নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
সারাবিশ্বে বাঙালি জাতি উদার,অতিথিপরায়ণ জাতি হিসাবে সমাদৃত হলেও তাদের চরিত্রের এক ভীষণ দূর্বলতা রয়েছে।তা হইলো গিয়া 'অতিকথন'।আমরা কাজের চেয়ে কথায় অধিক পারদর্শী।আমাদের মুখ হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ংকর অস্ত্র যা দিয়ে এমন সব কথা বলি যার কারণে হয়তো ভবিষ্যতে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ ঘটতে পারে। রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায় হতে শুরু করে চা দোকানদার মজনু মিয়া সবাই বড়ো কাজের প্রতিশ্রুতি দেন কিন্তু কাজের সময় তার প্রতিফলন দেখা যায় না।কয়েকজন ব্যাক্তির উদাহরণ দেখা যাক:
১-শেখ হাসিনা:উনাকে বিশ্রী কথার উপর পিএইচডি ডিগ্রী দেয়া যাইতে পারে৷ তিনি বাংলাদেশ কে সিংগাপুর বানাইতে চান কিন্তু কাজকর্মে তিনি লুটেরা ঔপনিবেশিক শক্তিকে হার মানিয়েছেন।
২-ওবায়দুল কাদের:নোয়াখালীর বুকে এক টুকরো কলঙ্ক এই মানুষটি লেপন করে গিয়েছেন। উনার বাচনভঙ্গিতে রাজনীতিবিদ থেকে কমেডিয়ান ভাব বেশি প্রকাশ পেত। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য শেখ হাসিনাকে সহযোগিতার চেয়ে ডুবিয়েছেন বেশি এই লোক।
৩-মুহাম্মদ ইউনূস:উনাকে স্বল্পভাষী মানুষ হিসাবে জানতাম এবং সারাবিশ্বে যারা নিত্য নতুন আইডিয়া প্রদানের মাধ্যমে পৃথিবীটাকে সুন্দর করে যাচ্ছেন তাদের একজন ভাবতাম।অনেক আশা নিয়ে দেশের মানুষ উনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছেন।ক্ষমতায় বসার পর থেকেই তিনি অতিকথন শুরু করে দিয়েছেন। জাতির মীমাংসিত বিষয় নিয়ে উনার বক্তব্য দেশের মানুষ ভালো ভাবে দেখছে না। অথচ উনার কাছে প্রত্যাশা ছিলো বৈষম্য দূর করার মশাল হাতে তিনি সবার সম্মুখ যোদ্ধা হবেন।
৪-আসিফ নজরুল: এই লোক শুরু থেকে প্রশ্নবিদ্ধ। নিজেকে সকল কাজের কাজী ভাবেন।ডিম কমানোর জন্য তিনি কখনো মুরগী হতে চান,কখনো ট্রাফিক পুলিশ হতে চান, আবার কখনো বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী হতে চান।তিনি তার নিজের পকেটের টাকায় গবেষণা করে বিগত ১৫ বছরে প্রমাণ পেয়েছেন ভারতের ২৬ লাখ লোক বাংলাদেশে কাজ করে। এই জন্য নাকি দেশের ২৬ লাখ বেকার রয়েছে। সুযোগ সন্ধানী এই মানুষটি কিভাবে যেন দেশের ক্ষমতার অংশ হয়ে গেলেন ৫ই আগস্টের পর থেকে। আগে তিনি ভারত খেদাও,বয়কট আন্দোলন কে সমর্থন হিসাবে ভারতের থেকে আমদানি করা ডিম খেতেন না,ভারতের তৈরী কোনো পণ্য যাতে বাংলাদেশের মানুষ ব্যবহার না করে তার জন্য মানুষকে মোটিভেট করতেন। এখন তিনি ক্ষমতায় গিয়ে ২৬ লাখ ভারতীয় দের তাড়াতে পারছেন না, ডিম আমদানি ছাড়া দাম কমাতে পারছেন না।কথা এবং কাজের কোনো মিল নাই।
৪- নাজমুল হাসান শান্ত:বাংলাদেশের বর্তমান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক!তার মাঠের পারফরম্যান্স যাই হউক না কেনো প্রেস কনফারেন্সে সে রয়েল বেঙ্গল টাইগার। সাংবাদিক দের নানা ধরণের কঠিন মন্তব্য করে ঘায়েল করেন কিন্তু মাঠে খেলেতে গেলে ডাব্বা মারেন।
৫-বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়: ইহারা কঠিন চিজ মাইরি। বৃষ্টি যেদিকে হয় তারা সেদিকে ছাতা ধরেন। ৫ই আগস্টের পূর্বে বাংলাদেশের বিশাল হাতি গর্তে পড়ার পিছে তাদের ছিটেফোঁটা অবদান আছে। এই প্রজাতি এক ধরণের বিশেষ কাগজের প্রতি বরাবর দূর্বল । তারা সেমিনার আয়োজন করেন বিভিন্ন দলের টাকায় এবং নিজেরা সেই দলের পক্ষ হয়ে অন্য দলকে ঘায়েল করেন তাদের বুদ্ধি দিয়ে। বাট দেশের জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তারা কিছু করেন না।
৬-বাংলাদেশের ভিখারি সম্প্রদায় :রাস্তা ঘাটে যারা ভিক্ষা করেন তাদের কথা বলছি না।বিশেষ এক শ্রেণির ভিক্ষুক আছেন যারা সংগঠিত। তারা বিভিন্ন মতবাদের অনুসারী। সেই মতবাদ আবার নিজেদের নয়।কোনো এক ক্ষণজন্মা হয়তো পৃথিবীটাকে সুন্দর করার জন্য বিভিন্ন ধারণাকে কাজে লাগিয়েছেন। এখন ভিখারি সম্প্রদায় সে মতবাদ না বুঝে মুখস্থ করেন এবং সমাজে তা প্রয়োগ করার চেষ্টা করেন না।এই মতবাদ কে পুজি করে তারা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন এবং সেখানে সেই মতবাদের শিক্ষাদানের মাধ্যমে নিজেদের পেট চালান। যারা তাদের পেট চালানোর ব্যবস্থা করেন তারাই এই ভিখারিদের কাছে প্রিয় পাত্র৷ হউক সে সুদখোর,রাজাকার,মেয়েবাজ,দূর্নীতিবাজ।
৭-মজনু মিয়া :এই লোক দেশের নিম্নবিত্ত শ্রেণির প্রতিনিধি হলেও তার মধ্যেও অতিকথন দেখা যায়৷ নানা ধরনের রঙীন স্বপ্ন দেখিয়ে মজনু মিয়া এক মেয়ে কে প্রেম করে বিয়ে করে। বিয়ের পর মেয়ে দেখে মজনু মিয়ার আসলে নিজের বলতে তার দেহ, দুইটা লুঙ্গি,দুইটা শার্ট ছাড়া নিজের বলতে কিছু নেই। তারপর ও মজনু মিয়া রাতের বেলায় মেয়ের কাছে যাওয়ার লোভে গল্প বানায়,স্বপ্ন দেখায় নানা ধরণের প্রতিশ্রুতি দেয়। সকাল হলেই সব কথা ভুলে যায়।
উপরের সব শ্রেণির মানুষের উদ্দেশ্য কুসুম কুমারী দাশ বলে গিয়েছেন :
আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে?
কথায় না বড়ো হয়ে কাজে বড়ো হবে।
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:১৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী সমাজ সবসময় পল্টিবাজ। জাহিদ সাহেবের এক বছর আগের ভিডিও দেখেন। কওমী জননীর আমলে তিনি পার্বত্য চিটাগং,ডেঙ্গু এসব নিয়ে অনেক ভিডিও করতেন। এখন দেখেন ডেঙ্গু নিয়ে কোনো ভিডিও বানান না। এবার কিন্তু ডেঙ্গুতে প্রচুর লোক মারা গেছে। বাট দেশের এমনই অবস্থা এসব দেখার সুযোগ কারো নাই৷ দিনের বেলায় ঢাকার অনেক জায়গায় মশার উৎপাত! সিটি কর্পোরেশন রেস্ট ইন পিস।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩০
আমি সাজিদ বলেছেন: জাহেদস টেক নামে একটা চ্যানেল আছে। হাসিনার আমলে আমি তার বেশ কিছু বক্তব্য শুনেছি । ফ্যাসিস্ট বিরোধী ছিল।
সেদিন সে কি বলে শুনতে গিয়ে দেখি, সে আবদার করছে ভারতকে চাপে রাখার জন্য পাকিস্তান যেন আমাদের সাথে পারমাণবিক চুক্তি করে বা বোমা দেয়। ওইখানে বাঙালির কমেন্ট দেখলেই গা শিউরে উঠেছে। ভাবখানা এমনই যে, এখনই বোমা পেয়ে গেছি আমরা। কালকেই ভারত পরাজিত হচ্ছে। ইউটিউবে বাংলাদেশি মিডিয়াগুলো আমাদের বাতেলা স্বভাবকে ফোকাস করে উসকানিমূলক সব নিউজ দেয়, খেয়াল করবেন, এইটা হাসিনার আমল থেকেই।
এই বাংলা বা ওই বাংলা বাঙালিকে ভাদ্র মাসের চিল বানানো খুবই সহজ। বাতেলা যে। জেতার আগে জিতে যাই।