নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাকিস্তানের রেমিট্যান্স আয়ের প্রধান উৎস ভিক্ষাবৃত্তি !

১৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১২:৫৫

পাকিস্তানে সবচেয়ে জনপ্রিয় পেশা ভিক্ষাবৃত্তি।শুধু দেশে সংগঠিত নয় বিদেশেও ভিক্ষুক রপ্তানি করছে পাকিস্তান। সৌদি আরব, ইরান এবং ইরাকে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি চালায় পাকিস্তানি ভিক্ষুকরা। এসব দেশে গ্রেফতার হওয়া ৯০ শতাংশ ভিক্ষুক পাকিস্তানি। ২০২৪ সালে প্রায় ৩৪০০০ পাকিস্তানিকে ভিক্ষাবৃত্তির জন্য দেশে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি আরব। পাকিস্তান সরকার ভিক্ষাবৃত্তির সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার জন্য ১০০০০০ লোকের ভিসা ক্যান্সেল করেছে এবং যেসব এজেন্সির মাধ্যমে এসব ভিক্ষুক যেত তাদের লাইসেন্স স্থগিত করেছে।
সৌদি আরব, ইরান ও ইরাকে তীর্থযাত্রীর ভিসা নিয়ে পাক ভিক্ষুকরা বিদেশে যাচ্ছেন। তাদের ভিক্ষাবৃত্তির জন্য নতুন হটস্পট জাপান। শুধু বিদেশে নয় দেশেও সংগঠিত ভাবে ভিক্ষা ব্যবসা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ২৩ কোটি জনসংখ্যার দেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা ৩ কোটি ৮০ লাখ।এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে , করাচিতে ভিক্ষুকদের দৈনিক গড় আয় ২০০০ রুপি, লাহোরে ১৪০০ রুপি এবং ইসলামাবাদে ৯৫০ রুপি। পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে দেশে ভিক্ষুকের গড় দৈনিক আয় ৮৫০ রুপি।
পাকিস্তানের ভিক্ষুকরা প্রতিদিন ৩২ বিলিয়ন রুপি ভিক্ষা পান যা বছরে প্রায় ১১৭ ট্রিলিয়ন রুপির সমান।ডলারে কনভার্ট করলে তা দাঁড়ায় ৪২ বিলিয়ন ডলারের সমান। প্রতিবছর পাকিস্তানের দরগাগুলোতে রমজান মাসে প্রচুর ভিক্ষুকের আনাগোনা বেড়ে যায়। লাভজনক জায়গা পেতে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে। সাম্প্রতিক সময়ে একজন ভিক্ষুক অন্য ভিক্ষুকের নামে থানায় মামলাও করেছেন এমন অভিযোগ নিয়ে পাকিস্তানের প্রধান দৈনিক পত্রিকাতে নিউজ হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.