![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চাইলে জিয়াউর রহমান ঢাকায় ঝাঁ চকচকে দালান কোঠা রাস্তা বানিয়ে সবার চোখ ধাঁধিয়ে উন্নয়ন করার বাহাদুরি করতে পারতেন। সেটা না করে তিনি ঘুরতে লাগলেন সারা দেশে, গ্রামে গঞ্জে গিয়ে খাল কাটতে শুরু করলেন। তাঁর শ্লোগান ছিল, "খাল কাটা হলে সারা/ দূর হবে বন্যা-খরা"। আত্ম কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলা তাঁর স্বপ্ন ছিল।
জিয়াউর রহমান প্রথমে নজর দিয়েছিলেন দেশের অবহেলিত অঞ্চলগুলোর উন্নয়নের দিকে, প্রধানত উত্তরাঞ্চলে। খরার কারণে ফসল উৎপাদনে পিছিয়ে থাকা উত্তরাঞ্চলকে কী করে উন্নত করা যায় তিনি সেই চেষ্টা করতে লাগলেন। এই অঞ্চলে পানির অভাবে ফসল উৎপাদন হতো না ঠিকমত। তাই বৃহত্তর রংপুরের বড় এলাকায় সেচ সুবিধা দিতে তিনি তিস্তা সেচ প্রকল্প হাতে নিলেন। এই প্রকল্পের জন্য যে রিজার্ভার- ব্যারেজ নির্মাণ করতে হবে তার প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ণয় হলো পাঁচশো কোটি টাকা। যেহেতু দেশের ইঞ্জিনিয়ারদের এমন নির্মাণের অভিজ্ঞতা নেই তাই বিদেশি পরামর্শক নিয়োগ করে ব্যারেজ নির্মাণ করার পরামর্শ দেয়া হলো। জিয়াউর রহমান বললেন, "৫০০ কোটি টাকা পানিতে ভেসে গেলে যাক, তবু দেশের ইঞ্জিনিয়াররাই এই প্রকল্পের সব কাজ করবেন"। সেইমতো তিস্তা প্রকল্পের কাজ শুরু হলো, একসময় শেষও হলো ভালভাবে। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে এখন পর্যন্ত দেশের এটাই একমাত্র বড় প্রকল্প যার বাস্তবায়ন পুরোপুরি করেছিলেন এদেশের ইন্জিনিয়াররা! তারপর থেকে আজ অবধি এদেশের ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ কেবল চেয়ে দেখা, বিদেশি ইঞ্জিনিয়াররা কীভাবে এদেশে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন!!
জিয়া ঢাকায় চোখ ধাঁধানো স্থাপনা তৈরি করেননি কিন্তু এমন কিছু নির্মাণ করেছিলেন যা আগে হয়নি এবং যার সুফল পরবর্তী অনেক দশক জুড়ে রয়ে যায়। ১৯৭৯ সালে ঢাকার শাহবাগে ১৫ একর জমিতে শিশু পার্ক নির্মাণ করেন, এখন পর্যন্ত যা ঢাকায় সরকারিভাবে নির্মিত একমাত্র শিশু পার্ক। এই পার্কের নানা রকম রাইড স্বল্প মূল্যে উপভোগ করা যেতো, ফলে কেবল শিশু- কিশোরেরা নয়, দেখা গেল বড়রাও এই পার্কে এসে বিমলানন্দ উপভোগ করছেন। ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলা থেকেও প্রচুর মানুষ আসতেন এই পার্কে বেড়াতে। জিয়াউর রহমান এর নামকরণ করেছিলেন কেবল "শিশুপার্ক" বলে, পরবর্তীতে বিএনপি এর নাম দেয় "জিয়া শিশুপার্ক"। হাসিনার গলায় এই নাম যুক্ত পার্ক বোধহয় কাঁটার মতো খচখচ করে বিঁধত, তাই এর নাম রাখা হয় 'হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশুপার্ক, এবং উন্নয়নের কথা বলে ২০১৯ সালে শিশুপার্কটি বন্ধ করে দেয়া হয়!!
শিশুদের বিকাশের প্রতি জিয়াউর রহমানের মনোযোগ দিয়েছিলেন, কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন যে আজকের শিশুদের সুন্দর ভাবে গড়ে তুলতে পারলে আগামী দিনের বাংলাদেশ সুন্দর ভাবে গড়ে উঠবে। তিনি শিশু কিশোরদের জন্য টিভিতে নতুন কুঁড়ি নামের একটা অনুষ্ঠান শুরু করেন, শিশুদের জন্য এমন অনুষ্ঠান আগে কখনও হয়নি, পরেও না! নতুন কুঁড়িতে বয়স অনুযায়ী দুই বিভাগ ছিল, প্রতিটি বিভাগে আবৃত্তি, বিতর্ক, গল্প বলা, উপস্থিত বক্তৃতা, ছবি আঁকা, অভিনয়, নাচ আর গানের প্রতিযোগিতা হতো। নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতার ফলে শিশু কিশোরেরা বিভিন্ন রকমের বাংলা গানের সাথে পরিচিত হয়, যেমন ছড়া গান, দেশাত্মবোধক গান, পল্লী গীতি, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতি, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত ইত্যাদি। প্রতিযোগিতায় সারা দেশের শিশুরা অংশ নিতে পারতো, কারণ মহকুমা পর্যায় থেকে শুরু হয়ে ক্রমান্বয়ে জেলা, বিভাগীয় পর্যায় পার হয়ে বিজয়ীরা চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ঢাকায়। প্রায়ই জিয়া নতুন কুঁড়ির অনুষ্ঠানে এসে শিশুদের সাথে অনুষ্ঠান উপভোগ করতেন, আর ফাইনালে সব শিশুদের হাতে উপহার তুলে দিতেন। নতুন কুঁড়ির এই থিম সং শিশু- কিশোরদের খুব পছন্দের ছিল:
আমরা নূতন, আমরা কুঁড়ি, নিখিল বন-নন্দনে,
ওষ্ঠে রাঙা হাসির রেখা, জীবন জাগে স্পন্দনে।
লক্ষ আশা অন্তরে
ঘুমিয়ে আছে মন্তরে
ঘুমিয়ে আছে বুকের ভাষা পাঁপড়ি-পাতার বন্ধনে।
সাগর-জলে পাল তুলে দে’ কেউ বা হবো নিরুদ্দেশ,
কলম্বাসের মতই বা কেউ পৌঁছে যাবো নূতন দেশ।
জাগবে সাড়া বিশ্বময়
এই বাঙালি নিঃস্ব নয়,
জ্ঞান-গরিমা শক্তি সাহস আজও এদের হয়নি শেষ।
কেউ বা হবো সেনানায়ক গড়বো নূতন সৈন্যদল,
সত্য-ন্যায়ের অস্ত্র ধরি, নাই বা থাকুক অন্য বল।
দেশমাতাকে পূজবো গো,
ব্যথীর ব্যথা বুঝবো গো,
ধন্য হবে দেশের মাটি, ধন্য হবে অন্নজল।
ভবিষ্যতের লক্ষ আশা মোদের মাঝে সন্তরে,
ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে।
আকাশ-আলোর আমরা সুত,
নূত বাণীর অগ্রদূত,
কতই কি যে করবো মোরা-নাইকো তার অন্ত-রে।…
ছাত্রদের মেধার বিকাশের জন্য তিনি নানা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, যেমন থানা পর্যায় থেকে ছাত্রদের মধ্যে নানা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যার সমাপ্তি হতো জাতীয় পর্যায়ে এসে। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব বৃদ্ধি করা, কৃষি শিল্প ব্যবসা এসব বিষয়ে হাতে-কলমে শিক্ষা দেবার মাধ্যমে শিক্ষাকে কর্মমুখী ও বাস্তবমুখী করা, ROTC (Reserve Officers’ Training Corps) চালু করা ছাড়াও অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি একটি জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নের উদ্যোগ নেন, যাতে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতার সঙ্গে মানানসই শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়। মেধাবী শিক্ষার্থী, যেমন বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষায় প্রথম দিকে স্থান পাওয়া শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার জন্য তিনি তাদের একসঙ্গে নিয়ে হিজবুল বাহার জাহাজে করে নৌবিহারে যেতেন এবং আলাপচারিতায় অনুপ্রাণিত করতেন। শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সহায়ক হবে, এমন কাজে তিনি সবসময়ই সাহায্য করতেন। এমন একটা ঘটনার উল্লেখ আছে বুয়েটের স্থাপত্যের এক শিক্ষার্থীর লেখা বইয়ে। চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের বাসনা জাগলো ভারতের বিভিন্ন প্রাচীন স্থাপত্যকর্ম দর্শনে যাবার, কিন্তু ক্লাসের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পক্ষে এই ভ্রমণ খরচ মেটানো সম্ভব না। তাই তাঁরা ঠিক করলেন দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে অর্থ সাহায্য চাইবেন, ভ্রমণটা 'শিক্ষামূলক' হবে বলে। কিছু চেষ্টা করার পর তারা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সাথে সাক্ষাতের অনুমতি পেলেন। বঙ্গভবনে নির্দিষ্ট দিনে সাক্ষাৎ হলো, প্রেসিডেন্ট শিক্ষার্থীদের কথা শুনলেন। তাদের নিরাশ করলেন না তিনি, তাদের এই শিক্ষা সফরের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সাহায্য করলেন। সেই শিক্ষার্থী তার বইয়ে দেশের রাষ্ট্রপতিকে প্রথম দেখার বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে:
আরেকটা গল্প জিয়াউর রহমানকে নিয়ে, এটার বক্তা বুয়েটের প্রতিষ্ঠাতা ভিসি ড. এম এ রশিদ, যিনি রহমানের উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করছিলেন। একদিন এক মিটিং এর শেষে লাঞ্চের সময় হয়ে গেছে দেখে জিয়াউর রহমান অনুরোধ করলেন তার সাথে লাঞ্চ করে যেতে। খেতে বসে ড. রশিদ দেখলেন ডাল, শাক এবং একটা মাছের তরকারি! তিনি আশা করেছিলেন প্রেসিডেন্টের লাঞ্চ বিশেষ কিছু হবে! আসলে জিয়ার নিজের জীবনযাপন ছিল সাদা মাটা, সেজন্যই হাসিনা আর তার অনুসারীরা হাজার চেষ্টা করেও জিয়া অর্থলোপাটকারি বা দুর্নীতি পরায়ণ, এর কোনটাই প্রমাণ করতে পারেনি।
ডঃ এম এ রশিদ ছিলেন জিয়াউর রহমানের একজন উপদেষ্টা। দেশের জন্য হিতকর উন্নয়নের ধারণা দিতে পারেন এবং এজন্য কাজ করতে পারেন, এমন যে কয়েকজন বিশিষ্ট মানুষকে জিয়াউর রহমান তাঁর উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন তিনি ছিলেন তাঁদের একজন। জিয়াউর রহমান তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন ঢাকার নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য "লো কস্ট হাউজিং" তৈরি করতে। ডঃ রশিদের এই লো কস্ট হাউজিং খুব উপকারী একটা প্রকল্প ছিল। তিনি স্বল্প ব্যয়ে নির্মাণ করা যায় এমন বহুতল ভবন (পাঁচতলা/ছয়তলা) ডিজাইন করলেন, যা পঁচিশ বছর মেয়াদি স্বল্প অর্থের কিস্তি সুবিধায় কেবল নিম্ন মধ্যবিত্ত নয়, অনেক মধ্যবিত্ত মানুষও কিনেছিলেন। গৃহায়ন অধিদপ্তরের দ্বারা এই ভবনগুলো মিরপুরে এবং সোবহানবাগে নির্মিত হয়। কয়েক মাসের ব্যবধানে জিয়াউর রহমান এবং ডঃ রশিদের মৃত্যুতে এই প্রকল্প পরে থেমে যায়।
(২)
দেশের অনেক সমস্যার নিরসন এবং বিবিধ উন্নয়ন করার জন্য জিয়া যেমন সারাদেশে ঘুরে বেড়াতেন তেমনি বিশ্বের নানা দেশে নিয়মিতভাবে যেতেন।
কিসিঞ্জারের তলাবিহীন ঝুড়ি নামে পরিচিত বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নতুনভাবে পরিচিত করতে জিয়া নানারকম পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো যেমন ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও মালদ্বীপের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য একটি আঞ্চলিক সংগঠন "সার্ক" গঠনের পরিকল্পনা করেন জিয়া। ১৯৮১ সালের মে মাসে নিহত জিয়া সার্কের বাস্তবায়ন দেখতে পাননি, কিন্তু পরবর্তীকালে তাঁর স্বপ্নের সার্ক গঠিত হয়। ১৯৮৫ সালে ঢাকায় সার্কের প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্ভবত জিয়ার উদ্যোগে গঠন করা সংগঠন হবার কারণে সার্ককে ইদানিং অকার্যকর করে দেয়া হয়েছে।
তিনি বুঝতে পারেন যে যুদ্ধবিধ্বস্ত, অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল, নবীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়কের ভূমিকা পালন করেন তিনি। একটি নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং বহুমুখী পররাষ্ট্রনীতি চালু করেন, যেখানে জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। তিনি কেবল ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের ওপর নির্ভর না করে চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তৃতীয় বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিশেষ জোর দেন মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর সাথে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলায়। তাঁর প্রচেষ্টায় মধ্যপ্রাচ্যের এইসব দেশের শ্রমবাজার বাংলাদেশের জন্য উন্মুক্ত হয়। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর প্রথম বিদেশ সফর ছিল সৌদি আরবে ১৯৭৭ সালে, বাদশাহ খালিদ বিন আব্দুল আজিজের আমন্ত্রণে। ১৯৭৮-১৯৮০ সময়কালের মধ্যে সফর করেন সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, ইরাক, কুয়েত, কাতার, ওমান, বাহরাইন, পাকিস্তান, লিবিয়া, চীন, ইরান ইত্যাদি দেশ। ১৯৮০ সালে চীন সফরের মাধ্যমে চীনের সঙ্গে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করেন তিনি।
এছাড়াও তিনি সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন জোটের কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। ১৯৭৯ সালে তিনি কিউবার হাভানায় জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে (ন্যাম) অংশগ্রহণ করেন। ১৯৮০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মরক্কোর রাজধানী রাবাতে অনুষ্ঠিত ওআইসি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন, যেখানে তিনি মুসলিম বিশ্বের ঐক্য, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং ফিলিস্তিন ইস্যুতে বক্তব্য দেন।
এই সমস্ত দেশে তিনি সফর করেন সেসব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের আমন্ত্রণে; যেমন ইউএইতে প্রেসিডেন্ট শেখ জায়েদের, লিবিয়ায় গাদ্দাফির, ইরানে শাহের আমন্ত্রণে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে জিয়ার সফর ফলপ্রসূ হয়েছিল। ১৯৭৮ সালে তাঁর সফরের কিছুদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরি দেয়া হয়, বাংলাদেশের থেকে অন্তত বিশ গুণ বেশি বেতনে। একই ঘটনা ঘটে লিবিয়া, ইরাক এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশে। ফলে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ শুরু হয়, যাকে বলা হতো 'পেট্রো ডলার'! সফরকালে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের পক্ষ থেকে খুবই সাধারণ উপহার নিয়ে যান কিন্তু এই উপহার সেসব দেশে খুবই সমাদৃত হয়। সৌদি সফরের সময় জিয়া উপহার হিসেবে নিয়ে যান নিমগাছের চারা। সেই থেকে আরাফাতের ময়দান আর অন্যান্য জায়গায় প্রচুর নিমগাছ লাগানো হয়, এগুলোর পরিচর্যার কাজে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী নিয়োজিত আছেন সেই সময় থেকে শুরু করে আজ অবধি।। এই গাছগুলো সেখানে পরিচিত "জিয়া শাজারাহ" বা জিয়া গাছ হিসেবে। ইউ এ ই তে তিনি উপহার হিসেবে নিয়ে যান জাতীয় ফল কাঁঠাল। শেখ জায়েদের কাঁঠাল এত পছন্দ হয় যে তিনি কাঁঠাল ফলাবার জন্য বাংলাদেশ থেকে কয়েকজন কৃষিবিদকে আল আইনের কৃষি বিভাগে চাকরি দিয়ে নিয়ে যান।
আশ্চর্যজনক এটাই যে, জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকাকালে এত দেশ সফর করলেও নিকটতম প্রতিবেশী ভারতে কখনো যাননি, অবশ্য দু'দেশের মধ্যে পরোক্ষ যোগাযোগ ও কূটনৈতিক লাইন চালু ছিল। হয়তো তাঁকে ভারত কখনো যাবার জন্য আমন্ত্রণ জানায় নি!!
( ৩)
সামাজিক মাধ্যমের কল্যাণে এখন অনেক নেতাদের কাজকর্ম দেখা এবং কথা শোনার সৌভাগ্য অথবা দুর্ভাগ্য হয়ে চলেছে। এখনকার নেতাদের সাথে জিয়াউর রহমানের চিন্তা- ভাবনা ও কাজকর্মের দুস্তর ব্যবধান ছিল। সেটা দেখানোর উদ্দেশ্যেই এই পোস্ট রচিত!!! অবশ্য এখন অধ্যাপক ইউনূসের কাজকর্মের সাথে জিয়াউর রহমানের কাজকর্মের অনেক মিল দেখা যাচ্ছে।
ছবি সূত্র: প্রথম ছবি view this link
শেষের ছবি: ইউটিউব।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:০২
করুণাধারা বলেছেন: ওকে! অপেক্ষা করে থাকলাম।
২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৪৬
যামিনী সুধা বলেছেন:
মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমন্ডার জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বাধীনতার পক্ষের বীর; শেখ হতয়ার পর, রাজকার, আলবদর ও স্বাধীনতা-বিরোধীরা উনাকে নিজেদের বীর হিসেবে দাবী করছে; বেচারা হতভাগ্য এক মুক্তিযোদ্ধা।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:০৭
করুণাধারা বলেছেন: জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ইউটিউবে অনেক ভিডিও আছে। এগুলো কিন্তু সব অন্তত এক বছর আগে বানানো। ধারণা করি, বিএনপি ক্ষমতায় এলে তাকে নিয়ে অনেক বই প্রকাশিত হবে।
ভালো মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৫০
যামিনী সুধা বলেছেন:
শেখ হত্যা করার কারণে ও মুক্তিযোদ্ধাদের ফাঁসী দেয়ার কারণে উনি নিজেও প্রাণ হারালেন; এখন বীর হিসেবে বেঁচে আছেন স্বাধীনতা-বিরোধীদের কাছে।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:০৯
করুণাধারা বলেছেন: উনি শেখ হত্যার বেনিফিসিয়ারি সন্দেহ নেই, কিন্তু তিনি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন কিনা এটা প্রমাণিত নয়।
৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:০৭
যামিনী সুধা বলেছেন:
আইয়ুব খান পাকিস্তানে গণতন্ত্র হত্যা করে মিলিটারী শাসন চালু করেছিলো ১৯৫৮ সালে; আজো সেইদেশ মিলিটারীর হাতে; দেশটিতে ভারতে সার্জিকেল অপারেশন চালাতে পারে আগামীতে।
জিয়া শেখকে হত্যা করায়, ৫৫ বছর পর, আমাদের দেশে সরকারও নেই; এনজিও ডাকাতেরা ও শিববির দেশ চালাচ্ছে। ভারতে মিলিটারী ক্ষমতা নেয়নি, আজ তারা বিশ্নের ৫ম অর্থনীতি।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:১১
করুণাধারা বলেছেন: হতে পারে আপনি ঠিক বলছেন। ভবিষ্যতই জানাবে কোথায় কী ঘটবে।
৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:১২
যামিনী সুধা বলেছেন:
উনাকে নিয়ে বই? উনাকে নিয়ে বই লেখার মতো লোকজন "যেডফোর্সে" ২/৩ জন ছিলেন; ১ জনকে জিয়া হত্যার জন্য এরশাদ ফাঁষি দিয়েছে; অন্যজন ( ক্যা: অলি ) জিয়াকে নিয়ে বই লেখবেন না। বাকীরা বই নয়, গার্বেজ লিখতে পারবে।
জিয়া নিজেও বই লিখে গিয়েছেন, সেগুলো পড়লেও রাজাকারেরা আজো কাঁদবে, কিভাবে "যেডফোর্স" রাজাকার নিধন করেছিলো ১৯৭১ সালে।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:২৬
করুণাধারা বলেছেন: অনেকটা ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।
৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:১৪
যামিনী সুধা বলেছেন:
লেখক বলেছেন: উনি শেখ হত্যার বেনিফিসিয়ারি সন্দেহ নেই, কিন্তু তিনি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন কিনা এটা প্রমাণিত নয়।
-কেহ তো প্রমাণ চাচ্ছে না; প্রমাণ যাঁরা জানেন, সেই রকম বাংগালী এখনো জীবিত আছেন।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:২৯
করুণাধারা বলেছেন: কিছুদিন আগে ইউটিউবে মেজর ডালিমের সাক্ষাৎকার দেখলাম। দেখা যাক আর কে কী বলেন।
আপনি আমার পোস্টে "প্লাস" দিলেন!!
৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৩৩
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: পোস্ট সরাসরি প্রিয়তে। আপনার পোস্ট যে একজনের সারা দেহে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তা বেশ বোঝা যাচ্ছে।
জিয়া এই দেশের একজন স্বপ্ন দ্রষ্টা। আপনি তার সব কাজের ফিরিস্তি খুবই সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। শিশু পার্কের কথায় মনে পড়ল যে সপ্তাহে একদিন শিশুপার্ক দরিদ্র শিশুদের জন্য উন্মুক্ত ছিল। উনার ''কাজের বিনিময়ে খাদ্য '' কর্মসুচীও দারুন সারা ফেলেছিল। আরেকটা মনে পড়ছে যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অন্তত একজন মানুষকে সাক্ষর করার কর্মসুচীও নেয়া হয়েছিল। কিছু ভুলের কারনে উনাকে জীবন দিতে হয়েছিল। জিয়া বেচেঁ থাকলে অন্য এক বাংলদেশ দেখার সৌভাগ্য হত আমাদের।
আফসোস যে জিয়ায়র রহমানের ছিটেফোটা গুনও তার সন্তানেরা পায়নি। মাঝে মাঝে মনে হয় যে মানুষ আর বাচেঁ কয়দিন। জীবনতো এক ক্ষুদ্র যাত্রা। তারপরেও মানুষ কিংবদন্তী হয়ে মানুষের হ্রদয়ে বেঁচে থাকতে চায় না ।জিয়ার পরিবারকে অপরিসীম লোভের কাছে পরাস্ত হতে দেখলে মনে হয় যে , জিয়া মরে গিয়ে বেঁচে গেছেন ।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৪৬
করুণাধারা বলেছেন: শিশু পার্কের কথায় মনে পড়ল যে সপ্তাহে একদিন শিশুপার্ক দরিদ্র শিশুদের জন্য উন্মুক্ত ছিল। উনার ''কাজের বিনিময়ে খাদ্য '' কর্মসুচীও দারুন সারা ফেলেছিল। আরেকটা মনে পড়ছে যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অন্তত একজন মানুষকে সাক্ষর করার কর্মসুচীও নেয়া হয়েছিল।
আপনি তৎক্ষণাৎ এতগুলো জিনিস মনে করতে পারলেন, সময় নিয়ে ভাবলে হয়তো জিয়াউর রহমানের আরও কিছু কাজ সম্পর্কে বলতে পারতেন। শিশু পার্ক যে একদিন দরিদ্র শিশুদের জন্য খোলা থাকতো সেটা আমি ভুলে গেছিলাম, যেমন ভুলে গেছিলাম কাজের বিনিময়ে খাদ্য আর সাক্ষরতা অভিযানের কথা! তাঁর আরেকটা কাজ ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কর্মসংস্থান প্রকল্প, সংক্ষেপে বিকল্প। সোনালী ব্যাংক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ব্যবসার জন্য ঋণ দিত স্বল্প সুদে বা বিনা সুদে।
এখন মনে হচ্ছে আর একটু ভালোভাবে পড়াশোনা করে লেখা দরকার ছিল।
তিনি মেধাবী ছিলেন, দেশপ্রেমিক ছিলেন, কিন্তু নিজের নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন ছিলেন না। তার দাম দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে। তার ব্যর্থতা এটাই, তিনি কিছু অযোগ্য উত্তরসূরী এবং দুর্নীতিপরায়ণ অনুসারী রেখে গেছেন।
৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৪১
যামিনী সুধা বলেছেন:
@মেঠোপথ২৩,
আইয়ুব, ইয়াহিয়া, জিয়া, এরশাদ, সবাই আপনার "স্বপ্নদ্রষটা"; আপনার স্বপ্ন বাস্তব হয়েছে পাকিস্তানে, বাংলাদেশেও আপনার স্বপ্ন কার্যকর হচ্ছে।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৪৮
করুণাধারা বলেছেন: এইসব তর্ক করে শক্তি ক্ষয় ছাড়া আর কিছু হবে না। সুতরাং অহেতুক তর্ক না করাই ভালো।
৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৪৮
যামিনী সুধা বলেছেন:
@মেঠোপথ২৩,
জিয়া অবশ্যই কিংবদন্তী, সেক্টর কামন্ডার ( ১ ও ১১ নং ), "যেডফোর্স"এর কমান্ডার হিসেবে কিংবদন্তীই ছিলেন; এখন উনি কেন শিবির ও স্বাধীনতা-বিরোধীদের কিংবদন্তী?
১০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:১২
আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: যামিনী সুধা বলেছেন: এখন বীর হিসেবে বেঁচে আছেন স্বাধীনতা-বিরোধীদের কাছে।
- দেশের বিশাল অংশ মানুষ উনাকে ভালোবাসেন , বীরমুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সন্মান করেন। উনার ভালো মন্দ মিলিয়ে উনাকে মানুষ পছন্দ করেন। শুধু মাত্র আওয়ামীলীগের লোকজন ছাড়া। এখন আপনার দৃষ্টিতে যদি আওয়ামীলীগ না করলে স্বাধীনতার বিরোধী হয় তাহলে ভিন্ন কথা !
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:২৫
করুণাধারা বলেছেন: মানুষতো ভুল ত্রুটির উর্ধ্বে নয়। নিশ্চয় ভুল ছিল কিছু। কিন্তু তিনি দেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু করেছেন (অন্য দেশের সাথে নিজ দেশের স্বার্থ বিরোধী চুক্তি করে, দেশের সম্পদ অন্য দেশের হাতে তুলে দিয়ে, দেশের টাকা পাচার করে ইত্যাদি) এর প্রমাণ এখনো কেউ দিতে পারেনি। বরং দেশের কল্যাণের জন্য তিনি অনেক কিছু করে গেছেন, যেটা অনেকেই মনে রেখেছে।
১১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৩৫
মিরোরডডল বলেছেন:
ইতিহাস মানেই আজ যার কাজের প্রশংসা হবে, কাল সে ক্ষমতায় যাবে, শুরুতে কিছুদিন ভালো থাকবে, তারপর ভুল করা শুরু হবে, তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে নতুন কেউ আসবে। সেও আবার একইভাবে সেই পথ অনুসরণ করবে। এটা একটা লুপের মতো, চলমান প্রসেস।
জিয়াকে ভালো লাগে। তার অনেক পুরনো কিছু ছবি দেখেছিলাম চোখে সানগ্লাস, প্যান্ট গুটিয়ে খাল খননের কাজ করছে।
পোষ্টে উল্লেখিত লাঞ্চের কথা যা বলা হয়েছে, জিয়াকে চিনতো এমন সিনিয়র সিটিজেনের কাছে শুনেছি ব্যক্তিগত জীবনে উনি খুব ডাউন টু আর্থ ছিলেন। দেশপ্রেমিক হবার পাশাপাশি একজন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ ছিলেন।
কিন্তু ওনার ছেলেটা হয়েছে একটা কুলাঙ্গার, ওনার পরিবারের কলঙ্ক।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৫২
করুণাধারা বলেছেন: কাউকে অনেক রাতে জেগে থাকতে দেখলেই আমার টেনশন শুরু হয়ে যায়। এখন অবশ্য টেনশন আর আনন্দ কাটাকাটি, অনেক দিন পর তোমাকে দেখা গেল যে!
কিন্তু ওনার ছেলেটা হয়েছে একটা কুলাঙ্গার, ওনার পরিবারের কলঙ্ক। একদম ঠিক। কিন্তু এর দায় জিয়ার উপরেও বর্তায়। আমার ধারণা উনি ছেলেদের গড়ে তোলায় কোনো সময় ব্যয় করেন নি।
ধন্যবাদ মিড, সুন্দর মন্তব্যের জন্য। গুড নাইট !
১২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৫০
যামিনী সুধা বলেছেন:
@আঁধারের যুবরাজ ,
কোন রাজাকার কমান্ডারকে বীর হিসেবে উল্লেখ করে কেহ পোষ্ট দেয় না; দেশের পরিচিত রাজকারেরা জিয়াকে বীর বলে কেন? কারণ, জিয়া শেখকে হত্যা করেছে।
১৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:০৯
আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: যামিনী সুধা বলেছেন:কারণ, জিয়া শেখকে হত্যা করেছে।
- প্রথমত আপনার এই কথা প্রমাণিত না। শেখ হাসিনার আমলে আদালতে উনার বিদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল ,সেখানেও প্রমাণিত হয়নি। উপরোন্ত রাজাকাররা উনাকে বীর মানলো কি মানলো না তাতে উনার কিছুই যাবে আসবে না। আপনি বলেছিলেন , "এখন বীর হিসেবে বেঁচে আছেন স্বাধীনতা-বিরোধীদের কাছে " এখানে আপনি স্পষ্ট করেছেন আপনার বক্তব্য যে শুধু মাত্র স্বাধীনতা বিরোধীদের কাছেই উনি বীর। আমি শুধু মাত্র আপনার ওই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছিমাত্র ,কারণ আমার দৃষ্টিতে কথাটা ভুল।
আপনি যদি বলেন যে , উনি রাজাকারদের রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন বা মন্ত্রী বানিয়েছেন ইত্যাদি সেটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু যখন বলেন শুধু মাত্র স্বাধীনতা বিরোধীদের কাছেই উনি বীর সেটা ভুল বক্তব্য হয়।
১৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:১২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: শহীদ জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রনায়ক, যার হৃদয়জুড়ে শুধুই বাংলাদেশ ছিল। উনার সময়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ছিল শক্ত মেরুদন্ডের উপর প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশকে একটা রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলার প্রকৃত উদ্যোগ উনার সময়েই শুরু হয়েছিল। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের মর্যাদা ধীরে ধীরে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছিলো।
আপনার হয়তো মনে আছে, শেখ মুজিবের মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগ তিনভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ (মালেক), আওয়ামী লীগ (মিজান) আর আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে বাকশাল। শহীদ জিয়ার সামরিক সরকার প্রথমে হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রবেশে বাধা দেয়। কিন্তু পরে সবাইকে রাজনীতি করার সুযোগ দেয়ার কারনে হাসিনাকেও দেশে আসার অনুমতি দেয়া হয়। এটাই ছিল উনার সবচাইতে বড় ভুল। দেশে এসে হাসিনা আওয়ামী লীগকে আবার সংগঠিত করে, নয়তো এরা নিজেরা নিজেরা মারামারি করেই শেষ হয়ে যেতো। বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে একসময়ে আওয়ামী লীগের নাম নিশানা মুছে যেতো অথবা বাম দলগুলোর মতো একটা নামসর্বস্ব দল হয়ে থাকতো। আরো পরে 'র' এর সহায়তায় জিয়াকে হত্যা করাতেও হাসিনা ভূমিকা রাখে।
বর্তমানের বিএনপি হয়েছে একটা চোর-বাটপারের দল। শহীদ জিয়ার আদর্শের ধারে কাছেও নাই এরা।
পোষ্টের শিরোনাম সাদামাটাভাবে ''জিয়াউর রহমান'' না হয়ে ''শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান'' হইলে বেশী খুশী হইতাম। যাইহোক, এইবার কিন্তু পোষ্ট পুরোটা পড়েই মন্তব্য করলাম!!!!
১৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:১৬
রবিন_২০২০ বলেছেন: জিয়াউর রহমান যে কখনো রাষ্ট্রপতি হিসেবে ভারত যাননি এটা জানতাম না। পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ। +
আমার সব সময় জিয়াকে ড: মাহাথির মোহাম্মদ আর Lee Kuan Yew এর সমপর্যায়ের দেশপ্রেমিক, যোগ্য নেতা মনে হয়। দুর্ভাগা জাতি আমরা, স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার সুযোগ তাকে দেইনি।
১৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:২৯
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: কাউকে অনেক রাতে জেগে থাকতে দেখলেই আমার টেনশন শুরু হয়ে যায়।
আগামীকাল পাবলিক হলিডে, অফিস নেই, তাই ঘুম নেই।
কিন্তু এর দায় জিয়ার উপরেও বর্তায়। আমার ধারণা উনি ছেলেদের গড়ে তোলায় কোনো সময় ব্যয় করেন নি।
সময় ব্যয় করেন নি, তা না। আমি মনে করি সেই সময়টা উনি পায়নি। যুদ্ধের সময় তারেকের বয়স ৬ বছর।
যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশের যে ভয়াবহ পরিস্থিতি ছিলো, সেই সময়ে যিনি দেশ গড়ার কাজে ব্যস্ত, উনি কি করে ওনার টিনএইজ সন্তানের পেছনে সময় দিবে, যদিও দেয়া উচিত কিন্তু সেটা বাস্তবসম্মত ছিলো না। তারপর উনি নিজেই চলে গেলেন।
পিতৃহীন বেড়ে উঠা দুটো ছেলের একটাও সঠিক হয়নি, ক্ষমতা আর টাকার লোভ।
এর দায়ভার খালেদা জিয়ার বলা যায়।
ওনাকে শিল্ড হিসেবে ব্যবহার করে ছেলে সব অপকর্ম করেছে।
উনি সেটা কন্ট্রোল করতে পারেনি।
১৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:৪১
গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: @ যামিনী সুধা
আপনি আগেরবার আমার প্রশ্নের জবাব দেন নাই, তাই আবার জিজ্ঞাসা করলাম: খানকি আপনিই?
এই পোস্টে এর মধ্যে ৮ বার ঘুরে গেছেন। আপনার কি ডায়রিয়া হয়েছে? ব্র্যান্ডেড ডগ ফুড ছাড়া খাবেন না। অবশ্য অল্প শিক্ষিত অনেকেই আছেন একবারে মনের কথা প্রকাশ করতে পারেন না , বারে বারে আসতে হয়।
@ পোস্টদাতা: ঢাবি ক্যাম্পাসে অভি-নিরুকে নিয়ে অনেক গল্প প্রচলিত আছে । জিয়াউর রহমান নাকি এদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন। একজন মার্ডার কেসের আসামী হয়ে দেশের বাইরে পলাতক। আরেকজনের খবর তেমন একটা জানিনা। এ বিষয়ে আপনার কি মন্তব্য? জিয়াউর রহমান এবং শেখ মুজিবুর রহমানের অর্থনৈতিক সততা সম্পর্কে অনেক গল্প শোনা যায়। তবে উনারা যেই নমুনা রেখে গেছেন (রেহানা /হাসিনা/ তারেক) তা দেখে এই সমস্ত গল্প কতখানি সত্য তা নিয়ে আমাদের প্রজন্মের অনেক সংশয় আছে।
১৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৪৬
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক সুন্দর পোস্ট। সোজা প্রিয়তে।
১৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১:২৪
কামাল১৮ বলেছেন: জিয়াকে রাজনীতিতে নিয়ে আসে মশিউর রহমান যাদু মিয়া।জিয়া ভালো বতৃতা দিতে পারে না কিন্তু আর্মির লোক হওয়াতে ভালো হাটহে পারে।আইয়ুবের পথ ধরে তাকে খালকাটা ও হাঁটার কাজে লাগিয়ে দিলেন মশিউর রহমান।হাটতে হাটতের তার জীবন প্রদীর নিভে গেলো।অন্য কাজ করার আর সুজোগ পেলেন না।
সংসারটা জোড়া লাগিয়ে দিয়ে ছিলেন শেখ মুজিব।এই সব ঘটনা আমাদের চোখের সামনে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিরাট পোষ্ট। এখন অফিসে থাকায় কায়দামতো মন্তব্য করতে পারবো না। আবার প্রথম হওয়ার লোভও সামলানো গেল না।
আমার পোষ্টে আপনি বলেছেন, আমার পোস্টে মন্তব্য করবেন, তার আগে পড়বেন অবশ্যই! তথাস্তু। আমি না পড়ে মন্তব্য করলে সেটা বলে দেই। তবে ঠিকমতো মন্তব্য করলে পড়েই করি।
আবার আসবো।