নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের মতো দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু হওয়াটা যে কত বড় অভিশাপ তার তল পাওয়া দুষ্কর… ব্যাপক সংখ্যক মানুষের মাঝে রয়ে গেছে প্রচণ্ড পরিমাণ সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ এবং অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায় বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অপরিসীম ঘৃণা এবং হিংসা… তা এদেশকে যে যতোই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে তুলে ধরুক না কেন তাতে সত্যিকার অর্থে কিছুই আসে যায় না… দিনশেষে অল্প কিছু মানুষ বাদে এদেশে সবাইই মনে মনে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ লালন করে… এটা অবশ্য শুধু আমাদের দেশেই নয় গোটা উপমহাদেশেই মোটমাট একই চিত্র… innocent people are suffering for only their religious identity and this is the outcome of a intense religious hatred which we are cultivating for a long time…. আমাদের মধ্যে এই সাম্প্রদায়িক ঘৃণার চাষাবাদ যদি বন্ধ না হয় তাহলে এই রকম হানাহানি এদেশে কখনো বন্ধ হবে না, এটাও নতুন করে বলার কিছু নেই… মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হওয়া এদেশে মুক্তি আসেনি সাম্প্রদায়িকতা থেকে, মুক্তি আসেনি স্বৈরতন্ত্র থেকে, মুক্তি আসেনি দুর্নীতি থেকে, দালালি থেকে, মুক্তি আসেনি এমন হাজারো রকমের অশিক্ষা, কুশিক্ষা আর সামাজিক অনাচার থেকে… মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ মুক্ত হয়েছে বিদেশী শাসন থেকে, কিন্তু আমাদের সত্যিকারের মুক্তি আসলে আদৌ কি হয়েছে?
"তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির কারণে অতীতে অনেক জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে।" হযরত মুহাম্মদ (স)
এই হাদিসটা আমরা কমবেশি সবাই শুনেছি বা পড়েছি... এমনও পড়েছি যে এক বিধর্মী বেদুঈন মসজিদে পেশাব করে দেয়ার পরও রাসুলুল্লাহ (স) তাকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন এবং উত্তেজিত মুমিন মুসলমানদের তাকে কিছু না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন... ইসলামের এতো কথা আমরা বলি, এতো নির্দেশ আমরা মানি, ইসলামের স্বার্থে বলতে গেলে জান কবুল আমাদের অথচ ইসলামের এই শিক্ষাটুকু নিতে আমরা কতোই না ভয়াবহ রকমের অপারগ... যেরকমের সহিংস মানসিকতা আমাদের মধ্যে বিরাজমান তাতে করে এদেশে ভবিষ্যতে হয়তো অন্য ধর্মের মানুষেরা আর থাকবে না, কিন্তু দেখা যাবে তখন কোনও না কোনও কারণে অজুহাত তুলে আমরা মুসলমানরা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে মারামারি কামড়াকামড়ি করে মরছি... উগ্র ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা কোনও জাতিকে আজ পর্যন্ত উপকার করেনি বরং উল্টোটাই করেছে, অন্তত আমাদের উপমহাদেশের ইতিহাস সেটার এক করুণ চিত্র এঁকে রেখেছে চিরকালের জন্য, তবুও এদেশের মানুষের কখনোই কোনও শিক্ষা হবেনা।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৯
অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: দেখুন, আমার পোস্টে কিন্তু আমি বলেছি গোটা উপমহাদেশের চিত্রই এক্ষেত্রে মোটমাট একই রকমের। মানেটা কি দাঁড়ায়? ভারত কি এর অন্তর্ভুক্ত নয়? আর বাদবাকি যা বললেন যে বেশীরভাগই যদি এতই অসাম্প্রদায়িক হত তাহলে মানুষের ভেতর এতো সাম্প্রদায়িক মনোভাব দেখতে পেতাম না। এতো সাম্প্রদায়িক মনোভাব মানুষের ভেতর আছে বলেই এসব স্মপ্রদায়িক হামলা প্রায় প্রতি দুর্গাপূজার সময় ঘটে থাকে।
২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি যদি হাদিস নিয়ে কথা বলেন, হাদিস হলো ১৪০০ বছর আগেকার বেদুইনদের জন্য ভালো বা খারাপ কোন কথা ছিলো; ইহা কোন কাজের নয়; আপনার মতো লোকেরাই পুরাতন হিংসার সমাজে বিশ্বাসী।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫২
অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: চাঁদগাজি মিয়া, কাণ্ডজ্ঞানহীন আজাইরা ফালতু প্যাঁচাল পাড়বেন না। আপনি যেভাবে বললেন তাতে মনে হয় যেন আমিই হিংসার কথা বলছি, সহিংসতার কথা বলছি, অথচ আমার পোস্ট, আমার লেখা সম্পূর্ণ তার বিপরীত। কথা বলতে হলে সজ্ঞানে সুস্থভাবে কথা বলুন।
৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই,আপনার লেখার প্রথম লাইনটা পক্ষপাত দোষে দুষ্ঠ। না আমাদের দেশে না ইসলামে - কোনভাবেই এটা সমর্থন করেনা ।কারন বিশ্বের মাঝে আমাদের দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য নজির। তবে কিছু কিছু ঘটনা ঘটেনা এমন নয় - তবে সর্বদা এগুলোর যথাযথ প্রতিবিধানের চেষ্টাও করা হয় সরকার-প্রশাসন এবং স্থানীয়ভাবে ।
আমাদের বাড়ীর চারপাশেই হিন্দু আছে এবং শুধু আমরা নই ,আমাদের বাবা , দাদা ,পরদাদা সবাই তাদের সাথে মিলেমিশই বসবাস করেছে এবং বিপদে-আপদে এবং প্রয়োজনে এখনো আমরা যেমন তাদের কাছে যাই তেমনি তারাও আসে আমাদের কাছে - যে কোন প্রয়োজনে বা সাহায্যের জন্য।এটা হলো সামাজিক অবস্থান।
আর ধর্মীয় -
ইসলামে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে এবং নিষেধ করা আছে।ইসলামে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির কোন বিষয় নেই।ইসলামের মূল উৎস কোরআনে কারিম এবং হাদিসে পরধর্মের মানুষকে আপনের চেয়েও বেশি শ্রদ্ধা ও সম্মান করার কথা বলেছে। এ প্রসংগে নবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, "যারা মানুষকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ডাকে, সাম্প্রদায়িকতার জন্য যুদ্ধ করে, সংগ্রাম করে এবং জীবন উৎসর্গ করে তারা আমাদের দলভুক্ত নয়"। (সুনানে আবু দাউদ,হাদীস নং - ৫১২৩)।
সাম্প্রদায়িকতার ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে পবিত্র কোরআনে।এ প্রসংগে আল্লাহতায়ালা বলেন, "দ্বীনের (ধর্মের) ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্যবাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়ে গেছে। এখন যারা গোমরাহকারী `তাগুত'দেরকে মানবে না এবং আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল যা ভাংবার নয়। আর আল্লাহ সবই শুনেন এবং জানেন"।(সূরা বাকারা,আয়াত - ২৫৬)।
এ প্রসংগে আল কোরআনে আরো বলা হয়েছে,"বলুন, হে কাফেরগণ, আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর। এবং তোমরাও তার এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি এবং আমি তার এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা করে আসছ। তোমরা তার এবাদতকারী হবেনা, যার এবাদত আমি করি। তোমাদের দ্বীন (ধর্ম ) তোমাদের জন্যে এবং আমার দ্বীন (ধর্ম) আমার জন্যে"।(সূরা কাফিরুন,আয়াত -১ - ৬)।
ধর্ম পালন করতে গিয়ে কেউ কোনোরূপ সীমা লঙ্ঘন কিংবা বাড়াবাড়ি করবে না।অন্য কেউ যদি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করেও ফেলে তবে ভুলেও যেন কোনো ইমানদার এ ধরনের হীন ও জঘন্য কাজের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত না করে। এ বিষয়টিই নসিহতস্বরূপ মুমিনদের উদ্দেশে আল্লাহতায়ালা বলছেন,"আর আল্লাহকে ছেড়ে যাদেরকে তারা ডাকে তাদেরকে তোমরা গালি দিও না।কেননা তারা সীমলংঘন করে অজ্ঞানতাবশতঃ আল্লাহকেও গালি দেবে।এভাবে আমরা প্রত্যেক জাতির দৃষ্টিতে তাদের কার্যকলাপ শোভিত করেছি,তারপর তাদের রব-এর কাছেই তাদের প্রত্যাবর্তন।এরপর তিনি তাদেরকে তাদের করা কাজগুলো সম্বন্ধে জানিয়ে দেবেন"।(সূরা আনআম,আয়াত - ১০৮)।
প্রকৃত মুসলমান কখনোই ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাত আসে এমন কোনো কাজ করতে পারে না ।এ প্রসংগে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,"কোনো মুসলমান যদি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অধিকার ক্ষুন্ন করে কিংবা তাদের ওপর জুলুম করে, তবে কেয়ামতের দিন আমি মুহাম্মদ ওই মুসলমানের বিরুদ্ধে আল্লাহর আদালতে লড়াই করব"। (সুনানে আবু দাউদ,হাদীস নং - ৩০৫২)।
রাসুল (সাঃ) আরও বলেছেন, "অন্যায়ভাবে কোনো অমুসলিমকে হত্যাকারী জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। অথচ চল্লিশ বছরের রাস্তার দূরত্ব থেকেই ওই ঘ্রাণ পাওয়া যাবে"। (সহিহ বোখারি,হাদীস নং - ৩১৬৬)।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৮
অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: ভাই, আপনি আমার প্রথম লাইন নিয়ে যেটা বললেন সেটা যদি সত্যি পুরো বাংলাদেশের চিত্র হতো তাহলে আমি সত্যি খুশি হতাম। এসব ঘটনা ঘটতো না আর আমাকেও এসব ক্ষোভ নিয়ে লেখতে হতো না। অমন সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতি সত্যি অতি কাঙ্ক্ষিত, কিন্তু এদেশে এটা সেরকমভাবে নেই বলেই তো সাম্প্রদায়িক এসব হামলার ঘটনা সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘটে চলেছে। আর আমি কিন্তু ইসলাম থেকে রেফারেন্স দিয়েও দেখিয়েছি যে ইসলাম এমন হামলা সমর্থন করেনা।
৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৪
রানার ব্লগ বলেছেন: মোহামমদ কামরুজজামান @ আপনার এই বানী গুলো যদি বাংলাদেশের কাট মোল্লারা একবারের জন্যও বিশ্বাস করতো
৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৩৯
কামাল১৮ বলেছেন: ইসলাম আছে দুইটা।একটা মক্কার ইসলাম,যেটা নরম ইসলাম।আরেকটা মদিনার ইসলাম,যেটা গরম ইসলাম।বিস্তারিত বললে অনেক বড় হয়ে যাবে।যে যার সুবিধা মতো কোট করে।দুটি ইসলাম আকাশ পাতাল ফারাক।দুটিই আল্লাহ ও তার রাসুলের বাণী।
৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:০৭
বিটপি বলেছেন: আপনি একটু ফেসবুক ঘাঁটুন - দেখুন শিক্ষিত বাঙালিদের মধ্যে কয়জন হিন্দু বিদ্বেষী মতামত দিচ্ছে আর কয়জন হিন্দু হামলার প্রতিবাদ করছে। না জেনে কোন স্টেটমেন্ট দেবেন না। বাংলাদেশ বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে মাওলানা আর ব্রাহ্মণ গলাগলি করে রাস্তা দিয়ে হাঁটে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৪৪
অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: আমাকে ফেসবুক শেখাতে আসবেন না. ফেসবুক আমি আপনার চেয়ে কম ঘাঁটি না বরং ভালভাবেই দেখি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই নিজের সাধু সাধু ভাবটাই বেশী দেখায়, ঐটা দিয়ে সমস্ত কিছু বিচার করা যায় না। "না জেনে কোন স্টেটমেন্ট দেবেন না।" আপনিই বরং না জেনে ষ্টেটমেন্ট দিচ্ছেন এখানে, আর ফেসবুকে কে কতো ভালো কথা বলল তা কখনোই বাস্তবতা সবসময় তুলে ধরে না। এবং তার চেয়েও বড় কথা আপনি মাত্র একটি উদাহরণ দেখিয়ে গোটা দেশের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতিকে ডিনায়ল করে অত্যন্ত নীচতার পরিচয় দিয়েছেন। মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক মনোভাব কিরকম সেটা আমি মানুষের সাথে কথা বলে দেখেছি।
৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মীয় ইস্যু সবচেয়ে সস্তা ইস্যু। এই ইস্যু চিরতরে দূর করা দরকার।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৪৯
অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: জে মিয়াভাই, তার আগে ধর্মীয় ইস্যু নিয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন চিরতরে বন্ধ করা অনেক বেশী দরকার। কথা বলার সময় হিসেব করে কথা বইলেন, বুঝছেন?
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:০৮
আমি নই বলেছেন: শুধু বাংলাদেশেই সংখ্যালঘু হওয়াটা অভিশাপের?? ভারতে কিংবা মায়ানমারে নয়?
জনাব, যদি সত্যিই ৯৫% মুসলিম এর মোটামুটি সবাই সাম্প্রদায়িক হত এবং আপনার ভাষায় "হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অপরিসীম ঘৃণা এবং হিংসা" থাকত তাহলে একজন সংখ্যালঘুও তার ধর্ম বা দৈনিক কর্মকান্ড চালাতে পারত না। আপনারা ইনিয়েবিনিয়ে এটা প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেও "হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অপরিসীম ঘৃণা এবং হিংসা" পোশনকারিদের সংখ্যা খুব বেশি নয়। কিন্তু এক অদৃস্য কারনে প্রতিবারই সামপ্রদায়িক সম্প্রিতি নষ্টকারিরা নাগালের বাহিরে থেকে যায়। এবারো সেটাই দেখতেছি, এত এত নিরাপত্তার মাঝেও কে বা কারা কুমিল্লার ঘটনা ঘটাল তাদের এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা যায় নি।