নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
৮ই ডিসেম্বর বিএনপির ৩টি অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদল বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি দিতে যাত্রা করার কথা রয়েছে। আগরতলায় বাংলাদেশের হাইকমিশনে ভারতীয় কিছু লোকের হামলা ও পতাকা অবমাননা করার অভিযোগে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অপরদিকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু দের উপর হামলা ও চিন্ময় দাস কে গেফতারের অভিযোগে ভারতের দিল্লীতে অবস্থিত হাইকমিশনার অফিস ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ভারতের সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল বিজেপির প্রধান শক্তি আরএসএস ও তার সহযোগী সংগঠন! আগামী ১০ই ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবসে তারা দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তার ঠিক একদিন আগেই অর্থাৎ ৯ই ডিসেম্বর ভারতের পররাষ্ট্রসচিব প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশে আসবেন দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে আলোচনার জন্য। বিএনপি ও বিজেপি কেন দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা দিল তার পিছনের রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করা যাক।
জুলাই অভ্যুত্থানে বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের ভূমিকা থাকলেও ড. ইউনূস বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সাথে ড. ইউনূসের বেশি সখ্যতা দেখা যায়। আওয়ামী লীগের পর বড়ো রাজনৈতিক দল বিএনপি কে উপেক্ষা করে জামাত শিবির ও তাদের এক্স ছাত্রদের দ্বারা সংগঠিত দলের প্রতি ড. ইউনূসের সরকারের সফট কর্ণার বিএনপি ভালো চোখে দেখছে না। তাছাড়া নিজেদের অরাজনৈতিক সংগঠন দাবী করা ছাত্র সংগঠনের রাজনৈতিক কার্যকলাপ ড. ইউনূস সরকারকে বিপদে ফেলছে। বিএনপি সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক মাঠ দখলের পরিকল্পনা করেছে। এই লক্ষ্যে বিএনপির নেতাদের তীব্র ভারত বিরোধী মনোভাব দেখাতে হাই কমান্ড তথা তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিএনপির মহাসচিবকে সে জন্য কিছুদিনের জন্য বিশ্রামে পাঠিয়ে রিজভী কাগু কে মাঠে নামানো হয়েছে। রিজভী কাগু শেখ হাসিনার আমলেও ভারত বয়কট কর্মসূচীতে নিজের স্ত্রীর কেনা শাড়ি পুড়িয়েছিলেন।একই কাজ এইবারও করেছেন! বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে যাদের ভারত বিদ্বেষ প্রবল উহারা রিজভী কাগুর প্রতিবাদ দেখে যে বেশ খুশি হয়েছেন তা সোশাল মিডিয়াতে ঢুকলেই বোঝা যায়।পাশাপাশি আগামী বছরের নির্বাচনের ভোটের হিসাব মাথায় রেখে রাজনৈতিক মাঠ দখলের জন্য ভারতের দূতাবাস অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি বিএনপির প্রতি মানুষের আস্থা বাড়াতে সাহায্য করবে বলে বিএনপির হাই কমান্ড বিশ্বাস করে।
অন্যদিকে বিজেপির প্রধান শক্তি আরএসএস দিল্লীতে বাংলাদেশের দূতাবাস ঘেরাও কার্যক্রম সুস্পষ্ট ভাবে বিজেপির রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ! নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি বেশ কয়েকবছর ধরে হিন্দুদের জন্য ভারত ও নরেন্দ্র মোদি একমাত্র ভরসাস্থল এমন ধারণা এস্টাব্লিশমেন্টের চেষ্টা চালাচ্ছে। সমগ্র বিশ্বের রক্ষণশীল হিন্দুদের কাছে এই এস্টাবলিশমেন্ট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের হিন্দুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে কিন্তু ভারতের নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সরকার হিন্দুদের জন্য কিছু করবে না তা রক্ষণশীল হিন্দুরা মেনে নিবে না। তাই ইসকনের বহিস্কৃত নেতা চিন্ময় দাসের গ্রেফতার এবং বাংলাদেশে স্বল্প সংখ্যক সনাতন ধর্মের মানুষের উপর দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনায় পশ্চিম বাংলার বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী ( ভারতের কাউয়া কাদের) জনসমর্থন আদায়ের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় বক্তব্য রাখছেন, লং মার্চ করছেন। অন্যদিকে দিল্লীতে বাংলাদেশ ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লীতে অনুষ্ঠিত বিধান সভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টিকে ঘায়েল করতে দিল্লীর বাংলাদেশ দূতাবাস ঘেরাও করার ঘোষণা দেয় আরএসএস সমর্থিত ' সিভিল সোসাইটি অব দিল্লী ' নামে একটি সংগঠন। ৯ই ডিসেম্বর পররাষ্ট্রসচিব প্রনয় ভার্মা বাংলাদেশে আসবেন তার আগেই এই ধরণের ঘোষণা সুস্পষ্ট ভাবে চাপ বাড়ানোর কৌশল হিসাবে ধরা যেতে পারে।
রাজনীতি এক বিচিত্র খেলা! এখানে সবাই অপেক্ষায় থাকে ঝোপ বুঝে কোপ মারতে অর্থাৎ প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এখন দেখার বিষয় বিএনপি ও আরএসএসের ঘোষণা দেয়া পাল্টাপাল্টি বাংলাদেশ দূতাবাস ও ভারত দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচী তাদের জন্য কতটুকু ভোটের মাঠে সুফল বয়ে আনতে পারে!
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ড. ইউনূস নিজেকে অনেক হনু ভাবেন। আমার আপনার ধারণায় উনার কিছু যায় আসে না।
২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪
নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:
এই সব ঘেরাও ফেরাও কৈরা লাভ কী?
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সব ভোটের চক্কর!
৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এসব করে তিক্ততা বাড়বে। আমরা আর গোমূত্রখোর কী সমান?
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমরা দর্শক! এরা ফুন্দাফুন্দি করুক।
৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০০
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
আমাদেরও যদি এটম থাকতো তাহলে ভারতের সাথে যুদ্ধ-যুদ্ধ ভাব কেমন হতো?
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমাদের খাওয়ার পয়সা নাই এটম দিয়া কি করিবো?
৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৬
পবন সরকার বলেছেন: আগবাড়ায়া কিছু করা ঠিক হবে না
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সেটা বিএনপি ভালো জানে কি করবে!
৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯
জেনারেশন৭১ বলেছেন:
মাথা খালি, ব্যাগে পাথর, ইহা হলো বিএনপি'র প্রতিবাদ; দেশতো এখন তাদের পিতার ( মিলিটারী ) হাতে; চিন্তা কেন?
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমরা সবাই দর্শক এসব নাটকের!
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৪
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আমার মতে সরকারের প্রয়োজন ছিলো বিএনপিকে কাছে টানা। যদি বিএনপি সরকারের স্টেক হোল্ডার হতো বা তারদ্বার মনোনিত কয়েকজন উদেষ্টা সরকারে থাকতেন তা হলে সরকারকে পদে পদে বেকায়দায় পড়তে হতো না।