নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপ্রিয়বক্তা।

অন্তর্জাল পরিব্রাজক

অসাধারণ নই, সাধারণ এক মানুষ।

অন্তর্জাল পরিব্রাজক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাম্প্রদায়িকতা থেকে বাংলাদেশ তো বটেই, গোটা উপমহাদেশেরও কি মুক্তি ঘটবে?

২২ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৩১


আমাদের দেশসহ এই উপমহাদেশের দেশগুলোর মানুষের মুক্তি আসেনি বহু কিছু থেকেই… বিবেকবর্জিত সমস্ত কাজ-কারবার, দুর্নীতি, ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা, লুটপাট, মেয়েদের প্রতি খারাপ দৃষ্টিভঙ্গি, দালালী, সংকীর্ণ স্বার্থান্ধ রাজনীতি থেকে শুরু করে অসংখ্য নেতিবাচক উপাদানে ভীষণ রকমের নোংরা চোরাস্রোতে নিমজ্জিত সমাজ আমাদের… সময়ে সময়ে এগুলোর এক একটি এমন বিকট রকমের বীভৎস খেলা চালাতে থাকে যা দেখে মাঝে মাঝে মনে হয় যেন সেই হলিউডি জম্বি সিনেমার মতো এইসব নেতিবাচক ব্যাপার-সেপারগুলোর কোনও বাস্তব চিত্রায়ন হচ্ছে… দিনে দিনে এগুলো যেন জটিল থেকে আরও জটিলতার দিকে চলে যাচ্ছে… যেন এক অভিশপ্ত নোংরা আবর্ত, যা থেকে উদ্ধার পাওয়া সুদূর পরাহত… এদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে ধর্মান্ধতা আর সাম্প্রদায়িকতা, যার কারণে এতো সমালোচনা করি, কথা বলি এটা নিয়ে… আমাদের বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা সব দেশেরই অনেক রক্তাক্ত ইতিহাস আছে এর… উপমহাদেশের বিভক্তি হয়েছিলো এখানকার প্রধান দুই ধর্মের, প্রধান দুই সম্প্রদায়ের চাহিদা অনুযায়ী, দাবী অনুযায়ী… সেটা বাস্তবায়িত হয়েছিলো এ অঞ্চলের ইতিহাসের সবচেয়ে রক্তাক্ত অধ্যায়ের করুণ এক চিত্রায়নের মাধ্যমে…দুই সম্প্রদায়ের দাবীমতো আদায় হওয়া, বিভক্ত হওয়া অঞ্চলে শান্তি আসেনি তারপরও… দুই সম্প্রদায়ের মানুষেরাই দাবী করে তাদের ধর্ম শান্তির ধর্ম তারপরও দুই ধর্মের দুই সম্প্রদায়ই একে অপরের ওপর সাম্প্রদায়িক নিপীড়কের ভূমিকা নেয় বারে বারে এবং এমন সমস্ত কাজ করে, নজীর তৈরি করে যা তাদের ধর্ম কখনোই তাদের এগুলো করার কথা বলে নাই… সাম্প্রদায়িকতা এতোই বিষাক্ত এক জিনিশের নাম… বিষাক্ত সাম্প্রদায়িকতা রক্ত ঝরিয়েছে বার বার… এর বশবর্তী হয়ে এই দুই সম্প্রদায়ের মানুষজন এমন সমস্ত নজীর তৈরি করে রেখেছে যা দেখলে হয়তো হিটলারও লজ্জা পেতো… দেশবিভাগে কয়েক কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিলো… দেশবিভাগের পর সময়ে সময়ে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হয়ে আজ পর্যন্ত আরও কয়েক কোটি মানুষকে বাস্তুভিটা হারাতে হয়েছে, দেশান্তরী হতে হয়েছে এবং মরতে হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে… সবচেয়ে নির্মম বাস্তবতা আর তিক্ত সত্য হলো শান্তি আসবে না তারপরও… কারণ এর মূল উপাদান ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ আর নোংরা রাজনীতি এগুলো ভালোভাবেই ক্রিয়াশীল রয়েছে এই সমাজে এবং দিনকে দিন মানুষের মধ্যে যেভাবে ফের ধর্মান্ধতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, চাগিয়ে উঠছে তাতে অন্তত এটা পরিস্কার যে ভবিষ্যতেও এর কোনও সমাধান হবে না… ভারতে তাদের আমজনতার ম্যানডেট নিয়েই ক্ষমতায় এসেছে সাম্প্রদায়িক বিজেপি, যদিও সাম্প্রদায়িক নিপীড়ন বরাবরই ছিল, পাকিস্তানে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন সময়ে সময়ে সাম্প্রদায়িক নিপীড়ন সবাই করেছে, বাংলাদেশেও বলতে গেলে সেটাই হয়ে এসেছে দেশ স্বাধীন হবার পর থেকে…যেন এক কঠিন অভিশাপে অভিশপ্ত আমরা এবং এর থেকে মুক্তি পাওয়া সুদূর পরাহত।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:২২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমরা মুসলিম সম্প্রদায় তখন কি নামে পরিচিত হব?হিন্দুদের পরিচয় হবে কোন নামে।কতো সুন্দর নাম মুসলিম সম্প্রদায়।হিন্দু সম্প্রদায়।একই মাংয়ের দুটি জমজ সন্তান আরো কতো কি।

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৪৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

বিভক্ত হতে চাওয়া জনগোষ্ঠীর শান্তি কখনো পাওয়াও প্রাপ্য নয়।

৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:১২

কুশন বলেছেন: দরিদ্র দেশ গুলোর ধর্ম নিয়ে হানাহানি কোনো দিন বন্ধ হবে না। কারন দরিদ্র দেশের মানুষ সৎ হয় না।

৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৪৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: উপমহাদেশের বেশিরভাগ মানুষই অসভ্য ও বর্বর। এদের ধর্ম জ্ঞান নেই কিন্তু ফালতু আবেগ আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.