নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
২০২১ সালে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা নির্বাচিত দলকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির শাসন ভারের দায়িত্ব নেয়। শুরু হয় জান্তার সাথে মুক্তিকামী বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী এবং সাধারণ মানুষের গৃহযুদ্ধ ! গৃহযুদ্ধের কারণে মিয়ানমারের সামাজিক স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে। সাধারণ মানুষ এর নেপথ্যে চীন কে দায়ী বলে মনে করছে। মিয়ানমারের বাক স্বাধীনতা রুদ্ধ হয়ে গেছে। তা সত্ত্বেও চীন সামরিক জান্তা কে সব ধরণের লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে সাহায্য করছে।
সাধারণ মানুষ মনে করে চীন মিয়ানমারে জনগণের মুক্তচিন্তা এবং বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয়। চীন শুধু নিজের ব্যবসা বাণিজ্য এবং স্বার্থ অক্ষুণ্ণ থাকার প্রতি বেশি মনোযোগী। সাধারণ মানুষের প্রতিরোধের মুখে বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রকল্প নতুন ভাবে চালু করতে সামরিক জান্তা কে চাপ দিচ্ছে চীন। মিয়ানমার সাথে চীনের মূলত ব্যবসা বাণিজ্য তেল এবং গ্যাসের পাইপলাইন সংযোগ নিয়ে। আবার বঙ্গোপসাগরে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কথা রয়েছে। চীনের প্রবাসীরা মিয়ানমারের নাগরিক দের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন, লেখক এবং সাহিত্যিকদের নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মিয়ানমার সেনাপ্রধান সাম্প্রতিক সময়ে চীনে সফর করবেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে তা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। চীন যদি সামরিক জান্তা কে সামরিক সাহায্য না করতো তাহলে অনেক আগেই জান্তা শক্তি পরাজিত হতো বলে মনে করেন অধিকাংশ মানুষ।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ২০২৫ সালে নির্বাচন দিবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এইজন্য আদমশুমারী করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে জান্তা সরকার কে। বিপক্ষ শক্তির কাছে বেশিরভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। অন্যদিকে যে প্রক্রিয়ায় নির্বাচন করা হবে তা নিয়ে চীনের পূর্ণ সমর্থন সাধারণ মানুষ কে হতাশ করেছে।
সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে যাতে যুদ্ধ না করে সেজন্য প্রতিরোধ গোষ্ঠী গুলোকে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছে চীন। প্রতিরোধ গোষ্ঠীর উপর অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের জন্য চীন সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে।
সাধারণ মানুষ মনে করে চীন যদি মিয়ানমারের স্থিতিশীলতা রক্ষায় এগিয়ে না আসে অন্তত পক্ষে সামরিক জান্তা কে তাদের সাপোর্ট দেয়া বন্ধ করে উদার মানসিকতার পরিচয় দেয় তবে দ্রুতই মিয়ানমারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
©somewhere in net ltd.