নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপ্রিয়বক্তা।

অন্তর্জাল পরিব্রাজক

অসাধারণ নই, সাধারণ এক মানুষ।

অন্তর্জাল পরিব্রাজক › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোহিঙ্গা সংকট গলার কাঁটা হয়েই থাকবে বাংলাদেশের জন্য।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৫১



আমি ঠিক জানিনা আসলে এ সমস্যার সমাধান ঠিক কিভাবে হবে? এটার জন্য বেশ কতোগুলি আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট যেমন দায়ী তেমন দায়ী আমাদের বৈদেশিক নীতির চরম ব্যর্থতা। বার্মিজরা কিরকম জাতিবিদ্বেষী সেটা নতুন করে বলার কিছু নেই। তেমনি নতুন করে বলার কিছু নেই কেন মিয়ানমার তাদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দিল। এই সংকটের সময় আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র বলে পরিচিত আশেপাশের কোনও দেশই আমাদের পক্ষে কাজ করছে না আজ। কিন্তু কেন এই অবস্থা হল? এর জন্য যেটা তাৎপর্যপূর্ণভাবে দায়ী সেটা হল আওয়ামী সরকারের অতিমাত্রায় ভারত নির্ভরতা। কেবলমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার ভারতকে মাত্রাতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়েছে। আমাদের বন্ধুদেশ বলে পরিচিত চীন, জাপান, রাশিয়ার সাথে যদি শুরু থেকে ভালো সম্পর্ক রাখা যেত এবং দেশে তাদের বেশ ভালো রকমের বিনিয়োগ করতে দেয়া যেত তাহলে এই সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে আজ তাদের কেউ এরকমভাবে মিয়ানমারের পাশে থাকতো না। যদিও এটাও একটা বড় ফ্যাক্ট যে মিয়ানমার সম্পদশালী দেশ, তাদের ওখানে বিনিয়োগ করলে লাভবান হওয়া যাবে, কিন্তু তার সাথে তার পাশাপাশি এটাও সত্য যে বার্মিজরা চীন, জাপান, রাশিয়া ত বটেই এমনকি ভারতের মতো দেশকেও তাদের দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভীষণ গুরুত্ব দিয়েছে যেটা আমরা সেভাবে দিতে পারিনি। তাছাড়া কূটনৈতিকভাবেও এদের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বেশ ভালো রকমের জোরালো রেখেছে বার্মিজরা যেটা আমরা রাখতে পারিনি। শুধুমাত্র ভারতের সাথে ছাড়া অন্যান্য দেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক এখনো ততোটা ভালো নয়। এর জন্য সরকারী নীতিই সব থেকে দায়ী। অথচ ভারতের রয়েছে অনেক স্বার্থ মিয়ানমারকে নিয়ে। একারণে এই সংকট নিরসনে তারা উল্লেখযোগ্য কোনও ভূমিকাই রাখবে না। সোনাদিয়ায় বন্দর করতে এবং বিনিয়োগ করতে চেয়েছিল চীন। সেটা সরকার আর দেয়নি। দিলে সেটা রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করতে পারতো। কারণ চীন চেয়েছে বঙ্গোপসাগরে প্রবেশের পথ। যেটা সোনাদিয়ায় তারা করতে চেয়েছিল সেটা বাংলাদেশ না দিলেও আরাকানের সিত্বেতে মিয়ানমার চীনকে সেটা করতে দিয়েছে। এখন কথা হচ্ছে চীনকে এরকম “দাগা” দিবে বাংলাদেশ আর চীন সেটা মেনে নেবে এটা কেমন করে আশা করা যায়? আবার চীনের বড় বন্ধু হল মিয়ানমার। ফলাফল “সব রোহিঙ্গা ওখান থেকে ভাগাও আর ওখানে বিনিয়োগ করো” – এই নীতি চূড়ান্ত অমানবিকভাবে কার্যকর করলো জাতিবিদ্বেষী বার্মিজরা। এখন তারা ওখানে চীন, জাপান এমনকি ভারতকেও বিনিয়োগ করতে দিচ্ছে। যেটা বাংলাদেশ সেভাবে দিতে পারেনি। এদিকে আবার রাশিয়ার কাছ থেকে নিয়মিতই অস্ত্র কিনছে বার্মিজরা। লাভ হচ্ছে রাশিয়ার। চীন ও জাপানের মতো দেশকে ওখানে বিনিয়োগ করতে দেয়ায় লাভ হচ্ছে তাদেরও। এখন ভারতও সেই লাভের গুড়ে ভাগ বসাতে উদগ্রীব। সোজা কথায় মিয়ানমারকে ঘিরে ঐসব দেশগুলোর যে অর্থনৈতিক স্বার্থ সেটা বাংলাদেশের চেয়ে বেশী। সুতরাং তারা এই সংকটের সময় বার্মিজদের পাশেই আছে। লিভারেজ বলে একটা ব্যাপার আছে কূটনীতিতে। সেটা আমাদের বাংলাদেশের চেয়ে বার্মিজরা ভালো বোঝে। কতটা ব্যর্থ আমাদের বৈদেশিক নীতি সেটা আবারো করুণভাবে ফুটে উঠলো এই রোহিঙ্গা সংকটের সময়। এই সংকট কূটনৈতিকভাবে অতিমাত্রায় ভারত নির্ভরতার অন্যতম ফলাফল। রোহিঙ্গা সংকট গলার কাঁটা হয়েই থাকবে বাংলাদেশের জন্য। গিলতেও পারবে না , উগরাতেও পারবে না বাংলাদেশ।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্তর্জাল পরিব্রাজক,






আমরা সবদিক দিয়েই ব্যর্থ।
রোহিঙ্গাদের সহজে ফেরত পাঠানোর কোন সুযোগ নেই। তারা এখানে বিনাশ্রমে খেয়েদেয়ে ঝাড়েবংশে বাড়ছে। আগামী দুই তিন বছরে তাদের সংখ্যা ১৬/১৭লাখ ছাড়িয়ে যাবে। কোটিতে গড়াতে বেশী সময় নেবেনা।
তাই বাংলাদেশের উচিৎ হবে বাধ্যতামূলক ভাবে বা কৌশলে তাদের বন্ধ্যাকরন করানো যাতে এটলিস্ট তাদের সংখ্যাটাকে এক জায়গাতে আটকে রাখা যায় নইলে কপালে অনেক দুঃখ আছে বাংলাদেশের।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৩৩

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: এসব দিক বিবেচনা করেই বলছি - রোহিঙ্গারা আমাদের গলার কাঁটা হয়েই থাকবে। নিজেদের ব্যর্থতার দায় নিজেদেরই খুব করুণভাবে মেটাতে হবে। কি উচিৎ হবে আর কি উচিৎ হবে না এসব আসলে আপনি বা আমি যতই আলোচনা করিনা কেন কিছুই হবেনা কারণ যাদের এসব নিয়ে কিছু করার ক্ষমতা আছে তারাই তো অদক্ষ, অযোগ্য এবং অপরিণামদর্শী।

২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন, আপনার মতে, বার্মার সরকার চীন, ভারত, জাপান সবাইকে বার্মায় বিনিয়োগের সুবিধা দিয়েছে; ফলে ওসব দেশ বার্মার পক্ষে; বার্মা অনেক অস্ত্র কেনার কারণে, রাশিয়াও ওদের পক্ষে। এখানে আপনি কুটনীতির কি দেখলেন? বার্মা তো নিজের ক্ষতি করে, ওদেরকে নিজের দলে নিয়েছে।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:০২

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: গাজী সাহেব.. যেকোনো দেশের সাথে বিনিয়োগের ব্যপারে কার্যক্রম চললে কূটনৈতিক কার্যক্রম আপনা-আপনিই জড়িত থাকে। আজ এই সময়ে ওদের বিনিয়োগের সুবিধা বার্মিজরা তাদের দিয়েছে এবং সেটা করেই রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে মায়ানমার তাদেরকে নিজের পক্ষে রেখেছে এতো সমালোচনা সত্বেও। এখানে কি কোনও কূটনীতির ব্যাপার দেখেন না আপনি?

৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


সোনাদিয়ায় চীন যদি এত বড় পোর্ট করে, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে তেলের পাইপ লাইন বসাতো, তখন আপনি কান্নাকাটি করতেন, আওয়ামী লীগ দেশ বিক্রয় করেছে।

সোনাদিয়ায় যদি এত বড় পো্র্ট করতো, বাংলাদেশের কত ডলার খরচ করতে হতো? বাংলাদেশ কি রপ্তানী করতো ঐ পোর্ট দিয়ে?

২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:১৪

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: সোনাদিয়ায় চীন পাইপ লাইন বসালে আমি কান্নাকাটি করতাম এটা কোন পণ্ডিত আপনাকে বলল দয়া করে একটু বলবেন গাজী সাহেব?
আর সোনাদিয়ায় চীন এতো বড় বন্দর করলে একদিক দিয়ে বাংলাদেশ যেমন নিজের সমস্ত রপ্তানি ঐ সিঙ্গাপুর হয়ে না ঘুরিয়ে যেমন সরাসরি রপ্তানি করতে পারতো ( কারণ চট্টগ্রাম বন্দরে মাদার ভেসেল ভিড়তে পারে না) তেমনি চীনকে রপ্তানি সুবিধা দিয়ে চীনকে নিজের পক্ষে রাখতে পারতো বাংলাদেশ। কারণ এই যুগে এসে শক্তিশালী রাষ্ট্রকে নিজের পক্ষে রাখতে হলে তাদের অনেক সুবিধা দিতে হয়। এখানে অর্থনৈতিক ব্যাপার যেমন জড়িত তেমন কূটনীতির ব্যাপারও ভীষণভাবে জড়িত। আফসোস যে আমরা এখনো এসব হিসেব নিকেশ বুঝে উঠতে পারিনা।

৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশ অন্য সব দেশকে অপ্রয়োজনীয় কাজে বিনিয়োগ করতে দিলেই কি "কুটনীতিতে" ভালো করতো?

২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:২৩

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: কোনটা অপ্রয়োজনীয় কাজ একটু বলবেন কি?

৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



রোহিংগাদের ভবিষ্যত কি দেখছেন আপনি?

২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:২৫

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: সেটা আমার মূল পোস্টেই বলেছি। আবারো বলছি - এরা আমাদের গলার কাঁটা হয়েই থাকবে এবং বিভিন্ন রকমের সামাজিক, রাষ্ট্রীয় এবং নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়তই তৈরি হতে থাকবে এদেরকে ঘিরে।

৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " গাজী সাহেব.. যেকোনো দেশের সাথে বিনিয়োগের ব্যপারে কার্যক্রম চললে কূটনৈতিক কার্যক্রম আপনা-আপনিই জড়িত থাকে। ..."

-বার্মা আমাদের চেয়ে আয়তনে সাড়ে ৩ গুণ বড়, লোক সংখ্যা ৩ গুণ কম; ওদের প্রাকৃতিক সম্পদ আমাদের থেকে ৫০ গুণ বেশী, মাথাপিছু আয় অর্ধেকের কম; চীন সুযোগ মত তেল, গ্যাস, ও ভুমি নিয়ে ব্যবসা করছে। আমরা কি কাউকে এই সুযোগ দিয়ে নিজের পক্ষে আনতে পারবো?

২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:২১

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: বিনিয়োগের পরিবেশ যদি দেয়া যায়, বিনিয়োগ করতে যদি দেয়া যায় এবং শক্তিশালী প্রভাবশালী দেশগুলোর সাথে যদি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খুব শক্ত করে ধরে রাখা যায় তাহলে অনেক কিছুই সম্ভব। এখানে কথা হচ্ছে ব্যাল্যান্স করে চলতে হবে। এই ব্যাল্যান্স বা ভারসাম্য বজায় না রাখতে পারলে বিপদ নিজেদেরই হবে। এক্ষেত্রে দেশের আয়তন কত বড় সেটা আসল ব্যাপার নয়। এমনকি কোনও সম্পদও যদি না থাকে সেটাও আসলে তত বড় ব্যাপার নয়। সিঙ্গাপুর এক্ষেত্রে বড় একটা উদাহরণ।

৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার মতে, বাংলাদেশের কুটনীতিতে কি কি যোগ করার অবকাশ আছে?

৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " সোনাদিয়ায় চীন পাইপ লাইন বসালে আমি কান্নাকাটি করতাম এটা কোন পণ্ডিত আপনাকে বলল দয়া করে একটু বলবেন গাজী সাহেব? "

-আপনি যেই ধরণের পোষ্ট করেছেন, চীনের পাইপ লাইন করার জন্য বুলডজার আনলে, আপনার চোখের পানি বন্ধ করার জন্য নেপকিন আমদানী করতে হতো।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:২৭

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: হাসাইলেন গাজী সাহেব। যা বলছেন আমার ব্যাপারে এটা নিছকই আপনারই অতিরঞ্জিত ধারণা।

৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



লিখতে থাকেন, আস্তা আস্তে হাত আসবে একদিন।

১০| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন, "সিঙ্গাপুর এক্ষেত্রে বড় একটা উদাহরণ। "

-সিংগাপুরের লোকজনের শিক্ষার হার কোন সাল থেকে কত? ওদের প্রাকৃতিক অবস্হান ও বৃটিশ আমলের পোর্ট জাপান, হংকং, চীন ও মালয়েশিয়ার মতো দেশের জাহাজগুলোর পথে পড়েছে। আমাদের অবস্হান কোন সময় ক্রিটিক্যাল ছিলো না।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৫৩

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: গাজি সাহেব আমার প্রেক্ষিতটা বুঝতে হবে। সিঙ্গাপুরের কথা আমি এজন্যই বলেছি যে কোনও প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য না থাকলেও বিদেশী অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশগুলোকে বিনিয়োগ করতে দিয়ে নিজেদের শক্তিশালী একটা অবস্থান তৈরি করা যায়, প্রাকৃতিক সম্পদ নেই এটা এক্ষেত্রে অত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। হ্যাঁ এটা ঠিক যে সিঙ্গাপুরের ভূ- রাজনৈতিক অবস্থান আমাদের থেকে অনেক শক্তিশালী। কিন্তু আমাদেরও ভূ- রাজনৈতিক গুরুত্ব যে একেবারেই নেই তা নয়। ওটা আছে বলেই এখানে চীন, জাপান বা যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশও এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। ওটা আছে বলেই ভারতের মতো দেশ আমাদের ওপর নিজের কর্তৃত্ব খাটাচ্ছে। এখন এখানে আমরা নিজেদের পরিবেশ বা বিদেশী বিনিয়োগের পরিবেশ সেভাবে তৈরি করতে পারিনি। নিজেদের মুল্য নিজেরাই তৈরি করতে পারছিনা। সেটার দায় অবশ্যই আমাদের।

১১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৪০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: চীন চেয়েছে বঙ্গোপসাগরে প্রবেশের পথ। যেটা সোনাদিয়ায় তারা করতে চেয়েছিল সেটা বাংলাদেশ না দিলেও আরাকানের সিত্বেতে মিয়ানমার চীনকে সেটা করতে দিয়েছে। এখন কথা হচ্ছে চীনকে এরকম “দাগা” দিবে বাংলাদেশ আর চীন সেটা মেনে নেবে এটা কেমন করে আশা করা যায়?
....................................................................................................................................
স্বার্থের টান সবাই বুঝে । চীন যখন আমাদের কাছে গভীর সমুদ্রবন্দর চেয়ে ছিলো তখন কোন কোন দেশ
আপত্তি করে ছিল তা জেনে নিন ।
আমরা চীন- রাশিয়া- আমেরিকার আর্ন্তজাতিক কূটচালে অসহায় সেই সঙ্গে আমাদের অর্থনীতি আর যেন
উর্ধগতি না থাকে তার সুব্যবস্হা করা ।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:০৬

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: "চীন যখন আমাদের কাছে গভীর সমুদ্রবন্দর চেয়ে ছিলো তখন কোন কোন দেশ
আপত্তি করে ছিল তা জেনে নিন "
জানি রে ভাই। কথা হল আমাদের মেরুদণ্ড বলতে কিছু নাই। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি বরাবরই নতজানু টাইপের। নিজের ঘর নিজেরা ঠিকমতো সামলাতে না পারলে তো পাড়া প্রতিবেশী টাউট মাস্তান এসে নাক গলাবেই, প্রভাব খাটাবেই। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও নিজেদের শক্তিশালী অবস্থান এজন্যই জরুরী। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও নিজদের ভারসাম্যপূর্ণ বৈদেশিক নীতি, বিদেশী বিনিয়োগ এবং নিজেদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ঠিক থাকা প্রয়োজন যেটা আমাদের নেই।

১২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "জানি রে ভাই। কথা হল আমাদের মেরুদণ্ড বলতে কিছু নাই। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি বরাবরই নতজানু টাইপের। "

-এসব ম্যাঁওম্যাঁও প্যাঁওপ্যাঁও একটু কম করিয়েন; আপনি ইন্টারন্যাশনাল রিলেসানশীপে কত বড় পিএইচডি, সেটা আমাদের জানা হয়নি এখনো; তবে, পোষ্ট অনেক কথা বলছে।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৫১

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: তা আমি না হই, আপনি মনে হয় ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনশিপে বিশাল মাপের পি এইচ ডি ডিগ্রিধারী। ব্যাপার না। ট্রাই করতে থাকেন। যুক্তিতে না হউক, অন্তত ব্যাঙ্গ- বিদ্রূপে গোল্ড মেডেল পাইতে পারেন।

১৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:৩১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: চীন আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র কবে থেকে ছিল? আসলে চীন নিজের স্বার্থ ছাড়া কখনো কারো বন্ধু রাষ্ট্র হয় না। সকাল থেকে শুরু করে রাতে ঘুমানো যাওয়ার আগ পর্যন্ত চীনা পণ্য ব্যবহার করেন, চীনা নাক বোঁচা মেয়েরা রাস্তায় ফেরি করে মোবাইল বিক্রি করে। আর কি সুবিধে দিবে। চীনারা যেদেশে বিনিয়োগ করে সেই দেশ আর চীনা বলয় থেকে বের হতে পারে না।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০৩

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: দেখুন বন্ধু রাষ্ট্র শত্রু রাষ্ট্র এগুলো অনেকটাই কূটনৈতিক কথাবার্তা। যেহেতু চীনের সাথে আমাদের ঠিক কোনও শত্রুতামূলক ব্যাপার সেপার নেই সে হিসেবে তাকে বন্ধুরাষ্ট্র বলা চলে। কিন্তু এটা এখানে মুখ্য বিষয় নয়। বন্ধুরাষ্ট্র হলেই যে সে সব সময় আমাদের সব সমস্যা সমাধানের জন্য এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকবে আন্তর্জাতিক রীতিনীতির ক্ষেত্রে কখনোই কিন্তু ওরকম কোনও ব্যাপার ছিল না বা এখনো নেই। আন্তর্জাতিক সম্পর্কগুলো সবসময়ই মূলত চলে স্বার্থকেন্দ্রিক বিষয়গুলোকে নিয়ে। আপনি কার বন্ধু সেটা সেখানে সবসময় বিবেচ্য বিষয় নয়। আর চীন সবসময়ই বেশ স্বার্থপর দেশ। তার স্বার্থ না থাকলে সে আপনাকে সাহায্য করতে আসবে কেন?
তবে একই কথা অন্যান্য তথাকথিত বন্ধুরাষ্ট্রকে নিয়েও খাটে। এই সংকটে চীন তো বটেই, আমাদের অন্যান্য বন্ধুদেশও কোনও সাহায্য করবে না কারণ এই সংকট নিরসনে কারোরই ঠিক কোনও স্বার্থ নেই। এমনকি যে যুক্তরাষ্ট্র আপাতদৃষ্টিতে এই সংকট সমাধানের পক্ষে কথা বলছে তাও সেটা তার কোনও না কোনও স্বার্থ বা উদ্দেশ্য থেকে।

১৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:০৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক ময়দানে রোহিঙ্গা সমস্যার মতো যেকোনো সমস্যাতেই বাংলাদেশের একটি পাশে দাঁড়ানোর মতো কোনো প্রকৃত বন্ধু রাষ্ট্র আছে কি ? নূন্যতম একটি বন্ধু রাষ্ট্রের নাম কেউ বলতে পারবেন কি ?

২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০৪

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: নেই তো।

১৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:৪৩

নতুন বলেছেন: রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবার জন্য তাদের তাড়ানো হয় নি!

তাই তাদের ফেরত দেওয়া যাবে এটা আমার মনে হয় না।

তার সাথে আছে এনজিওরা... তারা এটা নিয়ে মিলিওন ডলারের ফান্ড পাবে, এই সোনার হাস তারা ফেরত দিতে চাইবেনা।

এই সকল মানুষের পূব`বাসনের জন্য সরকারের কাজ শুরু করা দরকার।

দরকার হলে এদের নাগরিকত্ব দিয়ে পুন`বাসনের জন্য কাজ করতে হবে, নতুবা এটা অবশ্যই দেশের জন্য বিরাট সমস্যা সৃস্টি করবে....

যত আগে থেকে এদের পূন`বাসনে কাজ করতে শুরু করবে সরকার তত কম সমস্যা সৃস্টি হবে...

২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৩০

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: যাক বুঝেছেন তাহলে। আসলেই ওদের কখনো ফেরৎ নেয়ার উদ্দেশ্যে তাড়ানো হয়নি। ওখানে এখন বড় বড় শিল্পাঞ্চল স্থাপিত হবে আর বিদেশী কোম্পানিগুলো বিনিয়োগ করবে। বার্মিজদের পরিকল্পনা যখন এতটা বড় তখন তারা কোনও অবস্থাতেই রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে না। বা চাপের মুখে পড়ে কিছু ফেরত নিলেও পরে ঠিকই দেখবেন কোনও না কোনও বদমায়েশি করে ঠিকই আবার ফেরত পাঠাবে।
তখনো আমাদের সরকার প্রায় কিছুই করতে পারবে না। কারণ এই সমস্যা সমাধানের কোনও গ্রাউন্ড আমাদের প্রস্তুত নেই। সরকার হয়তো মনে করেছে যে, ভারত যেহেতু রিজিওনাল পাওয়ার, তাই তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখলেই আর চিন্তা নেই। অন্যান্য রিজিওনাল পাওয়ারের সাথে কোনও শক্তিশালী সম্পর্ক সরকার তৈরি করেনি। এটা যে কতবড় ভয়ঙ্কর মুর্খামি, এটা এই রোহিঙ্গা সংকটের সময় এসে ভালোমতোই দেখা যাচ্ছে। কেউ আজ এই বিপদের দিনে আমাদের পাশে নেই। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমাদের কূটনীতি কতটা অসহায় সেটা আবারো প্রকটভাবে ফুটে উঠছে। আমাদের ফরেন পলিসিকে কেন আমি এতো খারাপ বলি, কেন সরকারের সমালোচনা করলাম সেটা বুঝে নিয়েন।
সবচেয়ে জঘন্য বিষয় হল এর মধ্যে আমাদের এন জি ওর কার্যক্রমগুলো। তারা এটাকে তাদের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে কাজে লাগাবে। এতদিন বার্মিজদের বদমায়েশি দেখেছি এবার আমাদের এন জি ও গুলোর আরেক বদমায়েশি দেখতে হবে!
আমরাও কি কম খারাপ?

১৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:০৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর সমাধান হোক এটাই কাম্য।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: সেটা তো সবারই প্রত্যাশা কিন্তু এই "সুন্দর সমাধান" এর কোনও পথ তো এখন আর নেই।

১৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০১

রাজীব নুর বলেছেন: রোহিঙ্গাদের খুব বাড় বেড়েছে। তারা আমাদের মহানুভবতাকে দুর্বলতা মনে করেছে।

১৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:২৬

রাকু হাসান বলেছেন:

যে কোনো দেশের উপর নির্ভরশীলতা ভালো না । সে যত বড় বন্ধুই হোক । বাংলাদেশ সরকারের উচিত ভূ রাজনীতির কথা মাথায় রেখে কূটনৈতিক কার্যক্রম চালানো । রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশের কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন দরকার । সেটা দেখছি না । যদি কঠিন কোনো সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে আরও প্রসঙ্গ সামনে আসবে তখন সেগুলো সামলে উঠার মতো জ্ঞান,দূরদর্শীতা দেখছি না ।

১৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:০০

প্রবালরক বলেছেন: ১৯৭৮ সনে একবার, ১৯৯২ সনে আরেকবার রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়া হয়েছিল। তখন কিভাবে যেন সমস্যার সমাধান হয়। তখনকার কৌশলগুলি কোথায় হারিয়ে গেল!

২০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:১২

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: যাক বুঝেছেন তাহলে। আসলেই ওদের কখনো ফেরৎ নেয়ার উদ্দেশ্যে তাড়ানো হয়নি। ওখানে এখন বড় বড় শিল্পাঞ্চল স্থাপিত হবে আর বিদেশী কোম্পানিগুলো বিনিয়োগ করবে।

এটা আমি শুরু থেকেই বলছি।

যদিও এদের বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়াই সমস্যা নিজের মাথায় নেওয়া।

কিন্তু আমরাও যারা ৭১এই মৃত্যুর ভয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছিলাম. এখন তাদের মরতে দিতে পারিনা। এটা নৈতিক ভাবে অনেক বড় অন্যায় হয়ে যায়।

তাই মানবিক দৃস্টিকোন থেকে যেহেতু এই সমস্যা নিজেদের মাথায় নিয়েছি। তাই এদের এখন পূনবাসনের কাজ শুরু করতে হবে।

সবার আগে এদের কাজ দিতে হবে নতুবা এটা সন্ত্রাসী কাজে চলে যাবে. পেটে ভাতের ব্যবস্তা করতে হবে সবার আগে।

তারপরে শিক্ষার ব্যবস্তা করতে হবে, নতুবা পরের পযন্ম শিক্ষা ছাড়া বড় হয়ে সন্ত্রাসীকাজে যাবে....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.