নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
৫ই আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর দেশের শিল্প কারখানায় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট হয়েছে। অধিকাংশ কারখানা আওয়ামী লীগের হেবিওয়েট নেতাদের ছিলো। প্রতিপক্ষ অথবা জনতা যেই আগুন লাগাক লূটের মালে পকেট ভরেছে সবার। বিভিন্ন সরকারি প্রজেক্টের কাজ ফেলে প্রাণ বাচাতে অনেকে গা ঢাকা দিয়েছেন। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দলবাজ শিক্ষক দের পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। রাজনীতি করে পয়সা কামানো অনেক ব্যক্তির ইনকাম বন্ধ হয়ে গেছে। দলীয় নিয়োগ প্রাপ্ত অধিকাংশ লোক চাকুরি হারিয়ে পথে পথে ঘুরে ফিরছেন।বনার কারণে দৈনন্দিন জিনিসপাতির দামও খুব চওড়া। আবার আইন শৃংখলা পপরিস্থিতি ঢিলে-ঢালা হয়ে যাওয়ায় দেশে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ধর্ষণের মতো অপরাধ বেড়ে গিয়েছে।
সর্বশেষ ৪ নভেম্বর সারদায় ট্রেনিং নেয়া ৫৯ জন এসআই ক্যাডেট কে শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। একই অভিযোগে অক্টোবর মাসেও ৩০০'র অধিক এসআই ক্যাডেট কে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। পুলিশের বড়ো কর্মকর্তাদের বদলি, ওএসডি বা বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হচ্ছে। কারণ হিসাবে জানানো হয়েছে তারা সবাই আওয়ামী সরকারের সময়ে দলীয় ভাবে নিয়োগ পেয়েছে অথবা সরকার কে টিকিয়ে রাখতে জনগণের উপর বলপ্রয়োগ করেছিল। অন্যদিকে সনাতনী রা অভিযোগ করেছেন বেছে বেছে সনাতনী দের পুলিশের চাকুরী থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে !
নতুন পুলিশ রিক্রুটমেন্টের জন্য সারকুলার দেয়া হয়েছে। তবে পুলিশের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম দীর্ঘ সময়ে ধরে চলমান থাকে বিধায় দলীয়ভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের এখনই অবসর, ওএসডি এবং অব্যহিত দেয়ার সিদ্ধান্ত দেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। থানায় পুলিশ মামলা নিচ্ছে না, লোকবল নাই, আগুনে থানা পূড়ে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। দেশের জনসংখ্যার তুলনায় পুলিশের সংখ্যা অপ্রতুল তার মধ্যে অনেক পুলিশ জুলাই আন্দোলনের সময় আহত হয়ে হাসপাতালে বেডে শুয়ে আছেন। ট্রাফিক পুলিশ পুরোপুরি ভাবে দায়িত্ব পালন না করায় অসহ্য যানজট সৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।
দলীয়ভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের ছাটাই করার পূর্বে অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা। গণহারে পুলিশ ছাটাই কোনো সমাধান হতে পারে না। নিউ রিক্রুট হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুরাতন নিয়োগ প্রাপ্তদের বাদ না দিয়ে পরিস্থিতি যাতে উন্নত হয় সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া যেতে পারে।
২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৯
আমি সাজিদ বলেছেন: দুই তরুণ উপদেষ্টার সেই চোখ বড় বড় করে আঙুল উঁচিয়ে হুমকি দেওয়ার স্টিল ফটোটা বেশ ভীতির উদ্রেক করে। ওইটা থানায় রাস্তায় ঝুলিয়ে দিলেই তো অপরাধ কমে যাবে মনে হয় !
চেহারায় অভিব্যক্তি অনেকটা বিশ্বজিৎকে হত্যার সময় জগন্নাথের ছাত্রলীগের গুন্ডা পান্ডাদের স্টিল ফটোর হিংস্র বুনো উল্লাসের সাথে তুলনীয় , একই রকম। আমার মনের ভুলও হতে পারে।
এতে যদি আইন শৃঙ্খলা রক্ষা হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:০৯
প্রহররাজা বলেছেন: উনারা নিজেদের নির্বাচিত সরকার ভাবা শুরু করসে।