পারলো না!! এই সংস্থাগুলোর অনেকগুলোই বিলুপ্ত করে দেওয়া দরকার।

ব্যারেজ নির্মাণ বিষয়ে আমি এটুকু জানি, ইচ্ছা হলেই একটা ব্যারেজ নির্মাণ করে ফেলা যায় না। তিস্তা ব্যারেজের পরিকল্পনা জিয়াউর রহমানকে কেউ দিয়েছিল এবং তিনি এটা বাস্তবায়নে উদ্যোগী হয়েছিলেন। এরপর এরশাদের মাথায় আসলো সেও একটা ব্যারেজ বানাবে ধরলা নদীর উপর। সত্যি সত্যি এটা সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু যেহেতু সমীক্ষা করতে সময় লাগে, সমীক্ষা শেষ হবার আগেই এরশাদের পতন হয়েছিল।

১৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৪১

জুন বলেছেন: বাধ নির্মাণ করা কোন যৌক্তিক সমাধান না করুনাধারা। আমি শেরজার মত জলাধার নির্মানের পক্ষে। ভারত একটা বিরাট শক্তি। আমরা তাদের সাথে এই ধরনের ক্ল্যাশে জিততে পারবো না। সুতরাং নিজেদের ব্যবস্থা নিজেদের করতে হবে। যদি সু প্রতিবেশী হতো তাহলে মেকং নদীকে যেমন সমান ভাবে চীন ক্যাম্বোডিয়া থাইল্যান্ড ব্যবহার করছে আমরাও তেমন গংগা তিস্তা গোমতীকে করতে পারতাম। কিন্তু দু:খের বিষয় আমাদের প্রতিবেশী তার কোন প্রতিবেশী রাস্ট্রের সাথেই সুসম্পর্কে নেই। আপ্সুস।
লেখাটি ভালো লাগলো অনেক।
+

২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:১০

করুণাধারা বলেছেন: যদি সু প্রতিবেশী হতো তাহলে মেকং নদীকে যেমন সমান ভাবে চীন ক্যাম্বোডিয়া থাইল্যান্ড ব্যবহার করছে আমরাও তেমন গংগা তিস্তা গোমতীকে করতে পারতাম। কিন্তু দু:খের বিষয় আমাদের প্রতিবেশী তার কোন প্রতিবেশী রাস্ট্রের সাথেই সুসম্পর্কে নেই

আমাদের বৃহৎ প্রতিবেশী ছোট ছোট প্রতিবেশীর উপর ছড়ি ঘোরায়, কিন্তু বড় প্রতিবেশীকে ঠিকই তোয়াজ করে! পাকিস্তানের সাথে ভারতের ছয়টি অভিন্ন নদী আছে যেগুলো ভারত থেকে পাকিস্তানে ঢুকেছে। ১৯৬০ সালে পাকিস্তান ভারতের সাথে indus water treaty নামে একটা চুক্তি করে যার ফলে তিনটা নদীর পানি বন্টনের ভার থাকে ভারতের উপর বাকি তিনটা পাকিস্তানের উপর। এমন ব্যবস্থার ফলে দুজনেই ঠিকমতো পানি পায়।

আপ্সুস তো আমারও! ৫৩ বছর পরেও আমরা একটা নদীতেও পানি পেলাম না ঠিক মত।

১৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৩৮

জটিল ভাই বলেছেন:
বরাবরের মতোই তথ্যবহুল পোস্ট।
ইনশাল্লাহ্ ভারতকে একদিন মাশুল দিতেই হবে!

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৩

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ জটিল ভাই।
ইনশাল্লাহ ভারতকে একদিন মাশুল দিতেই হবে

দিতেই হবে। একে একে বহু হইয়াছে দেনা, শুধিতে হইবে ঋণ! আমরা দুহাত উজাড় করে তাদের দিয়ে গেছি, এখন তাদের দেবার পালা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.