নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপ্রিয়বক্তা।

অন্তর্জাল পরিব্রাজক

অসাধারণ নই, সাধারণ এক মানুষ।

অন্তর্জাল পরিব্রাজক › বিস্তারিত পোস্টঃ

হ ভাই, পুতিন খুব খারাপ, রাশিয়া খুব খারাপ!!

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৩



হ ভাই, পুতিন খুব খারাপ, রাশিয়া খুব খারাপ… কিন্তু ওদের খারাপি দেখার সময় কিছু কিছু জিনিষ একটু হিসাবের মইধ্যে রাইখেন……
ইউক্রেনের দনেতস্ক বেসিন ও লুহান্স এ বেশ কয়েক বছর ধরে ঐ জায়গায় ঐসব রুশ ভাষাভাষী সাধারণ নাগরিকদের ওপর লাগাতার হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে ইউক্রেন সরকার… মাত্র লাখ বিশেক জনসংখ্যার অঞ্চলগুলোতে ৩০/৩৫ হাজার মানুষ মারা যাওয়ার খবর পশ্চিমা দেশগুলো নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া ছাপে নি… কোনও খবর দেয় নি… অথচ রাশিয়ার অভিযানে মৃত্যুর খবর ফলাও করে ছেপে চলেছে… কেন এ পক্ষপাতদুষ্টতা?
ঐ দুটি অঞ্চল ইউক্রেন সরকারের এসব অত্যাচারের ফলে দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীন হতে চাচ্ছিল… ২০১৪ সালে সেখানকার মিলশিয়ারা স্বাধীনতা ঘোষণা করে… তখন মিনস্ক চুক্তি হয় তাদের স্বায়ত্তশাসন দেয়ার কথা বলে… কিন্তু ইউক্রেন বিগত ৭ বছর ধরে এই চুক্তি লঙ্ঘন করে আসছে… অবশেষে রাশিয়া তাদের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিলো… এখন ইউক্রেনের বারবার চুক্তি লঙ্ঘনের ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলো কোনও কথা বলেনি, টুঁ শব্দটিও করেনি? কেন?
সবচেয়ে বড় কথা যে ন্যাটো জোট তৈরি হয়েছিলো, সেটা সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এবং ওয়ারশো জোট ভেঙ্গে যাওয়ার পর কেন এতোগুলো বছর ধরে টিকিয়ে রেখেছে পশ্চিমা দেশগুলো? ওয়ারশো জোট ভেঙ্গে দেয় ন্যাটো আর সম্প্রসারিত হবেনা এমন প্রতিশ্রুতিতে… সেই সোভিয়েত ইউনিয়ন তো আর নাই…… ভেঙ্গে খান খান হয়ে গেছে…… তবুও কেন সেই প্রতিশ্রুতি পশ্চিমা ন্যাটো রক্ষা করেনি … কেন?
বছরের পর বছর ধরে ন্যাটো ইউক্রেনের সাথে আঁতাত করে রাশিয়ার প্রতি একটা প্রচ্ছন্ন হুমকি তৈরি করেই যাচ্ছিলো… রাশিয়াকে বেকায়দায় ফেলাই ছিল যার উদ্দেশ্য… ইউক্রেনকে ঘিরে তারা অর্থাৎ ন্যাটোর দেশগুলো যা করেছে তার সবই ছিল উস্কানিমূলক… রাশিয়ার প্রতি এরকম উস্কানিমূলক কাজ পশ্চিমারা করেই যাবে, শত্রুতামূলক কাজ তারা করেই যাবে আর রাশিয়া কোনও পদক্ষেপ নিবে না এটা কেমন করে হয়?
উস্কানি দিবে যুদ্ধ বাঁধানোর জন্য আর যুদ্ধ বাঁধালেই যতো দোষ!! হিপক্রেসি আর কাকে বলে?
হ্যাঁ, রাশিয়া বা চীন কেউই ধোয়া তুলসীপাতা নয়… ইন ফ্যাক্ট, ক্ষমতাশালী দেশগুলো কেউই অতো সাধু নয়… কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো পৃথিবীতে যতো অশান্তি লাগাতারভাবে তৈরি করেই যাচ্ছে করেই যাচ্ছে, সে তুলনায় রাশিয়া বা চীন অমন কিছুই করেনি বা করেনা… তবুও সমস্ত দোষ হয়ে যায় রাশিয়া আর চীনের… এন্ড দ্য ক্রেডিট গোজ টুঁ ওয়েস্টার্ন ইম্পেরিয়ালিস্ট কান্ট্রিজ অ্যান্ড ওয়েস্টার্ন মিডিয়া!!

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:০৬

মাকার মাহিতা বলেছেন: আচ্ছা, ন্যাটোভুক্ত দেশ কয়টা? আর বাকীরা যদি তা না হয় আপনার ম্যাপে যা দেখলাম চীন রাশিয়া উ.কুরিয়া এরা তিন জন যদি এক হয় তবে তো পারমানবিক যুদ্ধ হবে। মারা পরবে আমাদের মত ক্ষুদ্র দেশ! তার মানে ৩য় বিশ্ব যুদ্ধ কি শুরু?

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৩

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: দেখুন, ৩য় বিশ্বযুদ্ধ বাধা এতো সহজ নয়। এই ব্যাপারটা নিয়ে আগেও বলেছি যে, এখন পারমাণবিক শক্তির অধিকারী দেশগুলো নিজেরাও বোঝে যে এর পরিনাম কি হতে পারে। এজন্য এটা লাগি লাগি করেও লাগেনি। লাগলে সেটা অনেক আগেই লাগতে পারতো, সেই ৬০ এর দশকে কিউবা মিসাইল সংকটের সময় তো প্রায় লেগেই গেছিলো ৩য় বিশ্বযুদ্ধ। কিন্তু সেবার সোভিয়েত ইউনিয়নের পিছু হটার কারণে লাগতে গিয়েও লাগেনি। তবে যেটা হবে এবং হতে থাকবে সেটা হল আঞ্চলিক যুদ্ধবিগ্রহ। সেটা বিভিন্ন কারণে, বিভিন্ন উপলক্ষে লাগতেই থাকবে। এই যেমন ইউক্রেন নিয়ে এবার লেগেছে। এরকম আঞ্চলিক যুদ্ধ এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রক্সি যুদ্ধ (যেমন চলমান সৌদি-ইয়েমেন যুদ্ধ, সিরিয়া যুদ্ধ) এগুলো চলতেই থাকবে। এর কোনও শেষ নেই। এই তো দুদিন আগেই খোদ আমেরিকা বলে বসেছে যে তারা রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ চায় না। পারমাণবিক যুগ না থাকলে হয়তো তারা সৈন্য পাঠিয়েই দিতো। যেমন অনেকেই জানেন না যা রুশ বিপ্লবের ঠিক পর পরই কিন্তু আমেরিকাসহ ১৪টা দেশ মিলে আক্রমণ করেছিলো সোভিয়েত ইউনিয়নকে। কিন্তু রাশিয়ার সাথে পেরে ওঠেনি তারা তার পরও। যাই হোক সেসব আবার আরেক কাহিনী। আশা করি এর ওপর একবার লিখবো।
আর ন্যাটোভুক্ত দেশ ৩০ টি, যার মধ্যে ইউরোপের ২৮ টি এবং তার সাথে আছে আমেরিকা, কানাডা। আমার ম্যাপটি মূলত বিশ্ব জুড়ে যতো মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে বিভিন্ন দেশে সেটির ওপর।

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:০৮

যায়েদ আল হাসান বলেছেন: রাশিয়া যেটা করছে, তাডেরর নিজেদের কথা ভেবেই করছে, তবে বেআইনি ভাবে আরেক দেশে সামরিক হামলা চালানোর রাইট তাদের নেই । কিনতু পশচিমা দেশগুলো এই ঘটনায় নিজেদের আখের গোছানোতে ব্যাসত।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৬

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: হ্যাঁ, এটা অবশ্যই সঠিক যে রাশিয়া যা করেছে সেটা বেআইনি। ইউক্রেনে তারা যেটা করেছে সেটা চালানোর সরাসরি কোনও অধিকার তাদের নেই ঠিকই, তবে ব্যাপার হচ্ছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যরা নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে চাইলে আশেপাশের কোনও দেশে আক্রমণ করার অধিকার রাখে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একজন স্থায়ী সদস্য হিসেবে রাশিয়া ঠিক সেটাই করেছ!। বলা যায় , তারা ঠিক পুরোপুরি বেআইনি কাজও কিন্তু করছে না! এর অধিকার খোদ জাতিসংঘই তাদের দিয়েছে! তাদের নিজেদের মধ্যে এই অধিকার নিয়ে বোঝাপড়া আছে। খালি দোয়া করেন ভারত যাতে কখনো এই নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য না হয়। ভারত অনেক দিন ধরেই নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে চাইছে।
আর পশ্চিমা দেশগুলো তো আখের গোছানোর চেষ্টায় থাকবেই। তাদের কাজই তো ওটা। এর মধ্যেই দেখুন গরীব ইউক্রেনকে তারা সমরাস্ত্র বিক্রি করেছে। ইউক্রেনকে তারা এর মধ্যেই যা অস্ত্র দিয়েছে কোনটাই কিন্তু তারা গিফট করেনি। কিন্তু পশ্চিমা মিডিয়া খবরগুলো এমনভাবে দিয়েছে যে তারা যেন ওগুলো ইউক্রেনকে উপহার দিয়েছে!

৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০৩

সোবুজ বলেছেন: জতিসংঘকে ডেলে সাজাতে হবে।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০৪

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: কে সাজাবে? কারা সাজাবে?

৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ৯০ এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙন। যার জন্য দায়ী ন্যাটো। তাই পুতিন চাইবেন না ন্যাটো রুশ সীমান্তে প্রভাব বিস্তার করুক।

আর তার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ইউক্রেনকে বাগে আনা।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০৩

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙ্গন অবশ্যই বিশ্বরাজনীতির জন্য বড় এক বিপর্যয়। তবে এর জন্য ন্যাটো যতো না দায়ী তার থেকে অনেক বেশী দায়ী খোদ সোভিয়েত ইউনিয়ন নিজেই। তারা খোদ নিজেরাই সামজতন্ত্রের আদর্শ থেকে দূরে সরে গেছিলো।

৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন- রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকে এক হওয়া উচিত। আমরা কোনো মূল্যে পৃথিবীকে ধ্বংস হতে দেব না। রাশিয়া নিজেই সংলাপের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১৮

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: যতো না রাশিয়া তার চেয়ে ঐ আমেরিকার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর বিরুদ্ধেই বরং আরও বেশী এক হওয়া উচিৎ। কারণ এই যুদ্ধ তারাই উস্কানি দিয়ে বাঁধিয়ে দিয়েছে। তাদের ব্যাপারে আরও বেশী সতর্ক থাকা উচিৎ। নয়তো দেখা যেতে পারে ভবিষ্যতে তারা ভারতকে বা মিয়ানমারকে এরকম উস্কানি দিয়ে আমাদের সাথে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিচ্ছে। মনে রাখতে হবে যুদ্ধ তাদের কাছে একটা ব্যাবসা। যতো যুদ্ধ বাঁধবে ততো তাদের সমরাস্ত্র বিক্রি হবে যুদ্ধরত দেশগুলোতে। তারা লড়ে মরবে আর ওদিকে মাঝখান থেকে পশ্চিমারা যতো মুনাফা লোটার লুটবে।
আর রাশিয়া সংলাপের পথ বন্ধ করে নি। বরং তারা ইউক্রেনের সাথে বহুদিন ধরে ঐ রুশ ভাষাভাষী অঞ্চলগুলোতে ইউক্রেনের পশ্চিমাপন্থী সরকারের জুলুম বন্ধ করতে বলছিল। কিন্তু পশ্চিমাদের সাথে হাত মিলিয়ে চলতে চাওয়া ইউক্রেন সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। শেষমেষ ইউক্রেন নিয়ে এসব খেলা বন্ধ করার জন্যই বরং হামলা করে বসেছে। রাশিয়ার মতো শক্তি, যার ওপর কিনা ইউরোপ এখনো জ্বালানির ব্যাপারে এতো নির্ভরশীল, ন্যাটো জোটের বরং উচিৎ হয়নি ইউক্রেনকে দিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে খেলানোর।

৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৫১

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: যুদ্ধ ব্যবসা সর্বোত্তম পশ্চিমাদের কাছে।
যুদ্ধ জিয়িয়ে রাখা অসম্ভব/সম্ভাবতায় রুশ ফেডারেশন বিলীন।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১৯

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: অবশ্যই। এটা ওরাই লাগতে বাধ্য করেছে।

৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০৮

মাকার মাহিতা বলেছেন: আপনার মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে পড়লাম। তবে, সববিষয় বিবেচনা করে বর্তমান পরিস্থিতি আগের সকল পরিস্থিতির চেয়ে গুরুতর মনে হচ্ছে। কেননা, পুতিন নিজেই বলেছেন পারমানবিক অস্ত্রে বাটন চাপতেও পারি, সুত্র বিবিসি বাংলা!

সুত্রমতে, ৩য় বিশ্বযুদ্ধ খবই সন্নিকটে...!

আর বাংলাদেশের বাজার ফুরসৎ পাইলেই দাম বাড়ায়
চাল ৮৫/-
আটা ৫৬/-
তেল ১৮০/-
গোমাংশ ৯০০/-

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪৮

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: ধন্যবাদ জানাই আমার মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে পড়ার জন্য।
পুতিন জাস্ট ভয় দেখাচ্ছেন। পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা এতো সহজ নয়, যে মুখে বললেই বাস্তবে করে দেখানো যায়। এর আগে ভারত-পাকিস্তানের মতো দেশও একে অপরকে এমন হুমকি দিয়েছে। কিন্তু করতে সাহস পায়নি কেউই। পুতিন এইসব দেশের রাজনীতিকদের চেয়ে অনেক ঝানু খেলোয়াড়। আর রাশিয়ার হাতে পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়াই যেরকম মারাত্মক মারাত্মক অস্ত্র মজুদ আছে সেগুলোই ন্যাটো জোটের সাথে লাগার জন্য যথেষ্ট। সেগুলো পুতিন হাতে নিলে ন্যাটো এতো সাহস করবে না তার সাথে অমন যুদ্ধ করতে।
তিনি জাস্ট ভয় দেখাচ্ছেন।
আগেই বলেছি আবারো বলছি, ৩য় বিশ্বযুদ্ধ বাধা এতো সহজ নয়।
আর এদেশে জিনিশপত্রের দাম বাড়ার জন্য আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি যতো না দায়ী তার চেয়ে অনেক বেশী দায়ী এদেশের বাজার নিয়ন্ত্রক লুটেরা সিণ্ডিকেট গোষ্ঠী। এরা তো একটা ছুতো পেলেই হল, দাম বাড়িয়ে দেবে সবকিছুর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.