নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খবর ঃ- কুড়িগ্রামে ধর্মান্তরিত মুক্তিযোদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা - কালের কণ্ঠ
শুধু গলা কাটা নয়, উচিৎ ছিল ওনার প্রত্যেকটা অঙ্গ কেটে টুকরা টুকরা করা। স্যালুট বস।
এই লোকটারে আরো আগে হত্যা করা উচিৎ ছিল। এই লোকটারে হত্যা করা ওয়াজিব।
মুরতাদ।
খবর গতকালের। মন্তব্যগুলো আজ দুপুরের। কালের কণ্ঠের ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া। কি মনে হচ্ছে ? খুব ভালো লাগছে?
এর আগে তনু নামের মেয়েটিকে যেভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করা হল তার ব্যাপারেও কটু মন্তব্য করতে ছাড়েনি মানুষ। তার ব্যপারেও কিছু মানুষের বক্তব্য সে নাকি আদৌ শালীন ছিল না ! একটা দুইটা ছবিতেও নাকি প্রমান হয়না যে সে শালীন !!
আমরা আসলে যে কতটা অমানুষ হয়ে যাচ্ছি এগুলো তার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নমুনা । কতটা পৈশাচিক মানসিকতার হয়ে গেছি সেটা নিয়ে আর নতুন করে ব্যাখ্যা করার কিছু নেই। আজ এই সমাজে কে না খুন হচ্ছে ?! ছেলে বাবাকে মারছে, মাকে মারছে, বাবা ছেলেকে মারছে এমনকি মাও তার ছেলেমেয়েকে মারছে। কোলের শিশুরাও আজ মোটেই নিরাপদ নয়। ছোট ছোট কারনেও হত্যাকাণ্ড এখন আর বিচিত্র কিছু নয় মোটেও। ব্লগার হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পরও দেখেছি অসংখ্য মানুষ এসব হত্যাকাণ্ডকে সদম্ভে সমর্থন করে চলেছেন। কিকরে আমাদের মানসিকতা এতো জিঘাংসার হয়ে উঠলো ? এতো বর্বর হয়ে উঠলো, ভাবলে আশ্চর্য লাগে। এরকম সমাজচিত্র যদি আফ্রিকা বা আফঘানিস্তান বা পাকিস্তানের মতো দেশের হতো তাহলে এতো আশ্চর্য হতাম না বা এতো দুঃখ পেতাম না। খোদ আমাদের দেশেরই বাস্তবতা আজ এটা। হত্যাকাণ্ড হওয়া আর তাকে সমর্থন করা যদিও অনেক পার্থক্যের , কিন্তু হত্যাকাণ্ড সমর্থন করাটা কি বেশী নিন্দনীয় নয়? এই লোকটাকে কেন হত্যা করা হল বা তার পেছনের কারন কি সেটা লেখা আমার উদ্দেশ্য নয়। আমার লেখার উদ্দেশ্য আমাদের খুনিয়া মানসিকতা নিয়ে, খুনকে সমর্থন করা নিয়ে। আরে ভাই একজন মানুষ খুন হয়েছে রে ভাই মানুষ । এ কেমন হয়ে যাচ্ছি আমরা?
২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৮
অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: ঠিক। খুব বর্বর হয়ে যাচ্ছি আমরা।
২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: পচন যে মাথায় ধরেছে, নিচে মানুষ ভাল হবে কেমন করে?
২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০
অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: পচন তো এখন ধরেনি। আগেই ধরেছে। এখন সমাজটা পচে তার দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮
এএন অনু বলেছেন: আজ আমরা কেউ নিরাপদ নই। এর কারণ আমরা নিজেই। আমাদের মন মানসিকতা বর্বরতার তুঙ্গে।