নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আফসোস লীগের সংখ্যা কি দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে?

০৩ রা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:১১

২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠী এক নতুন ঘটনার সাক্ষী হলো। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের অপশাসন থেকে মুক্তি পেতে সবাই রাস্তায় নেমে এলো। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেন এবং সরকার এর পতন হয়। শিশু,কিশোর, তরুণ,আম,বাম,ডান সবাই ভেবেছিলো এইবার বুঝি বাংলাদেশ স্বাধীন এর যে উদ্দেশ্য বৈষম্য হীন সমাজ বাস্তবায়নের পথ সুগম হলো। ৫ই আগস্ট এর ঘটনা কে স্মরণ করে বাদ বাকি দলগুলো সবাই নিজেদের সংশোধন করবে। অন্যদিকে দেশ কে চালাবে সেই প্রশ্নে বাংলাদেশের মানুষ এক বাক্যে মুহাম্মদ ইউনূস কে চেয়েছিলেন। উনার মতো যোগ্য ( কিসে যোগ্য জানি না) ব্যক্তির হাতে দেশ শাসনের ভার দেওয়া হলে দেশ নিরাপদ থাকবে। অন্যদিকে সেনাবাহিনীর প্রতি বাংলাদেশের মানুষের অনেক আবেগ কাজ করে। সেনাবাহিনী তে যোগ দিলে সুন্দরী বউ এবং শত মেয়ের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাওয়া যায়। এছাড়া বাংলাদেশের মানুষ মনে করে সেনাবাহিনী খুব সৎ জীবন যাপন করে যদিও বাস্তবতা ভিন্ন। যাই হউক মুহাম্মদ ইউনূস এবং সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার এর কম্বিনেশনে দেশ চলবে ভাবতেই অধিকাংশ মানুষের মনে প্রশান্তির সুবাতাস বয়ে যায়। ঠিক তখনি পরাজিত শক্তি আওয়ামী লীগ বিভিন্ন বেশ ধরে ঝামেলা পাকাতে শুরু করে। প্রথমে হিন্দু বেশে ভিকটিম কার্ড খেলার ট্রায় করে ফেইল মারে। এর পর আনসার লীগ হয়ে ফিরে আসার চেষ্টা করে। আর সোশ্যাল মিডিয়া তে ছোট করে প্রচার শুরু করে শেখ হাসিনার শাসন আমল ভালো ছিলো। কিন্তু ৯৯ ভাগ মানুষ তখন মুহাম্মদ ইউনূস সরকার এর উপর কোনো দৃশ্যমান কারণ ছাড়াই শুধুমাত্র নোবেল বিজয়ী ব্যক্তি আমাদের দেশের প্রধান হয়েছেন এই ঘটনা কে বিরাট ব্যাপার ভেবে ভারতের মোদী কে যিনি কিনা সাম্প্রদায়িক হলেও ঘাঘু রাজনীতিবিদ তার সাথে তুলনা করে মনে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতো। তাই তারা আওয়ামী লীগের প্রচার কে আফসোস লীগের অপপ্রচার মনে করে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া তে রাম ধোলাই করতো। এই ভাবে প্রথম মাস কেটে গেলো। এর মাঝে বন্যা সহ অনেক ঘটনা ঘটে তবে এই পোস্টের আলোচ্য বিষয় সেটা নয়। যাই হউক সমস্যা শুরু হয় সেপ্টেম্বর মাস থেকে। যারা এই আগস্ট আন্দোলনের অনেক বড়ো স্টেক হোল্ডার জামাত শিবির ভেবে দেখলো যে এখনই মোক্ষম সময় নিজেদের কে জাতির সামনে পরিচয় করানোর। তারা তাদের আসল পরিচয় প্রকাশ করে। যদিও আমি ব্যক্তিগত ভাবে আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে মাঠে থাকার কারণে অনেক কিছু নিজের চোখে দেখেছিলাম যা আমার কাছে কিছুটা সন্দেহজনক লেগেছিলো যে কোনো উগ্রবাদী সংগঠন আমাদের সাথে যোগ দিয়েছে না আমরা তাদের ডাকে মাঠে নেমেছি তা নিয়ে তবুও পারসোনাল ক্ষোভ থেকে শেখ হাসিনার খুব করে পতন চাচ্ছিলাম। পরিচয় প্রকাশের পর দেখা গেলো নতুন কাহিনী! যারা শিবির এর রাজনীতির সাথে জড়িত এরা নাকি ছাত্রলীগের রাজনীতি ও করতো। এই কথা প্রকাশের আগে সোশ্যাল মিডিয়া তে কোনো কারণ ছাড়াই জামাত এবং শিবির এর রাজনীতি সংক্রান্ত প্রচুর পোস্ট সামনে আসতে থাকে।যাই হউক সাধারণ মানুষ যারা সমন্বয়ক দের নিরপেক্ষ ভেবেছিলেন তারা সবাই খুব হতাশ হলেন। বাংলাদেশের মানুষের ২০০১-২০০৬ সালের কথা ভালোভাবে মনে আছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খাত গুলোর একটি গারমেন্টস খাতে লাগাতার অস্থিরতা, বিভিন্ন কারখানা লুট হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ বিরক্ত অনুভব করেন। ৫ই আগস্ট এর পর থেকে প্রতিদিন আওয়ামী লীগের সমর্থক মারা যাওয়া ছাড়াও নামে বেনামে প্রচুর লোক বিভিন্ন জায়গায় মারা গেছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয় কারণ পুলিশ প্রোপারলি কাজে ফেরত আসেনি। যাই হঊক সেনাবাহিনী কে দুই মাসের জন্য বিচার করার ভার দেয়া হলো।তাতেও তেমন ফল হলো না। বাজারে শেখ হাসিনার পতনের পর এক সপ্তাহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম কিছুটা কম ছিলো। পরে দাম অস্বাভাবিক বাড়তে থাকে। মানুষ এখন আর আগের মতো ইউনূস সরকার এর উপর ভরসা পাচ্ছে না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারে ব্যস্ত যে শেখ হাসিনার আমলেই ভালো ছিলাম। সাধারণ মানুষ এখন আর সেই রকম ধোলাই ও করছে না বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের সাথে একমত পোষণ করছে। বিভিন্ন ইসলামিক দলের আগ্রাসী মনোভাব সাধারণ মানুষকে আরো বেশি হতাশ করে তুলেছে। তাই দিন শেষে বুঝা যাচ্ছে না আফসোস লীগের দলে সদস্য বেড়ে যাচ্ছে নাকি সাধারণ মানুষের রাজনীতি নিয়ে উৎসাহ ক্রমেই কমে যাচ্ছে !!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.