![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিঠির আবার দিবস হয়! কত অজানাকে জানা হলো!!
এই চিঠি দিবস প্রসঙ্গে মনে পড়লো একটা সিরিজ চিঠির কথা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে একবার চিঠি দিয়ে আমাদের এক বেয়াড়া সহপাঠীকে শায়েস্তা করা হয়েছিল। সহপাঠীর নাম চাঁদ, সত্যিকার নাম! যারা শায়েস্তা করেছিল তাদের নামগুলো কাল্পনিক, ধরা যাক ফাহিম, মুনির ইত্যাদি। এরা সবাই একই হলে থাকতো। চাঁদের নাকি চুরি করার স্বভাব ছিল, প্রায়ই এর তার ছোটখাটো জিনিস চুরি করত এবং মাঝে মাঝে হাতেনাতে ধরাও পড়তো। একদিন চুরি করল মুনিরের ডেক সেট (এই জিনিসকে বোধ হয় স্টেরিও সিস্টেম বলা হতো)। কেউ অবশ্য চাঁদকে চুরি করতে দেখেনি, কিন্তু ওকে একটা বড় ব্যাগ নিয়ে বের হতে দেখেছে হলের অনেকেই। আরো অন্য কিছু লক্ষণ দেখে মুনির নিশ্চিত হলো, চাঁদই চুরি করেছে। সে চাঁদকে গিয়ে বলল ওর জিনিস ফিরিয়ে দিতে। কিন্তু চাঁদ ভয়ানক ক্ষেপে গেল এ কথা শুনে, বলল এভাবে অপমান করলে ও ব্যবস্থা করবে। অগত্যা মুনির, ফাহিম ওরাও ব্যবস্থা করল চাঁদকে শিক্ষা দেবার।
কয়দিন পর চাঁদ একটা চিঠি পেল, চিঠির লেখিকা বদরুন্নেছা কলেজের সুমনা। চিঠিতে সুমনা লিখেছে, সে চাঁদকে ইউসুফ সাহেবের বাসায় দেখেছে, দেখার পর থেকেই সে চাঁদকে ভুলতে পারছে না, তাই অনেক কষ্ট করে হলের ঠিকানা যোগাড় করে চিঠি লিখছে! ইউসুফ সাহেব চাঁদের গ্রাম সম্পর্কিত চাচা, চাঁদের সহপাঠীরা চাঁদের মুখে এই চাচার নাম শুনেছিল।
যেদিন চাঁদ এই চিঠি পেল, সেদিন সে সারাক্ষণ হাসিমুখে চঞ্চল পায়ে হলে ঘুরে বেড়াতে লাগলো। ফাহিম, পিন্টু এরা ওর অবস্থা দেখে জিজ্ঞেস করল, "কি ভাই, তুই এত খুশি কেন? কে চিঠি লিখছে?" চাঁদ কিছু উত্তর দিল না, খালি হাসতে লাগলো। রুমমেট দেখলো, রাত জেগে পড়ার টেবিলে বসে চাঁদ কাকে চিঠি লিখছে...
কদিন পর চাঁদ দেখা গেল আরো খুশি... সবাইকে জানালো একটা মেয়ে তার প্রেমে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে, ছবিও পাঠিয়েছে। সেই ছবি সবাই দেখলো, একেবারে সিনেমার নায়িকার মত সুন্দরী মেয়ে! দেখে শুনে বন্ধুরা বিমোহিত, ঈর্ষান্বিত! সবাই চাঁদকে অভিনন্দিত করল, চাঁদ সবাইকে মিষ্টি খাওয়ালো। তারপর চলল সুমনা চাঁদের চিঠি চালাচালি।
এবার বলি মেয়েরা কিভাবে চাঁদের কাহিনী জানলাম। আমাদের ক্লাসের মেয়েরা সবসময় দলবেঁধে থাকতাম, আমাদের দলের মাঝে কখনো কোনো ছেলে ঢুকতে পারতো, যদি তার গল্প শোনাবার দক্ষতা থাকতো। মুনিরের ছিল এই দক্ষতা। একদিন সে বলল, চাঁদের গল্প শোনো। কতগুলা চিঠির ফটোকপি আমাদের হাতে ধরিয়ে দিল, এক দুই তিন চার এরকম নাম্বার দেওয়া চিঠি আর তার উত্তর। সুমনা চাঁদকে যে চিঠি লিখেছিল সেগুলো আর চাঁদের লেখা চিঠি। চিঠিতে চাঁদ নিজের কত গুণ বর্ণনা যে করেছে, তার ক্লাসের মেয়েরা তার জন্য কত পাগল হয়ে আছে তার সবিস্তার বর্ণনা। মিথ্যা কথার জাহাজ। পড়ে আমরা হেসে কুটিপাটি । মুনির বলল, চাঁদকে শায়েস্তা করার জন্য ওই এই চিঠির ব্যবস্থা করেছে, সুমনা কাল্পনিক চরিত্র। সুমনার ঠিকানা হিসেবে যে বাসার ঠিকানা দেয়া হয়েছে, সেটা মুনিরের খালার বাসা। যখন চাঁদের চিঠি আসতো, তখন ওর খালাতো বোন মিলি সেই চিঠি নিয়ে ওর কাছে রাখতো আর মুনির সেটা নিয়ে আসতো, তারপর কয়েকজন মিলে সেটার উত্তর লিখে সুমনার নাম দিয়ে চাঁদের কাছে পোস্ট করতো। সুমনার ছবি বলে যে ছবি দিয়েছিল সেটা আসলে নিউমার্কেটের আকস স্টুডিও থেকে এনেছিল।
যখন দেখলাম চাঁদ তার চিঠিতে আমাদের উল্লেখ করেছে, তখন আমরাও চাঁদের সাথে কথা বলতে লাগলাম। একে তো ওকে দেখেই হাসি আটকানো দায় হয়ে যায়, বহু কষ্টে হাসি আটকে জিজ্ঞেস করতাম, "কী ব্যাপার? তোমাকে আজকে এতো হ্যান্ডসাম দেখাচ্ছে কেন চাঁদ।" এরপরে দেখা যেত এই কথাটাকেই চাঁদ বহুগুণ বাড়িয়ে সুমনাকে চিঠিতে লিখেছে। সেই চিঠির ফটোকপি আবার মুনির আমাদের পড়তে দিতো। আবারো হাসি...
বেশ আনন্দে আমাদের দিন কাটছিল। চাঁদের আনন্দ দেখে বন্ধুরা মাঝে মাঝেই ওকে খাওয়াতে বলত, সেও মহানন্দে সা সপ সমুসা খাওয়াতো। এই সবের মাঝেই মুনির কখনো বলতো, "ভাই আমার স্টেরিওটা দিয়ে দে নাইলে কিন্তু তোর খবর আছে!" কিন্তু চাঁদ মুনিরকে একদম পাত্তা দিত না। একদিন মুনির বলল, "দিবি না! দেখ কালকে কি করি!"
পরদিন ছুটির দিনে হলের ছেলেরা দেখলো, হলের দেয়ালে চিঠি সাঁটানো। এক জায়গায় এক নম্বর চিঠি আর তার উত্তর, অন্য অনেক জায়গায় বাকি চিঠি আর তার উত্তর সবাই ছুটোছুটি করে চিঠি পড়তে লাগলো। বিরাট আমোদের ব্যবস্থা হল। চাঁদের মুখ চুন, মুনিরের মুখ চাঁদের মতো উজ্জ্বল! প্রতিশোধ নেয়ার আনন্দে! চড় থাপ্পড় মারামারি কিছু না করে চিঠি লিখে দারুন শোধ তুলল মুনির।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:২৬
করুণাধারা বলেছেন: ও ছিল একটা দু'কান কাটা টাইপের। কিছুই হয়নি ভাব নিয়ে চলতো এরপর।
হ্যাঁ, বেচারা ওর শখের ডেক সেট আর পায়নি।
২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৩
অপ্সরা বলেছেন: এই জীবনে একজনকে আমার একটা চিঠি লেখার ইচ্ছা অনেক দিনের....
অনেক না বলা কথা, অভিমান, দুঃখ ক্ষোভ এমনকি ক্রোধের কথাও থাকবে সেখানে....
তবে হ্যাঁ সে সব ক্ষোভ বা ক্রোধের কারণে আমি আর ক্রোধান্বিত হবো না......
দুঃখও পাবো না হয়ত.... কারণ সময়ের সাথে সব কিছুই ফিকে হয়ে যায় এবং অনেকটাই গেছেও....
তবুও আমি জানি হৃদয়ের পরতে পরতে ধুলো জমা সে সব স্মৃতিগুলি যখন টেনে আনবো আমি
ধুলো ঝেঁড়ে অস্পষ্ট হয়ে যাওয়া সে সব স্মৃতিগুলিকে যখন চিঠির ভাষায় রুপ দেবো
আমার হৃদয়ে তখন উথলে উঠবে বঙ্গোপসাগরের ঢেউ.... চোখ ভেঙ্গে ছুটবে আকুল জলধারা....
সেই ঢেউ এর তোড়ে ভাঙ্গবে না তার হৃদয়ের কূল, ভাসবেও না সে কোনো সুনামীর জলে....
তবুও আমার অনেক দিনের ইচ্ছা তাকে এক বিশাল চিঠিতে জানিয়ে যাবো
এই জীবনে হৃদয়ের কোনে লুকিয়ে থাকা আমার সকল অনুযোগ, অভিযোগ, রাগ দুঃখ অভিমান ও বেদনার কথা.....
জানি সবই মূল্যহীন, সবই বৃথা তার পাষান হৃদয়ের দ্বারে......
তবুও আমার এই ইচ্ছাটা প্রায়ই জাগে মনে ........সে হবে এক সুবিশাল দীর্ঘ চিঠি....
পড়তে পড়তে হয়ত তার দিন রাত বছর পেরিয়ে যাবে ......
তবুও তবুও লিখতে চাই আমি
যা হয়ত কখনই লেখাই হবে না আমার তাকে ......
সেই না লেখা চিঠি হৃদয়ে নিয়ে আমি চলে যাবো অনন্ত পারাবারে ......
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩০
করুণাধারা বলেছেন: যাক! অন্তত তোমার থেকে দুখানা মন্তব্য পাওয়া গেল! না হলে একটা রেকর্ড হতো, আমার একেবারে মন্তব্যহীন পোস্টের। এইমাত্র দেখলাম এই পোস্ট পড়া হয়েছে ৬৮ বার!! অনেকদিন পর এমন হলো।
৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১১
বিজন রয় বলেছেন: চিঠির কথা ভুলে গিয়েছি।
সম্ভবত ১৯৯৮ সালের পর আর চিঠি লিখিনি।
আপনার এই পোস্টে এস অনেক কথাই মনে পড়ল চিঠি নিয়ে।
ভালো থাকুন।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ বিজন রয়।
আমার একটা কথা একটা কথা মনে পড়ছে। সামুতে প্রথম পোস্ট দেবার পর দেখি কেউ মন্তব্য করে না, পড়েও না। আমার ব্লগীয় বয়স এক সপ্তাহ। ভাবলাম সামুতে মনে পোস্ট হিডেন করে রাখে, আমার পোস্ট হিডেন থাকায় কেউ দেখছে না!! এরপর প্রথম মন্তব্য এল, মন্তব্যকারী বিজন রয়!
৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩৭
অপ্সরা বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ বিজন রয়।
আমার একটা কথা একটা কথা মনে পড়ছে। সামুতে প্রথম পোস্ট দেবার পর দেখি কেউ মন্তব্য করে না, পড়েও না। আমার ব্লগীয় বয়স এক সপ্তাহ। ভাবলাম সামুতে মনে পোস্ট হিডেন করে রাখে, আমার পোস্ট হিডেন থাকায় কেউ দেখছে না!! এরপর প্রথম মন্তব্য এল, মন্তব্যকারী বিজন রয়!
এই যে আপুনি!
প্রথম পোস্টে বিজন রয় এর কথা বললে সেটাও কি প্রথম পোস্ট ছিলো!!!
হা হা আমি কিন্তু মহা গোয়েন্দা খুবই ভালো করেই জানি তোমার আরও একখানা প্রথম পোস্ট ও নিকের কথা!!
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৪৫
করুণাধারা বলেছেন: তাই নাকি! আমার আরেকটা নিক আছে!!
তোমার মাথায় অনেক দিন থেকে এটা ঘুরছে... তুমি কিছুতেই বিশ্বাস করছো না যে আমার এটাই একমাত্র নিক!! বেশ তোমার গোয়েন্দাগিরি করে প্রমাণ করো যে আমার আরেকটা নিক আছে। এটা কিন্তু চ্যালেঞ্জ!!
৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৪৫
অপ্সরা বলেছেন: প্রমান লাগে!!! হি হি হি নিকটা কোথায় বলবো বলো!!!!!!! সেখানেই বলে আসবো কানে কানে .....
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৫০
করুণাধারা বলেছেন: তুমি এখানেই বলো!! দেখি কী আবিষ্কার করলে!!
কয়দিন আগে দেখলাম বিজন রয়কে তুমি লেখোয়াড় বলছো। এটা ভুল। খুব পরিচিত একজন ব্লগার একবার বলে ফেলেছিলেন, তার আরেকটা নিক লেখোয়াড়। মনে করতে পারছি না সেই পরিচিত ব্লগারটা কে!!
আচ্ছা বলতো আমার যদি আরেকটা নিক থেকেই থাকে আমি লুকাতে যাব কেন? সেই নিক কি চাঁদ গাজীর মতো জঘন্য? কিংবা সেই নিক থেকে আমি সবার কাছ থেকে টাকা ধার করে উধাও হয়ে গিয়েছি?
৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০১
অপ্সরা বলেছেন: হা হা হা আপুনি আমরা তো এমনি এমনিই নিক লুকাই। কারণ আমার ধারণা আমার মত অন্যেরাও একেক নিকে একেকভাবে লিখতে চায়!
যাইহোক লেখোয়াড়ভাইয়াকে আমি চিনতে পারিনি কোনোদিনই তবে তাকে আমার অনেক মনে পড়ে। একটু গন্ডগোল লাগায় দিত আমার সাথে আবার নির্বিকারও থাকতো ঠিক বিজন ভাইয়ার মত! তোমার মনে পড়লে সেই নিকটা কার বলো !! নইলে লেখোয়াড়ভাইয়া কে না জেনেই একদিন মরে যেতে হবে আমার!
আবার মাহা ভাইয়া কোথায় গেলো সেটাও জানা হলো না। তাকে আমার চিলেকোঠার প্রেম বইটা পাঠাতে চেয়েছিলাম!
যাইহোক গোয়েন্দাগিরি কি সফল হয় সব সময়!!! মাঝে মাঝে গোয়েন্দারা বিফল হয় তাই মনে হয় বিজনভাইয়া মিস হয়ে গেলো। তবে এখনও মনে হয় হতেও পারে সেই লেখোয়াড়ভাইয়াজান!
আর আমার গোয়েন্দাগিরি বিফল না সফল তার জন্য দুইটা হিন্টস দেই -
১। তোমার আর বোনেদের মধ্যে একজন কি ডক্টর?
২। সেই ডক্টরের ডাক নাম কি সাথী?
না হলে নিশ্চিৎ জেনে রাখো এই গোয়েন্দাগিরিও আার বিফল হলো!!!
তবে হ্যা চাঁদগাজীভাইয়ার মত মহিলা সূর্য্যিগাজীআপুনি একখানা থাকলে ভালো হত!!!
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০৬
করুণাধারা বলেছেন: হা হা হা আপুনি আমরা তো এমনি এমনিই নিক লুকাই। কারণ আমার ধারণা আমার মত অন্যেরাও একেক নিকে একেকভাবে লিখতে চায়!
আমরা না, আমি বলো... তোমার মতো এমন প্রতিভাবতী ক'জন আছে, যে একেকবার একেক রকম করে লিখতে চাইবে, তারজন্য কষ্ট করে নতুন নিক বানাবে?
একটা নিক নিয়েই লেখার কিছু পাইনা!! আমার মনে হয়, এখানে যারা একাধিক নিক নেয় তারা নেয় শুধু ডক্টর জ্যাকিল আন্ড মিস্টার হাইডের ভূমিকা পালন করার জন্য। আলাদাভাবে লেখার জন্য খুব কম ব্লগারই ভিন্ন নিক নেয়। মনে আছে, একজন ব্লগার পরিচিত নিকে অতি ভদ্র, কিন্তু একাধিক নারী নিকের মাধ্যমে কী ঔদ্ধত্য ভীষণ প্রকাশ করেছিলেন? তো আমার এমন ডক্টর জ্যাকিল এন্ড মিস্টার হাইড হবার কোনো ইচ্ছা নাই, আর তোমার মতো এতো বিভিন্নভাবে লেখার সামর্থ্যও নাই, তাই আমার একটাই নিক। বিশ্বাস না করলে নাই করো...
দেখি, লেখোয়াড়কে মনে পড়ে কিনা!! মনে পড়লে বলবো। কোন্ মন্তব্যে যে তাকে চিনতে পেরেছিলাম!!!
আমার বড় বোন ডাক্তার, এটা ঠিক। কিন্তু তার নাম কোনভাবেই সাথী না। নাম বলতে চাই না এখানে। ক্লু দিতে পারি, তার ডাকনাম হুমায়ূন আহমেদের বোনের নামে, পোষাকী নাম তোমার বাসার বুয়ার নামে। সে পারমাণবিক চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ, এই বিষয়ে বাংলাদেশের প্রথম পোস্ট গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি তার। ভেরিফাই করতে পারো সহজেই, আমাদের বন্ধু ইমতিয়াজ আর আমার বোন একই সংস্থায় কাজ করতো। ইমতিয়াজ ভালোভাবে চেনে।
তা তুমি এখন মানুষের নিক নিয়ে পড়েছো কেন? অবশ্য আমিও নিক- গবেষণা করি হাতে সময় থাকলে।
৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১১
অপ্সরা বলেছেন: বুঝেছি তার নাম নিশ্চয় রূপা !!!!!!!!!!!!
আর যেই বিজ্ঞানের কথা বললে সেই নিয়ে আমার ইতিহাস জানলে তো এইখানে সবাই অজ্ঞান হয়ে পড়বে....... তাই বলিলাম নাহে !!!!!
৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩৯
বিজন রয় বলেছেন: এরপর প্রথম মন্তব্য এল, মন্তব্যকারী বিজন রয়!
হ্যাঁ, আমিই আপনার প্রথম পোস্টে প্রথম মন্তব্যকারী। আমি গর্বিত।
কিন্ত এই পোস্ট তো চিঠি নিয়ে, এখন দেখি আলোচনা চলে গিয়েছে নিক নিয়ে।
আমি তো আমার সব নিক প্রকাশ করে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম।
আচ্ছা, সেই পোস্টের লিংক দিচ্ছি।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫১
করুণাধারা বলেছেন: ব্লগে বহু চেষ্টায় প্রথম পোস্ট দিয়ে অনেক প্রতিক্ষার পর যখন প্রথম মন্তব্য এলো, তখন যে স্বস্তি পেয়েছিলাম তা এখনও মনে পড়ে। সেইজন্য আপনাকে দেখলেই আমি মনে পড়ে, আমার ব্লগে আপনি প্রথম মন্তব্য করেছিলেন!
অবশ্য আপনি বরাবরই নতুনদের পোস্টে মন্তব্য করেন অনুপ্রেরণা দিতে, সবসময়। যারা ব্লগে আসছেন না তাদের অনুরোধ করেন ফিরে আসতে। আপনার এ কাজ ভালো সন্দেহ নেই, কিন্তু এটা করতে গিয়ে আপনি নিজের লেখার সময় হারিয়ে ফেলেন...
শায়মা কেন যে নিক নিয়ে এতো তৎপর হয়ে উঠেছে বুঝতে পারছি না। মনে হয় নতুন কিছু বানানোর পাচ্ছে না তাই গোয়েন্দাগিরি করছে... আমার অবশ্য খারাপ লাগছে, ওর গোয়েন্দাগিরি ব্যর্থ হলো দেখে!
৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪৩
বিজন রয় বলেছেন: আমার মাল্টিনিক প্রকাশ করে দেওয়া পোস্টি................. এটা ছিল.......
বিজন রয়....... আমার মাল্টিনিক-গুলি জানিয়ে দিলাম!! .. ধরা পড়ে গেলাম!!
এবার বলুন কি বলবেন?
এখানে লেখোয়াড় কোথায়?
কয়দিন আগে দেখলাম বিজন রয়কে তুমি লেখোয়াড় বলছো। এটা ভুল। আপা আপনি একদম ঠিক বলেছেন।
আপা আপনি এতদিক খেয়াল রাখেন!!
দারুন।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৫
করুণাধারা বলেছেন: আমার মনে হচ্ছে শায়মা কিছুতেই এসব বিশ্বাস করবে না। অনেক টাকাওয়ালা যেমন ভাবতেই পারে না যে কারো কম টাকা থাকতে পারে, তেমনি অনেক নিকওয়ালা বোধহয় ভাবতেই পারে না যে কেউ একটা মাত্র নিক নিয়ে ব্লগিং করতে পারে!
১০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: চাঁদ এর গল্পটা জোৎস্না ছড়াতে পারলো না, কিন্তু বিনোদন রেখে গেল। +
আমি দ্বিতীয় কোন নিক গ্রহণের কথা কল্পনাও করতে পারি না। একটাই সামলানো দায়।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:০১
করুণাধারা বলেছেন: অনেকদিন ধরে পরিকল্পনা করি নতুন কিছু লিখবার, কিন্তু লেখা হয়ে ওঠে না। চিঠি দিবসে নানা পোস্ট পড়তে পড়তে হঠাৎ আমার মনে পড়লো এই চিঠির কথা, তৎক্ষণাৎ লিখে ফেললাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, এমন পোস্টে মন্তব্য এবং দ্বিতীয় লাইক দেবার জন্য।
১১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২০
শায়মা বলেছেন: আহালে কত কত না সামলাতে পারা মানুষ দেখে ফেললাম!!!!!!!!
কেউ এই টুকু একটু কাজ পারবেনা সে আমি বিশ্বাসই করতে পারবো না পারবোই না!!!!!!!!!!!!! কিছুতেই পাব্বো না !!!!!!
যাইহোক নিক গবেষনার দুঃখে কি তুমি আমার নতুন পোস্টের দিকে যেতে ভুলে গেলে!!!!!!!!!!
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১৫
করুণাধারা বলেছেন: কেউ এই টুকু একটু কাজ পারবেনা সে আমি বিশ্বাসই করতে পারবো না পারবোই না!!!!!!!!!!!!! কিছুতেই পাব্বো না !!!!!!
কোরো না বিশ্বাস! কে তোমাকে বিশ্বাস করতে স
সাধছে!!
যাইহোক নিক গবেষনার দুঃখে কি তুমি আমার নতুন পোস্টের দিকে যেতে ভুলে গেলে!!!!!!!!!! (
তাই মনে হয়? জানিয়া রাখো, ছোটদের কথায় আমি কখনো দুঃখ পাই না। উনিশ বর্ষীয়া তুমি তো আমার হাঁটুর বয়সী! তোমার ওপর রাগ- অভিমানের প্রশ্নই আসে না!!
আসলে চারপাশ থেকে সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছি, এর সাথে সম্প্রীতি যোগ হয়েছে চোখের সমস্যা। তাই ব্লগে মন্তব্য করতেও আসতে পারিনা। আজকে একটা সমস্যা একটু সমাধানের পথ দেখা গেছে, তাই দিলখুশ তাই ব্লগে এলাম। এই সমস্যা সমাধান না করতে পারা মানে আমার হেরে যাওয়া, জিতে যাওয়া তাদের যারা আমাকে বলেছিল, তুমি মেয়েমানুষ এটা পারবে না। দোয়া কোরো যেন কাজটা করতে পারি!
১২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
চমৎকার বিনোদন!
তবে যে যা-ই বলুক, চিঠিতে কিন্তু অকপটে মনের ঐ মূহুর্তের ছবি গেঁথে তোলা যায় সূচির কারূকাজে ।
উৎকৃষ্ট সাহিত্যের চেয়েও চিঠিতে ব্রীড়াময় অনেক ঋদ্ধ সাহিত্যের দেখা মেলে ।
চাঁদের চিঠিতে সেসব ছিলো কিনা তার উল্লেখ না থাকলেও ধরে নেয়াই যায় সুমনার প্রেমে গদগদ হয়ে কিছু কথা সেখানে লেখা হয়েছিলো। মুনির গং চাঁদের সেই কলঙ্কগুলো নিয়েই খেলা করে গেছে যা হাস্যরসের উদ্রেক করলেও শেষতক মর্মান্তিক! কারন, মুনির গং চাঁদের কাছে অনেক স্বপ্ন বিক্রী করে গেছে আর চাঁদ সেইসব স্বপ্ন অবলীলায় কিনে নিয়েছে ....
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০৭
করুণাধারা বলেছেন: আসলেই মুনির গং চাঁদের স্বপ্ন নিয়ে খেলা করেছে, যে স্বপ্ন হয়তো চাঁদের জন্য আশা এবং অনুপ্রেরণা হয়ে এসেছিল। চাঁদকে শিক্ষা দিতে চেয়েছিল, কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয় লঘু পাপে গুরু দণ্ড হয়ে গেছে।
অপরিণত বয়সে যা খেলা বলে মনে হয়, পরিণত বয়সে মনে হয় এমন করা ঠিক নয়। আরেকটা ঘটনা মনে পড়ছে, একদিন আমাদের ক্লাসের সাইফ বহুদিন অপেক্ষার পর তার পছন্দের আড়ংয়ের একটা শার্ট কিনে পড়ে এসেছে। সেদিনই মুনির এক ইঞ্চি মাপের একটা ফোল্ডিং কাঁচি কিনে পকেটে নিয়ে ঘুরছে কিন্তু কিছু কাটার মতো খুঁজে পাচ্ছে না। সাইফের নতুন শার্ট দেখেই সে কাঁচি দিয়ে একটা বোতাম কেটে দিয়ে বলল, প্র্যাকটিকাল জোক!
তারুণ্য কখনো খুব নিষ্ঠুর হয়।
অসংখ্য ধন্যবাদ আহমেদ জী এস।
১৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৭:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আজ দশদিন হয়ে গেল, মনে হয় ব্লগে এর মধ্যে আর আসতে পারেন নাই। ব্লগে আসা সম্ভব হলে, আপনার চোখের অবস্থা এখন কেমন, তা একটু সময় করে জানিয়ে যাবেন। সম্ভব হলে, চিকিৎসা কোথায় করাচ্ছেন, সেটাও।
১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯
করুণাধারা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, এবং কৃতজ্ঞতা জানাই আমার খবর নেবার জন্য। এটা আপনার অনন্য গুণ, আপনি অনুপস্থিত ব্লগারদের খবর নেন আন্তরিকভাবে, ফলে দেখা যায় অনেকেই ব্লগে ফিরে আসেন।
আমার চোখের সমস্যা ছিল বোঝার ওপর শাকের আঁটির মতো। আরো নানারকম বোঝা যেমন নিজের এবং পরিজনদের নানা রকম অসুস্থতা, একটা কাজ যা করতে চাই সেটাতে মানুষের অসহযোগিতা এসব নিয়ে এমনিতেই খারাপ অবস্থায় ছিলাম। এরমধ্যে যখন চোখের সমস্যা শুরু হলো, তখন একটা নামী হাসপাতালের চিকিৎসককে দেখানোয় উনি বললেন খুব শিগগিরই সার্জারি করতে হবে, তিনিই লেজার সার্জারি করবেন। উনার তাড়াহুড়া দেখে আমি আমার পরিচিত একজন চক্ষু চিকিৎসকের কাছে গেলাম আল নূর চক্ষু হাসপাতাল নামে মোহাম্মদপুরের এক হাসপাতালে। এটা তেমন বড় হাসপাতাল নয় কিন্তু চিকিৎসকের উপর ভরসা রাখতে পারি। তিনি বললেন যে কিছুদিন পর সার্জারি করলেও চলবে। স্বস্তির কথা, কারন এই মুহূর্তে সার্জারি করতে চাচ্ছিলাম না।
শুধু চোখের জন্য না, ব্লগে অনিয়মিত হয়ে গেছি অন্য অনেক ঝামেলার জন্য। আশাকরি শিগগিরই নিয়মিত হবো।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৪
অপ্সরা বলেছেন: আহারে চাঁদের তো তাইলে ভালোই শিক্ষা হয়েছিলো কিন্তু ডেক সেট তো ফেরৎ দিলো না।

যাইহোক এ জামানার ছেলেমেয়েরা সেই চিঠি চিঠি লুকোচুরি গল্পের স্বোয়াদ না পেলেও আমরা কিন্তু কিছু কিছু পেয়েছিলাম।
তবে হ্যাঁ ইমেইল চিঠি নিয়ে লিখলে আমার তো মহাকাব্য রচনা হয়ে যাবে!!!!!!!